ভাবায় আমাকে !

আল্লাহ তায়ালা ন্যায় বিচারক!


(1) আপনি আপনার ভাল কাজের জন্য, যাকে স্রষ্টা মানেন তার কাছে পুরুষ্কার চাইবেন৷ আমাদের আল্লাহ তায়ালার কাছে কেন চাইবেন? আল্লাহ তায়ালা যদি না দেন, সে জন্য তাঁকে কোন যুক্তিতে অপরাধী ভাববেন?
আমরা কি কখনও বলি, " ভগবান, যীশু আমাদের বেহেস্ত না দিলে তিনি কিভাবে ন্যায় বিচারক হবেন? " আমরা বলি না! কারন এটা যৌক্তিক হবে না ৷

(2) আপনি দুনিয়াতে যাকে অস্বীকার করছেন, মৃত্যুর পর তার নিকট আশ্রয় কেন চাইবেন?? সেই অধিকার কি আপনার আছে??? কোন যুক্তিতে চাইবেন?

(3) আপনার বাড়িতে কাজের জন্য 10 জন লোক নিয়োগ করলেন ৷ তারা প্রচন্ড গরমে পরিশ্রম করার পর দুপুরে 20 জন লোক এসে তাদের শরীরের ঘাম মুছে দিল এবং ঠান্ডা পানি ও দামী খাবার খাওয়াল কিন্তু আপনার কোন কাজ করল না ৷ এখন পারিশ্রমিক দেবার সময় কাকে টাকা দেবেন??? 30 জনকে? নাকি 10 জনকে????

যদি ঐ দয়ালু লোকগুলো আপনাকে পারিশ্রমিক না দেবার কারনে অভিযুক্ত করে, গালাগালি করে, তবে আপনি কি করবেন? টাকা দিয়ে দেবেন?

(4) আপনি যদি সারাজীবন সোনালী ব্যাংকে চাকরি করেন , তখন কি জনতা ব্যাংকের কাছে পেনশন চাইবেন? চাওয়া কি যৌক্তিক হবে? চাওয়ার পর যদি জনতা ব্যাংক পেনশন না দেয় তবে কি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন?????
জনতা ব্যাংকের নিজস্ব হাজার হাজার কর্মচারীকে পেনশন দেওয়াকে অযৌক্তিক বলবেন?

(5) জেনে রাখবেন, মুসলমান অন্যায় করলে, অন্যায়ের ব্যাপক শাস্তি ভোগ করার পর, সেই আল্লাহ তায়ালার নিকট হতে জান্নাত পাবে যাকে সে বিশ্বাস করত ৷ বিশ্বাস করা মানেই সেই সৃষ্টিকর্তার কিছু কাজ করা এবং কাজের ফলেই পারিশ্রমিক পাবে ৷
মূল কথা হল, আপনি যদি দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করেন , তাঁর নিয়ম, নীতি না মানেন এবং তাঁর জন্য কাজ না করেন, তবে আল্লাহ তায়ালার কাছে পারিশ্রমিক চাওয়ার কোন অধিকার আপনার নেই ৷

আল্লাহ তায়ালার কাছে যদি পারিশ্রমিক চান, সেটা কোন যুক্তিতে চাইবেন???
তবে সবচেয়ে বড় কথা হল, আল্লাহ কাকে শাস্তি দেবেন তা আমরা বলতে পারি না কারন আল্লাহ বলেছেন

129] وَلِلَّهِ ما فِى السَّمٰوٰتِ وَما فِى الأَرضِ ۚ يَغفِرُ لِمَن يَشاءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشاءُ ۚ وَاللَّهُ غَفورٌ رَحيمٌ
[129] আর যা কিছু আসমান ও যমীনে রয়েছে, সেসবই আল্লাহর। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন, যাকে ইচ্ছা আযাব দান করবেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী, করুণাময়। ( আল ইমরান)

