ভুল গবেষণা/ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার/চিন্তা শক্তি/ভবিষ্যৎ বানী সত্যতা/মানবতা

গবেষণার নামে ইসলাম এবং মুসলমানের মাঝে প্যাচগি লাগানোর ধান্ধা !!!

ইসলাম এমন সস্তা বিষয় নয় কে যার তার কথায় চলবে। ইসলাম চলবে পবিত্র কোরআন এবং সুন্নাহ মোতাবেক। আর এই কোরআন এবং সুন্নাহকে প্রকৃত মুমিন মুসলমানগণ হাজার বছর ধরে যেভাবে বহন করে আমাদের পর্যন্ত এনেছেন সেইটাই হলো প্রকৃত দ্বীন। বাকি হঠাৎ কইরা নতুন নতুন পন্ডিত মৌসুমী ব্যবসায়ীর মতো ফুরুৎ কইরা ইবলিশের প্রতিনিধিত্ব করতে ইসলামী স্কলারের বেশ ধরে গবেষণা করে যা তা বলবে তা-ই আমরা বিশ্বাস করবো তা হতেই পারেনা। আমরা আমাদের পরম্পরার আমল এবং আকাবির থেকে কিছুতেই সরতে পারিনা নতুন নতুন মৌসুমী গবেষকদের আবিষ্কারে।

বর্তমানে আমরা মুসলিমরা তো ইসলাম নিয়ে গবেষণা করিইনা। আমরা করিনা বলেই অমুসলিমরা এটা করে করে সময় সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাজির হয় অমুক তমুক গবেষণার নামে। যেহেতু আমরা মুসলিমরা নিজেদের ইসলাম এবং ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে অজ্ঞ সেহেতু বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে তারা যা গিলাতে চাইবে আমরাও তাই গিলবো সেটা তারা ভালই জানে।

অতএব প্রতিটিা বিষয়ে সতর্ক থাকা আবশ্যক। যেমন ডয়চে ভেলে একবার নিউজ করলো সমকামী ইমামকে নিয়ে। অজ্ঞ মুসলিমরা তো সমকামী ইমাম আছে যেহেতু তার মানে সমকাম বৈধ এমনটাই বুঝবে, কতজন এই ফাদে পড়বে সেটা ধর্তব্য নয় কয়েকজন পড়লেই তো লাভ। তারপর মহিলা ইমাম, নারী-পুরুষ পাশাপাশি গায়ে গায়ে লেগে লেগে সালাত আদায় করা যাবে কত কিছু। অতি উদারপন্থী নন প্র্যাকটিসিং মুসলিম নামধারীরা এটাকেই মেনে নিলো ইসলামের সমঅধিকার উদারতা হিসেবে। ফলশ্রুতিতে দিনে দিনে আমাদের ঈমান এবং আমল হয়ে যাচ্ছে ইসলামচ্যুত।

সম্প্রতি মুসলিমদের ইবাদতের প্রাণকেন্দ্র মক্কা নিয়ে ইবলিশীয় প্রচারণা করা হচ্ছে যে মক্কা নাকি কেবলা নয়। (নাউযুবিল্লাহ)

আসুন আমরা ইবলীশীয় গবেষণা থেকে নিজেদের রক্ষা করি। আর নিজেরা ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। এ দায়িত্ব সবার, ঈমান রক্ষার দায়িত্ব।


