কথিত নারীবাদীরা কি অধিকার দিয়েছে মহিলাদের ?

কথিত নারীবাদীরা কি অধিকার দিয়েছে ?

◉ রাস্তার পাশে বিলবোর্ড? সেখানেও নারী!
◉ বিজ্ঞাপন? সেখানেও নারী!
◉ ব্যাংকে যাবেন? সেখানেও নারী!
◉ টিভিতে খবর দেখবেন? সেখানেও নারী।
◉ রেডিওতে খবর শুনবেন? সেখানেও নারী!
◉ পত্রিকায় খবর পড়বেন? সেখানেও নারী!
◉ সিনেমা দেখবেন? সেখানেও নারী!
◉ নেতা-নেত্রীর শুভেচ্ছা জানাবেন? সেখানেও নারী।
◉ সিম অফিসে কল দিবেন? সেখানেও নারী!
◉ কাউকে কল দিয়েছেন সিম বন্ধ? সেখানেও নারী!
◉ কাউকে কল দিয়েছেন ওয়েটিং? সেখানেও নারী!
◉ মার্কেটে যাবেন? সেখানেও নারী!
◉ মোবাইল কিনবেন? সেখানেও নারী! নারীই যে এসবের মূল আকর্ষণ; কীভাবে বন্ধ হবে ধর্ষণ?
⚀ওহ ভাই! আর কি বাদ গেল কিছু? আর কত বলব? বলে যে শেষ করা যাবে না! তারা যে আবার অর্ধ-উলঙ্গ নারী। রাতভর মুরগীর ঘরের দরজা খুলে দিয়ে বলছি "শিয়াল সাবধান?" আর রসগোল্লার হাড়ির মুখ খুলে দিয়ে বলছি "মাছি বসো না!" তেমনি যেনার দরজা খোলা রেখেই বলছি ধর্ষণ-ব্যভিচার এসো না? চারদিকে শুধু অর্ধ-উলঙ্গ নারী আর নারী; নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধ হবে- এটা কিভাবে আশা করি? অসম্ভব! এই অবস্থায় ধর্ষণ কখনও কমবে না; বরং দিন দিন বাড়বেই। চ্যালেঞ্জ! বর্তমানে দেখছেন না কি অবস্থা?
⚀আল্লাহর দেওয়া বিধান ছাড়া ধর্ষণ বন্ধ করা অসম্ভব। এজন্য নারী-পুরুষ সবাইকেই আল্লাহর বিধান মেনে চলতে হবে।
⚀মহান আল্লাহ বলেন: “তোমরা (নারীরা) গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে; জাহেলী যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।" (সূরা আহযাব, আয়াত ৩৩)।
⚀"মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।
⚀" "আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না।" (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩০ ও ৩১)। কুরআন-হাদিস অনুযায়ী ধর্ষককে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। তাহলেই ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব।
====================================
নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসী
ব্লেড দিয়ে কেটে যৌনাঙ্গের প্রবেশ পথ বড় করেই রাতভর ধর্ষন করেছে দিনাজপুরের ৫ বছরের শিশু পূজাকে।সারারাত ধরে ২ টা জানোয়ার টানা ধর্ষন করে সকালে বাড়ির কাছে ফেলে রেখে গিয়েছিলো তাকে।বিচার হয়নি,বাকিটা ইতিহাস......আশেপাশে রেল লাইন থাকলে হয়তো পূজার বাবাও মেয়েকে নিয়ে সেদিন আত্মহত্যা করতো।আচ্ছা...ছোট্ট ফাতেমার কি দোষ ছিলো??একটি ছোট শিশুকে তুলে নিয়ে গেল,ধর্ষন করলো। বাবা বিচার চাইতে গেল থানায়,১০০০ টাকার পুলিশ কিনতে চাইলো ফাতেমার হারানো ইজ্জত!আমি মনে করি রমজান আলী তার মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে ভালোই করেছে।কারন যেই পুলিশের কাছে সে বিচার চাইতে গেছে সে পুলিশ-ই তার দুইদিন পর এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাতভর ধর্ষন করেছে!!এটি দেখলে রমজান আলী হয়তো দুইবার আত্মহত্যা করতো। অবশ্য মেয়েটি এখনো মারা যায়নি,ঢামেকে ভর্তি আছে।রমজান আলী থানা থেকে গিয়েছিলো ক্ষমতাসীন দলের অফিসে বিচার চাইতে!!কিন্তু সে হয়তো জানতো না,তার ঠিক ১ সপ্তাহ আগেই মুন্সীগঞ্জে এই ক্ষমতাশীল দলেরই এক মেম্বার VGF কার্ডের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করেছে ফাতেমার বয়সী আরেকটি বাচ্চাকে!!মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের বিছানায় এখনো প্রচন্ড যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে শিশুটি।খবর নিয়ে দেখতে পারেন।এটা জানতে পারলে হয়তো রমজান আলী আরো একবার সুইসাইড করতেন অতি দুঃখে।রমজান আলী আজ ইতিহাস হবার পথে......গত পরশু দিনের কাহিনী তো বলাই হয়নি আপনাদের!!রাজধানীর জুরাইনে ১১ বছরের একটি মেয়েকে স্কুল কক্ষে আটকে রেখে ৮ জন মিলে রাতভর ধর্ষন করেছে। মেয়েটির আত্মচিৎকার ৪ দেয়ালের বাইরে আসেনি ভালোই হয়েছে। বাইরে এলে রাষ্ট্র হয়তো তার সেই চিৎকার শুনেও হাততালি-ই দিতো।আপনারা কি ওই কাহিনীও ভুলে গেছেন???বাসায় মা-মেয়েকে একা পেয়ে কিছু জানোয়ার বাসায় ঢুকে মা'কে বেঁধে রেখে ৭ বছরের ছোট্ট মেয়েটিকে ধর্ষন করেছিলো!নিরুপায় মা বারবার চিৎকার করে বলেছিলো, 'বাবারা,ও ছোট,একজন একজন করে যাও'!কেউই শুনেনি মায়ের আর্তনাদবিচার হয়নি......হয়েছে ইতিহাস.....কিন্তু এভাবে আর কত?আর কত পূজা কিংবা ফাতেমারা ইতিহাস হবে?ফেভিকলের আঠাযুক্ত নরম গদির মানুষেরা মানবতাবাদী,প্রগতিশীল,সভ্য মানুষ।তাই তারা এসব আধুনিক সমাজের সামান্য দুষ্টামি বলে চালিয়ে দেয়।সুশীলেরাও আজ চুপ।চেতনাধারী অচেতনরা আজ অন্ধ।মানবতাবাদীমুক্তমনারা আজ বোবা।সমাজ ধংস হোক। নারী লাঞ্চিত হোক।শিশু ধর্ষিত হোক।রেল লাইনে কাটা পড়ে মরুক।তাতে তথাকথিত সুশীল চেতনাধারী মানবতাবাদীদের যেন কিছুই যায় আসে না!আর আমরাও ফেসবুকের প্রোফাইলে ২ দিন কালো ছবি ঝুলাই কিংবা 'Justice for অমুক, তমুক' লিখে পোস্ট করি..... ব্যাস,তারপর সব ভুলে যাই!এভাবে আর কত!!????রমজান আলী তো ফাতেমাকে নিয়ে মরে গিয়ে বাঁচলো,আমরা বেঁচে আছি কেন?মানুষ বেঁচে আছে কেন?এভাবে বেঁচে থাকাকে কি বেঁচে থাকা বলে?মানুষ কি এভাবে বেঁচে থাকে?একের পর এক আমাদেরই নাকের ডগার ওপর দিয়ে এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে শত শত ছোট্ট পূজা কিংবা ফাতেমারা।আমরা মরি না কেন? আমাদেরও মরে যাওয়াই উচিত। এসব প্রতিরোধ/প্রতিকার করতে না পারলে আমাদের মরে যাওয়াই উচিত।বেঁচে থাকার অন্তত কোনো অধিকার আমাদের নেই।প্রতিটা দিন,প্রতিটা ক্ষেত্রে হতাশার সংবাদ।বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখন স্বাভাবিক শব্দটির থেকেও বেশি অস্বাভাবিক হয়ে গেছে৷অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা একটা মেরুদন্ডহীন জাতিতে আমরা দিন দিন অভূতপূর্ব সাফল্য দেখাচ্ছি!!এদেশে.....সাঁওতাল ধর্ষিতা হলে সিনেমা হয়পাহাড়ি ধর্ষিতা হলে আন্দোলন হয়সংখ্যালঘু ধর্ষিতা হলে তুফান ওঠে মানবতাকর্মীদের ঠোঁটে।নায়ক-নায়িকা কেলেঙ্কারিতে মিডিয়ায় চলে তোলপাড়আর ফাতেমারা কচি বয়সে ধর্ষিতা হয়ে ঝরে যায়।আলীরা ন্যায় বিচারের অভাবে প্রাণ দেয় রেল লাইনে। বিচারের বাণী এদেশে যেন নিভৃতে কাঁদে।শুধুমাত্র২০১৭ সালেই এখন পর্যন্ত ১৬০+ শিশু ধর্ষিতা হয়েছে।এদের একটিরও যদি উপযুক্ত বিচার হতো তাহলে এদেশে এমন ঘটনা ঘটার হার কমতো।হে রাষ্ট্র,হয় বিচার করো,নইলে আত্মহত্যা করার জন্য একটি জায়গা ঠিক করে দাওধর্ষক জন্মদাতা এই সমাজের ধ্বংস চাই,পরিবর্তন চাই।প্রতিবাদ করুন,আপাতত এই পোস্ট সবার টাইমলাইনে দেখতে চাই।
============================
এক নাস্তিক আমার সাথে,পচন্ড তর্ক শেষে, আমাকে Challenge করে বলে, "নাস্তিক মেয়েরা পৃথিবীর সবচেয়ে উওম মেয়ে"।।।
আমি বললাম,""কি কারনে তারা সর্ব উওম?""
