আমি কেন নাস্তিকধর্ম বিশ্বাস করি না ? part 14


হিন্দু থেকে মুসলমান
বিকাশ চন্দ্র দাস থেকে, আবদুল্লাহ আল হুসাইন।
চট্টগ্রাম লালখান বাজার নিবাসি, মিস্টার বিকাশ চন্দ্র দাস, আজ বাদে মাগরিব চট্টগ্রাম উত্তর মীরসরাই থানার বারইয়াহাট পৌরসভায়, আমীরুল মুজাহেদিন হযরত পীরসাহেব চরমোনাইর হাত ধরে পবিত্র কালিমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলেন।
বর্তমান নাম আবদুল্লাহ আল হুসাইন।
তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। আল্লাহ এই ভাইকে দ্বীনের উপর চলা সহজ করে দিন ৷ আমিন
==================================
বুধাদিত্য গাঙ্গুলি থেকে মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ

প্রশ্ন: আপনি কত তারিখে কালেমা
পাঠ করে ইসলাম গ্রহন করেছিলেন?
আব্দুল্লাহ: তারিখ মনে নেই তবে
প্রায় দু মাস হতে চললো।আমাদের
পাড়ার মসজিদে পড়েছি।
প্রশ্ন: আপনি যে ব্যক্তির হাতে
ইসলাম গ্রহন করেছেন তাঁর নামটা
কি?
আব্দুল্লাহ: উনি একজন মুফতি
সাহেব।
উনার নাম হাসান আহমেদ ইমরান
আলি।
প্রশ্ন: মুসলিম হওয়ার পেছনে কোন
ব্যক্তি কি আপনাকে অনুপ্রাণিত
করেছে? / ইসলামের কোন গুণ সমূহ
দেখে আপনি ইসলাম গ্রহন করে মুসলিম
হয়েছেন?
আব্দুল্লাহ: দেখুন আমি আগে কট্টর
উগ্রবাদী হিন্দু ছিলাম।আমি আগে
ভারত এর উগ্র হিন্দু বাদি আর এস
এস এর সক্রিয় লোক ছিলাম।
মুসলমান ও ইসলাম কে খুব অপছন্দ
করতাম
অনেক ইসলাম বিরোধী পোস্ট করতাম
কিন্তু কোন কারনে আমি কলকাতা
ছেড়ে মুম্বাই যাই।
সেইখানে সারফারাজ আহমেদ বলে একটি
রুম মেট এর সাথে আলাপ হয়।
তাকে আমি ঘেন্না করতাম কেন না ও
মুসলিম ছিল বলে।
অনেক অন্যায় ও অত্যাচার করেছি
ওর সাথে কিন্তু ও আমায় কোন
প্রতিবাদ করতো না।
আমি ওকে এতো অপমান করতাম ও
খালি হাসতো।
একদিন ওকে বললাম কি রে হাসিস
কেন?
ও বললো তোমার ( অজ্ঞতা দেখে।
ও আমায় একটা ইংরাজী তে আলকুরান
এর অনুবাদ দিল।তখন আমি তা ছুড়ে
ফেলললাম।আর বলললাম আমায় কি
টেরোরিস্ট বানাবি শালা জঙ্গী
সারফারাজ?
প্রশ্ন: তখন সে কি উত্তর দিলো?
আব্দুল্লাহ: ও আবার হাসলো।
ও বললো আমি জানি তুমি এই
আলকুরান পড়বেই।
যদিও তা আলকুরান না,তা ছিল সামারি
অফ আলকুরান মানে কুরান এর
সারসংক্ষেপ
তা আমি মাটি থেকে তুলে খাটে
রাখলাম।তার পর ভাবললাম পড়ে দেখি
এবং সারা রাত কুরান এর সার
সংক্ষেপ পড়লাম।
প্রশ্ন: পবিত্র আল কোরআন পড়ার
পর আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
আব্দুল্লাহ: পড়ার পর আমি তার
পরের দিন বাক রুদ্ধ থাকি সারফারাজ
আমার রুমে এল।যদিও ও আমার রুম
মেট ছিল।কিন্তু ওকে আমি বারান্দায়
শোয়াতাম। কারণ ওকে আমি আমার
রুমে এলাউ করতাম না মুসলিম হওয়ার
হেতু
যাই হোক সারফারাজ এলো।ওকে জড়িয়ে
আমি হাউ হাউ করে কাঁদলাম মানে ওর
সাথে আমি যা যা অন্যায় করেছি তার
হেতু।
ওকে বলললাম আচ্ছা কুরানে তো
কোথাও লেখা নেই টেরোরিস্ট এর
কথা।"ওকে আমি মাফ করতে
বলললাম"।
ও বললো মাফ কেন করবো?
তুমি অজ্ঞ ছিলে তাই এমন করতে।
তারপর আমায় ও নিজের টাকা দিয়ে
ডা:জাকির স্যার এর শো তে নেয় ,আর
সেই শো দেখার পর আমি আমুল
পরিবর্তন হয়ে যাই।
সব সময় একা হওয়ার উপক্রম খুজতা
খুজতাম যাতে কুরান ও নবী সা: এর
বাণী পড়তে পারি।
আর প্রথম প্রথম কুরান পড়তে
অসুবিধা হত। সারফারাজ আমায়
বলেছিল প্লিজ আবেগে ইসলাম নিও না
আগে কুরান পড় / জান ও বুঝ তারপরে
ইসললাম নিও।
আমি আগে পুরা কুরান পড়লাম আর
নবী সা. এর বাণী পড়লাম। হাদিস এর
মেইন মেইন বিষয় পড়লাম,নামাজ এর
প্রক্রিয়া শিখলাম সারফারাজ এর কাছ
থেকে।তারপর সারফারাজ আমায়
নামাজ এর সুরা দুয়া শেখালো আবার
সহজ উপায়ে আমল লাভের নানান দুয়া
শেখালো।আল্লাহ এর কৃপা তে আমি
বলতে নেই আজ অনেক দুয়া জানি।যা
নামাজ এর তো বটেই আবার নানান
উপায়ের দুয়া।আয়াতুল কুরেসি শেখালো
বলতে নেই সব শিখার পড়ে আমি
ইসলাম নেই।কেন না সারফারাজ আমায়
বলতো, যাতে আমি পাকাপোক্ত হয়েই
ইসলাম নিতে পারি।কেন না এই সব না
শিখে ইসলাম নিলে তাহার পর সব কিছু
শিখতে সময় নষ্ঠ হবে তাই আগে থেকে
সব শিখি।আর তার পর মানে টানা ২
বছর বাদে ইসলাম নিয়েছি
(আলহামদুলিল্লাহ)।
প্রশ্ন: মুসলিম হওয়ার পর আপনি কি
পারিবারিক অথবা সামাজিক ভাবে বাঁধা
প্রাপ্ত হয়েছেন ইসলাম গ্রহন করার
কারনে?
যেহেতু আপনি একজন
ভারতীয়....যেখানে আছে হিন্দু
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী দল আর এস এস
শিব সেনার মতোতো অসংখ্য দল?
আব্দুল্লাহ: শিব সেনা তো মুম্বাই এর
আর আমার বাসা কলকাতা তে তাই
সেটা নিয়ে সমস্যা হয়নি। তবে
হ্যাঁ,আমি এখন পরিবার বিচ্ছিন্ন থাকি
অফিসের গেস্ট হাউসে
ইনশাল্লাহ কোর্টের কাজ শেষ হলে আর
নতুন নামের ডকুমেন্ট পেলে পাসপোর্ট
বানিয়ে বাইরে চলে যাব।
