নাস্তিক ধর্মে নারী অধিকার কি কি ???

নাস্তিক ধর্মে নারী অধিকার কি কি আসুন জানি ।

"এতো গরমে এরকম ভারি বোরখা পরেন কিভাবে? আবার হাতে মোজা, পায়ে মোজা! আচ্ছা, আপনাদের কি গরম লাগে না? আপনাদের দেখলে তো আমারই গরম লাগে!" "এরকম বাড়াবাড়ির দরকার কি? মাথায় কাপড় দিয়ে শালীনভাবে চললেই তো হয়! নিজ ভালো তো জগত ভালো!" "চেহারা যে সবসময় ঢেকে রাখেন,পরে আপনাকে দেখলে চিনবো কিভাবে?"
হাক্বীকি পর্দা করার চেষ্টা করেন এরকম সব মহিলাই কমবেশি উপরের কথাগুলো শুনেছেন। পর্দা  কিছু  মানুষের কাছে কষ্টদায়ক, কিছু মানুষের কাছে বাড়াবাড়ি, আবার কিছু মানুষের কাছে উপদ্রব! নাউযুবিল্লাহ!
অথচ মুসলিম মহিলাদের জন্য যাঁরা আদর্শ উনাদের পর্দা কেমন ছিল জানেন?  সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আহলিল  জান্নাহ, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণের সময়টুকু জানাই এর  উত্তরের জন্য যথেষ্ট!
১১ হিজরী সনের ৩রা রমাদ্বান শরীফ আছরের পরে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করেন। পর্দা যাতে লঙ্ঘিত নাহয় এজন্য তিনি নিজেই গোসল মুবারক সেরে নেন, দাফন মুবারকের কাপড় পরে নেন যা ছিল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দাফন মুবারকে ব্যবহৃত কাপড়েরই অবশিষ্টাংশ। এমনকি  তিনি হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম উনাকেও  দেখা  করতে অনুমতি দেননি। স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবে উনার রূহ মুবারক নিয়ে যান। ফযরের পূর্বেই উনার রওযা শরীফ স্থাপিত হয়। উনার মুবারক অসীয়ত অনুযায়ী উনার জিসিম মুবারক কাপড় দ্বারা ঢেকে এমনভাবে নেয়া হয় যে উনার কাফন মুবারকও কেউ দেখতে পায়নি। রাতের আঁধারে উনার গোসল মুবারক দেয়া হয়, জানাজা মুবারক অনুষ্ঠিত হয় এবং উনাকে জান্নাতুল বাক্বী শরীফে নিয়ে যাওয়া হয়। কিতাবে উল্লেখ করা হয়,কবর দেখলে মৃতের আকার-আকৃতি, দেহের উচ্চতা-প্রশস্ততা উপলব্ধি করা যায়।
সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার রওযা শরীফ দেখে কেউ যেন উনার হুলিয়া মুবারক অনুধাবন করতে না পারে সেজন্য  কুদরতীভাবে উনার রওযা শরীফ উনার চতুর্দিকে অনেকগুলো কবর স্থাপিত হয়। ফলশ্রুতিতে, সকাল বেলা উনার রওযা শরীফ সনাক্ত করা যায়নি। কুদরতীভাবে উনার পর্দা হিফাযত করা হয়। সুবহানাল্লাহ! হায়াত মুবারকে তিনি সর্বোত্তম পর্দা মুবারক করেছেন,বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরেও তিনি সর্বোত্তম পর্দা মুবারক করেছেন। এমনকি হাশরের ময়দানেও তিনি সর্বোত্তম পর্দা করবেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,ক্বিয়ামতের দিন বলা হবে,হে হাশরবাসী! তোমরা তোমরাদের দৃষ্টিকে অবনত করো। এখনি সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি জান্নাতে গমন করবেন। হাশরবাসী দৃষ্টিকে অবনত করবে। হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম  তিনি সত্তর হাজার হুর দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে বিদ্যুৎগতিতে জান্নাতে পৌঁছে যাবেন। সুবহানআল্লাহ!
আসলে মুসলিম মহিলাদের অত্যন্ত কৌশলে তাদের জন্য যাঁরা আদর্শ তাদের থেকে দূরে সরিয়ে রেখে  বিজাতীয়  ভাবধারায়  অভ্যস্ত  করানো হয়েছে। যেকারনে একজন মুসলিমার জন্য যা স্বাভাবিক প্র্যাকটিস হওয়া উচিত তাই এখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এথেকে উদ্ধার পাবার জন্য আমাদের হযরত উম্মুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত মহিলা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের জীবনী মুবারক বেশী বেশী পাঠ ও আলোচনা করা উচিত।
=======================
বৌদ্ধ ধর্মে নারীর স্থান।

অনলাইনে পাতি নাস্তিকতার আড়ালে লুকানো হিন্দু মালাউনরা শুধু ইসলামে নারীর অধিকার খুঁজে দিশেহারা ।ছুপা মাল্লুজদের দাবী ইসলামে নারীর অধিকার দেয়া হয়নি ! অথচ সকল ধর্ম বিশ্লেষন এবং গবেষনা করলে দেখা যায় যে একমাত্র ইসলাম ধর্মই নারীকে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদায় রেখেছে । আমি প্রমাণ করে ছাড়ব যে ইসলামই নারীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছে । এই লেখাটায় আমি বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা করব ।লেখাটি পর্ব আকারে দেয়া হবে ।
বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অধিকার এবং নারীকে যে চোখে দেখা হয়:
বৌদ্ধ শাস্ত্রের ৫৩৬ নম্বর জাতকে কুণাল বলেন,
গরুরা নতুন ঘাসের আশায় নিজের গোয়াল থেকে বের হবার জন্য ছুটে, নারীও তেমনি নতুন নাগর লাভের আশায় ছোটাছুটি করে।
আবার,
নৌকা যেমন এপারে-ওপারে, এখানে-সেখানে যথা প্রয়োজনে লাগে, নারীও তদ্রূপ প্রিয় অপ্রিয় বিবেচনা না করেই সর্ব পুরুষেই গমন করে।
আবার,
কোন বুদ্ধিমান কখনো নারীর চরিত্রে বিশ্বাস স্থাপন করে না। যারা করে তারা নির্বোধ।
আবার,
যতই নারীকে ধনে পরিপূর্ণ করা হোক না কেন সুযোগ পেলেই অসতীরা পুরুষের সম্মান নষ্ট করে।
আবার,
নারীদের এতোই জঘন্য স্বভাব যে এখানে সেখানে তারা যদিচ্ছা ঘুরাফেরা করে।
আবার,
নারীদের চোখের পানিতে গলে যাওয়া ঠিক না কারণ নারীদের সত্য মিথ্যার সমান।
আবার,
নারীরা সব সময় প্রেমালাপে পুরুষদের বস করে যদিও মনের মধ্যে তাদের থাকে খারাপ অভিলাস।
আবার,
তীর্থে যেমন সকলেই ভ্রমন করতে পারে, নারীও তেমন তীর্থসম।
আবার,
টাকাহীন কুলীন ব্রাহ্মণ নারীর কাছে চণ্ডালের মতো। তাইতো ধনবান চণ্ডাল কে নারী আজীবন পূজিতে পারে শুধু ধনের আশায়।
কুণালের নীতিবাক্যর গাথাগুলো দেখি -
