আমি কেন নাস্তিকধর্ম বিশ্বাস করি না ? (part 2)

আমি কেন নাস্তিকধর্ম বিশ্বাস করি না ?


Assalamu Alaikum
দয়া করে পোস্ট টা আগে ভাল পড়বেন তার কিছু বলার থাকলে বলবেন পোস্ট না পড়ে বাজে মন্তব্য করবেন না
আজ এক টা বিশেষ আলচনা করতে যাচ্ছি
কেন অমুসলিমরা ইসলাম গ্রহণ করছে বিশেষ করে পশ্চিমারা বেশির ভাগ ইসলাম গ্রহণ করছে এবং ইন্ডিয়াতে অনেক পরিমাণে ইসলাম গ্রহণ করছে তার কারণ টা কি একটু দেখা দরকার....
আইয়ে শুরু ক্যারতে হ্যাঁয়
পৃথিবী তে বহু ধর্ম আছে আর অনেক ধর্ম শুধু মনযোগ দেই আত্তার উন্নতির দিকে আত্তীক উন্নতি
তবে আলহামদুলিল্লাহ ইসলাম ধর্ম হল সেই ধর্ম
যে ধর্মই দুটোই আছে )
ইসলাম ধর্ম সারেরীক সুখ শান্তির পাশাপাশি আমাদের আত্তার উন্নতির দিকেও মনযোগ দেই থাকে
ইসলাম শব্দ টা এসেছে সালাম থেকে যার অর্থ শান্তি। এর আর এক টা অর্থ হল নিজের ইচ্ছা কে আল্লাহ তায়ালার কাছে সোমার্পোণ করে দিয়ে শান্তি অর্জুন করা..
পবিত্র কূরান হল শেষ আসমানী কিতাব আল্লাহ
সুবহানু তা’লার! আর নাজিল হয়েছিল মহম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর।
পবিত্র কূরান হছে পৃথিবীর সব চেয়ে বাস্তব মুখী গ্রন্থ , কূরান মানবতার পক্ষে একটি ঘোষণা
কূরান দয়া ও জ্ঞানের থুআরা ,
অমনোযোগীদের প্রতি সতর্ক বাণী ।
বিপদগামীদের পথপ্রদর্শক ,
সন্দেহ বাদীদের জন্য নিশ্চয়তা নিপীড়িতির সান্তনার বাণী আর হতাশাগ্রস্তদের আশার আলো.
অনেকে প্রশ্ন করে থাকে আমরা মুসলিমরা অন্যন্য ধর্ম নিয়ে এতো আলচনা বাড়াবাড়ি কেন করি. বা ইসলাম কে কেন তুলে ধরি ।
কিন্তূ আমাদের কাজ হল আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেওয়া তিনি হেদায়াত করবেন ।
আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কূরানে
এরশাদ করলেন.. সূরা গাশীয়াহ
৮৮:২১
অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা,
৮৮:২২
আপনি তাদের শাসক নন।)
এই কারণে আমরা মুসলিমরা অমুসলিমদের কাছে পৌঁচে দিতে চাই যে এটাই সঠিক রাস্তা । আর
এক মাত্র ধর্ম হছে এটাই সরল সঠিক পথ ।
কিন্তু অনেকে প্রশ্ন করে থাকে কিছু নাম ধারী মুসলিম আছে তাদের দেখে মনে করে যে ইসলাম ধর্ম খুব খারাপ ।
কিন্তূ এখানে একটু জ্ঞান করা দরকার যে মানুষ ভুল করতে পারে মুসলিম হক আর যেই হক.. আপনি চান সত্য সরল পথ. তবে মানুষ কে দেখলে আপনি সরল পথ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন ! তাই কোনো মানুষ কে দেখা টা ঠিক না
আপনি যদি ইসলাম সম্পর্কে জানতে চান তো মুসলিমদের কে দেখবেন না । কারণ মানুষ নামে ভুল করতে পারে. আমি যে 100% ঠিক করি তাও না আপনি আম্মাকে দেখবেন না আমিও ভুল করি তবে ইসলাম ধর্ম কখনো ভুল বলে না তাই আপনি দেখবেন ইসলাম মূল ধর্ম গ্রন্থ আল কূরান !
