নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীদের লজিক্যাল ফ্যালাসি part 2 / এম ডি আলী
নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীদের লজিক্যাল ফ্যালাসি অথবা গোঁজামিল মাস্টারদের কেরামতি ফাঁশ সমাচার part 2ঃ
লিখেছেনঃ এম ডি আলী
১১/ অপ্রাসঙ্গিক তর্কের গোঁজামিল (Red herring):
দাবীঃ আমার মনে হয় বানর আমাদের পূর্ব পুরুষ আসল বাপ দাদা।
প্রশ্নঃ পশু থেকে আমরা আসছি, তার প্রমাণ কী?
দাবীঃ এই যে আমরা দেখছি, বানর খায় আমরাও খাই, এগুলো তো সত্য, তাই না? বানর মারা যে যাচ্ছে, আমরা কোথায় যাচ্ছি?
ব্যাখ্যাঃ উপরের দাবীগুলো লক্ষ্য করুন। দাবীকারী প্রথমে বললো আমার মনে হয় বানর আমাদের পূর্ব পুরুষ আসল বাপ দাদা।। প্রমাণ চাওয়া মাত্রই তিনি আলোচনা ভিন্ন একদিকে নিয়ে গেলেন, যেই আলোচনায় তার কথাগুলো আপাত দৃষ্টিতে লজিক্যাল মনে হলেও, তিনি অপ্রাসঙ্গিকভাবেই আসলে খাওয়া জন্ম মৃত্যুর প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। যার সাথে বিবর্তনবাদ থাকা না থাকা সম্পর্কহীন। পরের ধাপে তিনি যতই যৌক্তিক কথা বলুন না কেন, তার সকল যুক্তিই কুযুক্তি বলে বিবেচিত হবে। কারণ তিনি মূল প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে অন্যদিকে চলে গেছেন।
১২/ মিথ্যা দ্বন্দ্ব (false dilemma):
ব্যাখ্যাঃ ধরুন, কেউ সমাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচনা করছে। সমাজতান্ত্রিক দেশে বাক স্বাধীনতা নেই, সেখানে নাস্তিক ধর্ম পালনের অধিকার ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখতে হয় ইত্যাদি। এবং কঠোর সমালোচনার ফলাফল হিসেবে নিয়ে আসছে সমাজতন্ত্রের আইনকে। বোঝাতে চাচ্ছে, যেহেতু সমাজতন্ত্র বাক স্বাধীনতা হরণ করে, তাই দেশে সমাজতন্ত্রের আইনের কোন বিকল্প নেই। যেন মানুষের সমাজতন্ত্র এবং নাস্তিক ধর্মের আইন, এই দুইয়ের মধ্যেই পছন্দ করতে হবে। আর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সত্য হচ্ছে, সমাজতন্ত্র বাক স্বাধীনতা খর্ব করলে নাস্তিক ধর্মের আইন তার শতগুণ বেশি করে। মানুষের কাছে সমাজতন্ত্র এবং নাস্তিক ধর্মের আইন ছাড়াও অনেকগুলো অপশন রয়েছে। যেমন ইসলামিক আইন, এরকম আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। তাই সবগুলো পছন্দ সামনে না আনাকে ফলস ডিলেম্মা বলা হয়। যুক্তিবিদ্যায় এই চালাকিপূর্ণ কুযুক্তিকে খারিজ করে দেয়া হয়।
১৩/ স্কটসম্যান নহেন কুযুক্তি (No true scotsman):
এটি আরেকটি বহুল প্রচলিত কুযুক্তি অথবা নাস্তিকিও গোঁজামিল । কোন বিপদ দেখলেই উনি সত্যিকারের নাস্তিক স্কটসম্যান নহেন, সহিহ নহেন, বিশুদ্ধ না ইত্যাদি বলতে থাকাকে যুক্তি বিদ্যায় নো ট্রু স্কটসম্যান কুযুক্তি বলা হয়। নিচের উদাহরণগুলো লক্ষ্য করুন-
ক
দাবীঃ নাস্তিক ধর্মের একজন নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।
কুযুক্তিঃ উনি সত্যিকারের নাস্তিক অনুসারী নহেন।
খ
দাবীঃ নাস্তিক দলের এক নেতা দুর্নীতির দায়ে জেল খাটছেন।
কুযুক্তিঃ উনি সহিহ নাস্তিক্যবাদের অনুসারী নহেন।
গ
দাবীঃ ইতিহাসে কমিউনিস্ট পার্টির লোকেরা খৃষ্টানদের নির্যাতন হত্যা করেছেন।
কুযুক্তিঃ যারা অত্যাচার করছে তারা সহিহ কমিউনিস্ট নহেন।
ঘ
দাবীঃ নাস্তিকরা আবারো হুমকি ধামকি আক্রমণ করেছে।
কুযুক্তিঃ ওরা সহিহ নাস্তিক পীর সাহেবদের মুরিদ নহেন।
ঙ
