সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবে যায় ?
প্রশ্নঃ সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবে যায় ?
জবাবঃ
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে যে , সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবে যায় । কিন্তু এটি তো সাইন্টিফিকালি ভুল । আসলে কুরআনে কি বলা হয়েছে দেখে নেয়া যাক ।
পবিত্র কুরআনের সুরা কাহাফের ৮৬ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে ,
⦁ حَتَّىٰ إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ وَوَجَدَ عِنْدَهَا قَوْمًا ۗ قُلْنَا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِمَّا أَنْ تُعَذِّبَ وَإِمَّا أَنْ تَتَّخِذَ فِيهِمْ حُسْنًا
⦁ চলতে চলতে যখন সে সূর্যাস্তের স্থানে পৌঁছল, তখন সে সূর্যকে অস্বচ্ছ জলাশয়ে ডুবতে দেখল আর সেখানে একটি জাতির লোকেদের সাক্ষাৎ পেল। আমি বললাম, ‘হে যুলকারনাইন! তুমি তাদেরকে শাস্তি দিতে পার কিংবা তাদের সঙ্গে (সদয়) ব্যবহারও করতে পার।’ [ ১ ]
এই আয়াতে যে আরবি শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে সেটা হল ( وَجَدَ ) ওয়াজাদা । যার অর্থ সে পেল বা দেখতে পেল । তাই আল্লাহ তায়ালা শুধু এতটুকু বর্ণনা করেছেন যা জুলকারনাইন দেখতে পেয়েছে । আল্লাহ নিজে বলেন নি জুলকারনাইনের অভিজ্ঞতাকে আল্লাহ কুরাআনে তুলে ধরেছেন । এই আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে প্রখ্যাত ইসলামিক দাঈ ডাক্তার জাকির নায়েকের উদাহরণ দেয়া যায় ,
ধরুন স্কুলে শিক্ষক ছাত্রের মাঝে কথোপকথন হচ্ছে ,
শিক্ষক - " আই ছেলে বল ২+২ = কত ? "
ছাত্র - " জি ২+২ = ৫ । "
ছাত্রের এই জবাবে ক্লাসের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীরা হাসা হাসি শুরু করলো । এবং শিক্ষক নিজেও হাসলেন । শিক্ষক তার এই অভিজ্ঞতা উনার প্রকাশিত বইয়ে উল্লেখ করলেন । এই দেখে কেউ যদি বলে " আরেহ !! শিক্ষক মানুষ হয়ে ভুল করলে চলে ? উনি কেমন শিক্ষক ? "
তাহলে এখানে দোষ কার শিক্ষকের নাকি যে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে শিক্ষকের উপর তার ? অবশ্যই অভিযোগকারীর । ঠিক তেমনি আল্লাহ জুলকারনাইনের অভিজ্ঞতা কুরআনে উল্লেখ করেছেন এর ছাড়া আর কিছুই না ।
এখন দ্বিতীয় প্রশ্নে আসা যাক যে , আচ্ছা জুলকারনাইন দেখেছে যে , সূর্য অস্বচ্ছ জলাশয়ে ডুবে যাচ্ছে । কিন্তু সূর্য আবার অস্বচ্ছ জলাশয়ে ডুবে কিভাবে ? তাহলে শুনুন কুরআনের এই আয়াতে যে শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে সেটা হচ্ছে , ( مَغْرِبَ ) মাগরিবা যার অর্থ হচ্ছে যে সময় সূর্য অস্তমিত হতে থাকে । সেটা হতে পারে সন্ধ্যা ৭ টায় , হতে পারে ৫.৩০ মিনিটে । অর্থাৎ এককথায় কালভেদে এটি নির্ধারিত হয় । আমরা যদি মাগরিবের সময় কোন জলাশয় বা কোন সমুদ্র তটের দিকে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে থাকি তাহলে সেই মুহূর্তে জলাশয় বা সমুদ্রটাকে অস্বচ্ছই মনে হবে । নিচের সূর্যাস্তের ছবি দেয়া হল ,
এখানে স্পষ্ট সূর্যাস্তের সময় সমুদ্রকে অস্বচ্ছ লাগছে । এই আয়াতকে মুফাসসির রা অনেকভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন । যেমন ,
তাফসির ইবনে কাসির এ বলা হয়েছে যে ,