কূরানের ভাষা বুঝে এক মাত্র জ্ঞানীরা
কারণ তারা যাচাই করে এবং পরীক্ষা করে
অধিক বিজ্ঞান দিয়ে , আর আলহামদুলিল্লাহ
কূরানে 6666 আয়াতের মধ্যে 1 হাজারের বেশি আয়াত বিজ্ঞান নিয়ে বলা আছে ।
যদিও কূরান বিজ্ঞানের বুক না ! এটা হছে আয়াত নিদর্শনের বুক মানুষ কে সত্য পথে চালায় তবে
কূরান বিজ্ঞানের চেয়ে অনেক এগিয়ে ।
এই কারণে বেশির ভাগ পশ্চিমারা ইসলাম গ্রহণ করে থাকে ! কারণ তারা এখন বিজ্ঞানে অনেক উন্নত কিন্তূ তারা আজ যা বলছে
কূরান 1440 বছর আগেই বলেছে.. তারা বিজ্ঞান দিয়ে কূরান কে পরীক্ষা করে আর যখন তারা পরীক্ষা করার জন্য কূরান পড়ে তখনি তারা বুঝতে পারে যে এই কূরান কোনো মানুষের লেখা না ।
তখন ইসলাম কবুল করে নেই আর মুসলিম হয়ে যায় । কিন্তূ সব কিছু আল্লাহর হেদায়াত তবে মানুষ কে চেষ্টা করতে হবে আসলেই কি সত্য এই বলে ।
কাশ করে ইন্ডিয়াতে অনেকে ইসলাম গ্রহণ করে থাকে ।
তবে আমাদের কে হিকমার সাথে অমুসলিমদের কাছে এই বাণী পৌঁছে দিতে হবে । সেটা কি ভাবে করব।
তার জন্য আল্লাহ বললেন
পবিত্র কূরানে যে কি ভাবে তাদের কাছে দাওয়া দেওয়া যাবে ।
সূরা নাহল আল্লাহ এরশাদ করলেন ।
125
(আপনার পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।)
কূরান সব সময় যুক্তির পক্ষে কথা বলে
কূরানে অনেক জাগায় বলা হয়েছে
সূরা বাকারাহ 242 আয়াতে
উল্লেখ আছে ।
(এভাবেই আল্লাহ তা'আলা তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা তা বুঝতে পার।)
কূরান চাই মানুষ যেন কূরান বুঝতে পারে
তারপর মেনে নেই।
আল্লাহ আরো বলেছেন
সূরা ইব্রাহিম 52 আয়াতে..
(এটা মানুষের একটি সংবাদনামা এবং যাতে এতদ্বারা ভীত হয় এবং যাতে জেনে নেয় যে, উপাস্য তিনিই-একক; এবং যাতে বুদ্ধিমানরা চিন্তা-ভাবনা করে।)
কূরানে বলছে তারা বুঝে শুনে বিশ্বাস করুক
আর জ্ঞানীরা বুঝে শুনে কাজ করে
আর কূরানে তাদের জন্য প্রশ্ন এবং উত্তর আছে
কূরান বুদ্ধিমান মানুষদের কে আনন্দিত করে বা
বা খুশি করে.।
আর ইসলাম একমাত্র ধর্ম আর কূরান একমাত্র ধর্ম গ্রন্থ
যেখানে কোনো ভুল তুমি খুঁজে পাবে না। এর জবাব ও কূরানে আল্লাহ দিয়েছেন
(এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত।)
সূরা নিশা 82 )
তাই কূরান কে ভুল প্রমাণ করা সহয
যদি না বুঝে পড়েন.. তবে অনেকে না বুঝে পড়ে সেই জন্য সে বলে যে ভুল আছে ॥
অনেকে আছে বুঝার পরেও ভুল ব্যক্ষা দিয়ে থাকে তবে সেটা কূরানের ভুল না. ভুল তার অন্তরের ।
কূরান বহুত রকম ভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে আগের দিনে
এখন তো আরো ভাল ভাবে পরীক্ষা করা যায় কারণ এই যুগ টা বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির যুগ ।
আর আগে ছিল সাহীত্তোর যুগ বা কবিতার যুগ । কিন্তূ এখন বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগ ।
তাই এখন আরো ভাল ভাবে এই কূরান কে পরীক্ষা করা যায় ।
আর ভাল ভাবে তারা চেক করে পরীক্ষা করে কূরান কে ॥ আর কূরান বার বার প্রমাণ করে যে সেটা আসমানী বুক । কোনো মানুষের লেখা না !