দাবীঃ নাস্তিকরা অনলাইনে ইসলাম নিয়ে গালাগালি সহ আক্রমণ করেছে।
কুযুক্তিঃ ওরা সহিহ নাস্তিক নহে নহেন।
১৪/ তালগাছ আমার কুযুক্তির গোঁজামিল (Argument from final
Consequences):
ক
দাবীঃ নাস্তিক ধর্মের একজন নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।
কুযুক্তিঃ উনি সত্যিকারের নাস্তিক অনুসারী নহেন।
খ
দাবীঃ নাস্তিক দলের এক নেতা দুর্নীতির দায়ে জেল খাটছেন।
কুযুক্তিঃ উনি সহিহ নাস্তিক্যবাদের অনুসারী নহেন।
গ
দাবীঃ ইতিহাসে কমিউনিস্ট পার্টির লোকেরা খৃষ্টানদের নির্যাতন হত্যা করেছেন।
কুযুক্তিঃ যারা অত্যাচার করছে তারা সহিহ কমিউনিস্ট নহেন।
ঘ
দাবীঃ নাস্তিকরা আবারো হুমকি ধামকি আক্রমণ করেছে।
কুযুক্তিঃ ওরা সহিহ নাস্তিক পীর সাহেবদের মুরিদ নহেন।
ঙ
দাবীঃ নাস্তিকরা অনলাইনে ইসলাম নিয়ে গালাগালি সহ আক্রমণ করেছে।
কুযুক্তিঃ ওরা সহিহ নাস্তিক নহে নহেন।
১৪/ তালগাছ আমার কুযুক্তির গোঁজামিল (Argument from final
Consequences):
ব্যাখ্যাঃ উপস্থাপিত যুক্তি তথ্য প্রমাণ যাই হোক না কেন, যুক্তিতর্কের ফলাফল আপনি আগেই নির্ধারণ করে সেই বিশ্বাসে স্থির থাকলে তাকে আমরা বলি আর্গুমেন্ট ফরম ফাইনাল কন্সিকুয়েন্সেস। ধরুন আপনার বিশ্বাস হচ্ছে, বিবর্তনবাদ সত্য। আপনি বিবর্তনবাদ নিয়ে বিতর্ক করতে আসলেন, এবং বিবর্তনের পক্ষে সমস্ত তথ্য প্রমাণ যুক্তি শোনার পরেও, তার বিপরীতে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ যুক্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ার পরেও আপনি বলতে থাকলেন, যত যাই হোক, বিবর্তনবাদ সত্য। কারণ আপনার আস্থা যুক্তি বা প্রমাণে নয়, আপনার আস্থা বিশ্বাসে। এরকম অবস্থায় আপনার অবস্থানকে তালগাছবাদী কুযুক্তি বলা হবে। যেটা নাস্তিক ধর্মের অন্ধ অনুসারীরা করে থাকে ।
১৫/ নিশ্চিতকরণ বায়াস পতন (Confirmation Bias Fallacy):
ব্যাখ্যাঃ যেহেতু আপনি নাস্তিক পরিবারে জন্মেছেন এবং ছোটবেলা থেকে নাস্তিক ধর্মকেই সত্য বলে মেনে নিয়েছেন, তাই আপনার দাবী হচ্ছে, পৃথিবীর ৪২০০ টি ধর্মের মধ্যে আপনার নাস্তিক ধর্মটিই একমাত্র সত্য এবং সঠিক। বাদবাকি সবই ভুয়া এবং বিকৃত। আপনি ভারতের কোন হিন্দু পরিবারে জন্মালে ঠিক একইভাবে একই যুক্তিতে হিন্দু ধর্মটিই পৃথিবীর একমাত্র সত্য ধর্ম বলে তখন আপনার মনে হতো। যেহেতু আপনি কোন ধর্মটি সঠিক তা তথ্য প্রমাণ দিয়ে যাচাই বাছাই না করে শুরুতেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, জন্মসূত্রে পাওয়া আপনার নাস্তিক ধর্মটিই একমাত্র সঠিক, তাই আপনার দাবী পক্ষপাতদোষে দুষ্ট। তাই এই যুক্তিটি একটি কুযুক্তি বা গোঁজামিল। পৃথিবীর বেশিরভাগ নাস্তিক ধর্মের ধার্মিক মানুষই মনে করেন, তিনি যেই পরিবারে ঘটনাচক্রে জন্মেছেন, সেই পরিবারের ধর্মটিই একমাত্র সত্য। তিনি তার ধর্মের সপক্ষে যেসকল যুক্তি আছে, সেগুলো খুঁজে বের করেন, এবং সেইগুলোই প্রচার করেন। তার নাস্তিক ধর্মের বিপক্ষের যুক্তিগুলোকে তিনি এড়িয়ে যান বা বাতিল করে দেন। তাই আমাদের সত্য খুজতে হবে , চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে ।
১৬/ বিশেষ গোঁজামিল (Special Pleading Fallacy):
আপনার দাবীঃ সব কিছুরই স্রষ্টা থাকতে হবে হবে না। নিজে নিজেই এমনি এমনি হওয়া সম্ভব ।
প্রশ্নঃ তাহলে সৃষ্টি কীভাবে হয়েছে? কে করেছে? এখন কেন নিজে নিজে সব কিছু হয় না ?
