কিছু প্রশ্নের উত্তর যা আমরা প্রায়ই অন্বেষণ করে থাকি

======================================================
“আমি কে? আমি কোথা হতে এসেছি?
আর কোথায় যাব?”- যা মানুষের জীবনের
সবচেয়ে মৌলিক প্রশ্ন। একজন চিন্তাশীল মানুষ
স্বাভাবিকভাবে এই প্রশ্নের সমাধান চায়। সে
মানবজাতি, জীবন ও মহাবিশ্ব নিয়ে চিন্তা করে এবং
একটি সঠিক সমাধানে পৌছাতে চায়। যুগ যুগ ধরে এই
বিষয়গুলো উত্তর দিতে গিয়ে অনেক দর্শনের
জন্ম হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি মতবাদ
কার্ল মার্ক্সের দ্বান্ধিক বস্তুবাদ (Dialectical
Materialism)। এই দর্শন আমাদের কাছে একটি
প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, তা হল-“মহাবিশ্বের চরম
উৎস কোনটি, পদার্থ নাকি স্রষ্টা?” এ প্রশ্নের
উত্তর দেওয়ার পূর্বে আমাদের অবশ্যই পদার্থ
সম্পর্কে জানতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান
পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। যথা- মৌলিক
পদার্থ (Simple matter) ও যৌগিক পদার্থ (Complex
matter)। মৌলিক পদার্থ হল পদার্থের সাধারন রূপ। যথা-
অক্সিজেন (O2), হাইড্রোজেন (H2) ইত্যাদি।
যৌগিক পদার্থ হল দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থের
সম্মিলিত রূপ। যথা-পানি (H2O), লবণ (NaCl) ইত্যাদি।
পদার্থের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম উপাদান হল পরমাণু
(Atom)। সকল পরমাণু তিনটি মৌলিক কণিকার সমন্বয়ে
গঠিত। যথা-ইলেক্ট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। একটি
পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে নিউক্লিয়াস। এর চারপাশে
কক্ষপথে যে পরিমা্ণ ইলেক্ট্রন থাকে তার
কেন্দ্রেও সে পরিমাণ প্রোটন থাকে। মৌলের
নিঊক্লিয়াসে যে পরিমাণ প্রোটন থাকে তাকে
পারমাণবিক সংখ্যা বলে। পদার্থ সকল কিছুর উৎস এই
ধারণাটি গড়ে উঠেছে কার্ল মার্ক্সের দ্বান্ধিক
বস্তুবাদ (Dialectical Materialism) দর্শন হতে। এই
দর্শন মতে প্রত্যেক বস্তুর মধ্যে দ্বন্ধ
(Contradiction) বিদ্যমান ও দ্বন্ধ বস্তুর মধ্যকার
একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রত্যেক বিষয় হচ্ছে
বস্তুর মধ্যকার এই দ্বন্ধের ফলাফল। এর মধ্য
দিয়ে বস্তু এক রূপ হতে অন্য রূপে রূপান্তরিত
হচ্ছে। এই দর্শনের ভিত্তিতে মার্ক্স সমাজ,
বিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নিম্নে
দ্বান্ধিক বস্তুবাদের আলোকে পদার্থ সর্ম্পকে
তার চিন্তাকে তুলে ধরা হল - প্রকৃতিতে বিভিন্ন
মৌলিক উপাদান বিদ্যমান যাদের প্রত্যেকের আলাদা
আলাদা পারমাণবিক সংখ্যা রয়েছে। প্রত্যেক
পদার্থের সাধারণ উপাদানটি একই, তা হল পরমাণু। পর্যায়
সারণির (Periodic Table) প্রথম মৌলিক পদার্থ হল
হাইড্রোজেন ও সর্বশেষ হল ইউরেনিয়াম।
এছাড়াও কৃত্রিমভাবেও কিছু পদার্থ সংশ্লেষিত করা
হয়েছে। পদার্থ এক স্তর হতে অন্য স্তরে
তাদের অন্তর্নিহিত দ্বন্ধের কারণে উন্নীত হয়।
এই উন্নয়নের প্রাথমিক বিন্দু হল হাইড্রোজেন
যার মধ্যে ধনাত্মক ও ঋনাত্মক চার্জ।
স্বাভাবিকভাবেই, এদের মধ্যে দ্বন্ধ তৈরী হয়।
ফলে দ্বন্ধিক উন্নয়নের (Dialectical
Development) মধ্য দিয়ে তা উচ্চতর পারমাণবিক সংখ্যা
বিশিষ্ট্য পরমাণুতে পরিণত হয়। যা হল হিলিয়াম এবং যার
মধ্যেও অন্তর্নিহিত দ্বন্ধের (Internal
Contradiction) ধারা বিদ্যমান থাকে। এভাবে
