ইব্রাহিম আঃ পাখি টুকরো করে জীবিত করতো এবং খন্ড দিয়ে গরু জীবিত করা বৈজ্ঞানিকভাবে কিভাবে সম্ভব ?
ইব্রাহিম আঃ পাখি টুকরো করে জীবিত করতো এবং খন্ড দিয়ে গরু জীবিত করা বৈজ্ঞানিকভাবে কিভাবে সম্ভব ?
আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে রাখুনঃ https://bit.ly/2VVS44A
আসুন আয়াত দুটি দেখে নেয়া যাক ,
অতঃপর আমি বললামঃ গরুর একটি খন্ড দ্বারা মৃতকে আঘাত কর। এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শণ সমূহ প্রদর্শন করেন-যাতে তোমরা চিন্তা কর।কুরআন ২ঃ৭৩
আর স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম বলল, হে আমার পালনকর্তা আমাকে দেখাও, কেমন করে তুমি মৃতকে জীবিত করবে। বললেন; তুমি কি বিশ্বাস কর না? বলল, অবশ্যই বিশ্বাস করি, কিন্তু দেখতে এজন্যে চাইছি যাতে অন্তরে প্রশান্তি লাভ করতে পারি। বললেন, তাহলে চারটি পাখী ধরে নাও। পরে সেগুলোকে নিজের পোষ মানিয়ে নাও, অতঃপর সেগুলোর দেহের একেকটি অংশ বিভিন্ন পাহাড়ের উপর রেখে দাও। তারপর সেগুলোকে ডাক; তোমার নিকট দৌড়ে চলে আসবে। আর জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, অতি জ্ঞান সম্পন্ন।কুরআন ২ঃ২৬০
মূলত আগেই বলে নেয়া ভালো এটা কোন সাইন্টিফিক আয়াত না । কেননা প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ মানার পূর্বশর্ত হচ্ছে অতিপ্রাকৃত জিনিসে বিশ্বাস করা । যার কোন ব্যাখ্যা হয়না আর যার ব্যাখ্যা দেয়া কোন বিজ্ঞানের পক্ষেই সম্ভব না । প্রতিটি ধর্ম অতিপ্রাকৃত বা আধ্যাত্মিকতা - অলৌকিকতায় বিশ্বাস করে এরমানে এই না যে , কেউ যদি ধর্ম বিশ্বাস করে সে মূর্খতায় বসবাস করছে । A College of Dublin City University হতে Can science explain everything? এই বইটিতে বলা হয়েছে
Religion and science are not designed to be in conflict. Religion asks why do exist? Why does bad happen to good people? While science asks questions about the natural world such at what temperature does water boil? If you are a scientist, it does not mean you cannot be religious and if you are religious, it does not mean you must be ignorant of science.
অর্থঃ ধর্ম আর বিজ্ঞান একে অপরের সাথে দ্বন্দ্বর জন্য হয়নি । ধর্ম জিজ্ঞাস করে কেন আমরা আছি ? কেন খারাপ হয় ভালো লোকেদের সাথে ? আবার অনেক সময় বিজ্ঞান জিজ্ঞাস করে আসল পৃথিবী সম্পর্কে কত তাপমাত্রা পানি ফুটাতে প্রয়োজন । আপনি যদি বিজ্ঞানী হয়ে থাকেন এটার মানে এই দাঁড়ায় না যে , আপনি ধর্ম মানতে পারবেন না । এবং আপনি যদি ধার্মিক হয়ে থাকেন তাহলে এরমানে এই দাঁড়ায় না যে , আপনি বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ বা মূর্খ ।
এছাড়া ছোট একটা উদাহরণ দেয়া যাক সাধারণত নাস্তিকদের মাঝে একটা মত দেখা যায় সেটা হল Unseen Is Nothing বা যা দেখিনা বিশ্বাস করিনা । এবং এমনও কিছু নাস্তিক আছে যারা প্রতিটা জিনিস বিজ্ঞান দিয়ে বিশ্লেষণ করতে যায় যা কখনই সম্ভব না !
কেননা বিজ্ঞান সদৃশ ব্ল্যাক হোল যা দেখা যায় যার ছবি আমাদের কাছে আছে যা মহাকাশের মাঝেই অন্তর্ভুক্ত সেটার সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করতে অক্ষম সেখানে সাত আসমান পেরিয়ে আল্লাহ কিংবা আল্লাহর অলৌকিকতার ব্যাখ্যা করা সুদূর স্বপ্নের ব্যাপার ।
এছাড়া অনেক জিনিস আছে যেগুলো স্বয়ং আল্লাহ আমাদের থেকে গোপন করেছেন । বা যেগুলো গায়েবের অন্তর্ভুক্ত । বা এটা কিভাবে সংঘটিত হয়েছে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন । আশা করি উত্তর পেয়েছেন ।
এছাড়া অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থও এই অলৌকিকতার ব্যাপার তুলে ধরে
বাইবেলে বলা আছে ,
একটি স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল। অনেক চিকিত্সকের সাহায্য নিয়ে এবং সর্বস্ব ব্যয় করেও এতটুকু ভাল না হয়ে বরং আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে যীশুর বিষয় শুনে ভীড়ের মধ্যে তাঁর পিছন দিকে এসে তাঁর পোশাক স্পর্শ করল।সে মনে মনে ভেবেছিল, ‘যদি কেবল তাঁর পোশাক ছুঁতে পারি, তবেই আমি সুস্থ হব।’আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রক্তস্রাব বন্ধ হল এবং সে তার শরীরে অনুভব করল য়ে সেই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছে। মার্ক ৫ - ২৫ থেকে ২৯
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী হনুমান পাহাড় নিয়ে উড়ে বেড়ায় এরকম অনেক অতিপ্রাকৃত কথা সকল ধর্মেই পাওয়া যায় । যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খোজা উচিত নয় । কেননা Science Never Explain Everything ....
এখন অনেকে এই দাবি করবে যে , মুসলিমরা কুরানের অনেক আয়াতের সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা করে তাহলে সেক্ষেত্রে কি বলবেন ? সেক্ষেত্রে অবশ্যই সেই সকল আয়াতের ব্যাখ্যাই করে যেগুলো সাইন্সের সাথে সম্পর্কিত । তবে মুজেযা বা অলৌকিকতার দ্বারপ্রান্তেও সাইন্স নেই তাই অলৌকিকতার ব্যাখ্যা সাইন্স কখনই দিতে পারেনা । তবে প্রতিটা ধর্মগ্রন্থেই সাইন্টিফিক আয়াত , শ্লোক বিদ্যমান সেগুলোর ক্ষেত্রে যদি বৈজ্ঞানিক ভুল পাওয়া যায় তাহলে সেটা ভুল বলে বিবেচিত হবে তবে অলৌকিক আয়াত বা যেই আয়াতে মুজেযার বর্ণনা রয়েছে সাইন্সের নয় সেটাকে সাইন্স দিয়ে বিচার করা নেহায়েত বোকামি ।
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.