দাবীঃ হ্যাঁ স্রস্টা ছাড়া সৃষ্টি এমনি এমনিই হয়েছেন।নাস্তিকদের কোন স্রষ্টার প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞান স্বয়ম্ভু, স্বয়ংসম্পূর্ণ।
প্রশ্নঃ কিন্তু আপনি কিছুক্ষণ আগেই তো বললেন, স্রষ্টা থাকতে হবে না। সেই একই যুক্তিতে, সৃষ্টির স্রষ্টা না থাকাটা আপনার যুক্তির বরখেলাপ হয়ে গেল না?
দাবীঃ "শুন্য" একটি স্পেশাল ক্যারেকটার। উনি সৃষ্টির উর্ধ্বে। তাই সব নিজে নিজে হয়েছে ।
প্রশ্নঃ তাহলে সৃষ্টি কীভাবে হয়েছে? কে করেছে? এখন কেন নিজে নিজে সব কিছু হয় না ?
দাবীঃ হ্যাঁ স্রস্টা ছাড়া সৃষ্টি এমনি এমনিই হয়েছেন।নাস্তিকদের কোন স্রষ্টার প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞান স্বয়ম্ভু, স্বয়ংসম্পূর্ণ।
প্রশ্নঃ কিন্তু আপনি কিছুক্ষণ আগেই তো বললেন, স্রষ্টা থাকতে হবে না। সেই একই যুক্তিতে, সৃষ্টির স্রষ্টা না থাকাটা আপনার যুক্তির বরখেলাপ হয়ে গেল না?
দাবীঃ "শুন্য" একটি স্পেশাল ক্যারেকটার। উনি সৃষ্টির উর্ধ্বে। তাই সব নিজে নিজে হয়েছে ।
উপরের দাবী অনুসারে, প্রথমে তিনি একটি প্রস্তাব দিয়েছেন যে, স্রষ্টা থাকা অত্যাবশ্যক না। পরে তিনি নিজেই আবার "শুন্য" বা ঈশর নাই সেই প্রস্তাবের বাইরে কিছু স্পেশাল সুবিধা দেয়ার দাবী জানিয়েছেন, এই বলে যে, উনি এই প্রস্তাব বা নিয়মের উর্ধ্বে। এটি একটি কুযুক্তি। একে বলা হয় স্পেশাল প্লিয়েডিং ফ্যালাসি। যখন কারও দেয়া সূত্র বা প্রস্তাব বা রুল সে বা অন্য কেউ ভঙ্গ করে, এবং সেই ভঙ্গ করাকে তিনিই স্পেশাল কিছু সুবিধা বলে চালিয়ে দিতে চান, তাকে আমরা স্ববিশেষ মিনতি কুযুক্তি বলতে পারি।
১৭/ ব্যাখ্যা ও অজুহাত গুলিয়ে ফেলা (Confusing an explanation with an excuse):
কোন ঘটনার ব্যাখ্যা (explanation), অজুহাত (excuse) এবং ন্যায্যতা প্রদান(justification) তিনটি আলাদা বিষয়। কোন ঘটনার ব্যাখ্যাকে তার ন্যায্যতা প্রতিপাদন বা অজুহাত হিসেবে মনে করলে এই গোঁজামিল হয়। অনেক মানুষই নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তথাকথিত ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে, যা আসলে ব্যাখ্যা নয়, এক ধরণের অজুহাত। কোনটি ন্যায্যতা প্রতিপাদন, ব্যাখ্যা আর কোনটি অজুহাত, তা গুলিয়ে ফেলা অনেক মানুষেরই স্বভাব।
উদাহরণ:
বক্তা ১ – লেনিনের সময় কমিউনিস্ট নাস্তিকরা ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল খৃষ্টানদের উপর।
বক্তা ২ – আপনার এইসব ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে হবে। পরিপ্রেক্ষিত বুঝতে হবে। প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে হবে! সেসব না বুঝে আপনি এই কথা বলতে পারেন না।
বক্তা ১ – গণহত্যার আপনি কী ব্যাখ্যা দিতে পারেন?
