গল্পে আঁকা নাস্তিক ধর্ম !

গল্পে আঁকা নাস্তিক ধর্ম

লিখেছেনঃ মোঃ রাহাত

_________________________________________________
নাস্তিক কি জানে? 🙄
আমাদের দেহে যে DNA আছে তার মোট দৈর্ঘ্য ২০০০০০০০০০০ কি.মি.।
🌍 পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত ৫০ বারেরও বেশি আসা-যাওয়া করলে যে Distance হবে তার সমান। 🥺
আর DNA তে যে Information আছে তা যদি লিপিবদ্ধ করা হয়, তবে তা হবে ৯০০ খণ্ডের বিশালাকার এনসাইক্লোপিডিয়ার সমান। যেখানে 📚 প্রতিটি খণ্ডের পৃষ্টা সংখ্যা হবে, 5 Hundred. 🥺
আমাদের দেহে মোট কোষের সংখ্যা হলো ৩৭.২ ট্রিলিয়ন। সেন্সরি রিসেপ্টর আছে ১১০ মিলিয়ন। লৌহিত রক্ত কণিকা (RBC) আছে ৩০ ট্রিলিয়ন। শুধুমাত্র মস্তিষ্কেই নিউরন সংখ্যা ১০০ বিলিয়ন। দেহে মোট ব্লাড ভেসেল আছে ৪২ বিলিয়ন, যা ৯৭,০০০ কি.মি. লম্বা।
আপনি একটু চিন্তা করুন তো! 🤔
মাত্র এক হাত লম্বা একটা হেডফোন অতি যত্ন করে রেখে দিলেও প্যাচ লাগে কিন্তু আপনার দেহের ৯৭০০০ কি.মি. ব্লাড ভেসেল কেনো প্যাচ লাগেনা? 😇
আল্লাহ (ﷻ) বলেনঃ
_________________
لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡۤ اَحۡسَنِ تَقۡوِیۡمٍ
Indeed I have created man in the best of Stature.
নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে।
(সূরা আত-তীন, আয়াত ৩)
আল্লাহ (ﷻ) আরো বলেনঃ
_______________________
كَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
এভাবে আমি আমার নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করি ঐ সম্প্রদায়ের জন্যে, যারা (Common Sense কে কাজে লাগিয়ে) চিন্তাভাবনা করে।
[ সূরা ইউনুস, আয়াত ২৪ ]
=----> কি নাস্তিক ভাই মাথায় ঘিলু আছে তো? 🥴
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
🤓 নাস্তিকের গায়েবী বিশ্বাস 🤓
(প্রথমত)
নাস্তিকঃ পারলে তুই আমাকে গায়েবের/অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস করা দেখি?
আমিঃ আচ্ছা তাইলে তুই ঐ বৈদ্যুতিক তারটা হাত দিয়ে ধর?
নাস্তিকঃ না-না! 😲
আমিঃ কেন ধরছিস না কেন?
নাস্তিকঃ তারে বিদ্যুৎ থাকতে পারে। 😳
আমিঃ বিদ্যুৎ কি দেখতে পাচ্ছিস?
নাস্তিকঃ না!
আমিঃ তাহলে এটাও তো একপ্রকার 'গায়েবের প্রতি বিশ্বাস তাইনা'? যার কারণে তুই শর্টসার্কিটের ভয়ে হাত দিয়ে তার ধরলি না। 🙄
নাস্তিকঃ ইয়ে মানে... 🤪
😂😂😂😂😂
[দ্বিতীয়ত]
আমিঃ চল আজ তোকে বিরিয়ানি খাওয়াবো।
নাস্তিকঃ সত্যি। 😊
আমিঃ হ্যাঁ।
(খেতে গিয়ে টেবিলে বসে অর্ডার দেয়ার পূর্বেই)
আমিঃ 🚶কিরে ওদিকে কই যাস?
নাস্তিকঃ কেন বেসিনে সাবান দিয়ে হাত ধুতে!
আমিঃ কেন?
নাস্তিকঃ আরে হাতে ব্যাকটেরিয়া থাকে Bacteria, ডাক্তারেরা বলে জীবাণু-জীবাণু!!
আমিঃ কেন তোর হাত তো পরিষ্কারই দেখছি!
