উল্কাপাত হচ্ছে শয়তানদের তাড়াবার জন্য আল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রঃ

উল্কাপাত হচ্ছে শয়তানদের তাড়াবার জন্য আল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রঃ
লিখেছেনঃ সসামি উল আলীম

নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি। এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে। ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়। ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি। তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।
কুরআন ৩৭ : ৬-১০
//
👉 জবাবঃ ইনশাআল্লাহ এই অভিযোগের জবাবের সাথে এর সংশ্লিষ্টই অন্য প্রশ্নেরও জবাব দিব যা আপনার মনে জাগতে পারে। সমস্যা হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষীরা সব জায়গায় বিজ্ঞান খোঁজে। কিন্তু বিশ্বাস এবং গায়েবেরও একটা ব্যাপার সেপার রয়েছে। যাই হোক বিজ্ঞান দিয়েও কিছুটা ব্যাখ্যা করব ইনশাআল্লাহ।
👉 "গায়েব" মানে হচ্ছে অদৃশ্য। এই অদৃশ্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর কাছেই রয়েছে এবং এটা আমাদের বিশ্বাস করতে হবেই।
"তিনি গায়েব ও প্রকাশ্যের জ্ঞানী, মহান, সর্বোচ্চ।" (আর রা'দ, ১৩:৯)
অর্থাৎ তিনি ভবিষ্যৎ জানেন। বিজ্ঞান বলে, মহাবিশ্বের প্রতিটি ঘটনা সময়ের জালে বাধা। অর্থাৎ মহাবিশ্বে কোন স্থানে কোন সময়ে কি ঘটনা ঘটবে তা বিগ ব্যাং এর সময় বা আগেই নির্ণয় হয়ে গেছে। আর সেই জ্ঞান আল্লাহ তায়ালার কাছে আছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
"নিশ্চয় আমি আসমানসমূহ ও যমীনের গায়েব জানি এবং জানি যা তোমরা প্রকাশ কর এবং যা তোমরা গোপন করতে।" (আল-বাকারাহ, ২:৩৩)
👉 অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা ভবিষ্যত জানেন। তাই শয়তান কোন সময় আকাশের কোন দিকে উঠবে তা তিনি জানেন। ফলে তিনি আগে থেকেই নিয়ম মাফিক উল্কা প্রস্তুত করে রেখেছেন। শয়তান আকাশের কোনো দিকে উঠার সাথে সাথে উল্কাও সেখানে সময় মতো পৌঁছে যায়। এভাবেই শয়তানকে আকাশের কোনোকিছু শ্রবণ করা থেকে বিরত রাখা হয়।
ঠিক এরকম আরকি, পৃথিবীতে অনেক সম্প্রদায়কে আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছেন তাদের পাপের কারণে। এই ধ্বংসের প্রস্তুতি কিন্তু পৃথিবীতে আগে থেকেই হয়ে আসছিল। যখন পাপি সম্প্রদায়ের ধ্বংসের সময় হয়েছিল তখনই পূর্বের প্রস্তুতির ফলে সেই জনপদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কারণ আল্লাহ তায়ালা ভবিষ্যত জানেন। তাই আগে থেকেই সবকিছু করে রেখেছেন যেভাবে কিয়ামতের প্রস্তুতিও মহাবিশ্বে করে রেখেছেন যা সময়মতো হয়ে যাবে অর্থাৎ পৃথিবীতে যখন স্রষ্টার ইবাদাত করার কোন মানুষ ও জ্বিন থাকবে না।
এখানে বিজ্ঞান খোঁজার কিছুই নেই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
"নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী।" (আনফাল, ৮:৩০)
👉 উক্ত (আস-সাফফাত, ৩৭:৬-১০) আয়াতগুলোতে প্রথমে আছে, "নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির সৌন্দর্য্য দ্বারা সুশোভিত করেছি।"
👇👇
এখানে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিসের ইংগিত করছে। আকাশ মানে পৃথিবী বা ভূপৃষ্টের বাইরে যা আছে সবকিছু বোঝায়। নিকটবর্তী বা কাছের আকাশ মানে পৃথিবীর থেকে কাছাকাছি এলাকা। আর এই নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির সৌন্দর্য্য দ্বারা সুশোভিত। অর্থাৎ আকাশের দিকে তাকালে যত তারা দেখতে পায় যেহেতু এগুলোর সৌন্দর্য্যে কারণে আকাশ সুশোভিত মনে হয় তাই এই তারাগুলো পৃথিবী থেকে কাছের এলাকায় বা নিকটবর্তী আকাশেই। অর্থাৎ এই কাছের আকাশেই তারাগুলোর একটি কুন্ডলী বুঝাচ্ছে যা আধুনিক ভাষায় একটা গ্যালাক্সি বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিকে নির্দেশ করে। আর এই গ্যালাক্সির বাইরে অনেক স্থান আছে এবং এর বাইরের তারকারাজি (বা অন্যান্য গ্যালাক্সির তারা) না দেখার ফলে আকাশকে সুশোভিত করে না বা তা কাছের আকাশ বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি থেকে অনেক দূরে। অর্থাৎ উক্ত অংশটি স্পষ্টভাবে তারার একটি কুন্ডলী বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিকে নির্দেশ করছে। একটু গভীর চিন্তা করলেই বুঝবেন।
👆👆
👉 আর এই আয়াতের পরেই বলা হচ্ছে "এবং তাকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে। ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চতুর্দিক থেকে তাদের প্রতি (উল্কা) নিক্ষেপ করা হয়। তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।"
অর্থাৎ কাছের আকাশকে বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিকে সুরক্ষা রেখেছেন শয়তান থেকে। কারণ উর্ধ্ব জগতে বা আকাশে শয়তান যেতে পারে না। কারণ আমরা যত উল্কা দেখি বা আমাদের নাগালে রয়েছে সব এই তারকারাজি দ্বারা সুশোভিত নিকটবর্তী আকাশ বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ভিতরেই রয়েছে। এই গ্যালাক্সির ভিতরেই বিলিয়ন বিলিয়ন উল্কা এদিক ওদিক ছুটে চলছে। ফলে প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ উল্কা পৃথিবীতে প্রবেশ করছে। ফলে শয়তান এই উর্ধ্ব জগত বা পৃথিবীর বাইরে যেতে পারে না। কারণ যেকোনো দিক থেকেই তো উল্কা বা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে ঘর্ষণের ফলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তাদের আঘাত হানবে যা আল্লাহ তায়ালা আগেই নিয়ম মাফিক প্রস্তুত করে রেখেছেন। এটাই উক্ত আয়াতে স্পষ্টভাবে বুঝিয়েছে।
👉 উল্কা কিন্তু প্রথমে জ্বলন্ত থাকে না। প্রচন্ড বেগে বায়ুমণ্ডলের সাথে ঘর্ষণের ফলে জ্বলে উঠে। ফলে শয়তান আকাশে উঠার সাথে সাথে হঠাৎ জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড দেখে তাদের তাড়া করছে এবং তারা মনে করে তা তাদের জন্যে আগেই লুকিয়ে রয়েছে বা পেতে রাখা হয়েছে যা উঠার সাথে সাথে হঠাৎ তাড়া করে।
"(জ্বিনেরা বলল) আমরা (আগে) সংবাদ শুনার জন্য আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে বসতাম, কিন্তু এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে তার উপর নিক্ষেপের জন্য সে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডকে লুকিয়ে থাকতে বা পেতে থাকতে দেখে।" (আল-জ্বিন, ৭২:৯)
👉 তাদের প্রতি লেলিহান অগ্নিশিখা নিক্ষেপ করা হয়। [সহিহ বুখারী, ৪৯২১ (আ.প্র. ৪৫৫২, ই.ফা. ৪৫৫৬)]
এখানে লেলিহান অগ্নিশিখা বলতে জ্বলন্ত উল্কা বুঝাচ্ছে আবার অনেকে ব্যাখ্যা করেছেন সূর্য থেকে যে একধরণের উত্তপ্ত আগুনের মতো শিখ বের হয় যা পৃথিবীর দিকে প্রচন্ড বেগে আসে যদিও বায়ুমণ্ডলের কারণে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হয় না কিন্তু তা শয়তানকে আকাশের সংবাদ শুনতে বাধা দেয়।
👉 আর এটা ভেবে ভুল করবেন না যে উল্কা শুধু শয়তান তাড়ানোর জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। কারণ আল্লাহ তায়ালা একিই সৃষ্টি বিভিন্ন কাজে তৈরি করেন।
👉 রাসূল (সাঃ) আসার আগে কিন্তু শয়তানের উপর উল্কা নিক্ষেপ হতো না বা উল্কা জমিনে প্রবেশ করলেও শয়তানকে ধাওয়া করার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতো না। ফলে পূর্বে শয়তান উর্ধ্ব জগতে যেতে বা সংবাদ শুনতে পারতো।
👉 রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বি’সাতের পূর্বে জ্বিনেরা আকাশের উপর গিয়ে কোন জায়গায় বসে পড়তো এবং কান লাগিয়ে (শুনতো উর্ধ্ব আকাশে ফেরেশতাদের কথাগুলো) এবং একটার সঙ্গে শতটা মিথ্যা মিলিয়ে দিয়ে নিজেদের লোকদেরকে (বা যাদুকর বা গণকদের বা জ্যোতিষীদের) বলতো। অতঃপর যখন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে পয়গম্বর রূপে পাঠানো হলো এবং তার উপর কুরআন কারীম নাযিল হতে শুরু হলো তখন আকাশের উপর কঠোর প্রহরী বসিয়ে দেয়া হলো ঐ শয়তানদের পূর্বের মত সেখানে বসে পড়ার আর সুযোগ রইলো না। যাতে কুরআন কারীম ও গণকদের (বা জ্যোতিষীদের) কথার মধ্যে মিশ্রণ না ঘটে যায় এবং সত্যের সন্ধানীদের কোন অসুবিধা না হয়।
ঐ মুসলমান জ্বিনগুলো তাদের সম্প্রদায়কে বলেঃ “এবং আমরা চেয়েছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করতে; কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিণ্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ। আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শুনার জন্যে বসতাম, কিন্তু এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে তার উপর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডের সম্মুখীন হয়। আর নিশ্চয় আমরা জানি না, যমীনে যারা রয়েছে তাদের জন্য অকল্যাণ চাওয়া হয়েছে, নাকি তাদের রব তাদের ব্যাপারে মঙ্গল চেয়েছেন।”(আল-জীন, ৭২:৮-১০)
[ইবনে কাসির]
অর্থাৎ উল্কা শুধু শয়তান তাড়াবার ক্ষেপাণাস্ত্রের জন্য সৃষ্টি করা হয়নি। কারণ পূর্বেও তো উল্কা পৃথিবীতে প্রবেশ করতো কিন্তু তাদেরকে পাকড়াও করার জন্য প্রবেশ করতো না।
👉 অনেকে এখানে প্যাঁচ ধরতে পারে যে, পূর্বে উল্কা শয়তানকে বিতাড়িত করতো না মানে কি তাহলে পূর্বে উল্কা নিক্ষেপই হতো না, এটা তো অবৈজ্ঞানিক, আর পূর্বে উল্কা পৃথিবীতে প্রবেশ করলে তো শয়তানের উপর কিছু হলেও পড়ার কথা! 😂
কারণ তাদের তো প্যাঁচের শেষ নেই। 😆 এর উত্তর হাদিসেই আছে। 👇
জামে' আত-তিরমিজি
৩২২৪
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এক দল সাহাবীর সঙ্গে বসা ছিলেন। এমন সময় একটি উল্কা পতিত হল এবং আলোকিত হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এরূপ উলকাপাত হতে দেখলে #তোমরা_জাহিলী_যুগে_কি_বলতে? তারা বলল, আমরা বলতাম, কোন মহান লোকের মৃত্যু হবে অথবা কোন মহান লোকের জন্ম হবে (এটা তারই আলামাত)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন লোকের মৃত্যু অথবা জন্মগ্রহণের আলামাত হিসেবে এটা পতিত হয় না, বরং মহা বারাকাতময় ও মহিমান্বিত নামের অধিকারী আমাদের প্রতিপালক যখন কোন আদেশ জারী করেন তখন আরশ বহনকারী ফেরেশতারা তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করেন। তারপর তাদের নিকটতম আসমানের অধিবাসীরা তাসবীহ পড়তে থাকে, তারপর তাদের নিকটতম আসমানের অধিবাসীরা তাসবীহ পড়তে থাকে। এভাবে তাসবীহ ও মহিমা ঘোষণার ধারা এই নিম্নবর্তী আসমানে এসে পৌঁছে যায়। তারপর ষষ্ঠ আসমানের অধিবাসীরা সপ্তম আসমানের অধিবাসীদের প্রশ্ন করেন, তোমাদের প্রতিপালক কি বলেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তারা তাদেরকে ব্যাপারটি জানান। এভাবে প্রত্যেক আসমানের অধিবাসীরা তাদের উপরের আসমানের অধিবাসীদের একইভাবে প্রশ্ন করেন। এভাবে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে এ খবর পৌঁছে যায়। শাইতানেরা এ তথ্য শুনবার জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। #তখন_এদের_উপর_উলকা_ছুঁড়ে_মারা_হয়। এরা কিছু তথ্য এদের সহগামীদের নিকট পাচার করে। এরা যা সংগ্রহ করে তা তো সত্য, কিন্তু তারা এতে কিছু পরিবর্তন ও কিছু বৃদ্ধি ঘটায়।
সহীহঃ মুসলিম (৭/৩৬-৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
👇
সুনানে ইবনে মাজাহ
১৯৪
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
...
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তাদের (ফেরেশতাদের) পারস্পারিক আলোচনা শয়তান ওৎ পেতে শোনে এবং ভূপৃষ্ঠে অবস্থানকারী তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের কাছে তা পৌঁছে দেয়। #কখনো_তা_নিম্নে_অবস্থানকারীদের_কাছে_পৌঁছনোর_পূর্বে_তাদের_প্রতি_উল্কাপিণ্ড_নিক্ষেপ_করা_হয়। শ্রুত কথা তারা পৃথিবীতে এসে গণক বা যাদুকরের মুখে ঢেলে দেয়। আবার কখনো তারা কিছুই শুনতে পায় না, বরং (নিজেদের পক্ষ থেকে) তা গণক ও যাদুকরের মুখে তাদের কথার সাথে শত মিথ্যা যোগ করে ঢেলে দেয়। তাই কেবল সত্য সেটিই হয় যা তারা আসমান থেকে শোনে। [বুখারী ৪৭০১, ৪৮০০, ৭৪৮১; তিরমিযী ৩২২৩, আবূ দাঊদ ৩৯৮৯]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
👆👆
অর্থাৎ হাদিসে আমরা পেলাম পূর্বেও উল্কাপাত হতো এবং এর ফলে মানুষের মাঝে নানা কুসংস্কারও ছিল। রাসূল (সাঃ) এই কুসংস্কার দূর করেছেন। এবং পূর্বেও কখনো কখনো শয়তানের উপর উল্কা নিক্ষেপ করা হতো।
👉 আর এখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে যেটা তারা প্রশ্ন করতে পারে, আকাশে ফেরেশতারা সংবাদ আনয়নের ব্যাপারে অথবা জ্বিনদের ব্যাপারে।
এগুলো হচ্ছে বিশ্বাসের ব্যাপার। তারা (নাস্তিকরা) ফেরেশতা এবং জ্বিন বিশ্বাস করে না। কিন্তু আমরা করি। আর জ্বিনেরা কিন্তু এটা ঠিকই বুঝতে পারছে, তবুও তাদের মাঝেও বেশিরভাগ অমুসলিম। তাই এই বিশ্বাসের ব্যাপারে প্রশ্ন করা যাবে না। এটা যার যার বিশ্বাসের উপর। সত্য জানতে চাইলে আলোচনার জন্য অন্যান্য বিষয় রয়েছে।
👉 তাহলে আমরা পেলাম, উল্কা শুধু শয়তানকে তাড়ানোর জন্য সৃষ্টি করা হয়নি। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি উল্কা দিয়ে শয়তানকেও তাড়ানো হয় যা রাসূল (সাঃ) এর আগমণের সময় থেকে শুরু হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর। এটার ব্যাপারে বিজ্ঞান খোঁজার প্রশ্নই আসে না। কিয়ামতের ময়দানে ঠিকই বুঝতে পারবো এই সত্যগুলো যা আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে বলে গিয়েছেন।


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.