কুরান কি আসলেই বিগ ব্যাং এর সম্পর্কে কিছু বলে ? আফিফ আলী সাদাফ
কুরান কি আসলেই বিগ ব্যাং এর সম্পর্কে কিছু বলে? কুরান এবং বাইবেল কোনটির কসমলজি আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ?
------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------
নাস্তিক - খ্রিষ্টান মিশনারী সহ অনেক মানুষ বলে যে কুরানে কসমলজিকাল কিছু ত্রুটি আছে। আবার অনেক মুসলিম এপোলজিস্ট রা ব্যাখ্যা করে কুরানে নাকি বিগ ব্যাং সম্পর্কিত তথ্য দেয়। এই টপিক নিয়ে বিশেষ করে খ্রিষ্টান মিশনারীদের কথা বলতে দেখা যায় তাই আজ কুরান বিগ ব্যাং ব্যাখ্যা করে নাকি করেনা সেটায় না গিয়ে শুধু বাইবেল আর কুরানের কসমলজি মেলাবো আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে এরপরে আপনারাই বিবেচনা করবেন কোনটি আজকের বিজ্ঞানের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ।
কুরানের কসমলজি
------------------------------
------------------------------
21:30
اَوَ لَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰہُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۳۰﴾
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল*, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? [১]
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল*, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? [১]
এই আয়াতকে কেন্দ্র করে অভিযোগ তোলা হয় তা হলঃ
1. আকাশ তো অনেক পরে এসেছে বিগ ব্যাং এর এখানে কেন আকাশের কথা এল
2. পৃথিবী অনেক পরে এসেছে এখানে পৃথিবী শব্দ কেন এল?
3. আল্লাহ কতদিনে এইসব আলাদা করলেন?
4. বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে অনেক বছর লেগেছে সমগ্র Universe গঠিত হতে কিন্তু আল্লাহ কুন বলার সাথে সাথে কিভাবে হল?
আকাশ আর পৃথিবী প্রসঙ্গ
------------------------------------
------------------------------------
সুরা আম্বিয়ার যে আয়াত নিয়ে বলা হয় যে, এখানে বিগ ব্যাং এর কথা বলা হচ্ছে। সেই আয়াতে ব্যাবহার করা (আসসামা) আর (আল আরদ) এই দুইটির অর্থ হল যথাক্রমে আসমান এবং পৃথিবী [২]
তবে মনে রাখার বিষয় যে, (আসসামা) বলতে শুধুই আমাদের মাথার উপর নীল আকাশ যা আমরা সদৃশ দেখতে পাই তা বোঝায় না। বরং এটি দিয়ে মহাবিশ্বও বোঝানো হয় এবং তা কুরান দিয়েই প্রমাণ করা সম্ভব। কুরানে বলা হয়েছে,
আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপপুঞ্জ দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের বস্তু বানিয়েছি। আর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের আযাব।[৩]
এই আয়াতেও মহাবিশ্ব হিসেবে (আসসামা) শব্দ এসেছে। এখন প্রশ্ন হল এই আয়াতে আসসামা দিয়ে তো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলও বোঝানো যেতে পারে আমরা কিভাবে বুঝলাম এইটা দিয়ে মহাবিশ্বই বোঝানো হয়েছে? এখন আমরা যদি আধুনিক স্কলারদের স্টেটমেন্ট দেই সেক্ষেত্রে তারা বলবে আধুনিক স্কলার রা বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফতোয়া দিয়েছে তাই প্রাচীন স্কলারদেরই ফতোয়া দেয়া যাক। আসকে সেখানে (আসসামা) দিয়ে Universe বোঝানো হচ্ছে নাকি আকাশ।
Ibn Hazm (994 - 1064)
Based on this evidence, the earth is a place that is beneath the heaven, hence the heaven is above the earth… and with regard to the son of Adam, his head points towards the heavens and his feet towards the earth. [৪]
