রাসুল (সা) বিষ খেয়ে মারা গেছেন ?
আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে রাখুনঃ https://bit.ly/2VVS44A
রাসুলের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার !
লিখেছেনঃ আফিফ আলী সাদাফ
আমাদের নাস্তিক ভাই বোন বাদে এই জিনিস নিয়ে বেশি লাফালাফি করতে দেখা যায় খ্রিষ্টান মিশনারিদের । তাদের দাবি যে , রাসুল সাঃ নাকি বিষক্রিয়ায় চার বছর ধুকে ধুকে মারা যান । কিন্তু উনার মৃত্যুর কারণ আসলেই কি তা ছিল ? নিচে চলুন বিশ্লেষণ করি । এই রেফারেন্স হিসেবে তারা এই হাদিসটি আমাদের দেয় ,
পরিচ্ছদঃ ২২৪৭. নাবী (সাঃ) এর রোগ ও তাঁর ওফাত। মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনিতো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল। এরপর কিয়ামত দিবসে তোমরা পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাক-বিতন্ডা করবে (৩৯:৩০,৩১) ইউনুস (রহঃ) যুহরী ও উরওয়া (রহঃ) সুত্রে বলেন, আয়শা (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাঃ) যে রোগে ইন্তিকাল করেন সে সময় তিনি বলতেন, হে আয়শা! আমি খায়বারে (বিষযুক্ত) যে খাদ্য ভক্ষন করেছিলাম, আমি সর্বদা তার যন্ত্রনা অনুভব করছি। আর এখন সেই সময় আগত, যখন সে বিষক্রিয়ার আমার প্রাণবায়ু বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এখন বিশ্লেষণের সাথে সাথে কি কি ধরা পরে সেটা দেখা যাক । প্রথমত ইহুদি মহিলার সেই বিষ মিশ্রিত গোশত কি রাসুল সাঃ খেয়েছিলেন ?
⦁ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ امْرَأَةً، يَهُودِيَّةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَاةٍ مَسْمُومَةٍ فَأَكَلَ مِنْهَا فَجِيءَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ أَرَدْتُ لأَقْتُلَكَ . فَقَالَ " مَا كَانَ اللَّهُ لِيُسَلِّطَكِ عَلَى ذَلِكَ " . أَوْ قَالَ " عَلَىَّ " . قَالَ فَقَالُوا أَلاَ نَقْتُلُهَا قَالَ " لاَ " . فَمَا زِلْتُ أَعْرِفُهَا فِي لَهَوَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
⦁ ইয়াহইয়া ইবন হাবীব (রহঃ) .......... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনাঃ একদা ইয়াহূদী এক নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বিষ-মিশ্রিত বকরীর গোশত নিয়ে আসে। যা থেকে তিনি কিছু ভক্ষণ করেন। ঐ মহিলাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির করা হলে, তিনি তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তখন সে বলেঃ আমি আপনাকে হত্যার উদ্দেশের এরূপ করেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্ তোমাকে এ জন্য ক্ষমতা প্রদান করেন নি। তখন সাহাবীগণ বলেনঃ আমরা কি তাকে হত্যা করবো না? তিনি বলেনঃ না। রাবী আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমি এ বিষের ক্রিয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাঁতের মাড়িতে সব সময় প্রকাশ পেতে দেখেছি।
