আমি কেন নাস্তিকধর্ম বিশ্বাস করি না ? part 17

আমি কেন নাস্তিকধর্ম বিশ্বাস করি না ?
==================
প্রধান প্রধান মতবাদ থেকে, ইসলামে দীক্ষিত হওয়া ব্যাক্তিদের তালিকা

from Wikipedia -->
সবচেয়ে প্রসারণমুখী ধর্ম ইসলাম!
★Guinness World's এর রেকর্ড
অনুসারে
১৯৯০-২০০০ সালের ভিতর ১২.৫
মিলিয়নেরও বেশি
খ্রীস্টান ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে।
★গত একদশকে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সে
পৃথকভাবে
১০ মিলিয়নেরও বেশি খ্রীস্টান
ইসলামে ধর্মান্তরিত
হয়েছে।
★জার্মানীতে প্রতি বৎসরে ৪০০০ এর
বেশি
লোকসংখ্যা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।
সূত্র- https://en.m.wikipedia.org/wiki/List_of_converts_to_islam
অন্যান্য প্রধান প্রধান মতবাদ গুলো
থেকে
ইসলামিক দীক্ষা প্রাপ্তদের দেখতে
ব্রাউজ করুন
নিম্নোক্ত লিংক গুলো ↓
খ্রীস্টানিটি থেকে ইসলামে
ধর্মান্তরিত
ব্যক্তিবর্গের তালিকা দেখুন→
https://en.m.wikipedia.org/…/List_of_converts_to_islam_from…
বৌদ্ধধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত
ব্যক্তিবর্গের তালিকা দেখুন→
https://en.m.wikipedia.org/…/List_of_converts_to_islam_from…
হিন্দুধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত
ব্যক্তিবর্গের তালিকা দেখুন→
https://en.m.wikipedia.org/…/List_of_converts_to_islam_from…
জরাথুস্ট্রবাদ থেকে ইসলামে
ধর্মান্তরিত
ব্যক্তিবর্গের তালিকা দেখুন→
https://en.m.wikipedia.org/…/List_of_converts_to_islam_from…
প্যাগানইজম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত
ব্যক্তিবর্গের তালিকা দেখুন→
https://en.m.wikipedia.org/…/List_of_converts_to_islam_from…
অবিশ্বাসীদের (নাস্তিকদের) ভিতর
থেকে ইসলামে দীক্ষিত
ব্যক্তিবর্গের তালিকা দেখুন→
https://en.m.wikipedia.org/…/List_of_converts_to_islam_from…
এরপরও যদি অমুসলিম ভাইয়েরা প্রচার
করেন যে,
ইসলাম তরবারির মাধ্যমে ছড়ানো
হয়েছে তাহলে
বলতেই হয় আপনার চাপার জোর আছে
বটে।
==============================
বিস্ময়কর বিজ্ঞান - বিজ্ঞানী গ্যারি মিলার এর
স্বিকারোক্তি ( পর্ব ৩)
---------------------------------------------
কানাডার বিজ্ঞানী ড. গ্যারি মিলার পরে যিনি মুসলিম
হউন। তার সম্পর্কে জানতে ডক্টর গ্যারি মিলার
গুগলে সার্চ দিতে পারেন-
★মিথ্যা প্রমাণের পরীক্ষা (Falsification Test)
আগামীতে যদি কারো সাথে আপনার ইসলাম
নিয়ে তর্ক হয় আর সে যদি বলে তার কাছেই
রয়েছে সত্য এবং আপনি অন্ধকারে রয়েছেন
তবে আপাতত সব যুক্তি ছেড়ে এ পরামর্শটি
গ্রহণ করুন। তাকে প্রশ্ন করুন, “আপনার ধর্মে
কি কোন ’মিথ্যা প্রমাণের
পরীক্ষা’ (Falsification Test) আছে?, আপনার
ধর্মে (আমার মতে যেকোন মতবাদের
কথাও বলাও যায় যেমন কমিউনিজম- ব্লগার কাম
অনুবাদক) কি এমন কিছু আছে যা আপনাকে ভুল
প্রমাণ করবে যদি আমি সেটার অস্তিত্ব
দেখাতে পারি”।
হ্যাঁ, আমি নিশ্চিতরূপে বলতে পারি সে কিছুই