================================
#ইসলামের_বিরুদ্ধে_'ওদের' মিথ্যাচার ও নানা অপপ্রচারের মোকাবিলায় আমাদের আসল দায়িত্ব ও করণীয় :
" ইসলামের বাস্তব অবদান ও প্রভাবসমূহ, সোনালী সভ্যতা-সংস্কৃতি এবং নানা সৌন্দর্য-বৈশিষ্ট্যগুলো বিভিন্ন দিক থেকে সহজ সরল ভাষায় তুলে ধরা। "
কারণ এ গ্রুপে এমন অনেক ভাই-বোন আছেন, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে যাদের ইসলামের আসল রূপ ও সৌন্দর্য সম্পর্কে ততটা জানাশোনা থাকে না।
#উদাহরণ_স্বরূপ_বলতে_পারেন-
ইসলামের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে " ইসলামী আদালতের চোখে প্রেসিডেন্ট ও রিকশাওয়ালা সমান। "
আর প্রমাণ হিসেবে এ হাদীসটি পেশ করতে পারেন- 'মক্কায় এক সম্ভ্রান্ত মহিলা চৌর্যবৃত্তিতে লিপ্ত হওয়ার পর শাস্তি মওকূফ করার ব্যাপারে সুপারিশ করা হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা দেন:
শাস্তির ক্ষেত্রে ধনী গরীবের পার্থক্য করার কারণেই পূর্ববর্তী জাতি ধ্বংস হয়েছে।
আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাও যদি চৌর্যবৃত্তিতে লিপ্ত হয়, তার হাতও কেটে দেয়া হবে।' বিস্তারিত- বুখারী: ৩৪৭৫
==============
#আমরা_চিন্তার_সহায়ক_হিসেবে_উদাহরণ_স্বরূপ_কিছু_পয়েন্ট_তুলে_ধরছি:
#পুরো বিশ্বমানবতার উপর ইসলাম ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইহসান-অবদান এবং প্রভাবসমূহ:
{নীচের পয়েন্টগুলো প্রাথমিক ও প্রস্তুতিমূলক নোটস, তাই অনেক কথা ইঙ্গিতে বা অনেক সংক্ষেপে বলা হয়েছে। সুতরাং চিন্তা ভাবনা করে পড়লে - নানা শাখা প্রশাখা বের করে প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে আলাদাভাবে বিস্তারিত লেখা তৈরি হতে পারে}:
১. শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, বিকাশ ও উৎসাহ প্রদান । (তাফসীর, হাদীস, ফিকহ শাস্ত্র এবং ভাষা ও সাহিত্যের অজস্র শাখা প্রশাখা. তাসাউফ, দর্শন ও ইলমে কালাম শাস্ত্র, ..... )
১. নানারকম দাসত্ব ও যুলুম অত্যাচার থেকে মুক্তি, স্বাধীনতা; কুসংস্কারের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে...
২. সভ্যতা: স্পেন দামেস্ক বাগদাদ কূফা বসরা
৩. শিষ্টাচার শালীনতা রুচি পবিত্রতা (আদাবে যিন্দেগী) এর শিক্ষা ও পূর্ণ বিকাশ
৪. ইনসাফপূর্ণ বিস্তারিত ব্যাপক আইন কানুন ; ব্যক্তিগত, সামাজিক, সামরিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্যিক, রাষ্ট্রীয়, কূটনৈতিক আন্তর্জাতিক।
৫. ন্যায় বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা
৬. মানবতা মনুষ্যত্ব দয়া রহমত ও শফকতের ব্যাপক শিক্ষা
৭. The Golden Ages Of Islam বা ইসলামের স্বর্ণযুগ হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞান, নতুন নতুন আবিষ্কার, সমুদ্র অভিযান ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের পথিকৃৎ (এ সংক্রান্ত সামান্য ধারণা নিতে ২ এবং ৩ নং টীকা অনুসরণ করুন! )
৮. ভয়ংকর দাসপ্রথার আমূল সংস্কার ও প্রায় বিলোপের ব্যবস্থাপনা (যুদ্ধবন্দী ছাড়া, যা অনন্যোপায় আবশ্যিক ও যৌক্তিক ) ।
৯. আখলাক উত্তম চরিত্র ও সামাজিকতার (اخلاقيات و معاشرات ) নানা দিকের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিকাশ সাধন।
১০. বিভিন্ন অধিকার ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাম্য প্রতিষ্ঠা। শ্রম, ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সমস্যাবলির উত্তম সমাধান
১১. ভারসাম্যপূর্ণ যুদ্ধনীতি, সামরিক প্রস্তুতি ডিসিপ্লিন শৃঙ্খলা অভিনব কৌশল ও ট্রেনিং প্ল্যানিং
১২. ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষার আশ্চর্য শিক্ষা
১৩. যে সমস্ত ক্ষেত্রে দুই পক্ষের হক ও অধিকারের ব্যাপার থাকে, সেখানে ভারসাম্যপূর্ণ উপদেশ ও বিধিমালা।
১৪. প্রকৃত নারী-স্বাধীনতা ও তাদের অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠা
১৫. নগরায়ন ও শহরায়নের ধারণা
১৬. মাআশী হালাতের সমাধান।
বয়স্ক সম্মানী বেকার বিধবা শিশু প্রতিবন্ধী ভাতা......ওয়েলফেয়ার সিস্টেমেরও ধারণা,
مؤاخاة بين المهاجرين والأنصار
«2399» عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ((مَا مِنْ مُؤْمِنٍ إِلاَّ وَأَنَا أَوْلَى بِهِ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ: {النَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ} فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ مَاتَ وَتَرَكَ مَالاً فَلْيَرِثْهُ عَصَبَتُهُ مَنْ كَانُوا، وَمَنْ تَرَكَ دَيْنًا أَوْ ضَيَاعًا فَلْيَأْتِنِي فَأَنَا مَوْلاَهُ)).
১৭. আধুনিক স্বয়ংসম্পূর্ণ শক্তিশালী রাষ্ট্রের ধারণা।
*#বি. দ্র.:
حدیث "عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين وعضوا عليها بالنواجز"، "ما أنا عليه وأصحابي"
সুতরাং এ হাদীসের আলোকে খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাহও ইসলামী শরীয়তের অন্তর্ভুক্ত। তাঁদের মাধ্যমেই, তাঁদের যামানায়ই ইসলামের পূর্ণ রূপ বাস্তব জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ ও আইডল হিসেবে মানুষের সামনে পরিবেশিত হয়েছিল।
তাই সেখান থেকেও এ সকল বিষয়ে দলীল-প্রমাণ ও আলো নেয়া যাবে।
অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুরআনে কারীম, সীরাতে রাসূল, সীরাতে সাহাবা এবং যামানায়ে খুলাফায়ে রাশিদীন পড়লেই এসকল বিষয়ে তথ্যের ভাণ্ডার পাওয়া যাবে।
#টীকা:
আরব উলামায়ে কেরাম এসব নিয়ে বিস্তর কাজ করে যাচ্ছেন।
এসব বিষয়ে উপমহাদেশের উলামায়ে কিরামেরও অনেক কাজ রয়েছে; কিছু তো মুরাত্তাব, আর কিছু মযমূন বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো, এ সকল পয়েন্ট মাথায় থাকলে পড়ার সময় টের পাওয়া যাবে।
#বিস্তারিত_গ্রন্থ_তালিকা_ও_সহযোগী_রেফারেন্সসমূহ:
https://m.facebook.com/story.php…
----------------------------------------
#নাস্তিক-আস্তিক সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গ্রন্থ :
(নাস্তিকদের যেমন ইসলাম সম্পর্কে ভুল ও অপ্রতুল জ্ঞান থাকে, তেমনি আমাদের বেশিরভাগেরই একই অবস্থা। তাই বলছি-
নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগুলো পড়ার পরই কেবল ইসলাম নিয়ে প্রশ্ন করতে বা জবাব দিতে বসবেন।)
https://m.facebook.com/story.php…


