হে বোন তোমাকেই বলছি

হে বোন তোমাকেই বলছি

____
আজ অনেকেই বলেন-""হিজাব পরার পরও
যদি রেইপ হয় তাহলে হিজাব পরিধানের
যৌক্তিকতা কি""
বেশ ক’মাস আগে নিউজে দেখছিলাম একজন
হিজাবী আপুর ধর্ষণের খবর। এ নিয়ে অনেক
তুলকালাম কান্ড হয় অনেক মিটিং-মিছিল
হয় বিচার চেয়ে। (My deep condolence and
prayers are with this sister)।
এই ঘটনার পর নারীবাদী সহ অনেকেই
পত্রিকায় লিখা শুরু করে এই টপিকে, “কই
তোমার হিজাব তো তোমাকে প্রোটেক্ট
করলো না এবং তার সাথে করে ছেলে-
মেয়ে, হিজাবী-ননহিজাবী, মুসলিম-ননমুসলিম
সবাইই তাল মিলায়, “তোমরা মেয়েদের হিজাব
না করতে বলে তোমাদের ছেলেদের সভ্য হতে
শিখাও আমি অবাক হতে গিয়েও হইনি
হুজুগে বাঙালি বলে কথা মুসলিমদের কি
আসলেই মনে হয় যে, আমরা মুসলিম মেয়েরা
এজন্যে হিজাব করি যেন ছেলেরা আমাদের
ধরে ধরে রেইপ করতে না পারে?
হিজাবের পারপোস কি এত ছোট? Let me tell
you my friend- একজন সত্যিকারের মুসলিম ধর্ষণ
থেকে বাঁচার জন্যে হিজাব করে না।
হিজাব কোন সিল মারা পেপারে গ্যারান্টী
না যে, হিজাব পরলেই পৃথিবী থেকে ধর্ষণ
উঠে যাবে যাদের পশুর মতন মানসিকতা,
তারা হিজাবী, নিকাবী, বাচ্চা-শিশু থেকে
শুরু করে কাউকেই রেহাই দেয় না। তাই বলে কি
আমরা আল্লাহর গাইডলাইনের মজা উড়িয়ে
হিজাব পরা ছেড়ে দিবো.??? সেটা কতটুকু
যৌক্তিক?
ধরুন আপনার বাসায় কড়া পাহাড়া, এলার্ম
সিস্টেম লাগানোর পরেও ডাকাতি হলো; তার
মানে কি আপনি পরদিন থেকে বাসার সব
গার্ড নামিয়ে গেইট খুলে রেখে দিবেন
ডাকাতদের আসার জন্যে??? আপনি স্মার্ট
হলে উল্টা আপনি আরো কড়াকড়ি করবেন যেন
ডাকাত নেক্সট টাইম আসতে না পারে। খতিয়ে
দেখবেন এলার্ম সিস্টেমে কোথায় ভুল ছিল
যে কিভাবে ডাকাত ঢুকে পরলো?
ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের নিজেদের ঈমান
এবং আমল নিয়ে আরো কড়াকড়ি করতে হবে।
মেয়েদের হিজাব এবং আমল খতিয়ে দেখলে
যে ভুল গুলি বের হয়, সেগুলা sincerely শুধরানোর
চেষ্টা করতে হবে। বোকার মতন গেইট খুলে
রেখে “আমি স্বাধীন..আমি স্বাধীন” বলে
চিল্লালে ডাকাত আসাও বন্ধ হবে না, রেইপও
দুনিয়া থেকে উঠে যাবেনা। রেপিস্টরা
অমানুষ, কিন্তু আপনাকে মানুষ হতে কে
আটকিয়ে রেখেছে?
কিন্তু এটা সত্য যে, যারা sincerely আল্লাহর
জন্যে হিজাব পরে, তারা এই পাশবিকতার
ধারেকাছেও থাকেনা??
