আমি কেন নাস্তিকধর্ম বিশ্বাস করি না ? part 5

আমি কেন নাস্তিকধর্ম বিশ্বাস করি নাঃ

¤75বছর বয়সী এক ফরাসী পাদ্রীর ইসলাম গ্রহণ¤

হযরত মাওলানা তারিক জামীল সাহেব তার এক বয়ানে বলেন, 1978 সালে পাকিস্তানে এক ফরাসী পাদ্রী এসেছিল, তার নাম ছিল আব্দুল মজীদ। তিউনিসিয়ার একটি জামাআতকে দেখে তিনি মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন। রায়ব্যান্ডে যখন এল তখন তার বয়স ছিল 75 থেকে 80 বছরের মাঝামাঝি। তিনি বলেন, ত্রিশ বছর ধরে আমি কুরআন পড়ে আসছিলাম। কিন্তু কুরআনের মত জীবন যাপনকারী কাউকে পাচ্ছিলাম না। কুরআন সত্য অনেক আগে বুঝেছিলাম কিন্তু সেরকম মুসলমান দেখতাম না। অবশেষে তিউনিসিয়ার এই জামাতের মধ্যে সেই নমুনা দেখতে পেলাম। তাদের শরীর থেকে এক রকমের খোশবু আসছিল। তাদের দেখে আমি খুবই প্রভাবিত হলাম। অতঃপর তাদেরকে আমি গির্জায় নিয়ে গিয়ে নিজে মুসলমান হয়ে গেলাম।
তারপর তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে দুটি বিষয়ে অসিয়্যত করছি। একটা হল তোমরা যেখানেই থাক না কেন, নিজেদের ইউনি ফর্ম দাড়ি টুপি পাগড়ি পায়জামা পান্জাবি কখনও ত্যাগ করবে না। এর মধ্যে এক অজানা শক্তি আছে। আর দ্বিতীয় হল যখন ইউরোপে সফর করবে তখন আযান দিয়ে জামাতের সহিত নামাজ আদায় করবে। এটা কাফিরদের বুকে খন্জরের মত বিদ্ধ হয়। এই ছিল উক্ত পাদ্রীর 75 বছরের অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ।
আজ ইউরোপ আমেরিকায় কুরআনের সাড়া পড়ে গেছে । দলে দলে ইসলামের সুশিতল ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে । কিন্তু আজ মুসলমানদের বাংলার জমিনে তার উল্টা। রাস্তা ঘাটে যাকে তাকে সালাম দিতে ভয় লাগে। এর মধ্যেও কিছু আল্লাহর বান্দা থেমে নেই, কেউ তাবলীগের বেশ কেউবা চরমোনাইর বেশে কেউবা হক্কানি ওলামায়ে কেরাম পীর মুরিদির বেশেে। সারা বিশ্বে তাবলীগের মেহেনত জারি আছে। এই কঠিন মুহুর্তে নিজের ঈমান আমল ঠিক করতে আল্লাহর এই বান্দাদের সাথি হয়ে যান।
=====================================
বিমানবালার ইসলাম গ্রহণ
হযরত মাওলানা উমর পালনপুরী
(ছাল্লাজা বাররাদাহু) তার এক বয়ানে
বলেছিলেন- একদা আমরা বৈরুত
হতে ইস্তাম্বুল গমনের জন্য
বিমানে আরোহন করলাম।
মার্কিন কোম্পানীর বিমান ছিলো সেটি। যাত্রী
সংখ্যা ছিলো প্রায় চারশত।
আমাদের জামাতে বড়মাপের একজন
অফিসারও ছিলো। বিমানবালা আগমন
করলে তিনি তাকে একগ্লাস পানি
দিতে বললেন। সে পানি নিয়ে এলে
তিনি সরাসরি তার হাত হতে না
নিয়ে ট্রেতে রাখতে বললেন।
পরে একসময় সেই বিমানবালা
অফিসারের কাছে জানতে চাইলো- স্যার
কি আমার প্রতি নারাজ? আমার হাত
থেকে কিছু নিচ্ছেন না !
তিনি বললেন, আমি মুসলমান।
মুসলমান বেগানা নারীর হাত
থেকে কিছু নেয় না, তার দিকে
চোখ তুলেও তাকায় না। সে তো
শুধুমাত্র নিজের স্ত্রীর জন্য
রিজার্ভ থাকে।
অফিসারের কথা শুনে বিমানবালা হতবাক হয়ে
গেলো।
সে যখন আরো জানলো-
মুসলমান বিবি তার স্বামীর
খেদমত করে, তারজন্য
রান্নাবান্না করে এবং স্বামী
আয় রোজগার করে বিবিকে দেয়।
তখন সে বলে উঠলো, এটাতো
একেবারে বাদশাহী জীবন যাপন।
এরপর সে জানতে চাইলো- আপনার
জানামতে এরকম মুসলমানের
সংখ্যা কতো?
তিনি বললেন, কোটি কোটি। পাকিস্তানে রয়েছে,
বাংলাদেশে রয়েছে এবং
অন্যান্য দেশেও রয়েছে।
বিমানবালা বললো, এরকম
পবিত্র জীবন-যাপনকারী কোটি
কোটি মুসলমান প্রিথীবিতে
রয়েছে?
এটি যদি ইসলাম হয়ে
থাকে তাহলে আমিও ইসলাম
গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত . . . . . . . .
বন্ধুরা ! আশা করি অনুমেয়
হতে বাকি নাই যে, ইসলামের হাজার
বিষয়ের একটা বিষয়ের কারনে
একজন বিধর্মী কতো দ্রুত
ইসলাম গ্রহণ করে জাহান্নাম
থেকে বেচে গেলো। তারপরও কি
আমরা তাবলীগের এই নবী ওয়ালা
মেহনতের বিরুধীতা করবো?
Playstore Link:
https://play.google.com/store/apps/details…

=======================
#ব্রিটেনে_নও_মুসলিমদের_সংখ্যা_বাড়ছে : ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম

IIFSO : খৃষ্টান ধর্মের পরই ইসলাম ধর্ম ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দেশের ৩৭ লাখ মুসলমানের শতকরা ৪০ ভাগেরই বাস লন্ডনে। এক ব্রিটিশ জরীপ অনুসারে ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে মুসলিম জনসংখ্যা ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ বৃদ্ধি ও যুক্তরাজ্যে ইসলামকে সবচেয়ে বেশী বৃদ্ধিশীল ধর্মে পরিণত করেছে।
মসজিদ থেকে সংগৃহীত উপাত্ত থেকে বুঝা যায়, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী নও-মুসিলমদের সংখ্যা ১ লাখেরও বেশী। ২০১২ সালে ৫ হাজার ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর এক তৃতীয়াংশ মহিলা।
সম্প্রতি ‘মেইক মি এ মুসলিম’ অর্থাৎ ‘আমাকে মুসলমান করো’ নামে একটি ডকুমেন্টারি সম্প্রচারিত হয়েছে বিবিসি ওয়ার্ল্ডে। এর শুরু হয়েছে ব্রিটিশ শ্বেতাঙ্গিনী নও মুসলিমদের বক্তব্য দিয়ে। তাদের প্রশ্ন করা হয়, কেনো তারা তাদের উদার, স্বাধীন জীবন যাপন পদ্ধতির সমাজের সকল স্বাধীনতা ত্যাগ করেছেন। ব্রিটিশ মহিলাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মুসলিম বন্ধু বা স্বামীকে কিংবা মুসলিম শ্বশুর শাশুড়ী ননদ জা’দের সন্তুষ্ট করতে অথবা একটি ধর্ম বিশ্বাসে সন্তানদের গড়ে তুলতে তাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে দেখা গেছে। তবে ইসলাম ধমেৃর প্রতি তাদের আকৃষ্ট হওয়ার সবচেয়ে বড়ো কারণ হচ্ছে, ইসলাম নারীদের নিজেদের মানসিক ও দৈহিক দিক দিয়ে মর্যাদাশীল ও মূল্যবান ভাবার অনুভূতি দিয়েছে। বিশেষভাবে যেখানে একটি বড়ো মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে সেখানে অনুভূতি স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়। এছাড়া ইসলাম তাদেরকে জীবন যাপনের একটি ছক বা কাঠামো প্রদান করে, প্রদান করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অনুভূতি। ইসলাম সম্পর্কে পাশ্চাত্যের পরিবারগুলোতে ভুল ধারণা থাকায় অধিকাংশ নও মুসলিমদের তাদের পরিবারকে তাদের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অমুসলিম পরিবারের ধারণা ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মহিলাদের নিপীড়ন করে।
এছাড়া দেখা গেছে, অধিকাংশ নও মুসলিম মহিলা অন্যান্য মুসলিম মহিলাদের চেয়ে বেশী রক্ষণশীল হয়ে থাকে। অনেকে বেশী উৎসাহের কারণে, আবার অনেকে তারা যথেষ্ট মুসলিম আবার আচরণ করছে কি-না এমন সংশয় থেকেই এমন রক্ষণশীল হয়ে উঠে।
নও-মুসলিম হওয়ায় মহিলাদের বেশ চ্যালেঞ্জেরও মোকাবেলা করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে বয় ফ্রেন্ডরা তাদের ছেড়ে যায়, কারণ তারা আগের মতো তাদের সাথে মিশতে পারে না, অবাধ যৌন আচরণ করতে পারে না।
অনেক সময় নও মুসলিম মেযেদের পিতামাতাকে বন্ধুরা জিজ্ঞেস করে ‘তোমার মেয়েটা এখনো মাথায় ঐ জিনিসটা পরে?’ অনেক ক্ষেত্রে মুসলিম পরিবারের পিতামাতা চান না তাদের ছেলে কোন নও মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করুক। এ অবস্থায় ফ্রি মিক্সিংয়ের সুযোগ না থাকায় সঙ্গী জোগাড় করতে পারে না, আবার পারিবারিক ভাবে অ্যারেনজড্ ম্যারেজ বা প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ের সুযোগ না থাকায় তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। এতো চ্যালেঞ্জ সত্বেও ব্রিটিশ সমাজে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে ভাটা পড়েনি। বরং সব প্রতিকুলতা অতিক্রম করে নও-মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিছুকাল অাগে #ব্রিটিশ_প্রধানমন্ত্রী_টনি_ব্লেয়ারের__শ্যালিকা___লোরেন__বুথ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে শুধু ব্রিটেন বা ইউরোপের নয় গোটা বিশ্বের বিশ্বাস জগতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
লোরেন বুথ বলেন, ‘আমার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টি আকস্মিক কিছু নয়। এটা ধীর প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়েছে। ভোগবাদ, বস্তুবাদ, মাদক এবং যৌনতা সুখ দেয় বটে, তবে মুসলমানরা প্রকৃত প্রার্থনার মাধ্যমে যা পায় তা হচ্ছে মধুর ঐক্যের ঝলকানি এবং আনন্দের কম্পন। আমার যা আছে তাতে আমি কৃতজ্ঞ এবং নিশ্চিতভাবেই প্রার্থনার প্রশান্তি ও নিরাপত্তার চেয়ে বেশী কিছু আমার প্রয়োজন নেই।’
===========================
সিরাজগঞ্জে একই পরিবারের ৭ জনের ইসলাম গ্রহণ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হিন্দু (সনাতন) ধর্ম ত্যাগ করে একই পরিবারের সাত সদস্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
শুক্রবার পৌর এলাকার চালা সাত রাস্তা জামে মসজিদে জুমার নামাজের আগে পেশ ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলামের কাছে তারা ইসলাম গ্রহণ করেন।
এসময় কালেমা (আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) পরে স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন আনন্দ দাস।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর আনন্দ দাসের নামা রাখা হয়েছে আনোয়ার ইসলাম। তিনি চালা গ্রামের গৌর দাসের ছেলে।
এসময় বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম ইউসুফজী খাঁন, সমাজসেবক মহের প্রামানিক ও লোকমান হোসেনসহ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
সদ্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী আনোয়ার ইসলাম বলেন, 'ইসলাম ধর্ম আমার কাছে আগে থেকেই ভালো লাগতো। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জুমার নামাজ আদায় করলাম। পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পেরে এখন আমি নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি।'
তিনি আরও বলেন, 'শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করে মনে হচ্ছে- আমি পুনঃজন্ম গ্রহণ করেছি। সঠিকভাবে যেন ইসলাম ধর্মের সকল নিয়ম-কানুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেনে চলতে পারি এজন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। আল্লাহ যেন আমাদের কবুল করেন।