⦁ শেষ পর্যন্ত তিনি সূর্যের অস্তগমন স্থানে পৌছে গেলেন। এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, এর দ্বারা আকাশের ঐ অংশকে বুঝানো হয় নাই যেখানে সূর্য অস্তমিত হয়। কেননা, সেখান পর্যন্ত পৌঁছানো কারো পক্ষেই সম্ভবপর নয়। কেননা সূর্য চতুর্থ আসমানে । ব রং তিনি ওর ঐ পার্শ্ব পর্যন্ত পৌঁছেন যে পর্যন্ত পৌঁছানো মানুষের পক্ষে সম্ভব। কতকগুলি কাহিনী যে প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে যে, তিনি সূর্য অস্তগমনের স্থান অতিক্রম করে গিয়েছিলেন এবং সূর্য তার পেছন অস্তমিত হতো এটা একেবারে ভিত্তিহীন কথা এবং আহলে কিতাবের মনগড়া কথা । মোট কথা, যখন তিনি পশ্চিম দিকের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে যান তখন এরূপ মনে হলো যে, যেন সূর্য প্রশান্ত মহাসাগরে অস্ত যাচ্ছে। কেউ যদি সমুদ্রের তীরে দাড়িয়ে সূর্যকে অস্ত যেতে দেখে তবে বাহ্যিক দৃষ্টিতে তার এরূপই মনে হবে যে, ওটা যেন পানির মধ্যেই ডুবে যাচ্ছে। অথচ সূর্য রয়েছে আরও উপরে এবং সূর্য তার কক্ষপথেই বিরাজ করে । [ ২ ]
এটা অবশ্যই হাস্যকর বিষয় এই যে , আজ থেকে ১২৪৪ বছর আগের ইবনে কাসির এটা বুঝে গেল কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানমনস্ক ভাইজানেরা বুঝতে পারলো না । এইটা দিয়েই তাদের জ্ঞানের লেভেল মাপা যায় । আবার তাফসিরে আহসানুল বায়ানে বলা হয়েছে ,
⦁ وَجَد অর্থঃ পেল, দেখল বা অনুভব করল। অর্থাৎ, যুলক্বারনাইন দেশের পর দেশ জয় করে যখন পশ্চিম প্রান্তে শেষ জনপদে পৌঁছলেন। সেখানে কাদাময় পানির ঝরনা বা সমুদ্র ছিল; যেটা নীচে থেকে কালো মনে হচ্ছিল। তাঁর মনে হল, যেন সূর্য ঐ পানিতে অস্ত যাচ্ছে। সমুদ্র-তীর থেকে বা দূর থেকে সেখানে পানি ব্যতীত আর কিছু দেখা যায় না, সেখানে যারা সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করবে তাদের মনে হবে যেন সূর্য সমুদ্রেই অস্ত যাচ্ছে অথচ সূর্য মহাকাশে স্বস্থানেই অবস্থান করে। [৩]
সূর্যের কক্ষপথ সম্পর্কেও কুরআন ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছেন যে ,
⦁ وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ ۖ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
⦁ আর তিনিই রাত ও দিন এবং সূর্য ও চাঁদ সৃষ্টি করেছেন; সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে। [৪ ]
⦁ وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
⦁ আর সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট পথে, এটা মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ (আল্লাহ)-র নির্ধারণ। [ ৫ ]
এই উপরোক্ত আলোচনা থেকেই বিজ্ঞানমনস্কদের সংকীর্ণ চিন্তাধারার পরিচয় মেলে ।
এছাড়া অনেকে এই হাদিস দিয়ে প্রমাণ করতে চাইবেন যেখানে বলা হচ্ছে ,
ইয়াযিদ বিন হারুন - সুফিয়ান বিন হুসাইন - আল হাক্কাম বিন উতাইবা - ইব্রাহীম বিন ইয়াযিদ - ইয়াযিদ আল তাইমি - আবু যর
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে একই গাধার পিঠে বসা ছিলাম, তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি জানো, এটা কোথায় অস্তমিত হয়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেনঃ “এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়” (সূরাহ কাহ্ফঃ ৮৬) [ 6 ]।
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে একই গাধার পিঠে বসা ছিলাম, তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি জানো, এটা কোথায় অস্তমিত হয়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেনঃ “এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়” (সূরাহ কাহ্ফঃ ৮৬) [ 6 ]।
এর জবাব হচ্ছে ,
হাদিসটির এই অংশটুকু ‘‘এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়’' গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও হাদিস টি সহিহ তবুও হাদিসের উসুলের নিয়মানুযায়ী এই হাদিস এর চেয়ে অথেনটিক হাদিস হচ্ছে অন্যটি যা সহিহ বুখারিতে এসেছে । যেমন সহিহ বুখারীতে এমন একটা বর্ণনায় এসেছে,
এই সম্পর্কিত আরেকটি হাদিস যেটা সহীহ বুখারিতে এসেছে সেটা হলঃ
তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য অস্ত যাবার সময় আবূ যার (রাঃ)-কে বললেন, তুমি কি জান, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নীচে গিয়ে সাজ্দাহয় পড়ে যায়। অতঃপর সে আবার উদিত হবার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। আর শীঘ্রই এমন সময় আসবে যে, সিজ্দা করবে কিন্তু তা কবূল করা হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে, যে পথ দিয়ে আসলে ঐ পথেই ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত হয়— এটাই মর্ম হল মহান আল্লাহর বাণীরঃ ‘‘আর সূর্য নিজ গন্তব্যে (অথবা) কক্ষ পথে চলতে থাকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ [7]।’’
হাদিসটির বিশ্লেষণঃ
প্রথমত আবু যর রাঃ থেকে যে হাদিস বর্ণনা হয় সেটা আবু যর রাঃ সহিহ বুখারিতে নিজের থেকে বর্ণনা করেছেন পক্ষান্তরে সুনানে আবু দাউদে যে হাদিস এসেছে সেটাও আবু যর রাঃ ই বর্ণনা করেছেন ভিন্নি ৬ জন রাবী থেকে উল্লেখ্য তিনি নিজের থেকে নয় ভিন্ন ছয়জন রাবী থেকে বর্ণনা করেছেন । তাই বুখারির হাদিসটি বেশি অথেনটিক ।
⦁ সহিহ বুখারির হাদিসে ‘‘এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়’' এই কথাটি নেই । কিন্তু সুনানে আবু দাউদে আছে । এবং দুটির মানই সহিহ । কিন্তু সহিহ হবার সত্ত্বেও হাদিসের উসুলের ক্ষেত্রে এই হাদিস অর্থাৎ আবু দাউদের সেই হাদিস যেখানে বলা হয়েছে ‘‘এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়’' সেই হাদিস গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে । কেননা আবু দাউদের হাদিসে শুধু মাত্র একটি রাবী পাওয়া যায় নাম ( আবু যর ) । পক্ষান্তরে বুখারিতে পাঁচটি আলাদা রাবী পাওয়া যায় যারা কিনা ঠিক সেই হাদিসটিই বর্ণনা করেছেন যা আমরা সহিহ বুখারিতে দেখতে পাই । [ 8 ]
⦁ ইউনুস বিন উবাইদ এবং আরও ছয়জন আলাদা রাবী সেই একই হাদিস টি বর্ণনা করেন । যা সহিহ মুসলিম এর মাঝে পাওয়া যায় । [9]
⦁ এছাড়া মুসা বিন আল মুসাইয়াব আল সাকাফি থেকে আবদাহ বিন সুলাইমান বর্ণনা করেন এবং তারাও ঠিক সেই হাদিসটিই বর্ণনা করেছেন যা আমরা সহিহ বুখারিতে দেখতে পাই । [10]
⦁ হারুন বিন সা'দ বর্ণনা করেনঃ আব্দুল গাফফার বিন আল কাসিম তাঁর থেকে বর্ণনা করেন এবং তাঁরা ঠিক সেই হাদিসটিই বর্ণনা করেছেন যা আমরা সহিহ বুখারিতে দেখতে পাই । [11]
অর্থাৎ ছোট করে এককথায় যদি বলতে যাই তাহলে আমরা এই হাদিসের মোট ৬ জন আলাদা রাবী এই হাদিসটি ইব্রাহীম বিন ইয়াযিদ থেকে বর্ণনা করেন । এবং সেই ছয়জনের মাঝে ১ জন অর্থাৎ আল হাক্কাম বিন উতাইবা থেকে মাত্র ১ জন হাদিস বর্ণনা করেন তাঁর নাম হল সুফিয়ান বিন হুসাইন । আর কেউ আল হাক্কাম বিন উতাইবা থেকে হাদিস বর্ণনা করেন নি । আর সেই হাক্কাম বিন উতাইবা আর সুফিয়ান বিন হুসাইন এই দুজনই শুধু এই কথাটি উল্লেখ্য করেছেন যে , ‘‘এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয় । ’' পক্ষান্তরে য়ার পাঁচ জন রাবী আছেন যাদের থেকে মোট ১১ জন হাদিস বর্ণনা করেছেন ।