প্রশ্ন: মিড়িয়া যেখানে ইসলামকে
কুৎসিত সাঝানোর চেষ্টা করছে সেখানে
আপনার ইসলাম গ্রহন করাটা আশ্চর্য
হওয়ার মতো!?
আপনার ভবিষ্যৎ উদ্দেশ্য যদি
বলতেন?
আব্দুল্লাহ: আমি ইসলাম নিয়েছি
প্রথমত নবী সা. ও সারফারাজ এর
ব্যক্তিত্বের মানুষ ও ইসলাম এর মত
শ্রেষ্ঠ ধর্মের হেতু।
আমার কাছে ইসলাম ও মুসলিম এক না।
ভবিষ্যৎ উদ্দেশ্য বলতে বিদেশ চলে
যাবো।
প্রশ্ন: ইসলাম ও মুুসলিম এক না
ভাবার কারনটা যদি ব্যক্ত করতেন?
আব্দুল্লাহ: Islam is the best
religion but huge no's of
Muslim are the worst
followers.----- George
barner Saw এর এই উক্তি আমি
প্রত্যক্ষ করেছি।
আপনি নিজে মনে করেন দুনিয়ায় যত
মুসলিম আছে তারা কি আমাদের নবী
সা. এর ১% যোগ্যতার অধিকারী?
প্রশ্ন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমি
একমত।তো যেহেতু আপনি নব মুসলিম
এবং বর্তমানে ভারতেই আছেন।আপনি
কি আপনার নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে বলে
কি মনে করেন?
আব্দুল্লাহ: কলকাতা তে তেমন সমস্যা
হবে না।
আমি এখন সম্পুর্ণ একা। আল্লাহ
ছাড়া আমার কেউ নাই।তাই আমি সুষ্ঠ
ভাবে ইসলামিক জীবন যাপন ও একটু
ভাল বেতন এর হেতু আমি দুবাই যেতে
চাই হালাল কাজ কাজ এর দরুন।
আমি বললাম: ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো
আমার জন্য খরচ করার জন্য।সকল
মুসলিমের তরফ থেকে আপনার জন্য
রইল শুভ কামনা।
দোয়া থাকবে একজন খাঁটি মুসলিম যেন
হতে পারেন।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অতঃপর আমি তাার সফলতা কামনা
করে দোয়া প্রার্থনা পূর্বক
ইন্টার্ভিউ শেষ করলাম।
December 24, 2016 at
=============================================
হিন্দুরা এবং অন্যান্যরা কেন ইসলাম গ্রহণ করছে-?
১) “অন্যান্য ধর্মের ভুলত্র“টি সংশোধন করে মানুষ আর মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করে ইসলাম। ইসলামের এই মাহাত্ম্য মানুষ মুসলমান হয়েছে , হচ্ছে, হবেই ।” ২) মুসলমানরা হিন্দুদের মতো এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষদের মতো উপপত্নী রাখে না। মুসলমানদের এক্তমাত্র বিবাহের নির্দেশ আছে। , পৃথিবীর একটি মাত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরানেই একটিমাত্র বিবাহের নির্দেশ আছে। স্ত্রী মারা গেলে বা অসুস্থ হলে , প্রয়োজনে এবং সর্ত সাপেক্ষে পুনরায় বিবাহ করতে পারে। [শর্ত সাপেক্ষে ] পবির্ত কোরান ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো গ্রন্থে একটিমাত্র বিবাহের নির্দেশ নেই.। বর্তমানে ভারত সরকার হিন্দু আইন পাস করে একটি মাত্র বিবাহের নির্দেশ দিয়েছে.। ক্রিস্টান এবং অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে একই কথা.। হিন্দু শাস্ত্রে বহুবিবাহ উল্লেখ আছে. নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ নেই। রামের পিতা দশরথের চার জন স্ত্রী ছিল, শ্রীকৃষ্ণের ১৬ হাজার স্ত্রী ছিল। ৩) ইসলামে ই নারীকে প্রথম মর্যদা দিয়েছে। ইসলামে দেবদাসী বা যৌন দাসীর স্থান নেই। ইসলামে কোনো নোংরামি নেই। . ইসলামে বলা হয়েছে --'' স্ত্রীর ওপর স্বামীর যেমন অধিকার রয়েছে,স্বামীর ওপরও স্ত্রীর তেমন অধিকার রয়েছে। ''
ইসলাম বলে: বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারী একে অপরের বন্ধু… [কোরআন ৯:৭১]
৪) নারীরা ইচ্ছে করলে তালাক নিতে পারবে এবং তালাকপ্রাপ্তা নারী চাইলে তার পছন্দ অনুযায়ী অন্য কাউকে বিয়েও করতে পারবে। [কোরআন ২:২২৯-২৩২]
৫) ইসলাম কুসংস্কার মুক্ত, হিন্দুদের মতো ইদুর, কুকুর, সাপ, পথ ইত্যাদির পূজা করে না, ইসলামে গণকের স্থান নেই.।
৬) ইসলাম যুক্তিপূর্ণ ও বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম , বিজ্ঞান সম্মত ভাবেই বিয়ে হয় , ঠিকুজি দেখে বিয়ে হয় না..।মুসলমানেরা পালিত কন্যাকে কন্যার মর্যদা দিয়ে থাকে। কিন্তু হিন্দু ধর্মে নারীকে যৌতুক বা উপহার সামগ্রী হিসাবে হিন্দুশাস্ত্রে উত্সাহিত করা হয়েছে এবং এর বিনিময়ে স্বর্গে বড়সড় পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে. হিন্দুশাস্ত্রে সুন্দরী যুবতীকে ব্রাহ্মনদের জন্য প্রাকৃতিক নজরানা বলে ঘোষণা করা হয়েছে।ব্রাহ্মনদের যে যত বেশি সুন্দরী যুবতী উপহার দিবে সে স্বর্গে ততবেশী অপ্সরা পাবে. [ সি এফ সাগরস গিফটস ব্রাহ্মিনস তৃতীয়-
৩১৫ : ২,৬,৬, ২৩৩ : ৪৪:১৮.২১.১২:৬৮:৩৩.১৭১, ৫,১৭৩ :১৬ এফ এফ ] দ্রোপদীর স্বযম্বরের সময় একশ যুবতী দান করা হয়. [মহাভারত চতুর্থ , ১৯৮ : ১৬] আবার সুন্দরী যুবতীদের প্রদান করা হত পণ হিসাবেও।
৭) ইসলামে সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই ।.ইসলাম মানুষ হত্যার বিরোধী।