পদার্থের বিবর্তন অব্যাহত থাকে। এ দর্শনের
মাধ্যমে যা প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে তা হল
সকল কিছুর উৎস হল পদার্থ এবং পদার্থের বিবর্তন
মধ্য দিয়ে সব কিছু এসেছে। দ্বান্দিক
বস্তুবাদীদের এসকল ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। এর
কারণ হচ্ছে যেহেতু, অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ হচ্ছে
পদার্থের অত্যাবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্য সেহেতু
প্রকৃতির কোন একটি মৌলের সকল পরমাণুর বিবর্তন
ঘটার কথা, কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। যেমন -
হাইড্রোজেন আভ্যন্তরীণ দ্বন্ধের কারণে
হিলিয়ামে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে
কিছু হাইড্রোজেন রূপান্তরিত হল আর কিছু কিছু
অবিকৃত রয়ে গেলো কেন? অর্থাৎ, কিছু মৌলের
ক্ষেত্রে দ্বন্ধ হল আর কিছু মৌলের ক্ষেত্রে
হল না কেন? প্রকৃতপক্ষে মানুষ, জীবন ও
মহাবিশ্বের কোন কিছুই বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টি
হয় নাই। বরং, এদের প্রকৃতি যা অপরিহার্য করে
দিয়েছে তা হল এদের সৃষ্টিকর্তা রয়েছে।
প্রতিটি জিনিসের পেছনে একজন সৃষ্টিকর্তা
রয়েছেন এ সিদ্ধান্তে পৌছানোর কারণ হচ্ছে
আমাদের অনুধাবনযোগ্য প্রতিটি বিষয় যেমন-মানুষ,
জীবন ও মহাবিশ্ব ইত্যাদি সীমাবদ্ধ, দুর্বল,
অসম্পূর্ণ ও তাদের অস্তিত্বের জন্য অপরের
উপর নির্ভশীল। মানুষ সীমাবদ্ধ কারণ সকল
ক্ষেত্রেই সে একটি নির্দিষ্ট সীমার মাঝে
বেড়ে ওঠে এবং কখনই এই সীমাবদ্ধতার বাইরে
যেতে পারে না। জীবন সীমাবদ্ধ, কারণ তা একটি
স্বতন্ত্র প্রাণী সত্তার মাঝেই প্রকাশিত হয় এবং
তার মাঝেই বিলুপ্ত হয়। মহাবিশ্ব সীমাবদ্ধ কারণ তা
কিছু সীমাবদ্ধ মহাজাগতিক বস্তুর সমষ্টি মাত্র এবং
দৃশ্যতই অনেকগুলো সীমাবদ্ধ বস্তুর সমষ্টিও
সীমাবদ্ধ। আমরা যখন সীমাবদ্ধ বস্তুগুলো নিয়ে
চিন্তা করি, তখন দেখতে পাই এগুলো কোনটি
চিরন্তন নয় নতুবা এরা সীমাবদ্ধ হত না। আর এ
কারণেই এদের একজন সৃষ্টিকর্তা রয়েছে যিনি
সকল কিছূর স্রষ্টা। এখন এই সৃষ্টিকর্তাকে হয়
কেঊ সৃষ্টি করেছে, অথবা তিনি নিজেই
নিজেকে সৃষ্টি করেছেন অথবা তিনি চিরন্তন,
আদি-অন্তহীন এবং যার অস্তিত্ব অপরিহার্য। তাকে
কেউ সৃষ্টি করেছেন, এ ধারণাটি মিথ্যা কারণ তাহলে
তিনি সীমাবদ্ধ হয়ে যান। এক্ষেত্রে তিনি আর
স্রষ্টা থাকেন না বরং তাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন
তিনিই স্রষ্টা। অন্যদিকে, তিনি নিজে নিজেকে সৃষ্টি
করেছেন এটিও সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। আসল কারণ
স্বাভাবিক যুক্তির বিচারে ইহা অসম্ভব। এর অর্থ
হচ্ছে তিনি সৃষ্টি হবার সময় নিজেকে সৃষ্টি
করেছেন। কাজেই সৃষ্টিকর্তা এমন যাকে কেউ
সৃষ্টি করে নাই। বরং, তা স্বয়ংসম্পূর্ণরূপে অনন্তকাল
থেকে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আর
তিনি হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। “নিশ্চয়ই
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবা-রাত্রির
পরিবর্তনে নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল
ব্যাক্তিদের জন্য” সূরা আল ইমরানঃ ১৯০
=====================================================================
নাস্তিক ধর্মে ইসলাম
আমি তো ভাই নাস্তিকদের ভেতরও ইসলামের সৌন্দর্য খুজে পাই! আপনি?
