পুরুষ/ নারী বুঝতে শিখুক, নারী/পুরুষ মানুষ হোক।

পুরুষ/ নারী বুঝতে শিখুক, নারী/পুরুষ মানুষ হোক।

এই পোষ্টটি একটু দয়া করে পড়বেন এবং প্রয়োজন মনে করলে শেয়ার করবেন!

“আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটলে অনেক যুবক আপনার কোমরের দিকে আর আপনার বুকের দিকে তাকিয়ে চোখের স্বাদ পায়। তাতে আপনার ভালো লাগে। আপনার গালে টোল পড়া গর্তে অনেক ছেলে নিজেকে কল্পনায় ভাসিয়ে নেয়, তাতে আপনি আনন্দ পান।”
.
“বুকের উড়না সরিয়ে রাস্তায় হেঁটে বহু যুবকের দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারেন মুর্হূতে, এটা আপনার তৃপ্তি! আপনি প্রতি মাসে বিউটি পার্লারে যে টাকা খরচ করেন সে টাকায় কোন গরীব রিকশা চালকের একমাসের সংসার খরচ চলে যায়।”
.
—হয়তো সেটা আপনার বাহাদুরি!
.
“আপনি রাস্তায় হাঁটার সময় শত যুবক আড়-চোখে আপনার দিকে তাকায়! ওরা আপনাকে কিছু সময়ের জন্য কাছে পেতে চায়, সারাজীবনের জন্য নয়।”
.
“আপনি কি জানেন?– কোন সভ্য মা আপনাকে তার পুত্রবধু হিসেবে চাইবেনা ? বরং কিছু সময়ের জন্য কোন ছেলে আপনার মোহে হারিয় যাবে। যেমনটা রাস্তার পাশে হকারে কোন শার্ট ভালো লাগলে আমরা তাকিয়ে দেখি।”
.
“আপনি কি জানেন?– আমরা ঢেকে রাখা দ্রব্য নিরাপদ মনে করি। কারণ তার ভিতরটা জীবাণু মুক্ত থাকে। খোলা জিনিসে মাছি এসে ভীড় করে।”
.
“আপনি কি জানেন?– আপনার বুক ফুলিয়ে হাঁটা দেখে কিছু মানুষ দূর থেকে চোখের ইশারায় আপনার স্তনের সাইজ আর কোমর মাপতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন অজস্র পুরুষের চোখে আপনি ধর্ষিতা হচ্ছেন।”
.
“আপনার টাইট–পিট জামা আমাকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করবে ঠিকই, কিন্তু ঘরের বউ হিসেবে আমি কখনোই আপনার মতো কাউকে চাইবোনা। কারণ আপনি নিজেকে বাজারে সস্তা করেছেন বহু আগে।”
.
“আপনার পোশাক দামী হতে পারে, কিন্তু শরীরটা আর দামী নেই! সেটা রাস্তার যুবক কল্পনায় ঘ্রাণ শুকে নিয়েছে। চোখে দিয়ে মেপে নিয়েছে। “ভাবছেন—এটাই তো আপনার সৌন্দর্য তাইনা”? হ্যাঁ রাস্তায় পড়ে থাকা ভাঙ্গা গ্লাসের টুকরায় রোদ পড়লে চক-চক করে, কিন্তু তাই বলে সেটা হিরে হয়ে যায়না।”
========================
পর্দা কি শুধুমাত্র নারীদের জন্য...?
উত্তরঃ না, পর্দা শুধুমাত্র নারীদের জন্য নয়। পর্দা পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই। আল্লাহ পুরুষ এবং নারী উভয়কেই পর্দা করা নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা অনেকেই শুধু নারীদের পর্দার কথা জানি কিন্তু পুরুষদেরকেও যে পর্দার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এবিষয়টা অনেকেই জানি না। পবিত্র কোরআন থেকে উল্লেখ করছিঃ-
(১) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে নবী তুমি মুমিন পুরুষদেরকে বলে দাওঃ তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। (সুরা নুরঃ ৩০)
(২) এর পর মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, হে নবী তুমি মুমিন নারীদেরকে বলে দাওঃ তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে। (সুরা নুরঃ ৩১)
সুতরাং এদুটি আয়াত থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, পর্দা শুধুমাত্র নারীদের জন্য নয় বরং নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই। তবে পুরুষ এবং নারীরা কিছু কিছু ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পর্দা মেইনটেইন না করলেও, তাদের কোন গুনাহ হবে না। তারা হলেনঃ-
পুরুষদের মাহরাম অর্থাৎ পুরুষরা যাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং দেখা করতে পারবেঃ তার মা, তার খালা, তার ফুফু, তার শাশুড়ি, তার দুধ-মা, তার বোন, তার দাদি, তার নানি, তার নাতনি, তার দুধ-বোন, তার মেয়ে, তার ভাই-এর মেয়ে, তার বোনের মেয়ে এবং তার ছেলের বউ।
