নবী মুহাম্মদ (সা) একাধিক বিয়ে কেন করেছেন ? নিজে করেছেন ১১ টি আর উম্মতের জন্য ৪ টি ? এম ডি আলী

প্রশ্নঃ নবী মুহাম্মদ (সা) একাধিক বিয়ে কেন করেছেন ? নিজে করেছেন ১১ টি আর উম্মতের জন্য ৪ টি ?
লিখেছেনঃ এম ডি আলী
উত্তরঃ এই প্রশ্ন করার অধিকার হিন্দু , খৃষ্টান সহ ইত্যাদি ধর্মের অনুসারীরা করতে পারে কেননা তাদের নিজস্ব আইন আছে , নিয়ম আছে । নীতি আছে । কিন্তু নাস্তিক ধর্মের অনুসারীদের এই প্রশ্ন করার অধিকার নাই নাই এবং নাই কারন তাদের বিয়ের নিয়ম নাই , তাদের ধর্মে ফতোয়া হল সম্মতি থাকলে যার সাথে ইচ্ছা সেক্স করতে পারা যায় । একজন নাস্তিক পুরুষ কয়টি বিয়ে করবে এই বিষয় তার নাস্তিক ধর্ম তাকে কিছুই বলেনা সুতরাং এ থেকে প্রমান হয় যে একাধিক না বরং হাজারটি নাস্তিক নারীর সাথে সম্মতি থাকলে.........
আরেকটি মজার কথা হল নাস্তিক ধর্মের ফতোয়া কমন সাইড "উভয় সম্মতি" সুতরাং এই অনুযায়ী নবী মুহাম্মদ (সা) সম্মতিতেই তাঁর স্ত্রীদের বিয়ে করেছিলেন এখানে নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরা কেন রাসুলের বেক্তিস্বাধীনতায় আপত্তি করে নিজেদের সাম্প্রদায়িক প্রমান করতে চান ? লজ্জা লাগে না হে নাস্তিক ধর্মের অন্ধ অনুসারী ? নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরা নাকি বেক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী !
বিশুদ্ধ সিরাত গ্রন্থে এই ঘটনা গুলো পাবেন , নবী মুহাম্মদ (সা) বয়স যখন ২৫ বছর তখন তাঁর সাথে বিয়ে হয় ৪০ বছর বয়সের মহিলা খাদিজা (রা) এর সাথে । প্রশ্ন আসে যে, একজন সুদর্শন পুরুষ , যখন তাঁর টগবগে তারুণ্য ভরা যৌবনকাল, ঠিক তখন কিসের জন্য তিনি ৪০ বছরের একজন নারীকে বিয়ে করলেন, যখন তাঁর যৌবনকাল ডুবি অবস্থায় ? শুদু কি তাই নাকি ? এই ৪০ বছরের নারি ছিলেন একজন বিধবাও । যুবক হিসেবে একজন যুবতি নারীকেই বিয়ে যৌক্তিক ছিল , কেন তিনি ৪০ বছরের মেয়ে বিয়ে করলেন ?
ইসলাম বিদ্বেষীরা দাবি করে , খাদিজা (রা) সম্পদ, সম্পত্তি ছিল, সেই সম্পত্তির লোভে নবী মুহাম্মদ (সা) তাঁকে বিয়ে করেছিল । কিন্তু এই কথা সম্পূর্ণ মিথ্যাকথা, ভিত্তিহীন এবং জালিয়াতির পরশ ।কারন খাদিজা (রা) রাসুল (সা) এর বিশ্বাসযোগ্যতা , সত্যবাদীতা, কর্মনিষ্ঠা ও সুন্দর আচরনের জন্য নিজের বিজনেসে চাকরি দেন এবং নবী মুহাম্মদ (সা) কে যাচাইও করেন এবং বুঝে যান যে এই মুহাম্মদ সম্পূর্ণ ফ্রেশ একজন মানব । এরপরেই তিনি রাসুলকে বিয়ের প্রস্তাব দেন । নবী মুহাম্মদ (সা) নিজের থেকেই কিছু না বলে অভিবাবক হিসেবে চাচা আবু তালিবকে এই প্রস্তাবের বিষয়টি জানান । আবু তালিবের সম্মতিতে রাসুলের সাথে খাদিজা (রা) এর বিয়ে হয় । এখন বলেন, "এখানে সম্পদের লোভে বিয়ে করেছিল" - এই মিথ্যা কথা আসে কিভাবে ?