বক্তা ২ – ঐ সময় খুব কঠিন সময় ছিল। খৃষ্টান দালালরা কমিউনিস্টদের ভাঙতে চেয়েছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিল নাস্তিকদের ক্ষতি করতে। নাস্তিকরা কেন তাদের হত্যা করেছিল জানেন ? সেই সময়ে কিছু খৃষ্টান দুর্বৃত্ত কমিউনিস্টদের সংবিধান লঙ্ঘন করেছিল। নাস্তিক রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। সেই সময়ে দেশপ্রেমিক নাস্তিকরা! কঠোর হস্তে বিদ্রোহ দমন করে।
লক্ষ্য করে দেখুন, একটি গণহত্যাকে ন্যায্যতা প্রদান(Justification) করতে বক্তা ২ নানা রকম অজুহাত তৈরি করছেন। গণহত্যার সপক্ষে তিনি অজুহাত তৈরি করে সেগুলোকে ব্যাখ্যা মনে করছেন। কিন্তু ন্যায্যতা প্রদান, ব্যাখ্যা এবং অজুহাত একদমই আলাদা বিষয়। এই দুটো গুলিয়ে ফেলাকে Confusing an explanation with an excuse বলা হয়। উল্লেখ্য, গণহত্যা বা জাতিগোষ্ঠী,নাস্তিক ধর্মীয় সম্প্রদায় ধরে নিধন চালানো কোন ব্যাখ্যাতেই বৈধ বলে গণ্য হয় না। কোন অবস্থাতেই ন্যায্যতা পায় না।
বক্তা ১ – লেনিনের সময় কমিউনিস্ট নাস্তিকরা ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল খৃষ্টানদের উপর।
বক্তা ২ – আপনার এইসব ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে হবে। পরিপ্রেক্ষিত বুঝতে হবে। প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে হবে! সেসব না বুঝে আপনি এই কথা বলতে পারেন না।
বক্তা ১ – গণহত্যার আপনি কী ব্যাখ্যা দিতে পারেন?
বক্তা ২ – ঐ সময় খুব কঠিন সময় ছিল। খৃষ্টান দালালরা কমিউনিস্টদের ভাঙতে চেয়েছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিল নাস্তিকদের ক্ষতি করতে। নাস্তিকরা কেন তাদের হত্যা করেছিল জানেন ? সেই সময়ে কিছু খৃষ্টান দুর্বৃত্ত কমিউনিস্টদের সংবিধান লঙ্ঘন করেছিল। নাস্তিক রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। সেই সময়ে দেশপ্রেমিক নাস্তিকরা! কঠোর হস্তে বিদ্রোহ দমন করে।
লক্ষ্য করে দেখুন, একটি গণহত্যাকে ন্যায্যতা প্রদান(Justification) করতে বক্তা ২ নানা রকম অজুহাত তৈরি করছেন। গণহত্যার সপক্ষে তিনি অজুহাত তৈরি করে সেগুলোকে ব্যাখ্যা মনে করছেন। কিন্তু ন্যায্যতা প্রদান, ব্যাখ্যা এবং অজুহাত একদমই আলাদা বিষয়। এই দুটো গুলিয়ে ফেলাকে Confusing an explanation with an excuse বলা হয়। উল্লেখ্য, গণহত্যা বা জাতিগোষ্ঠী,নাস্তিক ধর্মীয় সম্প্রদায় ধরে নিধন চালানো কোন ব্যাখ্যাতেই বৈধ বলে গণ্য হয় না। কোন অবস্থাতেই ন্যায্যতা পায় না।
১৮/ প্রকৃতিগত গোঁজামিল (Naturalistic fallacy):
ব্যাখ্যাঃ অনেকসময় যুক্তি হিসেবে বলা হয়, যেহেতু অমুক বিষয়টি প্রাকৃতিক, তাই ভাল বা নৈতিক। অথবা তমুক বিষয়টি অপ্রাকৃতিক, তাই মন্দ বা অনৈতিক। এরকম দাবীগুলোকে সাধারণভাবে প্রকৃতিগত গোঁজামিল বলে। “সাধারণত কী হয়”, “সাধারণত কী হয় না”- এর উপর ভিত্তি করে “কী হওয়া উচিৎ”, “কী হওয়া বাধ্যতামূলক”, “কী হওয়া উচিৎ নয়”, “কী করা যাবে না” এরকম নৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তখন এই বিশেষ গোঁজামিলটি সংঘটিত হয়। এই গোঁজামিল খুব সাধারণ, এবং বেশিরভাগ নাস্তিক লোকই স্বীকৃতি নাস্তিকিও সামাজিক ও নৈতিক রীতির জন্য এটি নজরে নেন না। এর কারণে আমরা যুক্তি থেকে সরে এসে, যা হয় তাকে হতেই হবে বলে মনে করি।
যেমন- নাস্তিকতায় সমকামী এবং অবাধ সেক্স যার সাথে ইচ্ছা তার সাথেই যুগযুগ ধরে চলে আসছে। তাই এটি স্বাভাবিক এবং ভাল।
কিন্তু, যুগযুগ ধরে চলে আসা মানেই কোন কিছু ভাল বা সঠিক হয় না। যুগযুগ ধরে চলে আসছে, তাই এটি ভাল মনে করার কোন যুক্তি নেই।
আবার, “যেহেতু ইতিহাসের সূচনা থেকেই যুদ্ধ হয়ে আসছে, সব জাতিই কমবেশী যুদ্ধ করেছে, তাই এটা নৈতিকভাবে খারাপ হতে পারে না!”