========>>>=========>>>==========>>>=======>>>========>
নাস্তিকগুরু অভিজিৎ রায় তার বই "ঈশ্বরই কি সৃষ্টির আদী বা প্রথম কারন?" তে লেখেনঃ
তারপরও একটী কথা বলা যায়, বিজ্ঞান কিন্তু কোন বিষয় সম্পর্কে পরম বা নিখুঁত জ্ঞান দিতে পারে না। আজকে আণবিক স্থানান্তর, নিউক্লিয়াসের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বা কোয়াণ্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মত ঘটনার কারণ পাওয়া যাচ্ছে না- ভবিষ্যতে পাওয়া যেতেই পারে। কেউই সে সম্ভাবনাকে অস্বীকার করছে না। ভবিষ্যতের পাওয়া যেতে পারে মহাবিশ্ব সৃষ্টির 'আদি' কারণও। কিন্তু সেই কারণটি যে 'ঈশ্বরের মত মহাপরাক্রমশালী' সত্ত্বাই হতে হবে, এটি ভেবে নেওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ নেই, বরং কারণটি হতে পারে সম্পুর্ণভাবেই 'প্রাকৃতিক'। অয়েস মরিসন তার Must the Beginning of the Universe Have a Personal Cause? A critical Examination of the Kalam's Cosmological Argument' এ বলেন-
"সৃষ্টির সব কিছুর পেছনেই কারণ আছে- এ ব্যাপারটী ধ্রুব সত্য নয়। আর যদিও বা ইতিহাসের পরিক্রমায় কখনও বের হয়ে আসে যে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে একটি 'আদি' কারণ রয়েছেই, তবুও একথা ভেবে নেওয়ার কারণ নেই যে, সেই আদি কারণটি ঈশ্বররের মত একটি ব্যাক্তি সত্ত্বাই হতে হবে।"
মুক্তমনা পদার্থবিদ ড. ভিক্টোর স্টেগরও একই ধরনের মত ব্যাক্ত করে বলেন-
"Note that even if Kalam conclusions were sound and Universe has a cause, why could that cause itself not be natural? As it is, Kalam argument fails both empirically and theoretically."
.
.
------------------------------------------------------------------------------------
আমার বক্তব্যঃ
কি সুন্দর একটা বই লিখেও লাস্টে ঠিকই মাথার পাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নাকটা ছু'লে!
কোটি কোটি বছর ধরে ধার্মিকরা কেবল ঐ প্রশ্নেরই উত্তর চাচ্ছে এবং তার উপর ভিত্তি করেই ঈশ্বরকে ধ্রুব ভাবছে। তার সঠিক উত্তর যদি দিতে নাই পারেন তাহলে নিজেকে নাস্তিক, মুক্তমনা, যুক্তিবাদী বলার কারন কি?
.
দেখুন আল্লাহ্‌ তা'য়ালা সর্ব প্রথম কোন আয়াত নাযিল করেনঃ
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
পড়! তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। (সূরা-আ'লাকঃ০১)
.
এখানে আল্লাহ্‌ তা'য়ালা প্রথমেই একটি যুক্তি দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, যে সৃষ্টি করেছেন এইটা আগে বের করো এরপর তাকে মানো, যার খন্ডন এই ২০১৭ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত কেউ উত্তর দিতে সক্ষম হয় নি!!
.
কিন্তু কার কথা কে শোনে এতই সন্দেহ করেন আবার যুক্তিবাদী বলেন বড়ই হাস্যকর ব্যাপার!
.
সবচেয়ে মজার ব্যাপার!
===================
আল-কুরআন এর একটি অলৌকিকত্ব এই যে, প্রতিটা আয়াত যখন পড়া হয় যেন তার জন্যই নির্দিষ্ট করে আয়াত গুলা লেখা দেখুন নিচের আয়াত গুলা যেন উক্ত অভিজিৎ আর অন্যদের জন্য আল্লাহ্‌ ১৪০০ বছর আগে লিখে রেখেছেন!! (আল্লাহু আকবার!)