♦♦♦নাস্তিকটি বলে ""নাস্তিক মেয়েদের কাছে,''কিছু চাহিবামাত্র, দিতে বাধ্য থাকে''।।
এমন মেয়ে কি কোথাও পাওয়া যাবে।।?..তাই তারা সর্ব উওম।।simple logic...
=======================
নাস্তিক নারী মুক্তির অগ্রদূত তসলিমা নাসরিন ও কিছু কথা...
ধরুন,বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি এবং এর মাঝে নারীর সংখ্যা ৮.৫ কোটি।।
এখন বাংলাদেশের মানুষকে যদি প্রশ্ন করা হয়,একজন বিখ্যাত বাঙ্গালী নাস্তিক নারীর নাম বলার জন্যে।।তখন,সহজেই সবাই বলে উঠবে একটি নাম,তা হল তসলিমা নাসরিন।।
কট্টর ধর্ম (বিশেষ করে ইসলাম) বিদ্বেষী তসলিমা নাসরিন হল অাধুনিক তথাকথিত নাস্তিক নারী জাতির মুক্তির অগ্রদূত।।
তার চিন্তায় চেতনায় শুধুই ধর্ম বিদ্বেষ চাড়া অন্য কিছুই স্থান করে নিতে পারে নি।।কারন সে মনে করে ধর্মের কারনেই, নারী মুক্তি লাভ করতে পারে না।।
♦♦♣♦♣♦♣♦♣♦♣♣♦♣♦♣
♦(১) এবার অাসুন,তাসলিমা নাসরিনের ব্যক্তিগত জীবনে অর্থনৈতিক উৎস নিয়ে কিছু অালোচনা করি।।
তসলিমা নাসরিন ছোট কাল থেকেই বিভিন্ন নোংরামির মাঝে বড় হতে থাকে।।এবং সে টাকা উপার্যন করত বিদেশি সংগঠন থেকে,যারা ইসলাম বিদ্বেষ প্রচার করে।।অর্থাৎ তসলিমা নাসরিন, ইসলাম বিদ্বেষ প্রচার করার বিনিময়ে বিদেশি সংগঠন থেকে টাকা পেত।।।
****রেফারেন্স ****বই: "তসলিমার মামা বলছি"****
♦♦♣♦♣♦♣♦♣♦♣♦♣♦♣♦
♦(২)তসলিমা নাসরিনের পারিবারিক জীবন।।
তসলিমা নাসরিন নারীদেরকে কি অাসনে বসাতে চান,তা অামরা তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে জানব।।
তার জীবনী পড়লে অামরা দেখতে পাই,বাংলাদেশ ও তার বাইরে প্রায় কয়েক ডজন প্রগতিশীল পুরুষের সাথে Part-time ও Full time যৌন খেলায় মেতে উঠে, নাস্তিকদের নারী জাগরণের দূত তসলিমা নাসরিন।।এমনকি নিজ মামাকেও সে চাড় দেয় নি।।
♦এ যেন বাংলা লিংক দরে পুরুষের নিষিদ্ধ পানি নিয়ে হলি খেলা।।♦
♦অপরদিকে,প্রগতিশীল পুরুষেরাও পাবলিক টয়লেটের মত ব্যবহার করেছে তসলিমা নাসরিনকে,যেমন রাস্তার কুকুরীকে রাস্তার কুকুররা বিনা নোটিশে ব্যবহার করে।।।♦
♦তসলিমা নাসরিন, পুরুষের সাথে যৌন খেলায় ক্লান্ত হয়ে, নারীদের সাথেও একই খেলায় মেতে উঠতে ভূল করেন নি।।♦
♦♦♦যাই হোক, এখন প্রশ্ন অাসে, তসলিমা এত প্রগতিশীল পুরুষের যৌন পানি গ্রহন করার পরেও,কোন প্রগতিশীল পুরুষ তাকে একটা বৈধ বা অবৈধ সন্তান দেয় নি।।।কেন দেয় নি?♦♦♦
কেনই বা দিবে?..
কারন কোন সুস্থ পুরুষ, ময়লা ডাস্টবিনে তার সন্তান দিবে না,কেননা জীবাণুকে সবাই ভয় পায়।।।
***এখন তসলিমা নাসরিনের পড়ন্ত বেলা।।
নাস্তিক পুরুষরা জাতে মাতাল,তালে ঠিক।।
কারন,তারা এখন 'তসলিমরা ফ্রী পানি' গ্রহন করতে যায় না।।
যে তসলিমাকে নষ্ট করেছে নাস্তিক প্রগতিশীল পুরুষেরা,তারা এখন ভাইরাসে অাক্রান্ত তসলিমার কাছে যায় না।।***
♦♣♦♣♦♣♦♣♦♣♦♣♦♣♦♦
.....তসলিমা নাসরিনের কিছু বানী তুলে ধরা হল
(১) বিয়ের কি অাদৌ প্রয়োজন অাছে?
(২) অামি যৌনতার রানী।।
(৩) যৌনতা অামার প্রধান খাদ্য।।
(৪) যৌন স্বাধীনতাই হল নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা।
.....পরিশেষে,"নাস্তিক নারী মুক্তির" সনদপত্র তসলিমার লেখাতেই পাওয়া যায়।।
স্বঘোষিত পতিতারাই নাস্তিক নারী সনদপএ গ্রহন করে।।।
সামান্য সাধারন জ্ঞান যার অাছে,সে নারী নাস্তিদের ফাঁদে অাটকা পড়বে না।।।
==============================================
নাস্তিক এবং নগ্নতা, হাত ধরে চলে!!!
নাস্তিকদের গ্রুপে একটি post দেখে চমকে উঠেছিলাম!
এক নগ্ন নারী দাড়িয়ে আছে আর সবাই তার শরীরের ছবি আঁকছে এবং এটা নিয়ে নাস্তিকদের প্রশংসার তুফান বইয়ে দিচ্ছে!!!
কেন নাস্তিকরা নারীর স্বাধীনতার কথা বলে ? কথাটার মানে কি? কথাটার মানে কি সেরকম জটিল কিছু? না। তাদের কথা হল, নারীর স্বাধীনতা মানে নারীর 200% স্বাধীনতা । তাদের যুক্তি হল, একজন পুরুষ যেরকম স্বাধীন ,একজন নারী কেন একইরকমভাবে স্বাধীন হবে না?
শহরে গলির মোড়ে চায়ের দোকানে যদি একটা ছেলে সন্ধ্যার সময় বিড়ি টানতে পারে, তবে একটি মেয়ের ও সেই অধিকার আছে! কেন পাশের বাড়ীর মেয়েটা সেখানে একইভাবে আড্ডা মরতে পারবে না? রাত বারটার পর একটা ছেলে সড়ক দিয়ে হেটে হেটে রাতের ঢাকার রূপ দেখতে পারে, তবে পাশের বাসার মেয়েটা কেন রাত বারটায় রাস্তায় একা একা কিংবা কোন বন্ধু বা বান্ধবীর হাত ধরে হাঁটতে পারবে না?
দারুন যুক্তি! অসাধারণ যুক্তি!! না মেনে উপায় নেই!!
কিন্তু আমার সহজ ,সরল, সাধারন প্রশ্ন
যে এই post করেছেন এবং যারা প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন উনারা, উনাদের মা, বোনকে, কন্যাকে এভাবে নগ্ন হয়ে বের হতে দেবে কি?? নাকি শুধু পাশের বাড়ির মেয়েকেই স্বাধীন হয়ে নগ্ন ভাবে বের হতে উৎসাহ দেবে??
তারা তাদের মা,কন্যা বা বোনের ছবি না দিয়ে অন্য নারীর নগ্ন ছবি কেন দিল??? Why?? কেন নিজের স্ত্রী, কন্যার নগ্ন ছবি প্রকাশ করে না?? যদি নারী স্বাধীনতা চায় তবে নিজের ঘর হতে কেন শুরু করে না?? কেন নিজের মা, বোনকে নগ্ন ভাবে ঘোরার পূর্ন স্বাধীনতা দিচ্ছে না?? কেন নিজের ঘর কে পরাধীন রেখে অন্যের ঘরে স্বাধীনতার ডাক দেয়??কি? (আমাদের কাছে প্রমান আছে যদিও নাস্তিকরা নিজেদের মা,বোন,খালা ইত্যাদিদের সাথে ফ্রি সেক্স বৈধ মনে করে করে)
 অন্য নারীর নগ্নতার প্রশংসা করার কারন ?? কারন একটাই!!!
কাপড় খুলতে যেন বাড়তি কষ্ট না লাগে!!!! জঙ্গলের জংলিরা ও কাপড় না পেলে গাছের পাতা দিয়ে শরীর ডাকার চেষ্টা করে কিন্তু তথাকথিত আধুনিক ,মুক্তমনা ,নাস্তিকরা পাশের বাড়ির মেয়েটির পূর্ন স্বাধীনতার চিন্তায় ঘুমুতে পারে না!! তারা চায় আমার, আপনার মা, বোন, মেয়েরা নগ্ন হয়ে সবার সামনে যেন চলা চল করে। এজন্যই তো তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই!
হে নাস্তিকের দল, জেনে রাখবেন, নগ্নতা কখনও স্বাধীনতা হতে পারে না! পশুরা নগ্ন থাকতে পারে, মানুষ পারে না! মানুষের নগ্নতা মানায় না পশুর মত যদি নগ্নই থাকতে হয়, তবে জঙ্গলে বানরের সাথে যেয়ে থাকেন! দয়া করে মানুষের সমাজ টাকে কলুষিত করবেন না!