তবে কূরানের বিরুদ্ধে কম সে কম 100 অভিযোগ এসেছে বিজ্ঞানী ভুলের ব্যাপারে
কিন্তু সে সব মিথ্যে অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই নয় । তবে পশ্চিমারা এই ভুলের কথা শুনে অনেকে এই কূরান পড়েছে আর মুসলিম হয়ে গিয়েছে ।
কারণ আপনি যদি বিজ্ঞান সম্পর্কে জানেন
ফ্রান্সিস ব্রেকৌন বলেছিলেন আপনি যদি বিজ্ঞান সম্পর্কে বেশি যানেন তাহলে হবে সৃষ্টিকর্তাই বিশ্বাসী আর কম জানলে হবে এক জন নাস্তিক..
তবে বিজ্ঞানীরা সৃষ্টিকর্তার অনেক ধারণার বিরোধিতা করছে । কিন্তূ স্রষ্টার বিরোধিতা করে না ?
লাইলাহা ইল্লাল্লাহ ।
এই কূরানে বিশ্বের পুরো মানুষ জাতির সমস্যার সমাধান আছে ইসলামে !
বর্তমান বিশ্ব্ কিছু মানুষ বস্তুবাদের ভিতর ডুবে আছে ! যেমন শারীরিক সুখ শান্তির দিকে মানুষ বেশি নজর দিয়ে থাকে তারা বস্তুবাদের ভিতর ডুবে থাকে দুনিয়ার মোহব্বাতে টাকা পয়সার অহংকারে এবং অন্যায় ভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা ভগ করে ।
তাদের জন্য কূরানে অনেক রেফারেন্স আছে তবে কিছু আয়াত আমি রাখছি..
পবিত্র কূরানে আল্লাহ্ তা' আলা বললেন
সূরা তওবা
৯:৩৪
(হে ঈমানদারগণ! পন্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।)
এখনে পণ্ডিত বলতে তাদের কে বুঝিয়েছে পীর দরবেশ সাধু মানে যারা মানুষ কে ধোঁকা দিয়ে টাকা ইনকাম করে এবং মানুষ কে আল্লাহর পথ বুঝতে দেই না ! তারা নিজের পেটে জাহান্নাম এর আগুন ভর্তি করে রাখে !
এবং যাদের কাছে পুঞ্জীভূত সনা রূপা আছে কিন্তূ
আল্লাহর পথে খরচ করে না গরীব মিসকিনদের কাছে ব্যয় করে না আবার পুঁজি পুঁজি জমা করে রেখে দেই ! তাদের জন্য কঠোর ছাস্তী রয়েছে !
আল্লাহ আরো বললেন
৯:৩৫
(সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার।)
সেই দিন মানে কেয়ামতের দিন তাদের সম্পদ থেকে আগুন বের হবে আর বলা হবে তোমরা এই আগুন দুনিয়াতে জমা করে রেখেছিলে মানুষ কে ধোঁকা দিয়ে । এই সেই তোমাদের ধনসম্পদ !!