.
"আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের অনুসরণ করেন তাহলে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে। (সূরা-আন'আম ১১৬)
.
"তুমি জিজ্ঞেস করঃ তোমাদের কাছে কি কোন দলীল প্রমাণ আছে কি? থাকলে আমার সামনে পেশ কর। তোমরা ধারনা ও অনুমান ব্যাতীত আর কিছুরই অনুসরণ করনা, তোমরা সম্পূর্ণ আনুমানিক কথা ছাড়া আর কিছুই বলছনা।" (সূরা-আন'আম ১৪৮)
.
"আসলে তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ্‌ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।" (সূরা-ইউনুস ৩৬)
.
"তারা বলে, আমাদের জীবন বলতে তো শুধু আমাদের এ দুনিয়ারই জীবন, আমরা মরি আর বেঁচে থাকি তা কালের প্রবাহ ছাড়া অন্য কিছুই আমাদেরকে ধ্বংস করে না। আসলে এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা শুধু অনুমান করে কথা বলে।" (সূরা-আল-জাসিয়া ২৪)
.
"হে ম'মিনগণ! তোমরা বহুবিধ অনুমান হতে দূরে থাক" (সূরা- হুজরাত ১২)
.
"সত্যের মুকাবিলায় অনুমানের কোন মূল্য নেই।" (সূরা-নাজম ২৮)
.
"তিনি সমস্ত কছু সৃষ্টি করেছেন আর সেগুলোকে পরিমিত করেছেন যথাযথ অনুপাতে।" (সূরা-ফুরকান ২)
বর্তমান বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট স্বীকার করে নিয়েছে সৃষ্টি তে অনুপাতের চুল পরিমাণ ওলট পালট হলে বিপর্যয় ছাড়া কিছুই হতো না।
.আরো অনেক অনেক অনেক কিছু দেওয়া যায় বাট সময়ের অভাবে দেখানো যায় না, শেষে একটি আয়াত পেশ করি!
.
"সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূদ কথা বর্ণ্না করে অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে হাড়্গুলোকে যখন এগুলো পচে গলে যাবে?" (সূরা ইয়াসীন ৭৮)
"বল, ওর মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনিই যিনি ওটা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি প্রত্যেকটি সৃষ্টি সম্পর্কে অবগত।" (সূরা-ইয়াসীন ৭৯)
------------**************-----------
.
=============================================================
বৌদ্ধ ধর্মের ভুল সমূহ
★ ১-বুদ্ধমূর্তি পুজাঃ
অন্যতম প্রচলিত ভুল। সিদ্ধার্থ গৌতম চেয়েছিলেন
তখনকার সব অন্ধবিশ্বাস, মূর্তিপূজার নিয়ম ভেঙে
মানুষদের জ্ঞানচক্ষু উন্মোচন করতে।
“সৃষ্টিকর্তা নয়, নিজের করা কর্মই হল মানুষের
প্রভু” এটাই ছিল তার মূলকথা। তিনি কখনোই বলেননি
তাঁকে মূর্তি বানিয়ে পূজা করতে, একটা মন্দিরে
রুমের মাঝে বসিয়ে উনাকে বন্দনা করতে। অথচ
আমরা সেটাই করছি। অনেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কে
দেখেছি বুদ্ধমুর্তির সামনে প্রার্থনা করে বলছে
”বুদ্ধ আমার শত্রুদের ধ্বংস করে দাও। আমার
জন্যে যে গর্ত খুঁড়ছে সেই গর্তে যেন ও
নিজে পড়ে। বুদ্ধ আমাকে এটা দাও। বুদ্ধ আমাকে
ওটা দাও। বুদ্ধ আমাকে পরীক্ষায় প্রথম বানিয়ে
দাও” । শেষের বাক্যটা আমি নিজেও অনেকবার
বলেছি। এসব মূল্যহীন। বুদ্ধ কিছুই করতে
পারবেন না। ওটা উনি নিজের মুখেই বলেছেন। তিনি
শুধু বলেছিলেন এবং পণ্ডিত ব্যক্তিদের সেবা এবং
শ্রদ্ধা করতে। বাকিটুকু সবার নিজের হাতে।
২-সৃষ্টিকর্তাঃ বৌদ্ধধর্মে কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।
