শ্রেষ্ঠ ধর্ম বা শ্রেষ্ঠ জাতি বলতে ইসলামে কিছুই নেই ?

মুসলিম হয়ে বলছি,

শ্রেষ্ঠ ধর্ম বা শ্রেষ্ঠ জাতি বলতে ইসলামে কিছুই নেই।
লিখেছেনঃ মোঃ নাসির শেখ 


ইনি নিজেকে মুসলিম হয়ে এই দাবি উপস্থাপন করছেন। স্বভাবত, এমন দাবির জন্যই তিনি মুসলিম কিনা সন্দেহ জেগেছে। যাইহোক, আল্লাহ আপনার মত সামান্য জ্ঞানের কোন স্বত্তা না। ইসলাম ভালোভাবে বুঝলে, বুঝবেন এমন প্রশ্নই অযথা বা ভুল।

প্রথমেই যে ভুল হয়েছে তা হল শ্রেষ্ঠ শব্দের প্রয়োগ। শ্রেষ্ঠ কোন বস্তুর (জ্বীব) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যার স্ত্রীবাচক শব্দ শ্রেষ্ঠা। ধর্ম কোন বস্তু না তাই তার আগে শ্রেষ্ঠ শব্দ প্রয়োগ হতে পারে না। হলেও তা ভুল হবে।

এই যুক্তি বাদেও আল্লাহ শ্রেষ্ঠ শব্দ ব্যবহার করেননি এই জন্য যে ইসলামকে শ্রেষ্ঠ বলা হলে অন্য ধর্মগুলো শ্রেষ্ঠ না হলেও বাতিল বোঝাইতো না। যার জন্য আল্লাহ সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন, "একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।" এমন বাক্যই সবচেয়ে পারফেক্ট। এতে শুধু মাত্র ইসলামকে দ্বীন হিসেবে রাখা হল এবং বাঁকিগুলো বাদ দেয়া হল। আমার-আপনার মত সামান্য জ্ঞানের অধিপতি আল্লাহ নন।

এখন, হয়তো ত্যানা পেঁচাইতে বলতেই পারেন, আল্লাহু আকবার মানে তো আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ! তবে তো অন্যদের দেয়া ধারণাকৃত শ্রষ্টা বাদ দেয়া হচ্ছে না? 

আল্লাহু আকবার শব্দগুলোর পরেই লাইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা হচ্ছে। যার মাধ্যমে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে একমাত্র ইলাহ হচ্ছে আল্লাহ। পুরো অংশকে নিতে হবে। খন্ড বিশেষ নিলে বুঝতে ও জানতে ভুল হবে।

অন্য ধর্মের শ্রষ্টা ধারণা এসছে ধর্ম থেকে সেই ধর্মই যেখানে বাদ সেখানে তার দেয়া শ্রষ্টার ধারণা কিভাবে টেকে? আমি-আপনি হাজারো বার যদি বলি আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই তবুও মানুষ পার্থিব ও অপার্থিব বস্তুকে শ্রষ্টা মনে করে। কতশত স্রষ্টা কল্পনায় মানুষের আসে তার ইয়ত্তা নেই। চন্দ্র - সূর্য, সাপ, হনুমান, মানুষ ইত্যাদিকে স্রষ্টা ভেবে বসে। এগুলোকে আবার স্রষ্টার সমকক্ষ ভাবে। যেহেতু সমকক্ষ ভাবে সেহেতু সেখানে কাউকে শ্রেষ্টত্ব নিতেই হবে। যদিও বাঁকিগুলো বাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু, মানুষ যাতে শ্রেষ্ঠত্বের দিকে আসে তাই আল্লাহ নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলছেন, অন্য কাউকে অনুমোদন দিতে নয়।

★★★শ্রেষ্ঠ ধর্মের জবাব পেয়েছে আশা করি। এবার শ্রেষ্ট জাতি সম্পর্কে বলি। শ্রেষ্ঠ জাতি বলে কিছু নেই নাকি উনার দাবি। চক্ষু খুলিয়া নিচের আয়াতটা দেখেন। বেশি কিছু নাই বা বললাম (কেননা আমার পোস্টের নাম এক টুকরো কাউন্টার। তাই বেশি কথা নাইবা বললাম। আর আমার কথা কেনই বা বলার প্রয়োজন যেখানে আল্লাহ নিজেই জবাব দিয়েছেন)।
كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ مِنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ ﴿١١٠﴾

অর্থ্যাৎ, তোমরাই শ্রেষ্ঠতম জাতি। মানবমন্ডলীর জন্য তোমাদের অভ্যুত্থান হয়েছে, তোমরা সৎকার্যের নির্দেশ দান করবে, অসৎ কার্য (করা থেকে) নিষেধ করবে, আর আল্লাহতে বিশ্বাস করবে।[1] গ্রন্থধারিগণ যদি বিশ্বাস করত, তাহলে তা তাদের জন্য উত্তম হত। তাদের মধ্যে বিশ্বাসী আছে, [2] কিন্তু তাদের অধিকাংশ সত্যত্যাগী।- সুরা আল-ইমরান, আয়াত- ১১০
(ট্যাগ করা সম্ভব হয়নি অ্যাড ও এই গ্রুপের মেম্বার না হওয়ায়। পোস্ট এপ্রুভ হলে মূল পোস্টে লিংক পৌঁছে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ)


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.