অর্থঃ এই প্রমাণের উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে , পৃথিবী আসমানের নিচে এবং আসমান পৃথিবীর উপরে এবং আদম সন্তানের মাথার উপরে আসমান ( সাত আসমানসমূহের কথা হচ্ছে ) এবং তাদের পায়ের নিচে যমিন বা পৃথিবী ।
Ibn Taimiya (1263 - 1328)
It is well known from a rational point of view that the air is above the earth, and the heaven is above the earth. This was known before it was known that the heaven encompasses the earth. Being above something does not necessarily mean encompassing, even though encompassing does not contradict it.[৫]
অর্থঃ এটি একটি যুক্তিসঙ্গত দিক যে , বায়ুমন্ডল পৃথিবীর উপরে এবং বায়ুমন্ডলের উপরে রয়েছে স্বর্গ ( বা সাত আসমান সমূহ ) এটি জানার পূর্বে এটি জানা যায় যে, স্বর্গ বা আসমানসমূহ পৃথিবীকে আবৃত করে রাখে। মূলত কোন কিছু উপরে থাকা মানেই এটি বোঝায়না যে, এটি কোন জিনিসকে আবৃতকরে রেখেছে এমনকি যদিও আবৃত শব্দটি এর সাথে সাংঘর্ষিক নয়(সংক্ষেপিত)
তাই আমরা যদি প্রাচীন আলেম ওলামাদের কথা একত্রিত করি তাহলে ফলাফল হিসেবে আমরা যা পাই তা হল যে, এইখানে আকাশ বলতে সমগ্র মহাবিশ্ব ই বোঝানো হচ্ছে এবং এই প্রসঙ্গে কুরানের আয়াতও দেখানো হয়েছে এবং ডিকশনারি হতেও জানা যায় যে, (আসসামা) বলতে দুনিয়ার সদৃশ নীল আকাশ, সাত আসমানসমূহ এবং মহাবিশ্ব সবকটাও বোঝানো হয়। তাই আমরা বলতেই পারি যে উপোরোক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে যে, সাত আসমান সমূহ (মহাবিশ্বও যার অন্তর্ভুক্ত) এবং পৃথিবী একত্রে মিশে ছিল।
পৃথিবী অনেক পরে এসেছে এখানে পৃথিবী শব্দ কেন এল?
------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------
আমরা জানি মহাবিশ্বের বয়স হল আনুমানিক ১৩ বিলিওন বছরের চেয়েও বেশি। কিন্তু পৃথিবীর বয়স মাত্র ৪ বিলিওন এর চেয়ে একটু বেশি সেক্ষেত্রে কিভাবে এটি আজকের বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
মূলত এই আয়াতের ব্যাখ্যা খুব চতুরতার সাথে করা হয়। দেখে নেয়া যাক এই আয়াতের তাফসির
তাফসীর আবু বকর যাকারিয়া
------------------------------------------
------------------------------------------
رتق শব্দের অর্থ বন্ধ হওয়া, আর فتق এর অর্থ খুলে দেয়া। উভয় শব্দের সমষ্টি رتق ও فتق কোন কাজের ব্যবস্থাপনা ও তার পূর্ণ ক্ষমতার অর্থে ব্যবহৃত হয়। সে হিসেবে আয়াতের অনুবাদ এই দাঁড়ায় যে, আকাশ ও পৃথিবী বন্ধ ছিল। আমি এদেরকে খুলে দিয়েছি। সহীহ সনদে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন এর অর্থ হচ্ছেঃ আসমান ও যমীন পরস্পর মিলিত ছিল তারপর আমরা সে দুটিকে পৃথকীকরণ করেছি। হাসান ও কাতাদা রাহেমাহুমাল্লাহ বলেনঃ এতদুভয়ের মধ্যে বাতাস দ্বারা পৃথকীকরণ করেছেন। [ইবন কাসীর; কুরতুবী] মোটকথাঃ এ শব্দগুলো থেকে যে কথা বুঝা যায় তা হচ্ছে এই যে, বিশ্ব-জাহান প্রথমে একটি পিণ্ডের আকারে ছিল। পরবর্তীকালে তাকে পৃথক পৃথক অংশে বিভক্ত করে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নীহারিকা ইত্যাদি স্বতন্ত্র জগতে পরিণত করা হয়েছে। কোন কোন মুফাসসির বলেন, এখানে বন্ধ হওয়ার অর্থ আকাশের বৃষ্টি ও মাটির ফসল বন্ধ হওয়া এবং খুলে দেয়ার অর্থ এতদুভয়কে খুলে দেয়া। [কুরতুবী] তখন এ আয়াতের অর্থে আরও এসেছে, “শপথ আসমানের, যা ধারণ করে বৃষ্টি, এবং শপথ যমীনের, যা বিদীর্ণ হয়”। [সূরা আত-তারেক: ১১-১২]
তাহলে এখানে বোঝানো হচ্ছে যে এই সমগ্র কিছু একটি পিন্ডের ন্যায় ছিল এরপর আল্লাহ একে একে আলাদা করেন বিভিন্ন গ্রহ, নক্ষত্র,নীহারিকা ইত্যাদিতে।[৬]
আল্লাহ কতদিনে এইসব আলাদা করলেন?