====================================
বন্ধুরা,আজ আমি আবার নাস্তিকদের যুক্তি খণ্ডণ করবো।তসলিমা নাসরিন সহ নানা জাতের নাস্তিকরা বলে থাকেন “হিজাব পরে থাকলেও মেয়েরা ইভ-টিজিং এর শিকার হয় কাজেই হিজাব পরার দরকার নেই”।
এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য নিম্নরুপঃ
হিজাব বলতে কেবল বোরখাকে বোঝায় না।হিজাব অনেকগুলো বিষয়ের সমন্বয়।হিজাব সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গেলে সবার আগে বলতে হবে “ছেলে-মেয়ের মাঝে নিরাপদ দূরত্ব থাকা”।ধরে নিন,কোন বাবা-মা তার মেয়েকে শরীয়ত মোতাবেক মানুষ করতে চান।এক্ষেত্রে শুধু বোরখা পড়ালেই চলবে না।বাবা-মা’র কোনভাবেই উচিত হবে না মেয়েকে কোন যুবক প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ানো।চেষ্টা করতে হবে কেবল মেয়েদের স্কুলে(যেমনঃভিকারুন্নিসা স্কুল)ভর্তি করানোর।যদি কোচিংয়ে পড়ানোর প্রয়োজন পড়ে তবে সেটা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকতে হবে।হিজাব সম্পর্কে এরপর যেটা বলতে হবে “অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা এবং কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে”।ধানমণ্ডিতে অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে।আপনি সেখানে গেলে দেখতে পাবেন ক্লাস শেষ হয়ে গেলে বোরখা পরা মেয়েরাও ছেলে বন্ধুদের সাথে রাস্তায় বসে আড্ডা দিচ্ছে আর মোবাইল টিপছে।এটাতো হিজাব নয়।এরপর হিজাবের ব্যাপারে যা বলতে হবে তা হলো “কথাবার্তা,আচার-আচরণ মার্জিত করতে হবে”।এবার আসা যাক পোশাক প্রসঙ্গে।অনেক আলেম আছেন যারা হিজাব এবং বোরখাকে এক করে ফেলেন।কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো পোশাক হিজাবের একটি অংশ।হিজাব বলতে উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ,রুচিসম্মত আচার-আচরণ,ভদ্রতার সাথে চলাফেরা,ভদ্রতার সাথে কথাবার্তা,ছেলে-মেয়ের মাঝে যুক্তিসঙ্গত দূরত্ব থাকা ইত্যাদির সমন্বয়কে বোঝায় ।পোশাকের ক্ষেত্রে আছে ৬টি শর্ত।
১.পোশাকে বিধর্মীদের চিহ্ন থাকা যাবে না।
২.পোশাক এমন টাইট হবে না যা শরীরের আকৃতি ধারণ করে।
৩.পোশাকে এমন চাকচিক্য থাকা যাবে না যা অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
৪.পোশাক বিপরীত লিঙ্গের মতো হওয়া যাবে না।
৫.পোশাক স্বচ্ছ হওয়া যাবে না যার মাধ্যমে শরীর দেখা যায়।
৬.পুরুষের জন্য বুক থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকা থাকতে হবে(তার মানে এই নয় যে পোশাক থাকা সত্বেও কেবল এইটুকু পরবে।),টাখনুর উপরে কাপড় রাখতে হবে এবং রেশম কাপড় পরতে পারবে না।নারীর জন্য মুখমণ্ডল,হাতের কজ্বি,পাতের পাতা ব্যতীত সারা শরীর ঢাকা থাকতে হবে এবং আলগা একটা কাপড়(ওড়না)ব্যবহার করতে হবে গ্রীবা এবং বক্ষাদেশ ঢাকার জন্য।তবে নির্দিষ্ট কিছু পুরুষ আছে যাদের সামনে কিছুটা অসতর্ক থাকলে সমস্যা নেই।আর পরপুরুষের সামনে যদি না থাকে সেক্ষেত্রে কিছুটা অসতর্ক থাকলে সমস্যা নেই।