=====================================

ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার -------কখনো ভেবে দেখেছেন কি ?

দুনিয়ার আশ্চর্য বিষয় : ১. খ্রিস্টান নান ( ধর্মযাজিকারা ) মাথা থেকে পা পর্যন্ত গা ঢেকে কাপড় পরে । তাদেরকে সবাই সম্মান করে কেননা , তারা স্রষ্টার পথে নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছেন । অথচ মুসলিম নারীরা পর্দা করলে কেন তবে বলা হয় তারা নির্যাতিতা ? ঋগবেদে ও হিন্দু নারীদের শালিনতা পোশাক পরতে বলে- ৮/৩৩/১৯ [ কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আধুনিকা তরুণী তার ইচ্ছামত ফ্যাশন করে যেতে পারে , অথচ মাথায় সামান্য স্কার্ফ পরে মুসলিম ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না ।১৫ বছরের ফরাসী স্কুলছাত্রী Cenmet Doganny স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে প্রকাশ্যে মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন যাতে তার চুল কেউ দেখতে না পারে । এই কিশোরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ,আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিন্ত্ত আইন আমার ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে না । ]


২. ইয়াহুদীরা দাড়ি রাখে ও এ নিয়ে বলা হয় তারা কেবল তাদের ধর্মবিশ্বাস পালন করছে । অথচ মুসলমান পুরুষেরা দাড়ি রাখলে সে কেন হয়ে যায় চরমপন্থী ?