এবং কূরান বলছে.. এই দুনিয়ার জীবন পরকালের জন্য এক পরীক্ষা
সূরা মূলক আয়াত 2
(যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।)
আল্লাহ প্রতি তা মানুষ কে পরীক্ষা করছেন
এই কিছু সময়ের জন্য সেটাও বলে দিয়েছেন মহান আল্লাহ ! কিন্তূ মানুষ এমন ভাবে চলে ফেরা করে যেন তার কখন মৃতু হবে না
(আল্লাহ আরো বললেন সূরা ইমরান
185
প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।)
এখানে বলা হয়েছে প্রতেক জীব কে মৃতুর সাদ গ্রহণ করতে হবে আর আর চূড়ান্ত পুরুস্কার দেওয়া হবে শেষ বিচারের দিন তাদের মধ্যে যে জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে যাবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে সেই ব্যাক্তি এই জীবনের উদ্যেশ্যে পরিপূর্ণ হবে.?
ইহকালের এই জীবন একধরনের পুলোভন
কূরান বলছে এই জীবনে যে মাল ও দৌলাতের পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছে সে বুঝতে পারে না এই জীবন আসলে একধরনের পুলোভন !
কিন্তু যে লোক নিজে কে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে সেই এই জীবনের লক্ষ্য পূর্ন করবে.!
মানুষ অনেক টাকা পয়সা খরচ করে
তার জন্য আল্লাহ কূরানে বললেন
সূরা ইসরা
26
( আত্নীয়-স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না।
27
নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।)
যারা বেকার টাকা পয়সা খরচা করে কোনো গরীব মিসকিন কিংবা মানুষের পিছনে খরচা করে না তারা শয়তানের ভাই
আর আজকের দিন পুরো পৃথিবীতে কারো সম্পদ থাকলে আরো সম্পদ অর্জুন করতে চাই !
আপনি নিজের সম্পদ দিয়ে অন্যের সম্পদ গ্রাস করবেন , বাংলায় এটা কে বলা হয় ঘুষ ,
পবিত্র কূরানে আল্লাহ্ বললেন
সূরা বাকারাহ 188
(তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না॥)
এখানে বলা হয়েছে আপনার সম্পদ দিয়ে আপনি ঘুষ দেবেন না বিচারকদের ! যেটা দিয়ে আপনি অন্যের সম্পদ গ্রস্ করতে পারেন ! এটা বড় অন্যায়
ঘুষ সম্পর্ণ নিষেধ করা হয়েছে ইসলামে.. !
পবিত্র কূরানে আল্লাহ বললেন
সূরা হুজুরাত
11
(মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।)
এখনে বলা হয়েছে এক দল মানুষ যেন অন্য এক দল মানুষের দিকে তাকিয়ে উপহাস কর না কারণ তুমরা যাননা তাদের মধ্যে কোন দলটি ভাল
মেয়েদের কেও ঠিক এই ভাবে বলা হয়েছে..
কেউ যানে না কার মনে কি থাকে তার জন্য এই আয়াতে বলে দিলেন আল্লাহ কারো দিকে তাকিয়ে হাসা কারো নামে নিন্দা করা কাউ কে খারাপ নামে ডাকা ইসলামী সম্পর্ণ নিষেধ করা হয়েছে.. !
12
(মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।)
কাউ কে পিছন থেকে আঘাত করা বা কারো গোপন বিষয় তালাশ করা অথবা কারো নামে কুচাঁছা রটানো বা কোনো প্রমাণ ছাড়া কাউ কে দোষী করা বা সন্দেহ করা ! ইসলামে সম্পর্ণ নিষেধ করা হয়েছে কূরান বলছে কারো পিছন থেকে নিন্দা করা বা আন্দাজে কারো দোষ দেওয়া বা পিছন থেকে কারো উপর আঘাত করা ! সেম মৃত ভাই এর গোস্ত খাওয়ার সমান অন্যায় ! কেউ কি কখনো চাইবে তার মৃত ভাই এর গোস্ত খেতে ! কেঊ চাইবে না তাই বলা হল তাহলে তোমরা এটা কে ঘৃণা করো !