দয়াকরে নিজের ঘরের স্বাধীনতা না চাইলে, পাশের বাড়ির মেয়ের স্বাধীন ভাবে নগ্ন হবার অধিকারের চিন্তা বাদ দেন ৷
আচ্ছা, নাস্তিক নারীরাও কি এই রকম স্বাধীনতা চায়??
======নারীবাদী হুজুর
—————————নাাস্তিকতা ভুল

মোটা গলায় চিকণ দড়ি
—— —————————

—শুনলাম, আপনি নাকি নারীবাদী হুজুর ? আপনিই নাকি মাঝে মধ্যে এমন শিরোনাম টানেন— বাক্য সাজিয়ে উদ্ভট অনেক প্রলাপ বকেন ?
বাহ, মাত্র সাক্ষাতেই হুট করে প্রশ্নটি আমার প্রতি ছুড়ে দিলেন এক " কাইস্টা " ৷

বললাম — জ্বি, আমিই নারীবাদী হুজুর ৷ তবে হে নারীপাপী , উদ্ভট নয় বরং প্রমাণ দিয়ে সিদ্ধ করে কথা বলি ৷ আমার কোনো কথা যদি ধর্ম, বিজ্ঞান বা যুক্তি বহির্ভুত পান— তবে আমাকে কান ধরান ৷ একদম নো প্রবলেম তাতে ৷ হৈচৈ নেই এতে ৷

—এটা শুনাতেই তাকে দেখলাম, ভ্রু কুচকানো একটা হলুদ রঙ্গের স্টিকারের মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ তারপর চোখ কচলে কচলে বলতে লাগলো, হ্যাঁ, সেটাইতো ৷
বললাম —জনাব, মনে হয়, কিছু জানতে নন বরং অনেককিছু প্যাঁচাতে চান আপনি (!)
—হ্যাঁ / না কিছু না বুঝিয়েই বলতে লাগলো,, আইচ্ছা,, এতো নারী, নারী করেন যে— আপনার নবিতো বলে গেছেন এরাই সবচেয়ে বড় বিপদ ৷

[ দেখুন, বুখারি, ৫০৯৬ ]

বললাম, —আইচ্ছা, নবি কি বলে গেছেন ? আবু জাহেলসহ সব পুরুষই ভালো ৷
—আরে তানয়, তা বলবেন কেনো ! পুরুষ -নারীর সবাইতো আর ভালো নয় ৷ ভালো /খারাপ দুটো মিলিয়েই তো হয় ৷
বললাম —হ্যাঁ, সুন্দর বলেছেন ৷ নবি ( সা.) খারাপ মেয়েদেরকে বড় বিপদ ও ফেতনা বলে গিয়েছেন ৷ আর ভালো মেয়েদেরকে বরং বিপদের বিপরীতে সবচেয়ে বড় কল্যাণী বলে গিয়েছেন ৷
" পুরো দুনিয়া থেকেই উপকার বা কল্যাণ নেয়া যায় ৷ কিন্তু সবচেয়ে বেশি উপকারী বা কল্যাণী হলো একজন সৎ নারী " ৷

[ দেখুন, সহীহ মুসলিম ১৪৬৭,সহীহুন নাসায়ী, ৩২৩২ সহীহুল জামে, ৩৪১৩ সহীহ ইবনে হিব্বান,৪০১৩ মুখতাছারুল মাকাসেদ,৪৬৬ সহীহ ইবনে মাজাহ, ১৫১৬ ]
দেখুন,, ভালোকে ভালো বলা আর খারাপকে খারাপ বলা— এটা একজন সুস্থ বিবেক ও মানুষের পরিচয় ৷ নবিজি নিজেকে সেটাই প্রমাণ করলেন ৷
————————————————
—নারীবাদী তো হয়ে গেছেন !! জাহান্নামে যে অধিকাংশ নারীকে পৌঁছে দিয়েছেন আপনার নবি— সেটা খেয়াল আছে ? জাহান্নমের অধিকাংশই তো নারী ৷
[ দেখুন, বুখারি, হাদিস নং, ৩০৪, ১৪৬২ ]
ঘর্মাক্ত কপালে বলতে লাগলেন কাইস্টা ৷
বললাম — গণিতে আসুন, আটজন পুরুষের ৪ জন গেলো জাহান্নামে আর পনের জন নারীর পাঁচজন জাহান্নামে ৷
দেখুন, পুরুষের অর্ধেক জাহান্নামে ( আট থেকে চার) ৷ কিন্তু নারীর অর্ধেক নয় বরং আরো কম; তিন ভাগের একভাগ জাহান্নামে ( পনেরজনের পাঁচজন) ৷ কিন্তু বলার সময় কী বলছেন ? দেখলাম,মাত্র চারজন পুরুষ জাহান্নামে আর বাবা রে পাঁ চ জ ন নারী জাহান্নামে ৷ কিন্তু ওই গড় হিসেবটাতো দেখলেননা — অর্ধেক / তিনভাগের একভাগ ৷ শুধু দেখলেন, বাহ্যিক সংখ্যাটা— পুরুষ = ৪ জন আর নারী = ৫ জন
কাইস্টা —হু, নারীর সংখ্যা এতো পাইলেন কই ?
বললাম— দেশে খোঁজ লাগান , জনসংখ্যায় নারীর হার কতো ? একজন পুরুষের বিপরীতে চারজনও পড়তে পারে ৷৷ মানে নারীর সংখ্যাই বেশি ৷
— আরে, আমি যা কইলাম তাতো বুখারির হাদিস থেকে ৷ আর আপনের নারীর সংখ্যা কই থেকে কইলেন ? বাস্তবতা বুঝিনা— হাদিস চাই ৷ কাইস্টা রাগ ঝেড়ে বললেন ৷
বললাম — বিশ্বযুদ্ধ তো দুটো গেলো আর দুনিয়ার যে অবস্থা চলছে— দেখতে থাকুন ৷ আমিতো কেবল বললাম, এক পুরুষের বিপরীতে চার নারী—এবার নিন, বুখারির হাদীস, দেখুন , দুনিয়ার অবস্থা— এক পুরুষের বিপরীত চার নয় বরং পুরো চল্লিশ নারী ৷
— [ বুখারি, হাদিস নং, ১৪১৪ ]
————————————————
—সবই প্রমাণ করে একদম মেয়েদেরকে বেহেশতে পাঠিয়ে দিলেন ৷ কী করবে ওরা সেখানে ? পুরুষরাতো "হুর "পাবে "হুর " ৷
[ সূরা দুখান, আয়াত নং ৫৪]
কিন্তু নারীরাতো হা হা "হুর "পাবেনা ৷ কোথায় গেলো বিবেক ? সমান অধিকার ? কাইস্টার মোটা গলায় জোরালো প্রশ্ন ৷
বললাম, — বেহেশত বুঝেন ? কাঁথা সেলানোর জন্য সেখানে কেউ চাইলে সুই— সুতো দেয়া হবে— এমন কথা কোরআন/ হাদিসে কোথাও আছে ?
—কাইস্টা বললেন, কোরআন/হাদিস কম বুঝিনা ৷ এতোকিছু কোরআন /হাদিসে নাম ধরে থাকতে হয়না ৷ সুই— সুতো একটা সিম্পল বিষয় ৷ এটা আল্লাহ দিতে পারবেন ৷ এটা বুঝেননা ?
বললাম— বেহেশতে নারীদেরকে " ফ্রেশ শরাব "দেয়া হবে ?
—কাইস্টা বললেন, হ্যাঁ,, দেয়া হবে ৷
বললাম, নারীরা পাবে "এমন আরবি নারীবাচক শব্দে কোথাও আছে?
কাইস্টা বললেন, এটাও সিম্পল বিষয় ৷ কোরআনে সবকিছু নারীবাচক শব্দ দিয়ে বলতে হয়না ৷
বললাম,— শুনেন, দুটো পয়েন্ট— নং ① ১, জান্নাতে অযৌক্তিক কিছু চাওয়া হলে তা দেওয়া হবেনা ৷ যেমন, আল্লাহর আসনে নিজেকে রাখার আবেদন ৷ কারণ, আল্লাহর সমান কেউ হতে পারেনা ৷
[ দেখুন, সূরা শূরা, আয়াত নং ১১، সূরা ইখলাস, ৪ ]
২, আল্লাহর ওয়াদার বিপরীত কিছু চাইলে ৷ যেমন, নবিদেরকে জাহান্নামে দেয়ার আবেদন ৷ কাফেরদেরকে জান্নাত দেয়ার আবেদন
[ দেখুন, সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ৯, সূরা রাদ, ৩১ , সূরা যুমার,২০]
৩, যে নিয়ম আল্লাহ রাখেননি ৷ যেমন, মৃত্যুর পর আবার দুনিয়াতে পাঠানোর আবেদন ৷
[ দেখুন, সূরা যুমার, আয়াত নং ৫৮]
এছাড়া যৌক্তিক সবকিছু দেয়া হবে ৷ যা চাবে তার সব দেয়া হবে ৷
[ দেখুন, সূরা নাহল, আয়াত নং ৩১,, সূরা ক্বাফ, ৩৫ ]
পয়েন্ট নং ②, হে নারীপাপী, "হুর " মানে তো বুঝায়, কল্পনার পরও অবর্ণনীয় অসাধারণ রুপবতী কোনো কন্যা ৷ এখন এমন মেয়ে দিয়ে মেয়েরা কী করবে ? বরং তাদের প্রয়োজন হলে হবে সুদর্শন যুবক ৷ সেটা অযৌক্তিক নয় বরং যৌক্তিক দাবি ৷ জান্নাতে বেশি চাইলে আল্লাহও বেশি দিবেন ৷ সেটা তখনকার বিষয় ৷ তবে নিশ্চিত দাবি অগ্রাহ্য হবেনা ৷ এটাও আল্লাহর কাছে সিম্পল বিষয় ৷ সবকিছু কোরআনে নারীবাচক শব্দে থাকতে হয়না ৷ এটাও বুঝেননা ?