"মনের মতো রমণী লভিয়া ধনপূর্ণা ধরা কর তারে দান, তথাপি অসতি পেলে অবসর কভু না রাখিবে তোমার সম্মান। নারীদের এমন জঘন্য স্বভাব সদা সর্বস্থানে করি বিলোকন, করে কি কখনো বুদ্ধিমান জন চরিত্রে তাহাদের বিশ্বাস স্থাপন? ভালোবাসে মোরে ভাবি ইহা মনে করো না বিশ্বাস কভু নারীগণে, অশ্রু বিসর্জন দেখিয়া তাহার ভিজে নাকো যেন মন কখনো তোমার। এ পারে, ও পারে নদীর যেমন লাগে গিয়া নৌকা যথা প্রয়োজন, প্রিয় বা অপ্রিয় বিচার না করি সেবে পরপুরুষেরে সর্বজন নারী। অতীব দুঃশীলা, অতি অসংযতা রতিদানে মুড়ে তুষিতে নিরতা, প্রামালাপ করে বসি তব পাশ মনে কিন্তু সদা পাপের অভিলাষ। তীর্থসম সর্বভোগ্যা নারীগণ নারীরে বিশ্বাস করো না কখন, নাই তাদের সত্য মিথ্যা জ্ঞান সত্য তাদের মিথ্যার সমান। গবীসম নব তৃণের আশায় গোচর বাহিরে ছুটি যথা যায়, নবীন নাগর লোভিতে তেমনি ছোটাছুটি করে সকল রমণী। নির্ধন কুলীনে নারী করে হেয় জ্ঞান সে জন নারীর চক্ষে চণ্ডাল সমান, অথচ চণ্ডাল যদি হয় ধনেশ্বর ধনহেতু ভজে তারে নারী নিরন্তর।" (কুনাল জাতক - ৫৩৬)
নারীকে চিহ্নিত করেন গৌতম বৌদ্ধ। তিনি বলেন,
নারী যেহেতু গৃহের মোহ তৈরি করে তাই নারী অবশ্যই পরিত্যাজ্য।১) বর্তমান বস্তু ( এখানে কোন সংকট উপস্থাপিত হয়েছে শাস্তার (পথপ্রদর্শকের) কাছে। ২) অতীত বস্তু ( এখানে সংকট মীমাংসার জন্য অতীতের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন শাস্তা) ৩) সমাধান ( অতীত বাস্তবতার আলোকে বর্তমানের টীকাভাষ্য রচনা করে দিকনির্দেশনা দেন শাস্তা)
কুণালের মুখে উচ্চারিত হয় নীতি গাথাঃ
সদা রক্ত মাংস প্রিয়, কঠোর হৃদয়, পঞ্চায়ুধ, ক্রূরমতি সিংহ দুরাশয়। অতিলোভী, নিত্য প্রতিহিংসা পরায়ণ, বধি অন্যে করে নিজ উদর পূরণ। স্ত্রীজাতি তেমতি সর্বপাপের আবাস, চরিত্রে তাহাদের কভু করো না বিশ্বাস। হ্যাঁ পুরুষের অবশ্যই কখনোই নারীর চরিত্রে বিশ্বাস করা উচিত নয়। শুধু কি বিশ্বাস? কুণালের মতে, নারীকে বেশ্যা, কুলটা বললেই সব বলা হয় না, নারী প্রকৃত পক্ষে এর অধিক কিছু।
নারীরা হল- →উন্মুক্ত মলভাণ্ডের মতো দুর্গন্ধ যুক্ত। →বিষমিশ্রিত মদিরার মতো অনিষ্টকারী। →কুটিলা সাপের মতো দুই জিহ্বা বিশিষ্ট। →পাতালের ন্যায় অতল গভীর। →রাক্ষসীর ন্যায় সন্তোষহীন। →অগ্নির ন্যায় সর্ব গ্রাসিনী। →নদীর ন্যায় সর্ব বাহিনী। →বায়ুর ন্যায় যথেচ্ছা গামিনী। →বিষবৃক্ষের ন্যায় বিষফল প্রসবিনী। নারীরা কীভাবে মলের মতো দুর্গন্ধময় এ সম্পর্কে কুনাল বলেন,
"নারী হল উন্মুক্ত মলভাণ্ডের ন্যায়। উন্মুক্ত মলভাণ্ড দেখিলে মাছি সেখানে ঝাপ দিবেই তাকে রোহিত করা কষ্টকর। কিন্তু একজন জ্ঞানী মানুষ সব সময় এই মলভাণ্ডের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করে তা এড়িয়ে চলে। তদ্রূপ নারীরুপ মলভাণ্ডে মাছিরূপ পুরুষ ঝাপ দিবেই কিন্তু একজন জ্ঞানী ভিক্ষু এই উন্মুক্ত মলভাণ্ডরূপ নারীদের দুর্গন্ধ উপলব্ধি করিয়া তাদের সদাই পরিত্যাগ করেন।"
কুণাল তার নিতিগাথায় কি বলেন-
চৌর, বিষদিগ্ধসুরা, বিকত্থি বণিক কুটিল হরিণ শৃঙ্গ, দ্বিজিহ্বা সর্পিণী প্রভেদ এদের সঙ্গে নেই রমণীর। প্রতিচ্ছন্ন মলকুপ, দুষ্কর পাতাল দুস্তোস্যা রাক্ষসী, যম সর্বসংহারক প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর। অগ্নি, নদী বায়ু, মেরু (পাত্রাপাত্রভেদ জানে না যে) কিংবা বিষবৃক্ষ নিত্যফল প্রভেদ এদের সঙ্গে নাই রমণীর।
===============================
না‌স্তিক‌দের নারী অ‌ধিকার
১ শুধু ঘ‌রের কাজ করবে কেন? ঘ‌রের বাই‌রের ক‌ঠিন কাজগু‌লো কি শুধু পুরুষ কর‌বে?
তু‌মি ঘ‌রের কাজও করবে আর পুরুষ‌দের ক‌ঠিন কাজগুলাও করবে মা‌নে ডাবল কাজ করবে।
(য‌দিও তু‌মি পুরুষ অ‌পেক্ষা দুর্বল)
২ তু‌মি আ‌গে মানুষ প‌রে নারী। নি‌জে‌কে নারী ম‌নে কর‌বে না মানুষ ম‌নে কর‌বে পুরুষরা বা‌সে দা‌ড়ি‌য়ে যে‌তে পার‌লে তু‌মিও যা‌বে। পুরুষ‌কে আলাদা করে দেখার কি আ‌ছে পুরু‌ষের পা‌সের ছি‌টে তু‌মি বস‌তেই পা‌রো।
(এটাই‌ তোমার সমান অ‌ধিকার)
৩ কেউ তোমার সা‌থে প্রেম কর‌তে চাই‌লে কর‌বে লিভটু‌গেদার কর‌তে চাই‌লে কর‌বে সমাজ‌কে ভয় পাবার কি আ‌ছে প‌রি‌শেষে পুরুষ‌টি তোমা‌কে ফে‌লে চ‌লে গে‌লে বাচ্চার দা‌য়িত্ব তোমা‌কেই নি‌তে হ‌বে।
(তবেই তু‌মি না‌স্তিক)
৪ না‌স্তিক শিশু: তোমার বাবা বল‌তে কিছু নেই তোমার মা'ই সব আবার তোমার মা'ও কর্ম‌জি‌বি, অ‌ফিস টাই‌মের পর কা‌রো সা‌থে লিভটু‌গেদা‌রে চ‌লে যা‌বে তো তোমা‌কে শিশু নি‌কেত‌নেই থাক‌তে হ‌বে।
(মা বাবার ভালবাসা পাওয়ার কোন চান্স নাই)
৫ তু‌মি যখন বু‌ড়ি হ‌বে, অসহায় হ‌য়ে যা‌বে, যখন তোমার কোন BF থাক‌বে না, লিভটু‌গেদার ক‌রে যা‌দের তু‌মি জন্ম দি‌য়েছ তারা কেউ পা‌শে থাক‌বে না, তখন নি‌জে‌কে অসহায় ম‌নে ক‌রো না।
(ত‌বেই তু‌মি সফল না‌স্তিক, এটাই তোমার নারী অ‌ধিকার, সফল মা হওয়ার কোন অ‌ধিকার তোমার নেই, তু‌মি না‌স্তিক তাই কেউ তোমা‌কে মা ব‌লে কোন‌দিন ডাক‌বে না, স্বা‌মির ভালবাসা কোন‌দিন তু‌মি পা‌বে না)
==================
ইসলাম ধর্মে ”নারী অধিকার” বিষয়টি নিয়ে নাস্তিকেরা ইসলামকে সব সময় আঘাত করে থাকে।আমি এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখবো।কারণ লেখা বড় হলে পাঠকদের জন্য তা বিরক্তিকর হবে।নারী-পুরুষের মাঝে যেসব সমস্যা দেখা যায় তার একটি আমি আজ উল্লেখ করলামঃ
