নবী মুহাম্মদ (সা) কি লিখতে ও পড়তে পারতেন ? এম ডি আলী

প্রশ্নঃ নবী মুহাম্মদ (সা) কি লিখতে ও পড়তে পারতেন ?
লিখেছেনঃ এম ডি আলী
উত্তরঃ আসুন কিছু হাদিস জেনে নাই যে সব হাদিস দিয়ে তারা দাবি করে যে নবী মুহাম্মদ (সা) নাকি লিখতে ও পড়তে পারতেনঃ
১/ ই,ফাঃ সহিহ বুখারি, ৫/ ৩০, ৩১ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ২৫১৮: বারা ইবন আযিয (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুল (সা) হুদায়বিয়াতে (মক্কাবাসীর সাথে) সন্ধি করার সময় আলী (রা) উভয় পক্ষের মাঝে এক চুক্তিপত্র লিখলেন । তিনি লিখলেন , মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সা) । মুশরিকরা বলল, মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ লেখা চলবে না , আপনি রাসুল হলে আপনার সঙ্গে লড়াই কিসের ? তখন তিনি বললেন , ওটা মুছে দেও, আলী (রা) বললেন আমি তা মুছবো না । "রাসুল (সা) নিজ হাতে তা মুছে দিলেন এবং এই শর্তে তাদের সাথে সন্ধি করলেন" যে তিনি এবং তাঁর সাহাবা তিন দিনের জন্য মক্কায় প্রবেশ করবেন এবং জুলুব্বান ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করবেন না । তারা জিজ্ঞাসা করল জুলুব্বান কি ? তিনি বললেন এর অর্থ ভিতরে তরবারি সহ খাপ ।
২/ ই,ফাঃ সহিহ বুখারি ১/ ৫৪ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ৬৫: আনাস (রা) থেকে বর্ণিত , "নবী করীম (সা) একখানি পত্র লিখলেন অথবা একখানি পত্র লিখতে মনস্থ করলেন" । তখন তাঁকে বলা হল যে , তারা (রোমবাসী ও অনারবরা ) সিলমোহর যুক্ত ছাড়া কোন পত্র পড়ে না । এরপর তিনি রুপার একটি আংটি তৈরি করালেন যার নকশা ছিল "মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ" - আমি যেন তাঁর হাতে সে আংটির উজ্জ্বলতা এখনো দেখতে পাচ্ছি ।
৩/ ই,ফাঃ সহিহ বুখারি ১/ ৮০ পৃষ্ঠা , হাদিস নং ১১৫: ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী (সা) এর রোগ যখন বেরে গেল তখন তিনি বললেন "আমার কাছে কাগজ কলম নিয়ে এসো আমি তোমাদের এমন কিছু লিখে দিব যাতে পরবর্তী তোমরা আর ভ্রান্ত না হও" । উমর (রা) বলেন, নবী (সা) এর রোগ যন্ত্রণা প্রবল হয়ে গেছে (এমতাবস্থায় কিছু বলতে বা লিখতে তাঁর কষ্ট হবে) আর আমাদের কাছে তো আল্লাহ্‌র কিতাব রয়েছে যা আমাদের জন্য যথেষ্ট । এতে সাহাবীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল এবং শোরগোল বেরে গেল । তখন রাসুল (সা) বললেন , তোমরা আমার কাছ থেকে উঠে যাও । আমার কাছে ঝগড়া - বিবাদ করা উচিৎ নয় । এ পর্যন্ত বর্ণনা করে ইবনে আব্বাস (রা) যেখানে হাদিস বর্ণনা করছিলেন সেখান থেকে এ কথা বলতে বলতে বেরিয়ে এলেন যে, হায় বিপদ, সাংঘাতিক বিপদ । রাসুল (সা) এবং তাঁর লেখনির মধ্যে যা বাধ সেধেছে।
উপরের হাদিস গুলা খুবিই মনোযোগের সাথে পারলে আবার পরুন এবং এখন আমরা উপরের তিন হাদিসের জবাব দিচ্ছি ধাপে ধাপে সেগুলা খুবই খেয়ালের সাথে পড়ুন তাহলে নিজেরাই ধরতে পারবেন নাস্তিক ধর্মান্ধদের মিথ্যাচারঃ
১ নং হাদিসের জবাবঃ