আবু দাউদ সহ অন্য হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায় যে , রাসুল সাঃ বিষ মিশ্রিত খাবার খান নি শুধু কামড় বসিয়েছিলেন তখন বকরির রান উনাকে বলে দেন যে , এই গোশতে বিষ মিশ্রিত আছে । পরে সেখানে এক সাহাবি মৃত্যুবরণ করেন আর রাসুল সাঃ মাড়িতে বিষের আলামত দেখা যায় ।
বিষাক্ত বকরির ঘটনা
খায়বার বিজয়ের পর যখন রাসূলে কারীম (২) নিরাপদ হলেন এবং তৃপ্তিবােধ করলেন তখন সালাম বিন মুশরিকের স্ত্রী যায়নাব বিনতে হারিস উপঢৌকন হিসেবে বকরির ভুনা গােশত তার নিকট প্রেরণ করে। সে বিভিন্ন সূত্র থেকে জিজ্ঞাসার মাধ্যমে জেনে নিয়েছিল যে, রাসূলুল্লাহ () বকরির গােশতের কোন কোন অংশ অধিক পছন্দ করেন। তাকে বলা হয়েছিল যে, তিনি রানের গােশত অধিক পছন্দ করেন। এ জন্য সে রানের গােশতগুলাে ভালভাবে বিষ মিশ্রিত করেছিল এবং অবশিষ্ট অন্যগুলােতেও বিষ প্রয়ােগ করেছিল। অতঃপর সে। গোশতগুলাে নাবী কারীম ()-এর সামনে এনে রাখা হলে নাবী কারীম (ই) রানের গােশতের টুকরােটি উঠিয়ে তার কিছু অংশ চিবুনাের পর মুখ থেকে বের করে তা ফেলে দিলেন এবং বললেন, এ 6) (১২০৭৪ এ হাড্ডি আমাকে বলছে যে এর সঙ্গে বিষ মিশ্রিত করা হয়েছে।'
সহীহুল বুখারী ১ম খণ্ড ৫৪ পৃঃ, ২য় খণ্ড ৬০৪-৬০৬ পৃঃ, যাদুল মা'আদ ২য় খণ্ড ১৩৭ পৃঃ। যাদুল মা'আদ ২য় খণ্ড ১৩৭ পৃঃ, ইবনু হিশাম ২য় খণ্ড ৩৩৬ পূঃ।
রপর নাবী কারীম (৪) যায়নাবকে ডাকিয়ে নিয়ে তাকে যখন বিষয়টি জিজ্ঞেস করলেন তখন সে বিষ। প্রয়োগের কথা স্বীকার করল। তিনি তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি এমন কাজ করলে কেন? সে উত্তরে। বলল, 'আমি চিন্তা করলাম যে, এ ব্যক্তি যদি বাদশাহ হন তাহলে আমরা তার থেকে নিষ্কৃতি লাভ করব, আর যদি তিনি নাবী হন তাহলে তাকে এ সংবাদ জানিয়ে দেয়া হবে এবং তিনি বেঁচে যাবেন। তার এ কথা শুনে নাৰী কারীম (ই) তাকে ক্ষমা করলেন। এ সময় নাবী )-এর সঙ্গে ছিলেন বিশর বিন বারা' বিন মা'রূর ।। তিনি এক গ্রাস গিলে ফেললেন। ফলে তার মৃত্যু হয়েছিল।
এ মহিলাকে নাবী (3) ক্ষমা করেছিলেন কিংবা হত্যা করেছিলেন সে ব্যাপারে বর্ণনাকারীগণের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। মত পার্থক্যের সামঞ্জস্য বিধান করতে গিয়ে বলা হয়েছে যে, নাবী () প্রথমে মহিলাকে ক্ষমা। করেছিলেন, কিন্তু যখন বিশর -=-এর মৃত্যু সংঘটিত হয়ে গেল তখন তাকে হত্যার বিনিময়ে হত্যা করা হল।
এ মহিলাকে নাবী (3) ক্ষমা করেছিলেন কিংবা হত্যা করেছিলেন সে ব্যাপারে বর্ণনাকারীগণের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। মত পার্থক্যের সামঞ্জস্য বিধান করতে গিয়ে বলা হয়েছে যে, নাবী () প্রথমে মহিলাকে ক্ষমা। করেছিলেন, কিন্তু যখন বিশর -=-এর মৃত্যু সংঘটিত হয়ে গেল তখন তাকে হত্যার বিনিময়ে হত্যা করা হল।