নারীদের মাহরাম অর্থাৎ নারীরা যাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং দেখা করতে পারবেঃ তার বাবা, তার চাচা, তার মামা, তার শশুর, তার দুধ মায়ের স্বামী, তার নিজ ভাই, তার দাদা, তার নানা, তার নাতি, তার দুধ-ভাই, তার ছেলে, তার ভাই-এর ছেলে, তার বোনের ছেলে, তার মেয়ের জামাই এবং তার দুধ ছেলে।
উল্লিখিত এই কয়েকজন ব্যক্তি ছাড়া পুরুষ এবং নারীরা, আর অন্য কারও সঙ্গেই দেখা করা তো দুরের কথা বরং কথাও বলতে পারবে না। তবে যদি একান্ত জরুরী কোন কারনে শুধুমাত্র কথা বলার প্রয়োজন হয়, তবে সেক্ষেত্রে নারীরা পরিপূর্ণ পর্দা মেইন্টেইন করে এবং কোমলতা পরিহার করে, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কথাটুকু অল্প কথার মাধ্যমে বলতে পারবে। কিন্তু কোনভাবেই দেখা করতে পারবে না। আল্লাহ সকল মুসলিম নর-নারীকে পরিপূর্ণ পর্দা করার তৌফিক দান করুক। আমিন।
================================
#পর্দা : #সতীত্ব_রক্ষার_শ্রেষ্ঠ_উপায়
≠≠≠≠★≠≠≠≠★≠≠≠≠★≠≠≠≠★≠≠≠≠
ঘরের বাইরে বের হওয়ার সময় পর্দার পদ্ধতি
প্রয়োজনমত ঘর থেকে বের হওয়া নারীদের জন্য জায়েয। তবে শরয়ী পর্দার সাথে বের হতে হবে। শরয়ী পর্দা সম্পর্কে কিছু মৌলিক কথা এখানে বলা হচ্ছে:
❄১• চাদর বা বোরকা দিয়ে পুরো শরীর ঢাকা থাকবে
প্রথম কথা হল, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মোটা বড় চাদর বা বোরকা দ্বারা ভালভাবে আবৃত হয়ে বের হবে। রাস্তা দেখার জন্য শুধু চোখ খোলা রাখার অনুমতি আছে। উত্তম হল, চেহারার উপর এমন নেকাব দিয়ে দেবে যার দ্বারা পর্দাও হয়ে যায়,
রাস্তাও দেখা যায়।
❄২• চাদর ও বোরকা মোটা হওয়া
চাদর বা বোরকা এতটুকু লম্বা ও মোটা হবে,
যাতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীর বা পোশাকের কোনো অংশ বের না হয়। বোরকা পাতলা হলে শরীর ও পোশাক দেখা যাবে। এর দ্বারা পর্দার উদ্দেশ্য অর্জন হবে না। আর চাদর বা বোরকা কালো রঙেরও হতে পারে, সাদা রঙেরও হতে পারে। কোনো বিশেষ রঙ জরুরী নয়।
❄৩• বোরকা সুসজ্জিত না হওয়া
বোরকা বা চাদর চমকদার ও কারুকার্যখচিত না হওয়া উচিত। কেননা নারীদের আদেশ দেওয়া হয়েছে, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নিজের সজ্জা ও সৌন্দর্য আবৃত করে বের হওয়ার। সাধারণত নারীর লেবাস-পোষাকও সুন্দর হয়, অলংকারাদিও সুন্দর হয়, বেশভ‚ষাও সুন্দর হয়। এই সবকিছুকে ঢেকে বের হওয়ার আদেশ করা হয়েছে। তাই বোরকার কাপড় খুব সুন্দর ও ফুল দ্বারা ডিজাইন করা না হওয়া চাই। বরং বোরকা একেবারে সাদাসিদা হওয়া চাই। আর তা এতটুকু বড় হওয়া চাই যে,
মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীর আবৃত হয়।
❄৪• বোরকা ঢিলেঢালা হওয়া
বোরকা এতটুকু ঢিলেঢালা হতে হবে, দেহের বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন বোঝা না যায়। বোরকা টাইট হলে পর্দার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। শরীরের গঠন, অবয়ব ফুটে ওঠে ফলে পর্দার উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। তাই বোরকা খুবই ঢিলেঢালা হওয়া চাই।
❄৫• সুগন্ধি মাখানো থাকবে না
বোরকার উপরে বা ভিতরের পোশাকে বা শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার না করা। হাঁ, যদি এমন কিছু ব্যবহার করা হয় যার সুবাস ছড়ায় না তাহলে সমস্যা নেই। যে সুগন্ধি বাইরে ছড়ায় তা ব্যবহার করে বাইরে গমনকারী নারীদের ব্যাপারে কঠিন হুশিয়ারি এসেছে। তাই এরকম খোশবু লাগিয়ে বাইরে বের হওয়া জায়েয নয়। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ব্যভিচারিনী বলেছেন।
[-জামে তিরমিযী, হাদীস ২৭৮৬]
মোটকথা, উপরের পাঁচটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে নারীরা প্রয়োজনের সময় ঘর থেকে বের হতে পারবে; যখন বাহিরের জরুরি কাজ করে দেওয়ার মত কোনো পুরুষ ঘরে না থাকে।