মনে করুন এক নারী বোরখা পরে ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গেল আরেক নারী ঘরে বসেই নিজের মোবাইল থেকে বিল পেমেন্ট সিস্টেমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলো।এখানে যে নারী মোবাইলে বিল দিয়েছেন,তিনিই প্রকৃতপক্ষে হিজাব পালন করেছেন।কাওরান বাজারে যদি কোন নারী যান এবং যে পোশাকেই যান না কেন তার হিজাব হবে না।আর পোশাকের ৬টি শর্ত পূরণ করে কোন নারী যদি মীনা বাজার,আলমাস এর মতো বাজারে যান তবে তার হিজাব হবে।বোরখা পরে কোন নারী যদি রাস্তায় তার ছেলে বন্ধুদের সাথে হাসি-তামাশায় মেতে থাকেন তবে তা হিজাব হবে না কিন্তু সালাম বিনিময় এবং সাধারণ মানের কিছু কথাবার্তা বললে তাতে গুনাহ নেই বরং সওয়াব আছে।পুরুষ কিংবা নারী যদি রাস্তায় এমনভাবে হাঁটেন যা অন্যের বিরক্তির কারণ হয় এবং অহংকার প্রকাশ পায় ,তবে যে পোশাকেই থাকুক না কেন তা হিজাব হবে না।
পোশাকের ক্ষেত্রে ৬টি শর্ত পূরণ অবশ্যই করতে হবে।যদি কোন নারী বোরখার বদলে অন্য উপায়ে ৬টি শর্ত পূরণ করে থাকেন তবে তা ১০০ % জায়েজ।
বন্ধুরা,এ লেখাটি শেয়ার করুন প্লীজ।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।আমীন।
বিঃদ্রঃ টাইপিং মিসটেক কথার অর্থ বদলে দিতে পারে।টাইপিং মিসটেককে পুঁজি করে কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করবেন না।যদি কেউ করে তবে সে নিজের দূর্বলতা স্বীকার করবে।টাইপিং মিসটেক সংশোধনের পরামর্শ দেবেন।
===========================
বোরকা পড়ছেন বলেই ধারনা করছেন পর্দা করছি....অথবা,ড্রেসের সাথে কালারফুল,সুরুচি সম্পন্ন একটা হিজাব মাথায় পেঁচিয়ে নিয়েই ভাবছেন আপনি পর্দা করছেন....হিজাব পরিধান করেও আপনার সাজসজ্জার কোন কমতি নেই! লিপস্টিক ও দিচ্ছেন ঠোঁট রাঙাতে! কার জন্য?
# হিজাব পরিধান করেও আপনি কার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় সাজুগুজু করছেন? আপনি ভাবছেন আপনি শালিন ভাবে চলছেন! আল্লাহ ওয়াস্তে আপনার এই পর্দার কোন মূল্যই নেই আপনার রবের কাছে!
............বিশ্বাস না হলে একবার নামায শেষে জায়নামাযে বসে অন্তর থেকে আল্লাহ কে প্রশ্ন করুন- 'ইয়া রব,আমি তো এভাবে পর্দা করছি, আপনি কি আমার উপর খুশি?' এবার অনুভব করুন আপনার হৃদয়ে কোন প্রশান্তি অনুভব করছেন নাকি একটা খচখচানি অনুভব করছেন!! একবার না বুঝলে প্রতি নামাযের পর করুন..করতেই থাকুন.. ইনশা আল্লাহ,রব আপনার প্রশ্নের জবাব আপনার মনের মধ্যেই দিয়ে দিবেন...
# আমরা অযথা এই দুনিয়ায় আসিনি! একটা সুনির্দিষ্ট কারন আছে... আপনার/আমার রব আমাদের অযথায় সৃষ্টি করেননি... আমাদের সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের জন্য... আর তামাম দুনিয়ার সব সৃষ্টি করেছেন আমাদের উপকারের জন্য.... আর আপনি/আমি কিনা আমার সৃষ্টির হেতু ভুলে গিয়ে দুনিয়ার কালচার/
স্ট্যাটাসের পিছনে নিজেকে বিকিয়ে দিচ্ছি!
অথচ স্বল্প এই দুনিয়ার জীবনের কর্মফলের উপর নির্ভর করবে আমার ইল্লিন অথবা আমার সিজ্জিন,
অবশেষে আমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম!
ধ্যাত্তেরী... কতটা বোকা হলে দুনিয়ার বিনিময়ে নিজেকে জাহান্নামে বিক্রি করে দেয়া সম্ভব!!!!