কিন্তু যুদ্ধ অবশ্যই একটি খারাপ বিষয়। সেটি সাধারণভাবে অনেকবার ঘটে থাকলেও তা খারাপ।
কিন্তু, যুগযুগ ধরে চলে আসা মানেই কোন কিছু ভাল বা সঠিক হয় না। যুগযুগ ধরে চলে আসছে, তাই এটি ভাল মনে করার কোন যুক্তি নেই।
আবার, “যেহেতু ইতিহাসের সূচনা থেকেই যুদ্ধ হয়ে আসছে, সব জাতিই কমবেশী যুদ্ধ করেছে, তাই এটা নৈতিকভাবে খারাপ হতে পারে না!”
কিন্তু যুদ্ধ অবশ্যই একটি খারাপ বিষয়। সেটি সাধারণভাবে অনেকবার ঘটে থাকলেও তা খারাপ।
এই গোঁজামিলটির গতানুগতিক ব্যবহারটি লক্ষ্য করা যায় যখন “ভাল” এর সংজ্ঞা দেবার চেষ্টা করা হয়। দার্শনিক জি. ই. মুর (১৮৭৩-১৯৫৮) যুক্তি দেন, কোন কিছু প্রাকৃতিক বলে একে “ভাল” বা “নৈতিক” বলে সংজ্ঞায়িত করলে ভুল হবে। এই গোঁজামিল প্রকৃতি বা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের সাথে ভাল মন্দের সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করা হয় বলেই এর নাম “ন্যাচারালিস্টিক ফ্যালাসি”।
উদাহরণ:
প্রস্তাবঃ বেশির ভাগ নাস্তিক মনে করেন নারী পুরুষের সম্মতিতে (সমকামী, লেসবিয়ান, পিতার মাতার সাথে নাস্তিক সন্তানদের সম্মতিতে)যৌন সম্পর্ককে নাস্তিক মানুষরা প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক বিষয় বলে ধরা নেয়। তারা মনে করেন, যেহেতু এটা প্রাকৃতিক, সন্তান উৎপাদনের সাথে জড়িত, সেহেতু এটি ভাল এবং নৈতিক কাজ। এবং যেহেতু সম্মতিতে বাদীপত্নী তার মুনিবের সাথে সেক্স করবে এটা প্রাকৃতিক নয়, তাই এটি অনৈতিক কাজ
কিন্তু, প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে ধরে নিয়ে কোন কিছুকে যদি নৈতিক বা ভাল মনে করা হয়, তাহলে একই যুক্তিতে প্রকৃতি মানুষকে অসুখবিসুখ এবং রোগব্যাধি দেয়। তাই একই যুক্তিতে ধরে নিতে হয়, অসুখ বিসুখ যেহেতু প্রাকৃতিক তাই নৈতিক এবং ভাল। এবং ঔষধের দ্বারা প্রকৃতির কাজে বাঁধা দেয়া এবং অসুস্থের চিকিৎসা করা নৈতিকভাবে ভুল। তাই বোঝা যাচ্ছে, প্রাকৃতক বা স্বাভাবিক বলেই কোন কিছু নৈতিক এবং ভাল, তা বলা যায় না। তাই প্রকৃতি দেখে কোন নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসী যদি দাবী করে বাদীপত্নী তার মুনিবের সাথে সম্মতিতে সহবাস করেছে তাই এটা ভাল না - এটি একটি বড় গোঁজামিল বা Naturalistic fallacy ।
কিন্তু, প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে ধরে নিয়ে কোন কিছুকে যদি নৈতিক বা ভাল মনে করা হয়, তাহলে একই যুক্তিতে প্রকৃতি মানুষকে অসুখবিসুখ এবং রোগব্যাধি দেয়। তাই একই যুক্তিতে ধরে নিতে হয়, অসুখ বিসুখ যেহেতু প্রাকৃতিক তাই নৈতিক এবং ভাল। এবং ঔষধের দ্বারা প্রকৃতির কাজে বাঁধা দেয়া এবং অসুস্থের চিকিৎসা করা নৈতিকভাবে ভুল। তাই বোঝা যাচ্ছে, প্রাকৃতক বা স্বাভাবিক বলেই কোন কিছু নৈতিক এবং ভাল, তা বলা যায় না। তাই প্রকৃতি দেখে কোন নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসী যদি দাবী করে বাদীপত্নী তার মুনিবের সাথে সম্মতিতে সহবাস করেছে তাই এটা ভাল না - এটি একটি বড় গোঁজামিল বা Naturalistic fallacy ।
