পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ মুসলিমরা; সবচেয়ে অসুখী নাস্তিকরা! = জার্মান গবেষণা
পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ মুসলিমরা; সবচেয়ে অসুখী নাস্তিকরা!
জার্মান গবেষণা
ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৯, ১১:৫৮ এএম
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী কে? জার্মানির ম্যান হেইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, মুসলিমরাই এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী! নিজেদের জীবন নিয়ে তাঁরাই সবচেয়ে বেশী সন্তুষ্ট। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মুসলিমদের একেশ্বরবাদে বা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস। তাই মুসলিমরাই এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সুখী।
৬৭৫৬২ জনের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যেখানে দেখা গেছে মুসলিমরাই একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী। তাই তারাই সবচেয়ে বেশী সুখী। তালিকায় ঠিক তার পরেই আছে খ্রিস্টানরা। এরপর রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। তারপর রয়েছে হিন্দুরা। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, যাঁরা নাস্তিক। তারাই পৃথিবীতে সবচেয়ে অসুখী।
সমীক্ষা বলেছে, আল্লাহ এক ও একমাত্র। সেখানে আরও বলা হয়েছে, একেশ্বরবাদ মস্তিষ্ক ও শরীরের উপর প্রভাব বিস্তার করে। হতাশা, উদ্বেগ মুসলিমদের বড় একটা গ্রাস করে না। মানু্ষের প্রতি সহানুভূতি নাকি মুসলিমদের অনেক বেশি। সেকারণেই নাকি মুসলিমদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কম। সূত্র : ভারতীয় দৈনিক আজকাল
ধর্ম ও দর্শন বলিউডের রঙীন, চকচকে জীবন ছেড়ে ইসলাম প্রচারক কাশ্মীরি তরুণী
মেয়েটি চেয়েছিল বলিউডের নায়িকা হতে। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখত সিনেমায় অভিনয় করার। মুরসিলিন পীরজাদা নামের এই মেয়েটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে এসে অনেক পরিচালকের কাছ থেকে সিনেমায় অভিনয় করার প্রস্তাব পায়।
কিন্তু তার কাশ্মীরি মুসলিম পরিবার জানায়, ইয়াশ রাজ ফিল্মের পরিচালিত সিনেমা ব্যতীত অন্য কোনো সিনেমায় অভিনয় করা যাবে না।দুই বছর পর, সেই ২৩ বছরের মেয়েটি এখন আর বলিউড অভিনেত্রী হতে চান না।
তিনি এখন চান একজন ধর্মপ্রচারক হতে। ইয়াসমিন মুজাহিদ নামের এক মিসরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ধর্মপ্রচারক, যিনি ইসলাম নিয়ে লেখেন ও বক্তৃতা দেন তার মতো হতে। পীরজাদার জীবনে এখন আরো অনেক পরিবর্তন এসেছে। তিনি তার পশ্চিমা জৌলুসপূর্ণ জীবনযাপন পরিত্যাগ করেছে। একসময় যিনি দামী পোশাক ও জিন্স খুব আগ্রহের সাথে পরতেন, এখন একখানা কালো বোরখা পরিধান করেন।
সামাজিক গণমাধ্যমে তার প্রোফাইল পিকচারে এখন তাকে একখানা বোরখা দ্বারা আবৃত অবস্থায় দেখা যায়। পীরজাদা এখন ডা. জাকির নায়েক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান আইআরএফ-এর বক্তা।মুম্বাইতে তিনি জনসাধারণের উদ্দেশে ইসলাম সম্বন্ধে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। তার শেষ বক্তৃতা শ্রীনগরে একটি মহিলা কনফারেন্সে ছিল।