সিরাজগঞ্জে একই পরিবারের ৭ জনের ইসলাম গ্রহণ | সারা দেশ | Jugantor
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হিন্দু (সনাতন) ধর্ম ত্যাগ করে একই পরিবারের সাত সদস্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার পৌর এলাকার চালা সাত রাস্তা জামে মসজিদে জুমার নামাজের আগে পেশ ইমাম…
JUGANTOR.COM

===================================
১ চিল্লার মেহনতে ১৮০০ বিধর্মীর ইসলাম গ্রহণ !!!

মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের এক বয়ানে বলেনঃ-
.
আমেরিকার শিকাগো শহরের টেক্সি চালকদের একটি জামাত ৪০ দিনের জন্য ব্রাজিল গিয়েছিলো। এক চিল্লার মেহনতে তাদের হাতে ১৮০০ ব্রাজিলীয় মুসলমান হয়েছে। আঠার শত(১৮০০)
.
সদস্যের একটা গোত্রের সবাই ইসলাম গ্রহণ করেছে। প্রথমে গোত্র-প্রধানকে দাওয়াত দেয়া
হয়েছিলো। সে ইসলাম গ্রহণ করে গোত্রের সবাইকে সমবেত করে দাওয়াত দিলে তারাও ইসলাম গ্রহণ করে।
.
ভাইয়েরা আমার ! এটা হলো সামান্য একটু মেহনতের ফলাফল। আর যখন সকল মুসলমান এই দাওয়াতের মেহনতকে আপন যিম্মাদারী মনে করে এতে ঝাপিয়ে পড়বে তখন অবস্তা কী দাড়াবে একটু ভেবে দেখুন। সমগ্র পৃথিবীতে অতিদ্রুত ইসলামের প্রসার ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
.
সমগ্র দুনিয়ার মানুষ এখন ইসলামের জন্য উদগ্রীব। দুনিয়ার প্রত্যেক প্রান্তে তাবলীগ জামাতের অপেক্ষা করা হচ্ছে, তাদেরকে কোথাও পেলে লোকেরা তাদের খেদমত করার জন্য ছুটে আসে। কে কার আগে খেদমত করবে তার জন্য রীতিমত প্রতিযোগিতা চলে।
.
আল্লাহ আমাদের জান-মালকে এই মেহনতে কবুল করুন। আমিন।।
=========================================
অমুসলিম নারীরা'ই সব চেয়ে বেশি ইসলাম গ্রহন করছেন!!!!
'---------------------------------------------------------
ইসলাম বিদ্বেষীদের খুবই কমন' একটি বাক্য হলো.. ইসলাম নাকি মহিলাদের, 'অপমানিত-অপদস্থ' করেছে।
কিন্ত বড় আশ্চর্যের বিষয়- ইসলামকে নারী বিরোধী ধর্ম ' বলে বছরের পর -বছর, বিভিন্ন গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর পরেও, স্বারা বিশ্বে নারীরাই' বেশী করে ইসলাম গ্রহন করছেন। (আলহামদুলিল্লাহ)

★ ফেইথ মেটারস ‘ সংস্থার পক্ষ হতে- সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়" কিছুদিন আগে গবেষণা করে প্রকাশ করেছে' যে.. গত দশ বছরে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তাদের তিন ভাগের- দুই ভাগই' হচ্ছেন নারী।

★তাদেরই মধ্যে একজন হলেন-
#এনজেলা কলিন্স"
এনজেলা "ক্যালিফোর্ণিয়া আমেরিকার" বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি ১৯৯৭ সাল থেকেই ইসলাম নিয়ে কৌতুহলে ছিলেন। ঘটনাক্রমে একবার তিনি তুরস্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তখন সেখানে 'আজান' শুনে তার খুব ভাল লেগে যায় তখন ইসলামের দিকে তিনি আরো কৌতুহলি হয়ে পরেন।

তারপর ৯/১১ এর ঘটনা তার জীবনের মোড় পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেয়। ৯/১১ এর ঘটনার উপর ভিত্তি করে- তিনি খোলা মনে...
ইসলাম নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা শুরু করে দেন।
তখন বুঝতে পারলেন সন্ত্রাসের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। এবং তিনি অবশেষে ইসলাম গ্রহন করলেন। আলহামদুলিল্লাহ"

★তিনি বলেন- বিশেষ করে সুরা আর-রাহমান" পড়ে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, এটি সত্যিই স্রষ্টার কাছ থেকে মানবজাতীর জন্য সংবিধান হিসেবে এসেছে।
সাদা চামরার এই আধুনীকা তরুনী 'এনজেলা' আমেরিকার আর দশটা' মার্কিনীদের মতই খোলামেলা পোশাকে অভ্যস্থ ছিলেন।
কিন্তু ইসলাম কবুলের পর তিনি হিজাব ছাড়া বাইরে যান না।
শুধু তাই নয়, স্কুলে বাচ্চাদের ইসলাম -বিষয়ে পড়ান তিনি। '
ফক্স' টিভিতে.. "এনজেলার" সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়েছিল।

★অত্বঃপর 'এনজেলা' একটি ইসলামিক টিভি চ্যানেলে নও' মুসলিমদের" সাক্ষাতকার প্রচার করতেন।
অনুষ্ঠানটির নাম Sun is rising in the West"( পশ্চিমে সূর্য উঠেছে)

