সপ্তাহের সাতদিনে কি বিশ্বসৃষ্টি সৃষ্টি হয়েছে? হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা কি?
প্রশ্নঃ
সপ্তাহের সাতদিনে কি বিশ্বসৃষ্টি সৃষ্টি হয়েছে? হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা কি?
সপ্তাহের সাতদিনে কি বিশ্বসৃষ্টি সৃষ্টি হয়েছে? হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা কি?
লিখেছেনঃ মোঃ আব্দুল মাবুদ পাবেল
অমুসলিমরা সাধারণত নিম্নোক্ত হাদিস দ্বারা অপপ্রচার করে থাকে যে ইসলামে পুরো বিশ্বজগত সাতদিনে সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে হাদিসটি নিম্নরুপঃ
حَدَّثَنِي سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِي فَقَالَ " خَلَقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ التُّرْبَةَ يَوْمَ السَّبْتِ وَخَلَقَ فِيهَا الْجِبَالَ يَوْمَ الأَحَدِ وَخَلَقَ الشَّجَرَ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَخَلَقَ الْمَكْرُوهَ يَوْمَ الثُّلاَثَاءِ وَخَلَقَ النُّورَ يَوْمَ الأَرْبِعَاءِ وَبَثَّ فِيهَا الدَّوَابَّ يَوْمَ الْخَمِيسِ وَخَلَقَ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ بَعْدَ الْعَصْرِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فِي آخِرِ الْخَلْقِ وَفِي آخِرِ سَاعَةٍ مِنْ سَاعَاتِ الْجُمُعَةِ فِيمَا بَيْنَ الْعَصْرِ إِلَى اللَّيْلِ " .
قَالَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا الْبِسْطَامِيُّ، - وَهُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى - وَسَهْلُ بْنُ عَمَّارٍ وَإِبْرَاهِيمُ ابْنُ بِنْتِ حَفْصٍ وَغَيْرُهُمْ عَنْ حَجَّاجٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ .
قَالَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا الْبِسْطَامِيُّ، - وَهُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى - وَسَهْلُ بْنُ عَمَّارٍ وَإِبْرَاهِيمُ ابْنُ بِنْتِ حَفْصٍ وَغَيْرُهُمْ عَنْ حَجَّاجٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ .
Abu Huraira reported that Allah's Messenger (ﷺ) took hold of my hands and said:
Allah, the Exalted and Glorious, created the clay on Saturday and He created the mountains on Sunday and He created the trees on Monday and He created the things entailing labour on Tuesday and created light on Wednesday and He caused the animals to spread on Thursday and created Adam (peace be upon him) after 'Asr on Friday; the last creation at the last hour of the hours of Friday, i. e. between afternoon and night. This hadith is narrated through another chain of transmitters.
Allah, the Exalted and Glorious, created the clay on Saturday and He created the mountains on Sunday and He created the trees on Monday and He created the things entailing labour on Tuesday and created light on Wednesday and He caused the animals to spread on Thursday and created Adam (peace be upon him) after 'Asr on Friday; the last creation at the last hour of the hours of Friday, i. e. between afternoon and night. This hadith is narrated through another chain of transmitters.
Reference : Sahih Muslim 2789
In-book reference : Book 52, Hadith 10
USC-MSA web (English) reference : Book 39, Hadith 6707
In-book reference : Book 52, Hadith 10
USC-MSA web (English) reference : Book 39, Hadith 6707
বাংলা অনুবাদ:
আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছ) আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ্ তা’আলা শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেন। রোববার দিন তিনি এতে পর্বত স্থাপন করেন। সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি পয়দা করেন। মঙ্গলবার দিন তিনি আপদ বিপদ সৃষ্টি করেন। বুধবার দিন তিনি নূর পয়দা করেন। বৃহস্পতিবার দিন তিনি যমীনে পশু-পাখি ছড়িয়ে দেন এবং জুম’আর দিন আসরের পর তিনি আদম (আ) কে সৃষ্টি করেন। অর্থাৎ জুম’আর দিনের সময়সমূহের শেষ মুহূর্তে সর্বশেষ মাখলুক আসর থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন।
আমাদের জবাবঃ
১/ এই হাদিসের কোথাও বলা হয়নি পুরো বিশ্বজগত সপ্তাহের সাতদিনে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২/ শুধুমাত্র পবিত্র ক্বুরআনে পুরো বিশ্বজগত ছয়দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে উল্লেখ আছে।
৩/ "ইয়াওম" শব্দটির দুটো অর্থ।
ক) স্বাভাবিক দিন।
খ)একটি দীর্ঘকাল।
১/ এই হাদিসের কোথাও বলা হয়নি পুরো বিশ্বজগত সপ্তাহের সাতদিনে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২/ শুধুমাত্র পবিত্র ক্বুরআনে পুরো বিশ্বজগত ছয়দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে উল্লেখ আছে।
৩/ "ইয়াওম" শব্দটির দুটো অর্থ।
ক) স্বাভাবিক দিন।
খ)একটি দীর্ঘকাল।
🌹 উপরোক্ত হাদিসে বর্ণিত সপ্তাহের দিনগুলো কোনভাবেই ক্বুরআনে বর্ণিত দিন নয় কারণ ক্বুরআনে বলা হয়েছে ছয়দিনের কথা সাতদিন নয়।
🌹ক্বুরআনে যে "ইয়াওম" শব্দ বলা হয়েছে সেখানে সপ্তাহের দিন যেমন ঃশনিবার,রবিবার ইত্যাদির উল্লেখ নাই উপরুন্ত ক্বুরআনে আল্লাহর কাছে একদিন=১০০০/৫০০০০ বলে এদিকেই ইংগিত করা হয়েছে যে এখানে "ইয়াওম" মানে দীর্ঘকাল।এতে ক্বুরআনের আয়াতের উপর প্রচলিত বিজ্ঞান দ্বারা কোন আপত্তিই উথাপন করা যায়না।
🌹হাদিসে বর্ণিত সপ্তাহের দিন দ্বারা বুঝা যায় এখানে "ইয়াওম" দ্বারা দীর্ঘকাল নয় বরং স্বাভাবিক দিন বুঝাচ্ছে।
এবার আসুন হাদিসের উপর আপত্তির জবাবঃ
১/খালক্ব=ইতমামুল খালক্বঃ যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় যমুনা সেতু তৈরি করা হয়েছে কোন সালে? সবাই বলবে ১৯৯৮ সালে। অথচ সেতুটি তৈরি হয়েছে প্রায় চারবছর ধরে।অর্থাৎ তৈরির কাজ যেদিন শেষ হয় সেদিনই তৈরি হয়েছে বলা হয়।এখানেও ঠিক তেমনি যেদিন যে বস্তু সৃষ্টির কাজ শেষ হয়েছে সেদিনই সৃষ্টি করা হয়েছে বলা হয়েছে।
২/ "ওয়াও" কিন্তু "ফা" নয়ঃ আরবি গ্রামার সম্পর্কে যাদের ন্যুনতম ধারণা আছে
তারা জানে "ওয়াও" দ্বারা ক্রম বা অগোছালো কিছুই বুঝায় না।কিন্তু "ফা" দ্বারা ক্রম বা তারতিব(sequnce) বুঝায়।আশ্চর্যজনক হলেও সত্য উল্লেখিত হাদিসে "ফা" ব্যবহার করা হয়নি অর্থাৎ হাদিস দ্বারা এটা বুঝা যাচ্ছেনা যে সোমবারে বৃক্ষ সৃষ্টি হয়েছে তার পরের বুধবারে আলো সৃষ্টি হয়েছে বরং শুধু বুঝাচ্ছে বুধবারে "আলো" আর সোমবারে "বৃক্ষ" সৃষ্টি হয়েছে।কার আগে কোনটা এটা বুঝাচ্ছেনা।অথচ "ফা" শব্দ ব্যবহার করলেই বিজ্ঞান দ্বারা ভুল বের করা যেত। এটাই প্রমাণ করছে রাসূল(সা) আল্লাহর পক্ষ থেকেই বলেন নিজে থেকে কিছু বলেননা।
৩/নূর =কল্যাণঃ ক্বুরআন, হাদিসের অগণিত নস দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে নূর মানে হেয়ায়েত,কল্যাণ ইত্যাদি।এই হাদিসেও তাই বুঝানো হয়েছে বিশেষ করে এর আগের লাইনে যেহেতু অকল্যাণ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে সুতরাং নূর দ্বারা কল্যাণই বুঝানো অতি স্বাভাবিক।
১/খালক্ব=ইতমামুল খালক্বঃ যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় যমুনা সেতু তৈরি করা হয়েছে কোন সালে? সবাই বলবে ১৯৯৮ সালে। অথচ সেতুটি তৈরি হয়েছে প্রায় চারবছর ধরে।অর্থাৎ তৈরির কাজ যেদিন শেষ হয় সেদিনই তৈরি হয়েছে বলা হয়।এখানেও ঠিক তেমনি যেদিন যে বস্তু সৃষ্টির কাজ শেষ হয়েছে সেদিনই সৃষ্টি করা হয়েছে বলা হয়েছে।
২/ "ওয়াও" কিন্তু "ফা" নয়ঃ আরবি গ্রামার সম্পর্কে যাদের ন্যুনতম ধারণা আছে
তারা জানে "ওয়াও" দ্বারা ক্রম বা অগোছালো কিছুই বুঝায় না।কিন্তু "ফা" দ্বারা ক্রম বা তারতিব(sequnce) বুঝায়।আশ্চর্যজনক হলেও সত্য উল্লেখিত হাদিসে "ফা" ব্যবহার করা হয়নি অর্থাৎ হাদিস দ্বারা এটা বুঝা যাচ্ছেনা যে সোমবারে বৃক্ষ সৃষ্টি হয়েছে তার পরের বুধবারে আলো সৃষ্টি হয়েছে বরং শুধু বুঝাচ্ছে বুধবারে "আলো" আর সোমবারে "বৃক্ষ" সৃষ্টি হয়েছে।কার আগে কোনটা এটা বুঝাচ্ছেনা।অথচ "ফা" শব্দ ব্যবহার করলেই বিজ্ঞান দ্বারা ভুল বের করা যেত। এটাই প্রমাণ করছে রাসূল(সা) আল্লাহর পক্ষ থেকেই বলেন নিজে থেকে কিছু বলেননা।
৩/নূর =কল্যাণঃ ক্বুরআন, হাদিসের অগণিত নস দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে নূর মানে হেয়ায়েত,কল্যাণ ইত্যাদি।এই হাদিসেও তাই বুঝানো হয়েছে বিশেষ করে এর আগের লাইনে যেহেতু অকল্যাণ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে সুতরাং নূর দ্বারা কল্যাণই বুঝানো অতি স্বাভাবিক।
নিরপেক্ষভাবে যদি কেউ হাদিসটি পড়ে তবে শুধু তার সংশয়ই যাবেনা বরং সে এতে অলৌকিকত্ব খুঁজে পাবে।
الَر كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ
الَر كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ
01
আলিফ-লাম-রা; এটি একটি গ্রন্থ, যা আমি আপনার প্রতি নাযিল করেছি-যাতে আপনি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন-পরাক্রান্ত, প্রশংসার যোগ্য পালনকর্তার নির্দেশে তাঁরই পথের দিকে। ( সূরা ইবরাহীম আয়াতঃ১)
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.