আয়শা বলতেন, নবীর কামনা অনুসারে আল্লাহ ত্বড়িৎ আয়াত নাজিল করতেন?

কুরান কেন পর্যায়ক্রমে নাজিল হল? আল্লাহ কেন তড়িৎ আয়াত নাজিল করলেন? 
লিখেছেনঃ আফিফ আলী সাদাফ
------------------------------------------------------
নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরা বেশ কিছু অভিযোগ করেন এবং তারা বলেন কেন আল্লাহ ২৩ বছর লাগালেন এবং এক হাদিস আছে যেখানে বলা হচ্ছে আল্লাহ তড়িৎ আয়াত নাজিল করেছেন আয়েশা রাঃ এর থাকাকালীন সময়ে। এটাতে কি প্রকাশ পায়না যে মুহাম্মাদ সাঃ নিজ সুবিধা পুরো করার জন্য তরিঘরি করে আয়াত নাজিল করতেন? (নাউযুবিল্লাহ)
মূলত কুরান নাজিল হয়েছে পর্যায়ক্রমে এর কারণ হল প্রেক্ষাপট জানা কেননা কোন আয়াত কি কারণে রহিত হয়েছে বা কি কারণে নাজিল হয়েছে সেই কারণ না জানলে ইবেকেই বিভ্রান্ত হবে। উদাহরণ হিসেবে যদি বলা যাক কুরানে বলা আছে,
9:5
فَاِذَا انۡسَلَخَ الۡاَشۡہُرُ الۡحُرُمُ فَاقۡتُلُوا الۡمُشۡرِکِیۡنَ حَیۡثُ وَجَدۡتُّمُوۡہُمۡ وَ خُذُوۡہُمۡ وَ احۡصُرُوۡہُمۡ وَ اقۡعُدُوۡا لَہُمۡ کُلَّ مَرۡصَدٍ ۚ فَاِنۡ تَابُوۡا وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّکٰوۃَ فَخَلُّوۡا سَبِیۡلَہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۵﴾
Bengali - Bayaan Foundation
অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
এই আয়াত স্পষ্ট বলা হচ্ছে যে অমুসলিমদের যেখানে পাও হত্যা করো। এখন এইয়ায়াত যদি আমরা প্রেক্ষাপট ছাড়া বিবেচনা করি সেক্ষেত্রে ইসলাম কে অনেকে বর্বরতার চোখেই দেখবে অথচ এই আয়াতের প্রেক্ষাপট হল, যে অমুসলিমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছিল এবং অযথা ফাসাদ তৈরী করেছিল। এই কারণেই কুরান বিভিন্ন প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নাজিল হয়।
এখন অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারে যে, তাহলে কি কুরান সেই সময়ের জন্যই ছিল?
এর উত্তর হচ্ছে না এই আয়াত দিয়ে শিক্ষনীয় হল যে অমুসলিমরা যদি চুক্তিবদ্ধ হয় হঠাৎ চুক্তি ভঙ্গ করে সেক্ষেত্রে আমরাও এরকম করবো।
আর এভাবেই মুসলিমরা কুরান বুঝে থাকে তবে কেউ যদি প্রেক্ষাপট না বুঝেই এভাবে কুরান পড়ে সেক্ষেত্রে তার জঙ্গি হওয়া ছাড়া উপায় নাই। সেক্ষেত্রে আয়েশা রাঃ এর বেলায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কেন তড়িৎ আয়াত নাজিল করলেন সেইক্ষেত্রেই ব্যাপারটা প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা দরকার, আসুন সেই হাদিসে কি বলা আছে দেখে নেয়া যাক।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যে সমস্ত নারীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজেদেরকে দান করত এবং বিয়ে করত, আমি তাদের প্রতি ঈর্ষাণ্বিত হতাম। আমি বলতাম, একজন মহিলা কি করে নিজেকে দান করতে পারে? কিন্তু যখন এ আয়াত নাযিল হল, তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম, আমি দেখছি আপনার রব আপনার ইচ্ছা অনুসারেই তা করেছেন। [বুখারী: ৫১১৩; মুসলিম: ১৪৬৪]
এই হাদিসকে কেন্দ্র করে অনেকে প্রশ্ন তুলে যে রাসুল সাঃ এর চরিত্রে সমস্যা ছিল তিনি নিজ সুবিধার জন্য নিজে নারী ভোগ করার জন্য এইসব আয়াত নিজের থেকে বলেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) আসুন এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক
১ম পয়েন্ট
------------------------
উক্ত হাদিসের ব্যাপারে তাফসীরে ডঃ আবু বকর যাকারিয়া তে বলা আছে,
[২] মুজাহিদ ও কাতাদাহ বলেন, এর অর্থ আপনার স্ত্রীদের কাউকে যদি তালাক ব্যতীতই আপনি দূরে রাখতে চান, অথবা যাদেরকে দূরে রেখেছেন তাদের কাউকে কাছে রাখতে চান, তবে সেটা আপনি করতে পারেন। এতে কোন অপরাধ নেই। [তাবারী; আত-তাফসীরুস সহীহ]
[৩] অর্থাৎ কাতাদাহ বলেন, তারা যখন জানতে পারবে যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূলের জন্য বিশেষ ছাড়, তখন তাদের অন্তরের পেরেশানী ও দুঃখ কমে যাবে এবং তাদের অন্তর পবিত্র হয়ে যাবে। [তাবারী]
এইখানে দেখা যাচ্ছে যে, রাসুল সাঃ এর জন্য সেটা বিশেষ ছাড় ছিল। আমি এতটুকু শিওর যে এই টা দেখে নাস্তিক ধর্মের লোকেরা আরও হাসি ঠাট্টা করবে। কিন্তু এওখানে আরেকটি প্রশ্ন রয়ে যায় আর সেটি হল রাসুল সাঃ এই সুযোগ পাবার পরেও কি তা করেছেন তিনি? নাকি উনি সমান অধিকার সবাইকে দিয়েছিলেন?
২য় পয়েন্ট - মুহাম্মাদ সাঃ কি সুযোগ পাবার পরেও এরকম করেছিলেন?
------------------------------------------------------------
রাসুল সাঃ এর জন্য বিশেষ ছাড় থাকা সত্ত্বেও রাসুল সাঃ সবার ক্ষেত্রে সমতা দিয়েছিলেন আসুন এই ব্যাপারে ইবনে কাথিরের সম্পুর্ন তাফসীর টি পড়ে নেয়া যাক।
ইবনে কাথির -
------------------
হযরত উরওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আয়েশা (রাঃ) ঐ সব মহিলাকে অবজ্ঞা করতেন যাঁরা নিজেদেরকে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট হিবা করে দিয়েছিলেন। তিনি বলতেন যে, নারীরা বিনা মহরে নিজেকে হিবা করতে লজ্জা বোধ করে না? অতঃপর আল্লাহ তাআলা (আরবি) আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। তখন তিনি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলেনঃ “আমি দেখি যে, আপনার চাহিদার ব্যাপারে প্রশস্ততা আনয়ন করেছেন। (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারীও (রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যা ইতিপূর্বে গত হয়েছে) সুতরাং বুঝা গেল যে, এই আয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য এই মহিলারাই। এদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে যে, তিনি যাকে ইচ্ছা কবূল করবেন এবং যাকে ইচ্ছা কবুল করবেন না। এর পরেও তাঁকে অধিকার দেয়া হয়েছে যে, যাদেরকে তিনি কবুল করেননি তাদেরকেও ইচ্ছা করলে পরে কবুল করে নিতে পারেন।
হযরত আমের শাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) যাদেরকে দূরে রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে উম্মে শুরায়েকও (রাঃ) ছিলেন।
এই বাক্যের একটি ভাবার্থ এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, স্ত্রীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে অধিকার দেয়া হয়েছিল যে, তিনি ইচ্ছা করলে তাঁদের মধ্যে (পালা) ভাগ-বাটোয়ারা করে দিতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে তা নাও করতে পারেন। যাকে ইচ্ছা আগে করতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা পিছে করতে পারেন। কিন্তু এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর সারাটি জীবন স্ত্রীদের মধ্যে পুর্ণ আদল ও ইনসাফের সাথে (পালা) ভাগ-বাটোয়ারা করে গেছেন। ফকীহদের মধ্যে ইমাম শাফেয়ী (রঃ) এ মত পোষণ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর (পালার) সমতার বণ্টন ওয়াজিব ছিল। হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরেও স্ত্রীর পালার দিনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাদের কাছে অনুমতি চাইতেন।” বর্ণনাকারী মুআয (রাঃ)। তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ “আপনি কি বলতেন?” উত্তরে তিনি বলেন, আমি বলতামঃ এটা যদি আমার প্রাপ্য হয়ে থাকে তবে আমি অন্য কাউকেও আমার উপর প্রাধান্য দিতে চাইনে। (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
সুতরাং সঠিক কথা যা অতি উত্তম এবং যার দ্বারা এই উক্তিগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্যতাও এসে যায়, তা এই যে, আয়াতটি সাধারণ। নিজেকে নিবেদনকারী ও রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর স্ত্রীরা সবাই এর আওতায় পড়ে যায়। নিজেদেরকে হিবাকারিণীদের ব্যাপারে তাদেরকে বিয়ে করা ও না করা এবং বিবাহিতা স্ত্রীদের মধ্যে (পালা) বণ্টন করা বা না করা তাঁর ইচ্ছাধীন ছিল।
এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ এই বিধান এই জন্যে যে, এতে তাদের তুষ্টি সহজতর হবে এবং তারা দুঃখ পাবে না, আর তুমি তাদেরকে যা দিবে তাতে তাদের প্রত্যেকেই প্রীত থাকবে। অর্থাৎ তারা যখন জানতে পারবেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর পালা বণ্টন জরুরী নয় তবুও তিনি সমতা প্রতিষ্ঠিত রাখছেন তখন তাঁরা তাঁর প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হবেন এবং তার কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য প্রকাশ করবেন। তারা তার ইনসাফকে মুবারকবাদ জানাবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন। অর্থাৎ কার প্রতি কার আকর্ষণ আছে তা আল্লাহ ভালরূপেই অবগত আছেন। যেমন হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ন্যায় ও ইনসাফের সাথে তার স্ত্রীদের মধ্যে (পালা) বণ্টন করতেন। অতঃপর তিনি বলতেনঃ (আরবি)
অর্থাৎ “হে আল্লাহ! যা আমার অধিকারে ছিল তা আমি করলাম, এখন যা আপনার অধিকারে আছে, কিন্তু আমার অধিকারে নেই সেজন্যে আপনি আমাকে তিরস্কার করবেন না।”
৩য় পয়েন্ট
------------------
এতক্ষন যে আয়াত নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সেটা ছিল সুরা আহযাবের ৫১ নম্বর আয়াত কিন্তু ৫২ নম্বর আয়াতে বলা হচ্ছে,
33:52
لَا یَحِلُّ لَکَ النِّسَآءُ مِنۡۢ بَعۡدُ وَ لَاۤ اَنۡ تَبَدَّلَ بِہِنَّ مِنۡ اَزۡوَاجٍ وَّ لَوۡ اَعۡجَبَکَ حُسۡنُہُنَّ اِلَّا مَا مَلَکَتۡ یَمِیۡنُکَ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ رَّقِیۡبًا ﴿٪۵۲﴾
Bengali - Bayaan Foundation
এরপর তোমার জন্য (এদের অতিরিক্ত) অন্য স্ত্রী গ্রহণ হালাল নয় এবং তোমার স্ত্রীদের (তালাক দিয়ে) পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয়, যদিও অন্যদের সৌন্দর্য তোমাকে বিমোহিত করে; তবে তোমার মালিকানাধীন দাসী ছাড়া। আর আল্লাহ সকল কিছুর উপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন।
