অমুসলিমরা দয়াকরে পোস্টটা পড়ুন

অমুসলিমরা দয়াকরে পোস্টটা পড়ুন
-------------------------------------------------------

আজ আমি আপনাদের কাছে একটি গুরুত্বপুর্ন তথ্য উপস্থাপন করব।আজ আমি আপনাদের কাছে ইসলাম ধর্মের একটা গুরুত্বপুর্ন দিক আলোচনা করব।ইসলাম ধর্ম অনুযায়ি আল্লাহ আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য।আর আদম ও হাওয়া এই পৃথিবির প্রথম মানুষ।ইসলাম ধর্ম অনুযায়ি আদম ও হাওয়া থেকে এই পৃথিবির সমস্ত মানুষ এসেছে।ইসলাম ধর্ম অনুযায়ি আল্লাহ অনেক নবি রাসুল পৃথিবিতে পাঠিয়েছেন।১,২৪০০০ মতান্তরে ২,২৪০০০।এদের কে পাঠানোর উদ্দেশ্য কি। এই সকল নবি রাসুল কে পাঠানোর উদ্যেশ্য হচ্ছে মানুষ কে সঠিক পথে আনা।পৃথিবিতে মানুষ অনেক লম্বা সময় থেকে আছে।আর মানুষ যুগে যুগে আল্লাহ প্রদও বিধান বাদ দিয়ে ভ্রান্ত পথে চলে গেছে।আর যখনি মানুষ ভ্রান্ত পথে চলে গেছে তখনি আল্লাহ পৃথিবিতে একজন নবি পাঠিয়েছেন। সেই নবি আল্লাহর মনোনিত ধর্ম প্রচার করতে থাকে।অনেক মানুষ সেই ধর্ম গ্রহন করে আর অনেক মানুষ গ্রহন করে না।যারা গ্রহন করে না তাদের কে আল্লাহ ইচ্ছা করলে শাস্তি দিয়ে পৃথিবি থেকে ধ্বংস করে দেন।আর যে সকল মানুষরা আল্লাহর মনোনিত ধর্ম গ্রহন করে তারা পৃথিবিতে বসবাস করতে থাকে।এরকম ভাবে চলতে থাকে যুগের পর যুগ।এরকম করে চলতে চলতে একসময় মানুষগুলো খারাপ পথে চলতে থাকে। আদম (আঃ) এর পরবর্তীতে, মানুষদের মধ্যে অনেকেই আল্লাহ্র নিদর্শন ও নিয়ম/নিতি আসার পর, জানার পর, সেই নিয়ম/নিতি লঙ্ঘন ও অস্বীকার করলো, তথা ইসলাম অস্বীকার করলো, অনেকেই সমাজ থেকে আলাদা হয়ে বনে-জঙ্গলে চলে গেল, অনেকে বর্বর হয়ে গেল, কেউ বিভ্রান্ত হয়ে মূর্তি পূজায় লিপ্ত হয়ে গেল, বিভিন্ন প্রকার শির্কে লিপ্ত হলো। শুরু হল নতুন নতুন ধর্ম, দল , মতাদর্শ , মাজহাব।তারা তাদের ধর্ম গ্রন্থ বিকৃত করে ফেলে।

মানুষের মুখের দাবির কথা না শুনে আপনি ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ুন। তাহলেই বুঝবেন স্রষ্টার শেষ বার্তাবাহক কে ছিলেন l খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থের কোনো যায়গায় বলা হয়নি যে যিশু স্রষ্টার শেষ বার্তাবাহক, ইহুদি ধর্ম গ্রন্থের কোথাও বলা হয়নি যে মুসা স্রষ্টার শেষ বার্তাবাহক। আমরা সব ধর্ম গ্রন্থকে সমান গুরুত্ব দিয়ে যদি বিবেচনা করি যে কে স্রষ্টার সর্বশেষ বার্তাবাহক ছিলেন তাহলেই সত্যটা বেড়িয়ে আসবে আমাদের সামনে। আর এটা অবশ্যই যুক্তিসংগত কথা যে, স্রষ্টা অবশ্যই যুগে যুগে তার বার্তাবাহক পাঠিয়েছেন। মানুষ যখন একজন বার্তাবাহকের শিক্ষাকে বিক্রিত করেছে (বদলে ফেলেছে) ঠিক তখনই স্রষ্টা তাঁর আরেকজন বার্তাবাহক পাঠিয়েছেন এবং এটাই যুক্তিযুক্ত। উদাহরণসরুপ, মানুষ যখন মুসা আঃ এর শিক্ষাকে বদলে ফেলেছে ঠিক তখনই স্রষ্টা ঈসা(আ)কে পাঠিয়েছেন। মানুষ যখন ঈসা(আ) শিক্ষাকে বদলে ফেলেছে তখন স্রষ্টা মুহাম্মাদ সাঃ কে পাঠিয়েছেন। আর এভাবে অতীতে ধারাবাহিকভাবে চলেছে। কিন্তু মুহাম্মাদ সাঃ এর পরে আর কোনো স্রষ্টার বার্তাবাহক আসবেননা।