=================================
 লজ্জাশীলতা !_________
একদিন এক সেমিনারে স্থানীয় কয়েকজন ইসলামপ্রিয় নারী দ্বীনি আলোচনা শোনার জন্য (শরয়ী পর্দা বজায় রেখে) জমায়েত হয়েছিলেন।
সেখানে আলোচনার এক পর্যায়ে একজন নারী আলোচক বলেছিলেন-
“আজকাল মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী।”
কথাটা শেষ না করতেই একজন ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের সুরে বললেন:-
"আমি আপনার এ বাক্যটা মানতে পারলাম না"
পুরুষ মানুষের আবার লজ্জা দেখলেন কোথায়?
ওরা তো বেশরম, বেলাজ ইত্যাদি ইত্যাদি……।
আলোচক মহিলা তখন আলোচনা বন্ধ করে বললেন,
আপা! আপনি কি করেন?
মহিলা তখন বললেন:-
একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি।
আলোচক মহিলা তখন জানতে চাইলেন,
‘আপনার প্রতিষ্ঠানে কয়জন পুরুষ ও কয়জন
মহিলা টিচার আছেন?
মহিলা বলল,আমরা সমান সমান।
তখন তিনি বললেন,আপনি কি কোন দিন আপনার পুরুষ কর্মীদের পেট-পিঠ দেখেছেন?
প্রতিবাদকারী নিশ্চুপ।
আলোচক মহিলা বললেন, দেহ প্রদর্শন করা নির্লজ্জতা এটা সবাই মানি। কিন্তু এ কাজটা সাধারণত পুরুষরা করে না।
আপনার যদি কখনো ইচ্ছে হয়, আপনার কোন পুরুষ সহকর্মীর পেট-পিঠ দেখবেন, তাহলে তাকে আহ্বান করে বলতে হবে,ভাই আপনার শার্ট বা
পাঞ্জাবীটা একটু উপরে উঠান, আমি আপনার পিঠ-পেট একটু দেখব।
সে ভাই তখন আপনাকে পাগল মনে করবে, যদি স্বাভাবিক মস্তিষ্কেরর মানুষ হয়ে থাকে।
আর আমাদের নারীদের পেট-পিঠ কতোভাবে কতো এ্যাংগেলে কত শত নারী-পুরুষ দেখছে, তার কি কোন হিসাব আছে?
পুরুষেরা পেট-পিঠ বের করে বাইরে অফিস-আদালতে যাবে না, এটা তাদের স্বাভাবিক লজ্জা। যা থাকা উচিত ছিল আমাদের মেয়েদের। অথচ মেয়েরা
কিভাবে জামা বা ব্লাউজের গলাটা আরেকটু বড় করে কাঁধ ও বুকের উপরি অংশে বের করা যাবে-সে চেষ্টাই করে।
এ পর্যায়ে বেচারী ভদ্রমহিলা একেবারে চুপ হয়ে গেলেন।
আসলে তিনি কখনো এভাবে ভাবেননি।
তাই আমাদের মুসলিম নারীদের এভাবেই শালীনতার পক্ষে ভুমিকা রাখা উচিৎ।
================================================
বোন তোমাকেই বলছি.....
দেখ না একটু বুঝেতে পারো কিনা?
তুমি আবেগে নষ্ট ছেলের মিথ্যে ভালবাসার হাত ধরে অমুল্য সম্পদ নষ্ট করে সন্ধ্যায় বাড়ী
ফিরছো কেন?
যে তোমাকে সত্যি কার অর্থে ভালোবাসে সে কখনো তোমাকে ভোগ করতে চাইবে না সে চাইবে তুমি একটা পবিএ ফুলের মতো তাই তোমাকে সে ঝড়ে পড়তে দিবে না তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতেও লজ্জা বোধ করবে তাকি তুমি জানো?
তাই কাপুরুষদের হাতে তোমার অমুল্য সম্পদ নষ্ট করেছো কেন?
বোন আমরা নারী জাতি মিথ্যা ভালবাসার লোভে আমাদের হাজারো নারী ইজ্জত বিলিয়ে দিচ্ছে। একটা পবিএ ফুল সেটা ফোটার আগেই ঝড়ে পড়ছে।বোন তুমি এখন যে বয়সে আছো সেটা কোন নষ্ট ছেলের সাথে প্রেম করে বেড়ানোর সময় নয়?
