ইসলামিক মেডিসিন/ ইসলাম সত্য/ জীন/

ইসলামিক মেডিসিনঃ১০০০ বছর এগিয়ে-৩(৪)

পাঠ্যক্রম( curriculum) এর পর...

চিকিৎসকদের অনুমতিপত্র (Licensing of Physicians)

৯৩১ খ্রিস্টাব্দে তৎকালিন বাগদাদের খলিফা আল-মুকতাদির জানতে পেরেছিলেন যে, একজন চিকিৎসকের ভুলের কারণে একজন রোগী মারা গেছেন। তখন তিনি তার প্রধান
চিকিৎসক সিনান ইবনে তাবিত বিন কুররাহকে নিরাময় শিল্প চর্চাকারীদের(art of healing) পরখ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আইন জারির (decree) প্রথম বছরেই বাগদাদ একাই ৮৬০ জন চিকিৎসকের লাইসেন্সিং পরীক্ষা নিয়েছিল। সেই সময় থেকে, চিকিৎসকদের লাইসেন্সিং পরীক্ষা (Licensing examinations) দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল এবং এই পরীক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হত।

সরকারি কর্মকর্তাদের অধীনে লাইসেন্সিং বোর্ড স্থাপন করা হয়েছিল যাদেরকে মুহতাসিব বা ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসাবে ডাকা হত। মুহতাসিব ফার্মাসিস্ট ও ব্যবসায়ীদের বস্তুর ওজন ও পরিমাপও নিরীক্ষা করত। ফার্মাসিস্টদের ঔষধ এবং ঔষধালয়ে (ফার্মেসি) বিক্রিত ঔষধের গুণমান নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য পরিদর্শক হিসেবে নিযুক্ত করা হত। বর্তমান ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন ওফ ইউএসএ (FDA) যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, ইসলামিক মেডিসিন ১০০০ বছর পূর্বে তাই করত।

প্রধান চিকিৎসক তরুণ চিকিৎসকদের মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতেন এবং মুহতাসিব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তরুণ চিকিৎসকদের শপথ গ্রহণ করাতেন এবং একটি লাইসেন্স প্রদান করতেন। ইসলামিক মেডিসিনের দেখানো পথ অনুসরণ করে ১০০০ বছর পর পশ্চিমে বিশেষত আমেরিকাতে, স্টেট লাইসেন্সিং বোর্ড ইন মেডিসিন কতৃক ডাক্তারদের এবং আমেরিকান বোর্ড ওফ মেডিক্যাল স্পেশালিস্ট মেডিসিন, সার্জারি, রেডিওলোজীর (ইত্যাদি) বিশেষজ্ঞদের জন্য
লাইসেন্সিং পরীক্ষা সম্পন্ন করছে।

ইওরোপীয়ান মেডিক্যাল স্কুলগুলো ইসলামী মেডিক্যাল স্কুল কতৃক প্রতিষ্ঠিত প্যাটার্ন অনুসরণ করেছিল এবং এমনকি ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, সোরবোন্নের (Sorbonne) শিক্ষার্থীরা ইবনে সিনা এর কানুন(cannon) না পড়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে পারত না।

আল-রাজি অনুসারে, একজন চিকিৎসককে মনোনীত করার জন্য দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে: প্রথমত, তাকে নতুন ও পুরানো চিকিৎসা সাহিত্যের সাথে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল হতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, তাকে অবশ্যই হাসপাতালে গৃহ চিকিৎসক(House Physician) হিসাবে কাজ করে থাকতে হবে।

লেখকঃ ইব্রাহিম বিঝলি সাইদ (ডক্টরেট)
Clinical Professor of Medicine,
University of Louisville School of Medicine, Louisville. and President, Islamic Research Foundation
International.

