নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাসের কাটাঝুরিঃ মোঃ রাহাত

গল্পে গল্পে নাস্তিক অন্ধ বিশ্বাস
লিখেছেনঃ মোঃ রাহাত
নাস্তিকঃ তা কি Mobile কিনলি, একটু দেখা তো দেখি!
আমিঃ এই নে- দেখ!
নাস্তিকঃ বাহ- দারুণ তো! দাম কতো?🤔
আমিঃ কিনিনি- আমিতো এটা সৌদি আরবের মরুভূমির বালির মধ্যে পেয়েছি!
নাস্তিকঃ 😂😂😂
আমিঃ হাসছিস যে?
নাস্তিকঃ হ্যাঁ মরুভূমির বালুর মধ্যে কি মোবাইল পাওয়া যায়?
আমিঃ কেন যাবে না?
নাস্তিকঃ আচ্ছা তাহলে বল, 'মোবাইলটা ওখানে কোত্থেকে এলো'?
আমিঃ কেন এমনি-এমনি প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হয়েছে!!
নাস্তিকঃ প্রাকৃতিকভাবে কি Android Mobile তৈরি হওয়া সম্ভব! কখনোই সম্ভব না- Impossible.
আমিঃ আচ্ছা বল, এই মোবাইলের Notch Display টা কেমন?
নাস্তিকঃ খুবই সুন্দর!
আমিঃ আচ্ছা Display টা কিসের তৈরী?
নাস্তিকঃ কেন- কাঁচের তৈরী!
আমিঃ আচ্ছা! কাঁচ তৈরী হয় কি দিয়ে জানিস তো?
নাস্তিকঃ হ্যাঁ জানি!
আমিঃ সিলিকন দিয়ে যা আমরা পাই বালির ভেতর!
নাস্তিকঃ তাইবলে এটা কি সম্ভব?
আমিঃ কেন মরুভূমির বালির সিলিকন থেকে কাঁচ হয়ে Notch Display এবং গ্লাসের Back pat তৈরী হয়েছে, আর Function প্রাকৃতিকভাবে হাজার-হাজার বছর ধরে এমনিতেই তৈরী হয়েছে।
নাস্তিকঃ তা বুঝলাম! তবে Android Phone/ফাংশন/Programing/Camera একজন স্রষ্টা ছাড়া তৈরী হওয়া অসম্ভব!
আমিঃ প্রাকৃতিকভাবে যদি এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে, মহাকাশ হতে পারে, গ্রহ-নক্ষত্র, চন্দ্র-সূর্য Auto Setup থাকতে পারে, তাহলে কেন সামান্য এই Android Mobile টা একজন স্রষ্টা ছাড়া তৈরী হওয়া সম্ভব না?
নাস্তিকঃ ইয়ে মানে...😇
আমিঃ ইয়ে মানে কিয়ে?...🤔
নাস্তিকঃ নিশ্চুপ! স্তব্ধ।

======================
নাস্তিকঃ এটাই শতাব্দীর সেরা বই!
আমিঃ তা কি বই শুনি?
নাস্তিকঃ A brief history of universe from Big bang to Black hole.
আমিঃ ও এই বই! হা হা- হাসালি।
নাস্তিকঃ হাসছিস যে, তুই বিশ্বাস করিস না?
আমিঃ হ্যাঁ করি, তবে এসব পুরনো তথ্য।
নাস্তিকঃ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং যে তথ্য দিয়েছে সেটা পুরনো তথ্য মানে?
আমিঃ হ্যাঁ- ওসব পুরনো তথ্য!
নাস্তিকঃ বলিস কি! Black Hole এর তথ্যও তোদের কাছে পুরনো তথ্য- তা কি করে সম্ভব?
আমিঃ আচ্ছা ধর অন্য একটা বইয়ে এই তথ্য ১৪০০+ বছর আগেই দেয়া আছে, তাহলে কোনটা সেরা বই?