========================================================
আসুন দেখি ধর্ম সম্পর্কে বড় বড় বিজ্ঞানীগণ কি বলেছেনঃ
,
১."বিজ্ঞান ও ধর্মঃ
"আমি মনে করিনা ধর্ম ও বিজ্ঞান অবশ্যই ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক হবে,বাস্তবে আমি এ দুয়ের মাঝে শক্ত মিল খুঁজে পাই।এজন্য আমি বলবো ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম হলো অন্ধ।উভয়টাই গুরুত্বপূর্ণ, হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে।আমার মনে হয় বিজ্ঞান ও ধর্মের আলোয় যে আলোকিত নয় সে মৃতপ্রায়"।(আইনস্টাইন)
২.সবকিছুর স্রষ্টাঃ
""আমি বিদ্যমান তাহলে আমাকে কে সৃষ্টি করেছেন?আমিতো আমাকে সৃষ্টি করিনি।তাহলে অবশ্যই আমার একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন।আর এ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অবশ্যই স্বগত হতে হবে,তিনি কোনো অস্তিত্ব দানকারী কিংবা রক্ষাকারীর প্রতি মুহতাজ হবেন না।অবশ্যই তিনি সৌন্দর্যের সবগুনে গুণান্বিত হবেন।আর সে সৃষ্টিকর্তাই হলেন আল্লাহ,যিনি সব কিছুর স্রষ্টা""।(ডিকার্ট,ফরাসি দার্শনিক)
৩.দর্শন ও ধর্মঃ
"স্বল্প দর্শন মানুষকে নাস্তিকতার কাছে নিয়ে যায়,আর দর্শনের গভীরতা মানুষকে ধর্মের কাছাকাছি নিয়ে আনে"।(ফ্রান্সিস বেকন)
৪.সৌন্দর্য ও শৃঙখলাঃ
"নিশ্চয় বিশ্বজগত সৌন্দর্য ও শৃঙখলার এক মহা নিদর্শন।তা কাকতালীয় বা হেতু চক্রের ফল হতে পারেনা,বরং তা কোনো জ্ঞানী স্বত্তার সৃষ্টি যিনি কল্যান কামনা করেছেন এবং স্বীয় ইচ্ছায় সবকিছু সুবিন্যস্ত করেছেন"।(প্লেটো)
৫.বিভিন্ন পথ তবে আল্লাহ একঃ
"কোথায় যাচ্ছ যদি না জান,তবে সব পথই তোমাকে সেখানে নিয়ে যাবে"।(লুইস ক্যারল)
৬.বিবেকবান হওঃ
"কোন বিবেকবান কি কল্পনা করবে বা বিশ্বাস করবে যে, বিবেক ও প্রজ্ঞা বাদে পদার্থ আকস্মিকতার মাধ্যমে নিজেই নিজের অস্তিত্ব দান করেছে"?(জন ক্লিভল্যান্ড কোথ্রজান)
৭.নাস্তিকতা একরকম বেকুবিঃ
"নাস্তিকতা একরকম বেকুবি। কারণ সৌরমন্ডলের দিকে তাকালে দেখতে পাই,পৃথিবী সূর্য থেকে সঠিক দূরত্বে অবস্থিত।এতে পৃথিবী সঠিক পরিমাণে আলো ও তাপ গ্রহণ করতে পারে।এটা অবশ্যই আকস্মিক ভাবে ঘটেনি"।(নিউটন)
৮.The One God:
"প্রভু হলেন সেই আল্লাহ যিনি ছাড়া আর কেউ নাই"(ওল্ড টেস্টামেন্ট)
৯.স্বভাবগত বোধঃ
"আমরা যে ইলাহ মানি বস্তুজগৎ এর সাথে তার কোনো সম্বন্ধ নেই। আমাদের সিমিত শক্তি তার অস্তিত্ব পূর্ণভাবে বুঝতে সক্ষম নয়।তাই প্রকৃতি বিজ্ঞানের সাথে তার অস্তিত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করা অনর্থক।কারণ তার ব্যপ্তি প্রকৃতির সিমিত পরিসরের বাইরে বিস্তৃত।আল্লাহর অস্তিত্বের বিশ্বাস এমন একটি বিশেষ ব্যাপার যা মানুষের অনুভবে ও হৃদয়ে অংকুরিত হয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার পরিসরে বেড়ে ওঠে"।(রবার্ট মরিস পেইজ)
বিঃদ্রঃ কোনো বড় বিজ্ঞানী নাস্তিক ছিলেন না।তারা একজন স্রষ্টা বিশ্বাস করতেন, সেটা ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক।
এর পরেও কি আপনি ধর্মকে ও একজন স্রষ্টাকে অস্বীকার করবেন??
যদি করেন তাহলে আপনার সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ"নিশ্চয় যারা কাফের(অবিশ্বাসী) আপনি তাদের ভয় প্রদর্শন করুন আর না করুন তারা ইমান আনবে না"।(২ঃ৬)
"তারা বধির,মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না"(২ঃ১৮)
==========================================================
আহারে বাঙ্গালীর পান্তা ইলিশ
তাও আবার ইলিশের মধ্যেও ভেজাল।
তো যাইহোক জানতে চাই,
১. এরাবিক কালচারের কোনটা পালন করে মুসলিমরা??
২. বাঙ্গালীত্ব কি শুধুই পান্তা ইলিশে সীমাবদ্ধ??

এক টিভি শো তে একজন মহিলা বলেছিলেন,
"সেই অর্গানাইজেশনে আমি একাই বাঙ্গালী ছিলাম।
কাউকে দেখলাম না, শাড়ী, কপালে টিপ, চুলে খোপা করা, মাথায় কাপড় ছাড়া। শুধু আমিই বাঙ্গালী ছিলাম। ☺ ""

এই মহিলার মতে বাঙ্গালী শাড়ি, টিপ, চুলের খোপা আর মাথায় কাপড় ছাড়া থাকাতে শোভা পায়।

আসলেই কি তাই???

তাহলে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী শেখ হাসিনা
কে??? কি???
বাঙ্গালী না তাই তো।

এতো বড় সাহস......!! 😨
বোরখা পড়া মহিলা বাঙ্গালী না, মাথায় কাপড় দেওয়া মহিলা বাঙ্গালী না।
পান্তা ইলিশ না খাইলে বাঙ্গালীত্ব হারিয়ে যায়। 😆

ব্যাপক বিনোদন 😆

এইসব লজিক কোথায় পায় তারা??