একজন নারীনেত্রী সারাদিন চিৎকার করে বলে থাকেন “নারী কিভাবে চলবে,কি পোশাক পরবে,কোথায় কাজ করবে,কোথায় যাবে সেটা সে নিজে ঠিক করবে তার স্বামী কিংবা পুরুষ মানুষ নয়”।কিন্তু সেই নারীনেত্রী যখন তার পুত্র সন্তানকে বিয়ে দেন আর তার পুত্রবধূ যখন বেপরোয়াভাবে চলাচল করে তখন সেটা সেই নারীনেত্রীর চোখের বালি হয়ে যায়।সেই নারীনেত্রী তখন তার পুত্র সন্তানকে বলে ”বউকে শাসন করতে পারিস না,কেমন পুরুষ মানুষ তুই”?মায়ের কথা মোতাবেক যখন পুত্র তার বউকে কিছু বলতে যায় তখন তার বউ যুক্তি দেখায় “তোমার মা সারাজীবন তোমাকে কাজের মেয়ের কাছে ফেলে রেখে সারাদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়িয়েছে আর আমার বেলায় তা করলে দোষ হবে কেন”?তখন বেচারা পুত্র সন্তান ক্রসফায়ারে পড়ে যায়।আমাদের দেশে ছেলের বউ অসুস্থ হলে বলা হয় নাটক আর নিজের মেয়ে অসুস্থ হলে খারাপ লাগে।মনে করুন কোন নারীর এক ছেলে এবং এক মেয়ে আছে আর ছেলে-মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে।তখন সেই নারীর মন্তব্য এমন থাকে “আমার মেয়ের জামাই খুব ভাল কারণ সবসময় আমার মেয়ের কথা শুনে আর ছেলে খুব খারাপ কারণ শুধু বউয়ের কথায় উঠে আর বসে”।মা-কন্যাসন্তান-পুত্রবধূ এই তিনটি চরিত্র একে অপরের সাথে জড়িত এবং ইচ্ছা করলেও এই তিন চরিত্রকে আলাদা করা যাবে না।বাবা-পুত্র সন্তান-মেয়ের জামাই এই তিন চরিত্র একে অপরের সাথে জড়িত নয় এবং ইচ্ছা করলেও এই তিন চরিত্রকে একসাথে জড়ানো যাবে না।একটি গাণিতিক ব্যাখা দিলামঃ
মা+কন্যাসন্তান+পুত্রবধূ=নারী
বাবা=পুরুষ
পুত্র সন্তান=পুরুষ
মেয়ের জামাই=পুরুষ
এখন নারীবাদিদের এবং নাস্তিকদের নিকট প্রশ্ন থাকলো ”একটি ছেলে বিয়ের পর তার মা,স্ত্রী এবং বোনের মাঝে কিভাবে তাল মিলিয়ে চলবে”!
নারী বিষয় নিয়ে আমার লেখা অব্যাহত থাকবে।আজ একটি দেখলাম।সবাইকে পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ করছি।
বিঃদ্রঃ টাইপিং মিসটেক অনেক সময় অনেক কথার অর্থ বদলে দিতে পারে।কাজেই সেগুলোকে পুঁজি করে কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করবেন না।যদি কেউ করে,তবে সে নিজের দূর্বলতা স্বীকার করবে।টাইপিং মিসটেক সংশোধনের পরামর্শ দেবেন।
====================
বিষয়:-নারী পুরুষ সমঅধিকার।যুদ্ধবন্দী নারী।এখানেও কী ইসলাম বিতর্কিত?
-বেশ কিছুদিন ধরে নারী অধিকার নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে।বিষয়টি কারো কারো কাছে অতি গুরুতর,আবার কারোর কাছে যৎসমান্য।ভাবছিলাম এটা নিয়ে আর জলঘোলো করবো না,কিন্তু কিছু চিকা স্বভাবের প্রানীর কারনে করতে হচ্ছে।
-বহুল আলোচিত বিষয়,নারীর স্বাধীনতা।এ সম্পর্কে বহুবার বহুভাবে নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে।তারা তা কানে না নিলে কিচ্ছু করার নেই। -এখন আসা যাক বাস্তবজ্ঞান ও বাস্তবতার প্রসঙ্গে।একজন নারীর পরিপূর্ন স্বাধীনতার ফল কী?এ প্রশ্নের ব্যাখ্যার জন্য আমাদের দৃষ্টিকোন পশ্চিমা দেশের প্রতি উপনীত করতে হবে।কারন পশ্চিমা দেশে নারী স্বাধীনতা পুরুষের সমান।বা কোনখানে পুরুষের চেয়েও বেশি।
-পশ্চিমা দেশে নারী স্বাধীনতা বেশি বলে সেখানে পর্নো তারকার সংখ্যাও বেশি।এর পরিসংখ্যান দেখার জন্য যখন আমি ওয়েবসাইটে ঢু মারলাম,তখন সে তথ্য দেখে আমিই লজ্জিত হলাম।[আপনারা নিজ দ্বায়িত্বে দেখে নিন]।
সারা বিশ্বে আমার জানামতে ১ জন মুসলিম পর্নোতারকাও নেই।......এ ভেদাভেদ কেন?
নারী স্বাধীনতার ফল আমরা চারপাশে তাকালেই দেখতে পাই।ক্লাবে গনধর্ষন,রাস্তায় গনধর্ষন,বাসের মধ্যে গনধর্ষন ইত্যাদি ইত্যাদি।এখন সমস্যা হল,নাস্তিক বোনেরা ধর্ষিত হতে চায়,তাই সারাদিন বাক বাকুম করে সেই কথা প্রচার করে।তারা চায় এখানে সেখানে হোটেলের চিপা-চাপায় শর্ট জামাকাপড় আর হাতে একটা বিয়ারের বোতল নিয়ে লম্ফজম্ফ মারতে।
নারী স্বাধীনতার ফলে আজ নারীরা মাদকাসক্ত।এর একটি জলজ্যান্ত প্রমান হল,ঐশির হত্যাকান্ড।বিপুল আলোচিত এ ঘটনার কারন পিতা মাতা কতৃক সন্তানকে অধিক স্বাধীনতা প্রদান।
-স্বাধীনতা উপভোগ করতে নারী যায় নাইটক্লাবে,আর ধর্ষিত হয়ে বাড়ি ফেরে।সারারাত নাচ গান আমোদ ফুর্তি করে বাড়ি ফেরে,আর সেই লজ্জায় তার বাবা মা মুখ দেখাতে পারে না।
এই স্বাধীনতার কারনেই কোন নারীর নামের প্রথমে "পতিতা" কথাটি যুক্ত হয়।কোন নারীর মাদকাসক্ত হবার প্রধান কারন হিসাবে অবাধ স্বাধীনতার বিষয়টি সবার আগে আসে।ঐ পতিতা নারীর পতিতা হবার প্রধান কারন হল অবাধ স্বাধীনতা।হোটেল রেইডে যাদের পাওয়া যায়,তাদের এমন হবার প্রধান কারন হল অবাধ স্বাধীনতা।
-এভাবে হয়ত বলে শেষ করা যাবে না।স্বাধীনতার পারকিয়া উপভোগ করতে গিয়ে পুরো পরিবারটিই ধ্বংস হয়ে যায়।স্বাধীনতার ফলে গর্ভে জন্মানো সেই নিষ্পাপ শিশুটির ঠাই হয় ডাষ্টবিনে।
Nat Geo চ্যানেলে প্রায়ই একটা অনুষ্ঠান প্রচার হতো।"Taboo" নামে।সেখানে দেখা যেত নারীরা পুরুষের গলায় দড়ি বেধে কুকুরের মতন ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায়।তাদের সঙ্গে এমন আচরন করে,যা একটা কুকুরের সাথেও কেউ করে না।এমন ভাববেন না,যে তারা এগুলো এমনি এমনি করে....তাদের অধিকার আছে বলে তারা করে।
-আজ এই নিষিদ্ধ ও ভয়ংকর স্বাধীনতা উপভোগ না করলে হয়তো এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
-ইসলামে নারী অধিকার সম্পর্কে যে প্রশ্নটি সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত,তা হল যুদ্ধবন্দি নারী সম্পর্কে।কিন্তু ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকালে এই যুদ্ধবন্দী নারী বলতে শুধু ইহুদী গোত্র বনু কোরাইজা ও হুনাইনের যুদ্ধের পর কিছু যুদ্ধবন্দি নারীর নাম পাওয়া যাবে।সাহাবীরা জর্ডান,মিশর,ইরাক,ইরান......ইত্যাদির সঙ্গে অনেক বড়বড় যুদ্ধ করলো,কিন্তু আতশ কাচ দিয়ে পর্যবেক্ষন করেও সেখানের কোন নারী বা দাসীর নাম পাওয়া যাবে না।হুনাইন ও বনু কোরাইজার যুদ্ধের পর যে নারীরা মুসলমানদের কাছে হস্তগত হন,তাদেরকে আবার সাহাবীদের সঙ্গে মুতা বিবাহের মাধ্যমে মিলিত করা হয়।[পরবর্তীতে মুতা বিয়ে হারাম ঘোষনা করা হয়েছে]......