তিনি এক অনুষ্ঠানে শিকাগোর 'জনাব সালিকের' সাক্ষাতকার নেন.. যিনি আগে সন্ত্রাসী মাফিয়া দলের এক নেতা ছিলেন।
মদের' বার চালাতেন ও কাধে বন্দুক' নিয়ে ঘুরতেন।
আজ তিনি মদের বারকে ইসলামিক সেন্টার বানিয়েছেন! ক্যামেরার.. সামনে দেখা গেল 'সালিকের' কাধে বন্দুক নয় বরং ওযু করার জন্য.. তোয়ালে রাখা।

★এভাবেই স্বারা বিশ্বে লাখ লাখ অমুসলিম' ইসলামের সু-শিতল, ছায়ায় জায়গা নিচ্ছেন।
যতই ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
ততোই দিন দিন ইসলাম গ্রহনের সংখ্যা আশ্চর্যজনক ভাবে বেরে চলেছে। আলহামদুলিল্লাহ"
ইসলাম নারীকে সম্নান দিয়েছে অপদস্থ করেনি।

"বল সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, অবশ্যই মিথ্যা বিলুপ্ত হবার'ই ছিল"।
- আল কুরআন।

http://www.turntoislam.com/forum/showthread.php?t=1947

http://www.google.com.bd/url…
===========================================
অস্ট্রেলিয় নারীর ক্যাথলিক খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হওয়ার ইতিকথা ঘটনাটা সম্ভবত ২০১৬ সালের।