নাস্তিক ধর্মান্ধরা বহুবিবাহ দিয়ে না বুঝাতে চায় তাহল - রাসুল (সা) নাকি নারীলোভী ছিলেন অথচ বিশুদ্ধ ইতিহাস আমাদের জানায় নবী মুহাম্মদ (সা) তাঁর যৌবন, পড়ন্ত যৌবন এবং বুড়ো বয়স এর সময় পার করেছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী খাদিজার সাথেই । প্রথম স্ত্রী যতদিন বেঁচে ছিলেন তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেননি চাইলেই করতে পারবেন কারন তখন একাধিক বিয়ে একেবারেই সাধারন ব্যাপার ছিল । নবী মুহাম্মদ (সা) এর যখন ৫০ বছর তখন তাঁর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হন । যাকে নারীলোভী ট্যাগ লাগাতে চায় সেই তিনিই নাকি তাঁর পুরা যৌবনকালের সবতুকু সময় অর্থাৎ ২৫ বছর কাটিয়ে দিলেন একজন ৪০ বছর স্ত্রীর সাথেই । নাস্তিক ধর্মান্ধদের দাবি যদি সত্য হত তবে ২৫ বছরে নবী মুহাম্মদ (সা) এর আরও বেশি স্ত্রীর থাকা উচিৎ ছিল কিন্তু ইতিহাস এরকম কোন প্রমান নাই । এর থেকে কি প্রমান হয় ? প্রমানিত হয় যে নাস্তিক ধর্মান্ধদের দাবি সোজা সুজি ভিত্তিহীন এবং ডাহা মিথ্যা কথা এবং অযৌক্তিক ।
কাফেররা নবীকে আরবের সুন্দরী নারী অফার দেয় , রাসুল (সা) সরাসরি তা বয়কট করেন । এখানে আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই তা হল, জীবনে কি এমন নারীলোভী দেখেছেন ? আপনি ভাবতে থাকেন আমি পাঠকদের সামনে নিয়ে যাই কেমন !
নবী মুহাম্মদ (সা) বাকি যাদের বিয়ে করেছিলেন সবাই বয়স্কা এবং মাক্সিমাম বিধবা ছিলেন , আয়েশা (রা) ছাড়া । ই,ফাঃ সহিহ বুখারি ৮/৩৯১ পৃষ্ঠা, হাদিস নং: ৪৭০৯ = জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি বিয়ে , করলে রাসুল (সা) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কেমন মেয়ে বিয়ে করেছ ? আমি বললাম বিধবা রমণীকে বিয়ে করেছি । তিনি বললেন কুমারী মেয়ে এবং তাঁদের কৌতুকের প্রতি তোমার আগ্রহ নেই ? তুমি কেন কুমারী মেয়েকে বিয়ে করলে না , যাতে তুমি তাঁর সাথে এবং সে তোমার সাথে ক্রিয়া কৌতুক করতে পারত ? - এ হাদিস থেকে বুঝলাম , নবী (সা) জানতেন কুমারী নারী বিয়ে করলে শারীরিক তৃপ্তি বেশি পাওয়া যায় এবং তিনি যেহেতু শিক্ষক ছিলেন তাই তাঁর সাহাবীদের রুচি রাসুল (সা) বুঝতেন তাই ঐ সাহাবীর অবস্থা উপলব্ধি করেই এই কথা রাসুল (সা) বলেন । খেয়াল করেন রাসুল (সা) নিজেই তাঁর সাহাবীকে বলছেন তুমি কেন কুমারী মেয়ে বিয়ে করলে না অথচ নবী মুহাম্মদ (সা) নিজে যাদের বিয়ে করেছিলেন তাঁদের মাক্সিমাম ছিল মধ্য বয়স্কা । যদি তিনি নারী লোভী হতেন তাহলে তো তিনি বেছে বেছে কুমারী মেয়েদেরই বিয়ে করতেন তাই না ?
নাস্তিক ধর্মের দেশ চিনে ফ্রি সেক্স জায়েজ , সেখানে যত ইচ্ছা নারীর সাথে গুলুগুলু করা যায় এই তথ্য নাস্তিক ধর্মান্ধরা লুকায় । হাস্যকর না যে নিজেরা ফ্রি সেক্স এর জন্য আন্দোলন করে আবার একাধিক বিয়ের ব্যাপারে নিজেরাই আপত্তি করে ! এখন আসুন চিনের ব্যাপারে গোপন তথ্য ফাঁশ করি । বহু বিবাহ শুদু প্রাচিন কালের তাই না - আধুনিক কালেও এর আইন আছে । ১৯৩৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়া অ্যামেরিকান লেখিকা Pearl S. Buck । তার অধিকাংশ উপন্যাস চিনের সামাজিক পটভূমি ওপরেই রচিত । তার বিক্ষাত উপন্যাস A House Divided , East Wind: West Wind , The Good Earth....১৯০০ সালের দিকে চিনের সামাজিক প্রেক্ষাপট ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন । তিনি দেখিয়েছেন ঐ সময়গুলোতে চিনের পুরুষদের স্ত্রীর পাশাপাশি কিভাবে রক্ষিতা রাখত । ঐ রক্ষিতাদের গর্ভে চিনের প্রভাবশালী বিজনেস ম্যান, ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদদের জন্ম হয় , যারা কোন দিন পিতার পরিচয় পাননি । আরবেও তৎকালীন বর্বর মানুষের নারীদের যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই ব্যাবহার করত , সম্মান তো দুরের কথা - নবী মুহাম্মদ (সা) নারীদের স্ত্রীদের মর্যাদা দিয়ে দেখিয়ে দিলেন নারীরা রক্ষিতা হবার জিনিস না । তাঁরা সম্মানের ।
নবী মুহাম্মদ (সা) এর একাধিক বিয়ের কারনঃ
১/ হযরত খাদিজা (রা) মৃত্যুর পরে । রাসুল (সা) হযরত সওদা (রা) কে বিয়ে করেন রাসুলের চার কন্যা সন্তানকে দেখভালের জন্য ।
২/ বনু মুস্তালিক গোত্রের নেতা হারেসার কন্যা জুহাইরিয়া (রা) কে রাসুল (সা) বিয়ে করেন । হারেসা হয়ে গেল রাসুলের শ্বশুর , এই দিকে বিবেচনা করে রাসুল (সা) এর সাথে বনু মুস্তালিক গোত্রের সবাইকে মুক্ত করে দেন এবং এতে দুই গোত্রের মাঝে আত্মীয়তার সম্পর্ক হয় ।
৩/ হযরত সাফিয়া (রা) বিয়ের ফলে যুদ্ধ তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায় । রাসুলের সাথে সন্ধি করে ইহুদীরা খয়বারে বসবাস করতে থাকে ।
৪/ নিজের কাছের সাহাবীদের সাথে সম্পর্ক আরও মজবুত , আরও শক্তিশালী করার জন্য তিনি তাঁদের সাথে সম্পর্ক করেছেন । হযরত উমর (রা) এর কন্যা হাফসা (রা) কে এবং আবু বকর (রা) এর কন্যা আয়েশা (রা) কেও রাসুল (সা) বিয়ে করেন । শুদু কি তাই ? নবীজি নিজের কন্যা ফাতিমাকে (রা) কে আলীর (রা) সাথে এবং কুলসুম আর রুকাইয়া (রা) বিয়ে দেন উসমান (রা) এর সাথে । ইসলামের ইতিহাস দেখুন । নবী মুহাম্মদ (সা) এর ওফাতের পরে এই চারজনকেই ধারাবাহিক ভাবে খলিফা তথা মুসলিমদের আমীর নির্বাচিত করা হয় এতে বুঝা যায় রাসুল (সা) এর কৌশলটি কত সুদূর প্রসারিত ছিল ।
৫/ হযরত জয়নাব (রা) কে বিয়ে করেন সমাজের মিথ্যা কুসংস্কার দূর করার জন্য ।
৬/ উম্মে হাবিবাহ (রা) কে বিয়ে করার পর তার পিতা কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান আর রাসুল (সা) এর প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেন না । বরং ৮ম হিজরিতে রমজান মাসে মক্কা বিজয়ের পূর্বরাতে তিনি ইসলাম গ্রহন করেন ।
৭/ হযরত মায়মুনা বিনতুল হারেছকে বিয়া করার ফলে নাজদ বাসীদের অব্যাহত শত্রুতা ও ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । অথচ এই নাজদবাসীরাই ৭০ জন সাহাবীদের দাওয়াত এর বাহানায় নির্মমভাবে হত্যা করেছিল । এই ঘটনা বিরে মাউনার ঘটনা নামে প্রসিদ্ধ ।
৮/ এছাড়া আরও কারন আছে । পুরুষরা সরাসরি রাসুল (সা) থেকে মাসালা মাসায়েল জেনে নিত যা নারীরা পর্দার কারনে সেই সুযোগ ছিল না । রাসুল (সা) এর থেকে জেনে তাঁর স্ত্রীরা মাসালা জেনে তা অন্য মহিলাদের জানিয়ে দিত ।
= এখন উপরের শর্ত সমূহ হাতে রেখে "মাত্র ১ টি" ক্ষতিকর দিক দেখাক নাস্তিক ধর্মের অনুসারীরা যে নবী মুহাম্মদ (সা) এর একাধিক বিয়ের ফলে তৎকালীন কোন ক্ষতি হয়েছিল ? থাক আজকে আর চ্যালেঞ্জ দিলাম না ।
উম্মতের জন্য কেন ৪ টি বিয়ে ?
সাধারন একটি উদাহরনঃ কোন রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা দিল যারা মোবাইল চালাতে চান তারা ব্যাবহার করুন দুই , তিন অথবা চারটি কিন্তু যদি অপচয় হয় তাহলে একটি মোবাইল উত্তম । রাষ্ট্র প্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হল তাহলে আপনি কেন চার এর অধিক মোবাইল ব্যাবহার করছেন । জবাবে তিনি বলল, আমার ব্যাপারে আদেশ বা তোমাদের ক্ষেত্রে আদেশ এক না । কারন আমার পুরো দেশ চালাতে হয় , দেশের স্বার্থে আমাকে অধিক মোবাইল রাখতে হয় যেন যোগাযোগ সুবিধা হয় ।
উপরের উদাহরন বুঝলে সহজেই এই আয়াত বুঝতে পারবেন , সুরা নিসার ৩ নং আয়াতে আছেঃ এতিম মেয়েদের হক যথাযথ পুরন করতে পারবে না তবে যে সব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাঁদের বিয়ে করে নেও দুই, তিন অথবা চারটি পর্যন্ত । যদি এরুপ হয় যে তাঁদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরন বজায় রাখতে পাবে না তবে একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে , এতেই পক্ষপাতিত্য জড়িয়ে না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা ।
ই,ফাঃ সহিহ বুখারি ৮/ ৩৮২ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ৪৬৯৪: উপরের আয়াত হল তৎকালীন এতিম নারীদের সম্পদের লোভে প্রচুর নারী বিয়ে করা হত কিন্তু তাঁদের অধিকার দিত না তাই আল্লাহ্‌ সুরা নিসার ৩ আয়াত দিয়ে আইন করে দিলেন । এবং সর্বচ্চ ৪ টি বিয়ের কথা বললেন তবে একটি উত্তম ।
রাসুল (সা) এবং উম্মতের মধ্যে পার্থক্য ?
* রাসুল (সা) হলেন নবী আর তাঁর উম্মত হল মুসলিমরা ।
* রাসুল (সা) এর ক্ষেত্রে বিশেষে কিছু আদেশ আছে যা উম্মতের জন্য নয় । যেমন চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করা , মেরাজে যাওয়া , ৬ বছরে বিয়ে ইত্যাদি এমন অনেক হাদিস আছে যা রাসুল (সা) এর জন্য খাস উম্মতের জন্য তা পালনীয় নয় । রাসুল (সা) আমাদের সুন্নাহ মানতে বলেছেন হাদিস না । এই বিষয়ে সামনে বিস্তারি লিখব ইনশা আল্লাহ্‌ ।
* রাসুলের কাছে ওহী নাযিল হত কিন্তু আমাদের কাছে নাযিল হয় না ।
* রাসুলকে আল্লাহ্‌ বিশেষভাবে মেরাজে নিয়ে গেছেন , আমাদের ক্ষেত্রে এটা অসম্ভব এখানে আমলের কিছুই নাই ।
* রাসুলের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষেত্রে ১১ বা একাধিক স্ত্রী কিন্তু উম্মতের জন্য ৪ টি তবে তাও একটি প্রব্লেম সামাল দেওয়ার জন্য । একটি উত্তম।
= রাসুলের উম্মতরা ৪ এর অধিক বিয়ে করতে পারবে যদি এক স্ত্রী মারা যায় তবে ...... এভাবে একাধিক স্ত্রী বিয়ে করতে পারবে ।
আরেকটি উদাহরন দেয়া হয়, টিচার আর স্টুডেন্ট মধ্যে যেমন পার্থক্য একইভাবে নবী এবং তাঁর উম্মতের মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে । টিচার থেকে স্টুডেন্টরা যেমন সব ধরনের শিক্ষা নেয় আবার শিক্ষকের জন্য বিশেষ কিছু কাজ আছে যা স্টুডেন্টদের জন্য প্রয়োজন নয়, যেমন শিক্ষক চাকরি করে, বেতন নেয় , পরিক্ষার হলে খাতা দেখে ইত্যাদি কিন্তু স্টুডেন্টরা এসব কিছুই করে না - একই ভাবে নবীর কিছু কিছু কাজ যা বিশেষ ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌ নবীকেই দিয়েছেন যা উম্মতের জন্য নয় তাই নবীর জন্য ১১ টি আর উম্মতের জন্য ৪ টি তাও শর্ত সাপেক্ষে।তবে ১ টি ই উত্তম।
নবীর জন্য বিশেষ ভাবে আদেশ প্রমান;
সুরা আহযাব ৫০ আয়াত: হে নবী আপনার জন্য আল্লাহ্‌ স্ত্রীগণকে হালাল করেছি যাদেরকে আপনি মহোরানা প্রদান করেন আর দাসীদেরকে হালাল করেছি যাদেরকে আল্লাহ্‌ আপনার করায়ত্ত করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাত ভগ্নী, ফুফাতো ভগ্নী, মামাতো ভগ্নী , খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে । কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পণ করে , নবী তাঁকে বিয়ে করতে চাইলে সেও হালাল । এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য , অন্য মুমিনদের জন্য নয় । আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে । মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারণ করেছি আমার জানা আছে । আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল ও দয়ালু ।


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.