এক দিনের জন্য বাঙ্গালী হতে আমরা কেউ চাই না।
মঙ্গল শোভাযাত্রা করে ইসলামকে কবর দিয়ে শিরক করে মুসলমানের পরিচয় হারিয়ে বাঙ্গালীত্ব গড়তে চাই না।
কেন চাই না?
কারণ,
আগে সবসময় ইসলাম পরে দেশ।
আগে সবসময় ইসলাম ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

আরবের কোনো সংস্কৃতি আমরা বাঙ্গালীরা পালন করি না।
যা পালন করি তা পৃথিবী সব মুসলিমরাই করে থাকেন।
আমাদের উৎসব দুইটা
দুই ঈদ,, আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমরা এতে সন্তুষ্ট, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।

আর আমজনতা, যারা একদিনের জন্য বাঙ্গালী হতে চায় এবং যারা শাড়ি, টিপ -কেই বাঙ্গালীর ঐতিহ্য বলে মনে করে তারা আসলেই হিন্দুবাদী।
হ্যাঁ হিন্দু ধর্মাবলম্বীর প্রতি তাদের দুর্বলতা আছে
আফসোস কিছু মুসলিম নামধারীরাও এতে অংশ নেয়।

তারা আসলে ভুলে গেছে তাওহীদের এরিয়া কতটুকু..!!

তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে দেখবেন,
তারা ঠিকমতো বাংলা তারিখটাও বলতে পারে না। যাদি তাদেরকে হঠাৎ বাংলা সন, মাস তারিখের কথা জিজ্ঞাসা করা হয়........
তখন তারা প্যাঁচে পড়ে যায়। 😂

এই কেমন বাংলার প্রতি টান??

আবার শুধু কি তাই.....!
কথায় কথায় ইংরেজি ভাষা ছুরে, বাংলা এবং ইংরেজি মিশ্রিত হয়ে যায়।

এই কেমন প্রেম বাংলার প্রতি?? 🤔

ভাবিয়ে তুলে আছাড় মারে 😁
===========================================
"ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রাঃ) এর কিছু মূল্যবান উপদেশ"

👉১) পাপ কোন না কোনভাবে মনের শান্তি বিনষ্ট করে দেয় ।

👉২) আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত অস্থানে ব্যয় করাটাও না- শুকরীর আলামত ।

👉৩) সম্পদের ফল হচ্ছে বদান্যতা । আমল হচ্ছে এলেমের ফল । নিষ্ঠার ফল হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি।

👉৪) যাতে তোমার অধিকার নাই, এমন সুগন্ধ থেকেও নাক বন্ধ করে রাখা উচিত । কেননা, দূর থেকে অনভিপ্রেত বস্তুর গন্ধ নেওয়াও এক ধরণের অনধিকার চর্চা ।

👉৫) যার দৃষ্টি আছে, তার দৃষ্টিতে প্রতিটি দিনই হাশরের দিনরূপে প্রতিভাত হয় ।

👉৬) অন্যের উৎসাহ বর্ধনের লক্ষ্যে প্রকাশ্যে দান করা গোপন দানের চাইতে উত্তম ।

👉৭) সর্বাবাস্থায় আল্লাহ সঙ্গে আছেন, এ অনুভূতি সর্বোত্তম ঈমানের আলামত ।

👉৮) বিনয়ী ব্যক্তি দুনিয়া ও আখেরাতে যা অকাঙ্খা করবে তাই পাবে ।

👉৯) যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠাবান, তার পক্ষে অনেক কিছুর প্রতি ঘৃণা পোষণ স্বাভাবিক ব্যাপার ।

👉১০) আল্লাহ ছাড়া আর কারো প্রতি ভরসা করো না এবং পাপ ছাড়া অন্য যে কোন কিছুর ভীত হয়ো না।

👉১১) পার্থিব জীবনের ভোগ-বিলাস অনন্ত জীবনের প্রাপ্য হ্রাস করে দেয় ।

👉১২) আশ্চর্যজনক সেই ব্যক্তির আচরণ যে আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করার পরও অন্যের উপর ভরসা করে।

👉১৩) আশ্চর্যজনক সেই ব্যক্তির আচরণ যে জান্নাত যথার্থ জানার পরও দুনিয়াতে আরাম আয়েশ অনুসন্ধান করে।

👉১৪) আশ্চর্যজনক সেই ব্যক্তির ক্রিয়াকর্ম যে শয়তানকে শত্রু জানার পরও তার অনুসরণ করে।

👉১৫) অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়ার ফল শ্রুতিতে অপরাধীকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলে ।

👉১৬) অতিরিক্ত বিনয় মুনাফেকীর আলামত ।

👉১৭) হে মানব সকল! আল্লাহ পাক তোমাদিগকে তাঁর আনুগত্যের জন্যই সৃষ্টি করেছিলেন, আর তোমরা কিনা অন্যের আনুগত্য করতে উৎসাহ বোধ কর ।