ইসলাম সেই আবির্ভাবের সূচনা থেকেই
যে
ব্যাপারে আকর্ষণীয় ছিল তা হলো
চমৎকার সব
নৈতিক শিক্ষা, আধ্যাত্মিক এবং আত্মগঠন
সংক্রান্ত মৌলিক
শিক্ষা। আর এসব আকর্ষণীয় শিক্ষার মূল
প্রোথিত
রয়েছে পবিত্র আল-কোরআনে। আল
কোরআনের উচ্চতর চিন্তাধারা এবং
উন্নত ও
শক্তিমান জ্ঞানের প্রবাহ মানুষকে
নিয়ে যায়
জীবন উৎকর্ষের রাজপথে। কোরআন এ
পথে যেতে মানুষকে যথার্থ দিক-
নির্দেশনা
দেয়। ইসলাম মানুষকে দেয় স্বাধীনতা ও
চিন্তার
ভারসাম্য, সেইসাথে দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধ্ব
থেকে
উর্ধ্বতর দিগন্তে পাখা মেলা এবং সত্য
আবিষ্কারের
অবাধ অধিকার। এই অধিকার চর্চা করেই
ইসলামের
সুশীতল ছায়াতলে এসেছেন এইবাত
বালদাচিনা
নামের এক রমনী। তাঁর মুসলমান হবার
ইতিকথা নিয়েই
আমাদের আজকের আলোচনা।
এইবাত বালদাচিনার বয়স একত্রিশ
বছর। কিছুকাল আগে
তিনি মুসলমান হয়ে নিজের নাম রাখেন
সুরাইয়া।
নওমুসলিম এই মহিয়সী নারী
অস্ট্রেলিয়ার
অধিবাসী। তাঁর মা হলেন ব্রিটিশ আর
পিতা হলেন
ইতালীয়। ছোট বেলায় তাঁকে ক্যাথলিক
খ্রিস্টান
হিসেবে বারিস্নান দেওয়া হয়েছিল।
সুরাইয়া তাঁর
পুরো শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন ক্যাথলিক
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে। সমাজ বিজ্ঞানে তিনি
বিশ্ববিদ্যালয়ের
ডিগ্রি অর্জন করেছেন। স্বয়ং সুরাইয়া এ
সম্পর্কে
বলেছেনঃ
"আমি এক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ
করেছি।
কিন্তু সেই কিশোরী বয়সেই আমার ভেতর
একটা বিষয় আমি অনুভব করতাম। সেটা
হলো আমি
ভাবতাম যে নিশ্চয়ই এই বিশ্বের
স্রষ্টা একক
কোনো সত্ত্বা হবেন। ত্রিত্ববাদ বা
তিন খোদার
বিষয়টি আমার কাছে কেন যেন
গ্রহণযোগ্য
বলে মনে হতো না। আমার মনে হতো
ইঞ্জিল
গ্রন্থে কোনো কোনো নবীর ব্যাপারে
যেসব অন্যায় বিষয়-আশয় আরোপিত
হয়েছে
সেসব কিছুতেই আল্লাহর পক্ষ থেকে হতে
পারে না। কিন্তু আমি যেই ক্যাথলিক
খ্রিষ্টান
পরিবেশে বেড়ে উঠেছি সেখানে ধর্মীয়
বিষয় নিয়ে গবেষণা করার কোনো সুযোগ
ছিল
না।"
এইবাত বালদাচিনা আরো বলেনঃ "আমার
বয়স যখন নয়
বছর,তখন আমাকে পাদ্রির কাছে নিয়ে
যাওয়া হলো
স্বীকার করার জন্যে। স্বীকার মানে
হলো
পাদ্রি আমার কাছে চাচ্ছিলো-আমি যেন
স্বীকার
করি গত সপ্তার দিনগুলোতে আমি কী কী
গুনাহ
বা অন্যায় কাজ করেছি।স্বীকার করার
কারণ হলো
তাতে গুনাহের বোঝা হালকা হয়ে যাবে।
আমি
তাকে বললাম গত সপ্তায় আমি কোনোরকম
অন্যায় কাজে লিপ্ত হই নি। আর যদি
কোনোরকম
গুনাহ বা অন্যায় কাজ করিও,তাহলে আমি
সরাসরি
খোদার কাছে বলবো,তাঁর কাছে তওবা
করবো।"
অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী মিস এইবাত
নিজের ধর্মের
শিক্ষাগুলোর ব্যাপারে সন্দেহ করতেন
বলে
অন্য ধর্ম নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন।
তিনি বলেনঃ
এক স্রষ্টাকে অন্বেষণ করতে গিয়ে
প্রাচ্যের
ধর্মগুলো নিয়ে পড়ালেখা শুরু করলাম।
অবশ্য
প্রথমে ইসলাম থেকে দূরত্ব বজায়
রাখলাম,
কেননা আমাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে
ইসলাম
সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা
ছিল।
আমাদেরকে বোঝানো হতো যে ইসলামে
নারীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় এমনকি
মানুষই মনে
করা হয় না। হিন্দুত্ববাদ নিয়ে
পড়ালেখা করলাম।কিন্তু
আমার কাছে মোটেই আকর্ষণীয় মনে হলো
না। বৌদ্ধবাদ তারচেয়ে অনেকটা ভালো
বলে
মনে হলো। কিন্তু তাদের
চিন্তাভাবনাগুলো খুব
একটা যৌক্তিক বলে মনে হয় নি আমার।
এগুলো
আমার তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হলো না।
এইবাতের
ভেতরে সত্য সন্ধানী কৌতূহলী একটা
সুরের
অনুরণন খেলে যাচ্ছিল, তিনি আনমনেই
সেদিকে
ছুটলেন। স্রষ্টাকে খুঁজে ফেরার আকর্ষণ
তাঁর
ভেতরে ধীরে ধীরে শিখার প্রজ্জ্বলিত
হতে লাগলো। সেই আলোয় তিনি সত্যের
পথ
অন্বেষণে ধাবিত হলেন। এরকম একটা
সময়ে তাঁর
মা মিশর সফরে যান। তার কিছুদিন পর
মিস এইবাতও মিশর
সফরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানেই
তাঁর
ভেতরে জাগরণের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখা
দিল। তাঁর
ভাষায়ঃ
"যখন মিশর অভিমুখী বিমানের ভেতর
ছিলাম,হেডফোন কানে লাগিয়ে রেডিও
শুনছিলাম।
রেডিও শুনবো কী! কেবল নব
ঘুরাচ্ছিলাম।
ওয়েব ব্যাণ্ড বা তরঙ্গের পর তরঙ্গে নব
ঘুরিয়ে
ঘুরিয়ে খেলা করছিলাম। হঠাৎ করে
বিশেষ একটা
রিদমিক সুর কানে বেশ ভালো লাগলো।
সম্ভবত
আরবি ভাষার সঙ্গীত ছিল। সুরটা আমার
কাছে এতো
বেশী স্বস্তিদায়ক এবং প্রশান্তিকর
ছিল যে
বিমানে যতোক্ষণ ছিলাম আমি আর ঐ
ব্যান্ডটা পাল্টাই
নি। যদিও আমি জানতাম না এর অর্থ কী!
যাই হোক,
মিশরে সবকিছুই আমার ভালো লাগল।
গরিব
মুসলমানদেরকেও দেখলাম অভাব-
অভিযোগ
সত্ত্বেও বেশ উদার এবং নিজেদের জীবন