কিন্তু কী এমন ঘটল যে পীরজাদার জীবনযাপনে এমন পরিবর্তন? এর উত্তরে পীরজাদা বলল, “এই পরিবর্তনটা শুরু হয়েছিল বলিউডের মাধ্যমে। আমার বাবা ফিরোজ পীরজাদা ধনাঢ্য ব্যবসায়ী যিনি ইয়াশ চোপড়াকে বিগত তিন দশক ধরে চেনেন। ২০১২ সালে বাবা আমাকে ইয়াশ চোপড়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।
ইয়াশ চোপড়া আমাকে তার সিনেমায় সহকারি পরিচালক পদে কাজ করার প্রস্তাব দেন।” পীরজাদার ভাষায় ঐটাই তার অভিনেত্রী হওয়ার পথে প্রথম পদক্ষেপ ছিল। সে বরাবরই অভিনয়ের প্রতি দুর্বল ছিল। তারপর তিনি ইয়াশ রাজ চলচিত্রের অন্য একটি সিনেমার কস্টিউম সহকারী পরিচালক পদে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন।
যেহেতু তারা নতুন মুখদের সিনেমায় নিতে আগ্রহী সেহেতু পীরজাদাকে স্ক্রীন টেস্ট দিতে বলে। পীরজাদা বলল, “আমি সালোয়ার কামিজ পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। হঠাৎ আমি কেমন যেন শারীরিক ও মানসিকভাবে অরক্ষিত বোধ করলাম।’’ সাথে সাথে তিনি বলেন যে এসব তাকে দিয়ে সম্ভব না। কিছুদিন চিন্তা করার পর তিনি ভাবলেন, অভিনয়শিল্পীরা সবসময় খুবই খোলামেলা পোশাক পরে।
তারপর তিনি ইয়াশ চোপড়ার ছেলে আদিত্য চোপড়াকে টেক্সট করে জানিয়ে দিল যে, “তিনি আর অভিনয় করবেন না এবং সহকারী পরিচালক পদেও কাজ করবেন না। এটা খুবই কঠিন কাজ তার জন্য।’’ তারপর পীরজাদা এক কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং মানিশ মালহোত্রা’র সাথে কাজ করা শুরু করেন। অক্টোবর ২০১২ এর দিকে ইয়াশ চোপড়া মারা যান। পীরজাদা বলেন, “আমার নিকট তিনি একজন শিক্ষকের মতো ছিলেন।
তার মৃত্যুতে আমি যেন একটি বিরাট অবলম্বন হারিয়ে ফেললাম। মৃত্যুর চিন্তায় আমি যেন কেমন কেঁপে উঠলাম। নাচ, গান, বিনোদনের ঊর্ধ্বে জীবনে আসলে কী আছে এই সম্পর্কে আমি ভাবতে থাকলাম।” পীরজাদা মালহোত্রার সাথে কাজ করা বন্ধ করে দিল। তিন চার মাস ধরে শুধু বাসায়ই ছিল। ঐ সময় তিনি খুবই বিষাদগ্রস্ত ছিলো। তার সব বন্ধু ঐ সময়ে সিনেমা জগতে পাড়ি জমাচ্ছিল। আর সেখানে তিনি সকল প্রকার সুযোগ ছেড়ে দিলেন।’’
সে সময় তাদের বাসায় থাকা কাগজের একটি ফাইল দেখলেন। পীরজাদা বলেন, “জিনিসটা আমাদের বাসায় প্রায় ছয় বছর ধরে পড়ে আছে। কেউ একজন জিনিসটা আমাদের দিয়েছিল, কিন্তু আমরা তা খুলে দেখবারও প্রয়োজন বোধ করিনি।’’
২০১৩ সালের শুরুর দিকে এক সন্ধ্যায় আমি জিনিসটা খুলে দেখলাম। জিনিসটি ছিল ডা. জাকির নায়েকের “ইসলামে নারীর মর্যাদা” নামক একটি লেকচারের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট। সে আরও বলল, “আমি কখনই ধার্মিক ছিলাম না। মাঝে মাঝে নামাজ পড়তাম। কিন্তু ট্রান্সস্ক্রিপ্টটা আমার মনে বিরাট বড় প্রভাব বিস্তার করল। ঐ দিন সন্ধ্যায় আমি সেটি পড়ে শেষ করলাম।
অবশেষে আমি জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেলাম। ” এরপর পীরজাদা অনলাইনে ইসলাম নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন এবং নুমান আলি খান ও ইয়াসমিন মুজাহিদের ইউটিউব ভিডিওগুলো দেখেন। তিনি এসব দেখে খুবই আলোকিত বোধ করেন এবং তাদের মতো হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন।
তিনি সে সময়ে ইসলাম সম্পর্কে জানার তাগিদ অনুভব করেন। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে তিনি জাকির নায়েকের পত্নী ফারহাত নায়েকের তত্ত্বাবধানে আইআরএফ-এর একটি কোর্সে ভর্তি হল। তার ভাষায় তিনি এখন ঐ প্রতিষ্ঠানের একজন বক্তা হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের সব থেকে উপরের লেভেলের কোর্স করছেন।