👉১৮) বিপদে যে ব্যক্তি নিজের চেষ্টা তদবীর এবং অন্যের সাহায্য-সহযোগিতা লাভে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর প্রতি রুজু হয় আল্লাহ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন।

👉১৯) আশ্চর্যান্বিত হতে হয় সেই ব্যক্তিকে দেখে যে মৃত্যুকে অবধারিত জানার পরও হাস্য-কৌতুকে সময় ক্ষেপণ করার মত দুঃসাহস দেখায় ।

👉২০) আশ্চর্যান্বিত হতে হয় ঐ ব্যক্তির প্রতি যে তকদীরকে যথার্থ বলে বিশ্বাস করার পরও কোন কিছু হাতছাড়া হয়ে গেলে শোকাভিভূত হয় ।

👉২১) আশ্চর্যজনক সেই ব্যক্তির আচরণ যে হাশরের হিসাব সত্য বলে জানার পরও ধন সম্পদ সঞ্চয় করে ।

👉২২) আশ্চর্যজনক সেই ব্যক্তির ক্রিয়া কর্ম, যে দোযখ যথার্থ জনার পরও পাপে লিপ্ত হয়।

👉২৩) মানুষ প্রতিদিন কতজনকে মৃত্যু বরণ করতে দেখে, তবুও সে মৃত্যুর কথা ভুলে যায়"

========================================================================
এক ব্যক্তি জঙ্গলে
হাটছিলেন............
হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু
নিয়েছে!
তিনি প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলেন! কিছুদূর গিয়ে একটি পানিহীন কুয়া দেখতে পেলেন।
তিনি চোখ বন্ধ করে ঝাঁপ দিলেন!
পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি
দেখে তা খপ করে ধরে ফেললেন।
এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন!
উপরে চেয়ে দেখলেন
কুয়ার মুখে একটি সিংহ তাকে
খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে!
নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক
সাপ তার নিচে নামার অপেক্ষায়
চেয়ে আছে!
বিপদের উপর আরো বিপদ!!
দেখতে পেলেন একটি সাদা আর
একটি কালো ইঁদুর তার ঝুলে থাকা দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে!
এমন হিমশিম অবস্থায় কি করবেন
যখন তিনি কিছুই বুঝে উঠতে
পারছিলেন না,
ঠিক তখনি
হঠাৎ তার সামনে কুয়ার সাথে
লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক
দেখতে পেলেন!
তিনি কি মনে করে সেই
মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল
ডুবিয়ে তা চেটে দেখলেন!
সেই মধুর মিষ্টতা এতই বেশি ছিল যে
তিনি কিছু মুহূর্তের জন্য উপরের
গর্জনরত সিংহ, নিচের হাঁ করে
থাকা সাপ, আর দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের
কথা ভুলেই গেলেন।
ফলে তার বিপদ অবিশ্যম্ভাবী হয়ে
দাঁড়ালো......।
ব্যখ্যায় বলা হয়.........
এই সিংহটি হচ্ছে আমাদের মৃত্যু, যে
সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে
বেড়াচ্ছে।
সেই সাপটি হচ্ছে কবর!
যা আমাদের অপেক্ষায় আছে!
দড়িটি হচ্ছে আমাদের জীবন,
যাকে আশ্রয় করেই বেঁচে থাকা!
সাদা ইঁদুর হল দিন, আর কালো
ইঁদুর হল
রাত, যারা প্রতিনিয়ত ধীরে
ধীরে আমাদে জীবনের আয়ু
কমিয়ে দিয়ে আমাদের মৃত্যুর
দিকে নিয়ে যাচ্ছে!
আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া!
যার
সামান্য মিষ্টতা পরখ করে দেখতে
গেলেও আমাদের এই চতুর্মুখি
ভয়ানক
বিপদের কথা ভুলে যাওয়াটা
বাধ্য...।
আল্লাহ আমাদের আখেরাতের
সামানা তৈরি করে যাওয়ার
তাওফিক দান করুন।
আমিন,
=====================================================
এক ভাই “যে সমস্ত গান শ্রবণ করা জায়েয” শিরোনামে নিম্নোক্ত হাদিস ২টি পেশ করেন। এই হাদিসের ব্যাখ্যা দয়া করে জানাবেন।

ঈদের গান শ্রবণ করা: এ হাদীসটি আয়েশা রা. হতে বর্ণিত:একদা রাসূল সা. তাঁর ঘরে প্রবেশ করেন। তখন তার ঘরে দুই বালিকা দফ বাজাচ্ছিল। অন্য রেওয়ায়েতে আছে গান করছিল। আবু বকর রা. তাদের ধমক দেন। তখন রাসূল সা. বললেন: তাদের গাইতে দাও। কারণ প্রত্যেক জাতিরই ঈদের দিন আছে। আর আমাদের ঈদ হল আজকের দিন। (বুখারী)