নিয়ে সন্তুষ্ট। এটা বেশ অবাক করার
মতো ব্যাপার
ছিল, কেননা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে
মানুষেরা সেই
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু টাকার
পেছনে
ছোটে, তারপরও তারা সবসময় অতৃপ্ত এবং
অসন্তুষ্ট। পাশ্চাত্যে একটা মানুষ
যতক্ষণ পর্যন্ত
কর্মঠ থাকে ততোক্ষণ তাকে মূল্যায়ন
করা হয়।
বয়স্ক বা বৃদ্ধরা সেখানে বৃদ্ধাশ্রমে
কাটায়। অথচ
মুসলমানরা বয়স্কদেরকে বেশ সম্মান
করে।
ভ্যাপারটা আমাকে বেশ আকৃষ্ট করল। পরে
বুঝলাম
এটা তাদের ইসলামী সংস্কৃতিরই অঙ্গ।
মুসলমানরা
রমযান মাসে রোযা রাখে এবং নিজেদের
আচার-
আচরণের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকে।
ইসলামে
পারিবারিক ব্যবস্থাটি বেশ মার্জিত।
ছেলেমেয়েরা
বাবা-মায়ের সাথে পূত-পবিত্র জীবন
যাপন করে।
সাধারণত অন্যায়ের কেন্দ্রগুলো থেকে
তারা
দূরত্ব বজায় রাখে। আর এই সুন্দর
ব্যবস্থাপনাগুলো অপর ধর্মের লোকজনকে
ইসলামে দীক্ষিত হলো অনুপ্রাণিত করে।
এজন্যেই লক্ষ্য করা গেছে গত বছর
ইউরোপে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ ইসলাম
গ্রহণ
করেছে। এদের বেশিরভাগই হলেন
শিক্ষিত
শ্রেণী। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে যেভাবে
ফেৎনা ফাসাদে, যুদ্ধ-বিগ্রহ, শোষন-
নিপীড়ন
লেগেই আছে তাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে
মানুষ। শিক্ষিত শ্রেণী তাই নীতি-
নৈতিকতা আর চিন্তা-
চেতনার নবমূল্যায়নের পেছনে ছুটছে।
এভাবে
গবেষণা করতে গিয়েই তারা ইসলামের
যুগোপযোগী অনাবিল আদর্শের প্রতি
আকৃষ্ট
হয়ে ইসলামের দাওয়াত গ্রহণ করে
নিজেদের
জীবনকে ধন্য করার অবকাশ পাচ্ছে।
২.
ইউরোপে যারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত
হচ্ছে
তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত শ্রেণীর।
কেননা
বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতা আর
শোষণ-
বঞ্চনাক্লিষ্ট মানুষ এখন নিরূপায় হয়ে
একটা সুষ্ঠু
সমাধান আশা করছে। সেই লক্ষ্যেই
চিন্তাশীল
ব্যক্তিরা গবেষণা চালাচ্ছেন। আর
যারাই গবেষণা
চালাতে গিয়ে ইসলামী আদর্শ নিয়ে
পড়ালেখা
করেন তারাই অনন্য এই আদর্শের মোহে
বিমুগ্ধ
হয়ে যান এবং ইসলাম গ্রহণ করে
নিজেদের
জীবনকে ধন্য করে তোলেন।কেননা তাঁরা
যে আদর্শ বা পরিত্রাণের যেরকম
মাধ্যম খুজেঁ
বেড়ান সে সবই খুজেঁ পান ইসলামে।
বেলজিয়ামের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন
লওজ ওয়ার সম্প্রতি
এক প্রতিবেদনে লিখেছে,চল্লিশ
হাজারেরও
বেশি বেলজিয়ান নাগরিক গেল ক'বছরে
মুসলমান
হয়েছে। বেলজিয়ামের মোট জনসংখ্যা
এক
কোটির মতো। তার মাঝে মুসলমানদের
সংখ্যাই
হলো সাড়ে চার লাখ। এই পরিসংখ্যান
উল্লেখ
করে সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনটি লিখেছেঃ
এভাবে এতাটা
দ্রুততার সাথে যদি বেলজিয়ানরা
ইসলাম গ্রহণ করতে
থাকে তাহলে ২ হাজার ১২ সালের মধ্যে
বেলজিয়ামে মুসলমানদের সংখ্যা পাঁচ
লাখে পৌঁছে
যাবে। যেসব বেলজিয়ান ইসলামে
দীক্ষিত
হয়েছেন তাদের এই ধর্মান্তরের পেছনে
যে যুক্তিটি তারা দেখান তাহলো
ইসলামে মানুষ এবং
খোদার মাঝে কোনোরকম মাধ্যম বা
তৃতীয়
পক্ষের অস্তিত্ব নেই। তাদের দৃষ্টিতে
আধ্যাত্মিক জীবনে পবিত্রতার ক্ষেত্রে
ইসলামের যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তা
সত্যিই
প্রশংসনীয়। মিস এইবাত বলেনঃ
মিশরে একদিন এক কফি হাউজের পাশ
দিয়ে
যাচ্ছিলাম। হঠাৎ কানে ভেসে এলো সেই
মিষ্টি
মধুর আওয়াজ-বিমানের ভেতর রেডিওতে
যা শুনে
আমি প্রশান্তি পাচ্ছিলাম। আমি পেরেক
বিদ্ধের
মতো দাঁড়িয়ে গেলাম। জানতে চাইলাম
এটা কিসের
শব্দ।বললো এ হচ্ছে কোরআন
তেলাওয়াতের
শব্দ। আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঐ
কোরআনের একটা ইংরেজি সংস্করণ
জোগাড়
করে পড়লাম। আমি ভীষণভাবে কোরআনের
আয়াতের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে
পড়লাম। আমি
বিস্ময়কর এই গ্রন্থে জীবনের পরিপূর্ণ
বিধি-বিধান
লক্ষ্য করলাম। দেখলাম সবকিছুই
যৌক্তিক এবং
বাস্তবায়নযোগ্য।এমন কোনো বিষয় নেই
যার
সম্পর্কে কোরআনে বলা হয় নি।কোরআনের
যে বাচনভঙ্গি,অন্যদের সাথে সম্পর্কের
যে
প্রক্রিয়া,হালাল-হারামের ব্যাপারে
যেরকম
গুরুত্বারোপ, জ্ঞান,মনোবিজ্ঞান,
পরিবার,
প্রশিক্ষণ, শাসনকার্য ইত্যাদি সকল
কিছুই ইসলামে
সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি
ইঞ্জিলের পরিবেশের মধ্যে বড়ো হয়েছি
তবে আমার মনে হতো ইঞ্জিলের একটা
অংশ
খোদার বক্তব্য নয়। সে রাতে আমি যখন
আমার
রুমে কোরআন পড়লাম ঠিখ তখনই আমি
বুঝতে
পেরেছিলাম ইঞ্জিল এবং কোরআনের
মধ্যে
পার্থক্য রয়েছে। কোরআনের যে বক্তব্য
তা
এক আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তার অর্থও
একদম
যথার্থ এবং সুস্পষ্ট। ঐ রাতে আমি সকাল
পর্যন্ত
কোরআন পড়েছি। অবশেষে আমি এমন