এভাবেই যুগে যুগে মানুষ যখন অধর্মের পথে চলে গিয়েছে তখনই আল্লাহ পৃথিবিতে একজন নবি পাঠিয়েছেন। আর আমরা যদি একটু চিন্তা করি তাহলেও আমাদের কাছে এই কথাটাই যুক্তিক মনে হবে যে যুগে যুগে সত্যিই নবি রাসুল প্রেরন করা প্রয়োজন কারন মানূষ খারাপ পথে চলে যায়।ভগবত গিতায় একটা কথা আছে যে "যখনি পৃথিবিতে অধর্ম বেড়ে যায় তখনি আমি যুগে যুগে পৃথিবিতে আসি"।এখানে আসলে হিন্দুদের ভগবান বলছে পৃথিবিতে যখনি অধর্ম হয় তখনি ভগবান পৃথিবিতে আসে মানুষের রুপ ধরে।এখানে হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে ইশ্বর পৃথিবিতে আসেন আর আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি যে একজন নবি আসেন যাকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন।আমাদের মুসলিমদের বিশ্বাস অনুযায়ি পৃথিবির সমস্ত ধর্মগ্রন্থ বিকৃত শুধু কোরআন বাদে।ইসলাম বলছে আল্লাহ অনেক নবি রাসুল পৃথিবিতে পাঠিয়েছেন তার মধ্যে মাএ ২৫ জন নবির নাম উল্লেখ আছে কোরআনে।বাকি গুলোর কথা আল্লাহ আমাদের কে বলেন নি।ইসলাম ধর্ম বলছে যীশু খৃষ্ট হচ্ছেন একজন নবি,মুসা হচ্ছেন একজন নবি।আর এজন্য আমরা বিশ্বাস করি তাদের কে।এখন বলতে পারেন কৃষ্ণ,রাম ইত্যাদি কি আল্লাহর নবি।আমরা মুসলিমরা বলব হতে পারেরে তারা আল্লাহর নবি আবার নাও হতে পারে।আর তারা যদি আল্লাহর নবি হয়েও থাকেন তাহলে তারা একটা নির্দিষ্ট সময় আর নিদিষ্ট জাতির জন্য এসেছেন।আবার বলতে পারেন বেদ,উপনিষদ এগুলো কি আল্লাহর বানি।আমরা মুসলিমরা বলব হতে পারে এগুলো ঈশ্বরের বানি আবার নাও হতে পারে।আর যদি ঈশ্বরের বানি হয়ও তাহলে তা ছিল একটা নির্দিষ্ট সময় আর নির্দিষ্ট জাতির জন্য।কিন্তু এখন এগুলো সব বিকৃত।এখন বলার উপায় নেই যে বেদের কোন কথা গুলো আল্লাহর আর কোন কথা
গুলো মানুষের। আর বর্তমানে যে খৃষ্টানদের বাইবেল আছে এটাকে আমরা ঈশ্বরের বানি বলে মানি না।ইসলাম ধর্ম অনুযায়ি ইসা নবিকে আসমানি কিতাব দেয়া হয়েছিল কিন্তু সেই কিতাব বর্তমানে বিকৃত। বাইবেল হচ্ছে বিকৃত।এর মধ্যে কিছু কথা ঈশ্বরের কথা থাকতে পারে।আমরা যদি সব গুলো ধর্ম নিয়ে বিবেচনা করি

