নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীদের ভিত্তিহীন দুর্বল যুক্তি

নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসীদের দুর্বল যুক্তি
লিখেছেনঃ মোঃ নাসির শেখ
================================
(আরজ আলীর মাতাব্বুরি)

পুকুরে সাপ, ব্যাঙ মরিয়া পচিলেও উহার জল নষ্ট হয় না, কিন্তু বিধর্মী মানুষ ছুঁইলেও উহা হয় অপবিত্র। -আরজ আলী মাতুব্বর

একজন মূর্খের মস্তিষ্কপ্রসূত জ্ঞান এর থেকে আর ভালো যুক্তি কি হতে পারে! নাস্তিকের জন্য এমন মূর্খের বাণীই তো হবে (শেইন রিয়ার) কভার ফটো, অস্বাভাবিকের কি আছে?

পুকুরে সাপ, ব্যাঙ মরে পঁচলেও নাকি জল নষ্ট হয় না। সাপ, ব্যাং মরে পঁচে আছে এমন পুকুরের জল যদি নষ্ট না হয়, তবে সেই জলেতে গোসল ও পান করতে তো অসুবিধা নাই, তাইতো?

গোসলের পর খোস-পাঁচরা হলে আর পান করার পর কলেরা, টাইফয়েড, জন্ডিস ইত্যাদি হলে আরজ আলীকে বকা দিতে পারবেন না। কেননা, মূর্খ মানুষ যা ইচ্ছা বলতেই পারে। আপনি কেন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে গেলেন?

কোরআনের আয়াত পেলেই বিজ্ঞানের কথা বলে খোড়া যুক্তি নিয়ে হাজির হয়। আরজের এমন কথায় বিজ্ঞানের কথা মনে পরেনি! আরে বিশুদ্ধ পানির সঙজ্ঞাই তো জানেনা আরজ। যে পানিতে রোগ-জীবাণু থাকেনা তাকে বিশুদ্ধ পানি বলে। এখন, পানিতে যদি সাপ, ব্যাঙ মরে পঁচেও থাকে তাতেও কি রোগ-জীবাণু ছড়াবে না! কোথায়রে ভাই নাস্তিক আপনার বিজ্ঞান?
বিধর্মী মানুষ ছুঁইলেও অপবিত্র হয়! এমন কথা আরজ ভাই কই পেলেন? অন্য ধর্মের কথা বলে থাকলে আপত্তি নেই। যদি ইসলাম ধর্মকে উদ্দেশ্য করে বলে থাকে তবে বলি, আমাদের রাসুল সঃ ইহুদিদের রান্না করা খাবারও (খাবারে বিষ প্রয়োগের হাদিস তার প্রমান) খেয়েছেন। ছুঁয়াছুঁয়ি তো আরো কাছের কথা।

====================================================

দুনিয়া কয় দিনে সৃষ্টি ?

অভিজগঃ ছোটবেলায় আমি বেশ ধারমিক একজন মুসলমান ছিলাম। দিনে ৫ বার নামাজ পড়তাম এবং নিয়মিত রোজাও রাখতাম। একটু বড় হওয়ার পর ইসলাম নিয়ে সন্দেহ আসা শুরু করে। ২০১১ সালে আমি একজন সংশয়বাদী হয়ে যাই। সব থেকে আগে শুরু করছি এক অবৈজ্ঞানিক কোরানের আয়াত দিয়ে। আমরা যারা বেসিক বিজ্ঞান পড়েছি তারা জানি যে পৃথিবী একবার ঘুরলে একদিন হয়। তাহলে কিভাবে বলা যে আল্লাহ ৬ দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছে??? যারা মনে করেন দিন বলতে যুগ বুঝানো হয়েছে তাদের জন্য নিচের ২ হাদিসও আছে। গোজামিল দেয়া অথবা ত্যানা প্যাঁচাইতে চেস্টা করলে আমার সামনে অন্তত কইরেন না কারণ আমি এগুলো মানবো না। সহজ ভাষায় উত্তর দিবেন।

#ANS-

উনি বলতে চাচ্ছেন যে পৃথিবী ঘুরলে একদিন হয় তাহলে পৃথিবী সৃষ্টির আগে বা পৃথিবী না ঘুরলে ছয় দিন কোথায় পেলেন?
আপনার শততম পূর্বপুরুষের চিটাগং থেকে ঢাকা সফর নিয়ে লেখা একটা বই বা যেকোন ডকুমেন্ট পেলেন। আর আপনি এই সময়ে এসে সেই বইয়ের রেফারেন্সে একটা গল্প লিখলেন তাতে লিখলেন আমার শততম পূর্বপুরুষ ৩০০ কি.মি. (চিটাগং টু ঢাকা) সফর করেছিলেন।

এখন কি প্রশ্ন করা উচিত হবে যে শততম পূর্বপুরুষেরা ৩০০ কি.মি. কিভাবে সফর করলো তখন তো দৈর্ঘের এককই ছিলো না, ৩০০ কি.মি. পাইলেন কই?