বিবাহেরও একটা কারন ছিল।ঐ নারীদের আত্বীয় স্বজনরা যুদ্ধে তাদের প্রাণ হারান।ফলে ঐ নারীরা হয়ে পড়েন অবলম্বনহীন।আবার কেউ কেউ হন অভিভাবক হারা।এই বিবাহের মাধ্যমে তাদেরকে জীবনকে নতুনভাবে সজ্জিত করা হয়।তাছাড়া যুদ্ধরত রাষ্ট্রের সাথে নতুনভাবে সম্পর্ক গঠনে এই পদক্ষেপটি ছিল পুরোপুরি পারফেক্ট একটি পদক্ষেপ।এর ফলে ঐ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে মুসলিমদের সম্পর্ক জোরালোভাবে গড়ে ওঠে।
আর বিয়ে তখনই হয়,যখন উভয়পক্ষের সম্মতি থাকে।এতে কোনরকমের ধর্ষন করার প্রমানও পাওয়া যায়নি।.....
-সবশেষে বলতে চাই,বোন.....সমঅধিকার আর ন্যায়বিচারের ভেতরে অনেক ফারাক।একজন নারী তার সন্তানের মা-বাবা উভয়ের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।কিন্তু একজন পুরুষের পক্ষে কোন সন্তানের মায়ের ভূমিকা পালন করা পুরোপুরি অসম্ভব।সৃষ্টিকর্তা কতই না সম্মানিত করেছেন আপনাদের।প্রতিটি সফল পুরুষের পেছনে একজন নারী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে।একজন নারী হয়তো কারোর মা বা বোন।
একজন সন্তানের কাছে তার মা ই তার শ্রেষ্ঠ সম্পদ।সেই মা হবার সক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দিয়েছে।কতই না সম্মানিত আপনি।......সমঅধিকারের ফল ধর্ষন,মাদকাসক্ততা,অশ্লীলতা,সংসার ভাঙ্গা,প্রিয় মানুষের সঙ্গে মনোমালিন্যতা,অসম্মান,পতিতাবৃত্তি ইত্যাদি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না।বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন........
- বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে একটা BMW এর পাশে একজন অর্ধউলঙ্গ নারী না হলে বিজ্ঞাপন জমে না।নিজেকে পন্য হতে দিবেন না।.....নিজেকে মনে করুন সুন্দর একটি গোলাপ ফুল,সেটি রক্ষা করতে হলে শক্তপোক্ত বেড়া তো দিতেই হবে।গোলাপ ফুল আর শাপলা ফুল এক নয়।গোলাপ ফুলে হালকা চাপ লাগলেই তার শোভা নষ্ট হয়ে যায়।কিন্তু শাপলা ফুল আবার এদিক থেকে বেশ শক্তপোক্ত।😉.......আপনার টোন হোক Equality নয়........Only...."Justice".-Tom Tom
============================================================
আফসোস নারী যখন পন্যঃ
বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম
বর্তমানে মিডিয়ায় মার্কেটিং এ মেয়েদের যেভাবে ব্যবহার করা হয় তা সত্যি লজ্জাজনক এবং মেয়েদের জন্য অপমানজনকও বটে । অনেকে হয়ত বলবেন এটা তো একটা শিল্প । যারা এর বিরোধিতা করে তারা সাম্প্রদায়িক এবং তারা মেয়েদের অধিকার এর বিরুদ্ধে । কিন্তু তবুও আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে যার উত্তর পায় না । প্রশ্ন গুলা হল -
১. কেবলমাত্র মেয়েদেরকে ছোট ড্রেস পরানো হয় কেন ? উদাহরনত বেশিরভাগ মুভিতে দেখা যায় নায়িকা বিকিনি পরিহিত অবস্থায় যৌন উদ্দীপক গানে নাচছে যাকে বলা হয় item song । কিন্তু কখনো কোন পুরুষ কে দেখি না আন্ডারওয়্যার পরা অবস্থায় কোন মুভিতে । কেন ?
২. মেয়েদের অনেক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা হয় । সেখানে তথাকথিত আধুনিক মেয়েরা বুক উচু করে বিশেষ ভঙ্গিতে হাটা হাটি করে (ক্যাটওয়াক) । আর কিছু পুরুষ বিচারক (১ জন নারীও থাকতে পারে) তার দেহের প্রশংসা করে, কোন ক্ষেত্রে আবেদন কম হয়েছে কোথায় তার মুভ ভালো হয়েছে ইত্যাদি বিশ্লেষন করে । এসব ক্ষেত্রে তারা hot, sexy ইত্যাদি complement দেয় । আর মেয়েগুলো তাতে খুশিতে আটখানা হয়ে sir sir বলে লুটিয়ে পড়ে । কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল ছেলেদের এমন কোন প্রতিযোগিতা হয় না । কারন কি ? পুরুষরা কি তাহলে শিল্পের বাইরে !
৩. অধিকাংশ মুভি হয় (৯৯%) পুরুষকেন্দ্রিক । সেখানে মেয়েদের অভিনয়ের চাইতে শরীর দেখানোয় প্রধান কাজ । কেন ?
৪. ক্রিকেট খেলায় বর্তমানে চিয়ারগার্লস ব্যবহার করা হয়।তারা অত্যন্ত ছোট পোশাক পরিহিত  অবস্থায় দর্শকদের মনরঞ্জন করে । কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ছেলেদের ব্যবহার করা হয় না কেন ? দুই একজন থাকলেও তারা ছোট ড্রেশ (আন্ডার অয়ের)পরে না কেন ?
৫. যেসব মেয়ে কালো এবং অসুন্দর তারা কেন মিডিয়ায় চান্স পায় না ? উদাহরনত আমি কোন কাল মেয়েকে (দুই একজন ব্যাতিক্রম থাকতে পারে) নায়িকা বা মডেল হতে দেখি না । ৯-১০ বছর আগে আগবানি দারেগা নামের এক কালো মেয়েকে বিশ্বসুন্দরী করা হয়েছিল । সে তো খুশিতে আটখানা।কিন্তু সাধারন  মানুষ  বুঝছে তার সাথে কি নিষ্ঠুর তামাশা করা হয়েছিল ? তাহলে কি মডেলিং বর্নবাদী নয় ? সুন্দরী প্রতিযোগিতা কি অসুন্দর মেয়েদের প্রতি অপমানজনক নয় ?
৬. শেভিং ক্রিম,ব্লেড, গাড়ি, মটরসাইকেল এমনকি ইশপগুলের ভূশির বিজ্ঞাপনে মেয়েদের নগ্ন ব্যবহার কি মেয়েদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে নাহ ?
৭. আবার যখন দেখি একটি বিশেষ পারফিউম ব্যবহার করার কারনে এক ছেলের পিছনে হাজার খানেক বিকিনি পরা মেয়ে ছুটাছুটি করে তখন আমার প্রশ্ন জাগে মেয়েরা কি এতই সস্তা ? তারা কি নিজেদের মর্যাদাও বোঝে নাহ ? ৫০০ টাকার পারফিউম একবার ব্যবহার করার কারনে ১০০০ বিকিনি পরা মেয়ে ??