একটা
পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছলাম যার সাথে আমার
চিন্তার সাযুজ্য
রয়েছে। আমি ভাবতাম ইসা (আ) কিছুতেই
খোদা
হতে পারে না। যদি তিনি খোদাই হতেন
তাহলে তিনি
এই মর্তলোকে বসে কার দরবারে
মোনাজাত
দিতেন? মূলত যিনি খোদা,তাঁর তো
মুনাজাত
দেওয়ারই প্রয়োজন নেই। কোরআন
সুস্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বলেছেঃ হে
আহলে
কিতাব! তোমরা তো ইসা (আ) কে খোদার
পুত্র
বলে অভিহিত করো,অথচ তিনি কেবল
একজন
পয়গাম্বর মাত্র। কোরআন আমাকে
এমনভাবে
আকৃষ্ট করলো যে পরদিন সকালে আমি আল-
আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম
এবং মুসলমান
হয়ে গেলাম। মিস এইবাত ইসলাম গ্রহণ
করাটাকে
অভ্যন্তরীণ পবিত্র যে আহ্বান আছে তার
ডাকে
সাড়া দেওয়া বলে মনে করেন এবং তিনি
বিশ্বাস
করেন কোরআনের প্রাণদায়ী আয়াতগুলোর
আলোকরশ্মি সৌন্দর্য আর নূরের জানালা
দিয়ে তাঁর
চেহারায় এসে পড়েছে। তিনি বলেন যখন
কোরআন পড়লাম, এ বিষয়টি উপলব্ধি
করতে পারলাম
যে এই গ্রন্থের শিক্ষাগুলো সেই মহান
জিনিস
যেগুলোকে সবসময় নিজের ভেতর লালন
করতাম এবং সেসব নিয়ে সবসময়
ভাবতাম। আসলে
কোরআন একটা স্মরণীয় জিনিস, যখনি তা
আমার
স্মৃতিতে জেগে ওঠে ভাবতেই ভালো লাগে
যে কী চমৎকার এবং পূত-পবিত্র জিনিস
আমার
অস্তিত্ব জুড়ে বিরাজ করছে। আমি যেহেতু
ইসলামের বিধি-বিধানগুলো যথার্থভাবে
জানতাম না,তাই
অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসার পর
স্বভাবগতভাবেই আমি
উপলব্ধি করলাম যে অন্যায় বা গুনাহের
পরিবেশ
থেকে দূরে থাকা উচিত। বিশিষ্ট মুসলিম
চিন্তাবিদ আবু
হামেদ গাযযালী মনে করেন মানুষের
চিন্তাগত
পরিবর্তনকে মূল্যায়ন করা খুব একটা
সহজ কাজ নয়।
সেজন্যেই সত্যকে উপলব্ধি করার যে
আনন্দ
এবং উত্তেজনা মানুষের ভাগ্যে জোটে
সেই
অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
তারপরও বহু নওমুসলিম
এই অবস্থা বা পরিস্থিতিটা উপলব্ধি
করেছেন। তাঁরা
ইসলাম গ্রহণ করাকে এমন একটা নূরের
প্রভাব
বলে মনে করেন যা আল্লাহ তায়ালা
তাদেঁর
অন্তরে প্রজ্জ্বলিত করে দিয়েছেন এবং
তাঁদেরকে সত্যের ঝর্ণাধারায় অবগাহিত
করেছেন।
পাঠক! যাঁরা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চা
না করলেও
মোটামুটি বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়ালেখা
করে তাদেঁর
কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করে থাকেন,
তাঁরা
অস্ট্রেলিয় নওমুসলিম এইবাত
বালদাচিনার কথাগুলো
যাচাই-বাছাই করে দেখবেন এবং নতুন
কোনো
বক্তব্য থাকলে কিংবা আপনাদের কোনো
দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে তাও আমাদের
জানাতে পারেন।
মনে রাখবেন ইসলাম সবসময় গবেষণাকে
প্রাধান্য
দেয়। এমনকি কলমের কালিকে শহীদের
রক্তের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান বলে
মনে করে।তাই গবেষণা করলে অনেক
বেশি
কল্যাণ পেতে পারেন। আল্লাহ আমাদের
সবাইকে সেই তৌফিক দিন।
৩.
বিগত কয়েক শতাব্দিতে পশ্চিমা বিশ্বে
ইসলামের
প্রভাব ঠেকাতে বিভিন্ন উপায়ে
প্রচেষ্টা চালানো
হয়েছে। বিশেষ করে গেল কয়েক দশকে
ইসলাম এবং মুসলমানদের ব্যাপারে
তাদের শত্রুতাপূর্ণ
প্রচারণা নতুন নতুন গণমাধ্যমে ব্যাপক
বেড়ে
গেছে। এতোসব প্রচারণা সত্ত্বেও
পশ্চিমা
বিশ্বে শিক্ষিত বা বুদ্ধিজীবী পর্যায়ে
ইসলাম
গ্রহণের মাত্রা বেড়ে গেছে।
পাশ্চাত্যের এই
শিক্ষিত শ্রেণী এখন তাদের মানসিক
প্রশান্তি,কল্যাণ, আধ্যাত্মিক শূণ্যতা
পূরণ ইত্যাদি
সবকিছুই ইসলামের নীতি-নৈতিকতার
মাঝে খুঁজে
বেড়াচ্ছে। পশ্চিমা কোনো কোনো সমাজ
বিজ্ঞানী এবং মনোবিজ্ঞানী মনে করেন
শিক্ষিত শ্রেণীর ইসলাম গ্রহণের
পেছনে যে
বিষয়টি মৌলিক কারণ হিসেবে কাজ
করেছে তা
হলো মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং আত্মিক
বিষয়-
আশয়ের প্রতি ইসলামের গভীর দৃষ্টি
এবং
গুরুত্বারোপ। এই মনোবিজ্ঞানীদের
দৃষ্টিতে
নিরাপত্তাহীনতা,পরিবার কাঠামো
ভেঙ্গে পড়া,বিচিত্র
বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি পশ্চিমাদেরকে
ইসলাম নিয়ে
গভীরভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে।
জার্মানীর ইসলাম গ্রহণকারী ডঃ
হফম্যান মনে
করেন ইসলাম এবং ইসলামের শিক্ষাগুলো
আকর্ষণীয় হবার কারণেই পশ্চিমারা এর
প্রতি
আকৃষ্ট হচ্ছে। হফম্যান এখন মুসলিম
চিন্তাবিদের
পোশাক পরে ধর্মীয় এবং গবেষণামূলক
বিভিন্ন
সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে অংশ নিচ্ছেন।
তিনি
বলেছেনঃ যখন সূরা নাজমের ৩৮ নম্বর
আয়াত
পড়লাম যেখানে লেখা হয়েছে-কেউই
আরেকজনের গুণাহের বোঝা নিজের কাঁধে
নেবে না। এ আয়াতটি পড়ার পর আমি
আমার
পূর্বেকার বিশ্বাসের ব্যাপারে
সন্দিহান হয়ে
পড়লাম। এই আয়াত অন্যায়ের পরম্পরাকে
স্বীকার
করে না এবং আরো ইঙ্গিত করে যে, মানুষ