একক ছিলো না ঠিক আছে। কিন্তু লেংথ টা ঠিকই আছে যা একক আবিস্কারের পর জানা গেছে।

কত সময়ে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল তৈরী হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট আছে। পৃথিবী তৈরী হবার পর সেই সময়কে দিন রাতের সময় বা পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তনের সময়কে ভাগ করলে ছয় দিন হয়।

দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তাম, নিয়মিত রোজাও রাখতাম। এই লাইনটা কেমন সন্দেহজনক লাগে। যে এক্স মুসলিম বা বর্তমান মুসলিম সে বলবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম বা পড়ি। পাঁচবার পড়তাম এমন কথা এক্স হোক আর রানিং মুসলিম হোক বলবে না। লাইভে এসে তো সব এক্স মুসলিম নামধারীরা কট আউট হয়ে যায়। যাইহোক আগে ভালো করে বুঝুন তারপর ভাবুন। এরপর সিদ্ধান্তে আসুন। এগুলো পড়ে যে পান নাই তা আমরা জানি। নাস্তিক নিয়ন্ত্রিত গ্রুপে এমন মূর্খামির চর্চা অনেক আগে থেকে দেখে আসছি। সেখান থেকে আমদানি করা বা ধার-কর্জ করা জ্ঞান। নিজে পড়া বা বোঝার জ্ঞান না। এসবে গা না ভাসিয়ে মেধা খাটান। অল্প জ্ঞান নিয়ে কোরআনের ভুল না ধরার চেষ্টা করাই ভালো। আপনাদের ভালোই চাই। যাতে অপদস্ত না হতে হয়। মানব মস্তিষ্ক দিয়ে ভুল ধরা অসম্ভব।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

পৃথিবীতে মোট ধর্মের সংখ্যা ৪৩০০। প্রত্যেক আস্তিক মনেকরে ৪২৯৯ টি ধর্ম ভুল, আর নাস্তিক মনেকরে ৪৩০০ টিই ভুল। পার্থক্য কি খুব কম ?

#Ans:
বেশি কিছু না পাক্কা ও চূড়ান্ত মূর্খতার পরিচয় ফুটে উঠছে তার পোস্টের মাধ্যমে। ইনি বলতে চাচ্ছেন, আস্তিক ও নাস্তিকদের ধর্ম অবিশ্বাসের সংখ্যার পার্থক্য মাত্র ০১। তাই ধর্ম বিশ্বাসী আস্তিক ও নাস্তিকদের মধ্যে পার্থক্য খুবই কম।

৪৩০০ টা ধর্মের লোক অন্য ধর্মকে (নিজ ধর্ম ব্যতিত) যেমন নিছক ধারণা মনে করে তেমনি নাস্তিকতাকেও নিছক ধারণা মনে করে। তাহলে নিছক ধারণাসমূহের মোট সংখ্যাও ৪৩০০ হল। অর্থ্যাৎ সমানে সমান। তাহলে, এই সংখ্যা সমান বলে কি আস্তিক ও নাস্তিকে কোন পার্থক্য নেই বলা কি সম্ভব? এইটা কি চরম মূর্খতার পরিচায়ক নয়। কারা কতগুলো ধর্মকে বিশ্বাস-অবিশ্বাস করে তা দিয়ে আস্তিক-নাস্তিকের পার্থক্য কেউ নিরূপণ করে না বা কোথাও নেই।

মতবাদ ও বিশ্বাসের/অবিশ্বাসের পার্থক্য করতে হয় সঙজ্ঞা, সেসবের কারণ, যুক্তি প্রভৃতি দিয়ে। বিশ্বাসী/অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস/অবিশ্বাসের সংখ্যাকে যোগ-বিয়োগ করে নয়। যা দিয়ে আস্তিকের বিশ্বাস ও নাস্তিকের অবিশ্বাসকে দিক দ্বারা পার্থক্য বোঝালে একে অপরের থেকে ১৮০ ডিগ্রী পার্থক্য দেখাবে বা সম্পূর্ণ উল্টা দিক নির্দেশ করবে। অথচ তার দাবি পার্থক্য খুবই কম। আস্তিক-নাস্তিক কাকে বলে জানলে এমন উদ্ভট সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে আসতেন না। নিজের সঙজ্ঞা নিজেই জানেন না! আশ্চর্য!