————————————————
—হ, হ,, আপনারা নারীকে অনেক সম্মান দিছেন (!) শুনতে পেলাম, কাইস্টার বিরক্তিকর আওয়াজ ৷
বললাম, — হ্যাঁ, দিয়েছি তো ৷ কোরআনে তাদের নামে সূরা ৷ কিন্তু আমাদের নামে সূরা নেই ৷
এমনকি কোরআনে বর্ণিত শেষ সীমার ইতর বদমাশ —ইবলিস, ফেরাউন, হামান, কারুণ — এই সবগুলোইতো নোবেল পাওয়া পুরুষের উল্লেখ ৷ এরা কিন্তু কেউ নারী নন ৷
[ দেখুন, সূরা ক্বাছাছ, আয়াত নং ৭৬, সূরা ক্বাছাছ, ৬, সূরা বাকারা, ৪৯، সূরা আরাফ, ১১]
এর বিপরীতে এমন নারীর কথা কোরআনে কোথায় রয়েছে ?
—থতমত খেয়ে কাইস্টা বললেন, হ্যাঁ,, আসলে আমিতো কেবল নারীদের বিপরীতে বলা আয়াত /হাদিসটাই দেখি ৷ আর আপনি কোরআন /হাদিসের সবগুলো আয়াত/হাদিস দেখে কথা বলেন ৷ নিরেপক্ষ থাকেন ৷ তাই বলি, আপনারটাই হলো মূল ইসলাম ৷
—কথাটা শুনে মুচকি হাসতে লাগলাম আমি— আর মনে মনে বলতে লাগলাম, শয়তানও মাঝে মাঝে সত্য বলে ৷
[ দেখুন, বুখারি শরীফ, হাদিস নং ২৩১১ ]
——————————————
আশ্চর্য দর্শন
আশ্চর্য দর্শন এই যে, মহিলা যখন বিমানে বিমানবালা হয়ে মানুষের সেবা করে, তাদের সামনে ট্রে সাজিয়ে পরিবেশন করে এবং তাদের কামাসক্ত দৃষ্টিতে বিদ্ধ হয় তখন তা হয় ‘স্বাধীনতা’।
পক্ষান্তরে সে যদি নিজের ঘরে নিজের জন্য, স্বামী ও সন্তানের জন্য, পিতামাতার জন্য খাবার রান্না করে তাহলে তা পরাধীনতা।
এই আশ্চর্য দর্শনে নারীকে ভুলিয়ে বণিক সম্প্রদায় তাকে ব্যবহার করেছে বাণিজ্যিক স্বার্থে। তাকে বানানো হয়েছে প্রদর্শনীর বস্তু। সেলসগার্ল দরকার তো মহিলা হতে হবে, পণ্য বিক্রির প্রয়োজন তো মহিলারই বিক্রি করতে হবে। যেন তার রূপ-সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মানুষ পণ্য ক্রয় করে। তার প্রতিটি অঙ্গ খোলা বাজারের পণ্যে পরিণত হয়েছে। এমন কোনো বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে না, যাতে নারীর ছবি নেই নারীকে পণ্য বানিয়ে নিজেরা অর্থ উপার্জন করছে।
এর নাম দিয়েছে নারী স্বাধীনতা!
=======================================
নারীদেরকে নিয়ে আল্লাহ্‌ পাক ৪ টি কিতাবে অর্থাৎ ৪ ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট ৪ ব্যক্তির কাছে ৪ রকম বর্ণনা দিয়েছেন !
১ / ইসলাম ধর্মে বর্ণনা দিয়েছেন ,, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত , এবং নারী বেহেস্তের হুর স্বরুপ !
২ / হিন্দু ধর্মে বলেছেন ,,, নারীদের কোনো উত্তরাধিকার নেই !
৩ / বৌদ্ধ ধর্মে বলেছেন ,,, সকল পাপের মূলে নারী !
৪ / খ্রীষ্টান ধর্মে বলেছেন ,, নারীরা নরকের দ্বার !
এখন আমার প্রশ্ন আপনাদের আস্তিক ভাইদের কাছে যে , আল্লাহ্‌ কয় জন ??????????????????????????????
একজন নাস্তিকের প্রশ্ন।।
প্রথমে বলে রাখি নাস্তিক সবসময় নিজের সমালোচিত হতে দেখে আনন্দ লাভ করে। আবার তারা বলে, তারা নাকি উচ্চ শিক্ষিত?? উপরের প্রশ্ন থেকেই বুঝা যায়, তাদের জ্ঞানের পরিধি।।কারণ, একমাত্র কুরআন ব্যতীত অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থ আল্লাহর নয়। বাইবেল যদিও ঐশী। কিন্তু খ্রীস্টানরা এতে পরিবর্তন পরিবর্ধন করে নিজের মতো করে নিয়েছে। সুতরাং এটাকে ঐশী গ্রন্থ বলা চলেনা।। ইহুদীরাও এমন। আর বৌদ্ধ ধর্মের গ্রন্থ সেটাতো আল্লাহর বানী ই নয়। সরাসরি গৌতম বৌদ্ধের আবিষ্কার।। তাহলে দেখা যাচ্ছে একমাত্র ঐশী গ্রন্থ হলো আল কুরআন।। সুতরাং আল্লাহ এক।।
তাছাড়া প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইসলাম ই একমাত্র ধর্ম। যে নারীদের সম্মান দিয়েছে।।
=============================================
বস্ত্রহীনার বস্ত্রহরণ-----
---------------------------------
নারীকে উম্মুক্ত চত্বরে বস্ত্রহীন করাটা---- কী কোন শিল্প......???
না...... লুইচ্ছা--মানসিকতার
পরিচয়.......???

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। তেমনি নারীর সৌন্দর্য্য লজ্জাশীলতায়। নারীর গোপনাঙ্গ উম্মুক্ত করে এ কেমন শিল্প.......???
এমন শিল্প কী মানুষের মনকে তৃপ্ত দেয়......নাকি, লালিত কামনাকে সংগোপনে সুঁড়সুঁড়ি দেয়......???
আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি নারী দেহ যদি দেখতে হয়--- তাহলে, যার যার ঘরের স্ত্রীকে অবাক বিস্ময় নিয়ে দেখা উচিত। এভাবে ভাস্কর্যের নামে নারীকে উম্মুক্ত চত্বরে বস্ত্রহীন করার মাঝে কোনো বীরত্ব নেই..কিংবা কোন শিল্প আছে বলে মনে হয়না.....
এই নারী মূর্তিগুলো পিছনে যতই ঐতিহাসিক ঘটনা লুকিয়ে থাকুক না কেন......নারীকে একেবারেই অসন্মানিত করা হয়েছে....... এটা পুরুষের মনে কেবলই যৌনক্ষুধায় বাঁড়ায়....এবং কেবলই অশ্লীলতাকে সমর্থন করে.....
অার, নেপথ্যে নারী---নিজেকে ভীষণভাবে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয় এবং নিজের মধ্যে লজ্জায় নুব্জ হয়ে যায়....নারীর সম্ভ্রমহানী---- কোন শিল্পীর-তার মনের চোখে ধরা পড়ে কী......???
অার---ইসলাম.....এসবকে ঘৃ্ণা করে...নারীকে-----তা থেকে মুক্তি দেয়.... পর্দানশীলতার হুকুম দিয়ে-----ইসলাম...নারীকে সন্মানিত করার ব্যবস্থা করেছে.......

যখন দেখি-------ফরহাদ মাযহারকে নিয়ে..নাস্তিকরা--লুইচ্ছামীকে কেন্দ্র করে ----ফেসবুক.... গরমের পর গরম করে চলেছে......!!!

দু'টি ঘটণা একত্রে মিলালে--নাস্তিক্য মনে......সাংঘর্ষিকতা সৃষ্টি হয়না কেন...???
==========================================
হিজাব নারীদের জন্য অমর্যাদার নাকি সম্মানের?? (বোনদের জন্য একটি বার্তা)
অনেক বোনই বুঝতে পারেননা যে:
*কেন ইসলাম এই ধরনের অদ্ভুত হিজাব রীতির কথা বলল ?
**কেন নারীরা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শনে স্বাধীন নয় ?
**এটা কি নারীজাতির প্রতি একটি অসম্মান নয় ?
প্রথমত, আপনারা আপনাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন করে কি পেতে পারেন? আমি মনে করি আপনি ইসলামি হিজাব পদ্ধতিকে অপছন্দ করেন, দু'টি জিনিস চিন্তা করে :
=> পরিতৃপ্তি
=> প্রশংসা
এটা দ্বারা কি বুঝায়?
আমি মনে করি, আপনি হয়ত এভাবে চিন্তা করেন: "আমি খুবই খুশি হব যদি আমার পছন্দনীয় ফ্যাশানেবল স্টাইলে নিজেকে সাজাতে পারি" অন্য কথায়, আপনি চিন্তা করেন যে, যদি আকর্ষনীয় প্রকাশভঙ্গি নিয়ে বাইরে যেতে পারেন, তবে আপনি মানসিক পরিতৃপ্তি লাভ করবেন। এর পরবর্তীতে যে চিন্তাটা আপনার মাথায় আসতে পারে সেটা হল,"ওহ! মানুষ আমার দিকে তাকাবে, আমি কতই না ফ্যাশানেবল। আর তারা যদি আমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করে..... ওহ! আমি আর ভাবতে পারছি না" । অন্য কথায়, আপনি হয়তো চিন্তা করতে পারেন যে, মানুষ আপনার সুন্দর প্রকাশভঙ্গি দেখবে আর যদি সম্ভব হয়, মাঝে মাঝে এর প্রশংসাও করবে। এগুলো সবই আপনার মানসিক উদ্দীপনা। কিন্তু আপনি কি কখনও বাস্তবতাটা নিয়ে ভেবে দেখেছেন?