নেই কোন আদিমাতা বা আদি-পিতা। মানুষ নিজেই
নিজের সৃষ্টিকর্তা। নিজের কর্ম গুনেই বেঁচে
থাকবে মানুষ পৃথিবীতে। একবার একজন সিদ্ধার্থ
গৌতম কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “শাস্তা,
সৃষ্টিকর্তা কি কেউ আছেন?” গৌতম বলেছিলেন
“না“। কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বলেছিলেন “হ্যাঁ,
কর্ম বা কৃতকাজই হল সৃষ্টিকর্তা।“
৩-ধর্ম নাকি নীতিঃ
অনেক তর্ক আছে এই ব্যাপারটা নিয়ে। বুদ্ধের
জীবিতাবস্থায় ছিল নীতি। যারা শিষ্য ছিল তাদেরকে
বলা হত বুদ্ধ নীতির অনুসারী। বুদ্ধ নিজে বলে
যাননি নীতিগুলোকে ধর্মে রূপ দিতে।
মহাপ্রয়াণের আগে শিষ্যদের বলে গিয়েছিলেন
মঙ্গলের জন্য যা যা দরকার হয় করতে। বুদ্ধের
মহাপ্রয়াণের কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যায় তার
নীতিগুলো সবাই বিকৃতভাবে পালন করা শুরু করে
দিয়েছে । তখন তাঁর শিষ্যরা সিদ্ধান্ত নেয় মহাসংগীতি
করে সবগুলো বাণী এবং নীতি কে একীভূত
করার। এই নীতি বা বাণীগুলো একীভূত করে
ত্রিপিটক না বানালে এবং বুদ্ধের মহাপ্রয়াণের পর
উনার মূর্তি গুলো না বানালে পরবর্তী কয়েকশ
বছরের মধ্যেই সব কিছু বিলীন হয়ে যেত। ।
আমার মতে এই জায়গা থেকেই বুদ্ধ প্রচারিত
বাণীগুলো ধর্মে রূপ লাভ করে এবং গৌতম
বুদ্ধকে ধর্ম প্রচারক হিসেবে আত্মপ্রকাশ
করানো হয়।
৪-প্রার্থনাঃ
বৌদ্ধরা মন্দিরে গিয়ে বুদ্ধের সামনে নতজানু হয়ে
পালি ভাষায় প্রার্থনা করে। যদিও এর কোন
বাধ্যবাধকতা নেই। গৃহীরা শুধু ৫ টি নিয়ম মানলেই
অনেক সুখে এবং শান্তিতে থাকবে। নিয়মগুলো হল
- প্রাণীহত্যা , চুরি, ব্যভিচার, মিথ্যা বা কটুবাক্য,
নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা। শুধু
পালন করলেই চলবে। এই ৫ টি নিয়ম পালন করব
কথাগুলো বুদ্ধমুর্তির সামনে গিয়ে বললেও
কোন লাভ নেই যদি না পালন করি। আর বছরে
একবারও যদি প্রার্থনা না করে বরং এই ৫ টি নিয়ম যথাযথ
ভাবে পালন করি তবেই বুদ্ধ নীতির সঠিক ব্যাবহার
হবে। মোটকথা প্রার্থনা জিনিসটাও আমাদের সৃষ্টি ।
এবং এটা করা হয়েছে যাতে আমরা প্রতিদিন
নতুনভাবে শপথ নেই এই ৫ টি খারাপ কাজ থেকে
বিরত থাকতে।
৫-বিয়েঃ
একটা ছেলে একটা মেয়ে পরস্পরকে মন
থেকে ভালবাসলেই একসাথে থাকতে পারবে।
বিয়ের মন্ত্র বা বিয়ের বাধ্যবাধকতা বৌদ্ধধর্মে
নেই। একজনকে সামাজিকভাবে বিয়ে করলাম কিন্তু
আরেকজনকে ভালোবাসি তখন যাকে বিয়ে
করেছি তার সাথে থাকলেই বরং ব্যভিচার হবে।
মন্ত্র পড়ে বিয়ের কোন মূল্যই থাকবেনা যদি আমি
যাকে বিয়ে করলাম তাকে ভাল না বাসি। এবং যাকে
ভালোবাসি তাকে বিয়ে না করে বা তার সাথে মন্ত্র
না পড়ে থাকলেও বুদ্ধ-নীতি অনুসারে কোন
সমস্যা নেই।
জানি প্রায় সব বৌদ্ধরাই আমার সাথে দ্বিমত পোষণ
করবেন। হয়ত আমার জানায় কিছুটা ভুল আছে । কিন্তু
সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছে আমি ঠিক
পথেই আছি।
======================================================
আরব বিশ্ব সম্পর্কিত কিছু দুর্লভ তথ্য