দফ বাজিয়ে বিয়ে প্রচারের জন্য গান গাওয়া আর তাতে মানুষদের উদ্ধুদ্ধ করা। দলিল: রাসূল সা. বলেছেন:হারাম ও হলালের মধ্যে পার্থক্য হল দফের বাজনা। এই শব্দে বুঝা যায় যে, সেখানে বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। (আহমাদ)

☀☀☀☀#উত্তর:☀☀☀☀

بسم الله الرحمن الرحمن

বুখারীতে বর্ণিত হাদীসে পরিস্কার বলা হয়েছে যারা বাজাচ্ছিল তারা নাবালেগ বালিকা ছিল। সেই সাথে আম্মাজান আয়শা রাঃ বলে দিয়েছেন, তারা কোন গায়িকা ছিল না। এমনিতেই বাজাচ্ছিল।

সুতরাং এটি দিয়ে কিভাবে বালেগ ব্যক্তিদের গান বাজনা ও দফের বাদ্যের অনুমোদন হতে পারে?

বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের অভিমত হল, উপরোক্ত বিধান হল পূর্বের। প্রথমত জাহেলী যুগের প্রথা হিসেবে দফ বাজানো হতো। এর অনুমোদনও প্রথম প্রথম দেয়া হয়েছিল। যেমন মদের অনুমোদন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সর্বপ্রকার বাদ্য বাজনা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এমন কি দফের বাজনাও।

নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা দফ নিষিদ্ধ হওয়া পরিস্কার প্রমাণিত হয়!

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: «الدُّفُّ حَرَامٌ، وَالْكُوبَةُ حَرَامٌ، وَالْمِزْمَارُ حَرَامٌ

হযরত আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দফ হারাম। বাদ্যযন্ত্র হারাম। মদের পেয়ালা হারাম। বাঁশী হারাম। [সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৩৩৫৯, সুনানে কুরবা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১০০০]

حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَيَّانَ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ أَبِي سِنَانٍ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُمْسَخُ قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِي فِي آخِرِ الزَّمَانِ قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ»، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، وَيَشْهَدُونَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَنَّكَ رَسُولُ اللهِ، وَيَصُومُونَ؟ قَالَ: «نَعَمْ»، قِيلَ: فَمَا بَالُهُمْ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: «يَتَّخِذُونَ الْمَعَازِفَ وَالْقَيْنَاتِ وَالدُّفُوفَ، وَيَشْرَبُونَ الْأَشْرِبَةَ، فَبَاتُوا عَلَى شُرْبِهِمْ وَلَهْوِهِمْ، فَأَصْبَحُوا قَدْ مُسِخُوا قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, শেষ জমানায় আমার উম্মত বানর ও শুকরে রূপান্তরিত হবে। জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! তারা সাক্ষি দিবে যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোন মাবুদ নাই এবং আপনি আল্লাহর রাসূল এবং রোযা রাখার পরও?

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাব দিলেন, হ্যাঁ।

বলা হল, তাদের অপরাধ কি?

বললেন, তারা বাদ্য, গায়িকা এবং দফের বাজনা গ্রহণ করবে। মদ খাবে, রাতে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে ঘুমাবে। আর সকালে দেখবে তারা বানর ও শুকরে পরিণত হয়ে গেছে। [হিলয়াতুল আওলিয়া-৩/১১৯]

এসব বর্ণনা প্রমাণ করে দফ বাজানো সম্পূর্ণ হারাম। বাচ্চাদের দফ বাজানো সম্পর্কিত বর্ণনা পেশ করে এ হারাম বিষয় হালাল করার চেষ্টা করা ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।

===========================================================
এক মাওলানা মুফতির ইসলাম ত্যাগ প্রসঙ্গে তাঁকে উদ্দেশ্য করে লেখা এই লাইন গুলি...