কোর্সেরই অংশ হিসেবে তাকে বক্তৃতা দিতে হয়। এখন পর্যন্ত পীরজাদা প্রায় ১০ টি লেকচার দিয়েছেন। পীরজাদার টুইটার একাউন্টের টুইটগুলো মূলত বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারদের উক্তি। এর মধ্যে বেশিরভাগই আধ্যাত্মিক; মানুষকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার মাধ্যমে জীবনের সকল সমস্যা সমাধানের আহবান জানানো হয়।
পীরজাদা ধর্মের ব্যাপারে খুবই উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। তার ভাষায় রাগান্বিত বক্তব্য যুবসমাজকে কখনোই ইসলামের প্রতি আকর্ষণ করবে না। সুন্দর ও প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্যই যুবসমাজকে ইসলামের দিকে আকর্ষণ করতে পারে।
সর্বমোট মন্তব্য (1)
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- ক্যান্সারের অণুজীব খুঁজে দেবে মোবাইল অ্যাপ
- ব্রিটেনের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিলেন জনসন
- যাবজ্জীবন কারাবাস শুরু করছেন ‘দোসা কিং’
- হামলা হলে ইরান হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না: ইরানি দূত
- বেফাঁস মন্তব্য করায় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে কাঁকড়া ছেড়ে প্রতিবাদ
- ট্রাম্পের সমালোচক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগ
- ভিডিও বার্তায় ভারতীয় সেনাকে আল কয়েদার হুমকি
- দলিত ছেলেকে বিয়ে করায় বাবার বিরুদ্ধেই অত্যাচারের অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের মেয়ের
- ‘বন্দুক তো কারোর দিকে তাক করা ছিল না’, সাফাই বিজেপি বিধায়কের
- দূতের বাসভবন নয়, হোয়াইট হাউসেই উঠবেন ইমরান খান
- ভারতের পরাজয়ে কাশ্মীরীদের উল্লাস!
- শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে অহিংস বৌদ্ধধর্মে জঙ্গিবাদের উত্থান
সর্বশেষ
- গ্যাস ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি জনগণ যাবে কোথায়?
- এনার্জি ড্রিংকস মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর
- ১০ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯৪ বাংলাদেশি নিহত
- সমুদ্রপথে অবৈধ বিদেশযাত্রা বন্ধ হচ্ছে না
- দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করুন
- ফুট ওভারব্রিজ
- ব্যথার রোগীদের হজ প্রস্তুতি
- শিশুর ‘মাইগ্রেন’ ব্যথা
- পুরুষ যখন অক্ষম
- বর্ষায় ছত্রাকজনিত রোগ ও চিকিৎসা
সর্বাধিক পঠিত
আলোচিত
গত ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
- ভারতের মুসলমানদের রক্ষায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে
- পদ্মা সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগার গুজব কেন ছড়ালো?
- ধর্ষিত শিশু, লজ্জিত দেশ
- একটা তালিও দেয়নি কেউ কেঁপে ওঠেন নোবেল
- লাকসামে ব্যথা নাশক ইনজেকশন দিয়ে ৪ মাস ধরে তরুণীকে ধর্ষণ
- চাকরি বাঁচাতে জরায়ু কেটে ফেলছেন হাজার হাজার নারী
- মির্জাপুরে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ করায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা
- সালমান খানকেও প্রত্যাখান করলেন সেই জাইরা!
- আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে ইরান
- শারজাহ যুবরাজের মৃত্যু
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন