কালিজিরা মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ ?

কালিজিরা মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ
--------------------------------------------------------------
প্রশ্নঃ
****
হাদিসে এসেছে যে, কালিজিরা মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ। যদি আসলে এরকম হয়ে থাকে তাহলে মুসলিমরা কেন অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসা করতে ডাক্তারের কাছে যায়?
ধন্যবাদান্তেঃ
***********
 মাইনুদ্দিন মিশন 
উত্তরঃ
*****
নাস্তিক - মুক্তমনাগণ এর প্রশ্ন এই হাদিস নিয়ে যেখানে বলা হয়েছে,
খালিদ ইবনু সা‘দ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের অভিযানে) বের হলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনু আবজার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদিনা্য় ফিরলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে দেখাশুনা করতে আসেন ইবনু আবূ ‘আতীক। তিনি আমাদের বললেনঃ তোমরা এ কালো জিরা সাথে রেখ। এত্থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে ফেলবে, তারপর তন্মধ্যে যাইতুনের কয়েক ফোঁটা তৈল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এ দিক-ওদিকের ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রবিষ্ট করাবে। কেননা, ‘আয়িশাহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেনঃ এই কালো জিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ঔষধ। আমি বললামঃ ‘সাম’ কী? তিনি বললেনঃ মৃত্যু।
এই হাদিসের এই বাক্যে " মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ " আলেম ওলামার দুটি মত রয়েছে।
আল হাফিয ইবন আল হাজার বলেন,
" মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ " এই কথা দিয়ে বোঝানো হয়েছে যে, এটি দিয়ে সকল ধরণের রোগের ট্রিট করা সম্ভব। (সংক্ষেপিত)
আল খাত্তাবি বলেন,
সাধারণ অর্থে বলা হয়েছে, " মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ " কিন্তু এর উদ্দেশ্য হচ্ছে খাস বা বিশেষ ক্ষেত্রে। কেননা এমন কোন ঔষধ নাই বৃক্ষ দিয়ে উৎপাদিত যেটা সকল রোগের চিকিৎসা করবে।
শায়েখ বিন বায বলেন,
অনেক মানুষই রুক্কইয়া করে কুরান বা অন্য কিছু থেকে কিন্তু অনেক সময়ে আরোগ্য পায়না। এতে হয়ত শর্ত পূরণ হয়না বা বিলম্ব হয়। এরকম যদি হত যে, মেডিকেল ট্রিটমেণ্ট বা রুক্কইয়া করেই কেউ যদি সুস্থ হত তাহলে কেউ মারা যেত না। বস্তুত রোগ থেকে আরোগ্য আল্লাহ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় তিনি যদি চান তাহলে শিফা দেন না চাইলে দেন না (ভাবানুবাদ)। [2]
অর্থাৎ মূল কথা হচ্ছে কালোজিরা দিয়ে সকল রোগের ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব তবে সেটা দিয়ে সুস্থতা পাওয়া বা না পাওয়া সেটা আল্লাহর উপর।
কেননা কুরানে স্পষ্ট বলা আছে,
26:80
وَ اِذَا مَرِضۡتُ فَہُوَ یَشۡفِیۡنِ ﴿۪ۙ۸۰﴾
‘আর যখন আমি অসুস্থ হই, তখন যিনি আমাকে আরোগ্য করেন’।[3]
উদাহরণ হিসেবে যদি বলি কারও যদি ক্যান্সার হয় তাহলে তাকে কিমো থেরাপি দেয়া হয় যেটা ক্যান্সার কোষ মেরে ফেলে। এখন এই তেজস্ক্রিয় পদার্থ দিয়ে কেউ কেউ সুস্থ হয় কেউ কেউ অসুস্থ ই থেকে যায়। এতে কি সেই পদার্থের দোষ? বা আমরা সামান্য সর্দি লাগলে নাপা বা প্যারাসিটামল খাই কেউ কেউ এটা দিয়েই সুস্থ হই আবার কারও কারও এন্টিবায়োটিক দরকার হয় বস্তুত সেই একটা নাপা ই কিন্তু একাধিক রোগ এর জন্য ঔষধ।
ঠিক সেভাবে কালিজিরা ও এমন এক শিফা যা দিয়ে সকপ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে এতে কেউ কেউ সুস্থ হয় কেউ কেউ হয়না। কেন আ শিফা একমাত্র আল্লাহর হাতেই।
এছাড়া কালিজিরার বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক উপকারীতা রয়েছে।
কালোজিরায় থাইমোকিউনিন রয়েছে যা দেহের এন্টিওক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এটি চামড়ার
Enzema [4]
Acne [5]
Psoriasis [6]
ইত্যাদি রোগের নিরাময়ের জন্য উপকারী।
এছাড়া ক্যান্সার নিরাময় তেও কালিজিরার বেশ ভালো গুন আছে
এছাড়া ক্যানসার, লিভার, কিডনির রোগের জন্যও কালিজিরা বেশ উপকারী। [7]
মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাত্রে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেলে মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যায় [8]
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরার ভূমিকা পালন করে । শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি দূর করে। হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে।
পক্ষাঘাত (প্যারালাইসীস ও কম্পন) রোগে কালোজিরার তেল মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায় [9]।
মূলত এক কথায় কালোজিরার বহু উপকারীতা আছে যা এক আর্টিকেলে Describe করা সম্ভব না। এর উপকারীতা বর্ণনা করতে গেলে খন্ড আকারে বই প্রকাশ করা লাগবে।
তবুও নিচের লিংক এ ক্লিক করে আরও তথ্য জানতে পারেন
তথ্যসূত্র চেক করুন সেখানেই দেয়া আছে।
তথ্যসূত্রঃ
********
(বিদ্রঃ কিছু টেকনিকাল কারণে সম্ভবত তথ্যসূত্র এ থাকা কোন লিংক এর কারণে ফেইসবুক আমাদের এই পোস্ট কে বারবার রিপোর্ট করছে।তাই আমরা তথ্যসূত্র এখানে দেখাতে পারছিনা। তাই যদি পাঠকগণ তথ্যগুলো দেখতে চান তাহলে নিচের লিংক এ ক্লিক করে একত্রে সব তথ্য দেখে আসতে পারেন)
লিংকঃ http://bit.ly/2F0fcsp


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.