বর্তমানে আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্র ২২টি হলেও আরবী রাষ্ট্রভাষার দেশ ২৫টি। এর মধ্য ১৯টির প্রধান রাষ্ট্রভাষা আরবী। এগুলো হলো, ইয়েমেন, ওমান, বাহরাইন, কাতার, আরব আমীরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, জর্দান, সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তীন, মিসর, সুদান, লিবিয়া, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া ও মরক্কো। বাকী ছয়টিতে আরবী দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা। এগুলো হলো, ইসরাইল, জিবুতি, চাদ, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া ও কমরোজ। এগুলোর মধ্যে জিবুতি, কমরোজ ও সোমালিয়া আরব লীগের সদস্য। অন্যদিকে চাদ ওআইসির সদস্য হলেও ইসরাইল ও ইরিত্রিয়া তা নয়। এ ছয় দেশের মধ্যে ইসরাইল ছাড়া বাকীগুলো আফ্রিকা মহাদেশভুক্ত। আরবী লীগের সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১২টিই এশিয়া মহাদেশভুক্ত এবং এগুলোর সবটির প্রধান রাষ্ট্রভাষা আরবী। তাছাড়া বিশ্বের পরিচিত ধর্মগুলোর ন্যায় আরবী ভাষার উৎপত্তিও এশিয়াতে।

🎤 আরব দেশগুলোর মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় আলজেরিয়া ও সৌদি আরব (২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি) এবং সবচেয়ে ছোট বাহরাইন ও কমরোজ جزر القمر ।
🎤 জনসংখ্যায় ও শিক্ষা-দীক্ষায় সবচেয়ে বড় ও অগ্রসর আরব দেশ মিসর এবং সবচেয়ে ছোট ও অনগ্রসর কমরোজ।
🎤 জনসংখ্য অনুপাতে শিয়াদের হার সবচেয়ে বেশি বাহরাইন, ইরাক, লেবানন, কুয়েত ও সৌদি আরবে।
🎤 জনসংখ্যা অনুপাতে খ্রিষ্টানের مسيحي হার সবচেয়ে বেশি (৪০%) লেবাননে। লেবাননের প্রেসিডেন্টের পদও তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে।
🎤 কুর্দী অধ্যুষিত সবচেয়ে বড় আরব দেশ হলো ইরাক। ইরাকের উত্তর-পূর্বে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সেখানে কুর্দিস্তান নামের তাদের স্বায়ত্ত্বশাসিত একটি অঞ্চল রয়েছে।
🎤 অনারবী রাষ্ট্রভাষার দেশগুলোর মধ্যে ইরানের খুজেস্তন ও তাঞ্জানিয়ার জিঞ্জিবার প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি আরবীভাষী নাগরিক বিদ্যমান।
🎤 আরব দেশগুলো কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত। তন্মধ্যে আরব উপদ্বীপে রয়েছে ৭টি দেশ। এগুলো হলো, ইয়েমেন, ওমান, বাহরাইন, কাতার, আরব আমীরাত, সৌদি আরব ও কুয়েত। শাম অঞ্চলে রয়েছে ৫টি দেশ। এগুলো হলো, ইরাক, জর্দান, সিরিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তীন। অবশ্যই ইরাককে পৃথক অঞ্চল হিসেবেও গণ্য করা যায়। মিসর অঞ্চলের মধ্যে মিসরসহ লিবিয়া, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া ও মরক্কোকেও যুক্ত করা যায়। কারণ এ অঞ্চলের মানুষের ভাষা ও বর্ণ প্রায় এক। তবে মিসর বাদ দিয়ে বাকী ৫ দেশকে একত্রে المغرب العربي পশ্চিম আরবও বলা হয়। চতুর্থ আরব অঞ্চল হলো হর্ণ অব আফ্রিকা القرن الأفريقي । এতে সুদান, ইরিত্রিয়া, জিবুতি ও সোমালিয়া পড়েছে।
🎤 কমরোজ ভারত মহাসগরে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র (১৮৬২ বর্গ কিমি) দ্বীপরাষ্ট্র।
🎤 আরব দেশগুলোর মধ্যে ওমান, বাহরাইন, কাতার, আরব আমীরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, জর্দান ও মরক্কোতে রাজতন্ত্র বিদ্যমান। তন্মধ্যে জর্দান, মরক্কো, কুয়েত ও বাহরাইনে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (নির্বাচিত পার্লামেন্ট) ও বাকীগুলোতে মনোনীত শূরা সদস্য নির্ভর সংসদ রয়েছে।
🎤 পবিত্র কোরআনে বর্ণিত শব্দ দ্বারা বর্তমানে ৪টি অরব দেশ রয়েছে। সেগুলো হলো, مصر মিসর, إسرائيل ইসরাঈল (এটি নবী ইয়াকুবের অপর নাম), البحرين বাহরাইন ও المغرب মরক্কো।
🎤 আরব দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র মরক্কোর রাজার উপাধিই হলো أمير المؤمنين আমীরুল মুমিনীন।
🎤 আরব দেশগুলোর মধ্যে সালাফীজম বা ওয়াহাবীজম একটি উদীয়মান ফিতনা হলেও সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোথাও সালাফীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা পায় না।
🎤 কাতার ইখওয়ান বান্ধব রাষ্ট্র হলেও সালাফীদের প্রতি সঙ্গত কারণেই উদার।
🎤 সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার তছউফ বান্ধব এবং 'ষড়যন্ত্র'র অভিযোগ এনে কয়েক বছর ধরে তারা ইখওয়ানের প্রতি খড়খহস্ত।
🎤 মাথা পিছু বার্ষিক আয়ে কাতার আরব বিশ্বে শীর্ষে ও পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ হলেও নাগরিকদের সুযোগ-সুবিদা দানের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতই সবচেয়ে এগিয়ে।
🎤 কালো বর্ণের আরব দেশ সুদানের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ওমর হাসান আল-বশীর আমার জানা মতে আরব বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী ও ইসলামপন্থী শাসক। সাধারণত তিনি সাদা জুব্বা ও সাদা পাগড়ি পরে থাকেন।
🎤 আফ্রিকার আরব দেশগুলোর মধ্যে মিসর ও সুদানই একসময় বৃটিশ সাম্রাজ্যের অধীনস্ত ছিল। বাকীগুলোর মধ্যে তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, জিবুতি ও কমরোজে ছিল ফ্রান্সের শাসন। লিবিয়া দখল করেছিল ইটালী।
🎤 পশ্চিম সাহারা অঞ্চলকে কেন্দ্র করে মরক্কো ও আলজেরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। মরক্কো এটাকে নিজের বলে দাবি করলেও আলজেরিয়া এটির স্বাধীনতার পক্ষে।
🎤 আরব বিশ্বে অনেক ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিদ্যমান। তন্মধ্যে শাম অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যেই এদের সংখ্যা বেশি। সেখানে ইহুদী, খ্রিষ্টান, বাহাঈ, দুরুজ, কাদিয়ানী, নুছাইরী (আলাভী), ইসমাঈলী, ও শিয়াসহ (ইছনা আশারী) বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু রয়েছে।
🎤 ইরাকে অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুর পাশাপাশি ছাবেঈ (কোরআন শরীফে বর্ণিত একটি প্রাচীন ধর্মীয় গোষ্ঠী) ও এজিদী সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে। ছাবেঈ হলো কোরআন শরীফে বর্ণিত একটি প্রাচীন ধর্মীয় গোষ্ঠী। এজিদীরা হলো عبدة الشيطان শয়তান পূজারী। তাদের মতে শয়তান পিতা আদমকে সেজদা না করে শিরক থেকে মুক্ত থেকেছে। শয়তানকে তারা ময়ূর ফেরেশতা الملك طاؤوس অভিহিত করে পূজা করে থাকে।