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

কোরানে ভুল।
কোরানের আয়াত এক আল্লাহর নয়, একাধিক
আল্লাহর মিলিত আয়াত নিয়েই কোরান।
মোহাম্মদের কাছে ওহি নিয়ে আসতো কি কোনো
একজন ফেরেস্তা নাকি একাধিক ফেরেস্তা?
৫৩ঃ০৪, ৫২ঃ৪২, ১৬ঃ১০২ আয়াতে বলা হয়েছে একজন ফেরেশতা ওহি নিয়ে আসতো।
আবার ৩৫ঃ০১, ১৬ঃ০২, ৭৭ঃ০৫ আয়াতে বলা হচ্ছে
একাধিক ফেরেশতা ওহি নিয়ে আসতো।
(পোস্টের বাঁকি অংশ স্ক্রিনশটে)
#Ans:
সুরা আন নাজমের তিন থেকে পাঁচ নাম্বার পর্যন্ত আয়াতগুলো দেখলে স্পষ্ট বুঝতে পারি কোরআনের আয়াতের কথা বলা হচ্ছে। কাফিররা যখন সন্দেহ পোষন করলো যে নবী (সঃ) এর কথাগুলো রাগের বশবর্তী হয়ে বলেন তখন (আল্লাহ কর্তৃক) জানানো হল যে না, সে (নবী সঃ) নিজের তাড়নায় কথাগুলো বলেন না। তাকে এক শক্তিশালী ফেরেস্তার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয়।
(3)
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
Nor does he say (aught) of (his own) Desire.
(4)
إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى
কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।
It is no less than inspiration sent down to him:
(5)
عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى
তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,
He was taught by one Mighty in Power,
এখন আসি সুরা আশ শুরার 52 নাম্বার আয়াতে। এখানেও স্পষ্ট কোরআনের কথা বলা হচ্ছে। আল্লাহ বলছেন, তার আদেশের প্রাণ বা কোরআন পাঠিয়েছি। কোরআনের কথাই যে বলছেন তা বোঝার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট।
42:52
وَ کَذٰلِکَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ رُوۡحًا مِّنۡ اَمۡرِنَا ؕ مَا کُنۡتَ تَدۡرِیۡ مَا الۡکِتٰبُ وَ لَا الۡاِیۡمَانُ وَ لٰکِنۡ جَعَلۡنٰہُ نُوۡرًا نَّہۡدِیۡ بِہٖ مَنۡ نَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِنَا ؕ وَ اِنَّکَ لَتَہۡدِیۡۤ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿ۙ۵۲﴾
এভাবেই আমি তোমার কাছে আমার আদেশের একটি প্রাণ (কোরআন) পাঠিয়েছি। (এর আগে) তুমি তো জানতে না, কিতাব কি আর ঈমান কি। তবে আমি একে (এই কোরআনকে) একটি আলো করেছি, যার সাহায্যে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে চাই পথ দেখাই। তুমি তো (মানুষকে) সরল পথই প্রদর্শন করছ;
এরপর সুরা আন নাহলের 102 নাম্বার আয়াতে যে কোরআনের কথা তা বুঝতে 101 নাম্বার পড়লে বোঝা যাবে। এখানে স্পষ্ট কোরআন ও কোরআনের ওহী বাহক জিব্রাইল (আঃ) কথা বলা হয়েছে। জিব্রাইল (আঃ) ও কোরআনের কথা বলা হয়েছে তা বোঝার জন্য আয়াতই যথেষ্ট।
16:101
وَ اِذَا بَدَّلۡنَاۤ اٰیَۃً مَّکَانَ اٰیَۃٍ ۙ وَّ اللّٰہُ اَعۡلَمُ بِمَا یُنَزِّلُ قَالُوۡۤا اِنَّمَاۤ اَنۡتَ مُفۡتَرٍ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۰۱﴾
আমি যখন (কোরআনের) একটি আয়াতকে আরেকটি আয়াতের স্থলে পরিবর্তন করি—আল্লাহ যা নাযিল করেন সে সম্পর্কে তো তিনিই ভাল জানেন—তখন তারা বলে, “তুমি তো কেবল মনগড়া কথা বল।” (তাদের এ কথা ঠিক নয়) বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।
16:102
قُلۡ نَزَّلَہٗ رُوۡحُ الۡقُدُسِ مِنۡ رَّبِّکَ بِالۡحَقِّ لِیُـثَبِّتَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ ہُدًی وَّ بُشۡرٰی لِلۡمُسۡلِمِیۡنَ ﴿۱۰۲﴾