এই হাদিসে ব্যাপারে বিস্তারিত বলা হয়েছে, ই,ফাঃ সহিহ বুখারি ৫/ ৩৪৮ পৃষ্ঠা , হাদিস নং ২৯৫৯: বারা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুল (সা) যখন উমরা করার ইচ্ছা করেন , তখন তিনি মক্কায় আসার অনুমতি চেয়ে মক্কায় কাফিরদের নিকট দ্যূত পাঠান । তারা শর্তারোপ করে যে , তিনি সেখানে তিন রাতের অধিক থাকবেন না । এবং অস্ত্রকে কোষাবদ্ধ না করে প্রবেশ করবেন না । আর মক্কাবাসীদের কাউকে ইসলামের দাওয়াত দিবে না । বারা (রা) বলেন , এ সকল শর্ত আলী (রা) লেখা আরম্ভ করলেন এবং সন্ধিপত্রে লিখলেন "এটা সে সন্ধিপত্র যার উপর আল্লাহ্‌র রাসুল মুহাম্মদ ফয়সালা করেছেন" তখন কাফিররা বলল আমরা যদি এ কথা মেনে নিতাম যে আপনি আল্লাহ্‌র রাসুল তবে তো আমরা আপনাকে বাধাই দিতাম না এবং আপনার হাতে বায়াত করে নিতাম । কাজেই এরুপ লিখুন, এটি সেই সন্ধিপত্র যার উপর মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ফয়সালা করেছেন । তখন রাসুল (সা) বললেন আল্লাহ্‌র কসম আমি মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ এবং আল্লাহ্‌র কসম আমি আল্লাহ্‌র রাসুল । বারা (রা) বলেন, রাসুল (সা) লিখতেন না , তাই তিনি আলী (রা) কে বললেন "রাসুলুল্লাহ" শব্দটি মুছে ফেল । আলী (রা) বললেন আল্লাহ্‌র কসম ! আমি কখনো তা মুছবো না । তখন রাসুল (সা) বললেন "তবে আমাকে দেখিয়ে দেও" তখন আলী (রা) তাঁকে "সে স্থান দেখিয়ে দিলেন এবং রাসুল (সা) তা "নিজ হাতে মুছে ফেললেন" । এরপর যখন তিনি মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং সে দিনগুলো অতিবাহিত হয়ে গেল তখন আলী (রা) এর নিকট এসে বলল তোমার সঙ্গিদের বল যেন তিনি চলে যান । আলী (রা) রাসুল (সা) কে তা বলল । তিনি বললেন ঠিক আছে । তারপর তিনি রওয়ানা হলেন ।
এ ছাড়া সুরা আনকাবুত এর ৪৮ নং আয়াতে আছেঃ তুমি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করোনি এবং নিজহাতে কোন দিন কিতাব লিখনি যে মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষণ করবে ।
= তাফসীরে ইবনে কাসির ১৫/৫৯১ পৃষ্ঠা , অনুবাদঃ ডঃ মুজিবুর রহমান । উপরের আয়াতের ব্যাখ্যায়ঃ রাসুল (সা) কাফেরদের মাঝে অনেক বছর অতিবাহিত করেছে আর কাফেররা ভাল ভাবেই জানতো যে রাসুল (সা) এর আক্ষরিক জ্ঞান ছিল না । এরপরেও যখন নবী জ্ঞান পূর্ণ কিতাব পাঠ করছে তখন তো তা প্রকাশ্য ব্যাপার যে এটা আল্লাহ্‌র পক্ষ হতেই এসেছে ।
= তাফসীরে ইবনে কাসির ১৫/৫৯২ পৃষ্ঠাঃ বড় মজার কথা এইযে , আল্লাহ্‌র নিষ্পাপ নবী মুহাম্মদ (সা) কে সব সময় এর জন্য লিখা হতে দূরে রাখা হয় । একটি অক্ষরও তিনি লিখতে পারতেন না । তিনি লেখক নিযুক্ত করেছিলেন । যারা আল্লাহ্‌র ওহী লিখতেন । প্রয়োজনের সময় দুনিয়ার বাদশাহর নিকট তারাই লিখতেন । পরবর্তী ফকিহদের মধ্যে কাজী আব্দুল ওয়ালি বাজী প্রমুখ গুরুজন বলেছেন যে, হুদায়বিয়ার সন্ধির দিন " এ হচ্ছে ঐ শর্তসমূহ যেগুলোর উপর মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ (সা) ফয়সালা করেছেন" - এ বাক্য রাসুল (সা) নিজ হাতে লিখেছিলেন । কিন্তু এ কথা সঠিক নয় । কাজী সাহেবের মনে এ ধারনা জন্মেছে বুখারির ঐ রেওয়ায়েত যাতে