৮. আবার অধিকাংশ মুভিতে দেখানো হয় নায়ক নায়িকাকে ইভ টিজিং করছে । পরবর্তিতে তাদের মাঝে প্রেম হয় । এভাবে কি তারা ইভ টিজিং কে উৎসাহিত করছে নাহ ? আবার তারাই হালকা সামাজিকতার লোভে ইভ টিজিং বিরোধি কনসার্ট করে , মানব বন্ধন করে ।
৯. মেয়েদের complement দেওয়া হয় hot , sexy আর ছেলেদের ক্ষেত্রে handsome, smart।এইরকম কেন?
*** এসব প্রশ্নের উত্তর আমার মতে যা তা এখন ব্যাখ্যা করতে চায়।হয়তোবা অনেকে একমত হবেন না কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার মতামত দিয়ে আমাকে বুঝতে সাহায্য করুন ।
টার্গেট ক্রেতা যখন ছেলেঃ
পন্যঃ সাধারন পন্য এবং কোন ক্ষেত্রে মেয়েরাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে পন্য ।
পন্য ক্রয়ে উত্তেজক নীতিঃ
প্রথমতঃ ছেলেরা সুন্দরী এবং স্বল্পবসনা মেয়ে পছন্দ করবে (যখন মেয়েরা নিজেরায় পন্য) ।
দ্বিতিয়তঃ পন্যটি ব্যবহার করলে আপনার দিকে মেয়েরা আকৃষ্ট হবে ।
তৃতীয়তঃ বিজ্ঞাপনে স্বল্পবসনা সুন্দরী মেয়ের ব্যবহার পন্যটির দিকে ছেলেদের আকৃষ্ট করবে ।
টার্গেট ক্রেতা যখন মেয়েঃ
পন্যঃ অধিকাংশ সাধারন এবং সাজসজ্জার পন্য
পন্য ক্রয়ে উত্তেজক নীতিঃ
প্রথমতঃ এই পন্যের ব্যবহার আপনার দিকে ছেলেদের আকৃষ্ট করবে ।
দ্বিতিয়তঃ আপনি বিখ্যাত এবং তারকা হতে পারবেন।আপনার পায়ের নিচে থাকবে পৃথিবী এবং পিছনে থাকবে ছেলেদের লাইন ।
*** এবার আসুন এই নীতির আলোকে উপরের প্রশ্নগুলার উত্তর দেওযার চেষ্টা করি-
১.উত্তরঃ এক্ষেত্রে মেয়েরা পরোক্ষ পন্য।বিকিনি পরা মেয়ে নাচলে মুভির কাটতি বাড়বে।পক্ষান্তরে আন্ডারওয়ার পরা ছেলে নাচলে মুভির কাটতি বাড়বে না বরং কমে যেতে পারে ।
২.উত্তরঃ এক্ষেত্রেও মেয়েরা পন্য।উদাহরনতঃ আমরা lux channel I superstar এর কথা আলোচনা করতে পারিঃ
--এই অনুষ্ঠানে সারাবছর লাক্স তার বিজ্ঞাপনি প্রচারনা চালায়।কারন সব ছেলেরা সেক্সি মেয়ে দেখার জন্য এই অনুষ্ঠান দেখে।আর মেয়েরা দেখে কিভাবে সুন্দরি সেক্সি হওয়া যায় তা শেখার জন্য।
--এটাকে কেন্দ্র করে মোবাইল কোম্পানি গুলা তাদের এসএমএস ব্যাবসা করে।আপনি খরচ করেন ২ টাকা।কিন্তু তারা আয় করে ৫০ লক্ষ*২ = ১ কোটি টাকা , প্রতি পর্বে।
--চ্যানেল আই তার কাটতি বাড়ায় এবং স্পন্সরসিপ বাবদ মোটা টাকা ইনকাম করে।
**ছেলেদের লাভঃ তারা কিছু নতুন সুন্দরী মেয়ে এবং তাদের আবেদন্ময় চালচলন দেখে মজা পায়।
**মেয়েদের লাভঃ তিন চার জন হয় তারকা (!!) আর বাকিরা হয় ঈর্ষান্বিত আর মনে মনে চিন্তা করে আমরাও যদি হতে পারতাম।এই চিন্তা তাদের আরও খোলামেলা করে ভবিষ্যতে চান্স পাবার জন্য।আর সেক্সি হবার কিছু কৌশল শেখা হয়।
৩.উত্তরঃ ছেলেদের উত্তেজক নীতি ১- ছেলেরা সুন্দরী এবং স্বল্পবসনা মেয়ে পছন্দ করবে(যখন মেয়েরা নিজেরায় পরোক্ষ পন্য)
৪. কারন ক্রিকেট খেলায় মাঠের দর্শক ৯৯% ছেলে।বিকিনি পরা মেয়েই তো নাচাতে হবে তাহলে টিকিটের দামও বাড়ানো যাবে।আর ছেলে নাচালে তো মাঠ থেকে দর্শক পালিয়ে যাবে।
৫.উত্তরঃ কালো , অসুন্দর মেয়ে ছি...... ।এখানেও মেয়েরা পন্য।ছেলেরা ক্রেতা।বিক্রেতা চায় ক্রেতাকে সন্তুষ্ট করতে।ভালো পন্য দিতে।
৬.উত্তরঃ ছেলেদের উত্তেজক নীতি ৩- বিজ্ঞাপনে স্বল্পবসনা সুন্দরী মেয়ের ব্যবহার পন্যটির দিকে ছেলেদের আকৃষ্ট করবে।
৭.উত্তরঃ ছেলেদের উত্তেজক নীতি ২- পন্যটি ব্যবহার করলে আপনার দিকে মেয়েরা আকৃষ্ট হবে।
৮.উত্তরঃ কারন সামাজিকতা।লোকজনের কোম্পানির প্রতি দুর্বলতা তৈরী হবে।লোকে মনে করবে আহারে মেয়েদের জন্য তারা কত কি করছে।
৯.উত্তরঃ এখানে মেয়েদের উত্তেজনা দেওয়া হয় যে হট আর সেক্সি হওয়ায় তোমার আসল সাফল্য।কারন এতে তাদের hot এবং sexy করার জন্য বিভিন্ন পন্য বিক্রিতে সুবিধা হবে।সোজা কথায় তাদের গাধা বানানো আরকি।
আর যেসব ছেলে যত বেশি উল্লেখিত গাধার নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাতে পারবে তাদের অযথা প্রশংশা করে তাদের ব্যবহার করতে পারবে তারা তত smart and handsome ।
পরিশেষে বলি কিছুদিন আগে এক বন্ধুর মোবাইলে একটি ভিডিও দেখলাম।সেখানে প্রযোযক একটি মেয়ের নগ্ন দেহ উপোভোগের ভিডিও করে এবং তার সম্মতিতে।মেয়েটা প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে রাজি হয় মডেল হবার স্বার্থে।মেয়েটা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলল স্যার আপনি কিন্তু আমার ক্যারিয়ার টা দেখবেন।স্যার উত্তর দিল আরে বোকা তুমি এটা নিয়ে চিন্তা কর নাহ।
এই ভিডিও দেখে আমি দুই রাত ঘুমাইতে পারি নি।আমাদের মা বোনেরা কি এতই বোকা ?এতই হালকা ? এতই স্বস্তা?
তারা কি বোঝে না পুজিবাদীরা তাদের কেবল পন্য বা পন্যের উত্তেজক হিসাবে ব্যবহার করে শিল্পের নামে, অনেক ভালো ভালো কথা শুনিয়ে?তার কি বোঝে না কোথায় তাদের সম্মান? কোথায় তাদের অধিকার?কোথায় তাদের স্বাধীনতা?