তুমিই তোমার বয়সের দোষে তোমার উদাসীনতা পারিপার্শিক সব কিচু দেখে ভাবছো তোমারও প্রেম করা দরকার। নষ্ট ছেলের সাথে রাস্তায় হাটা দরকার তাকে তোমার রুপ যৌবন প্রদর্শন করা দরকার যখন সে দেখাতে তোমাকে প্রপোজাল দেয়।অথচ এটা কি ভেবেছো সে এই কাজ গুলো অন্য কোন মেয়ের সাথে করছে কিনা বা তোমারই চোট বোনের সাথে যদি করে তখন কি করবে তুমি?
কাপুরুষদের হাতে হাত রেখে তখনও চলবে কি?
একটি বারও কি চিন্তা করেছো?
ছেলেটা কি আমাকে আদৌ ভালবাসে নাকি তোমার জীবন নষ্ট করছে তোমাকে ফাদে ফেলে ব্লেক মেইল করার চেস্টা করছে কিনা?
একটি বার ভাবো,,নতুন করে ভাবো,,আবার একটু ভাবো,,ভালবাসা কাকে বলে জানো?
তোমার বয়স এখন পড়াশুনা করার কারোর সাথে হাত ধরে হাটার নয় যদি হাত ধরে হাটতে চাও সে তোমার শরীরেও হাত দিতে চাইবে বলবে তাদের ভালোবাসার পূর্নতা পাওয়া দরকার আর হয়তো সেখানেও তার ফাদে তুমি পা দিয়ে বসলে মনে রাখবে আবারও বলছি যে ছেলে ভালবাসার কথা বলে তোমার শরীরে হাত দিবে সে ছেলে তোমার ভালবাসার যোগ্যতা রাখেনা।সে তোমার শরীর এর জন্য এতো কিছু করে আর সেটা অবলা নারীর মতো তুমি বুঝতেও পারো না।
সে তো ভালবাসার মানেই বুঝেনা।
মনে রাখবে...যে তোমাকে ভালবাসবে সে তোমার জীবন ফুলের মতো পবিত্র রাখতে চাইবে,,নষ্ট করতে নয়। তাই যদি ভালবাসতেই হয়..
জীবনটাকে সুন্দর করার জন্যই ভালবাসো।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়।
পর্দায় চলার চেষ্টা কর।
সুন্দর একটাজীবন গড়।
যার কাছে গেলে আল্লাহর কথা স্মরন হয় তার কাছে যাও যে প্রেমে অদবুদ্ধ করে তার কাছে যেও না সে নিজে খারাপ আবার তোমাকেও খারাপ বানাবে।এমন জীবন গড়ো যে জীবনে
কোন কলংকার থাকবে না।আল্লাহর প্রতি ভয় থাকবে।কারোর জন্য নিজের জীবনকে নষ্ট করতে যেও না আল্লাহর জন্য আখেরাতের জন্য জীবনকে ভালো পথে পরিচালিত করার চেস্টা করো।জীবনটা তোমার তোমাকেই গড়তে হবে।আর কারো জন্য যদি তোমার জীবন নষ্ট হয় সে কখনো তোমার
জীবন গড়ে দিতে আসবে না।তাই.....জীবনকে সুন্দর ভাবে পরিচালিত করার চেস্টা করো।
সাবধান হয়ে যাও।
=====================================
বেশি বয়সে বিয়েঃ প্রতিবন্ধী জাতি গঠনে গভীর ষড়যন্ত্র
===================================
অল্প বয়সে বিয়ে বাধাগ্রস্থ করে বেশি বয়সে বিয়ে করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ বেশি বয়সে বিয়ে করলে নানাবিধ অসুবিধা রয়েছে-
১. তাড়াতাড়ি মেনোপেজ শুরু হয় (মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া)।
২.বাচ্চা নিতে ভয় পাওয়া।
৩. ৩৫ বছরের পর বেশিরভাগ নারীর শরীরে অক্সিটকিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। অক্সিটোকিন হরমোন প্রসবের প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়। এই হরমোনের ক্ষরণ যত বেশি হবে, তত বাচ্চার ডেলিভারি সহজে হবে। আর ৩৫ বছরের পর নারীদের এই হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রসবকালীন নানা অসুবিধা দেখা দিতে শুরু করে। ৩৫ বছরের পরে নারীদের শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোন ক্ষরণের হারও কমে যায়।
৪. মানসিক বিষণ্ণতায় ভুগে এবং মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
৫. ৩৫-৪০ বছরের বয়সের মহিলাদের সন্তান না হবার হার ৪০% এর অধিক।
৬. দাম্পত্য জীবনে মতের অমিল বেশি হয়।
৭. বিবাহ বিচ্ছেদের হার বাড়ে।