মুসলিম হক যায় হক ইসলাম সকল কে বলছে. যারা ইসলাম ধর্মের দোষ দিয়ে থাকে তাদের ভাবা দরকার আরে ইসলাম ধর্মের দোষ কি কোনো মানুষ যদি ভুল করে তো ইসলাম ধর্ম কি তাকে বলে ভুল করতে.. ইসলাম তো পুরো পুরি বাবর নিষেধ করছে.. তাই কোনো মানুষ যদি ভুল করে হক সে মুসলিম বা অমুসলিম সেটা ধর্মের দোষ হয় না দোষ সেই মানুষ টার ॥॥
যারা চুগলখড়ি করে বেড়ায় তাদের জন্য কঠোর ছাস্তীর কথা হয়েছে
প্রবিত্র কূরানে আল্লাহ বললেন
সূরা হুমাযাহ 1
দুর্ভোগ তাদের যারা
একে অন্যের কথা বলে বেড়ায়
বা পিছন থেকে নিন্দা করে !!
আর এক টা জিনিস ইসলামে সম্পর্ণ ভাবে নিষেধ করেছে সেটা সুদ ! এটা শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ড থেকে ! আর তারা এই অসুখ টা কে
এখন পুরো পৃথিবী ছড়িয়ে দিয়েছে !
কিন্তূ ইসলামে এটা বড় গুনাহ
কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে সুদ খাওয়া ইসলামে একদম হারাম
সূরা ইমরান 130 সূরা নিশা 161 সূরা রূম 39
সূরা আল বাকারাহ 275/276/278/279
সুদ শব্দ টা সব মিলিয়ে 8 বার উল্লেখ আছে
লোকে জানতে চাই কেন ইসলামে সুদ খাওয়া হারাম অনেকে মনে করে এটা ব্যবসা কিন্তু না ব্যবসা আলাদা জিনিস আর সুদ আলাদা
সুদ এর জন্য আল্লাহ বলল
সূরা বাকারাহ 278
হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।
279
অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না।)
কত কঠোর ভাবে নিষেধ করা আছে এর পরেও যদি কেঊ সুদ এর করবার করে তো সে আল্লাহ এবং তার রাসূল কে challenge করছে
আল্লাহ বললেন যদি সুদ এর ব্যবসা না ছাড়তে পারো !! তো আল্লাহ এবং রাসূলের সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তত হয়ে যাও !!!
কেউ কি আছে আল্লাহ এবং রাসূলের সাথে যুদ্ধ করবে.. ॥॥ নাউযুবিল্লাহ ॥
এবার দেখব বাবা মায়ের জন্য ইসলামে কি বলা আছে..
কূরানে অনেক জাগায় উল্লেখ করা আছে বাবা মা কে শ্রদ্ধা করার কথা !!
তবে বিশেষ করে বলা হয়েছে সূরা আল ঈসরা 23/24/
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ˜উহ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।
১৭:২৪
তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।
কি ভাবে বলা হয়েছে এই আয়াতে একটু বুঝে পড়িয়েন
আল্লাহ বলেছেন আমার ইবাদত করো এবং আমাকে ছাড়া অন্য কারো পুজা করো
এবং আমার ইবাদত এর পরে পরে তোমার তোমার বাবা মা কে শ্রদ্ধা করো
তাদের কে উহ পর্যন্ত করা যাবে না !!
কোন ধর্মে এই ভাবে বলা আছে
যারা ইসলাম এর নামে ফালতু কথা বলে তারা আসলে মানুষ না
এবার দেখব ব্যভিচারের ব্যাপারে ইসলামে কি বলা আছে..
সূরা ইসরা 32
(আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।)
ভাবে বলা আছে দেখেন ব্যভিচার কত নুংরাহ কাজ !! আর এই কারণে ইসলামে বিয়ে করা বাধ্যতামুকুল !!