নাস্তিকঃ আরে গাধা Bacteria অদৃশ্যে থাকে, যা চোখে দেখা যায়না।
আমিঃ আচ্ছা! খালি চোখে না দেখেই Bacteria আছে বলে বিশ্বাস করাটা কি এক ধরণের 'গায়েবী বিশ্বাস না'? 🙄
নাস্তিকঃ ধ্যাৎ শালা! তুই খালি জ্ঞান দিস! যা তোর বিরিয়ানিই খামু না। 😡
আমিঃ না খাইলি যা ভাগ। 😂😂
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
ইসলাম বিদ্বেষীঃ কিরে হজে গিয়ে শয়তানকে ঢিল ছুড়বি না? 😊
আমিঃ ইনশাআল্লাহ নিয়ত আছে।
ইসলাম বিদ্বেষীঃ আচ্ছা আরাফার দিবসে ওখানে (জামারায়) শয়তান থাকে জানলি কেমনে? আর শয়তান কি বোকা যে তোদের ঢিল খেতে ওখানে বসে থাকবে? 😂
আমিঃ আরে ওটা তো করি প্রতীকী অর্থে,, কেননা শয়তান আমাদের শত্রু।
ইসলাম বিদ্বেষীঃ হা হা তোরা একেবারেই গর্দভ, কাণ্ডজ্ঞানহীন। 😂
আমিঃ কেন- তোরা কি খুবই বুদ্ধিমান?
ইসলাম বিদ্বেষীঃ বুদ্ধিমান না হলে কি সৌদি যাই শয়তানকে ঢিল ছুড়তে?
আমিঃ না তা যাবি কেনো, তোরা তো যাবি ফাঁকা মাঠে।
ইসলাম বিদ্বেষীঃ না আমরা প্রতীকী অর্থে কোনোকিছু করিনা। 😡
আমিঃ তুই করছিস! তোর সমাজ করছে, তোর দেশ করে।
ইসলাম বিদ্বেষীঃ না না না! আমরা প্রতীকী অর্থে কোনোকিছু করিনা। 😡
আমিঃ প্রামাণ দেই?
ইসলাম বিদ্বেষীঃ পারলে দে, যে আমরা কি এমন প্রতীকী করি? 🤔
আমিঃ আচ্ছা! তোর পেশাটা যেন কি?
ইসলাম বিদ্বেষীঃ আমি একজন মুক্তমনা সেনাসদস্য।
আমিঃ আচ্ছা! তোরা যে তোদের বিজয় দিবসে রাত ১২ টা ১ মিনিটে ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে শত্রুকে লক্ষ্য করে আকাশে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়িস, তা শত্রু কি আকাশে থাকে?
ইসলাম বিদ্বেষীঃ ইয়ে মানে....😇
আমিঃ ইয়ে মানে এটাইতো তোদের প্রতীকী 🤓
সালা তোরা প্রতীকী অর্থে শত্রুকে লক্ষ্য করে আকাশে গুলি ছুড়লে জাত যায়না, আর আমরা শয়তানকে লক্ষ্য করে জামারায় পাথর ছুড়লে জাত যায় তাইনা?
ইসলাম বিদ্বেষীঃ (যুক্তিতে পরাস্ত হয়ে) Sorry রে Sorry.. 🥴
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
নাস্তিকঃ আচ্ছা জান্নাত কি উপরে না নিচে?
আমিঃ উপরে।
নাস্তিকঃ তুই ভেবেচিন্তে বলছিস তো?
আমিঃ হ্যাঁ- কেন?
নাস্তিকঃ আচ্ছা তাহলে বল 'একটা ছেলে আর একটা মেয়ে যদি ৭ তালা বিল্ডিংয়ের উপর থেকে মাটিতে পড়ে' তাহলে তারা বেঁচে থাকবে না মরে যাবে?
আমিঃ নির্ঘাত মারা যাবে।
নাস্তিকঃ ঠিক বলছিস তো?
আমিঃ হ্যাঁ- অবশ্যই।
নাস্তিকঃ তাহলে 'আদম আর হাওয়া' ৭ আসমানের উপর থেকে পৃথিবীতে পড়ে মরলো না কেন? 😇
আমিঃ হা হা হা 😂😂😂
নাস্তিকঃ ঐ শালা! হাসিস না - হাসিস না, আগে উত্তর দে?