আর
আল্লাহর মাঝে কোনো মধ্যস্থতাকারী
নেই
যে কিনা আল্লাহর পক্ষ থেকে
গুনাহগুলোকে
মাফ করে দেবে।'
বিশিষ্ট এমব্রায়োলজিস্ট বা
ভ্রূণবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডঃ
কিথ মুরের মতে ইসলামের সবচেয়ে
আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি হলো
আল-
কোরআন এবং তার অনন্ত বিস্ময়। ডঃ
মুরকে বলা
হয়েছিল প্রায় দেড় হাজার বছর আগে
কোরআনে ভ্রূণ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
সে
সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে।
ডঃ মুর
তখনো এ সম্পর্কে কোরআনের বক্তব্য
জানতেন না,তাই ভেবেছিলেন আধুনিকতম
একটা
বিষয়ে এতো প্রাচীন একটা গ্রন্থে
নিশ্চয়ই
যথার্থ কোনো তথ্য এ ব্যাপারে থাকবে
না। তাই
মুসলমানদের ঐশী গ্রন্থ কোরআনকে
প্রশ্নের সম্মুখিন করার জন্যে তিনি
ভ্রূণ প্রাসঙ্গিক
কোরআনের আয়াতগুলো নিয়ে পড়াশোনা শুরু
করে দেন। কিন্তু পড়াশোনা শেষে ভ্রূণসহ
সমগ্র বিশ্ব সম্পর্কে কোরআনে অকাট্য ও
বিজ্ঞানসম্মত তথ্যপঞ্জী পেয়ে তিনি
ভীষণ
আশ্চর্য হন। তিনি শেষ পর্যন্ত এই
সিদ্ধান্তে
উপনীত হন যে প্রায় দেড় হাজার বছর
আগে এই
গ্রন্থ কোনো ব্যক্তির পক্ষে লেখা
একেবারেই অসম্ভব একটি ব্যাপার। এই
গ্রন্থটি
এমন কারো পক্ষেই লেখা সম্ভব যিনি
মানব তো
ননই, বরং অতিমানবীয় এমন এক সত্ত্বা
যিনি সকল
বিষয় সম্পর্কে সচেতন ও সর্বজ্ঞ। ডঃ মুর
কোরআনে কোনো দুর্বল দিক তো খুজেঁ
পান-ই-নি, উল্টো বরং এই গ্রন্থ থেকে
তিনি যা কিছু
জেনেছেন বা খুজেঁ পেয়েছেন তার
আলোকে নিজের লেখা বইগুলোর পরবর্তী
সংস্করণে সংশোধনী এনেছেন।
গত দু'আসরে আমরা অস্ট্রেলিয়ার
নাগরিক এইবাত
বালদাচিনার ঈমান আনার কথা বলেছি।
তিনি বছরের পর
বছর এক আল্লাহর সন্ধানে এবং বিশ্বের
সৃষ্টি রহস্য
উদ্ধারের পেছনে মেধা ও শ্রম দিয়ে
অবশেষে সত্যকে আবিষ্কার করতে সক্ষম
হয়েছেন। তিনি এখনো বিশ্বাস করেন
যিনি তাঁর
দোয়া কবুল করেছেন তিনি পরম দয়াময়
একমাত্র
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। কোরআনের
বরকতে
আল্লাহ তাঁর সামনে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি
এবং
হেদায়েতের দরোজা খুলে দিয়েছেন।
তিনি
বলেনঃ
আমি এমন এক পরিবেশে বড় হয়েছি
যেখানে
কোনো কোনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে
নারী-পুরুষের অবাধ মিলন ঘটতো,
এ্যালকোহলিক
পানীয় আর অশোভন পোশাক পরার প্রচলন
ছিল।
কে কার চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হতে
পারবে-এই চিন্তায় বিভোর ছিল সবাই।
এ ধরনের
জীবন মানুষকে অস্থির ও অশান্ত করে
তোলে। কিন্তু কোরআন আমাকে সেই
অশান্ত
অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে
প্রশান্তচিত্ত হওয়া
এবং সম্মানিত ও মর্যাদাবান হবার
সুযোগ এনে
দিয়েছে। মানুষের জন্যে ইসলাম একটি
ভারসাম্যপূর্ণ জীবন বিধান। ইসলাম
যেমন
বস্তুবাদের অন্ধ অনুরাগকে সমর্থন করে
না।
তেমনি বৈরাগ্যপূর্ণ জীবনযাপনকেও
ইসলাম পছন্দ
করে না। ইসলাম ইহকালীন জীবনটাকে
পরকালীন অনন্ত জীবনের সুখশান্তি
নিশ্চিত করার
পথ অনুসন্ধানের দিকে আহ্বান জানায়।
তবে
ইহকালকে প্রত্যাখ্যান করে না।
বিনোদন
ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। ইসলাম
ন্যায়পরায়নতার
ধর্ম। এটি মানুষের স্বভাবের সাথে
সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ইসলাম বস্তুবাদিতা এবং আধ্যাত্মিকতার
মধ্যে
সামঞ্জস্য বিধান করে। তাই ইসলামে
সুস্থ
বিনোদনের ব্যাপারে কোনো বাধা নেই।
তবে
অশ্লীল-অশোভন বিনোদন যেহেতু মানুষের
পরকালীন জীবনের সুখশান্তির পথে
অন্তরায়
সৃষ্টি করে সেহেতু এই বিনোদনকে
ইসলাম
সমর্থন করে না। আত্মা এবং দেহের সুস্থ
বিকাশ
নিশ্চিত করে ইসলাম।
বিশিষ্ট মনীষী মরিস টি ইয়াস
বলেছেনঃ 'সত্যকে
খুঁজে বের করার জন্যে চিন্তা করা,কথা
বলা ও
প্রচেষ্টা চালানোর অভ্যাস এবং চর্চা
কেবল তার
পক্ষেই সম্ভব যে ছো টোবেলায় একই
ধরনের পরিবেশের মধ্যে প্রতিপালিত
হয়েছে।'
টি ইয়াসের বক্তব্য নিঃসন্দেহে
তাৎপর্যবহ।
তারপরও কিছু কিছু সত্যান্বেষী মনের
মানুষ ব্যাপক
প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে উঠেও সত্যের
নাগাল পেতে সক্ষম হন। তেমনি একজনের
কথা
আমরা আপনাদের বলেছি। তিনি
অস্ট্রেলিয়ান
নওমুসলিম বালদাচিনা। তাঁর প্রচেষ্টা
এবং ইসলাম গ্রহণ
আল্লাহ কবুল করুন-আমরা এই দোয়া করছি
তাঁর
জন্যে। আসলে ইসলাম নিয়ে গবেষণার
দ্বার সবার
জন্যেই উন্মুক্ত। যে যতো বেশি ইসলাম
নিয়ে
গবেষণা করবেন তিনি ততো বেশি উপকৃত
হবেন। এটা মুসলিম-অমুসলিম সবার
জন্যেই
সমানভাবে প্রযোজ্য। ইসলাম আসলে
কোনো
ব্যক্তি-গোষ্ঠি বা বর্ণ-গোত্রের ধর্ম
নয়, ইসলাম
একটা বিশ্বব্যবস্থা। এটি সার্বজনীন
একটি ধর্ম।
সকল মানুষ এই ধর্ম থেকে উপকৃত হতে
পারে।



No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.