৮. জীবনের প্রতি অনীহা বাড়ে।
৯. প্রেগন্যান্সী জটিলতাঃ
বেশি বয়সে সন্তানধারন নানা জটিলতার জন্ম দিতে পারে-
ক) ৩০ এর পর নারীদের সন্তান ধারন ক্ষমতা কমে যায়। এই সময়ে infertility(সন্তান ধারনে অক্ষম ) বেড়ে যায়। মাত্র ১৫% মহিলার অধিক বয়সে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
খ) বাচ্চা জন্মের সময় জটিলতাঃ
Miscarriage (২০ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্ছা নষ্ট হয়ে যাওয়) এর সম্ভাবনা বেড়ে যায় American society for Reproductive Medicine এর মতে
"About 20 per cent pregnancies in the age group 35-39 end in miscarriage. This is 10 per cent higher than the chance of women in their twenties."
নরমাল ডেলিভারী হবার সম্ভাবনা কমে যায় এবং সিজার করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারন এ সময়ে oxytocin হরমোন কমে যায় এবং এ বয়সে বাচ্ছা নিলে বাচ্ছার নানাবিধ জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গ) বাচ্চার জন্ম ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা বেশি
জীনগত সমস্যা হয় বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, নারী যত বেশি বয়সে মা হবেন, তার সন্তানেরও ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্মের আশঙ্কা তত বেশি। এসব কারণে দেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজার ডাউন সিনড্রোম শিশুর জন্ম হয়। ২৫ বছর বয়সী প্রতি ১২০০ জন গর্ভবতী মায়ের মধ্যে একজন, ৩০ বছর বয়সী প্রতি ৯০০ জনের মধ্যে একজন, আর ৪০ বছর বয়সী প্রতি ১০০ জন মায়ের মধ্যে একজনের ডাউন সিনড্রোম শিশু হতে পারে।
ঘ) বিবিধ রোগ হবার সম্ভাবনা বাড়েঃ
endometriosis, blocked fallopian tubes and fibroids হবার সম্ভাবনা থাকে এবং মা হতে বাধাগ্রস্ত করে।উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনী ও হার্টের রোগ হয়ে থাকে এবং বাচ্চাকে হুমকীর মুখে ফেলে দেয়।
ঙ) অধিক বয়সে বিবাহিত নারীর গর্ভজাত সন্তানের মধ্যে শারীরিক অক্ষমতা, দৃষ্টি শক্তি, বাক শক্তি, শারীরিক দুর্বলতাসহ বিভিন্ন প্রকার এবনরমালিটি বা অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়।
১০. বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারীদের ডিম্বাণুর Quality খারাপ হতে থাকে।
১১. ব্যভিচার বেড়ে যায়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, কথিত প্রগতিবাদী, নারীবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী কিছু মহল বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করতে গিয়ে অধিক বয়সে বিয়ে করার পক্ষে যে সভা-সেমিনার, আন্দোলন ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে দেশে প্রতিবন্ধী, অক্ষম, এ্যাবনরমাল শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
অতএব, বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ জনশক্তি গড়ে তুলতে হলে, দেশে প্রতিবন্ধী ও অক্ষম জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে হলে সরকারকে অবশ্যই ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ বাতিল করে সরকারিভাবে বাল্যবিবাহের গুরুত্ব, উপকারিতা, প্রয়োজনীয়তার প্রচার-প্রসার করতে হবে।
=======================




No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.