🎤 ইহুদী, খ্রিষ্টান, বাহাঈ ও ছাবেঈদের সাথে মুসলমানদের অনেক মিল রয়েছে। ধর্মকর্মে পিছিয়ে থাকা দুরুজদের অনেকে নিজেদের মুসলিম ভাবলেও তাদের অনেকে নিজেদের আলাদা সম্প্রদায় ভাবে। দুরুজদের মত অলাভীরাও ধর্মকর্মে অনেক পশ্চাদপদ। সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আলাভী সম্প্রদায়ভুক্ত।
🎤 ওমান পৃথিবীর একমাত্র ইবাজী (একটি প্রাচীন খারেজী গোষ্ঠী) শাসিত দেশ। ওমান ছাড়াও আলজেরিয়াসহ উত্তর আফ্রিকার আরব দেশগুলোতে ইবাজীদের অস্তিত্ব রয়েছে। ইবাজীদের হার ওমানে ৪০%। বাকীরা হানাফী সুন্নী।
🎤 ইয়েমেনই পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে জায়েদীরা (শীয়া ও সুন্নী চিন্তার মাঝামাঝি অবস্থানকারী একটি প্রাচীন ইসলামী গোষ্ঠী) দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় ছিল এবং বর্তমানেও (২০১৪ থেকে) তাদের দলভুক্ত 'হূছী' হিসেবে পরিচিতরা বিদ্রোহের মাধ্যমে সেখানে ক্ষমতাসীন। ইয়েমেন একেতো দরিদ্র দেশ। এর উপর সেখানে বিভিন্ন পক্ষের যুদ্ধের কারণে দেশটির মানুষের দুর্ভোগ অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
🎤 দক্ষিণ সৌদি আরবের নজরান প্রদেশে ইসমাঈলীদের ব্যাপক অস্তিত্ব রয়েছে। ইসমাঈলীরা একটি প্রাচীন শিয়া গোষ্টী, যার সাথে বর্তমানে শিয়া হিসেবে খ্যাত ইরানে ক্ষমতাসীন ইছনা আশারীদের পার্থক্য রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ইসমাঈলীদের অস্তিত্ব রয়েছে। বিহারী শিয়ারাও ইসমাঈলী সম্প্রদায়ভুক্ত। ইউরোপের ধনকুবের চতুর্থ আগা খান (শাহ করিম হুসাইনী) তাদের বর্তমান বিশ্বনেতা।
===============================================
মুখস্ত দক্ষতা

আরবদের নাকি ফটোগ্রাফিক মেমরি ছিল। যা
শুনতো, পড়তো হুবহু মনে রাখতে পারতো।
ব্যাপারটা যখন জেনেছিলাম তখন অবাস্তব বলে
মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল আরে অন্তত এই
যুগে সম্ভব না।
.
আরবদের স্মৃতিশক্তির উপর ভিত্তি করিয়ে আল্লাহ
রব্বুল আ'লামীন হাদিসশাস্ত্র, ফিকহশাস্ত্র তথা
ইসলামকে আজকে পর্যন্ত এনেছেন। প্রশ্ন
আসতে পারতো আরবদের স্মৃতিশক্তি নিয়ে।
আসলেও কি এতটা প্রখর ছিল ওদের স্মৃতিশক্তি?
ডঃ মরিস বুকাইলের ঘটনা বলবো না। শুধু বলি, আজ
দিব্যি মানুষ পুরো কুরআন মুখস্ত করে ফেলছে
- তাও আবার কোথায় কীভাবে টান হবে,
কোথায় থামতে হবে সেসব সহ।
.
যে কখনও সবুজ রং দেখেনি, তাকে শত বলেও
যেমনি সবুজের অনুভূতি দেওয়া সম্ভব না, তেমনি
আমাদের ধূলি পড়ে যাওয়া মস্তিষ্কও ধারণ করতে
পারে না যে কীভাবে সম্ভব হতো একবার
শুনেই মনে রাখা, পরবর্তীতে হুবহু বলতে পারা।
কিন্তু ১৪০০ বছর পরে এসেও তারাবীহ হচ্ছে
দিনের পর দিন, না দেখেই হুবহু তিলাওয়াত হচ্ছে
কুরআন। যেন আল্লাহ প্রশ্নকারীদের বিন্দুমাত্র
সুযোগও দিলেন না।
.
লক্ষকোটি হাফিজ-হাফিজার মস্তিষ্কে সংরক্ষিত এক
কিতাব - The living miracle.
.
এই ব্যাপারটার মধ্যেই চিন্তার খোরাক ছিল। কিন্তু
আবর্জনা আর কামনা বাসনার দাস হয়ে যাওয়া মন-
মগজগুলো সেটা দেখে না। চায়ের দোকানে
দাঁড়িয়ে নিজের অবিশ্বাসের গল্প শোনায়,
একইসময় দূরে মসজিদ থেকে শোনা যায়
কুরআনের সুর... সেই সুর যেন ওসব তত্ত্ব
কপচানো অবিশ্বাসীদের তাচ্ছিল্য করে যায়।
======================================================


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.