মনে করুন, আপনার হাতে একটা কমলা লেবু আছে। আপনি এটা দেখছেন এবং অনুভব করছেন; এটা এতই সুস্বাদু যে আপনি এই ফলটি খেতে চান। তাই আপনি কমলা লেবুটির ভেতরের অংশ বের করে নিলেন।
এখন এটা পূর্বের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করুন। আপনি খুবই আকর্ষনীয় প্রকাশভঙ্গি নিয়ে বাইরে বের হলেন। একজন পুরুষ আপনাকে দেখল এবং তীব্রভাবে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হল। (ধরুন) সে খুব বেশি ভাল চরিত্রের পুরুষ নয়। সে নিজের যৌন হরমোনাল প্রভাব নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, আর তাই সে আপনাকে অনুসরণ করা শুরু করল। সে একটা নির্জন জায়গা পেয়ে আপনাকে  জোর করে টেনে-খিচড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল এবং তারপর পালিয়ে গেল।
এখন দয়া করে আমাকে বলুন, এটা কি আপনার জন্য অসম্মানের নয়? আমি মনে করি এটা অসম্মানজনক। কারন সে আপনাকে এরূপ পদ্ধতিতে উপভোগ করেছে। এভাবে যদি কোনো পুরুষ আপনাকে ধর্ষন করার মাধ্যমে উপভোগ করে, এটা আপনার জন্য অপমানজনক হবে ; তাহলে কিভাবে আপনি বলতে পারেন যে, অন্য লোকেরা আপনাকে আকর্ষণীয় প্রকাশভঙ্গিতে দেখলে আপনার সম্মান বৃদ্ধি পাবে? তারাও কি আপনাকে উপভোগ করছে না??
আপনি হয়তো বলতে পারেন, 'আপনাদের (পুরুষদের) মনে এত নোংরা চিন্তাভাবনা কেন?' আপনি যাই বলুন না কেন, আপনি কি প্রাকৃতিক যৌন হরমোনাল প্রভাবকে বন্ধ করতে পারবেন? পবিত্র চিন্তা-ভাবনা হয়তো মানসিক, কিন্তু যৌন হরমোনাল প্রভাব শারীরিক। আপনি কি এটা উপেক্ষা করতে পারবেন?? একটু চিন্তা করে দেখুন।
ইসলাম এই ধরনের বহিঃপ্রকাশের অনুমোদন দেয় না। যেখানে আপনি মনে করছেন যে, আপনি মানসিক তৃপ্তি পাচ্ছেন, সেখানে আসলে আপনি আপনার নাফ্সকে (নিজেকে বা নিজের ইচ্ছাকে) সন্তুষ্ট করছেন। যখন আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষার পিছনে ছুটছেন, তখন আপনার প্রশান্ত মন প্রবৃত্তির অনুসরণ, দম্ভ এবং স্বেচ্ছাচারিতায় রুপান্তরিত হচ্ছে। এমনকি আপনার সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ যেন পরিণত হচ্ছে অপবিত্র যৌন আকর্ষনের উৎস হিসেবে যার ক্রিয়াশীলতা প্রকাশ পাচ্ছে ধ্বংসাত্মক আগুনের ন্যায়। এটা আপনার জন্য কোনো প্রকার 'সম্মান' বলে গন্য হতে পারে না।
যদি আপনি বাজার থেকে একটা ডিম কিনে আনেন,তাহলে এটা আপনি রান্নাঘরে গিয়ে ভাঙবেন কারন এটাই উপযুক্ত স্থান। একইভাবে আপনার সৌন্দর্য প্রদর্শনের প্রকৃত স্থান হল একমাত্র আপনার বিবাহিত স্বামীর নিকট,এখানে সেখানে নয় যাতে আপনি ভোগ্যপণ্যে পরিণত হন।
সুতরাং, হিজাব আপনাদের অসম্মান করে না, বরং আপনাদের শালীনতা বজায় রাখার রাস্তাটিই দেখিয়ে দেয় এবং নারীজাতির মর্যাদাকে  সর্বোচ্চ সম্মানের স্থানে উপবিষ্ট করে। এটা এমনই একটি পন্থা যা আপনাকে ভিতর এবং বাইরে থেকে পবিত্র রাখে।  এছাড়া এটা এমন একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি জনগনের সহজলভ্য পন্য হওয়ার পরিবর্তে পাবেন সম্মান ও আত্মমর্যাদা ।
পুরুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে নারীর প্রতি তীব্র কামনা দিয়ে; একইভাবে নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষের প্রতি তীব্র কামনাস্বরূপ। সুতরাং, পুরুষের দায়িত্ব নিজেকে পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রন করা। একইভাবে নারীর দায়িত্ব তার সৌন্দর্য পরিপূর্ণভাবে আবৃত করে রাখা।
সৌন্দর্যের পিছনে ছুটে বেড়ানো নিজের আকাঙ্ক্ষার পিছনে ছুটে বেড়ানোই নামান্তর। সৌন্দর্যের প্রতি আসক্তি অন্তরের ব্যাধি ছাড়া আর কিছুই না। তাই পুরুষ এবং নারী উভয়েরই দায়িত্ব  তাদের হিজাব পরিপূর্ণভাবে পালন করা। কোরআন  নারীদের পূর্বে পুরুষদের হিজাবের বিধান দিয়েছে ৷
"**মু’মিন পুরুষদের** বলো তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে,এটাই তাদের জন্য বেশি পবিত্র, তারা যা কিছু করে সে সম্পর্কে আল্লাহ খুব ভালভাবেই অবগত। --(সুরা নুর:৩০)-
আর **ঈমানদার নারীদেরকে** বলে দাও তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, আর তাদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে যা এমনিতেই প্রকাশিত হয় তা ব্যতীত। ....(সুরা নুর আয়াতঃ ৩১)
যদি এখনও আপনি চান আপনার সৌন্দর্য সর্ব সাধারনের সামনে প্রদর্শন করতে, তবে ইসলাম আপনাকে ভোগ্যপণ্য হওয়ারও অপশন দিচ্ছে। (তবে জেনে রাখুন) আপনার কর্মফল পরকালে (অবশ্যই) পরিপূর্ণভাবে বিচার করা হবে।
ﻟَﺂ ﺇِﻛْﺮَﺍﻩَ ﻓِﻰ ﭐﻟﺪِّﻳﻦِۖ ﻗَﺪ ﺗَّﺒَﻴَّﻦَ ﭐﻟﺮُّﺷْﺪُ ﻣِﻦَ ﭐﻟْﻐَﻰِّۚ ﻓَﻤَﻦ ﻳَﻜْﻔُﺮْ
ﺑِﭑﻟﻄَّٰﻐُﻮﺕِ ﻭَﻳُﺆْﻣِﻦۢ ﺑِﭑﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻘَﺪِ ﭐﺳْﺘَﻤْﺴَﻚَ ﺑِﭑﻟْﻌُﺮْﻭَﺓِ ﭐﻟْﻮُﺛْﻘَﻰٰ
ﻟَﺎ ﭐﻧﻔِﺼَﺎﻡَ ﻟَﻬَﺎۗ ﻭَﭐﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴﻊٌ ﻋَﻠِﻴﻢٌ
"দীনের(ইসলামের) ব্যাপারে **কোন জবরদস্তি কিংবা বাধ্যবাধকতা নেই**। নিশ্চয়ই ভ্রান্তি হতে সুপথ প্রকাশিত হয়েছে। অতএব যে তাগুতকে(অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য বাতিল উপাস্যসমূহকে) অবিশ্বাস করে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে সে দৃঢ়তর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরলো যা কখনও ছিন্ন হবার নয় এবং আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।" --মহাগ্রন্থ কোর'আন ২:২৫৬
("Is Hijab an insult or honour to women???"