------------------------------------------------------
------------------------------------------------------
অনেকের মাঝে ভুল ধারণা আছে যে আল্লাহ একেবারে সব কুন বলার সাথে সাথে আলাদা করে ফেলেছেন কিন্তু আসলে ব্যাপারটা এরকম না।
আল্লাহ কুরানে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে,
আল্লাহ্, যিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের অন্তর্বর্তী সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে। তারপর তিনি আরশের উপর উঠেছেন। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই ও সুপারিশকারীও নেই; তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?[৭]
এখানে স্পষ্ট ই বলা হচ্ছে যে আল্লাহ ছয়দিনে সমগ্র কিছু তৈরী করেছেন। এখানে ছয়দিন বোঝানো হলে আসলে হবে ছয়কাল। হুম এখন অনেক নাস্তিক চট করে উঠে বলবে এবং সহিহ মুসলিমের সেই হাদিসটির রেফারেন্স দিবে যেখাবে বলা হচ্ছে আল্লাহ এই এই বার এই এই জিনিস তৈরী করেছেন সেটার জন্য এই লেখাটা পড়ে আসতে পারেন - [রেফারেন্স ১২ দ্রষ্টব্য]
আল্লাহ এক জায়গায় বলেছেন কুন বলার সাথে সাথে হয়ে গিয়েছে বিশ্ব আরেক জায়গায় ছয়কাল কোনটা ঠিক?
------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------
কুরানে কোথাও বলা হয়নি আল্লাহর কুন বলার সাথে সাথে সব কিছু হয়ে গেছে। বরং কুন বলার সাথে সাথে সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে যদি বলি ধরুন আপনি আপনার ঘড়ে ঢুকলেন আপনার চোখে বৈদ্যুতিক পাখা টি পড়লো আপনি পাখার সুইচ চাপলেন। এখন পাখার সুইচ চাপার সাথে সাথেই কি সেটি সবেগে ঘুড়তে থাকবে? নাকি কিছু সময় নেবে? অবশ্যই সময় নেবে তাই না? সেক্ষেত্রে আল্লাহও কুন বলার সাথে সাথে সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় এবং ছয়দিনে বা ছয়কালে সমগ্র কিছু সৃষ্টি হয়।
তাহলে আমরা সমীকরণের সাহায্যে মিলিয়ে নেই যে কুরানের কসমলজি কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ
মিশ্রিত পিন্ডের ন্যায় সমগ্র কিছু > কুন শব্দের মাধ্যমে সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু > ছয়টি পর্যায়কালে মহাবিশ্বের বিভিন্ন জিনিস সৃষ্টি > আজকের এই মহাবিশ্ব এবং সপ্ত আকাশ।
বাইবেলের কসমলজি কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ বিজ্ঞানের সাথে?
------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------
⦁ בְּרֵאשִׁ֖ית בָּרָ֣א אֱלֹהִ֑ים אֵ֥ת הַשָּׁמַ֖יִם וְאֵ֥ת הָאָֽרֶץ׃
⦁ শুরুতে, ঈশ্বর আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। প্রথমে পৃথিবী সম্পূর্ণ শূন্য ছিল; পৃথিবীতে কিছুই ছিল না।
বাইবেল খুলতেই প্রথমে একটি ভুল চোখে পরে সেটি হল যে , শুরুতে ঈশ্বর নাকি আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেন । অনেক খ্রিষ্টান Bible Defend করার জন্য এই পৃথিবী বা (הָאָֽרֶץ׃) শব্দ দিয়ে বুঝাতে চায় সমগ্র কিছু বা আকাশ এবং পৃথিবী এই দুইটি দিয়ে সমগ্র মহাবিশ্বের কথা বলা হয় বা বুঝানো হয় । আচ্ছা সমস্যা নেই ।
এই দাবিকে হাতে রেখেই আমরা পর্যালোচনা করব । এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা যদি ধরে নেই যে , এই চরণ দিয়ে বুঝানো হচ্ছে শুধুমাত্র আকাশ আর পৃথিবী তাহলে সেক্ষেত্রে বাইবেল মহা ভুল । আর যদি মহাবিশ্ব ধরে নেই তারপরেও অন্যান্য চরণ এবং বাইবেলিক প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ স্কলারদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী তো ভুলই বরং বাইবেল নিজেই একে ভুল বলে প্রমাণ করে ।
যদি মেনে নেই (আকাশ ও পৃথিবী) দিয়ে মহাবিশ্ব বুঝানো হয় ।
তারা এই ভিত্তিতে এই দাবি করে যে , আকাশ দিয়ে মহাবিশ্ব বুঝানো হয়েছে আর পৃথিবী বা (הָאָֽרֶץ׃) শব্দ দিয়ে মহাকাশে থাকা সকল মহাজাগতিক বস্তু বুঝানো হচ্ছে । তাহলে বলতে হবে বাইবেল মহাভুল !!!