দেখাতে পারবেনা-না কোন পরীক্ষা, না
কোন প্রমাণ-কিছুইনা। কারণ তাদের মনে এ
ভাবনাই কাজ করেনা যে তারা নিজেরা যেটা বিশ্বাস
করে সেটা উপস্হাপন করার পাশাপাশি সেটাকে
ভুল প্রমাণ করার সম্ভাবনাও রাখবে। কিন্তু ইসলাম
এমনটি করে।
ইসলামযে মানুষকে এর নির্ভুলতা যাচাই করবার
সুযোগ দেয় এর একটি চমৎকার উদাহরণ হচ্ছে
৪র্থ সুরার ‘পারলে একে ভুল প্রমাণ কর’ কথাটি।
সত্যি বলতে, আমি সর্বপ্রথম এ চ্যালেণ্জটি
দেখে খুবই অভিভূত হই।
এখানে বলা আছে (সুরা নিসা, ৪:৮২)-
”তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করেনা?, যদি
এটা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে
আসত তাহলে তারা এতে অনেক অনঙ্গতি
খুঁজে পেত”
এটা অমুসলিমদের প্রতি এক সুস্পষ্ট চ্যালেন্জ।
মূলত, এটা তাকে একটা ত্রুটি বের করবার
চ্যলেন্জ দিচ্ছে। চ্যলেন্জটি গুরুত্বর এবং
দুঃসাধ্যতো বটেই, পাশাপাশি এমন চ্যলেন্জের
সত্যিকারের উপস্হাপন মানব প্রকৃতির সাথে খাপ
খায়না এবং এটা মানবীয় ব্যক্তিত্বের সাথে
অসমান্জস্যপূর্ণ। কেউ এমন কোন পরীক্ষা
দেয়না যেখানে পরীক্ষার শেষে
নিরীক্ষকের উদ্দেশ্যে লিখবে যে ‘এ
পরীক্ষাটা স্বয়ংসম্পূর্ণ, এতে কোন ভুল
নেই, পারলে একটা বের করুননা!” কোন
মানুষই এমনটি করেনা। একটা ভুল না পাওয়া পর্যন্ত
ঐ শিক্ষক ঘুমাবেনা। তারপরেও এ পদ্ধতিতেই
কুরআন মানুষকে আহবান জানায়।
যারা জানে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো!!
কুরআনে বারবার উল্লিখিত আরেকটি মজার
আচরণ হচ্ছে পাঠককে দেওয়া উপদেশাবলি।
কুরআন এর পাঠককে বিভিন্ন তথ্যাদি দেয় এবং
পরে উপদেশ দেয় ‘তুমি যদি এ সর্ম্পকে
আরো জানতে চাও অথবা যা বলা হলো তা যদি
সন্দেহ করো তাহলে জ্ঞানবানদের
জিজ্ঞেস করে দেখো।" এটাও বিস্ময়কর
আচরণ। এমনটাও হওয়া স্বাভাবিক নয় যে এমন
একজন লোক যার উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা,
ভূগোল ইত্যাদিতে কোন প্রশিক্ষণ নেই সে
একটি বইয়ে এ বিষয়গুলো আলোচনা করবে
এবং পরে পাঠকদের সন্দেহ হলে
বিশেষজ্ঞদের কাছে জিজ্ঞেস করে
নেবার উপদেশ দিবে। এরপরেও প্রত্যেক
যুগেই এমন মুসলিম ছিল যারা কুরআনের উপদেশ
মেনেছে এবং বিস্ময়কর সব আবিষ্কার
করেছে। কেউ যদি অনেক শতাব্দী
আগের বইগুলো দেখে তাহলে
সেগুলোতে কুরআনের অসংখ্য উদ্ধৃতি
দেখতে পাবে। তাদের বইগুলো থেকে
জানা যায় তারা কোনকিছুর জন্যে অমুক জায়গায়
অনুসন্ধান চালিয়েছিল। এবং তারা নিশ্চিত করে
বলেছে যে তারা অমুক অমুক জায়গায় খোঁজ
করেছিল এজন্যে যে কুরআন সেদিকে
নির্দেশনা দিয়েছিল।
উদাহরণস্বরুপ, কুরআন মানুষের উৎপত্তির
উল্লেখ করেছে এবং বলেছে 'এটা নিয়ে
গবেষণা কর’। এটা পাঠককে কোথায় দেখতে
হবে তার একটা সূত্র দিচ্ছে এবং পরে বলছে
যে এটা নিয়ে আরো বিস্তারিত খোঁজাখুজি করা
উচিৎ। দেখা যাচ্ছে, এই বিষয়টাকে মুসলিমরা ইদানিং
বেশ উপেক্ষা করে যাচ্ছে - কিন্তু সবসময়
করেনি যেমনটা দেখাব পরবর্তী
উদাহরণগুলোতে।
============================================
'একজন বীনা মালিক এবং তার বদলে যাওয়ার গল্প'
_______________________________________