১৯/ নীতিগত গোঁজামিল (Moralistic fallacy):
যখন কোন নৈতিক বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে “কী হতে হবে” বা “কী হওয়া যাবে না” বা কী ঘটতে পারে না, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তখন এই গোঁজামিলটি সংঘটিত হয়।
উদাহরণ:
১। পরকীয়া নৈতিকভাবে খারাপ (নৈতিক বৈশিষ্ট্য), তাই মানুষের একাধিক যৌনসঙ্গী লাভ করার আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে না (প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য)।
> কিন্তু নৈতিকভাবে পরকীয়া খারাপ হলেও কারো মনে তার আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে।
২। পরকাল নাই ন্যায্যতা , সমতা বা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে (নৈতিক বৈশিষ্ট্য), সুতরাং পরকাল ও ঈশ্বরের অস্তিত্ব নাই (প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য)।
> কিন্তু পৃথিবীতে ন্যায় বিচার নাই, এটি পরকালে ন্যায় বিচার আছে তার পক্ষে প্রমাণ হতে পারে।
৩। খারাপ চরিত্রের অধিকারী হওয়া নৈতিকভাবে ঠিক নয়, তাই কেউই খারাপ হতে পারে না, সবাই ভাল মানুষ।
> কিন্তু অনেকেই খারাপ মানুষ হতে পারেন।
৪। নারী ও পুরুষের সমতাবিধান হতে হবে, তাই নারীরাও পুরুষের মত শক্তিশালী হয়।
> কিন্তু নারীরা পুরুষের মত শারিরিক ক্ষমতার অধিকারী হতে পারবে না ।
১। পরকীয়া নৈতিকভাবে খারাপ (নৈতিক বৈশিষ্ট্য), তাই মানুষের একাধিক যৌনসঙ্গী লাভ করার আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে না (প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য)।
> কিন্তু নৈতিকভাবে পরকীয়া খারাপ হলেও কারো মনে তার আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে।
২। পরকাল নাই ন্যায্যতা , সমতা বা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে (নৈতিক বৈশিষ্ট্য), সুতরাং পরকাল ও ঈশ্বরের অস্তিত্ব নাই (প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য)।
> কিন্তু পৃথিবীতে ন্যায় বিচার নাই, এটি পরকালে ন্যায় বিচার আছে তার পক্ষে প্রমাণ হতে পারে।
৩। খারাপ চরিত্রের অধিকারী হওয়া নৈতিকভাবে ঠিক নয়, তাই কেউই খারাপ হতে পারে না, সবাই ভাল মানুষ।
> কিন্তু অনেকেই খারাপ মানুষ হতে পারেন।
৪। নারী ও পুরুষের সমতাবিধান হতে হবে, তাই নারীরাও পুরুষের মত শক্তিশালী হয়।