৩. পশ্চিমা কোন নারী যখন সন্তান - সংসারের জন্য চাকরী না করে ঘরে থাকে , তখন তার প্রশংসা করে বলা হয় সে আত্মত্যাগ করছে অথচ মুসলিম নারীরা সন্তানের জন্য একই ত্যাগ স্বীকার করলে কেন বলা হয় এই নারীদের স্বাধীন হতে হবে ?

 ৪. যখন কোন শিশু বিশেষ কোন বিষয়ে পড়াশোনা করে , তখন বলা হয় তার মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে ;অথচ ইসলাম নিয়ে কোন শিশু পড়লে কেন বলা হয় সে অপদার্থ ?

৫. যখন কোন অমুসলিম কাউকে খুন করে ,তখন গণমাধ্যমে তার ধর্মের উল্লেখ করা হয় না ( যেমন সন্ত্রাসী দল IRA বা টিমোথী মেক ভেইগ যখন সন্ত্রাস করে , তখন কোন ধর্মের দোষ হয় না ) ; অথচ কোন মুসলমান যদি অভিযুক্ত হয় , তাহলে ইসলামকে কেন দায়ী করা হয় ?

================================================
 ইসলাম ধর্মের ভবিষ্যত বাণী সত্য হওয়ার পথে, নিঃশেষ হবে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল আগামী ৫০ বছরে
সচিত্র বাংলাদেশ 10:51:00 AM
Share to:
URL
বাঁচতে হলে আমাদের সূর্যের দিকে তাকাতে হবে, সূর্যের সাহায্যই নিতে হবে। এক সকালে ড. সাজেদ কামাল যখন এভাবে বলেন আমাদের, আমরা কেউ দ্বিমত করতে পারিনি। তিনি সুফিয়া কামালের পুত্র, সুলতানা কামালের সহোদর। কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর নিজেরই রয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি। এ বিষয়ে তিনি আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাও করছেন বহু বছর ধরে।
তবে সাজেদ কামালের বক্তব্য বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। সারা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এখন একবাক্যে এসবই বলছেন। কেন বলেছেন তার সরল ব্যাখ্যাও রয়েছে। তা হচ্ছে, আমরা যেসব অনবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে থাকি, তা খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা একমত যে জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও ইউরেনিয়ামের মজুত আগামী ৫০ বছর এবং কয়লার মজুত আগামী ১৫০ বছরের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যাবে। পৃথিবীতে কোনো কোনো দেশের সামনে পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বটে, কিন্তু তা ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ, দুর্ঘটনাপ্রবণ ও ব্যয়বহুল। তা ছাড়া বিশ্বে বর্তমানে থোরিয়াম-নির্ভর যেসব পারমাণবিক জ্বালানি প্রকল্পগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলো চালু করতে গেলেও কিছুটা ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয় বলে এটিও কোনো বিকল্প জ্বালানির উৎস হতে পারছে না।
জ্বালানি না থাকলে আমরা কীভাবে চলব? জ্বালানির অভাবে শুধু যানবাহন বা শিল্পকারখানা চলবে না তা নয়, আমাদের প্রাত্যহিক ব্যবহার্য সবকিছুর উৎপাদন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে, আমাদের গার্হস্থ্য জীবন বিপন্ন হবে, মানুষকে ফিরে যেতে হবে এক আদিম জীবনব্যবস্থায়। কিন্তু মানুষের সে রকমভাবে জীবন যাপন করার কিংবা অন্য সব জীব ও উদ্ভিদের শুধু নিশ্বাস নেওয়ার মতো একটি বিশ্বও কি তখন থাকবে আর? আশঙ্কা হচ্ছে, সেটিও তখন থাকার কথা নয়। অনবায়নযোগ্য জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার অব্যাহত থাকলে বৈশ্বিক উষ্ণতা আগামী কয়েক দশকে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবে যে পৃথিবীর অস্তিত্বই তখন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।