নাস্তিকঃ অবশ্যই ওটা, যেটাতে ১৪০০+ বছর আগেই দেয়া আছে। তবে ১৪০০+ বছর আগে এই তথ্য দেয়া কিভাবে সম্ভব যখন কম্পিউটার ছিলো না, টেলিস্কোপ ছিলো না?
আমিঃ হ্যাঁ সম্ভব - যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর কাছে সবই সম্ভব।
নাস্তিকঃ তুই কি বলতে চাচ্ছিস যে, এটা কুরআনে আছে?
আমিঃ yes! of course.
নাস্তিকঃ প্রমাণ দে?
আমিঃ পবিত্র কুরআনে সূরা আল-ওকেয়ার ৭৫ নাম্বার আয়াত
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِمَوٰقِعِ النُّجُوۡمِ
আমি শপথ করছি (Black Hole এর যেখানে) নক্ষত্রসমূহ নিঃশেষ হয়।*
*আরবি শব্দ مواقع শব্দটি موقع এর বহুবচন যার অর্থ, তারকা বা নক্ষত্রগুলো যেখানে গেলে নিঃশেষ হয়ে যায় (that means Black Hole)।
নাস্তিকঃ আরে আরে তাইতো দেখছি!!
আমিঃ তাহলে কোনটা সেরা বই?
নাস্তিকঃ আল-কুরআন।
================================
নাস্তিকঃ 'আল্লাহ' বলতে কিছু আছে এটা থাকা কিভাবে সম্ভব?
রাখালঃ আচ্ছা এটা কি?
নাস্তিকঃ এটা তো উটের 🐪 পায়ের চিহ্ন!
রাখালঃ তুই সিওর তো?
নাস্তিকঃ হ্যাঁ- আমি সিওর!
রাখালঃ এখানে কি উট 🐪 আছে?
নাস্তিকঃ না! এখানে কোনো উট 🐪 নেই!
রাখালঃ উট না দেখে তুই কিভাবে বলছিস যে এটা উটেরই পায়ের চিহ্ন?
নাস্তিকঃ আরে গাধা এটা দেখলেই তো উপলব্ধি করা যায়।
রাখালঃ তুই এই বিরাট মরুভূমির এদিক ওদিকে তাকিয়ে দেখা উট কোথায়?
নাস্তিকঃ হ্যাঁ-এই মূহুর্তে উট আমাদের দৃষ্টির সামনে নেই, তবে উঠের পায়ের চিহ্ন দেখলেই উপলব্ধি করা যায় যে, উট আমাদের দৃষ্টির অন্তরালে অবশ্যই আছে।
রাখালঃ উট দৃষ্টির সামনে নেই! তারপরও উটের পায়ের চিহ্ন দেখে যদি উপলব্ধি করা যায় যে উট আছেই আছে--
তাহলে কেন> এই মহাবিশ্বের নিয়ম, বৈচিত্র্য, এই পৃথিবী, তার বিশাল মরুভূমি, বিস্তৃত মাঠ, সাগর নদীর ঊর্মিমালা, দিগন্তজুড়ে আকাশ ও তাতে চন্দ্র-সূর্য, গ্রহণ-নক্ষত্র দেখে উপলব্ধি করিস না যে অবশ্যই 'আল্লাহ' আছেন?
যুক্তি শুনে নাস্তিক হতভম্ব ।
=================================================
এক নাস্তিক আমাকে বললোঃ আচ্ছা! আধুনিক বিজ্ঞান কোনকিছু আবিষ্কার করার পরে কেনো তোমরা বলো যে এটা কুরআনে আছে! কেনো তোমরা আধুনিক বিজ্ঞান তা আবিষ্কার করার পূর্বেই বলতে পারো না?
আমিঃ চমৎকার প্রশ্ন!
শুনুন! কুরআনে এমন অনেককিছু আছে যা আধুনিক বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি, তা কি জানেন?
নাস্তিকঃ আচ্ছা কয়েকটা তথ্য-উপাত্তের উদাহরণ দাও দেখি, কুরআনে না জানি কি এমন বিজ্ঞান আছে?
আমিঃ
কুরআন বলছে ৭ আকাশের কথা (৭১ঃ১৫)।
কুরআন বলছে সূর্যের Fuel (জ্বালানি) শেষ হয়ে যাচ্ছে (৮১ঃ১)।
কুরআন বলছে পার্থিব সময় ও মহাজাগতিক সময় ভিন্ন (৩২ঃ৫)।
কুরআন বলছে এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে (৫১ঃ৪৭)।
কুরআন বলছে আকাশে কোনপ্রকার ফাটল নেই (৬৭ঃ৪)।
কুরআন বলছে জড় বস্তুর ইবাদত আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হবেনা (১৭ঃ৪৪)।
কুরআন বলছে এই পৃথিবীর বাহিরেও প্রাণের অস্তিত্ব আছে (৪২ঃ২৯)।
কুরআন বলছে আসমান যমীন অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এসেছে (২ঃ১১৭)।
কুরআন বলছে লোহা এই পৃথিবীর নিজস্ব পদার্থ নয় এটা মহা-আকাশের অন্য নক্ষত্র থেকে পৃথিবীতে আসে (৫৭ঃ২৫)।
কুরআন বলছে এই মহাবিশ্বের সবকিছুই একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিভ্রমণ করছে (৩১ঃ২৯)।
আমি এমন আরো অনেক উদাহরণ দিতে পারি যা বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করতেই পারেনি। অথচ মহান আল্লাহ আমাদের তা জানিয়েছেন ১৪০০+ বছর আগেই।
নাস্তিকঃ তোমার উদাহরণ গুলো আমাকে অবাক করলো।
আমিঃ কুরআন আধুনিক বিজ্ঞানের চেয়েও অনেক Advanced. এটা ঐশীগ্রন্থ মহান আল্লাহর বাণী। আপনার উচিৎ এটা বুঝে পড়া।

=====================================

নাস্তিকঃ তুই আল্লাহকে বিশ্বাস করিস?
আমিঃ হ্যাঁ- করি।
নাস্তিকঃ আমি তোর মতো অন্ধবিশ্বাসী নই রে!
আমিঃ অন্ধবিশ্বাসী মানে? 😇
নাস্তিকঃ আমি যা দেখিনা তা 'বিশ্বাস' করি না।
আমিঃ তুই তো অনেক কিছুই না দেখে বিশ্বাস করিস (মানে অন্ধবিশ্বাস)।
নাস্তিকঃ না! আমি কোনকিছু না দেখে অন্ধভাবে বিশ্বাস করি না!
আমিঃ কেন তুই তো অনেক কিছুই না দেখে অন্ধভাবে বিশ্বাস করেই আসছিস! এমনকি আজ অবধি।
নাস্তিকঃ না! আমি কোনকিছু না দেখে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে আসছি না।
আমিঃ আচ্ছা! আমি কি তোকে প্রমাণ দেবো?
নাস্তিকঃ পারলে দে!
আমিঃ আচ্ছা তোর বাবার নাম যেন কি?
নাস্তিকঃ অনীল।
আমিঃ আর তোর মায়ের নাম?
নাস্তিকঃ অনীলা।
আমিঃ বাহ! বেশ মিল দেখছি তো!!
নাস্তিকঃ (মুচকি হেসে) হ্যাঁ-হ্যাঁ 😍 বুঝতে হবে 'বাব+মা' টা কার 😉
আমিঃ আচ্ছা এরাই যে তোর 'বাবা+মা' এ ব্যাপারে তোর বিশ্বাস কতো পারসেন্ট?
নাস্তিকঃ বলিস কি! এ ব্যাপারে আমার বিশ্বাস ১০০% (কেননা তারাই তো আমাকে সেই ছোটবেলা থেকে লালনপালন করছেন, খাওয়াচ্ছেন, পড়াচ্ছেন)
আমিঃ আমি এসব জানতে চাইনি! আমি জানতে চেয়েছি তোর বিশ্বাস কতো পারসেন্ট?
নাস্তিকঃ বললাম না! আমার বিশ্বাস ১০০%
আমিঃ এটাই তো তোর অন্ধবিশ্বাস!
নাস্তিকঃ অন্ধবিশ্বাস-কিভাবে?
আমিঃ আচ্ছা তোর বাবা যখন তোর মায়ের সাথে সঙ্গমে/সহবাসে মিলিত হয়েছিলো তা কি তুই দেখেছিস?
নাস্তিকঃ না! দেখিনি!!
আমিঃ তাহলে তুই কিভাবে বিশ্বাস করলি যে এরাই তোর বাবা+মা?
নাস্তিকঃ ইয়ে মানে...🤔😇
আমিঃ তাহলে তুইতো তোর 'বাবা+মাকে' অন্ধভাবেই বিশ্বাস করিস তাইনা?
নাস্তিকঃ তাইতো! এভাবে তো কোনদিন ভেবে দেখিনি। 🤔🤔

==============================================================
ডেভিড: কিরে রাহাত! শুনলাম তুই নাকি নাস্তিকদের সাথে ডিবেট করিস?
রাহাত: হ্যাঁ!
ডেভিড: আচ্ছা তুই পরকাল বলে যে কিছু আছে এটা আমাকে বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা দে?
রাহাত: শোন ডেভিড! বিজ্ঞান দিয়ে সবকিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব না!
ডেভিড: হা হা... জানতাম তুই পারবি না! বাদদে তোর "পরকাল-টরোকাল" এসব কল্পনাপ্রসূত ধ্যান-ধারণা ছাড়া আর কিছুই না।
রাহাত: আচ্ছা শোন ডেভিড! গতকাল যে বাসে পকেটমার তোর পকেট কেটে মানিব্যাগ নিয়ে গেলো, যাতে তোর মূল্যবান অনেক কিছু ছিলো তাইনা?
ডেভিড: হ্যাঁ! ও আমার অনেক ক্ষতি করেছে!
রাহাত: আচ্ছা ডেভিড! এর জন্য কি পকেটমারের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ নয়- তুই কি বলিস?
ডেভিড: হ্যাঁ, অবশ্যই এর জন্য পকেটমারের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ, কারণ সে আমার পকেট কেটেছে।
রাহাত: আচ্ছা ডেভিড! ''পকেট কাটার জন্য পকেটমারের শাস্তি হওয়া উচিৎ'' তুই এইটা আমাকে একটু বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা দে?
ডেভিড: ইয়ে মানে..ইয়ে.. এটা তো বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।
রাহাত: ক্যান খুবতো পারিস! স্টিফেন হকিং, ডারউইনের মত নাস্তিক বিজ্ঞানীদের সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা দে দেখি?
ডেভিড: না'রে রাহাত! সত্যি বলতে পৃথিবীর কোনো বিজ্ঞানের সূত্র দিয়ে এটা ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব না।
রাহাত: এইজন্যই তো তোকে বললাম যে পরকাল বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করার বিষয় নয়। এটা ঈমানের তথা বিশ্বাসের বিষয়।
ডেভিড: তাহলে নাস্তিকরা যে পরকালে বিশ্বাস করে না? এ ব্যাপারে তুই কি বলবি?
রাহাত: শোন! নাস্তিকরা হচ্ছে মায়ের পেটের ভেতরের ঐ শিশুর মতন যে প্রসব পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করে না।
ডেভিড: চমৎকার যুক্তি হা হা, তুই ঠিকই বলেছিস।







No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.