আল্লাহ জাহাজ ভাসায় এবং আকাশে পাখিদের ভাসায় ...... কিভাবে ?
আল্লাহ জাহাজ ভাসায় এবং আকাশে পাখিদের ভাসায় ......
আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে রাখুনঃ https://bit.ly/2VVS44A
কুরআন হল সর্বশেষ আসমানী কিতাব এবং এর পরে আর কোন কিতাব আসবেনা । সুতরাং এই কিতাব কেন পূর্ববর্তী কোন কিতাবেই সাইন্টিফিক কোন ভুল ছিলনা এবং খোদ কুরআনেও কোন সাইন্টিফিক ভুল নেই আজ কোন সাইন্টিফিক ভুল নয় বরং একটা লেইম লজিক বা অভিযোগ সম্পর্কিত ভুল ধারণা ভঙ্গ করব ইনশাআল্লাহ । তার আগে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে , আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাঃ আল্লাহর রাসুল ।
কুরআনে বলা হয়েছে ,
⦁ أَلَمْ يَرَوْا۟ إِلَى ٱلطَّيْرِ مُسَخَّرَٰتٍ فِى جَوِّ ٱلسَّمَآءِ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا ٱللَّهُ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
⦁ তারা কি উড়ন্ত পাখীকে দেখে না? এগুলো আকাশের অন্তরীক্ষে আজ্ঞাধীন রয়েছে। আল্লাহ ছাড়া কেউ এগুলোকে আগলে রাখে না।
মূলত আমরা জানি যে , পাখির ডানাকে airfoil বলা হয়। airfoil যখন বাতাসে নড়াচড়া করে বাতাস তখন airfoil এর গা ঘেসে উপরে নিচে বাহিত হয়। ডানার দুই প্রান্তে এক-ই সময়ে ২ ধরনের বাতাস বাহিত করার জন্য ডানার উপরের পৃষ্ঠের বাতাসকে নিচের পৃষ্ঠের অপেক্ষা অনেক দূরতর ও দ্রুততর হতে হয়। যার ফলে উপরের পৃষ্ঠের বাতাস ডানার উপর কম চাপ প্রয়োগ করে এবং নিচের পৃষ্ঠের বাতাস বেশি চাপ প্রয়োগ করে। ফলসরূপ, পাখিটি উপরের দিকে উঠে যায়। ডানা ঝাপ্টানোর বেগ যত বেশি হবে পাখি তত দ্রুত উপরে উঠে যেতে পারবে। পাখির ডানা মানুষের হাতের মত। সাতার কাটার জন্য মানুষ যেমন তার হাত ব্যবহার করে পাখি তেমনি তার ডানা ব্যবহার করে উড়ার জন্য। ডানা দিয়ে পাখি বাতাসকে পিছনের দিকে আঘাত করে এবং সামনের
দিকে এগিয়ে যায়। পাখি উড়ার সময় ডানা ঝাপ্টায়। যখন পাখি ডানাকে নিচের দিকে নেয় বাতাস ও তখন উল্টা দিকে বাধা প্রদান করে যার ফলে উপড়ের দিকে উঠে যায় এবং উড়তে থাকে। ডানার উপর বাতাসের চাপ কম হওয়াতে এবং ডানার নিচে বাতাসের চাপ বেশি হওয়াতে উড়া সহয হয়।
কিন্তু কুরআনে বলা হচ্ছে এরা আল্লাহর সাহায্যে উরে থাকে অর্থাৎ আল্লাহ এদের ভাসিয়ে থাকেন । কিন্তু আসলে ব্যাপারটা এরকম না । বরং আল্লাহ এদের নিজের হাত দিয়ে ভাসান না বরং আল্লাহর আদেশে কিংবা আল্লাহ তাদের সেই শক্তি প্রদান করায় তারা উড়তে পারে । আমি এইক্ষেত্রে আধুনিক কোন তাফসীর বা রেফারেন্স দেবনা । কেননা , অনেকে এই দাবি করতে পারে যে , আধুনিক স্কলার রা বিজ্ঞানের সাথে মেলাবার কারণে বিকৃত করে তাই এইক্ষেত্রে প্রাচীন তাফসীর গুলো দেয়াই শ্রেয়
তাফসীর ইবনে কাথিরে বলা আছে ,