এসব হুমকি বাস্তব, কিন্তু তা মোকাবিলার উপায় ও সুযোগ আমাদের রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির এক অফুরন্ত ভান্ডার রয়েছে আমাদের সামনে। তা হচ্ছে সূর্য, আমাদের সৌরজগতের সব শক্তির উৎস যে সূর্য। ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরের সূর্য থেকে এর বিকিরিত শক্তির কয়েক শ কোটি ভাগের এক ভাগ মাত্র পৃথিবীর বুকে এসে পড়ে। কিন্তু তারপরও এই সূর্য থেকে প্রতি ঘণ্টায় যে শক্তি পৃথিবীতে আসে, তা দিয়ে পৃথিবীর এক বছরের সব জ্বালানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

সোলার এনার্জি বা সৌরশক্তি পৃথিবীতে আলো, উত্তাপ, বাতাস, পানিপ্রবাহ ও ফটোসিনথেসিস—মূলত এই পাঁচ নবায়নযোগ্য প্রক্রিয়ায় সঞ্চালিত হয়। পৃথিবীকে অনিবার্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের এসব শক্তির ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। তেল, গ্যাস, কয়লার ব্যবহার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে একপর্যায়ে বন্ধ করতে হবে। বন ও জলাভূমির পরিমাণ বহুলাংশে বাড়াতে হবে। এসব কিছুই অসম্ভব নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মানুষের যথেষ্ট উদ্বেগ থাকলেও করণীয় বিষয় এবং এর বৈশ্বিক কর্মকৌশল নিয়ে রাষ্ট্রসমূহের যথেষ্ট ঐকমত্য নেই।

গত বছর জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি সম্পাদনকালে এবং এর আগে প্রায় এক যুগ ধরে এ নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি অবশেষে ঢিলেঢালা ধরনের হলেও প্যারিস চুক্তির মতো একটি ব্যাপকভিত্তিক ঐকমত্যে আসতে পেরেছে। এই চুক্তি আশাতীত দ্রুততার সঙ্গে কার্যকরও হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি যথেষ্ট?

প্যারিস চুক্তি গ্রহণ করা হয় ১২ ডিসেম্বর ২০১৫। এটি কার্যকর হওয়ার জন্য দুটো শর্ত ছিল। এ জন্য কমপক্ষে ৫৫টি দেশের অনুসমর্থন (রেটিফিকেশন) প্রয়োজন ছিল। কিন্তু একই সঙ্গে প্রয়োজন ছিল মোট গ্রিনহাউস গ্যাসের অন্তত ৫৫ শতাংশ উৎপাদনকারী দেশগুলোর অনুসমর্থন। চীন, আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারতের মতো বিপুল জ্বালানিশক্তি ব্যবহারকারী দেশগুলোর অনুসমর্থনের (এবং একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুসমর্থন) কারণে এ দুটো শর্ত দ্রুত পূরণ হয়ে যায় এ বছরের ৫ অক্টোবর। ফলে এই চুক্তি অনুসমর্থনকারী দেশগুলোর জন্য (এখন পর্যন্ত ৮৩) ৪ নভেম্বর ২০১৬ সাল থেকেই কার্যকর হবে। ধারণা করা হচ্ছে যে আগামী বছর মারাক্কেশে প্যারিস চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলনের আগেই বাদবাকি অধিকাংশ দেশ (মোট ১৯৬) এই চুক্তিটির পক্ষরাষ্ট্রে পরিণত হবে। কিন্তু তাই কি যথেষ্ট হবে?