> কিন্তু নারীরা পুরুষের মত শারিরিক ক্ষমতার অধিকারী হতে পারবে না ।
২০/ এফারমিং দ্য কনসিকোয়েন্ট (Affirming the Consequent):
ব্যাখ্যাঃ এটি ফরমাল লজিকের একটি সাধারণ ভ্রান্তি, যেখানে কন্সিকোয়েন্ট বা ফলাফল সঠিক হলে, এন্টিসিডেন্ট বা পূর্বসত্যকেও সঠিক ধরা হয়।
উদাহরণ:
কেউ একজন আমাদেরকে উপর থেকে দেখছেন না বলেই, এখনও জগতে হাজার মানুষ না খেয়ে আছে।
এক্ষেত্রে সিলোলিজম:
A। স্রস্টা নাই তাই না খেয়ে মানুষ আছে
B। ভালো মানুষ সমাজে নাই
C। সুতরাং, স্রস্টা নাই
উদাহরণ:
কেউ একজন আমাদেরকে উপর থেকে দেখছেন না বলেই, এখনও জগতে হাজার মানুষ না খেয়ে আছে।
এক্ষেত্রে সিলোলিজম:
A। স্রস্টা নাই তাই না খেয়ে মানুষ আছে
B। ভালো মানুষ সমাজে নাই
C। সুতরাং, স্রস্টা নাই
এখানে সমস্যাটা হচ্ছে A এর কারণে B হয় বলে, B হয়েছে বলে A যে হতেই হবে এমন নয়, কারণ B এর কারণ A ছাড়াও C, D, E সহ আরও অনেক কিছু হতে পারে। এক্ষেত্রে, স্রস্টা নাই তাই মানুষ না খেয়ে থাকবে, এর অর্থ এই নয় যে শুধু স্রস্টা না থাকলেই মানুষ খেয়ে থাকবে, আরও অনেক কারণেই মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে। যেমন ধনীরা গরিবদের সাহায্য করে না । তাই এটি একটি লজিক্যাল ফ্যালাসি, যাকে আমরা বলি, এফারমিং দ্য কনসিকোয়েন্ট।
২১/ চেরি পিকিং গোঁজামিল (cherry picking fallacy):
ব্যাখ্যাঃ যখন আমরা বিভিন্ন রকম এভিডেন্স, ডেটা বা সম্ভাবনা থেকে আমাদের অনুকূলে যায় এরকম ডেটা বা এভিডেন্সকেই বা সম্ভাবনাকেই গ্রহণ করি তখন এই গোঁজামিলটি সংঘটিত হয়।
উদাহরণ:
দাবীঃ নবী মুহাম্মদ (সা) ৬ বছরে বিয়ে করেছেন তাই তিনি শিশুকামী (পিডোফিলিয়া)
উদাহরণ:
দাবীঃ নবী মুহাম্মদ (সা) ৬ বছরে বিয়ে করেছেন তাই তিনি শিশুকামী (পিডোফিলিয়া)
প্রশ্নঃ পিডোফিলিয়া রোগে সনাক্ত করনে কোথাও এটা বলা হয় নি যে কোন ব্যাক্তি ৬ বছর বয়সের একটি মেয়েকে বিয়ে করলেই সেও একই রোগী হবে । আর কোন ব্যাক্তি যদি শিসুকামী হয় তাহলে সে কেন বিয়ে করবে ? কেন তার স্ত্রীকে সে ভালবাসবে আর তার স্ত্রীও কেন তাকে ভালবাসবে ???
ছাড়া নবী মুহাম্মদ (সা) একাধিক বিয়ে করেছিলেন , নাস্তিকরা দাবী করে তিনি নাকি নারীকামী ছিলেন - খেয়াল করুন যার স্ত্রীরা তাঁকে ভালবাসে সেও তাঁর স্ত্রীদের ভালবাসেন এবং সম্মতিতেই বিয়ে করেছিলেন তাহলে এখানে নারীকামীতার প্রশ্ন আসে কিভাবে ?
ছাড়া নবী মুহাম্মদ (সা) একাধিক বিয়ে করেছিলেন , নাস্তিকরা দাবী করে তিনি নাকি নারীকামী ছিলেন - খেয়াল করুন যার স্ত্রীরা তাঁকে ভালবাসে সেও তাঁর স্ত্রীদের ভালবাসেন এবং সম্মতিতেই বিয়ে করেছিলেন তাহলে এখানে নারীকামীতার প্রশ্ন আসে কিভাবে ?