“যে কাউকে হত্যা করলো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করলো। এবং যে কাউকে বাঁচালো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচালো।” (কোরান ৫:৩২)
৮) ইসলাম যুদ্ধ নীতির বিরোধী। ইসলাম যুদ্ধে বিশ্বাসী নয়.। ইসলামে আত্ম রক্ষার্থে যুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধ- শিশু-নারীদের যুদ্ধে ছাড় দেওয়া হয়েছে..।
৯) ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষরা একমাত্র আল্লাহকেই ভয় করে.। এদের কোনো লোভ নেই.।ইসলামে কোনো প্রকার নোংরামি নেই. ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম. স্বর্গে যৌন সঙ্গমের কথা কথাও উল্লেখ নেই. ইহকাল থেকে পরকাল আলাদা. ইহকাল ক্ষণস্থায়ী , পরকাল চিরস্থায়ী। পরকালে মানুষ কাউকে জন্ম দিবে না এবং জন্ম নিবে না. ইহকালের জীবন একটি পরীক্ষা।
কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রে নারী হচ্ছে দেবদাসী. সেবাদাসী. [অধ্যায় উল্ল্স্খ করা হলো ]
বৈদিক যুগ থেকে নারী ব্যবহৃত হয়ে আসছে ভোগ্য বস্তু হিসাবে. গৃহপালিত পশু, ঘোড়া, রথের মতোই নারীদেহকে যৌতুক দক্ষিনা , উপহার সামগ্রী বা বখশিস হিসাবে তুলে দেয়া হত পন্ডিতদের হাতে. পরবর্তিতে এদের নতর্কী বানিয়ে বিক্রি করে দেয়া হত। দক্ষ নতর্কীকে গনিকা বলা হত. রামায়নে গনিকা ও নতর্কীদের উল্লেখ আছে. আরাম ,আয়েশ এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে। মহাভরত থেকে জানা যায় , পান্ডবদের সঙ্গে নতর্কির একটি দল থাকত। [মহাভারত তৃতীয় ২৩৮ এফ এফ ]৫৯.
১০) ইসলাম কুসংস্কার মুক্ত, যুক্তিপূর্ণ ধর্ম । কিন্তু হিন্দু কোনো ধর্ম নয়. হিন্দু ধর্ম একটি বানানো ধর্ম. কুসংস্কার যুক্ত ধর্ম.
মুর্তিপুজা, গাছ, পাথর, মানুষ , টেবিল , চেয়ার , পশু , নরবলী ইত্যাদি কুসংস্কার হিন্দু ধর্মে বর্তমান। 'মাটির মূর্তির পূজা করে কেউ মুক্তি পেতে পারে না। ইসলাম কুসংস্কার মুক্ত যুক্তিপূর্ণ ধর্ম। ঈশ্বরের কোনো আকার নেই. ঈশ্বরের আকার কোথা থেকে পেলি? ? ঈশ্বরের কোনো সন্তান নেই. ঈশ্বরের কোনো স্ত্রী নেই. ঈশ্বরের সন্তান এবং স্ত্রী কোথা থেকে পেলি? ? অন্ধের মতো কেন ইট, পাথর, গাছ, মানুষ, সাপ, পশু, টেবিল, চেয়ার ইত্যাদির পূজা করছিস..
ভগবান বৃদ্ধি হচ্ছে কেন? ৩৩ কোটি ভগবান ক্রমে ক্রমে ১০০ কোটিতে পৌঁছাবে না কি? কেন এত কুসংস্কার? তোর ভগবান আলাদা। তোর মাতার ভগবান আলাদা। তোর স্ত্রীর ভগবান আলাদা। তোর বোনের ভগবান আলাদা। তোর ভায়ের ভগবান আলাদা। কেন আলাদা আলাদা ভগবান? ইসলাম কুসংস্কার মুক্ত, যুক্তিপূর্ণ ধর্ম ।
১১) ইসলাম সঠিক ধর্ম। কিন্তু হিন্দু ধর্ম সঠিক নয়, বানানো. । যে ধর্ম সঠিক তার কোনো পরিবর্তন হয় না. রামায়ন, মহাভারত কাল্পনিক গ্রন্থ. বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের কাহিনী পাওয়া যায়. ১৫-১৬ ধরনের রামায়ন, মহাভারতের কাল্পনিক গল্প আছে. সত্য কখনো বিভিন হয় না.
বানানো ধর্মতে বানানো গল্প থাকবেই। হিন্দু কোনো ধর্ম নয়. হিন্দু ধর্ম একটি বানানো ধর্ম. কুসংস্কার যুক্ত ধর্ম।
১২) ইসলাম ধর্ম আল্লাহর মনোনিত ধর্ম, কোরান একমাত্র ঐশী গ্রন্থ যার আজ পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন হয় নি এবং মুসলিমরা শান্তিপ্রিয় আর এই জন্য মুসলিমরা গর্ব অনুভব করে । কিন্তু হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থের ঠিক নেই , বানানো, পরিবর্তনশীল, কুসংস্কার যুক্ত. । আর তাই হিন্দুরা গর্ব অনুভব করতে পারে না। আর তাই হিন্দু মুসলিম হচ্ছে.। জোর করে মুসলিম হলে ভারতের সকলেই হয়ে যেত।
হিন্দু ধর্ম এবং এই ধর্মের অনুসারীরা ধর্মের বৈশিষ্ট্য অনুসারেই চরম নোংরা, অশ্লীল, লম্পট, ধর্ষনপ্রিয় হয়ে থাকে। দুই উরুর সন্ধিস্থলে এদের সকল আরাধনা বা পুজা নিহিত। হিন্দুদের তথাকথিত দেব দেবীরাই এ অশ্লীলতা বা লম্পট্যের পথ প্রদর্শক।
ইসলামে সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই ।.ইসলাম মানুষ হত্যার বিরোধী।
“যে কাউকে হত্যা করলো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করলো। এবং যে কাউকে বাঁচালো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচালো।” (কোরান ৫:৩২) ইসলামের নাম যত অপপ্রচার হচ্ছে ইসলাম তত ছড়িয়ে পড়ছে.।
কারণ
“অন্যান্য ধর্মের ভুলত্র“টি সংশোধন করে মানুষ আর মানুষের ভুলত্রুটি সংশোধন করে ইসলাম। ইসলামের এই মাহাত্ম্য মানুষ মুসলমান হয়েছে , হচ্ছে, হবেই ।”
=====================================================
মহাত্মা গান্ধীর বিদ্রোহী পুত্র কেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, আপনি কি জানেন?
বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