প্যারিস চুক্তিটি পূর্ববর্তী ১৯৯৭ সালের কিয়েটো প্রটোকলের উত্তরসূরি। কিয়েটো প্রটোকল শুধু শিল্পোন্নত দেশগুলোকে কার্বনসহ অন্যান্য বৈশ্বিক উষ্ণতা সৃষ্টিকারী গ্রিনহাউস কমানোর বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছিল। অন্যদিকে প্যারিস চুক্তিতে বিশ্বের সব দেশকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন (এমিশন) কমানোর দায়িত্ব অর্পণ করেছে। তবে কিয়েটো প্রটোকলে যেখানে ১৯৯০ সালের তুলনায় গড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এমিশন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল এবং এর লঙ্ঘন হলে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত হারে কমানোর শাস্তির বিধান করেছিল, প্যারিস চুক্তিতে এ ধরনের কিছু নেই।

প্যারিস চুক্তিতে বরং প্রতিটি দেশকে স্বেচ্ছায় নিজের এমিশন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা এবং এর কর্মকৌশল নির্ধারণের (ইনটেনডেড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন—সংক্ষেপে আইএনডিসি) বাধ্যবাধকতা তৈরি করা হয়েছে। এতে সম্মিলিতভাবে শিল্পবিপ্লব-পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (ওয়েল-বিলো ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি অনুমোদন করা হয়েছে (গ্রিনহাউস গ্যাস এমিশন বৃদ্ধি ১৯৯০ সাল থেকে অব্যাহত থাকলে এটি এমনকি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারত)। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিটি দেশের গ্রিনহাউস এমিশন ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য মাত্রায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শূন্যমাত্রা বা নেট জিরো এমিশনের মূল কথা হচ্ছে এ সময়ে প্রতিটি দেশ ততটুকুই গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করতে পারবে, যা তার নিজস্ব বন, জলাশয় প্রভৃতি প্রাকৃতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধারণ করে নিতে পারবে।