রচনাটি হতে অনুবাদকৃত ও কিছুটা সংযোজিত)
[অনুবাদ করেছেন - মামুন রেজওয়ান]
(You can read the main English article here:
https://m.facebook.com/notes/ahmed-ali/is-
hijab-an-insult-or-honour-to-women/
1669232033372123/?refid=21&_ft_=t
op_level_post_id.1669232033372123
==============================================
হিজাব ও পর্দা : কিছু সহজ-সরল কথা
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
পর্দা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কুরআন মজীদের কয়েকটি সূরায় পর্দা-সংক্রান্ত বিধান দেওয়া হয়েছে। পর্দার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সকল শ্রেণীর ঈমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেছেন তিনি যেন তাঁর স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের নারীদেরকে চাদর দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত রাখার আদেশ দেন।
কিছু আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদেরকেও সম্বোধন করেছেন, কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও সম্বোধন করা হয়েছে। মোটকথা, কুরআন মজীদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান করেছে। এটি শরীয়তের একটি ফরয বিধান। এ বিধানের প্রতি সমর্পিত থাকা ঈমানের দাবি।
কিন্তু বেদনার বিষয় এই যে, পশ্চিমা সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের ‘মুসলিম-সমাজ’ এতটাই প্রভাবিত হয়ে পড়েছে যে, কুরআন ও সুন্নাহর বিধানও তাদের কাছে অপরিচিত ও অপ্রয়োজনীয়! (নাউযুবিল্লাহ)
ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান তো-আল্লাহ হেফাযত করুন-মুসলিম পরিচয় বহনকারীদের দ্বারা আক্রমণেরও শিকার। ঐসব বিধানের মধ্যে একটি হচ্ছে পর্দা বিধান। এই সব
‘মুসলমানদের’ কে বোঝাবে যে, এটা নিজের পায়ে কুঠারাঘাতের শামিল।
ইসলামের এই বিধানগুলো শুধু আমাদের আখেরাতে নাজাতেরই উপায় নয়, আমাদের দুনিয়ার জীবনের শান্তি, স্বস্থি ও পবিত্রতারও রক্ষাকবচ। কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অমুসলিমদের প্রচারণায় প্রভাবিত হয়ে আমরা নিজেদের আর্দশ ত্যাগ করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি।
আমাদের পরিবার ও সমাজেও পশ্চিমা সমাজের ভয়াবহ উপসর্গগুলো প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে অশনিসংকেত। পশ্চিমা সভ্যতা যেসব মরণব্যাধিতে আক্রান্ত তা থেকে যদি আমরা আমাদের পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করতে চাই তার একমাত্র উপায় ইসলামের বিধান ও আদর্শের সামনে আত্মসমর্পণ। আমরা যদি আমাদের পরিবারিক শান্তি ফিরে পেতে চাই তাহলে নারী-পুরুষ সকলকে পর্দা-বিধানের অনুসারী হতে হবে।
মুসলিম ভাইবোনদের প্রতি কল্যাণকামিতা থেকেই আমরা বিভিন্ন আয়োজন করছি। বর্তমান সংখ্যায় পর্দা সম্পর্কে সহজ-সরল কয়েকটি নিবন্ধ পত্রস্থ হল। সামনে এ বিষয়ে আরো কিছু পেশ করার ইচ্ছা আছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তাঁর বান্দা হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।
==============
নাস্তিকতায় নারীর অর্থনৈতিক উৎস গুলো কি কি??
***ইসলামে নারী তার বাবা,Husband,সন্তান ও 'এই রকম' অারো কিছু উৎস থেকে, অর্থ পেয়ে থাকে।।
***যদি কোন মুসলিম নারী কোন অর্থ উপার্জন করে,সেই অর্থ শুধু তার।।সে নারী ইচ্ছা করলে তার পরিবারে খরচ করতে 'পারে' অথবা 'না পারে'।।
***কোন মুসলিম নারীর Husband বাধ্য "তার নিজ বাবা মা, Wife এবং সন্তানের অর্থনৈতিক" দায়িত্ব্য নিতে।।।
(কিন্তু নারীরা পতিতাবৃত্তি, নাচ,গান,মদের বারে চাকরি,অভিনয়/পর্ণ অথবা Boss কে যৌনতার সন্তুষ্টির মাধ্যমে টাকা কামানো ইসলামে নারীর জন্য বৈধ না।।।♦ এই সকল শর্ত মুসলিম পুরুষদের জন্যও প্রযোজ্য)
♦♦♦এখন নাস্তিকদের প্রশ্ন করি,নাস্তিক নারীদের অর্থনৈতিক উৎস গুলো কি কি।।??
============================================
নাস্তিকতার নারী নীতিসমূহ, সমাজ বিজ্ঞানের কাছে কতটুকু গ্রহনযোগ্য?
* সত্যের বানী কি কাঁদবে রাতের আধারে?
মিথ্যার বানী কি হাসিবে দিবালোকে?""
ডারউইন বলেছিলেন ""একটা নারীর বন্ধুত্ব, একটি কুকুরের বন্ধুত্বের চেয়ে উওম""
...নাস্তিকতার নারী নীতিসমূহ তুলে ধরা হল...
***পতিতাবৃত্তি করার অধিকারঃ
নাস্তিকতা নারীর পতিতাবৃত্তিকে বৈধ মনে করে।এমনকি নাস্তিক গুরুরা সমাজে এই নিয়মকে বৈধতা দেওয়ার জন্যে অনেক ধরনের সভার আয়োজন করে।।""আমরা দেহ আমি দিব,যাকে খুশি তাকে দিব""
***♦নোংরা ভাবে টাকা কামানের অধিকারঃ
নাস্তিকতা নারীকে টাকা কামাতে বাধ্য করে ও নারীর সব কাজের বৈধতা দেয়।।নারীরা সাধারনত কম সময়ে টাকা কামানোর জন্যে পতিতাবৃত্তি, Porn Movies,নাটক,সিনেমা,মদের বারে কাজ,মডেলিং,অফিসে Boss/Manager সাথে ভালোবাসার খেলা এগুলো করে থাকে।।
***নিজ বাবা/ভাই/ছেলে সাথে যৌনতার অধিকারঃ
নাস্তিকতা সব ধরনের অজাচারকে বৈধতা দেয়।।হুমায়ন আজাদ,Lawrence Krauss এর মত বড় মাপের নাস্তিক গুরুরা এগুলো প্রচার করে।।
***Rape হওয়ার অধিকারঃ
নাস্তিকতা Rape কে Natural মনে করে।।Richard Dawkins,Sam harris এর নাস্তিক গুরুরা open media তে এসে "Rape করা বৈধ তার প্রমান দেয়।।
***অবাধ যৌনতার অধিকারঃ
নারীরা যার সাথে মন চায় তাদের সাথে যৌনতা করতে পারবে।।
***পশুর সাথে যৌনতার অধিকারঃ
নাস্তিকতা পশুর সাথে যৌনতা করাকে সভ্য সমাজের কাজ হিসাবে মনে করে থাকে।।আভিজিৎ রায় বাংলাদেশে এর অধিকার নিয়ে লেখা লেখি করেছিলেন।।
***মাদক সেবনের অধিকারঃ
সব ধরনের মাধকতা বৈধ নাস্তিকদের কাছে বৈধ।
***সন্তান না নেওয়ার অধিকারঃ
নাস্তিকতায় নারীকে যৌন পাখি মনে করা হয়।।নারীরা যৌন কাজে Busy থাকতে থাকতে ৪০/৪৫ বছরেও সন্তান নেয় না।।এরপরে আনেক নারীর আর সন্তান নেওয়ার Power থাকে না।।আর নারীকে শেষ জীবনে একলা থাকতে হয়।।।তসলিমা নাসরিন নাস্তিক নারীদের Model।। ১৫/২০ জন পুরুষের সাথে মিশার পরেও একটি বৈধ অবৈধ সন্তানের মা হতে পারে নি তসলিমা ।।
***সমকামিতার অধিকারঃ
তসলিমা নাসরিন ও একজন নারী সমকামী ছিলেন।।সকল নাস্তিকরা এটাকে Natural বলে থাকে।।
আমরা সবাই জানি যে, উপরের কাজ গুলোর কারনে যৌন বাহিত রোগ হতে পারে এবং এইভাবে একদিন সমাজ ধংস হয়ে যেতে পারে।।
♦এই নীতি গুলো কি কোন সমাজ বিজ্ঞান গ্রহন করতে পারে???
=======================================
জান্নাতে নারীরা কি বঞ্চিত হবে???
আমরা অনেকেই হয়ত মনে করি ইসলাম পারলৌকিক জীবনে শুধু পুরুষদেরকেই বিভিন্ন ভাবে সম্মানিত করবে কিন্তু নারীদের জন্য পরকালে তেমন কিছুই নেই।
এটি সম্পুর্ন ভুল ধারনা , এবং এ ব্যাপারে কোরানের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট, আর তা হচ্ছে মহান আল্লাহ নারী অথবা পুরুষ যেই হোক না কেন তাকে তিনি সম্মানিত করবেন যদি সে সৎকর্মশীল হয়।
প্রথম কথা হল এই দুনিয়া এবং জান্নাত সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটা বিষয় ৷ নিজের নাম ছাড়া দুনিয়ার সাথে জান্নাতের কোন কিছুই মিলবেনা ৷ এখনের চিন্তা, চেতনা, রীতি, নিতি ,আচার -আচরন কিছুই মিলবেনা ৷
সেখানে সময় এবং সুখ কখনোই শেষ হবে না ৷
নাস্তিকদের অভিযোগ হল, ছেলেরা 72 টা হুর পাবে কেন? ? কোরআনের কোথাও 72 টি হুরের কথা লেখা নাই ৷ এক সাহাবী জিগ্যেস করার কারনে একটি হাদীসে শহীদদের জন্য হুরের সংখ্যার কথা এসেছে ৷ সবার জন্য 72 হুরের কথা বলেছে??? জেনে রাখবেন 720000000000000000000কোটি বছরেও বেহেস্তের সময় শেষ হবে না ৷
ভেবে দেখুন কত দীর্ঘ সময়!
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে মেয়েরা কি পাবে?
মেয়েরা কখনও রাসূল সাঃ কে জান্নাতে পুরুষ সঙ্গীর কথা কখনও জিগ্যেস করেনাই , তাই মেয়েদের ব্যাপারে হাদীস আসে নাই!
তারপরও যদি প্রশ্ন উঠে তবে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে, ছেলে এবং মেয়েদের চাহিদা কি এক? একই জিনিস মেয়ে এবং ছেলেদের দিলে খুশি হবে??
যদি কোন ছেলেকে বলা হয় ," অনেক ভাল কাজ করেছ ৷ এখন থেকে তোমার পেটে সন্তান ধারন করবে! তুমি একই সাথে বাবা ও মা হবে! " সে কি খুশি হবে??