এছাড়া উল্লেখ আছে সহীহ বুখারীতে
7 খন্ডে বয়ের নাম নিকাহ 3/4
আমাদের প্রিয় নবী
সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন
 ও যুবক যুবতীরা যাদের বিয়ে করার সমর্থ আছে তাদের বিয়ে করা উচিত
প্রিয় নবী আরো বলেছেন
যে বিয়ে করে সে তার দীনের অর্ধেক পূর্ণ করে !
অনেকে আবার প্রশ্ন করে থাকে এক টা বিয়ে করলে যদি দীনের অর্ধেক পূর্ণ হয় তাহলে দুটি করলে
হয় তো দীনের পুরোটায় পূর্ণ হবে
কিন্তূ নবী জি কি এই ভাবে বুঝিয়েছে..
তিনি তো ব্যভিচার থেকে বাচার জন্য বলেছেন যাতে আমরা গুনাহ না করে বসি !
বিয়ের বয়েস হলে বিয়ে করা ফরজ !!
আল্লাহ বলেছেন সূরা রূম 21
(আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।)
কত সুন্দর ভাবে তিনি বলেছেন
আমাদের মধ্যে থেকে আমাদের সঙ্গিনী কে সৃষ্টি করেছে এবং আমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন কত দয়াময় তিনি মহান আল্লাহ
অনেকে বলে থাকে ইসলামে 3""""4 টা বিয়ে করার হুকুম আছে !! হ্যাঁ আছে কিন্তু কি ভাবে বলা আছে সেটা দেখতে হবে !
সূরা নিশা 3 আল্লাহ বলেছেন
তোমাদের পছন্দের মেয়ে কে বিয়ে করো দুই তিন কিনবা চার টা পর্যন্ত ! আর যদি তোমরা মনে করো যে তাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে পারবে না তাহলে শুধু মাত্র এক টা বিয়ে করে শান্তিতে থেকো !!!
কূরান বলছে যদি ন্যায় বিচার করতে না পারো তাহলে এক টা মাত্র বিয়ে করো
 পৃথিবীর আর কোনো ধর্ম গ্রন্থে এই ভাবে বলা নেই ..... যে এক টা বিয়ে করো.
আল্লাহ আরো বললেন সূরা নিশা 129
এটা অসম্ভব যে তোমার সব ইস্ত্রি কে সমান ভাবে দেখবে তবে তাদের কারো উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নীয় না !॥॥॥
এখন বলি যে লোক ন্যায় বিচার করতে পারবে সে যদি বিয়ে করে তাহলে আমাদের প্রবলেম কি আমরা নিজে যেন না করি সেটাই ভাল পরের কথা কয়ে গুনাহগার হোওয়ার কি প্রয়জন॥॥
বাট খুব কম লোকে করে এমন টা
আল্লাহ হুকুম দিয়েছেন আল্লাহ তার পিছনে কারণ আছে ? কারণ পৃথিবীতে ছেলেদের থেকে
মেয়েদের সংখাঁ অনেক বেশি আল্লাহ ভালই যানেন সেই জন্য হয় তো এমন টা বলেছেন
আর
আমাদের ইন্ডিয়াতে মেয়েদের সংখা কম কারণ
প্রচুর পরিমাণে মেয়ে শিশু হত্যা করা হয় !! কিন্তু মেয়ে শিশু হত্যা বড় গুনাহ
এবং ইসলামে শিশু হত্যার জন্য খুব ভাল ভাবে বলেছে
সূরা তাকবীর
7
(যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে,
8
যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে,
8
কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল?)
এখানে শেষ বিচারের দিনের কথা বলা হয়ে
যে সব জীবন্তদের কে হত্যা করে হয় !
কেয়ামত দিন পুনরায় তাদের কে জীবিত করা হবে আর জিগেস করা হবে কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল !! এছাড়া
অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে
সূরা ইসরা 31 আল্লাহ তা'আলা বললেন
( দারিদ্রের ভয়ে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই জীবনোপকরণ দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মারাত্নক অপরাধ।)
আল্লাহ দিয়েছেন জীবন কারো হত্যা করার অধিকার নাই যারা এমন তা করে তারা খুব গুনাহ করে..