ভিডিওটি শুনলাম। অবাক হলেও অবাস্তব কিছুই নাই এখানে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, অগনিত লোক রাসুলের মুখ থেকে ইসলাম শুনে বুঝে গ্রহন করার পরও মুর্তাদ হয়েছে। যারা রাসুল কে দেখেনি, রাসুলের মুখে শুনেনি তাদের বেলায় ত অতি স্বাভাবিক। হাফেজ, আলেম, মুফতি সার্টিফিকেট থাকলে কি হবে!
১) দাবী করেছেন, কোরআন হাদিস বুঝেন। কিন্তু কতটা বুঝেন তার স্তর নিরুপনে দুঃখ জনক ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। উনার উপরে যে লক্ষ্য লক্ষ্য বুঝ আছে তা তিনি দিব্বি ভুলে গেছেন। সার্টিফিকেট উনাকে ধোকা দিয়েছে। দুনিয়ার সকল ইসলামি জ্ঞানের সাগর দেরকে দিব্যি বাইপাস করেছেন। সকল মুসলমানকেও তিনি বোকা বানিয়ে নিজে চালাকের খাতায় নাম তুলে দিয়েছেন! একবারও ভাবেন নাই উনি কি করেছেন! মুক্ত চিন্তার ধারক হওয়াতেই এমন হয়েছে।।
২) আসলে মানুষ কেউ মুক্ত নয়। কোন না কোন আইনের বিধান তাঁকে মেনে চলতেই হয়। একজন নাস্তিকও তার দেশের আইন শৃঙ্খলা মেনে চলতে বাধ্য হয়। তবে শুধু তার সৃষ্টি কর্তার আইন মানতেই তার আপত্তি!
৩) বললেন, জেনে বুঝেই ইসলাম ছেড়েছেন।। তাহলে দুনিয়ার ২ বিলিয়ন মুসমান কি না জেনে না বুঝেই মুসলমান হয়েছে? লাখ লাখ ইসলামি জ্ঞানের সাগর যারা তারাও কি নাবুঝেই ইসলাম নিয়ে আছেন?
৪) রাসুলের সাহাবিগন কাফেরদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু কোথায় কি কারনে কেন হত্যা করেছে তা বুঝেছেন বলে মনে হয়নি। তারা যদি হত্যা কারীই হতেন তাহলে ক্ষমতা হাতে পেয়ে কেন মানুষ ধরে ধরে হত্যা করেন নাই? কেন মক্কা বিজয়ের পরই সকলকে ছেড়ে দিয়েছিলেন?
৫) সাফিয়াকে নবীজি নিজের বাঁদি করে নিলেন। এতে আপনার বিবেকে বাঁধল। কিন্তু সেটা যে ছিল জুদ্ধের ময়দান তাকি আপনি ভুলে গেলেন? আত আপত্তি কি সেখানেও করেন যারা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে মহিলা সৈন্য কেও আটক করে নেয়? আপনার বিবেকে কি সবখানেই বাঁধে নাকি শুধু ইসলামের বেলায় বাঁধে?
৬) তিনি কারো চক্রান্তে ইসলাম ছারেন নাই- হয়ত মেনেই নিলাম। তবে মুক্ত চিন্তার কাছে পরাজিত হয়েই যে ইসলাম ছেড়েছেন তাতে সন্দেহ নাই। মনে রাখবেন, ইসলাম মানেই মুক্ত চিন্তার লাগামহীন ঘোড়ার গলায় লাগাম দেওয়া। যে পারে সেই মুসলিম, যে পারেনা সে মুসলিম হতে পারেনা।
৭) আপনি বুঝেন নাই যে, ইসলাম গ্রহনের বেলায় আপনি স্বাধীন। কিন্তু গ্রহন করে ত্যাগ করার বেলায় অতটা স্বাধীন নন। ইসলাম নিয়ে ইচ্ছা মত খেলা করতে ইসলাম দেয়না।।
৮) বললেন, মৌলবাদিরা দেশকে ইসলামি দেশ বানাতে চাইছে। তারা মানুষকে হত্যা করে। হুমকি দেয়।। আসলে বুঝেন নাই যে, মানুষের দোষের কারনে ইসলাম কে দূষি করা যায়না। তারা কেউ নবী নয়। তাদের ভুল হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৯) তিনি সেকুলার বাংলাদেশ চান।। আপনি যা খুশী তা চাইতে পারলে অন্যেরা কেন ইসলামি বাংলাদেশ চাইতে পারবে না? এটা কি কোন নিরপেক্ষা কথা হোল?
১০) বললেন, ধর্ম ব্যক্তি গত বিষয়। ধর্মের কারনে রাষ্ট্রের ক্ষতি হতে পারেনা। তবে ভুলে গেছেন যে ধর্ম ব্যক্তিগত হলেও তা সমাজ ও রাষ্ট্রের বিষয়ও বটে।
১১) বললেন, ইসলাম বলে কাফেরদের জন্য দোয়া করা যাবেনা।। আমরা জানি, যারা আলাহর কথা মানেনা তাদের প্রতি তিনি খুশী থাকতে পারেন না। যার উপর তিনি খুশী না, তার জন্যে একজন আল্লাহর বান্দা দোয়া করে কিভাবে?
১২) দাবী করেছেন, কোরআন বুঝে পড়েছেন। দাবী করেছেন, জেনে বুঝেই ইসলাম ছেড়েছেন।। আসলে প্রকৃত ভাবে বুঝলে এমন অবস্থা হতনা তা বুঝতে পারেন নাই।
১৩) বললেন, বুখারীর হাদিসে আছে, উরাইনার লোকদেরকে পেশাব পান করতে বলেছেন নবী নিজে। তারা উট চুরি করত বলে তাদের হাত পা কেটে দিলেন, চোখ তুলে দিলেন। তাদেরকে পানীও দেওয়া হয়নাই। উনার বিবেকে এটা খুব লেগেছে। কিন্তু তারা যখন শত্রু পক্ষে দাঁড়িয়ে সাহাবিদেরকে জবাই করেছে, তাদের উট চুরী করেছে, যা করার সুজোগ পেয়েছে তাই করেছে, তা জেনে আপনার মোটেও লাগেনি? ঐ ঘটনার পরে কত ভাল ব্যবহার যে মুসলমানরা করলো, আল্লাহ করতে বলল তা একবারো মনে করলেন না কেন?
১৪) ব্লগারদেরকে হত্যা করা হলে মনে হয়েছে এটা ইসলামের কাজ হতে পারেনা।। মনে রাখা ভাল যে, ইসলাম আইন হাতে তুলে নিতে কাউকে অনুমতি দেয়না। কাউকে বিচার বহির্ভুত হত্যা করতেও অনুমতি দেয়না। ব্যক্তির ভুল ইসলাম বহন করেনা।
১৫) সুরা তাওবা/২৮-২৯ এর হাওলায় যা বলেছেন তা বুঝে বলেন নাই। আসলে জিজিয়ার আয়াত একটি শৈথিল্য প্রদর্শন কারী আয়াত। এতে কাঠিন্য নেই। কেননা যারা আল্লাহ, রাসুল, ও মুসলমানের প্রকাশ্যে শত্রু, যারা শত্রুতা করে ঘরে বসেই থাকে নাই, ময়দানে গিয়ে হাতিয়ার হাতে নিয়ে লড়াই করেছে, মুসলমানদেরকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে, তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে এবং ময়দানে অস্র হাতে যুদ্ধ করেছে শুধু তাদের বিপক্ষেই ইসলাম যুদ্ধ করতে বলেছে। একথা সুরা বাকারাহ ও সুরা মুমতাহানায় পরিস্কার করে বলা হয়েছে। সকল যুদ্ধের আয়াত ঐ জাতীয় কাফেরদের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট। আর তাদের উপরই বিজয়ের জিজিয়া নামক শেষ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কোন প্রকার অমুস্লিমের বিরুদ্ধে না যুদ্ধ করতে বলেছে, না জিজিয়া দিতে। এত কিছু করেও যদি শুধু জিজিয়া দিয়ে মুক্তি মেলে তা কে না গ্রহন করবে? বিনা সন্দেহে তা ইসলামের মহানুভবতারই পরিচয় বহন করে। অথচ এসব আল্লাহর কথা হতে পারেনা বলে আপনার সন্দেহ হয়েছে!
১৬) মুশ্রিকদেরকে নাপাক বলায় আপনার কাছে আপত্তিকর লেগেছে।। কে জানেনা যে তারা ইসলামের পবিত্রতার নিয়ম মেনে চলেনা? এটি শারেরীক। অন্যটি হোল মানবিক। কেননা প্রমানিত হয়েছে যে, তারা সর্বদাই শত্রুতা মুলক মনভাব পোষণ করে। সুজোগ পেলেই ক্ষতি করার চেষ্টা করে। আর এজন্যেই কোরআন বলে দিয়েছে এমন পবিত্র স্থানে তাদেরকে আসতে না দিতে। এতে আপনার এতই দুঃখবোধ যৌক্তিক হয়নি।
১৭) বললেন, আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন কিন্তু আল্লাহ শয়তান থেকে আস্রয় দেয়নি। বরং শেষটায় মুরতাদ হয়ে গেছেন।। এমন কথার মুল্য খুঁজে পাওয়া জায়না। কারন, ইসলামে থাকা না থাকা কারো নিজের সিদ্ধান্ত। এখানে আল্লাহ তাঁর করনীয় কিছু রাখেন নাই। দোয়া করলেই যে তিনি তা গ্রহন করবেন এমন হতে পারেনা। তাহলে ত সব কিছু চেয়েই পেত মানুষ, কাজ করার দরকারই হত না। এর মানে শয়তান বেশী ক্ষমতাবান, এমনটি ভাবা শিশু সুলভ উক্তি মাত্র!
১৮) বাংলা কোরআন পুরা পড়লে আমরা বুঝবো আসলেই কোরআন আল্লাহর কেতাব কিনা?? কোরআন আল্লাহর বানী তা কোটি কোটি আলেম, ফকীহ, মুফতি, ইমানদার, এমনকি অমুসলিমরাও স্বীকার করেছে। দুঃখ জনক এই যে, আপনি তাদের মধ্যকার একজন হয়েও বের হয়ে গেলেন।
১৯) বলতে চাইলেন, শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল হলে আল্লাহর শক্তি গেল কোথায়? আসলে এটি গ্রহন করার মত প্রশ্ন নয়। কারন, আল্লাহ চাইলে সকল শক্তির উপরেই বিজয়ী থাকেন। কিন্তু তিনি স্বাধীনতা দিয়েছেন বলেই তা করেন না। আর তা করার কোন ঠেকা তাঁর হয়নাই। একজন লোক ও মুস্লমান না হলে তাঁর কোনই ক্ষতি হবেনা। ঠেকাই যদি হত তাহলে আপনি মুক্ত চিন্তার এমন দুঃসাহস দেখাতে পারতেন না।।
==================================================
"আমি কেন ইশ্বরে বিশ্বাস করি না"