হজ্বের সফরে মাহরাম থাকা অত্যাবশ্যক
দেখুন, কোনো নারীর উপর যদি হজ্ব ফরয হয় কিন্তু হজ্বের সফরের জন্য তার কোনো মাহরাম না থাকে, যেমন স্বামী যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। অথবা তার মাহরাম যেমন বাপ, ভাই, আপন ভাতিজা, আপন ভাগিনা থাকে কিন্তু তাদের কেউই যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নয় কিংবা তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার মত অর্থও মহিলার কাছে নেই। এমতাবস্থায় শরীয়তের দৃষ্টিতে ঐ মহিলার হজ্বে যাওয়ার অনুমতি নেই। কেননা এই অবস্থায় তার জিম্মায় হজ্ব আদায় করাই জরুরি নয়। তার জন্য শরয়ী বিধান হল,
মাহরামের অপেক্ষা করবে। যদি মাহরাম মিলে যায় কিংবা স্বামী সাথে যাওয়ার জন্য তৈরি হয় তাহলে তার সাথে হজ্ব করতে যাবে। যদি মাহরাম পাওয়া না যায় তাহলে তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করার ওসিয়ত করে যাবে যে, আমার উপর হজ্ব ফরয ছিল কিন্তু আমি হজ্ব করার জন্য সাথে মাহরাম পাইনি। তাই আমি ওসিয়ত করছি, আমার মৃত্যুর পর আমার সম্পদ থেকে বদলি হজ্ব করানো হবে।
এটা হল, শরীয়তের বিধান। শরীয়ত এটা বলেনি যে, যখন তোমার উপর হজ্ব ফরয এবং তুমি মাহরাম পাচ্ছ না, তাহলে মাহরাম ছাড়াই হজ্বে চলে যাও। এই সকল সতর্কতা ও পরিপূর্ণ পর্দার বিধান এজন্যই দেওয়া হয়েছে যাতে মহিলার ইজ্জত আব্রæর পরিপূর্ণ হেফাযত হয়।
পর্দাহীনতার উপর কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি
এ কারণে যে সকল নারী ঘরের ভিতরের গাইরে মাহরাম পুরুষদের সাথে পর্দা করে না কিংবা যে সকল নারী ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পর্দা করে না তাদের ব্যাপারে হাদীসে অনেক কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি এসেছে। তারা যেন সেগুলো পড়ে এবং বেপর্দার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং শরয়ী পর্দার পুরোপুরি এহতেমাম করে।
আল্লাহ'তাআলা তার হুকুম মেনে চলার তাওফীক দান করুন। #আমীন।
=============================================
প্রতিরাতে স্ত্রীও স্বামীর দ্বারা ধর্ষিত হয়!!!
---কথিত নারীবাদীদের অভিযোগ।
স্বামীর দ্বারা স্ত্রী ধর্ষিত হয়- কথাটা শুনতেই গায়ে পড়ে জমিদারের নির্মম চাবুক।
স্ত্রীর কাছেও যদি ধর্ষক উপাধি পেতে হয়, তবে এই স্বামী সম্প্রদায় যাবে কোথায়???
যাইহোক, আসুন বিষয়টা একটু খুটিয়ে দেখি-
যৌনতা, সেক্স, কামভাব একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বা প্রকৃতিক নিয়ম। নারী-পুরুষ পরস্পর একে অপরকে আকর্ষন করে। নিবির পরিবেশে মিলিত হওয়ার আকাংখা জাগে। স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে এই আকাংখাটা আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে। তো এখানে ধর্ষন এলো কোথা থেকে???
স্বামী দ্বারা স্ত্রীও ধর্ষিত হয়- যারা এই দাবী তোলে, তারা কি সুস্থ মানুষ নাকি যৌনরোগী...???
যদি যৌনরোগী হয়ে থাকেন, তবে ডাক্টার দেখান।
আর যদি মনে হয়- সব নারীদের ক্ষেত্রেই বিষয়টা একই! তবে চিরন্তন সত্য এটাই যে, প্রকৃতিক বা সৃষ্টিগত ভাবেই নারী যৌন চাহিদা পুরুষের তুলনায় কম।
সেই সুত্র ধরে পুরুষের জন্য বহু বিবাহ বিধান রাখাটা যৌক্তিক ও মানবতা মুলক কাজ।
নারীবাদীদের দাবী- পুরুষ যদি একাধিক স্ত্রী গ্রহন করতে পারে, তবে নারী একাধিক স্বামী রাখতে পারবে না কেন?
~একজন স্বামীর চাহিদা মেটাতে গিয়েই ব্যর্থ বা পরাজিত হয়ে তাকে ধর্ষক উপাধি দিয়ে ফেলেছেন, সেখানে আরো একটা স্বামী রাখার মত বিকৃত চিন্তা আসে কি করে???
★      নারী বুঝতে শিখুক, নারী মানুষ হোক।
=========================================




No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.