দ্রষ্টব্যঃ আমি এখানে কোন মেয়ের বিরূদ্ধে কথা বলি নি।আমি এজন্য মেয়েদের দোষি করি নি। তারা তো কেবল মাত্র পুজিবাদীদের শিকার।পুজিবাদিরা ছেলেদের ভোগে উৎসাহিত করার জন্য নগ্ন ভাবে মেয়েদের ব্যবহার করে। যারা ব্যাবহার করে তারা অধিকাংশই ছেলে।দোষি তো আমাদের পুজিবাদী ব্যাবস্থা - যেখানে নৈতিকতার ন্যূনতম মুল্য নাই, যেখানে মুনাফা অর্জন করায় প্রধান,যেখানে পুজি জমা করায় প্রধান উদ্দেশ্য- তা আমাদের মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়েও হোক না কেন?আর আমরা স্বস্তা খ্যাতি আর টাকার লোভে আমাদের মা,বোন,বউ দের তাদের হাতে তুলে দিই।আবার কখনো নিজেরা অন্যের মা, বোন,বউ কে বুবহার করি।এই লজ্জা তো আগে আমাদের তারপর মেয়েদের!!
=================================
আপনারাও প্রশ্ন করতে পারেন
১/ মেয়েরা কখন স্বাধীন হতে পারে না । কুমারি
বয়সে বাবার দ্বারা যৌবনে স্বামীর দ্বারা আর বৃদ্ধ
বয়সে ছেলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে আর
ধর্ম বলে রক্ষা হয়ে থাকে । প্রকিত পক্ষে এটা
রক্ষা নয় পরাধীন ।এই বিসয়ে মুসলিমদের যৌক্তিক
মতামত কামনা করছি"?
জবাব : নারী কারো দাইত্তে থাকা মানে এই নয় যে সে পরাধিন। ধরুন আমার ছেলে আমার অধিনে তার মানে কি পরাধিন? না কারোন সেই ছেলে অধিনে থেকে সে সাধিন। মাঝখান থেকে পুরুষ তার দেখাশোনা করবে। আর নারী তার নিজস্ব অবাস্থান উন্নত করবে এবার বলুন অধিনে থাকা কি পরাধিন? আরেকটি বিষয় ছেলের কাছে ব্রিদ্ধ বয়সে মহিলারা অধিনে থাকে। তার মানে কি ছেলের কাছে কেও পরাধিন? খুবি হাস্যকার!!!
২/ কোরান শরিফ যদি হযরত ওসমান (রা) সংকলন করে
থাকেন তাও আবার নবী (সা) এর ২০ বছর পর
তাহলে বুঝান কেমনে লউহে মাহফুজে সংরক্ষিত
কোরান শরিফ এর সুরা গুলো কেমনে সাজানো ?
নাকি সাজানো ভাবেই কোরান নাজিল হয়েছে?
নবী (সা) তো কোরান সংকলনের ব্যাপারে কিছু
বলে যায়নি ! তাহলে এটার সিরিয়াল বুঝল কেমনে ,
নাকি এটার সিরিয়াল ওসমান (রা) দিয়েছেন ? এর যৌক্তিক
জবাব কি ?
জবাব : জিনি প্রশ্ন করেছেন যে কুরান সর্ব প্রথম উসমান রা: লিখেছেন এটা তার ভুল ধারনা।শুধু তিনি একত্র করেছেন। আর তারতিব আকারে বিভিন্ন লেখক( কাতেবে ওহি) এর মাধ্যমে রাসুল নিজেই তারতিব দিয়ে সাহাবাদের লিখতে বলেছেন রাসুলের জামানায়। আবুদাউদ শরিফে এই বিষয়ে হাদিস এসেছে সয়ং রাসুল নিজেই তারতিব দিয়েছেন। এবং রাসুলের জামানায় অনেক কাতেবে ওহি ছিলো যারা তারতিব আকারে বিভিন্ন যায়গায় লিখে রেখেছে। উসমান রা: শুধু বিভিন্ন যায়গার লেখা একত্রিত করেছেন। সব চেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে কুরান হাফেজ দের মাধ্যমে সংরক্ষন করেছেন। আল্লামা বদরুদ্দিন আইনি রহ: বলেন রাসুলের জামানায় কাতেবে ওহি( লেখক) ৪০ জন ছিলো।তাফসিরে জালালাইনে ৩২ জন এর নাম লিখেছেন প্রথম খন্ড ৭০ পৃষ্ঠা।
তাই প্রশ্ন কারির ভুল ধারনা হচ্ছে যে তারতিব দিয়েছে উসমান রা:।
৫/ পাপিরা তউবা করলে বা হজ করলে পাপমুক্ত হয় ।
কেউ খুন করে তউবা বা হজ করে ফেললে তার
প্রকিত বিচার কি হবে ইসলামি রাষ্ট্রে? যাকে আল্লাহ
মাফ করে দিয়েছেন তাকে বান্দা কেন সাজা দিবে
দিলেও সেটা কোন যুক্তিতে?
জবাব : এই উত্তর জানতে হলে দুইটা জিনিষ জানা জরুরী (ক):আল্লার হক( হুকুকুল্লাহ) (খ): বান্দার হক ( হুকু কুল ইবাদ) সুতরাং তাওবা করার দারা আল্লাহ মাফ করলেও আল্লার কাছে মাফ হবে। কিন্তু যেই বান্দার ক্ষতি হলো তার হক হিসেবে সে মাফ না করলে মাফ হবে না। তাই বান্দা যদি মাফ করে তাইলে ইসলামি রাষ্ট্রিয় আইন তাকে হত্যা করবে না।
লিখনে : রুহুল আমিন শিরাজি।
=======================================
কানাডায় প্রতি সপ্তাহে একদম উলঙ্গ হয়ে একজন নারী হাজারো পুরুষের সামনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকে। আর পুরুষেরা তার যৌবনের প্রশংসা করে।এতে সে অনেক ডলার আয় করে। দাড়ি শেইভ করার ক্রিমের বিঙ্গাপনে এখন নারীকে ব্যবহার করা হয়। যে কোন প্রোগ্রামের উদ্বোধনীতেও অশ্লিল ভঙ্গিমায় কিছু ভাড়াটে নারী তাদের যৌনতা দেখায়!
এবার আপনি বলুন???
এগুলোতে কি নারির সম্মান বৃদ্ধি পাচ্ছে??? আইয়ামে জাহিলিয়্যাতে নারীদের দুই পা'কে দুটি ঘোড়ার বেঁধে দুইদিকে ছেড়ে দেয়া হতো।আর নারীর দেহটি দ্বিখন্ডিত হয়ে যেত মূহুর্তেই,কোন কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তাকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো।।
ইহুদী ধর্মঃ-নারিদের গুনের চেয়ে পুরুষদের দোষও ভালো।
খ্রিষ্টান ধর্মঃ-নারীরা নরকের দ্বার।
বৌদ্ধ ধর্মঃ-সকল পাপের মূলে নারি।
হিন্দু ধর্মঃ-নারীদের কোন উওরাধিকার নেই।
গ্রীস ধর্মঃ-নারীরা শয়তানের প্রতিভূ।
ইসলাম ধর্মঃ-মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।
মা, মেয়ে, ওয়াইফের মর্যাদা ইসলাম দিয়েছে তোমাদের। সম্পদে বা অন্য কোনো বেপারে নারিদের বিন্দুমাএ অধিকার ছিলনা।কিন্তু রাসূল (সাঃ) তাদের পদতলে জান্নাতের টিকেট দিয়েছেন।বিবাহের জন্য মোহর বাধ্যতা মূলক করেছেন।পিতার চেয়ে মাতার অধিকার তিন গুন বাড়িয়েছেন। সম্পদে তাদের ভাগ দিয়েছেন।এখনো হিন্দু ধর্মে নারীদের কোন সম্পদের অধিকার নেই।তবুও ইসলামে নাকি নারীদের অধিকার নেই।হে নারি তুমি তোমার অধিকার জেনে নাও।
জেনে রাখ, পর্দাতেই তোমার সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে।
অশ্লীল দেহ প্রদর্শনীতে নয়। তোমার ইজ্জত-আভ্রুর হেফাজত করার দায়িত্ব তোমারই।।
==============================================
ভাই! আপনার বোনের ইজ্জত বাঁচান!!..
আপনার বোনের সতীত্ব নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে হিন্দুরা। হে মুসলিম ভাই! আপনার বোনকে মালাউন হিন্দু ছেলেরা ইচ্ছামত ভোগ করবে আপনি কি তা মেনে নিতে পারবেন?????