"বীনা মালিক (Vina malik) গ্লামার জগতে তার নাম শুনেনি এমন মানুষের সংখ্যা আধুনিক পৃথিবীতে খুব কমই আছে।

বীনা মালিক পপ গায়িকা ও ড্যন্সার হিসাবে এশিয়া কেন, ইউরোপ আমেরিকায় তার ভক্তের অভাব ছিল না। একেক রাতে তার আয় ছিল কয়েক লক্ষ ডলার।

গত বছর এই বীনা মালিক হজ্জ করে এলেন স্বামী সন্তান সহ। এখন শরীয়ার পর্দা পালন করেন। চোখ ভিজিয়ে কাঁদেন । তওবা আর কান্নাই তার জীবনের সাথী। গ্লামার জগতে তিনি স্বামীর সাথে দাওয়াতে তাবলীগের কাজ করেন। দাওয়াতের কাজে বোরকা পরে ঘুরে বেড়ান হলিউড ,বলিউড এর নায়িকা গায়িকাদের কাছে । এটাই তার জীবনের মুল মন্ত্র। বীনা মালিকের নাম শুনলে পৃথিবীর বড় থেকে বড় তারকরাও শুটিং এর সিডিউল ফেলে দৌড়ে আসেন এক নজর দেখতে।

তার জীবনাচারে পরিবর্তন আসার পর তিনি যখন সোনালী পর্দার এজগত থেকে মুখ ফিরালেন তখন একটি টিভি চ্যনেল তার উপর নিউজষ্টোরি করে ।
এতে তার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।

তখন ছোট পোষাক থেকে সবেমাত্র মাথাতে ওড়ানা উঠেছে। সেই সাক্ষাৎকারটি ইউটিবে দেখলাম। সেখানে সাংবাদিক বীনা মালিককে প্রশ্ন করলেন আপনার পরির্বতনের পেছনে মুল ঘটনা কী ?
বীনা মালেক বলেন : এই দুনিয়াতে আমি অনেক মুসলিম স্কলার , মাওলানা মুফতিদের সাথে কথা বলতে চাইছিলাম , কথা বলে তাদের থেকে শুধু নফরত আর হিংসা ছাড়া কিছু পাইনাই !
দেখতে পারেন একটি ভিডিও !
https://youtu.be/3-MyoBmGF_g