⦁ অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করিয়াছেন, আসমান ও যমীনের মাঝে শূন্যে যে সকল পক্ষী উড়িয়া বেড়ায় তাহাদের প্রতি কি তাহারা দৃষ্টিপাত করে না? কি ভাবে তাহারা স্বীয় পাখার সাহায্যে শূন্যে উড়িয়া বেড়াইতেছে। তাহাদিগকে কেবল আল্লাহ তা'আলা স্বীয় কুদরতেই রুখিয়া রাখিয়াছেন। অর্থাৎ তিনিই পক্ষীদের মধ্যে এমন শক্তি দান করিয়াছেন যাহার সাহায্যে এইরূপে শূন্যে উড়িতে সক্ষম। পক্ষীর এইরূপে উড়িয়া বেড়াইবার আলোচনাই আল্লাহ তা'আলা সূরা-মূলক এর মধ্যে ইরশাদ করিয়াছেন,তাহারা কি সেই সকল পাখীর প্রতি দৃষ্টিপাত করে নাই—যাহারা পাখা বিস্তার করিয়া উড়িয়া বেড়ায় এবং পাখা সংকুচিতও করে তাহাদিগকে একমাত্র রহমান ব্যতিত অন্য কেহ রুখিয়া রাখে না। তিনি প্রত্যেক বস্তুকে খুব ভালভাবেই দেখিতেছেন। এখানে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করিয়াছেন । নিঃসন্দেহে ইহাতে ঈমানদার লোেকদের জন্য বহু নির্দশন
অর্থাৎ এই থেকে বুঝা যাচ্ছে যে , আল্লাহ নিজে এসে হাত দিয়ে ভাসিয়ে যান না বরং আল্লাহ তাদের এরকম ভেসে থাকার শক্তি দান করেছে বলেই তারা উড়তে পারে বা ভেসে থাকতে পারে আশা করি বুঝতে পেরেছেন । কেননা , উক্ত তাফসীরে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে যে , ( অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করিয়াছেন, আসমান ও যমীনের মাঝে শূন্যে যে সকল পক্ষী উড়িয়া বেড়ায় তাহাদের প্রতি কি তাহারা দৃষ্টিপাত করে না? কি ভাবে তাহারা স্বীয় পাখার সাহায্যে শূন্যে উড়িয়া বেড়াইতেছে। )
এরপর আসি দ্বিতীয় পয়েন্টে ,
কুরআনে আরও বলা আছে ,
⦁ رَّبُّكُمُ ٱلَّذِى يُزْجِى لَكُمُ ٱلْفُلْكَ فِى ٱلْبَحْرِ لِتَبْتَغُوا۟ مِن فَضْلِهِۦٓ إِنَّهُۥ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
⦁ তোমাদের রব তিনি, যিনি তোমাদের জন্য সমুদ্রে চালিত করেন নৌযান, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার। নিশ্চয় তিনি তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
কিন্তু বিজ্ঞান তো সমুদ্রে নৌযান ভাসার ব্যাখ্যা অন্যভাবে দিয়েছেন । মূলত এর উত্তর বেশ সহজ এইটায় কোন ভুলই নাই কুরআনের কোথাও ভুল নেই । মূলত তারা এই আয়াতের অর্থই বুঝেনি । না বুঝেই অভিযোগ করে বসেছে । তাফসীর ইবনে কাথির কি বলে দেখুন ,
⦁ ৬৬, তোমাদিগের প্রতিপালক তিনিই যিনি তোমাদিগের জন্য সমুদ্রে নৌযান পরিচালিত করেন, যাহাতে তোমরা তাঁহার অনুগ্রহ সন্ধান করিতে পার। তিনি তোমাদিগের প্রতি পরম দয়ালু।
তাফসীর ও আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন, তিনি তাঁহার বান্দাগণের প্রতি বড়ই। অনুগ্রহশীল। তিনিই তাহার অনুগ্রহে সমুদ্রে নৌযানসমূহকে তাহাদের অধিনস্থ করিয়া দিয়াছেন এবং তাহাদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা করিয়া দিয়াছেন যেন তাহারা এক দেশ। হইতে অন্য দেশে বাণিজ্যিক সফর করিয়া আল্লাহর অনুগ্রহ অন্বেষণ করিতে পারে।
এছাড়া তাদের জন্য আমার তরফ হতে এই বইয়ের লিঙ্ক দিলাম যার নাম Can Science Explain Everything ? John Lennox - https://bit.ly/2J0lLhl
আশা করি এই বই পড়ার পর আপনারা বিজ্ঞান আর বাস্তব জীবনের বা ঐশ্বরিক সম্পর্কিত ব্যাপারগুলো বুঝতে পারবেন ।
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.