এই কারণে ইসলাম যাকাত ফরজ করা হয়েছে !
85 গ্রাম সনা যদি কারো কাছে কাছে থাকে তো প্রতেক সালে তাকে হিসাব পরিমাণ আড়ায়% তাকে যাকাত দিতে হবে !
যদি পৃথিবী প্রতেক টা ধনী মানুষ যাকাত দিতেন যে ভাবে ইসলামে বলা আছে তো একটিও গরীব মানুষ অনাহারে মারা যেত না !
যাকাত এর কথা কূরানে বিস্তৃত ভাবে বলা আছে !! শুধু নামায পড়লে রোজা রেখে তার কোনো কাজ হবে না যদি হিসাব পরিমাণ যাকাত না দেই !! অনেক মুসলিম খুশি মনে যাকাত দেই না তাদের নামায রোজা কি হবে কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না তবে আল্লাহ চাইলে সকল গুনাহ মাফ করতে পারেন !!
তাহলে চিন্তা করেন ইসলামে কোনো রকম খুঁত তুমি দেখতে পাবে না সব দিকে পুরা ভাবে বলা হয়েছে
এবার বলেন আপনি ইসলামের নামে বদনাম করেন আবার বলেন মানুষ কে ভালবাসার উপর কোনো ধর্ম নেই. ঠিক সেটাই মেনে দিলাম কিন্তু শুধু মুখে বলেন যে মানুষ কে ভালবাসার উপর কোনো ধর্ম নেই. কি করেন আপনি মানুষের জন্য কোনো উত্তর আছে আপনার কাছে ! কিছু মূর্খ মুসলিম আছে যারা নিজের যানে না ইসলাম সম্পর্কে তারাও ঐ রকম অমুসলিমদের মত কথা বলে থাকে..
আরে আগে বুঝেন ইসলাম ধর্ম তোমাকে কোন জাগায় আঘাত করছে.
এক জন মুসলিম যদি আপনার দোষ করে তার মানে এই নয় যে ইসলামে লেখা আছে ! সে তো মানুষ সেট ভুল করতে পারে !! ভুল তো মানুষের হয় ॥ তাহলে কেন না যেনে ধর্মের নামে বদনাম করেন.॥ পৃথিবীতে আর কোনো ধর্মে দেখাতে পারবে যেখানে মানবতার এমন সমাধান দেওয়া আছে !!!!
এছাড়া কূরানে আরো উল্লেখ
সূরা মায়েদা 32
যদি কেঊ কোনো মানুষ কে হত্যা করে হক সে মুসলিম বা অমুসলিম
সেটা যদি খুন কিনবা অন্য কোনো কারণে না হয় তো সে যেন পুরো মানুষ জাতি কে হত্যা করল
আর কেঊ যদি কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করে হক সে মুসলিম বা অমুসলিম তো সে যেন পুরো মানুষ জাতির জীবন রক্ষা করল !!!!
চিন্তা করেন !! ইসলাম সব সময় মানবতা নিয়ে কথা বলে কখনোই মানুষের বিরুধী করে না আর কিছু বদমাশ ভুল ভাবে প্রচার করে যে ইসলামে এই বলে তাই বলে আরে আগে মন টা ঠিক করেন নিজের তার পর বলবেন !!
এই জন্য আমি বলি যে তুমি তখনি এক জন ভাল মানুষ হতে পারবে যখন তুমি Quraaner কথা গুলো উনসরণ করবে আর কূরানের কথা গুলো উনসরণ করলে তুমি হবে এক জন মুসলিম আর তখনই তুমি এক জন ভাল মানুষ হতে পারবে তাছাড়া জীবনে কখনোই পুরো পুরি ভাল মানুষ হতে পারবে না !!!!



No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.