বীনা মালিক বললেনঃ "মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের সাথে আমার ঘটনাচক্রে হঠাৎ একদিন দেখা হল , তিনি আমাকে বললেন , 'মেরে বেটি'।
এই একটি মাত্র কথা আমার অন্তরকে চুর্ণ-বিচ্ছুর্ণ ও ক্ষত- বিক্ষত করে দিল । মেরে বেটি! মেরে বেটি!! কতো সোহাগমাখা এক সম্ভাষন।

আমি ভাবতাম আমার দ্বারা ধর্ম কর্ম হবে না । ধর্মের ভাষায় আমি এক পাপী মেয়ে। পরকালে জাহান্নামই আমার শেষ ঠিকানা । দুনিয়াতে যা সুখ করার তা ভোগকরে নেই। জান্নাতের সুখ তো আমার জন্য নয় ।

তিনি যখন বললেন , মেরে বেটি! !! তখন আমার হুশ ফিরে এলো । চেতনা শাণিত হল। হৃদয়ে এক ঢেউ শুরু হলো, 'মেরে বেটি' । 'মেরে বেটি'।

তারিখ জামিল ছাহেবের এই একটি বাক্য আমার জীবনের মোর ঘুরিয়ে দিল। আমাকে তিনি দরদমাখা কন্ঠে দেখিয়ে দিলেন , "কাহা যা রহা হু বেটি। এহি তো তেরে রাহ হ্যায়। তু রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম কি উম্মতি হ্যায়।"
অর্থঃ "কোথায় যাচ্ছিস মা? এটাই তো তোর পথ? তোর উদ্দেশ্য? তুই রসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মতি।"

হে দয়াময় রব্বে করিম, বীনা মালিকের মতো পৃথিবীর পথ ভুলা সব মানুষকে হেদায়ত দান কর।

[ছবিটি বীনা মালিক, তার স্বামী ও পুত্রের। দেখে বুঝতে পারবেন তার পরিবর্তন।]