বিঃদ্র- মুল লেখকের লেখাটি হুবহু অনুবাদ করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইবনে সিনা কর্তৃক অনুবাদিত ও সংক্ষেপিত।
======================================================================

এক ভাই সাহায্য চেয়েছিলেন যেন তার ইমান বৃদ্ধি পায়। কেননা নাস্তিকদের পোস্ট পড়ার কারনে উনার ইমান দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। এজন্যই  আমি কয়েকটি পয়েন্ট দিচ্ছি। এগুলো 'ইসলাম'এর সত্য হওয়ার প্রমাণ।

১। সিরিয়া আর জর্ডানের সীমানায় অবস্থিত সাহাবি গাছ। গাছটি রসুলুল্লাহ(স)এর দুয়ায় রসুলুল্লাহ(স)এর কিশোর বয়স থেকেই এখন পর্যন্ত বেঁচে আছে।
২। কিশোর বয়সে চাচা আবু তালিবের সাথে সিরিয়ায় ব্যবসার জন্য যাওয়ার সময় খ্রিস্টান পুরোহিতের কথাই প্রমান করে যে রসুল(স) সত্যিই শেষ নবি।
৩। রসুলুল্লাহ(স)এর স্ত্রী খাদিজা(র)এর চাচতো ভাই তাওরাতের আলেম নাওফেলের কথা রসুল(স)কে সত্যায়ন করে।
৪। তাইফ নগরীতে খ্রিস্টান কিশোর দাস হযরত আদ্দাস(র)। যে পরশ-পাথর হাতের মুঠোয় পেয়েও পায়ে ঠেলে দিল দুর্ভাগা তায়েফবাসী। তাই পরম আদরে মাথায় তুলে নিয়ে নিজেকে খাঁটি সোনায় পরিণত করে নিল ক্রীতদাস হযরত আদ্দাস(র)। কেননা আদ্দাস(র) খ্রিস্টান হওয়ার কারণে আগে থেকেই জানতেন যে মুহাম্মাদ(স) একদিন এ নশ্বর পৃথিবীতে আগমন করবেন।
৫। বিভিন্ন যুদ্ধে মুসলিমদের অকল্পনীয়ভাবে বিজয়। একটু ভেবে দেখলেই বুঝা যাবে শক্তিশালী কাফিরদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের জিতে যাওয়া কোনো সাধারন ব্যাপার নয়।।
৬।কুরানের বিভিন্ন মুজিজা। যেমন,
(i) কুরানের অপরিবর্তনশীলতা।
(ii)সুরা রুমের ভবিশ্বদ্বানী।
(iii)সুরা লাহাবের ভবিশ্বদ্বানী।
(iv) কুরানের বিভিন্ন গাণিতিক মুজিজা।
(v) কুরানের শাব্দিক মুজিজা।
(vi) কুরানের অপ্রতিদ্বন্দীত্ব ব্যকরণীয় মুজিজা।
(vii) কুরানের ১৯এর ফর্মুলা।
এরকম আরো অনেক মুজিজা।
(viii) কুরানে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন, বিগব্যাং, নেবুলা, ব্লাকহোল, প্রানের সঞ্চার, বিগক্রাঞ্চসহ ইত্যাদি সম্পর্কিত বাক্যাবলী প্রমান করে যে কুরান মানবরচিত নয়।
এখন অনেকেই মনে করতে পারেন যে এসব মুজিজা তো আন্দাজেও মিলে যেতে পারে। কিন্তু তা অসম্ভব। কারন,
১৪০০ বছর পূর্বে কোরআনে অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ১৪০০ বছর পর বিগব্যাংগ তত্ত্ব, পৃথিবীর আকার, চাঁদের আলো, গ্রহ-নক্ষত্রের পরিভ্রমণ, পানিচক্র, সমুদ্রে্র লোনা পানি ও মিঠা পানি, ভূ-তত্ত্ব ইত্যাদির অবতারণা করেছেন, যেগুলোর প্রমাণ সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, অবিশ্বাসীরা বলে বসতে পারে এটা ‘হঠাৎ করে মিলে যাওয়া’র মত একটা কিছু। ইংরেজীতে একে বলা হয় ‘Theory of Probablity’ বা ‘সম্ভাবনার সূত্র’। উদাহরণস্বরূপ একটি কয়েন যদি টস করা হয় তবে এ সূত্র অনুযায়ী সঠিক দিকটি অনুমান করার সম্ভবনা ½ ভাগ বা ৫০%। অর্থাৎ ‘হেড’ও পড়তে পারে, ‘টেইল’ও পড়তে পারে। আবার যদি দু’বার করা হয় তবে দু’বারই সঠিক অনুমানের সম্ভাবনা ½+½= ¼ ভাগ বা ২৫%। যদি তিন বার করা হয় তবে সম্ভাবনা ½+½+½= ⅛ ভাগ বা ১২.৫%। . এভাবে এই থিউরী অনুযায়ী যদি কুরআনকে বিচার করা যায় তবে প্রথমে ধরা যাক পৃথিবীর আকার নিয়ে। একটা মানুষ কোন বস্তুর আকার নিয়ে প্রায় ৩০ ধরনের চিন্তা করতে পারে। যেমন- সোজা, বর্তুলাকার, আয়তকার ইত্যাদি। আর অনুমান করে একটা আকার যদি নির্ধারণ করে তবে সূত্র অনুযায়ী তা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ¹/৩০ ভাগ। চাঁদের আলো নিয়ে কোন অনুমানিক সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ½ ভাগ অর্থাৎ ৫০% । আবার পৃথিবী সৃষ্টির উপাদান নিয়ে যদি অনুমান করা হয় তার যথার্থতার সম্ভাবনা ¹/১০০০০ ভাগ। অতঃপর সামষ্টিকভাবে এই তিনটি আনুমানিক উত্তর সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ¹/৩০×½× ¹/১০০০০ = ৬০০০০০ ভাগের ১ ভাগ বা .০১৭%। . এভাবে ‘সম্ভাবনার সূত্র’ অনুযায়ী তিনটি বিষয়ের আনুমানিক উত্তর সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা যদি মাত্র .০১৭% হয় তবে সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে, কোরআনে বিজ্ঞান বিষয়ক যে হাজারটা বর্ণনা এসেছে তা ‘অনুমান করে বলা’ বা ‘আন্দাজে বলা’র সম্ভাবনাও জিরো ভাগ। সুতরাং যদি প্রশ্ন করা হয়, কে এভাবে সুনিশ্চিতসত্য ও প্রামাণ্য তথ্য দিতে পারেন। তবে উত্তর নিঃসন্দেহে একটাই হবে, তা হলো এ বাণী মানুষের নয়, স্রষ্টার, আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তা'আলার।
৮। কুরানের মুজিজা যেমন প্রমান করে যে মুহাম্মাদ(স) সত্যিই আল্লাহপ্রেরিত, ঠিক তেমনি মুহাম্মাদ(স)এর মুজিজাও প্রমান করে যে কুরান সত্যিই আল্লাহরই বাণী।
৯। ফির'আওনের লাশ।
১০। জমজম কুপ।
১১। জিন জাতির অস্তিত্ব এবং তাদের অনেকেই মুসলিম।
১২। ব্ল্যাকম্যাজিকের অস্তিত্ব প্রমান করে শয়তানের অস্তিত্ব এবং কুরানের আয়াতের কাছে ব্ল্যাকম্যাজিকের অসারত্ব প্রমান করে ইসলাম সত্য।
১৩। তুরস্কেসহ আরো অনেক দেশে মহানবি(স)এর আগমনের ভবিশ্বদ্বানী সম্বলিত ১৫০০বছরের পুরোনো বাইবেল উদ্ধার।
১৪। ইসলামের সাথে বিভিন্ন ধর্মের অনেক সাদৃশ্য প্রমান করে যে আল্লাহ পৃথিবীর সব জাতির কাছেই নবি পাঠিয়েছেন।
এ কয়টি পয়েন্টই প্রমানের জন্য যথেষ্ট যে 'ইসলাম' সত্য।