> লক্ষ্য করুন, প্রথম কথাটির দাবীদার চেরি পিকিং করছেন। অর্থাৎ যতটুকু তথ্যের সাথে যতটুকু মিলছে, ততটুকুই উনি বলছেন। অন্যান্য বিষয়াদি উহ্য রেখে। তাই এটি একটি ফ্যালাসি, যাকে আমরা বলি চেরি পিকিং।
২২/ আপিল টু নরমালিটি (Appeal to normality):
ব্যাখ্যাঃ এই গোঁজামিলটি সংঘটিত হয় যখন কী স্বাভাবিক, কী স্বাভাবিক নয়, কী হয়ে আসছে, কী কখনও হয় নি, এর উপর ভিত্তি করে যখন কোন নৈতিক সিদ্ধান্ত টানা হয়, কোনটাকে ভাল, কোনটাকে মন্দ বলা হয়। অন্যভাবে বললে, সচরাচর ঘটে কিংবা সচরাচর ঘটে না, সবাই করে কিংবা সবাই করে না, এর ওপর ভিত্তি করে যদি কোন কাজকে নৈতিক/ ভাল বা অনৈতিক/মন্দ কাজ বলে সিদ্ধান্ত টানা হয়, তাহলে তাকে আপিল টু নরমালিটি ফ্যালাসি বলা হবে।
উদাহরণ:
উদাহরণ:
১। আধুনিক যুগের ভান করে নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীরা বলে সম্মতি থাকলে নিজ নাস্তিক পিতা তার নাস্তিক ছেলের সাথে সেক্স করতে পারবে
> কিন্তু আধুনিক যুগ বলেই যে এটা ভাল কাজ বলে গণ্য হবে এটা ভুল
২। বাঙলাদেশে সব নাস্তিক কর্মকর্তা কর্মচারিই জার্মানি যাওয়ার ধান্দা খায়। তাই নাস্তিকতায় খারাপ কিছু নেই।
> কিন্তু সকল নাস্তিক কর্মচারি এই ভণ্ডামি করলেই, দুর্নীতি করলেই দুর্নীতি করা বৈধ বা নৈতিক বা ভাল কাজ বলে গণ্য হতে পারে না।
৩। আসিফ দূর্নীতি সৃষ্টি করেন নাই। তার আগেও দূর্নীতি হতো। আসাদ নুর আগে দুর্নীতি করেছে। দুর্নীতিই এখন নাস্তিক দেশে এই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিক বিষয়। সবাই করে। পুলিশ আমলা কর্মচারী কর্মকর্তা সকলেই। তাহলে আসাদ নুর করে কী অপরাধ করেছে?
> সবাই কিছু করলেই সেটা বৈধ হয়ে যায় না অথবা নৈতিক হয়ে যায় না ।
৪। নাস্তিক আসিফ তার যৌনদাসী কানিজকে ধর্ষণ করেছে, নাস্তিকরা আরও সুযোগ পেলে আরও ধর্ষণ করবে তাই ধর্ষণ বৈধ
> কিন্তু কোন নাস্তিক ধর্ষক হলে, সেই কাজ বৈধ হয় না , খারাপ খারাপি থাকে, ভাল হয় না ।
৫। সব নাস্তিকই সম্মতি থাকলে নিজ নাস্তিক পিতার সাথে সমকামী করে এখানে সবাই যেহেতু করে তাই এটা ভাল ...
> কিন্তু আধুনিক যুগ বলেই যে এটা ভাল কাজ বলে গণ্য হবে এটা ভুল
২। বাঙলাদেশে সব নাস্তিক কর্মকর্তা কর্মচারিই জার্মানি যাওয়ার ধান্দা খায়। তাই নাস্তিকতায় খারাপ কিছু নেই।
> কিন্তু সকল নাস্তিক কর্মচারি এই ভণ্ডামি করলেই, দুর্নীতি করলেই দুর্নীতি করা বৈধ বা নৈতিক বা ভাল কাজ বলে গণ্য হতে পারে না।
৩। আসিফ দূর্নীতি সৃষ্টি করেন নাই। তার আগেও দূর্নীতি হতো। আসাদ নুর আগে দুর্নীতি করেছে। দুর্নীতিই এখন নাস্তিক দেশে এই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিক বিষয়। সবাই করে। পুলিশ আমলা কর্মচারী কর্মকর্তা সকলেই। তাহলে আসাদ নুর করে কী অপরাধ করেছে?
> সবাই কিছু করলেই সেটা বৈধ হয়ে যায় না অথবা নৈতিক হয়ে যায় না ।
৪। নাস্তিক আসিফ তার যৌনদাসী কানিজকে ধর্ষণ করেছে, নাস্তিকরা আরও সুযোগ পেলে আরও ধর্ষণ করবে তাই ধর্ষণ বৈধ
> কিন্তু কোন নাস্তিক ধর্ষক হলে, সেই কাজ বৈধ হয় না , খারাপ খারাপি থাকে, ভাল হয় না ।
৫। সব নাস্তিকই সম্মতি থাকলে নিজ নাস্তিক পিতার সাথে সমকামী করে এখানে সবাই যেহেতু করে তাই এটা ভাল ...
> একই কারণে এটিও একটি মর্মান্তিক গোঁজামিল ।
শেষ কথা
যুক্তি তর্ক বিতর্ক আলাপ আলোচনা সমালোচনা চলুক, সেটাই আমাদের সকলের কাম্য। নাস্তিকিও চাপাতি নয়,নাস্তিকিও হুমকি ধামকি নয়। সত্য ধারালো হয়ে উঠুক। সত্য হয়ে উঠুক উপরে এটাই আমাদের কাম্য । ইসলাম এক সুন্দর জীবন বিধান । যার আইন আমাদের এমন এক জীবনের দিকে ইশারা করে যেই জীবনে আছে শান্তি শান্তি আর সত্যতার পরশ । আসুন এখনি সকলেই সত্য গ্রহণ করি।
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.