আবার যদি কোন মেয়েকে বলে, " আজ হতে তুমি কোন সন্তান ধারন করতে পারবে না ৷ " সে কি খুশি হবে?? কখনোই খুশি হবে না ৷
প্রকৃত পক্ষে নারী, পুরুষের চাহিদা ভিন্ন এবং আল্লাহ তায়ালা তা ভাল ভাবেই জানেন! কিন্তু যেহেতু নারীরা লাজুক বেশি তাই সরাসরি তাদের ব্যাপারে কিছু বলা হয় নাই ৷ কিন্তু কোরআনে কোথাও নারীকে নূন্যতম বঞ্চিত করার কথা বলা হয় নাই ৷ সকলকে সমান দেয়ার কথাই বলা হয়েছে ৷
মূলত জান্নাতে কত অসাধারণ নেয়ামত আছে তা কেউ কোনদিন কল্পনাও করতে পারবেনা ৷
আল্লাহ বলেন
فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّا أُخْفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ (17
কেউ জানে না তার জন্যে কৃতকর্মের কি কি নয়ন-প্রীতিকর প্রতিদান লুক্কায়িত আছে।( সূরা সেজদাহ)
তার মানে কি বুঝতে পারছেন? কেউ জানেনা কি নেয়ামত আছে! তাহলে পরিপূর্ণ ভাবে না জেনেই "পাবনা "বলার কোন যৌক্তিক ভিত্তি আছে কি???
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল প্রত্যেকেই জান্নাতে যে যা চাইবে তাই পাবে ৷ আল্লাহ বলেন
لَهُمْ فِيهَا مَا يَشَاؤُونَ خَالِدِينَ كَانَ عَلَى رَبِّكَ وَعْدًا مَسْؤُولًا (16
তারা চিরকাল বসবাসরত অবস্থায় সেখানে যা চাইবে, তাই পাবে। এই প্রার্থিত ওয়াদা পূরণ আপনার পালনকর্তার দায়িত্ব।( আল ফুরকান)
তারপরো এত দুঃশ্চিন্তা কেন?? কেন ভাবছেন আপনাকে কম দেয়া হবে??
কাউকেই বিন্দু পরিমান বঞ্চিত করা হবেনা প্রাপ্য হতে ,জুলুম করা হবে না ৷আল্লাহ বলেন
[49] وَوُضِعَ الكِتٰبُ فَتَرَى المُجرِمينَ مُشفِقينَ مِمّا فيهِ وَيَقولونَ يٰوَيلَتَنا مالِ هٰذَا الكِتٰبِ لا يُغادِرُ صَغيرَةً وَلا كَبيرَةً إِلّا أَحصىٰها ۚ وَوَجَدوا ما عَمِلوا حاضِرًا ۗ وَلا يَظلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا
[49] আর আমলনামা সামনে রাখা হবে। তাতে যা আছে; তার কারণে আপনি অপরাধীদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখবেন। তারা বলবেঃ হায় আফসোস, এ কেমন আমলনামা। এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি-সবই এতে রয়েছে। তারা তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত পাবে। আপনার পালনকর্তা কারও প্রতি জুলুম করবেন না।( সূরা কাহাফ)
এবং কারো প্রাপ্য তিল পরিমানও কমানো হবেনা ৷
আল্লাহ বলেন
124] وَمَن يَعمَل مِنَ الصّٰلِحٰتِ مِن ذَكَرٍ أَو أُنثىٰ وَهُوَ مُؤمِنٌ فَأُولٰئِكَ يَدخُلونَ الجَنَّةَ وَلا يُظلَمونَ نَقيرًا
[124] যে লোক পুরুষ হোক কিংবা নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল পরিমাণ ও নষ্ট হবে না।(সূরা নিসা)
এবং আরও বলেন
97] مَن عَمِلَ صٰلِحًا مِن ذَكَرٍ أَو أُنثىٰ وَهُوَ مُؤمِنٌ فَلَنُحيِيَنَّهُ حَيوٰةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجزِيَنَّهُم أَجرَهُم بِأَحسَنِ ما كانوا يَعمَلونَ
[97] যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।
(সূরা নাহল)
দেখুন সুরা মুমিন আয়াত ৪০ এ আল্লাহ কি বলছেন--
40] مَن عَمِلَ سَيِّئَةً فَلا يُجزىٰ إِلّا مِثلَها ۖ وَمَن عَمِلَ صٰلِحًا مِن ذَكَرٍ أَو أُنثىٰ وَهُوَ مُؤمِنٌ فَأُولٰئِكَ يَدخُلونَ الجَنَّةَ يُرزَقونَ فيها بِغَيرِ حِسابٍ
[40] যে মন্দ কর্ম করে, সে কেবল তার অনুরূপ প্রতিফল পাবে, আর যে, পুরুষ অথবা নারী মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তথায় তাদেরকে বে-হিসাব রিযিক দেয়া হবে
আল্লাহর কথা একেবারে পরি্ষ্কার। মুমিন সৎকর্মশীল নারী ও পুরুষ অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবেন এবং তাদেরকে বে হিসাব রিজিক দেয়া হবে তথা জান্নাতের সকল নেয়ামত তারা সমান ভাবে উপভোগ করবেন।
এক্ষেত্রে সৎকর্মশীল নারী ও পুরুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই।
আবার দেখুন সুরা ইমরান আয়াত ১৯৮---
198] لٰكِنِ الَّذينَ اتَّقَوا رَبَّهُم لَهُم جَنّٰتٌ تَجرى مِن تَحتِهَا الأَنهٰرُ خٰلِدينَ فيها نُزُلًا مِن عِندِ اللَّهِ ۗ وَما عِندَ اللَّهِ خَيرٌ لِلأَبرارِ
[198] কিন্তু যারা ভয় করে নিজেদের পালনকর্তাকে তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে প্রস্রবণ। তাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সদা আপ্যায়ন চলতে থাকবে। আর যা আল্লাহর নিকট রয়েছে, তা সৎকর্মশীলদের জন্যে একান্তই উত্তম।
কত সুন্দর কথা। স্রতশ্বিনী নহরের নেয়ামত নারী ও পুরুষ সকলেই সমান ভাবে উপভোগ করবেন।
তাহলে কেন বলা হয় নারী কম পাবে? কেন বলা হয় নারীদের বঞ্চিত করা হবে?
জেনে রাখবেন নারী বা পুরুষ কেউই কখনও বঞ্চিত করা হবেনা এবং যে যা চাইবে তাই দেয়া হবে ৷ তাহলে কেন কম পাবার ভয় করছেন??
যারা কোরআন, হাদীস পড়ে না, শুধু তারাই বঞ্চিত হবার কথা বলতে পারে, অন্যকেউ নয়!
=======================
জান্নাতে ছেলেরা হুর পাবে । কিন্তু মেয়েরা কি পাবে?? মেয়েরাও কি গিলমান বা সুন্দর যুবক পাবে? নাকি এই ক্ষেত্রে আল্লাহ শুধু পুরুষদের পক্ষপাতিত্ব করেছেন? এই বিভ্রান্তিকর ও দুর্বোধ্য প্রশ্নের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিয়েছেন শাইখ ড. আব্দুস সালাম আজাদী । সম্পূর্ণটা পড়লে মন ভরে যাবে । তার লেখা থেকে কপি করে নিচে দিলামঃ
.
===================
.
আজ আমার কাছে এক বোন মেসেজ দিয়ে বললেন, "হুজুর ছেলেদের জন্য হুর দেয়ার কথা কুরআনে আছে। কিন্তু মেয়েদের হুরের কথা বা এই রকম কোনো কিছু নেই কেন?"
.
প্রশ্ন শুনে কিছুক্ষণ ভেটকি দিয়ে বসে থাকলাম, কিছুক্ষণ ভাবলাম এবং নিবিষ্ট মনে আমার শুন্য জানালায় চোখ মেলে দিলাম ।
.
আমি যদি ডঃ জাকির নায়েকের মত হতাম, তাহলে হয়ত চ্যাপ্টার ও ভার্স নাম্বার বলে দিয়ে জবাব দিতে পারতাম যে, “মেয়েদেরও হুর হবে । কারণ 'হুর' এমন শব্দ যা দিয়ে ছেলে মেয়ে দুইটাই বুঝায়”। কিন্তু তা আমি বলতে পারলাম না ।
.
আমি যদি আমার উস্তাযগণের মত জ্ঞানের সীমাহীন সমুদ্র হতাম, তাহলে কুরআনের নানান রেফারেন্স দিয়ে আলবানী সাহেবের হুকুম সহ হাদীসের বর্ণনা দিয়ে বোনকে বলে দিতে পারতাম, “চিন্তা করোনা বোন, তুমি জান্নাতে হুর চাইবা না। তোমার জিভে ঐ কথা ফুটবেনা, তোমার মনে ওই কথা বঙ্গোপসাগরে চর জাগার মত জাগবে না। তোমারে এমন কিছু দিয়ে মন ভুলিয়ে দেয়া হবে, যে কোথায় হুর কোথায় গেলেমান, কিচ্ছু চাইবা না”। কিন্তু অত জ্ঞান না থাকায় তাও পারলাম না বলতে।
.
আমি যদি হতুম কোন ফিলোজফার, তাইলে হয়ত বলতামঃ "হুম বেটি, বিপরীত লিংগের প্রতি এই সব টান শুধু দুনিয়াতে । আখিরাতে, জান্নাতে ঐসব টান টোন বা আকর্ষণ কিছুই থাকবে না । আর তাছাড়া ঐখানে ইন্ডিভিডিউয়ালিজম এতো বেশি হবে যে তুমি তোমারটা নিয়েই ব্যস্ত থাকবে । কাজেই তোমার মনস্ত্ত্বাত্তিক, জৈবিক ও ইহজাগতিক ধ্যান ধারণার সাথে, পারত্রিক বিষয় আশয়ের একটা ভেদরেখা টানলেই তুমি উত্তর পেয়ে যাবে"। কিন্তু ফিলোজফির জ্ঞান আমার হাদারামের বিজ্ঞান শেখার মতই ।
.