বিষয়টি গান্ধীকে কিছু সময়ের জন্য হলেও বেশ বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিল। তবে এখন তা বিস্মৃত অধ্যায়।
অতি প্রচলিত ১০টি কুসংস্কার
মরার আশা ছেড়ে দিয়েছি, যম বোধহয় আমাকে নিতে ভুলে গিয়েছে : মহাশতা মুরাসি
৫ বছরের শিশুরাও আত্মহত্যা করতে চায়!
মানব ইতিহাসের শুরু থেকেই খ্যাতনামা পিতার বিদ্রোহী সন্তানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই উপমহাদেশের দুই মহানায়ক করমচাঁদ (মহাত্মা) গান্ধী এবং মোহাম্মদ আলী জিন্নাহও এর ব্যতিক্রম নয়। পিতার বিরুদ্ধে গান্ধীর পুত্রের বিদ্রোহী বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

বিষয়টি গান্ধীকে কিছু সময়ের জন্য হলেও বেশ বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিল। তবে এখন তা বিস্মৃত অধ্যায়।

 গান্ধীর বড় ছেলে হরিলাল ছিলেন সত্যিই একটি বিদ্রোহী সত্তা। তিনি একজন পিতা ও একজন সংস্কারক হিসেবে গান্ধীর কাজে মারাত্মক ত্র“টি রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

তিনি শুধু গান্ধীকে তার সন্তানদের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন ও পিতার কর্তব্য পালনে ব্যর্থতার অভিযোগই আনেননি, সেই সাথে তিনি যে আদর্শ প্রচার করছেন তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি আলাদা রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন।

এই বিদ্রোহী সম্পর্কের ব্যাপারে গান্ধীর নাতি (অর্থাৎ হরিলালের ভাইয়ের ছেলে) রামচন্দ্র গান্ধী বলেছেন, হরিলাল অন্য ব্যক্তিদের সন্তানদের প্রতি বাপুর অনুভূতির ব্যাপারটি বুঝতে পারেননি, যেমন নাথুরাম গডসে বুঝতে পারেনি দেশ ভাগের পর মুসলমান সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে গান্ধীর উদ্বেগের বিষয়টি। রামচন্দ্রের এই বক্তব্যে কিছুটা সত্যতা রয়েছে।

তবে হরিলালকে গডসের সাথে তুলনা করা শুধু অন্যায়ই নয়, অমানবিকও বটে। গডসের থেকে হরিলাল সব দিক থেকেই ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন।



পিতার বিরুদ্ধে হরিলালের বিদ্রোহের সূচনাটিকে অযৌক্তিক বলা যায় না। তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য অত্যন্ত যৌক্তিকভাবেই পিতার কাছ থেকে সাহায্যের আশা করেছিলেন। কিন্তু নিজের তৈরি করা আদর্শের প্রতি অটল গান্ধী সিদ্ধান্ত নিলেন সেই অর্থ তার পরিবারের উন্নতির জন্য নয়, জনগণের কল্যাণে ব্যয় হওয়া উচিত। তাই তিনি হরিলালের অনুরোধ অগ্রাহ্য করলেন ও উচ্চশিক্ষার জন্য জনৈক পারসি যুবককে লন্ডন পাঠালেন। পিতা ও পুত্রের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টির এটাই মূল কারণ। হরিলাল এটাকে তার প্রতি একটা মারাত্মক অবিচার হিসেবে বিবেচনা করলেন এবং তা থেকেই তিনি গান্ধীর পুরো মিশনারি কর্মসূচির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে থাকলেন।

পিতা-পুত্রের মতভেদসহ বিস্তারিত বিষয় নিয়ে চান্দু লাল দালাল মারাঠি ভাষায় একটি গ্রন্থ লিখেছেন। গ্রন্থটি ইংরেজিতেও (Harilal Lal Gandhi: A life) অনুবাদ হয়েছে। গ্রন্থকার বস্তুনিষ্ঠভাবে পিতা-পুত্রের অবস্থান তুলে ধরেছেন। গান্ধীর ভক্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি বিদ্রোহী পুত্র সম্পর্কে কোনো বিরূপ ধারণা প্রকাশ করেননি।

ওই গ্রন্থে পিতাকে লেখা হরিলালের একটি বেশ বড় পত্র অন্তর্ভ্ক্তু করা হয়েছে। এখানে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফনিক্স ইনস্টিটিউট নামে আশ্রম প্রতিষ্ঠায় গান্ধীর প্রথম পরীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। গান্ধীর লক্ষ্য ছিল আশ্রমের অধিবাসীরা সন্ন্যাস জীবন অনুসরণ করবে। হরিলাল লিখেন, ‘আমি ফনিক্স ইনস্টিটিউট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি, কারণ আমি সেখানে কপটতা দেখেছি…। অন্যরা তাকে… বলায় কেউই সন্ন্যাসী হয়ে যায়নি। আমি বিশ্বাস করি না লবণবিহীন খাবার কিংবা ঘি বা দুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকলে চরিত্র বা নৈতিকতা উন্নত হয়ে যায়।’