আপনার বোনের ইজ্জত লুন্ঠনের ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত হয়েগিয়েছে! পড়ুন!.
ষড়যন্ত্রকারীদের ভাবনাঃ বর্তমানের মুসলিম যুবতি মেয়েরা, মুসলিমদের পরবর্তি প্রজন্মের জন্ম দেবে! কিন্তু আমরা একেরপর এক এমন ষড়যন্ত্র করতে থাকবো যে, ঐ সব মুসলিম মেয়েদের পেটে মুসলিম সন্তান হবেনা বরং হিন্দু ছেলেরা ঐ সব মুসলিম মেয়েদের গর্ভে হিন্দু সন্তান জন্ম দেবে!
আর এটা অসম্ভব নয়! কারণ আমরা জানি, বর্তমান আধুনিক যুগের যেকোন ধর্মের যুবতি মেয়েরাই প্রেম-ভালবাসার প্রতি দূর্বল! আর বর্তমান সাড়া বিশ্বের সংস্কৃতিকে কন্ট্রোল করে মিডিয়া আর বিশ্বের বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের মেয়েদের আচার-ব্যবহার কৃয়া-কর্ম শিক্ষা দেয়!
হলিউড বলিউড আর FDC এর সিনেমার নায়িকারা! বর্তমানের মেয়েরা নিজের অজান্তেই সিনেমার নায়িকাদের আদর্শ বা মডেল হিসাবে বেছে নিয়েছে, তাই আমাদের প্লাণ হল এখন থেকে হিন্দু ছেলের সাথে মুসলিম মেয়ের প্রেমকাহিনী নিয়ে ফিল্ম তৈরী করে প্রচার করতে হবে! ফলে মুসলিম মেয়েরা এ সব ফিল্ম দেখে দেখে হিন্দু ছেলেদের বিয়ে করা যে মারাত্বক পাপ তা ভুলে যাবে! তারা এটা এভেলেভেল মনে করবে! আর এভাবেই মুসলিম জাতি তৈরীর কারখানায় আঘাত করতে হবে! মুসলিম নারীদের চরিত্র নষ্ট করে দুশ্চরিত্রা বানাতে হবে!
এটা একটি নিউ ওয়াল্ড ওয়ার্ডার! তথা আমাদের খোদা দাজ্জালের নতুন বিশ্ব তৈরীর কাজ সমূহের মধ্যে একটি কাজ! প্রিয় বন্ধু তুমি ঘুমাচ্ছ!....
আর ওদিকে মালাউন হিন্দুর বাচ্চারা তোমার মুসলিম বোনদের পেটে সন্তান জন্ম দেয়ার সকল প্লাণ করে কাজ শুরু করে দিয়েছে! গন্ডায় গন্ডায় তৈরী করছে হিন্দু ছেলের সাথে মুসলিম মেয়ের প্রেমকাহিনী সম্বলিত চলচিত্র!
শুনলে তোমার মাথায় আগুন ধরে যাবে, যে, এ ধরনের ইসলাম ও মুসলিম বিধ্বংষি ফিল্ম এখন শুধু ভারতই তৈরী করছেনা বরং আমাদের টাকায় আমাদের দেশেই তৈরী করাচ্ছে ভারতেরর কমান্ডে "পবিত্র প্রেম" নামে এমনই একটি ফিল্ম তৈরী হচ্ছে বাংলাদেশে সেখানে দেখানো হবে একজন পর্দানশিন নামাজি মেয়ে কি ভাবে হিন্দু ছেলেকে ভালবেসে হিন্দু হয়ে যাবে, শুধু তাই নয় এ ফিল্মে যে মুসলিমরা মেয়েটির হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করার বিরোধিতা করবে, তাদের দেখানো হবে বর্বর মূর্খ অজ্ঞ এবং খল চরিত্রে অপর দিকে মুসলিম মেয়েটির হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করে হিন্দু হয়ে যাওয়া কে তুলে ধরা হবে মহৎ কাজ আর উদারতা হিসাবে!
এ ভাবেই আপনার আমার মুসলিম বোনদের চরিত্র ধ্বংশ করে হিন্দু ছেলেদের ভোগের বস্তু বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে!........ প্রিয় বন্ধু তুমি কি এখনো ঘুমিয়ে থাকবে............? হে সিংহ-সার্দূল মুসলিম যুবক? ঘুম থেকে জাগার সময় কি তোমার এখনও হয়নি.......?????
ইমানি দায়িত্বে পোষ্ট টি কপি বা সেয়ার করে প্রচার করুণ! মুসলিম যুবক যুবতীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করুন! "পবিত্র প্রেম" নামক নাপাক ফিল্মের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলুন!!!
===========================================
নাস্তিকদের প্রশ্ন নারীরা কেন
বেশী জাহান্নামে যাবে; এর মাধ্যমে কি তাদের
বঞ্চিত করা হয় নি?
ইনশাআল্লহ উক্ত বিষয়ের যুক্তি খন্ডন করব।তার
আগে জেনে নি, কারা জান্নাতে যাবে?
"(আর হে নবী) যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে,
আপনি তাদেরকে এমন জান্নাতের সুসংবাদ দিন, যার
পাদদেস নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। (২:২২৫)
--এখানে কিন্তু নারী পুরুষ আলাদা করা হয় নি।
আরেকটি আয়াত দেখিঃ
"অবশ্যই মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী,মুমিন পুরুষ ও মুমিন
নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও
সত্যবাদী নারী,ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল
নারী,বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও
দানশীল নারী,রোযা পালনকারী পুরুষ ও
রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী পুরুষ
ও যৌনাঙ্গ হেফাযতারী নারী, আল্লহকে অধিক
স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী- এদের জন্য
আল্লহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান।"(৩৩:৩৫)
--এ আয়াতের পর অভিযোগটা শিথিল হয়ে যায়।
কিভাবে সমতা বিধান করলেন মহান আল্লহ!
জান্নাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভেদাভেদ
রাখা হয় নি। ঈমানদার, মুমিন হোক
সে নারী কিংবা পুরুষ তার জন্য রয়েছে জান্নাত।
--এবার তাদের অভিযোগ আনা হাদিস
নিম্নে দেওয়া হলোঃ-
ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্নিত নবী (সাঃ) বলেছেন,"
আমি জান্নাতের প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখলাম তার
অধিকাংশ অধিবাসী ফকীর আর জাহান্নামের
প্রতি দৃষ্টি করে দেখলাম তার অধিকাংশ
অধিবাসী মহিলা।(তিরমিযী)
~~এখানে একটা লক্ষনীয় বিষয়, হাদিসটিতে কিন্তু
বলা হয় নি যে, পুরুষরা বেশি জান্নাতে যাবে?
বরং ফকির অর্থ্যাৎ গরীবরা বেশি যাবে।
তাহলে কি আপনি বলবেন, আল্লহ ধনীদের বঞ্চিত
করেছে?