খনিজ সম্পদ গ্যাস, তেল নিঃশেষ হওয়া মানে পৃথিবীর আধুনিক সভ্যতার ধ্বংসের প্রহরগুণা। ইসলাম ধর্মের ভবিষ্যত বাণী সত্য হতে চলেছে। ইসলাম ধর্ম ভবিষ্যত বাণী করেছে, শেষ জমানায় আবার ঘোড়া দিয়ে তরোয়াল, তীর যুদ্ধ হবে। খনিজ সম্পদ নিঃশেষ হওয়া মানেই আধুনিক যুদ্ধের অস্ত্রের পতন।
==============================================
#মানবতা হচ্ছে এমন একটি বিশ্বাসের প্রক্রিয়া, যা সাধারণ মানুষের প্রয়োজন এবং মানুষের সমস্যাবলির যৌক্তিক পন্থায় সমাধানে কেন্দ্রীভূত।
ভদ্রতা, পরোপকার, দয়া, সমালোচনা, ক্ষমা প্রভৃতি মনুষ্যোচিত গুণাবলি মানবতার বিকাশের জন্য ভূমিকা পালন করে।
কুরআন-হাদীস নির্ভর শিক্ষা মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্বের জন্ম দেয়।
আল্লাহ পাকের ওপর অগাধ বিশ্বাস ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শই হলো প্রকৃত মানবতা।
মহানবী (সা.)-এর পুরো জীবনটাই মানবতার সর্বজনীন কল্যাণে নিবেদিত।
তাঁর জীবনাদর্শ বিশ্বমানবতার উজ্জ্বল স্মারক।
ইসলাম মানবতার ধর্ম, শান্তি, সহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধর্ম।
★কুরআনে আল্লাহ পাক বলেছেন-
সৎ কর্ম ও আল্লাহভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা কঠোর শাস্তিদাতা’ (সুরা : আল-মায়েদা :
এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া-অনুগ্রহ দেখায় না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া-অনুগ্রহ দেখান না’ (মিশকাত, হাদীস নং-৪৯৪৭)।
দুর্বল ও অসহায় মানুষের প্রতি ক্ষমতাশালী ও বিত্তবানদের সহানুভূতির হাত সম্প্রসারণ হচ্ছে মানবতা।
পরের কল্যাণ ও সুখের জন্য নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থকে বিসর্জন যাঁরা দিতে পারেন তাঁরাই প্রকৃত মানবতাবাদী।
ইসলামী বিধানমতে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই।
মুসলিম-অমুসলিম, সাদা-কালো, ধনী-নির্ধন, উঁচু-নিচু সব ধরনের মানুষ আল্লাহর বান্দা। সমগ্র মানবজাতি একই পরিবারভুক্ত। মহানবী (সা.) আরো বলেন, ‘গোটা সৃষ্টি (মাখলুক) আল্লাহ তায়ালার পরিবারভুক্ত।’ সুতরাং সৃষ্টিকুলের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয়, যে আল্লাহর পরিবারের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করে (মিশকাত, হাদীস নং-৪৯৯৯)।
আরেক হাদিসে রসুল সাঃ বলেছেন-
সাবধান! যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, তার ক্ষমতার বাইরে কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব।’ [আবূ দাঊদ : ৩০৫২]
★একইভাবে ইসলাম শ্রমগ্রহীতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শ্রমিকের সঙ্গে মানবিক ও সম্মানজনক আচরণ করতে। তার প্রতি মমতা দেখাতে। তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে।
হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَعْطُوا الْأَجِيرَ أَجْرَهُ، قَبْلَ أَنْ يَجِفَّ عَرَقُهُ»
“শ্রমিককে তার শ্রমের প্রাপ্য তার ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার আগেই প্রদান কর।
★দারীদ্র বিমোচনে ইসলাম (যাকাত) -
অর্থনীতির ইতিহাসে যাকাতই হচ্ছে পৃথিবীর সর্বপ্রথম নিয়মিত কর। এর পূর্বে করের জন্যে সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম-কানুনও দুনিয়ায় ছিল না।
ইসলামী রাষ্ট্রের স্বয়ং সরকারই গরীব ও অভাবীদের মধ্যে যাকাতের অর্থ বন্টন করে দেয়। ধনী লোকেরা নিজেরা এটা করে না। এ যেন এমন এক প্রকার করা যা স্বয়ং সরকার আদায় করে এবং সরকারই উহা সাধারণ লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেয়। ইসলামী রাষ্ট্রের কোষাগারকে সেই সকল দায়িত্বই পালন করতে হয় যা বর্তমান সরকারগুলোর রাজস্ব মন্ত্রণালয়কে সম্পাদন করতে হয়।
ইসলাম যাকাত প্রদান করেই ক্ষ্যান্ত থাকতে শিখায় না।
উহা রাষ্ট্রকেই এই দায়িত্ব অর্পণ করে যে, রাষ্ট্রে বসবাসকারী ঐ সকল নাগরিকদের মানবীয় ও সম্মানজকন জীবনযাপনের ব্যবস্থা করবে যারা -যে কোন কারণেই হোক -উপার্জন করতে অক্ষম।
★সাদাকাত ও দানের তাৎপর্য-
সাদাকাত’ বা দান যাকাত থেকে পৃথক একটি জিনিস। এ হচ্ছে এমন এক সম্পদ যা ধনী ও সচ্ছল ব্যক্তিরা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে ব্যক্তি কল্যাণ বা সমাজসেবার উদ্দেশ্যে প্রদান করে থাকে।
ইসলাম ‘সাদাকাত’কে শুধু পসন্দই করে না বরং উহাকে উৎসাহিতও করে।
ইসলাম এর জন্যে বিভিন্ন পন্থা নির্দেশ করেছে যেমন:
পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনকে সাহায্য করা, সাধারণ অভাবগ্রস্ত লোকদের অভাব মোচন করা। এখানেই শেষ নয়, সৎ ও মহৎ কাজ এবং স্নেহ-মমতা ও সহানুভূতিসূচক কথা-বার্তাও ‘সাদাকাত’ বলে গণ্য।
★সুতরাং ইসলামই হচ্ছে মানুষের- মানবতার এক মাত্র জীবন বিধান।
পবিত্র কুরআনে তিনি ঘোষণা করেন- নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর কাছে একমাত্র দীন তথা জীবন ব্যবস্থা।
আল ইমরান : ১৯
আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুক আমিন।
=================================================


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.