অর্থাৎ এক কথায় ৬ জন রাবীর থেকে বিভিন্ন রাবীর মাধ্যমে মোট ১৩ টি বর্ণনা পাওয়া যায় । আর সেই ১৩ টির মধ্যে মাত্র দুজন এই কথাটি উল্লেখ্য করেছেন ‘‘এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয় । ’' পক্ষান্তরে বাকি ১১ জনই এই কথাটি উল্লেখ্য করেন নি । তাই বুখারির হাদিস টি বেশি গ্রহণযোগ্যটা পায় । নিচের চিত্রটি দেখুন এখানে লাল দাগ দেয়া যে দুজন রাবী দেখা যাচ্ছে শুধু তাঁরাই এই অংশটি উল্লেখ্য করেছেন ‘‘এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয় । ’' আর বাকি ১১ জনই এই কথাটি উল্লেখ্য করেন নি ।
https://bit.ly/2GYEFmi - ছবিটি দেখুন
অর্থাৎ এই বর্ণনাটি ( ‘‘এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয় । ’' ) Defective বা আরবিতে যাকে মুয়াল্লাল বলা হয় । এখন অনেকে আমাকে মাতুব্বর বলে আখ্যায়িত করে বলবে যে , আমি নাকি সহিহ হাদিস কে বাতিল বানিয়ে দিয়েছি । কিন্তু সহিহ হাদিসের ক্ষেত্রে অর্থাৎ হাদিসের ইসনাদের সম্পর্কে হাফিয ইবনে সালাহ বলেন ,
⦁ “The sahih (sound) hadith is a “supported” hadith (al-hadith al-musnad), the isnad of which coheres continuously through the transmission of one upright and accurate person from another up to its point of termination. The sound hadith can be neither anomalous (shaadh) nor defective (mu’allal),[12]”
এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে , হাদিসের সনদ কখনো হাদিসের সত্যতা প্রকাশ করেনা এর পিছে হাদিসের উসুলের অনেক বড় গুরুত্ব আছে । এছাড়া এখন আরেকটি দলিল দিচ্ছি যা দেখার পর সবকিছু পানির মত স্বচ্ছ হয়ে যাবে । অর্থাৎ এই অংশযুক্ত হাদিস যিনি বর্ণনা করেছেন " এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয় । ’' এই হাদিসের রাবী সম্পর্কে মুহাম্মাদ ইবনে সা'দ বলেন ,
⦁ “He was reliable (but) he made many mistakes in his narrations.[13]”
অর্থাৎ সে বিশ্বস্ত হবার সত্ত্বেও সে হাদিসে অনেক ভুল করতো আশা করি উত্তর টি পেয়েছেন ।
তথ্যসূত্রঃ
1. সুরা কাহাফ আয়াত ৮৬
2. তাফসির ইবনে কাসির / সুরা কাহাফ আয়াত ৮৬
3. তাফসিরে আহসানুল বায়ান / সুরা কাহাফ আয়াত ৮৬
4. সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩৩
5. সুরা ইয়াসিন আয়াত ৩৮
6. সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০০২
7.সহিহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নাম্বার ৩১৯৯
8.দেখুন সহিহ বুখারি
9. দেখুন সহিহ মুসলিম
10. Al-‘Uzmah of Abu al-Shaykh al-Asbahani 4/1189
11. Al-‘Uzmah of Abu al-Shaykh al-Asbahani 4/1191 and Al-Tabarani’s Mu’jam Al-Awst, Hadith 4470
12. An Introduction to the Science of Hadith, p.5
13. Tabaqat al-Kubra, Dar al-Kotob al-Ilmiyya, Beirut, 1990, vol.7 p.227 No. 3417
2. তাফসির ইবনে কাসির / সুরা কাহাফ আয়াত ৮৬
3. তাফসিরে আহসানুল বায়ান / সুরা কাহাফ আয়াত ৮৬
4. সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩৩
5. সুরা ইয়াসিন আয়াত ৩৮
6. সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০০২
7.সহিহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নাম্বার ৩১৯৯
8.দেখুন সহিহ বুখারি
9. দেখুন সহিহ মুসলিম
10. Al-‘Uzmah of Abu al-Shaykh al-Asbahani 4/1189
11. Al-‘Uzmah of Abu al-Shaykh al-Asbahani 4/1191 and Al-Tabarani’s Mu’jam Al-Awst, Hadith 4470
12. An Introduction to the Science of Hadith, p.5
13. Tabaqat al-Kubra, Dar al-Kotob al-Ilmiyya, Beirut, 1990, vol.7 p.227 No. 3417
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.