আমিঃ আদম & হাওয়া আ: তারা ৭ আসমানের উপর থেকে Direct মাটিতে পড়ছে এটা তোকে কে বললো?
নাস্তিকঃ কেন কুরআনেই তো আছে? 🤔
আমিঃ শোন! কুরআন আছে
قَالَ اہۡبِطُوۡا بَعۡضُکُمۡ
আল্লাহ আদেশ করলেন, তাদের (আদম হাওয়া কে নিচের পৃথিবীতে) নামিয়ে দাও।
(সূরা আল-আরাফ, আয়াত ২৪)
এখন বল আল্লাহ কাদের আদেশ করেন?
নাস্তিকঃ কেন ফেরেশতাদের!!
আমিঃ তাহলে আল্লাহ যেহেতু ফেরেশতাদের আদেশ করলেন তাই তারাই এসে নামিয়ে দিয়ে গেছে।
নাস্তিকঃ পুরাই টাসকি! 🙄
আমিঃ আরো শুনে রাখ! এখানে আরবি শব্দ (اہۡبِطُوۡا) মানে landing করানো বা নিচে নামিয়ে দেয়া। সমর্থক শব্দ sent down নিচে পাঠিয়ে দেয়া, বুঝেছিস?
নাস্তিকঃ (পরাস্ত হয়ে মুখ বাঁকা করে) হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি। 🥴🥴
___________________________________________________
নাস্তিকঃ আল্লার হুকুম ছাড়া নাকি গাছের পাতাও নড়ে না! এই দেখ আমি ঝাকি দিয়ে গাছের পাতা নড়ালাম! 😊
আমিঃ হা হা 😂😂 তোর কু-বুদ্ধি আছে!!
নাস্তিকঃ কু-বুদ্ধি না! বল সু-বুদ্ধি। ☺
আমিঃ তা এতো কষ্ট করে ঝাকি দিয়ে গাছের পাতা নড়িয়ে কি লাভ?
নাস্তিকঃ প্রমাণ করলাম যে কুরআন ভুল! 😊
আমিঃ কে বলেছে যে আল্লার হুকুম ছাড়া গাছের পাতা নড়ে না?
নাস্তিকঃ শুনলাম! 🤔
আমিঃ যে বলেছে সে এক অজ্ঞ আর তুই দেখি আরেক অজ্ঞ।
নাস্তিকঃ কেন এটাতো কুরআনেই আছে!
আমিঃ তুই আমাকে কুরআন খুলে দেখাতে পারবি?
নাস্তিকঃ ইয়ে মানে!! 😇
আমিঃ শোন! এ কথা কুরআনে নেই।
নাস্তিকঃ বলিস কি! 🤔
আমিঃ হ্যাঁ- কুরআনে এ কথা নেই।
নাস্তিকঃ তাহলে কুরআনে কি আছে, বলতো? 🤔
আমিঃ কুরআনে আছে
মহান আল্লাহ বলেনঃ
---------------------------
وَ مَا تَسۡقُطُ مِنۡ وَّرَقَۃٍ اِلَّا یَعۡلَمُہَا
আর তাঁর (আল্লাহর) অজ্ঞাতসরে একটি পাতাও ঝড়ে পড়ে না।
(সূরা আন-আম, আয়াত ৫৯)
অর্থাৎ কোন পাতা আল্লাহর অজ্ঞাতসরে গাছ থেকে ঝড়ে পড়ে না। এখন সেটা বাতাসে পড়ুক বা তুই গাছে ঝাকি দিয়ে ফালা, কোনটা কিভাবে পড়লো সব আল্লাহ জানেন।
নাস্তিকঃ পুরাই টাসকি খেয়ে - হ্যাঁ- তাইতো! 🙄
ধ্যাৎ খামোখা গাছে উঠে কাপড়চোপড় ময়লা করলাম। 🥴
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
নাস্তিকঃ আচ্ছা বল! কেউ যদি তোদের মসজিদ ভাঙে তাহলে কি তোরা কষ্ট পাবি না, তোদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কি আঘাত লাগবে না?