এখন আসি মূল বিশ্লেষণে রাসুল সাঃ কে বিষ মিশ্রিত গোশত খাওয়ানো হয়েছিল ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে আর মিশনারি সহ কিছু নাস্তিকদের দাবি যে , রাসুল সাঃ নাকি ৪য়া বছর ধুকে ধুকে মারা যায় । আর বুখারির বর্ণনা অনুযায়ী আমরা দেখতে পাই যে , রাসুল সাঃ নাকি পা উঠাতে পারছিলেন না উনার পা মাটিতে ঘষা খাচ্ছিল এবং তিনি দুইজনের কাধে ভর দিয়ে ছিলেন । তাহলে আমাদের দেখতে হবে যে , রাসুল সাঃ ৬২৮ - ৬৩২ খ্রিশটাব্দ কি কি কাজ সম্পাদন করেছিলেন
⦁ ৬২৮- খন্দকের যুদ্ধ , হুদায়বিয়ার সন্ধি, কাবায় প্রবেশাধিকার লাভ , খায়বার বিজয় ,
⦁ ৬২৯ - প্রথম হজ্জ , বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের উপর আক্রমণে ব্যর্থতা , মু'তার যুদ্ধ ,
⦁ ৬৩০ - রক্তপাতবিহীন মক্কা বিজয় , হুনাইনের যুদ্ধ , তায়িফ অবরোধ ,
⦁ ৬৩১ - আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ স্থানের শাসনক্ষমতা লাভ ,
⦁ ৬৩২ - ঘাসসানীয় সাম্রাজ্যের উপর আক্রমণ , তাবুক যুদ্ধ , বিদায় হজ্জ
⦁ ৬২৯ - প্রথম হজ্জ , বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের উপর আক্রমণে ব্যর্থতা , মু'তার যুদ্ধ ,
⦁ ৬৩০ - রক্তপাতবিহীন মক্কা বিজয় , হুনাইনের যুদ্ধ , তায়িফ অবরোধ ,
⦁ ৬৩১ - আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ স্থানের শাসনক্ষমতা লাভ ,
⦁ ৬৩২ - ঘাসসানীয় সাম্রাজ্যের উপর আক্রমণ , তাবুক যুদ্ধ , বিদায় হজ্জ
তাহলে যে লোকটি মাটিতে পা রাখতে পারছিলেন না এই চার বছর সে লোক এই চার বছরে এত কাজ সেরে ফেললেন ? এখন আসি রাসুল সাঃ মৃত্যুর কতদিন আগে এরকম পা হেঁচড়ে যাচ্ছিল ।
শেষ সপ্তাহ
রাসূলুল্লাহ ( )-এর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকে। এ সময়ের মধ্যে তিনি তার পবিত্র পত্নীগণকে জিজ্ঞাসা করতে থাকেন যে, ‘আমি আগামী কাল কোথায় থাকব, আমি আগামী কাল কোথায় থাকব?”
এ জিজ্ঞাসার কারণ অনুধাবন করতে পেরে বিবিগণ বললেন, আপনার যেখানে ইচ্ছে সেখানে থাকতে পারবেন। বিবিগণের কথার প্রেক্ষিতে নাবী কারীম স্থান পরিবর্তন করে ‘আয়িশা রাঃ গৃহে গমন করেন। স্থান পরিবর্তনের সময় তিনি ফযল বিন আব্বাস এবং ‘আলী বিন আবু ত্বালিবের কাঁধে ভর দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর মাথায় পট্টি বাঁধা ছিল এবং পা মাটিতে হেঁচড়িয়ে তিনই চলছিলেন। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে নাবী কারীম 'আয়িশাহ রাঃ -এর ঘরে গমন করেন এবং জীবনের শেষ সপ্তাহটি সেখানেই অতিবাহিত করেন। | ‘আয়িশাহ হি সূরাহ নাস ও ফালাক এবং রাসূলুল্লাহ কর্তৃক মুখস্থকৃত দু'আ পড়ে নাবী কারীম-কে ঝাড় ফুক করতে থাকেন এবং বরকতের আশায় নাবী কারীম (আ)-এর হাত তার পবিত্র শরীরে বুলিয়ে দিতে থাকেন।