পরিশেষে তিনি গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগনামা উত্থাপন করেছেন : ‘আপনি কখনো আমাদের অধিকার এবং সামর্থ্যকে বিবেচনা করেননি। আপনি কখনো আমাদের ভেতরের সত্তাকে দেখতে পাননি।’ এই প্রতিবাদের পর হরিলাল সম্পর্কচ্ছেদ করে তার পিতার কাছ থেকে চলে যান এবং ভবঘুরেতে পরিণত হন। তার ভাই জানান, ‘সে দেশের চার দিকে ঘুরতে লাগল এবং মারাত্মক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।’

আরো অনেক কিছুর মতো গান্ধী তার আত্মজীবনীতেও কিছুটা হলেও বিষয়টি সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তিনি তার ছেলেদের পড়াশোনা সম্পর্কে লিখেন : ‘তাদের অক্ষরজ্ঞানের ব্যাপারে আমি উদাসীন ছিলাম, এ কথা বলতে পারি না। তবে তা ত্যাগ করতেও আমার সঙ্কোচ ছিল না। এই অসম্পূর্ণতার জন্য আমার ছেলেরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে।

বস্তুত তারা কয়েকবার নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশও করেছে। এ বিষয়ে কিছুটা আমার নিজের দোষ স্বীকার করতে হয় তাও মানি। তাদের পুঁথিগত বিদ্যা দেয়ার ইচ্ছা আমার খুবই ছিল চেষ্টাও করতাম। কিন্তু এই কাজে সব সময় কোনো না কোনো বাধা এসে পড়ত।

ফলে ঘরে আর দ্বিতীয় কোনো প্রকারে লেখাপড়ার ব্যবস্থা না হওয়ায় তাদের আমি আমার সাথে হাঁটিয়ে অফিসে নিয়ে যেতাম। অফিস ছিল আড়াই মাইল দূরে। এতে সকাল-সন্ধ্যায় তাদের ও আমার কমপক্ষে পাঁচ মাইল হাঁটার পরিশ্রম হতো। রাস্তায় চলতে চলতে তাদের কিছু শেখানোর চেষ্টা করতাম, তবে সেটাও হতো আমার সাথে অন্য কেউ না থাকলে। অফিসে তারা মক্কেল ও মুহুরিদের সংস্পর্শে আসত।

তাদের যদি কিছু পড়তে দেয়া হতো, তবে পড়ত। বাজারে সামান্য কিছু কেনাকাটা করতে হলে তা করত। সবার বড় হরিলাল ছাড়া সব ছেলেই এ রকম গড়ে ওঠে। হরিলাল দেশেই থেকে গিয়েছিল। যদি আমি তাদের গ্রন্থপাঠে সাহায্য করার জন্য এক ঘণ্টা করেও সময় দিতে পারতাম, তবে তাদের আদর্শ শিক্ষা দেয়া হয়েছে বলা যেত।

ওই কাজ আমি করিনি, এ জন্য আমার ও তাদের দুঃখ রয়ে গেছে। সবার বড় ছেলে এ বিষয়ে তার অভিযোগ অনেকবার আমার কাছে ও প্রকাশ্যে করেছে। অন্যরা হৃদয়ের উদারতা দিয়ে সেই ত্র“টি অনিবার্য বুঝে ক্ষমা করেছে।

এই অসম্পূর্ণতার জন্য আমার অনুশোচনা নেই। আর যদি থাকেও তবে তা এটুকু যে, আমি আদর্শ পিতা হইনি।

আমার এ কথা বলার উদ্দেশ্য এই, তাদের পুঁথিপড়া বিদ্যার বলিদান আমার অজ্ঞানবশত হয়েছে, কিন্তু সৎভাবে আমি যা সেবাকাজ মনে করেছি, এই বলিদান হয়েছে তারই কাছে। তাদের চরিত্র গড়ে তোলার জন্য আমি কোনো ত্র“টি করিনি।

চরিত্র গঠন প্রত্যেক পিতা-মাতার পক্ষে অনিবার্য ও বাধ্যতামূলক কাজ বলে আমি মনে করি।

আমার চেষ্টা সত্ত্বেও আমার ওই ছেলেদের চরিত্রে যে ত্র“টি দেখতে পাওয়া যায়, তা আমাদের স্বামী-স্ত্রীর ত্র“টির প্রতিফলন এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

পিতার সাথে বিচ্ছিন্নতার পর হতাশায় হরিলাল অ্যালকোহলে আসক্ত এবং নৈতিক অবক্ষয়ের শিকার হন। তার পর এক সময়ে হিন্দু ধর্মের প্রতি তার ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তিনি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৩৬ সালের ১৪ মে বোম্বাইয়ের জামে মসজিদে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গান্ধী পরিবারের কাছে এটা ছিল দুঃসংবাদ। কিন্তু গান্ধী ভিন্ন পন্থায় তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

মুসলমানদের উদ্দেশে তিনি তার বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি তার এই গ্রহণ হৃদয় থেকে এবং জাগতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে হয়ে থাকে, তবে আমার মধ্যে কোনো বিরূপতা থাকবে না। কারণ আমি বিশ্বাস করি ইসলাম আমার নিজেদের মতোই একটি সত্য ধর্ম।’

গান্ধী তারপর তার পুত্রের নৈতিক অবক্ষয় এবং তার অ্যালকোহল আসক্তির কথা বলেন। তিনি মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে তার বার্তার শেষ দিকে বলেন, যদি তারা দেখতে পায় এই ধর্মান্তর সত্যিকারের নয় এবং যদি ‘সে আগের মতোই খারাপ থাকে’, তবে তাদের উচিত তাকে প্রত্যাখ্যান করা।

তবে মুসলমানদের এমন কিছু করার প্রয়োজন পড়েনি। হরিলাল নিজেই কিছুদিন পর তার নতুন বিশ্বাসকে বিদায় জানান এবং শ্রদ্ধানন্দ শুদ্ধি সভার একজন মিশনারিতে পরিণত হন।

পরবর্তীকালে দেবদাস জানান, ‘বাপু নিহত হওয়ার চার দিন পর আমাদের দুঃখের ভাগি হতে তিনি (হরিলাল) হঠাৎ করে, কেউ জানে না কোথা থেকে, দিল্লিতে আমাদের বাসায় এলেন।’ তবে শিগগিরই তিনি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বোম্বাইগামী একটি ট্রেনে ওঠার সময়ে তিনি দেবদাসকে দুর্বল কণ্ঠে বলেন, ‘আমার নিয়তি হচ্ছে ভবঘুরে থাকা।’