============================================
ইসলাম বিদ্বেষীরা জ্বিনের অস্তিত্ব/অলৌকিকতার ব্যাপারে কি বলবে?

"ইংল্যান্ডের মেরি চার্চ সংলগ্ন কবরস্থানের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় সোফিগাও নামের এক মহিলা ও তার স্বামী ডেভিডের গায়ের ওপর(অদৃশ্য থেকে) কয়েকটি কয়েন ঝরে পড়ে।কয়েনগুলো ১৯০২ ও ১৯০৩ সালের।কয়েনগুলো ছিল যথেষ্ট গরম।এছাড়া একইস্থানে আরও কয়েক ব্যক্তির গায়েও এমন গরম কয়েন বৃষ্টি হয়েছিল।লোকে একে বলত ভুতুড়ে কয়েন বৃষ্টি।

ব্যাপারগুলো কি ভৌতিক,অতিপ্রাকৃত,অলৌকিক কিংবা Poltergeists?কিংবা এমন কিছু যার বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যখ্যা মেলে না?"_দৈনিক জনকন্ঠ ১১ ফেব্রুয়ারী ২০০০।

তথ্যসূত্রঃবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত-১_যার উত্তর বিজ্ঞানিরা আজও খুঁজে পাননি-এম.আজিজুল হক
==================================

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.