এই হাদিস টা রাসুল সাঃ এর মৃত্যুর শেষ সপ্তাহ অর্থাৎ সাতদিন আগে । আর রাসুল সাঃ যন্ত্রনা ভোগ করেছিলেন সাতদিন এর বেশি না তাও আবার তেমন যন্ত্রনা না । সামান্য যন্ত্রনা কেননা মৃত্যুর দুদিন পূর্বে রাসুল সাঃ ইমামতি করেছিলেন । যা আপনারা আর রাহিকুল মাখতুম এর ৫২৯ - ৫৩৩ পৃষ্ঠা পড়লেই বুঝতে পারবেন ।
এথেকে স্পষ্ট এটাই পরিলক্ষিত হয় এই যে , রাসুল সাঃ ৪ বছর ধুকে ধুকে মারা গেছেন এই কথা নেহায়েত স্পষ্ট মিথ্যা আর অজ্ঞতার কথা । আর উনার বিষক্রিয়া কখনই হয়নি ।
আমার এই কথা শুনে অনেক নাস্তিক এখন লাফ দিয়ে আমাকে একটা রেফারেন্স দিয়ে বলবে এবং আমি জানি তারা যে , রেফারেন্স দেবে সেটা হচ্ছে গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) , অধ্যায়ঃ ৩৪/ রক্তপণ (كتاب الديات) , হাদিস নাম্বার:৪৪৪৬ | 4446 যেখানে স্পষ্ট লেখা আছে যে , রাবী আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমি এ বিষের ক্রিয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাঁতের মাড়িতে সব সময় প্রকাশ পেতে দেখেছি।
এই লাইন দেখিয়ে তারা বলবে যে , যদি বিষক্রিয়া না হত তাহলে এই কথা কেন আসলো ? এখন এই কথা কেন আসলো আমি ব্যাখ্যা করছি প্রথমত এখানে বলা হয়েছে মাড়িতে প্রকাশ পেত । অর্থাৎ এর পুরা ব্যাখ্যা আমরা দেখবো কেন তা মাড়িতে প্রকাশ পেত এর কারণ হচ্ছে রাসুল সাঃ সেই বকরির মাংস খেয়ে গিলে ফেলেন নি তিনি শুধু চিবানুর পরে ফেলে দিয়েছেন এবং এই ব্যাখ্যা দলিল সহ আর রাহিকুল মাখতুমে দেয়া আছে সেখানে বলা হয়েছে ,
বিষাক্ত বকরির ঘটনা
⦁ খায়বার বিজয়ের পর যখন রাসূলে কারীম নিরাপদ হলেন এবং তৃপ্তিবোধ করলেন তখন সালাম বিন মুশরিকের স্ত্রী যায়নাব বিনতে হারিস উপঢৌকন হিসেবে বকরির ভুনা গোশত তাঁর নিকট প্রেরণ করে। সে বিভিন্ন সূত্র থেকে জিজ্ঞাসার মাধ্যমে জেনে নিয়েছিল যে, রাসূলুল্লাহ বকরির গোশতের কোন কোন অংশ অধিক পছন্দ করেন। তাকে বলা হয়েছিল যে, তিনি রানের গোশত অধিক পছন্দ করেন। এ জন্য সে রানের গোশত ভালভাবে বিষ মিশ্রিত করেছিল এবং অবশিষ্ট অন্যগুলোতেও বিষ প্রয়োগ করেছিল। অতঃপর সে গোশতগুলোকে রাসুল -এর সামনে এনে রাখা হলে নাবী কারীম (৪) রানের গোশতের টুকরাটিকে উঠিয়ে তার কিছু অংশ চিবানুর পর মুখ থেকে বের করে তা ফেলে দিলেন এবং বললেন, এ হাড়ি আমাকে বলছে যে এর সঙ্গে বিষ মিশ্রিত করা হয়েছে।