---প্রবীর ঘোষ

৩২. প্রবীর ঘোষ লিখেছেন,"ইসলামে বেহেশত শুরিখানা আর বেশ্যাপল্লী ছাড়া কিছুই নয়। এখানে যৌন সুখ ও ইন্দ্রিয় সুখ ভোগ করার অধিকারী পুরুষ।"(উক্ত বইয়ের ৮৯ পৃষ্ঠা)

~জান্নাতী হুরদেরকে বেশ্যাপল্লীর সাথে তুলনা করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কেননা, তাদেরকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেওয়া হবে। এ মর্মে আল্লাহ তালা বলেন,"আমি তাদেরকে হুরদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেবো।"(সুরা তুর, আয়াত-২০)

যৌন সুখের অধিকারী শুধু পুরুষের নয়, নারীরও রয়েছে।
নারীরা জান্নাতে হুরদের সর্দারনী হবে এবং যখন ইচ্ছা তারা তাদের স্বামীর সাথে মিলিত হতে পারবে।
এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়,'পুরুষের জন্য একাধিক স্ত্রী আর নারীর জন্য একজনই, কেন?'

আমাদের কাছে হয়তো মনে হচ্ছে এটা পক্ষপাত মূলক। কিন্তু না, এই বিধানটা নারী-পুরুষ উভয়ের কাংখিত চাহিদা অনুযায়ীই করা হয়েছে। কেননা, পুরুষ বহুগামী প্রবণ, নারী নয়। জান্নাতে গেলেই আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারবো।

সবচেয়ে আশ্চার্য্যের বিষয় হলো-- সেদিন কারো কোনো অভিযোগ থাকবে না, সবাই সন্তুষ্ট থাকবে।

এ মর্মে আল্লাহ তালা বলেন,"আল্লাহ বলবেন, এই সেই দিন সত্যবাদীরা তাদের সততার জন্য পুরষ্কৃত হবে। তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার নিচে নদী প্রবাহিত। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে, তারাও তাতে সন্তুষ্ট থাকবে। এটই মহা সাফল্য।"(সুরা মায়েদাহ, আয়াত-১১৯)

★জান্নাতে হুরদের দোহাই দিয়ে, পতিতালয়ের বৈধতা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
==================================================================================
এখনো কি নাস্তিক রা দাবি করবে নাস্তিকবাদ মানবিক???

সামান্য লজ্জা থাকলে করবে না -

Encyclopedia of Wars নামের তিন খণ্ডের এক বিশাল বইয়ে ১৭৬৩টি যুদ্ধের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এর মধ্যে ১২৩টি যুদ্ধকে ধর্ম সম্পর্কিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার অর্থ এই পর্যন্ত যত যুদ্ধ হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ৬.৯৮% যুদ্ধ ধর্ম সম্পর্কিত। ৯৩% যুদ্ধের সাথে ধর্মের কোনোই সম্পর্ক নেই।

R. J. Rummel এর বিখ্যাত Lethal Politics এবং Death by Government বইয়ে দেখানো হয়েছে, নাস্তিকদের কারণে হত্যার পরিমাণ কতখানি—

Non-Religious Dictator Lives Lost
Joseph Stalin 42,672,000
Mao Zedong 37,828,000
Adolf Hitler 20,946,000
Chiang Kai-shek 10,214,000
Vladimir Lenin 4,017,000
Hideki Tojo 3,990,000
Pol Pot 2,397,000
রামেল বলেন—

প্রায় ১৭০ মিলিয়ন পুরুষ, মহিলা এবং শিশুকে গুলি করে, পিটিয়ে, নির্যাতন করে, কুপিয়ে, পুড়িয়ে, অভুক্ত রেখে, বরফে জমিয়ে, পিষে বা জোর করে কাজ করিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। জীবন্ত পুঁতে, পানিতে ডুবিয়ে, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, বোমা মেরে, বা অন্য আরও নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে সরকারগুলো নিরস্ত্র, অসহায় দেশবাসী এবং বিদেশীদের হত্যা করেছে। মোট মৃতের সংখ্যা ৩০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। মানব জাতি যেন এক কালো মহামারির শিকার। কিন্তু এই মহামারি কোনো জীবাণু থেকে মহামারি নয়, বরং শক্তির মোহ থেকে সৃষ্ট মহামারি।
দুঃখজনকভাবে আজকে আধুনিক যুগের মানুষরা মিডিয়ার গণমগজ ধোলাইয়ের শিকার। মিডিয়া বেশিরভাগ মানুষকে সফলভাবে বোঝাতে পেরেছে যে, যত মারামারি, খুনাখুনি, হত্যা হয়, তার বেশিরভাগ হয় ধর্মের কারণে। ধর্ম না থাকলে মানুষ অনেক শান্তিতে বাস করতে পারত। মিডিয়ার নানা ধরনের মগজ ধোলাইয়ের শিকার হয়ে মানুষ এতটাই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে গেছে যে, তারা জানে মিডিয়া যা বলে তার বেশিরভাগই উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বিকৃত, কিন্তু তারপরেও তারা মিডিয়াকেই বিশ্বাস করে, যখন তা ধর্মের ব্যপারে কিছু বলে।

নাস্তিক দের মত জঘন্য আর কেও নাই।



No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.