কুরআন ভাল মত পড়লে কি নাস্তিক হয়ে যাবে ?
কোরআন ঠিকমত বাংলা অনুবাদ করা হয় না। মুসলিমরা যদি ঠিকমত বাংলা কোরআন পড়ে ও বাংলায় নামাজ পড়ে তাহলে তারা নাস্তিক হয়ে যাবে....
লিখেছেনঃ মোঃ নাসির শেখ
লিখেছেনঃ মোঃ নাসির শেখ
#Ans:
কোরআন ঠিকমত বাংলা অনুবাদ হয় না। কথাটি আংশিক সঠিক। শুধু বাংলা নয় যেকোনো ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে গেলে পূর্ণ ভাব প্রকাশ করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। তাই শুধুমাত্র আরবি টু বাংলা অনুবাদ নিয়ে অভিযোগ করা বোকামী ও বিদ্বেষপরায়ণ ভাব ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায় না।
অনুবাদে কেন মূল ভাষার পূর্ণ ভাব প্রকাশ করা সম্ভব হয় না তার একটা উদাহরণ দেই। আমাদের দেশের যেকোন মানুষ বা বাংলা ভাষাভাষীরা "মীর জাফর" বলতে যা বোঝে তা অন্য দেশের লোকেরা অনুবাদ করলে মীর জাফর নামটাই পাবে। এর ইতিহাস পাবে না। এইটা শুধু একটা নাম না। একটা (কালো) ইতিহাস, বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক। যখন অন্য দেশের লোক এই নাম ও ইতিহাস নিয়ে জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করবে তখন পূর্ণভাব না হলেও অনেকটা বুঝতে পারবে। আর যারা ইতিহাস জেনে পড়বে তারা পূর্ণভাব বুঝে নিতে পারবে। অন্যদেশের সাধারণ মানুষ কি পারবে? না বুঝতে পারার সু্যোগে অপব্যাখ্যা করার সুযোগ আসে। আপনারা যার অসদ্ব্যবহার করে থাকেন। সাথে মিথ্যাচার, অর্থ বিকৃতি ও কাটাছেঁড়া তো আছেই। এমন উদাহরণ অনেক দেয়া যাবে।
তবে আপনাদের জন্য এইটুকু সান্ত্বনা যে অনুবাদের কাজ থেমে নেই। প্রতিনিয়ত অনুবাদের পেছনে কাজ চলতেছে। সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুধু কোরআন কেন তাফসীরও অনুদিত হয়েছে। কোরআনের আয়াত তো শুধু অনুবাদ দিয়ে বোঝা হয় না। এর পেছনে কারণ, ইতিহাস ইত্যাদি জড়িত থাকে। আপনারা সেগুলো দেখেন না, দেখেন শুধু অনুবাদ যাতে সহজেই সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়। আশা করি একদিন সে গুড়েও অনেক বালি পাবেন। কেননা কোরআনের অনেক রিসার্চ সেন্টার ও ইনস্টিটিউট আছে। যেখানে কোরআনের অর্থই না শুধু গবেষণাও করা হয়। সেসবের কোন প্রতিষ্ঠান নাস্তিকতার দিকে যায় নাই।
নামাজ সম্পর্কে হয়তো কিছুই জানেন না তাই বলছেন বাংলায় নামাজ পড়লে নাকি মুসলিমরা নাস্তিক হত। নামাজে যে তেলাওয়াত করা হয় তা কোরআনেরই আয়াত। যারা বাংলা অর্থ জানে না তারা বাদে যারা তাফসীরকারক, অনুবাদক, আরবী ভাষায় যারা বোঝে এবং এরাবিয়ানরা কিন্তু বুঝেই নামাজ পড়ে। নামাজকে বলা হয় আল্লাহর সাথে কথোপকথন করা। সেইভাবেই তারাও পড়ে। যারা অর্থ বোঝে না তারা কম করে হলেও এটা বোঝে যে আল্লাহর প্রসংসা ও নিজের সরল পথের চলার সাহায্য চায়। এছাড়াও নামাজের ফযিলত কম বেশি সবাই জানে। কেউ নাস্তিক হচ্ছে না। যারা হচ্ছে তারা না বুঝে হচ্ছে। নাস্তিকতা গ্রহন করার হার আর সারাবিশ্বে ইসলামে গ্রহনে হারের কাছে খুবই নগন্য। তাইতো, পিউ রিসার্চ বলে আগামী পঞ্চাশ বছরে মুসলিমই হবে সবেচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়।
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.