শুনেনিন বীনা মালিকের মুখে তার জীবন বদলে যাওয়ার ইতিহাস !
https://youtu.be/ghYZbuGGwUA
Image may contain: 3 people
11 Comments
54 Shares
194 Haqq Batiler Lorai and 193 others
===========================================================
“গ্যারি মিলার”-এর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কাহিনী
ইসলাম মানুষের জীবনকে করে লক্ষ্যপূর্ণ। কারণ, এ ধর্মের
দৃষ্টিতে মানুষের জীবনের রয়েছে অর্থ ও লক্ষ্য।
কিন্তু পশ্চিমা সরকারগুলো ইসলাম ও মুসলমানদের
সম্পর্কে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা
মুসলমানদেরকে পাশ্চাত্যের জন্য বিপজ্জনক বলে তুলে
ধরছে। আর এই অজুহাত দেখিয়ে পশ্চিমা সমাজে
মুসলমানদের ওপর আরোপ করা হয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা।
ইউরোপ- আমেরিকার ক্ষমতাসীন সরকার ও ইসলাম-
বিদ্বেষী দল বা সংস্থাগুলো এভাবে মুসলমান ও
ইসলামের ওপর আঘাত হানার পাশাপাশি নিজেদেরকে
পশ্চিমা সভ্যতা এবং পশ্চিমা জনগণের সমর্থক হিসেবে
জাহির করার পাশাপাশি জনগণকে বিভ্রান্ত করার
মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছেন।
পাশ্চাত্যে ইসলামের জনপ্রিয়তা ও প্রভাব ক্রমেই
বাড়তে থাকায় ইসলাম বিরোধী মহলগুলোর ইসলাম-
বিদ্বেষী ততপরতাও জোরদার হয়েছে। বর্তমানে
মুসলমানদের নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম ও জনমত ব্যাপক
বিতর্কে মেতে রয়েছে।
পাশ্চাত্যের উগ্র লেখক ফিলিপ রনডু বলেছেন,
মুসলমানরা হচ্ছে বিস্ফোরণের বোমার মত এবং ইসলাম বহু
মানুষকে, বিশেষ করে ইউরোপের বহু মানুষকে আকৃষ্ট
করছে।
বহুল প্রচারিত টাইম ম্যাগাজিন এক অবমাননামূলক
নিবন্ধে ইউরোপের মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধিকে
'ইউরোপের পরিচিতির সংকট' বলে অভিহিত করেছে।
২০১০ সালের শেষের দিকে সুইজারল্যান্ডে মসজিদের
মিনার নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞার আইন চালু করার
লক্ষ্যে এক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই পদক্ষেপের মূল
পরিকল্পনাকারী ছিল সুইস পিপলস পার্টি নামের একটি
উগ্র খ্রিস্টানপন্থী দল। মুসলমানদের ব্যাপারে আতঙ্ক
সৃষ্টি করাই ছিল এই পদক্ষেপের লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত এই
আইন পাশ করতে সফল হয় দলটি। দলটির পক্ষ থেকে সর্ব
প্রথম এই আইন চাপিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সুইস
রাজনীতিবিদ ড্যানিয়েল স্ট্রিচ। তিনি পুরো
সুইজারল্যান্ডে ইসলাম-বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে দেন
এবং জনগণের মধ্যে ইসলাম-অবমাননার বীজ বপন করেন।
ফলে সুইস জনগণ মসজিদের মিনার নির্মাণের বিরোধী
হয়ে পড়ে এবংমিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ করা সম্ভব হয়
দেশটিতে।
কিন্তু এর পরে ইসলাম আবারও পাশ্চাত্যে আগের চেয়েও
শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।
সুইজারল্যান্ডে ইসলাম-বিদ্বেষী আন্দোলনের প্রধান
নেতাসুইস রাজনীতিবিদ ড্যানিয়েল স্ট্রিচ নিজেই
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম-বিরোধী চিন্তাধারা
তাকে শেষ পর্যন্ত ইসলামের প্রেমিকে পরিণত করে। এ
প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে তিনি ইসলামের যৌক্তিক
শিক্ষাগুলো ও পবিত্র কুরআন নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন
এবং ইসলামের আকাট্য যুক্তি ও বাস্তবতার কাছে
আত্মসমর্পণ করেন।
ড্যানিয়েল স্ট্রিচ এখন একজন সামরিক প্রশিক্ষক এবং
পৌরসভার সদস্য ও অঙ্গীকারবদ্ধ মুসলমান। তিনি নিয়মিত
মসজিদে আসেন, কুরআন অধ্যয়ন করেন ও পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ পড়েন। ইসলাম গ্রহণের কারণ সম্পর্কে তিনি
বলেছেন, ইসলাম জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর
যৌক্তিক জবাব দেয়, যা আমি কখনও খ্রিস্ট ধর্মে খুঁজে
পাইনি। আমি ইসলামের মধ্যেই খুজে পেয়েছি জীবনের
বাস্তবতা।
ড্যানিয়েল স্ট্রিচ এখন তার অতীতের ততপরতাগুলোর
জন্য লজ্জিত। তিনি এখন সুইজারল্যান্ডে ইউরোপের
সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
দেশটিতে এখন ৪টি মসজিদ সক্রিয় রয়েছে।
ড্যানিয়েলের স্বপ্নের মসজিদটি নির্মিত হলে
সুইজারল্যান্ডে মসজিদের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫টিতে।
তিনি দেশটিতে ইসলাম বিরোধী যে ততপরতা ছড়িয়ে
দিয়েছিলেন এভাবেই তার ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা
করছেন। ড্যানিয়েল এখন ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ
সহাবস্থানের আন্দোলন গড়ে তোলারও চেষ্টা করছেন।
ওপিআই নামের একটি ইসলামী সংস্থার প্রধান আবদুল
মজিদ আদলি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, "ইউরোপের জনগণ
ইসলাম সম্পর্কে জানতে ব্যাপকভাবে আগ্রহী। তাদের
অনেকেই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক নিয়ে
গবেষণা করতে চান। ঠিক যেভাবে সুইজারল্যান্ডের
ড্যানিয়েল এ পথে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তিনি ইসলামের
মোকাবেলা করতে গিয়ে পবিত্র কুরআনের সঙ্গে
পরিচিত হন এবং ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপক পড়াশুনা শুরু
করেন। তিনি চেয়েছিলেন ইসলামের সঙ্গে খুব কঠোর
আচরণ করবেন। কিন্তু এর ফল হয়েছে সম্পূর্ণ বিপরীত।"
মহান ধর্ম ইসলামের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল যারাই এর
মোকাবেলা করতে চায় তাদেরকে এই পবিত্র ধর্ম
চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণার মাধ্যমে এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত
নেয়ার আহ্বান জানায়। ফলে ইসলামের খুঁত বের করার
চেষ্টা করতে গিয়ে তারা এ ধর্মের সৌন্দর্যের সন্ধান
পায় ও এ যে খাঁটি খোদায়ী ধর্ম -এই বাস্তবতা বুঝতে
পারে। কারণ, ইসলাম মানুষের প্রকৃতির চাহিদার
আলোকে প্রণীত হয়েছে। সত্য অনুসন্ধানের ইচ্ছা নিয়ে
যারাই ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা করেন তারা এই খোদায়ী
ধর্মের সত্যতা অস্বীকার করতে পারেন না।
কানাডীয় নও-মুসলিম ডক্টর "গ্যারি মিলার"ছিলেন
দেশটির সবচেয়ে খ্যাতনামা খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারক। তিনি
পবিত্র কুরআনের ভুল খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন যাতে
ইসলাম ও কুরআনের বিরোধী প্রচারণা চালানো সহজ হয়।
কিন্তু এর ফল হয়েছিল বিপরীত। ডক্টর মিলার বলেছেন,
" কোনো একদিন কুরআন সংগ্রহ করে তা পড়া শুরু করলাম।
প্রথমে ভেবেছিলাম কুরআন নাজেল হয়েছিল আরবের
মরুচারীদের মধ্যে, তাই এতে নিশ্চয়ই মরুভূমি সম্পর্কে
কথা থাকবে। কুরআন নাজিল হয়েছিল ১৪০০ বছর আগে।
তাই খুব সহজেই এতে অনেক ভুল খুঁজে পাব ও এইসব ভুল
মুসলমানদের সামনে তুলে ধরব বলে সংকল্প করেছিলাম।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা ধরে কুরআন পড়ার পরে বুঝলাম আমার
এসব ধারণা ঠিক নয়, বরং এ মহাগ্রন্থে অনেক আকর্ষণীয়
তথ্য পেলাম। বিশেষ করে সুরা নিসার ৮২ নম্বর এ
আয়াতটি আমাকে গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত করে,
'এরা কি লক্ষ্য করে না কুরআনের প্রতি? এটা যদি
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও পক্ষ থেকে নাজিল হত, তবে
এতে অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেতে।' "
খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারক গ্যারি মিলার এভাবে ইসলামের
দোষ খুঁজতে গিয়ে মুসলমান হয়ে যান। তিনি বলেছেন,
"আমি খুব বিস্মিত হয়েছি যে, কুরআনে হযরত মরিয়ম
(সা.)'র নামে একটি বড় পরিপূর্ণ সূরা রয়েছে। আর এ সুরায়
তাঁর এত ব্যাপক প্রশংসা ও সম্মান করা হয়েছে যে, এত
প্রশংসা বাইবেলেও দেখা যায় না। পবিত্র কুরআনের
বিভিন্ন স্থানে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র নাম
মাত্র ৫ বার এসেছে, কিন্তু হযরত ঈসা (আ.)'র নাম এসেছে
২৫ বার। আর এ বিষয়টি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ক্ষেত্রে
আমার ওপর ব্যাপক প্রভাবে রেখেছে।"
বিশিষ্ট ইংরেজ গবেষক জন ডেভেনপোর্ট বলেছেন,
"কুরআন ভুল-ত্রুটিমুক্ত হওয়ায় এতে কোনো ছোটখাট
সংশোধনেরও দরকার নেই। তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
কুরআন পড়ার পরও সামান্যতম বিরক্তিও সৃষ্টি হবে না
কারো মধ্যে। বছরের পর বছর ধরে পাদ্রিরা আমাদেরকে
পবিত্র কুরআনের বাস্তবতা ও মহত্ত্ব থেকে দূরে
রেখেছেন। কিন্তু আমরা যতই জ্ঞানের পথে এগুচ্ছি ততই
অজ্ঞতা ও অযৌক্তিক গোঁড়ামির পর্দা মুছে যাচ্ছে।
শিগগিরই এ মহাগ্রন্থ- যার প্রশংসা ভাষায় প্রকাশ করার
সাধ্য কারো নেই-বিশ্বকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করবে
এবং বিশ্বের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে ও শেষ পর্যন্ত
বিশ্বের মানুষের চিন্তা-চেতনার প্রধান অক্ষে পরিণত
হবে।"
========================================
৩১ বছর খ্রিষ্টান মিশনারির পথ থেকে বের হয়ে....

ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন এক ভাই♦

****************-*****************

লেবু ডাক্তারের কারগুজারী অনেকেই হয়তো জানেন । যিনি মুসলমান থেকে খ্রিষ্টান হয়ে ৩০ হাজার মুসলমানকে খ্রিষ্টান বানিয়েছিল । আলহামদুলিল্লাহ্‌ পরবর্তীতে দায়ীদের মেহনত এবং বড়দের চোখের পানিতে তিনি তওবা করে পুনরায় মুসলমান হয়েছিলেন । তারই একজন সহযোগী সদ্য খ্রিষ্টান থেকে ফিরে আসা ডা. মীর আব্দুল খালেক । যিনি ১৯৮৭ সালের জানুয়ারি মাসে খ্রিষ্টানদের ধোঁকায় পরে মুসলমান থেকে খ্রিষ্টান হন । এরপর তিনি মুসলমানদের মাঝে খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচার করতে থাকেন । তাঁর মাধ্যমে কয়েক হাজার মুসলমান ইসলাম ত্যাগ করে খ্রিষ্টান হয়ে যায় । ২০০৩ সাল থেকে মুফতি যুবায়ের আহমাদ ও তাঁর সাথীগন তাকে পুনরায় ইসলামের পথে ফিরে আসার দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছিল । দীর্ঘ ৩১ বছর যাবত খ্রিষ্টান থাকার পর কিছুদিন পুর্বে তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় কালিমা পড়ে মুসলমান হয়ে যান ।

আজকে তার ঈমান জাগানিয়া সাক্ষাৎকারটি আপলোড দিয়েছি । তিনি কথা বলতে গিয়ে বারবার হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন । দীর্ঘ ৩১ বছরের ভুলের কথা মনে করে বারবার চোখের পানিতে বুক ভাসিয়েছেন । সেই সাথে খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন ধোঁকাবাজি ফাঁস করে দিয়েছেন । আশাকরি ভিডিওটি দেখলে প্রত্যেকের ঈমান জেগে উঠবে নতুন করে । সেই সাথে খ্রিষ্টানদের প্রতারনা থেকে বেঁচে যাওয়ার জন্যও কাজে আসবে ।

লিংকঃ https://goo.gl/oTebV4

পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখুন , খ্রিষ্টানদের প্রতারনা থেকে নিজে বাঁচুন , ভিডিওটি শেয়ার করে খ্রিষ্টানদের প্রতারনা থেকে অন্যকে বাঁচান ।

ইনশাআল্লাহ রমজানে আরও কয়েকটি সাক্ষাৎকার এই চ্যানেলে পাবেন । Subscribe করে সাথেই থাকুন ।
============================================================


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.