এই আয়াতের তাফসীরে বলা আছে,
তাফসীর ডঃ আবু বকর যাকারিয়া
------------------------------------------------
ইবন আব্বাস, মুজাহিদ, দাহহাক, কাতাদাহ সহ অনেক আলেমের নিকট এ আয়াতটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের পুরষ্কারস্বরূপ নাযিল হয়েছিল। তারা যখন দুনিয়ার সামগ্ৰীর উপর আখেরাতকে প্রাধান্য দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কষ্টকর জীবন বেছে নিয়েছিলেন, তখন আল্লাহ তাদেরকে এ আয়াত নাযিল করে তাদের অন্তরে খুশীর প্রবেশ ঘটালেন। [ইবন কাসীর] তবে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর আগেই আল্লাহ তার জন্য বিয়ে করা হালাল করে দিয়েছেন। এ হিসেবে এ আয়াতটি পূর্বের ৫১ নং আয়াত দ্বারা রহিত। এটি মৃত্যু জনিত ইদ্দতের আয়াতের মতই হবে, যেখানে তেলাওয়াতের দিক থেকে আগে হলেও সেটি পরবর্তী আয়াতকে রহিত করেছে। [ইবন কাসীর]
আর মূল পয়েন্ট এইখানেই যে, নাস্তিকদেত মতে রাসুল সাঃ নিজে একাধিক স্ত্রী নিয়ে থাকার জন্য নিজ থেকে আয়াত বানিয়েছিলেন (নাউযুবিল্লাহ)
আর এই আয়াত সুরা আহযাবের ৫২ নম্বর আয়াতের তাফসীর পড়লেই সম্পুর্ন ব্যাপার সমাধান হয়ে যাবে,
ইবনে কাথির -
------------------------
পূর্ববর্তী আয়াতগুলোতে এটা গত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সহধর্মিণীরা ইচ্ছা করলে তার বিবাহ বন্ধনে থাকতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে পৃথক হয়ে যেতে পারেন এ অধিকার তিনি তাদেরকে প্রদান করেছিলেন। কিন্তু মুমিনদের মাতারা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর অঞ্চল ছেড়ে দেয়া পছন্দ করেননি। এ কারণেই আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তারা পার্থিব একটি প্রতিদান এই লাভ করলেন যে, এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে নির্দেশ দিলেনঃ এরপর তোমার জন্যে কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে বিস্মিত করে। তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এই বিধান প্রযোজ্য নয়। পরে অবশ্য আল্লাহ তাআলা তার উপর থেকে এই বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে নিয়েছিলেন এবং তাঁকে আরো বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এরপরে আর কোন বিয়ে করেননি। এ বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে নেয়া এবং এতদসত্ত্বেও তা না করার মধ্যে এক বড় যৌক্তিকতা এই ছিল যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর এই ইহসান তাঁর স্ত্রীদের উপর রয়েছে। যেমন আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইন্তেকাল করেননি যে পর্যন্ত না আল্লাহ তাআলা অন্যান্য স্ত্রী লোকদেরকেও তার জন্যে হালাল করেছেন। (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (রঃ) ও ইমাম নাসাঈও (রঃ) এটা বর্ণনা করেছেন)
সিদ্ধান্তঃ
------------
রাসুল সাঃ যদি নারী ভোগের জন্য নিজ থেকেই আয়াত রচনা করতেন তাহলে এই আয়াত নাজিল হবার পরে তিনি কেন আরও বিয়ে করেন নি? কেন আরও স্ত্রী বাড়িয়ে দেন নি? কেনই বা পুর্ববর্তী স্ত্রীদের নিয়েই ছিলেন? এর উত্তর নাই তাই নাস্তিক লজিক - 404 Error ।


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.