তবে এবার আর তিনি বেশি দিন ভবঘুরে অবস্থায় থাকতে পারেননি। তার পিতা মারা যাওয়ার পর বিদ্রোহী পুত্রও বেশি দিন বেঁচে থাকেননি।

গান্ধী নিহত হওয়ার ১৮ দিন পর ১৯৪৮ সালের ১৮ জুন বোম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। রেখে যান দুই কন্যা (তার ছোট মেয়ে মনুকে গান্ধী নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন এবং তাকে তিনি সব সময় সাথে রাখতেন)। -অন্য দিগন্ত।
==============================================
খ্রিস্টান নারী ডায়ানার ইসলাম
গ্রহণের সত্য কাহিনী, ছুঁয়ে
যাবে আপনারও হৃদয়
ইসলাম ডেস্ক :
পবিত্র ইসলাম যুক্তি
ও প্রজ্ঞার ধর্ম।
ইসলামের মহাগ্রন্থ
আলকুরআন বুঝে
শুনে ধর্মমত
বেছে নেয়ার ও
ধর্ম পালনের আহ্বান জানায়। অন্ধের মত পথ চলা
ও জোর করে ধর্ম চাপিয়ে দেয়া ইসলামে
নিষিদ্ধ।
সূরা জুমারের ১৭ ও ১৮ নম্বর আয়াতে মহান
আল্লাহ বলেছেন, “অতএব, সুসংবাদ দিন আমার
বান্দাদেরকেযারা মনোনিবেশ সহকারে (নানা)
কথা শুনে, এরপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে,
তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং
তারাই বুদ্ধিমান।”
সূরা বাকারার ২৫৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলছেন:
“ধর্মে কোন জোর জবরদস্তি নাই। সত্য, মিথ্যা
বা সঠিক পথ থেকে ভুলপথ সুস্পষ্টভাবে পৃথক
রয়েছে।”কিন্তু বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত
খ্রিস্টবাদের মধ্যে নেই যুক্তি ও বুদ্ধি বৃত্তির
স্থান। তাই এ ধর্মের আদি ও অকৃত্রিম বিশ্বাস এবং
একত্ববাদকে নির্বাসিত করে সেখানে বসানো
হয়েছে অযৌক্তিক ত্রিত্ববাদ। পাদ্রিদের
খামখেয়ালিপনা ও খোদাসুলভ দাবি আল্লাহর সঙ্গে
খ্রিস্টানদের সম্পর্ক স্থাপন অসম্ভব করে
তুলেছে।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী বিখ্যাত মার্কিন গবেষক
অধ্যাপক মুহাম্মাদ লেগেন হাউসেন বলেছেন,
“ইসলামের যে বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে
বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হয়েছে তা হল,
এ ধর্ম মানুষের প্রশ্নকে কত ব্যাপকভাবে
স্বাগত জানায় এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সব সময়ই
অপেক্ষাকৃত বেশি গবেষণার আহ্বান জানায়।”
ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে এ মহান
ধর্মের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়া মার্কিন নও-মুসলিম
মাসুমাহ বা সাবেক ডায়ানা বিটি এ মহান ধর্ম গ্রহণের
প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন,
“আমি জন্ম নিয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের
কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের একটি খ্রিস্টান
পরিবারে। অবশ্য আমরা খুব একটা ধর্ম পালন করতাম
না এবং আমাদের ঘরে ধর্মের প্রতি খুব একটা
গুরুত্ব দেয়া হত না।
তিনি বলেন, ‌“আমার বাবা ছিলেন মরমোন
সম্প্রদায়ের খ্রিস্টান। আর আমার মা বড়
হয়েছেন প্রোটেস্টান্ট পরিবারে। আমার
মনে পড়ে আমার বাবা-মা প্রতি রোববারে
আমাকে ও আমার ভাইকে গির্জার স্কুল বা খ্রিস্ট
ধর্ম শিক্ষা কেন্দ্রে পাঠাতেন, কিন্তু তারা
নিজেরা গির্জায় উপস্থিত না হয়ে ঘরে থাকতেন।
তরুণ বয়সেই আমার মধ্যে আল্লাহ বা স্রস্টা
সম্পর্কে আগ্রহ জন্মেছিল। আমি নিজেকেই
প্রশ্ন করতাম: সত্যিই কি আল্লাহর অস্তিত্ব আছে?
যদি থেকে থাকে তাহলে তিনি কী চান
আমাদের কাছে?”
মার্কিন নও-মুসলিম মাসুমাহ বা সাবেক ডায়ানা বিটি
আরো বলেছেন, “আমি বাইবেলসহ খ্রিস্ট
ধর্মের নানা বই পড়তে লাগলাম কোনো পূর্ব-
অনুমান ছাড়াই। হাইস্কুলের ছাত্রী অবস্থায়ই
বাইবেলের মধ্যে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অসঙ্গতি
খুঁজে পেলাম।
তিনি বলেন, “বিশেষ করে এটা আমার নজরে
পড়ল যে বাইবেলের কোথাও হযরত ঈসা
(আ.)-কে আল্লাহ এবং কোথাও তাঁকে মানুষ
হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সে সময়
ভাবতাম সমস্যাটা হয়তো আমারই এবং আমি হয়ত
এখনও এ বিষয়টি বোঝার যোগ্যতা অর্জন
করিনি।”
মার্কিন নও-মুসলিম মাসুমাহ বা সাবেক ডায়ানা বিটি ইসলাম
ধর্মের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রপাত প্রসঙ্গে
বলেছেন, “আমি সব সময়ই বিভিন্ন সংস্কৃতি
সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিলাম। ধীরে
ধীরে ইসলাম সম্পর্কে আমার মধ্যে কিছু
কৌতুহল জাগে। আর ওই দিনগুলোতেই একজন
মুসলমানের সঙ্গে পরিচয় ঘটে আমার।”
তিনি বলেন, “আমি নিজেকে প্রশ্ন করতাম,
কেন এই বিশেষ পদ্ধতিতে তিনি নামাজ পড়ছেন
বা প্রার্থনা করছেন? কেন তিনি বিভিন্ন বিশ্বাস ও
কার্যক্ষেত্রে সেগুলোর প্রয়োগ বা
ইবাদত-বন্দেগীর অনুসারী তা জানতে ইচ্ছে
হত। খ্রিস্টানদের প্রার্থনা ও উপাসনার বিশেষ