কেননা হিব্রু (הָאָֽרֶץ׃) হা আ রিস শব্দটি হল Singular বা এমন একটি শব্দ যার দ্বারা একক বা একটি জিনিস বুঝানো হয় [৮] । যদি বাইবেল এটাই বুঝাতো (הָאָֽרֶץ׃) এই শব্দ দিয়ে সমগ্র মহাজাগতিক বস্তু বুঝানো হয় তাহলে এখানে অবশ্যই Plural শব্দ ব্যাবহার করা হত ।
এছাড়া আমরা যদি মেনেও নেই এই শব্দ দিয়ে সমগ্র মহাজাগতিক বস্তু বুঝানো হচ্ছে তাহলে এরপরেও বিভিন্ন সময়ের বাইবেলিক স্কলারদের মতে এটা ভুল এবং স্বয়ং বাইবেল মতেও এটা ভুল ।
এই চরণে ব্যাবহার করা (בָּרָ֣א) এমন কোন জিনিসকে বুঝানো হয় যা সম্পূর্ণ নতুন যার অস্তিত্ব কিংবা যা ের আগে ছিলনা । এবং এমন কোন জিনিস বুঝানো হয় যেটা হল Created or Aparted From Nothing[৯] ; . অর্থাৎ সৃষ্টি বা পৃথক হয়নি কোন কিছু থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি জিনিস । এবং কালে কালে প্রত্যেক প্রসিদ্ধ বাইবেলিক স্কলার রা এটাই বলে গেছেন
⦁ Augustine (354–430) - Created From Nothing
⦁ John Calvin (1509–1564) - Created From Nothing
⦁ John Wesley (1703–1791)- Created From Nothing
⦁ Matthew Henry (1662–1714) - Created From Nothing
রেফারেন্সঃ [১০] দেখুন ।
কিন্তু পৃথিবী আসলেই Created From Nothing ? অথবা স্বয়ং মহাবিশ্ব কি Created From Nothing ? না দুটোর মধ্যে কোনটিই Created From Nothing না ।
পৃথিবী যেভাবে হয়েছিল অথবা পৃথিবী যার অংশ
আমরা সকলেই জানি যে, পৃথিবী মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে তৈরী হয় এবং এটি কখনই Created বা Aparted From Nothing না। এইসব কিছুই পূর্বে Singularity অবস্থায় ছিল বা উত্তপ্ত অবস্থায় [১১]
তাহলে আসুন দেখে নেয়া যাক বাইবেলের সৃষ্টির সমীকরণ
প্রথমে আকাশ এবং পৃথিবী > আদি অবস্থা বিহীনভাবে আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টি > মহাবিশ্ব কন্সেপ্ট অনুপস্থিত > সূর্য, চন্দ্র, তারা, আকাশ, পৃথিবী নয়ে গঠিত ইউনিভার্স
আর কুরানের সমীকরণ হল,
মিশ্রিত পিন্ডের ন্যায় সমগ্র কিছু > কুন শব্দের মাধ্যমে সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু > ছয়টি পর্যায়কালে মহাবিশ্বের বিভিন্ন জিনিস সৃষ্টি > আজকের এই মহাবিশ্ব এবং সপ্ত আকাশ।
তাই কোনটি বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ সেটা আপনাদেরই হাতে।
তথ্যসূত্রঃ
1. সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩৩
3. সুরা আস সাফফাত আয়াত ৬
4. Al-Fasl bayna al-Milal wa’l-Nahl, 2/243
5. Dar’ al-Ta’aarud, 6/336, 337
6. তাফসীর ডঃ আবু বকর যাকারিয়া / সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩৩
7. সুরা আস সাজদা আয়াত ৪
10. The Nicene and Post Nicene Fathers First Series, Volume 1 The Confessions and Letters of Augustine with a Sketch of his Life and Work, 1896, Philip Schaff, Augustine Confessions, Book XI.11–30, XII.7–9
"Commentaries on The First Book of Moses Called Genesis, by John Calvin, Translated from the Original Latin, and Compared with the French Edition, by the Rev. John King, M.A, 1578, Volume 1, Genesis 1:1–31". Ccel.org. In the beginning. To expound the term 'beginning,' of Christ, is altogether frivolous. For Moses simply intends to assert that the world was not perfected at its very commencement, in the manner in which it is now seen, but that it was created an empty chaos of heaven and earth. His language therefore may be thus explained. When God in the beginning created the heaven and the earth, the earth was empty and waste. He moreover teaches by the word 'created,' that what before did not exist was now made; for he has not used the term יצר, (yatsar,) which signifies to frame or forms but ברא, (bara,) which signifies to create. Therefore his meaning is, that the world was made out of nothing. Hence the folly of those is refuted who imagine that unformed matter existed from eternity; and who gather nothing else from the narration of Moses than that the world was furnished with new ornaments, and received a form of which it was before destitute."