⦁ এরপর নাবী কারীম যায়নাবকে ডাকিয়ে নিয়ে তাকে যখন বিষয়টি জিজ্ঞেস করলেন তখন সে বিষ প্রয়োগের কথা স্বীকার করল। তিনি তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, 'তুমি এমন কাজ করলে কেন? সে উত্তরে বলল, আমি চিন্তা করলাম যে, এ ব্যক্তি যদি বাদশাহ হন তাহলে আমরা তার থেকে নিষ্কৃতি লাভ করব, আর। যদি তিনি নাবী হন তাহলে তাকে এ সংবাদ জানিয়ে দেয়া হবে এবং তিনি বেঁচে যাবেন। তার এ কথা শুনে নাবী। কারীম তাকে ক্ষমা করলেন। এ সময় নাবী (র)-এর সঙ্গে ছিলেন বিশর বিন বারা' বিন মা'বুর। তিনি এক গ্রাস গিলে ফেললেন ফলে তার মৃত্যু হয়েছিল।
⦁ এ মহিলাকে নাবী ক্ষমা করেছিলেন কিংবা হত্যা করেছিলেন সে ব্যাপারে বর্ণনাকারীগণের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। মত পার্থক্যের সামঞ্জস্য বিধান করতে গিয়ে বলা হয়েছে যে, নাবী প্রথমে মহিলাকে ক্ষমা করেছিলেন, কিন্তু যখন বিশর -এর মৃত্যু সংঘটিত হয়ে গেল তখন তাকে হত্যার বিনিময়ে হত্যা করা হল।
⦁ * সহীহুল বুখারী ১ম খণ্ড ৫৪ পঃ, ২য় খণ্ড ৬০৪-৬০৬ প.. যাদুল মা'আদ ২য় খণ্ড ১৩৭ পৃঃ। যাদুল মা'আদ ২য় খণ্ড ১৩৭ পৃঃ, ইবনু হিশাম ২য় খণ্ড ৩৩৬ পৃঃ।
⦁ আরও পড়ুন আর রাহিকুল মাখতুম পৃষ্ঠা ৪৩২ ।
এই দলিল দিয়ে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে , তিনি মাংস কে গিলে ফেলেননি তিনি চিবিয়েছিলেন । যার কারণে উনার মাড়িতে এর প্রভাব দেখা গিয়েছিল । উনি গিলে ফেললে তৎক্ষণাৎ মারা যেতেন যেমন টা মারা গিয়েছিলেন বিশর বিন বারা' বিন মা'বুর । যেহেতু রাসুল সাঃ মারা যান নি তাই উনার উপর বিষক্রিয়া হয়নি । আর মাড়িতে এর প্রভাব দেখা গিয়েছিল চিবানুর জন্য । আর একজন মানুষ বিষ খেলে ১২ ঘন্টার মধ্যে তার মৃত্যু অনিবার্য । কিন্তু ৪ বছরে রাসুল সাঃ এর কিছুই হয়নি এরমানে এর দুটা কারণ হতে পারে
⦁ উনার বিষক্রিয়া হয়নি ।
⦁ যদিও মেনে নেই হয়েছে তাহলে বিষক্রিয়া নিয়ে ৪ বছর বেঁচে নবুওয়াত পুরা করা স্পষ্ট একটা মিরাকেল । [যেহেতু উনার সামনেই উনার এক সাহাবি নিহত হয় তাই নিশ্চয়ই বিষ খুবই শক্তিশালী ছিল ]
কি বলেন নাস্তিক আর মিশনারি ভাই বোনেরা কোনটা মানবেন পছন্দ আপনাদের হাতে অবশ্যই জানাবেন ।
তথ্যসূত্রঃ
* সুনানে আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ৪৪৪৬
* রাহিকুল মাখতুম পৃষ্ঠা ৪৩২
* রাহিকুল মাখতুম ৫২৯ - ৫৩৩ পৃষ্ঠা
* সহীহুল বুখারী ১ম খণ্ড ৫৪ পঃ, ২য় খণ্ড ৬০৪-৬০৬ প.. যাদুল মা'আদ ২য় খণ্ড ১৩৭ পৃঃ। যাদুল মা'আদ ২য় খণ্ড ১৩৭ পৃঃ, ইবনু হিশাম ২য় খণ্ড ৩৩৬ পৃঃ।
* Wikipedia - মুহাম্মাদ
* সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নম্বরঃ [664]
* রাহিকুল মাখতুম পৃষ্ঠা ৪৩২
* রাহিকুল মাখতুম ৫২৯ - ৫৩৩ পৃষ্ঠা
* সহীহুল বুখারী ১ম খণ্ড ৫৪ পঃ, ২য় খণ্ড ৬০৪-৬০৬ প.. যাদুল মা'আদ ২য় খণ্ড ১৩৭ পৃঃ। যাদুল মা'আদ ২য় খণ্ড ১৩৭ পৃঃ, ইবনু হিশাম ২য় খণ্ড ৩৩৬ পৃঃ।
* Wikipedia - মুহাম্মাদ
* সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নম্বরঃ [664]
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.