কোনো পদ্ধতি নেই। খ্রিস্ট ধর্ম থেকে
আমাদের এটা শেখানো হয়েছে যে, আমার যা
কিছুই প্রয়োজন তা যেন হযরত ঈসা (আ.)’র
কাছ থেকেইচাই, খোদার কাছে নয়।”
ডায়ানা বিটি বলেন. “খ্রিস্ট ধর্মে ইবাদতের প্রকৃত
বা বাস্তব অস্তিত্ব নেই, যদিও আমাদের বলা হয়
যে, হযরত ঈসা (আ.) আমাদের পাপের জন্য
নিজেকে কোরবানি করেছেন বলে তাঁর প্রতি
আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আমি চাইতাম
যে আল্লাহর সঙ্গে আমার সম্পর্ক যেন
কেবলই কিছু ইচ্ছা পূরণের বা দোয়া কবুল হওয়ার
পর্যায়েই সীমিত না থাকে। তাই আমি কুরআনের
শরণাপন্ন হলাম এবং এর ইংরেজি অনুবাদ পড়া শুরু
করলাম।”
মার্কিন নও-মুসলিম মাসুমাহ বা সাবেক ডায়ানা বিটি ইসলাম
ধর্মের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রপাত প্রসঙ্গে
আরো বলেছেন, “প্রথমবার আমি যখন কুরআন
পড়ি তখন আমার মধ্যে দ্বিমুখি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল।
কুরআনে ইহুদি ও খ্রিস্ট ধর্মের অনেক নবীর
জীবনী স্থান পাওয়ায় একদিকে বেশ বিস্মিত
হয়েছিলাম। এর আগে খ্রিস্টান, ইহুদি ও ইসলাম
ধর্মের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে আমার
কোনো ধারণাই ছিল না। আমি ইসলামকে
প্রাচ্যের হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্মের মত কোনো
ধর্ম বলে মনে করতাম।”
তিনি বলেন, “অন্যদিকে কুরআনের একটি
আয়াতে যখন দেখি যে ঈসা (আ.) আল্লাহর পুত্র
বা তিন খোদার মধ্যে অন্যতম খোদা বলে
বিবেচিত কিছু নন তখন কুরআন পাঠই বন্ধ করে
দেই। কারণ, এ ধারণা ছিল সেই সময় পর্যন্ত আমি
যা জানতাম তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এ ছাড়া
কুরআনের বর্ণিত অন্য বিষয়গুলো ছিল আমার জানা
বিষয়গুলোর অনুরূপ। ধীরে ধীরে আমার
মধ্যে এ চিন্তা জেগে উঠল যে, খ্রিস্ট ধর্ম
সম্পর্কে আমাদের যা যা শেখানো হয়েছে
কেন তা এত সহজেই বিশ্বাস করেছিলাম?।”
ইসলাম চিন্তা-ভাবনা ও বুদ্ধিবৃত্তি ব্যবহারের ওপর
অশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। মার্কিন নও-মুসলিম
মাসুমাহ বা সাবেক ডায়ানা বিটিও অস্পষ্ট বিষয়গুলোর
ক্ষেত্রে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণার আশ্রয় নিয়ে
সত্য বা বাস্তবতা উদঘাটনের চেষ্টা করেছেন।
ইসলাম সম্পর্কেও অনেক কিছু তিনি জানতেন না
প্রথম দিকে।
বেশিরভাগ সময়ই তিনি কুরআনের অনুবাদ
পড়তেন।সাবেক ডায়ানা এ মহাগ্রন্থের
বাক্যগুলো নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা ও
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন এবং ইসলাম ও খ্রিস্ট
ধর্মের মধ্যে তুলনা করতেন। তিনি বাইবেল
পাঠচক্রের প্রধান ও এর সদস্যদের কাছে
বিভিন্ন প্রশ্ন করতেন কিন্তু কোনো উত্তর
পেতেন না।
ডায়ানা বলেছেন, “বাইবেলের কোথাও এ কথা
বলা হয়নি যে ঈসা (আ.) মানবরূপী খোদা ও
আল্লাহর ছেলে এবং আমাদেরকে আমাদের
পাপের শাস্তি থেকে মুক্ত করার জন্যই তাঁর
আগমন ঘটেছে। তারা বলত যে, এ বিষয়টিকে
হৃদয় দিয়ে বুঝতে হবে এবং এ ব্যাপারে
কোনো প্রশ্ন তোলা বা প্রমাণ চাওয়া যাবে না।
কিন্তু আমি ভাবতাম যদি আল্লাহ বা স্রস্টা আমাদের
কোনো ধর্ম দিয়েই থাকেন তাহলে তা
অবশ্যই এতটা যৌক্তিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক হবে যে
আমরা তা বুঝতে পারব এবং এর ফলে আমরা
আল্লাহর ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করতে পারব।
আমাদের বাইবেল পাঠচক্রের প্রধান কিছু দিন
আলজেরিয়ায় খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারে মশগুল ছিলেন।
তাই আমি তার কাছেই আমার প্রশ্নগুলো তুলে
ধরার সিদ্ধান্ত নেই।”
তিনি বলেন, “আমি তাকে প্রথমেই জিজ্ঞেস
করি, এ পর্যন্ত কখনও তিনি কুরআন শরীফ
পড়েছেন কিনা। তার উত্তর শুনে আমি অবাক
হলাম। কারণ, তিনি বললেন, কুরআনের কোনো
কোনো অংশের দিকে খুব অল্প সময়ের
জন্য চোখ বুলিয়ে গেছি! ফলে আমি বুঝতে
পেরেছি যে আমি মাত্র কয়েক মাস ধরে
কুরআন পড়ে এই খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারকের
চেয়েও ইসলাম সম্পর্কে বেশি জ্ঞান অর্জন
করেছি। তাই আমি খুব দ্রুত তার সঙ্গে সম্পর্ক
ছিন্ন করি। যে কুরআনই পড়েনি সে তো এ
মহাগ্রন্থ সম্পর্কে সঠিক বিচার-বিবেচনা করতে
পারবে না।”
মার্কিন নও-মুসলিম মাসুমাহ বা সাবেক ডায়ানা বিটি আরও
বলেছেন, বাইবেল স্টাডি সার্কেলের ওই
প্রধানসহ খ্রিস্টানদের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ইসলাম বা
কুরআন সম্পর্কে কোনো পড়াশুনা না করেই
আমাদের এভাবে ধর্ম সম্পর্কে আমাদের
জ্ঞান দিচ্ছেন বলে আমি ভীষণ ক্ষুব্ধ হলাম।
তারা আমাদের যা শেখাচ্ছেন তা আসলে
বেদাআত বা নিজেদের মনগড়া কথা ছাড়া আর কিছু
নয়। এ ঘটনা ছিল আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে
দেয়া ঘটনা।”
তিনি বলেন, “এর কারণ হলো, আমি এই সিদ্ধান্তে
পৌঁছেছিলাম যে সত্যকে খোঁজার যে চেষ্টা
আমি করছি সেই পথে সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে
কারো ওপর ভরসা করতে পারছি না। বরং আমাকে
একাই এ পথে এগিয়ে যেতে হবে। ধীরে
ধীরে বুঝতে পারলাম যে ত্রিত্ববাদের ওপর
আমার আর আস্থা নেই। আমি এটা আর এড়িয়ে
যেতে পারছিলাম না যে মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর
রাসূল ও কুরআন আল্লাহর বাণী। এ অবস্থায়
গবেষণা শুরু করার কয়েক মাস পরই আমি
ইসলামকে আমার ধর্ম হিসেবে বেছে নেই।”
মার্কিন নও-মুসলিম মাসুমাহ বা সাবেক ডায়ানা বিটি মনে
করেন, যারা ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানে না
তাদের কাছে এটা বোঝানো খুব কঠিন যে এ
ধর্ম কিভাবে মানুষের জীবন-পদ্ধতিকে বদলে
দেয় এবং মানুষের উন্নতি ঘটায়। তিনি বলেছেন,
“ইসলাম আমার জীবনকে পুরোপুরি বদলে
দিয়েছে। সঠিক পথের দিশা পাওয়ার পর থেকে
এ পৃথিবীতে জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে
আমার মধ্যে আর কোনো দ্বন্দ্ব নেই।”
সাবেক ডায়ানা বিটি বা মাসুমা বিটি আরো বলেছেন,
“মানুষ যখন জানতে পারে যে তার জীবনের
লক্ষ্য রয়েছে তখন সে মানসিক ও চিন্তাগত
প্রশান্তি লাভ করে। খ্রিস্ট ধর্ম ত্যাগ করে যখন
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম তখন মনে হল এটাই
তো সে বিষয় যা বহু বছর ধরে আমি খুঁজছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ আমি তা পেয়েছি।”
পাশ্চাত্যে সব সময়ই এ প্রচারণা চালানো হয়েছে
যে, ইসলামে নারীর মর্যাদা উপেক্ষিত
হয়েছে এবং তারা তাদের অধিকার থেকে
বঞ্চিত। কিন্তু ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী পশ্চিমা
নারীরা এই প্রচারণাকে অসত্য বলে নাকচ
করছেন। বরং নারীর প্রতি ইসলাম যে বিশেষ
সম্মান দিয়েছে ও তাদের যেসব অধিকার
দিয়েছে তা ইসলামের প্রতি তাদের আকর্ষণের
অন্যতম প্রধান কারণ।
সাবেক ডায়ানা বিটি বা মাসুমা বিটি এ প্রসঙ্গে
বলেছেন, “ইসলামই একজন নারী হিসেবে
আমার অগ্রগতির কারণ। আমি মুসলিম পুরুষদের
দেখেছি যারা মার্কিন সমাজে নারীদের সাধারণত
যতটা সম্মান দেখানো হয় তার চেয়েও বেশি
সম্মান দেখিয়ে থাকেন নারীদের প্রতি।
অতীতে আমি নারী হওয়ার জন্য সব সময়ই দুঃখ
অনুভব করতাম। কারণ, আমি ভাবতাম যদি পুরুষ হতাম
তাহলে আরো সহজে জীবন যাপন করতে
পারতাম। কিন্তু এখন একজন মুসলিম নারী হিসেবে
বেশি সৌভাগ্যের অধিকারী বলে মনে করছি।
এখন আমি নারী থাকতেই বেশি আগ্রহী।”
সাবেক ডায়ানা বিটি বা মাসুমা বিটি হিজাব করতে
পেরেও খুব আনন্দ অনুভব করছেন। যদিও
মার্কিন সমাজে হিজাব রক্ষা করা কঠিন, কিন্তু তা
সত্ত্বেও তিনি হিজাব রক্ষার জন্য সব সময়ই
সচেষ্ট।
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “হিজাব বা পর্দা করার
পর থেকে আমার মানসিক অবস্থার বেশ উন্নতি
হয়েছে। আমি যে একজন নারী তা অনুভব
করছি। আমার মনে হচ্ছে পর্দা করার পর থেকে
আমার প্রতি আল্লাহর দয়া ও সাহায্য বেড়ে
গেছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও আমার
হিজাব দেখে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া
দেখায়নি। বরং আমার হিজাব তাদের অনেকেরই
পছন্দ হয়েছে।”
ইসলাম বদলে দিয়েছে সাবেক ডায়ানা বিটির
জীবন ধারা। তাই ডায়না থেকে মাসুমাতে রূপান্তরিত
এই মার্কিন নওমুসলিম নারী তার আধ্যাত্মিক অবস্থা
পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা ও ইসলামের নানা সৌন্দর্য
সম্পর্কে নিজস্ব উপলব্ধিগুলো অন্যদের
কাছেও তুলে ধরতে চান। আর এ জন্যই তিনি
নিজের জীবন-কাহিনী তুলে ধরেছেন “সত্য
পথের সন্ধানে”শীর্ষক বইয়ে। সূত্র:
ইন্টারেনট
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
=================================================================
ভারতে এক সাথে ৫০ জন হিন্দুর ইসলাম গ্রহন।
------------------------------
--------------------
ভারতের উত্তর প্রদেশের মুরাদ আবাদে এক সাথে ৫০ জন দলিত হিন্দুর ইসলাম গ্রহনের খবর প্রকাশ করেছে উর্দু নিউজ পেপার দৈনিক “ছাহাফাত”।এ সকল দলিতদের অভিযোগ, তাদের যুগী এবং বিজিপি সরকার তাদের উপর অনেক ধরণের জুলুম, অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে, যার কারণে তারা এখন আর দলিত কমিনিউটি এবং বিজিপি , কারো সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়না। তারা ইসলামের সুশিতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে তাদের ঘরে রক্ষিত মুর্তি নদীতে নিক্ষেপ করেছে।
আল্লাহ এদের ইসলাম গ্রহন কবুল করুন।
.
সুত্রঃ দৈনিক ছাহা-ফত ১৪ মে ১৭


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.