"John Wesley's notes on the whole Bible the Old Testament, Notes On The First Book Of Moses Called Genesis, by John Wesley, p.14". Ccel.org."Observe the manner how this work was effected; God created, that is, made it out of nothing. There was not any pre-existent matter out of which the world was produced. The fish and fowl were indeed produced out of the waters, and the beasts and man out of the earth; but that earth and those waters were made out of nothing. Observe when this work was produced; In the beginning—That is, in the beginning of time. Time began with the production of those beings that are measured by time. Before the beginning of time there was none but that Infinite Being that inhabits eternity."
Henry, Matthew (1706). "Chap. I.". Commentary on the whole Bible. Christian Classics Ethereal Library. 1 (Genesis to Deuteronomy) ([online] ed.). Grand Rapids, Michigan: Calvin College. Retrieved 2010-04-09. The manner in which this work was effected: God created it, that is, made it out of nothing. There was not any pre-existent matter out of which the world was produced. The fish and fowl were indeed produced out of the waters and the beasts and man out of the earth; but that earth and those waters were made out of nothing. By the ordinary power of nature, it is impossible that any thing should be made out of nothing; no artificer can work, unless he has something to work on.
"Commentaries on The First Book of Moses Called Genesis, by John Calvin, Translated from the Original Latin, and Compared with the French Edition, by the Rev. John King, M.A, 1578, Volume 1, Genesis 1:1–31". Ccel.org. In the beginning. To expound the term 'beginning,' of Christ, is altogether frivolous. For Moses simply intends to assert that the world was not perfected at its very commencement, in the manner in which it is now seen, but that it was created an empty chaos of heaven and earth. His language therefore may be thus explained. When God in the beginning created the heaven and the earth, the earth was empty and waste. He moreover teaches by the word 'created,' that what before did not exist was now made; for he has not used the term יצר, (yatsar,) which signifies to frame or forms but ברא, (bara,) which signifies to create. Therefore his meaning is, that the world was made out of nothing. Hence the folly of those is refuted who imagine that unformed matter existed from eternity; and who gather nothing else from the narration of Moses than that the world was furnished with new ornaments, and received a form of which it was before destitute."
"John Wesley's notes on the whole Bible the Old Testament, Notes On The First Book Of Moses Called Genesis, by John Wesley, p.14". Ccel.org."Observe the manner how this work was effected; God created, that is, made it out of nothing. There was not any pre-existent matter out of which the world was produced. The fish and fowl were indeed produced out of the waters, and the beasts and man out of the earth; but that earth and those waters were made out of nothing. Observe when this work was produced; In the beginning—That is, in the beginning of time. Time began with the production of those beings that are measured by time. Before the beginning of time there was none but that Infinite Being that inhabits eternity."
Henry, Matthew (1706). "Chap. I.". Commentary on the whole Bible. Christian Classics Ethereal Library. 1 (Genesis to Deuteronomy) ([online] ed.). Grand Rapids, Michigan: Calvin College. Retrieved 2010-04-09. The manner in which this work was effected: God created it, that is, made it out of nothing. There was not any pre-existent matter out of which the world was produced. The fish and fowl were indeed produced out of the waters and the beasts and man out of the earth; but that earth and those waters were made out of nothing. By the ordinary power of nature, it is impossible that any thing should be made out of nothing; no artificer can work, unless he has something to work on.
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.