মুহাম্মাদ সাঃ এর মাতা - পিতা কেন জাহান্নামি?
মুহাম্মাদ সাঃ এর পিতা - মাতা জাহান্নামি - আল্লাহর মহান বিচার এবং নাস্তিকদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড
------------------------------------------------------
------------------------------------------------------
মুহাম্মাদ সাঃ এর মাতা - পিতা কেন জাহান্নামি?
লিখেছেনঃ আফিফ আলী সাদাফ
------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------
এক হাদিসে বলা আছে,
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [394] অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৮২. কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী জাহান্নামী; সে কোন শাফায়াত পাবে না এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভকারী বান্দার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কও তার উপকারে আসবে না
৩৯৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। জনৈক ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা কোথায় আছেন (জান্নাতে না জাহান্নামে)? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জাহান্নামে। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি যখন পিছনে ফিরে যাচ্ছিল, তখন তিনি ডাকলেন এবং বললেনঃ আমার পিতা এবং তোমার পিতা জাহান্নামে।”
হাদিস নম্বরঃ [394] অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৮২. কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী জাহান্নামী; সে কোন শাফায়াত পাবে না এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভকারী বান্দার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কও তার উপকারে আসবে না
৩৯৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। জনৈক ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা কোথায় আছেন (জান্নাতে না জাহান্নামে)? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জাহান্নামে। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি যখন পিছনে ফিরে যাচ্ছিল, তখন তিনি ডাকলেন এবং বললেনঃ আমার পিতা এবং তোমার পিতা জাহান্নামে।”
এই হাদিসের প্রসঙ্গে ইমাম নববী বলেন,
কোন মুমিনের জন্য জায়েয নেই কাফিরের জন্য শাফায়াত করা। ( Islamqa Fatwaa 47170)
এখানেই আল্লাহর এক সুবিচারের নিদর্শন পাওয়া যায়। কেবনা, মুহাম্মাদ সাঃ নবী হবার কারণে যদি আল্লাহ তায়ালা উনার বাবা মা কে জান্নাতবাসী করে দেন সেক্ষেত্রে সুবিচার লক্ষণীয় না। আল্লাহ এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যেমন ঠিক মুহাম্মাদ সাঃ এর ক্ষেত্রেও ঠিক সেরকম রেখে দিয়েছেন।
আর এইখানেই নাস্তিকদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড খুজে পাওয়া যায় আর সেটা হল তারা বলে, যে মুহাম্মাদ সাঃ নিজের থেকে কুরান হাদিস বলেছেন (নাউযুবিল্লাহ) । এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা এও দাবি করে যে, মুহাম্মাদ সাঃ নাকি নিজ সুবিধা অনুযায়ী আয়াত নাজিল করতেন / হাদিস বলতেন (নাউযুবিল্লাহ)।
মুহাম্মাদ সাঃ যদি নিজের থেকেই হাদিস / আয়াত বলতেন সেক্ষেত্রে তিনি কেনই বা নিজ পিতা - মাতাকে জান্নাতি বললেন না?? এর উত্তর আসলে নাই।এখন যদি মুহাম্মাদ সাঃ উনার পিতা - মাতাকে জান্নাতি বলতেন সেক্ষেত্রে এই নাস্তিকরাই আবার দাবি করতো যে মুহাম্মাদ সাঃ নিজের থেকে কুরান হাদিস বলতেন নাউযুবিল্লাহ। আর এখানেই এদের মাঝে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড খুজে পাওয়া যায়।
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.