আমিঃ অবশ্যই কষ্ট পাবো এবং আমাদের অনুভূতিতেও আঘাত লাগবে।
নাস্তিকঃ তুই ভেবেচিন্তে বলছিস তো? 😡
আমিঃ হ্যাঁ- আমি ভেবেচিন্তেই বলেছি।
নাস্তিকঃ তাহলে তোদের নবী ইব্রাহিম কেন মূর্তি ভেঙে তার সম্প্রদায়ের মানুষকে কষ্ট দিয়েছিলো? কেন তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কুঠার আঘাত হানলো?
আমিঃ না- নবী ইব্রাহিম আঃ কখোনোই এমনটি করেননি!!
নাস্তিকঃ 😂😂 তোর মাথা ঠিক আছে তো?
আমিঃ হ্যাঁ- আমার মাথা ঠিকই আছে তবে তুই ভুল বুঝেছিস।
নাস্তিকঃ কেন? মূর্তি ভাঙার কথা তো 📖 কুরআনেই আছে।
আমিঃ হ্যাঁ আছে, তবে কেন ভেঙেছিলো সেটাও আছে!
নাস্তিকঃ তা কেন ভেঙেছিলো শুনি? সাম্প্রদায়িক শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে অশান্তি কায়েম করতে? 😡
আমিঃ না- মোটেও এর জন্য নয়।
নাস্তিকঃ তাহলে? 🤔
আমিঃ শোন- নবী ইব্রাহিম আঃ কে তারা মূর্তি-পূজা করতে বাধ্য করায় তিনি তাদের থেকে এর পেছনের সবকিছু জানতে চান কিন্তু তারা মূর্তি-পূজার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিতে ব্যর্থ হয়।
নাস্তিকঃ যেমন? 😇
আমিঃ ইব্রাহিম আঃ তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলো 'এ মূর্তিগুলো কি যাদের পূজায় তোমরা রত আছো'? তারা উত্তর দিলো আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের এদের পূজা করতে দেখেছি। ইব্রাহিম আঃ বললেন তোমাদের বাপ-দাদা ও তোমরা স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় রয়েছো? (সূরা আম্বিয়া আয়াত ৫৪)
নাস্তিকঃ তারপর...? 😇
আমিঃ তারপর ইব্রাহিম আঃ তাদেরকে বলেনঃ তোমরা এদের পূজা কেন করো যারা দেখেনা, শোনেনা এবং তোমাদের কোন উপকারও করে না? তখন তারা ছিলো নিরুত্তর।🤢
নাস্তিকঃ আচ্ছা মূর্তিগুলো কে নির্মাণ করেছিলো?
আমিঃ ইব্রাহিম আঃ এর বাপ (আযর)। 😳
নাস্তিকঃ তারপর...? 😇
আমিঃ তারপরও ইব্রাহিম আঃ যখন দেখলেন 'এই মূর্তিগুলোর কোন ক্ষমতা নেই' এটা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত যেহেতু তার সম্প্রদায়ের লোকেরা মূর্তি-পূজা বর্জন করবে না তাই তিনি তার বাবার তৈরীকৃত মূর্তি গুলো ভাঙলো কেবলমাত্র বড় মূর্তিটি বাদে।
নাস্তিকঃ বড় মূর্তিটি বাদে কেন?🙄
আমিঃ এটাই তো Logical কারণ একটু পরেই তারা ছুটে এলো মন্দির ঘরে আর বললো 'আমাদের দেবতাদের মূর্তি গুলো কে ভেঙেছে'? তখন ইব্রাহিম আঃ বললেন 'ঐ বড় মূর্তি কে জিজ্ঞেস করো কারণ সে তো দেখেছে'।
তখন তাদের মাথা নিচু হয়ে গেলো 😔 একে অপরের দিকে তাকিয়ে লজ্জিত হলো 😒 আর উপলব্ধি করলো তাদে এসব মাবুদ/ইলাহ/উপাস্যদের কোনো ক্ষমতা নেই। কেননা তারা নিজেরাই নিজেদের ইব্রাহিমের হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি 😪 তাই এদের পূজা করার অর্থ শয়তানের ইবাদত। 👹
নাস্তিকঃ ও বুঝেছি বুঝেছি!!
আমিঃ তাহলে নবী ইব্রাহিম আঃ এর মূর্তি ভাঙা কি সঠিক ছিলো না ভুল ছিলো?
নাস্তিকঃ একাবারেই সঠিক ছিলো।


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.