আমি যদি যুক্তিবীদ হতাম, তাহলে বোন টাকে আগে একটা পাল্টা যুক্তির ধার গেলাতাম। বলতামঃ আমার প্রতিপক্ষ, কারে আল্লাহ প্রথম বানাইছেন? ছেলেরে না মেয়েরে? বোন হয়ত বলতেন, হুজুর, ছেলেদের বানায়েছেন । আমি বলতাম, ওহে তার্কিক বোন, ছেলেদের প্রয়োজনে মেয়েরা সৃষ্ট, নাকি মেয়েদের প্রয়োজনে ছেলেরা সৃষ্ট?! আমার বোন হয়ত বলতে বাধ্য হতেন, হুজুর, “আদম (আ) জান্নাতে ছিলেন। তারপরেও কিসের একটু অভাব বোধ করতেছিলেন । তাই সামান্য কিছুর এই অভাবের জন্য আমাদের "জাতি মা" হাওয়া (আ)কে বানায়েছিলেন আল্লাহ । আমি তখন বিজয়ের হাসি মুখে এঁকে ১২ টা দাঁত কেলিয়ে ধরে বলতামঃ তাইলে জান্নাতে নারীর জন্য পুরুষ সৃষ্টি হবে কেন? এইটা চাও কোন দুঃখে?! আমার এই যুক্তি শুনে বোনটা হয়ত বলতেনঃ ধেত্তরি, কি জিজ্ঞেস করলাম আর কী উত্তর পেলাম!! কিন্তু আমি তাও পারলাম না, কারণ, তর্ক বিদ্যায় আমি সব সময় হেরে যাই।
.
আমার বন্ধুরা আমাকে একটু অন্য রকম ভাবেন। তারা আমার যে কোন জবাব শুনে হাসেন, কেও কেও বলেনঃ “খারাপ না, চালায়ে যাও”। তাদের দেয়া এই আস্কারা পেয়ে আমার এই বোনের প্রশ্নের জবাব টা একটু মিনমিনে গলায় দিলাম। বললামঃ
.
আপু, আমার ৫ বোন আর ৪ ভাই । ৫ বোনকে বিয়ের সময় আমার আব্বা আমাকেই মাতবর বানায়ে দিতেন, “সালাম, বাবা তুমি সিদ্ধান্ত দাও”। ৫ বোনের কেও ই বিয়েতে খুব মজা করে “হাঁ ভাই, আমি রাজি” বলে মত দেয়নি । হয় কেঁদেছে, না হয় শঙ্কায় ডুবেছে, না হয় সময় চেয়েছে । কমপক্ষে বলেছে, ভাইয়া আর কটা দিন সময় দিন, আমি পড়তে চাই, জানতে চাই, বাবা মায়ের সাথে আরো কিছু দিন থাকতে চাই। প্রায় তারা বলতো, ভাইয়া ছেলেটা দ্বীনদার তো, আমাকে ভালোবাসবে তো, আমাকে একটু ভালোভাবে রাখতে পারবে তো?
.
আমার চাচাতো, ফুফাতো, খালাতো ও মামাতো বোনদেরও এই অবস্থা দেখেছি। ছেলে দেখে দৌড় মেরে ছেলেটার হাত ধরেছে, এমন হয়নি।
.
এর অর্থ হলো, মেয়েরা দৈহিকতা ও মদিরতার উপরে প্রেম ভালোবাসা, উপযোগিতাকে বেশি প্রাধান্য দেয় । মা বাবার সাথে তাদের নাড়ি থাকে বাঁধা, জন্ম নেয়া ঘরের সাথে থাকে তাদের আত্মার সম্পর্ক । ওরা মায়া চায়, দয়া চায়, ওরা প্রেম চায়, ভালোবাসা চায় । তাসলিমা নাসরীনের মত বেপরোয়া পুরুষ-খোরও রুদ্রর জন্য কাঁদে । সৈয়দ শামসুল হকেরা তার সাথে খেলারাম হতে চাইলে ভয় পায়, বিবমীষায় মুষড়ে পড়ে ।
.
হাওয়া থেকে শুরু করে ফাতিমা আলাইহিন্নাস সালাম পর্যন্ত সব মেয়েদের দোয়া ও আকুতি, গল্প ও জীবনী, পুরুষের সাথে সম্পর্কের রোমাণ্টিক দৃশ্য গুলো কুরআনে বা হাদীসে দেখেছি । সব জায়গায় দেখেছি মেয়েদের চাওয়া পাওয়া শুধু পুরুষের দেহটুকু নয়। পুরুষের পৌরুষ তারা দেখতে চায়, যেটা সামান্য ঝড়ে নুয়ে পড়েনা । তারা দেখতে চায় নারীর আমানাত বইতে পারার যোগ্যতা আছে কিনা । 'ক্বাওয়িয়্যুন আমীন' কিনা।
.
আপু, মেয়েরা বিপদে পড়লে, কেউ স্বামীর হাতে নির্যাতিতা হতে থাকলে, কিংবা ধর্ষকামীর লালসার শিকার হলে সে গোটা পুরুষ জাতির কাছ থেকে পানাহ চায়, চায় তার সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য, কামনা করে তাঁর দয়া, আকুল হয় তাঁর ভালোবাসা পেতে । আছিয়ার মন থেকে বের হয়ে আসেঃ ও আল্লাহ তোমার পাশে জান্নাতে একটা ঘর বানিয়ে দিয়ো, মা’বূদ। আল্লাহর পাশে থাকা ঐ ঘর দেখে আছিয়া প্রাণ দান করতেও হেসে ওঠেন । অনুরূপ খাদীজা জানতে চেয়েছিলেন, কোথায় থাকবেন মরে গেলে? সুসংবাদ যখন দেয়া হয় যে, খাদিজা, তোমার ঘর হবে ডায়মন্ডের বাঁশ দিয়ে তৈরি প্রাসাদ। 'নারিত্বের অহংকার' খাদিজা তা দেখে রব্বের কাছে চলে যান হাসি মুখে। এই হলো মেয়েদের মর্যাদা, ও জান্নাতে তাদের উঁচু স্থান ।
.
আসলে আপু, মেয়েদের চাহিদা ই আলাদা। পুরুষের মত জৈবিক নয়, স্থূল নয়, নয় মক্ষীরানীর চরিত্রে খেলা রাস্তার কীটদের মত । ওদেরকে পুরুষেরাই শেষ করেছে পুরুষের কামনার জন্য । পুরুষের যে অন্তহীন চাহিদা মেটাতে আল্লাহ পুরুষকে হুর দেয়ার ওয়াদাহ করেছেন, সেই রকম কোনো চাহিদা যেহেতু মেয়েদের নেই, তাই সেটা মেটাতে আল্লাহ তাদের জন্য পুরুষ হুরের কথা কুরআনে বলেননি । কারণ মেয়েদের ঐটা কখনো জিজ্ঞেস করা লাগেনি । তার আগেই কুরআন বলে দেয়, নারী জান্নাতে গেলে তোমার ইচ্ছার স্বামীই তুমি পাবে জান্নাতে। কুরআন বলেছে, জান্নাতি ব্যক্তি, সে নর হোক, হোক নারী, যাইই চাইবে তাই ই পাবে সেই সীমাহীন সুখের রাজ্যে।
.
আপু, পুরুষ মানুষের দুনিয়াতে চাহিদার ক্ষেত্রে নারী একটা বড় বিষয় থাকেই। এই জন্য তাকে কুরআন বলেছে, দীন মেনে চলিস। নারী সংগীর দরকারে একটা বিয়ে করে নিস। পারলে দুইটাও বিয়ে করতে পারিস। আরো চাইলে হালাল উপায়ে ন্যায় বিচার করে তিন চারটা নিস। তার পরেও খারাপে যাসনা। এর পরেও চাইলে দুনিয়াতে আর না, ভালো আমল কর, তাহলে জান্নাতে পাবি। পুরুষের সীমাহীন লোভের জন্যই আল্লাহ এই কথাটা কুরআনে বলে দিয়েছেন। এর পরেও পুরুষের চাহিদার শেষ নেই। নারী দেখলেই হল, তার মাঝে উথাল পাথাল। তার জন্য জান্নাতের হুরের ওয়াদা দিতে হয়েছে।
.
মেয়েদেরকে কুরআন তথা ইসলাম দিয়েছে জান্নাতে যাবার ওসিলা বানিয়ে । বলেছে, এক, দুই, তিন কন্যার বাবা যদি হতে পারো, আদর সোহাগ ও যত্ন দিয়ে লালন পালন করে ভালো করে গড়ে তুললেই জান্নাতের গ্যারান্টি লাভ করবে । মায়ের খিদমত করে জান্নাত সহজে পাবে । ইয়াতিম মেয়ের দায় দায়িত্ব নিলে রাসূলের (সা) খুব পাশে একই জান্নাতে থাকবে। তোমার স্ত্রীর সাক্ষ্যে তোমার জান্নাতে যাবার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। মেয়েদের বলা হলোঃ জান্নাতে গেলে তুমি বাবা মা, ভাই বোন সবাইকে পাবে । আর মন তোমার যা চাইবে তাও পাবে। আছিয়া মারয়ামের মত নারীরা কোন নবীকে চাইতেও পারেন, আছিয়া ও মারইয়াম (আ) তাও পাবেন। মেয়েদের চাহিদা অপূর্ণ থাকবে, এ কেমন জান্নাত?!
.
আমার বোন বললেন, ভাইয়া চোখে পানি এলো। আলহামদুলিল্লাহ, আমার আল্লাহ কত মহীয়ান । আজ নারীত্বের বিপুলতা টের পেলাম, ধন্য আমি নারী হয়ে।
আমি আমার বোনের জন্য দুয়া করলাম। জান্নাতের দিকে হেঁটে যাওয়া এক সমঝদার নারী ।

=============================


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.