তুমি বলে দাও যে, পবিত্র আত্মা (জিবরাঈল) মুমিনদেরকে সুদৃঢ় করার জন্য এবং মুসলমানদের জন্য পথ-নির্দেশ ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে সত্যসহ এই কোরআন নিয়ে এসেছেন।
উপরের আয়াত গুলো হতে শুধু আমরা এতোটুকু পরিষ্কার ধারণা পেলাম যে কোরআনের আয়াত সমূহের বাহক হচ্ছেন জিব্রাইল (আঃ) এবং এর জন্য অন্য কোন ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন নাই।
এবার আসি সেসমস্ত আয়াতে যেসমস্ত আয়াতে একাধিক ফেরেস্তাকে বার্তবাহক করা হয়েছে-
35:01
اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ فَاطِرِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ جَاعِلِ الۡمَلٰٓئِکَۃِ رُسُلًا اُولِیۡۤ اَجۡنِحَۃٍ مَّثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ؕ یَزِیۡدُ فِی الۡخَلۡقِ مَا یَشَآءُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱﴾
আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা; যিনি দুই দুই, তিন তিন ও চার চার ডানাবিশিষ্ট ফেরেশতাদেরকে বার্তাবাহক করেছেন। তিনি (তাঁর) সৃষ্টির মধ্যে যা চান বৃদ্ধি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।
এই আয়াতে স্পষ্ট যে শুধুমাত্র কোরআনের বানীবাহকে নির্দেশ করা হয়নি। এই ব্যাপারে তাফসীর আহসানুল বায়ান থেকে পাই,
"উদ্দেশ্য জিবরীল, মিকাঈল, ইস্রাফীল এবং আযরাঈল (মালাকুল মাওত) ফিরিশতা, যাঁদেরকে আল্লাহ তাআলা পয়গম্বরগণের নিকট বা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের উপর দূত স্বরূপ প্রেরণ করেন। তাঁদের মধ্যে কারো দুটি, কারো তিনটি, আবার কারো চারটি পাখা বা ডানা আছে, যার মাধ্যমে তাঁরা আকাশ থেকে পৃথিবীতে আসা-যাওয়া করেন।"
এরপর বঙ্গজ বিহঙ্গের উপস্থাপিত আয়াত সুরা নাহলের আয়াত 02 ও এর অর্থ দেখি-
يُنَزِّلُ الْمَلآئِكَةَ بِالْرُّوحِ مِنْ أَمْرِهِ عَلَى مَن يَشَاء مِنْ عِبَادِهِ أَنْ أَنذِرُواْ أَنَّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ أَنَاْ فَاتَّقُونِ
"তিনি স্বীয় নির্দেশে বান্দাদের মধ্যে যার কাছে ইচ্ছা, নির্দেশসহ ফেরেশতাদেরকে এই মর্মে নাযিল করেন যে, হুশিয়ার করে দাও, আমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। অতএব আমাকে ভয় কর।"
নবী ও রাসুলদের দেয়া হুশিয়ারি ও পথনির্দেশনা সমস্ত কথাই আল্লাহর। কিন্তু তা সব কোরআনের আয়াতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সর্বশেষ বিহঙ্গ দা'র দেয়া সুরা ও আয়াত নাম্বার 77: 05 এ বলা হচ্ছে-
فَالۡمُلۡقِیٰتِ ذِکۡرًا ۙ﴿۵
অর্থ- এবং নবী-রসূলদের কাছে ওহী নিয়ে-আসা ফেরেশতাদের—
এই আয়াতেও শুধু কোরআনের বানীর কথা বলা হয় নাই, অন্যান্য ওহীর কথাও বলা হয়েছে এবং সমস্ত নবী-রাসুলের কথা বলা হয়েছে।
সুতরাং, এই কথা স্পষ্ট যে একাধিক বার্তাবাহক যখন বলা হচ্ছে তখন শুধুমাত্র কোরআনের বাণী বহনের কথা বলা হচ্ছে না। আবার যখন কোরআনের বাণীসমূহের কথা বলা হচ্ছে তখন একজন মাত্র বার্তবাহকের (জিব্রাইল আঃ) কথা বলা হচ্ছে।
এই সাধারণ কথাগুলো যাদের খুপরিতে ঢোকে না তারা কি না লাফ দিয়ে বলে ওঠে কোরানে ভুল। এরা বড়ই আশ্চর্য প্রাণের স্বত্তা!




No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.