তাহলে আমরা এতে অনেক মিল দেখতে পাব।পৃথিবির প্রধান প্রধান ধর্মগ্রন্থ বলছে এক ঈশ্বরের কথা।বেদে আছে এক ঈশ্বরের কথা,বাইবেলে আছে এক ঈশ্বরের কথা।বাইবেল বলছে একজন শেষ নবি আসবে যেটি প্রমান করে দেখিয়েছেন ডা জাকির নায়েক।হিন্দু ধর্মে একজন শেষ অবতার আছে যার নাম কল্কি অবতার। বৌদ্ধ ধর্ম বলা হয়েছে একজন মায়েএি আসবে।আমরা যদি এই সব ধর্ম গুলো নিয়ে বিবেচনা করে তাহলে আমাদের কাছে সপষ্ট হবে যে ইসলামি সত্য ধর্ম।হযরত মুহাম্মদ (সা) হচ্ছেন শেষ নবি।আমি আর এবিষয়ে বিস্তারিত বললাম না।বিস্তারিত জানতে আপনারা দয়াকরে ডা জাকির নায়েকের লেকচার দেখেন।হিন্দু ধর্মে আমাদের নবিজির কথা আছে কিন্তু হিন্দুরা তা অস্বিকার করে। তারা বিভিন্ন অমিল দেখায় আর প্রমান করতে চায় যে হিন্দু ধর্মে নবিজির কথথা বলা হয় নি।আগেই বলেছে হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ বিকৃত।

 তাই সেখানে অনেক অমিল থাকলোও ব্যাপার টা এই না যে নবিজির কথা হিন্দু ধর্ম বলা হয়নি।নবিজির সাথে হিন্দু ধর্মের ভবিষৎ বানির সাথে অনেক মিল পাওয়া যায়।আর আরেকটা কথা বলি যিশু খৃষ্ট কে আমরা একজন নবি বলে মানি কিন্তু খৃষ্টানরা তাকে ঈশ্বরের পুএ বলে মানে।এটা তাদের ভুল ধারনা ঠিক সেই ভাবেই কৃষ্ণ হতে পারে আল্লাহর নবি কিন্তু পরবর্তিতে তার অনুসারিরা তাকে ঈশ্বর মনে করেছে খৃষ্টানদের মত।আর বেশির ভাগ লোকই যারা ডা জাকির সম্পর্কে কথা বলে তারা তার লেকচার শুনে কথা বলে না।ত্ই সবাই কে একটা অনুরোধ করব, ডা জাকিরের লেকচার টা আগে দেখেন এর পর মন্তব্য করেন।
আমরা যদি পৃথিবির প্রধান প্রধান ধর্ম গুলোকে বিবেচনা করি তাহলে আমরা দেখব সেখানে ইঙ্গিত আছে ইসলামের সেখানে ইঙ্গিত আছে আমাদের নবিজির।
আর কোরআন যে আল্লাহর বানি একথা সত্য।অনেকে বলেন কোরআনে অনেক বৈজ্ঞানিক ভুল আছে।এগুলো সবই মিথ্যা অভিযোগ।এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ডা জাকিরের লেকচার দেখেন।কোন একটা ধর্ম গ্রন্থ যেটা আল্লাহর বানি সেখানে কোন ভুল থাকতে পারে না।আর কোরআন যে আল্লাহর বানি সেটা সত্যি।কোনআনে কোন ভুল নেই।আল্লাহ কোরআনে বলেন"

এরা কি লক্ষ্য করে না

কোরআনের প্রতি?পখান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতিত অপর কারও পখ থেকে হত,তবে এতে অবশ্যই বহু বৈপরীত্য দেখতে পেত"(সুরা নিসা,আয়াত ৮২)।

কোরআনে হাজার হাজার নিদর্শন রয়েছে।কোরআনের বৈজ্ঞানিক অলৌকিকত্য ,কোরআনের নানান ধরনের চ্যালেন্জ,কোরআনের মতো একটা সুরা তৈরি করার চ্যালেন্জ, কোরআনের ঐতিহাসিক অলৌকিকত্য,ইসলামের সাথে অন্যান্য ধরমের অনেক কিছুর মিল,হযরত মুহাম্মদ (সা) পৃথিবির বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে।

এত সব কিছু দেখেও যদি আপনে ইসলাম গ্রহন না করেন তাহলে আপনাকে শুধু কোরআনের এই আয়াত টা বলতে পারি"যাহারা আমার আয়াত কে প্রত্যাখান করিবে তাদের কে অগ্নিতে দগ্ধ করিবই,আর যখনি তাহাদের চামড়া
পুড়ে যাবে, তাতে আমি নতুন চামড়া দিব যাতে তারা ব্যাথা অনুভব করে"(সুরা নিসা,আয়াত ৫৬)


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.