::ধরুন বাংলাদেশের এস.এস.সি. ২০১৫ সালের রেজাল্ট
হলো ২৫% পাশ এবং ৭৫% ফেল।
তাহলে কি আপনি বলবেন,বাংলাদেশ সরকার ঐ ৭৫%
ছাত্রের সাথে ইনসাফ করেন নি? নিশ্চয় এমন কথা বলবেন
না।বরং বলবেন, ঐ ছাত্ররা পাশ মার্কস অর্জন
করতে পারে নি,তাই ফেল করেছে।ঠিক
তেমনি অধিকাংশ মহিলারা পরকালের সম্বল
অর্জনে ব্যর্থ হবে,তারা আল্লহর নিষেধ করা কিছু গর্হিত
পাপ করবেন যার জন্য তারা অধিকাংশ
জাহান্নামে যাবে।
// মহানবী (সাঃ) কে একজন মহিলা এই একই প্রশ্ন
করেছিল,তিনি তখন বলেন," তোমরা স্বামীদের
প্রতি বেশি বেশি অকৃতজ্ঞ হও এবং লানত (অভিসম্পাত)
বেশি বেশি করে কর।(বোখারী)
এখানে মহিলারা তাদের এ ত্রুটির
কারনে জাহান্নামে বেশি যাবে বলে উল্লেখ
করেছেন।তিনি এখানে না ইনসাফি কিছু বলেন নি।
তারা যদি এ ত্রুটি বাদ দিতে পারে হয়তো ইনশা আল্লহ
তারা জান্নাতে যাবে।যেমন- বলা হয়েছে যে,
যারা সুদ খায় তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
তাহলে কি আপনি বলবেন, আল্লহ সুদখোরদের
সাথে ইনসাফ করেন নি? নাকি সুদ খাওয়া ছিল তার
নিজের দোষ এবং সে তার নিজের দোষের কারনেই
জাহান্নামে যাবে।বরং আল্লহ তাকে জাহান্নাম
থেকে বাঁচার জন্য সুদকে হারাম করেছেন,কিন্তু
সে তা অমান্য করে জাহান্নামী হবে এটাই
তো স্বাভাবিক,তাই না? //
তারপরও নবী (সাঃ) মহিলাদের অধিক পরিমাণে দান
করতে বলেছেন, যাতে তারা জাহান্নামী না হয়।
নারী তার স্বামীর অকৃতজ্ঞ হবে এবং অভিসম্পাদ
করে তাই তারা বেশি জাহান্নামে যাবে।Anthony
Trollop স্ত্রীর তার স্বামীর প্রতি এ গুণকে সমর্থন
করে বলেন,"Of all hatreds that the world produces,a wife's hatred for
her husband,when she does hate him,is the strongest."
নারীরা যেমন জাহান্নামে বেশি যাবে,তেমন
তাদের জান্নাতে যাওয়ার পথও অনেক সহজ।নারীদের
জন্য জিহাদ হচ্ছে হজ্জ।
তাছাড়া যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, ছিয়াম
পালন করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে,সে জান্নাতের
যেকোন দরজা দিয়ে ইচছা প্রবেশ করতে পারবে।
(মুসনাদে আহমদ,ইবনু হিব্বান; সনদ সহীহ)
তাছাড়া নারীদের জাহান্নামে বেশি যাওয়ার
একটি যৌক্তিক কারণ রয়েছে।কারণটি হচ্ছে নারীর
আধিক্য।নারী পুরুষের চেয়ে বেশি বাঁচে,নারী পুরুষের
জন্মহার প্রায় সমান এবং নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার
অনেক বেশি।তাছাড়া অনেক যৌক্তিক কারণ
আছে যা ভবিষ্যত্ব নারীর সংখ্যা বৃদ্ধির এক সম্ভাবনার
ইঙ্গিত দেয়।এমন একটি হাদিসও রয়েছেঃ
নবী (সাঃ) বলেছেন- " কিয়ামতের আলামত হচ্ছে,
মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের
সংখ্যা কমে যাবে।এমনকি পঞ্চাশ জন মহিলার
বিপরীতে একজন পুরুষ থাকবে।(বুখারী)
---এখন চলুন একটা হিসাবে যাই।সহীহ মুসলিম
থেকে আমরা জানতে পারি যে, প্রতি ১০০০ জনে একজন
জান্নাতে যাবে, যদিও হাদিসটি ইয়াজুজ মাজুজের
ক্ষেত্রে,তবে আমরা একটা হিসাবের জন্য তথ্যটি ব্যবহার
করতে পারি।
-- ধরুন প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে ১ পুরুষ
বেহেশতে যাবে এবং ১০০০ জন নারীর মধ্যে ১ জন
বেহেশতে যাবে।
এখন নারী-পুরুষের জান্নাতে যাওয়ার অনুপাত=১ : ১।
এবং উপরের হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে ১
জন পুরুষের বিপরীতে নারী ৫০ জন।অর্থ্যাৎ ১,০০০ জন
পুরুষের বিপরীতে ৫০,০০০ জন নারী।তাহলে ১০০০ জন
পুরুষে জাহান্নামে যাবে (১০০০-১)= ৯৯৯জন
এবং বিপরীতে নারী জাহান্নামে যাবে (৫০০০০-৫০)=
৪৯,৯৫০ জন।নারী পুরুষের জাহান্নামে যাওয়ার
অনুপাত=৫০ : ১। তাহলে দেখুন নারীর আধিক্যও কিন্তু
নারীদের জাহান্নামে বেশি যাবার কারণ।মহান
আল্লহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল।নিশ্চয় তিনি মুমিন নারীদের
জান্নাতের সুশীতল ছায়ায় স্থান দিবেন।
======================================================
অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া পূর্ণিমাকে যখন ধর্ষণ করা হচ্ছিল, এত মানুষ দেখে পূর্নিমার মা ধর্ষকদের বলছিলো "বাবারা,আমার মেয়েটা ছোট তোমরা একজন একজন করে এসো, ও মরে যাবে।
✪ ✪ ✪   আমাকে একফোটা পানি দাও,তাকে বলা হল পানির বদলে শরীরের ঘাঁম খা... ( মৃত্যু পথযাত্রী সিলেটের রাজন)
✪ ✪ ✪   আমি বাঁচতে চাই, আমি বাঁচতে চাই যে-ভাবেই হোক আমাকে বাঁচাও। আমার দুধের সন্তানটার কি হবে??(রাজনীতির আগুনে দগ্ধা হয়ে এভাবেই বাঁচার আকুতি চিৎকার করে জানিয়েছিলেন মৃত্যু পথযাত্রী গার্মেন্টস শ্রমিক শায়লা।)
✪ ✪ ✪  আমার সন্তান কে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও!! আমি আর কখনো আসবোনা। তোমাদের পায়ে ধরি আমাকে ছেড়ে দাও..... (অজ্ঞান হওয়ার আগ পর্যন্ত হায়েনাদের পায়ে ধরে এভাবেই আকুতি জানিয়েছিল পহেলা বৈশাখে টিএসসির মোড়ে লাঞ্চিত বোনটি।)
✪ ✪ ✪  ওরা আমাকে দুদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষন করেছিল। হাতে ধরেছি পায়ে ধরেছি কিন্তু আমাকে তারা ছাড়েনি। বারবার আমি জ্ঞান হারেয়েছি... (বুক ভরা হাহাকার নিয়ে কেঁদে কেঁদে নালিশ করছিলো মেডিকেল কলেজে পড়তে আসা কাশ্মীরের ধর্ষিতা বোনটি।)
✪ ✪ ✪   অসভ্য ভারতীয়দের কাঁটাতারে দুদিন ধরে ঝুলেছিল আমার বোন "ফেলানী"। ( তাঁর আত্মচিৎকার এই অসভ্য মানবতার দুয়ারে কষাঘাত করেনি...)
✪ ✪ ✪   আমাদেরকে জোর করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হলো। এ অর্থ লিপ্সু মালিকদের ঘৃণ্য রাজনীতির বলি হলাম আমরা.... (রানা প্লাজার শ্রমিকরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবেই চিৎকার করেছিল।)
↼ ↼ ↼ ↼ ↼
না ভাই আমি আপনাকে আইয়ামে জাহিলিয়তের কোন রগ রগা কাহিনী বলতেছিনা। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের বর্ণনা অনুযায়ী মধ্যযুগীয় কোন বর্বরতার কথা বলছিনা। বলছি এ সভ্য দুনিয়ার কথা...বলছি এ বাংলাদেশের কথা...বলছি আমার মায়ের হাহাকার,বলছি আমার বোনের আত্মচিৎকার এর কথা....আমি আমার বোনের ইজ্জতের নিরাপত্তা চাই....আমি গনতন্ত্র বুঝিনা রাজতন্ত্র বুঝিনা আমি আমার মায়ের ইজ্জতের প্রতিশোধ চাই.....।
আমি একদল তরুন চাই যারা আমার বোনের দিকে লালায়িত জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলবে.....যারা আমার বোনের দিকে তাকিয়ে থাকা চক্ষু উপড়ে ফেলবে...যারা আমার বোনের ধর্ষন কারীদেরকে জীবন্ত কবর দিবে.......
লেখাটি পড়ে যদি আপনার মুষ্টিবদ্ধ হাত প্রতিবাদি হয়ে আকাশ পানে উঠে তবে আমি সার্থক।।।
================================================================


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.