আছে "অতপর রাসুল (সা) ওটা নিলেন ও লিখলেন" কিন্তু এর ভাবার্থ হচ্ছে "অতপর তিনি হুকুম করলেন তখন লিখা হল" - পূর্ব ও পশ্চিমের সমস্ত আলেমদের এটাই মাযহাব তথা মত । এমনকি তারা বাজী (রহ) প্রমুখ গুরুজনের উক্তিকে কঠিনভাবে খণ্ডন করেছেন এবং তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন । কিন্তু এটাও স্মরণ রাখার বিষয় যে কাজী সাহেব প্রমুখ মনিষীদের এটা ধারনা মোটেই নয় যে "রাসুল (সা) ভালরুপে লিখতে পারতেন" বরং তারা বলতেন যে সন্ধিপত্রে তাঁর উপরোক্ত বাক্যটি লিখে নেওয়া তাঁর একটি মুজিজা ছিল । যেমন রাসুল (সা) বলেছেন যে , দাজ্জালের দু চোখের মাঝে "কাফির" লিখা থাকবে যা প্রত্যেক মুমিন পড়তে পারবে । অর্থাৎ লেখা পড়া না জানলেও সবাই পড়তে সক্ষম হবে । এটা মুমিনদের একটা কারামত হবে । একই ভাবে উপরোক্ত বাক্যটি লিখে ফেলা আল্লাহ্‌র নবীর এর মুজিজা ছিল এর ভাবার্থ এটা নয় যে তিনি লেখা পড়া জানতেন ।
২ নং হাদিসের জবাবঃ
এই হাদিসের যেখানে বলা হয়েছিল "নবী (সা) একখানি পত্র লিখলেন অথবা লিখতে মনস্থ করলেন" - বুখারি শরীফ (বাংলা তরজমা ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা) । লিখেছেনঃ মাও শামসুল হক ফরিদপুরী (রহ) । হামিদিয়া লাইব্রেরী লিমিটেড । ১১৬ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ৫৮: আনাস (রা) বর্ণনা করেছেন নবী (সা) তৎকালীন বড় বড় রাজা বাদশাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত ও আহ্বান জানিয়ে পত্র পাঠাতে মনস্থ করলেন । তখন তাঁর কাছে আরজ করা হল যে রাজা বাদশাগন সিলমোহর যুক্ত লিপি না হলে গ্রহণ করে নাহ । তখন নবী (সা) রৌপ্যের একটি আঙ্গুরি বিশেষ সিলমোহর তৈরি করালেন । তাঁর উপর লেখা ছিল আল্লাহ্‌, রাসুল , মুহাম্মদ এই শব্দ তিন লাইনে অংকিত ছিল । আনাস (সা) বলেন আমি নবী (সা) আঙ্গুলে দেখেছি এখনো উহা আমার চোখে ভাসিতেছে ।
এ ছাড়া ই,ফাঃ সহিহ বুখারি ১০/৪১৭ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ৬৬৭৬: আনাস (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন নবী (সা) যখন চিঠি লিখতে চাইলেন ....... - এ থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় যে রাসুল (সা) ইচ্ছা পোষণ করেছেন । নিজ হাতে লিখেন নাই ।
৩ নং হাদিসের জবাবঃ
= এই হাদিসের যেখানে বলা আছে "রাসুল (সা) বলেছেন আমার কাছে কাগজ কলম নিয়ে আসো আমি তোমাদের এমন কিছু লিখে দিব যাতে পরবর্তীতে তোমরা ভ্রান্ত না হও" - এর জবাব হলঃ ই,ফাঃ সহিহ বুখারি ১০/ ৪৩৭ , অণুচ্ছেদ ৩০৪৪: যায়েদ ইবনে সাবিত (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) তাঁকে ইহুদীদের লিখন পদ্ধতি শিক্ষা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন । তিন বলেন যার ফলে আমি নবী (সা) এর পক্ষ থেকে তাঁর চিঠিপত্র লিখতাম এবং তারা কোন চিঠিপত্র তাঁর কাছে লিখলে তা তাঁকে পাঠ করে শোনাতাম ।
ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৬৪৫ , হাদিস সহিহঃ যায়েদ ইবনে সাবেত (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী (সা) আমাকে ইহুদীদের লেখা (ভাষা) লিখার আদেশ দিলেন । আমি ইহুদীদের লেখা শিখলাম । নবী (সা) বললেন আল্লাহ্‌র শপথ, ইহুদীরা আমার পক্ষ থেকে সঠিক লিখবে বলে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না । সাবেত (রা) বলেনঃ ১৫ দিন যেতে না যেতেই আমি তাদের লেখা আয়ত্ত করে ফেললাম । তিনি চিঠিপত্র লেখানোর ইচ্ছা করলে আমি লিখে দিতাম এবং তাঁর নিকট চিঠি পত্র এলে আমি তা তাঁকে পড়ে শুনাতাম ।
উপরের সমস্ত যৌক্তিক প্রমান ভিত্তিক তথ্য হাতে রেখে আমরা খুবই দৃঢ়ভাবে দাবি করছিঃ
১/ হুদায়বিয়ায়র সন্ধির দিন রাসুল (সা) নিজ হাতে চিঠি লিখেননি বরং আলী (রা)কে দিয়ে লিখিয়েছেন । আর যেই হাদিসে আছে "নিজ হাতে মুছে দিলেন ও সন্ধি করলেন" এর ভাবার্থ হল তিনি মুছালেন এবং সন্ধি লিখালেন । এখানে একটি বিষয় ক্লিয়ার করে দেই যে বাংলা অনুবাদে মিষ্টেক হতে পারে এটা অস্বাভাবিকের তেমন কিছুই না ।
২/ সুরা আনকাবুত এর ৪৮ নং আয়াত বাস্তব প্রমান যে রাসুল (সা) লিখতে ও পড়তে পারতে না ।
৩/ যেসব গুরুজন দাবি করেছিলেন যে রাসুল (সা) লিখতে পারতেন তাদের দাবি যুক্তি ও প্রমান দিয়ে খণ্ডন করে আলেমগন ইজমা প্রকাশ করেছেন যে রাসুল (সা) লিখতে ও পড়তে পারতেন না ।
৪/ যেসব হাদিসে আছে ""নবী করীম (সা) একখানি পত্র লিখলেন অথবা একখানি পত্র লিখতে মনস্থ করলেন"" এখানে দুইটি শব্দ দেয়া আছে কিন্তু ক্লিয়ার করে দেয়া হয় নি আসলে রাসুল (সা) কি করেছেন ! তাই আমরা অন্য অনুবাদ দেখলে সহজেই বুঝে যাই যে এখানে আসলে রাসুল (সা) চিঠি লিখতে ইচ্ছা পোষণ করলেন এর মানে এই না যে তিনি নিজ হাতে বিশাল চিঠি লিখে ফেলেছেন।
৫/ যে হাদিসে এই লেখা আছে "আমার কাছে কাগজ কলম নিয়ে আসো আমি তোমাদের এমন কিছু লিখে দিব যাতে পরবর্তীতে তোমরা ভ্রান্ত না হও" এর মানে রাসুল (সা) তাঁর লেখকদের দ্বারা এমন কিছু লিখাবেন যাতে পরে কেউ ভ্রান্ত না হয় কেননা আমরা পরিষ্কার হাদিস পেলাম যে যায়েদ ইবনে সাবিত (রা) রাসুলের সব চিঠি নিজে লিখতেন আর পড়ে শুনাতেন । যদি রাসুল (সা) নিজে লিখতে ও পড়তে পারতেন তাহলে যায়েদ (রা) কে দিয়ে কেন তিনি সব চিঠি লিখাবেন আবার পড়াবেন ?
৬/ অনেকেই প্রশ্ন করে যে সুরা আলাক এর ১ নং আয়াতে রাসুল (সা) কে পড়তে বলা হয়েছে এর থেকে নাকি প্রমান হয় যে নবী মুহাম্মদ (সা) পড়তে পারতেন !!! এখানে একটি উদাহরন দেয়া যাক সেটা হল; আপনি আপনার সন্তানকে বলছেন যে , পড় অ,আ,ঈ, । আচ্ছা এখানে কি আপনার সন্তান দেখে দেখে পড়ছে নাকি আপনার সাথে পড়ছে ? উত্তর হল আপনার সাথে সাথে পড়ছে ঠিক একই ভাবে ঐ আয়াতে রাসুল (সা) কে জিব্রাইল (আ) নিজে পরেছেন আর রাসুল (সা) তাঁর সাথে সাথে পরেছেন ।
৭/ এরপরেও যদি নাস্তিক ধর্মান্ধদের তৃপ্তি না লাগে তাহলে আমরা এদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিব । আপনাদের দাবি অনুযায়ী যদি নবী মুহাম্মদ (সা) লিখতে ও পড়তে পারতেনই তাহলে আমাদের কাছে প্রমান দেন তিনি কার কাছ থেকে লেখা পড়া শিখেছেন ? ঐ শিক্ষকের নাম কি ? ঠিক কবে থেকে নবী মোহাম্মদ (সা) ঐ শিক্ষকের থেকে কোচিং করা শুরু করেছিল ? নিছক অনুমান গোঁজামিল দিয়ে জবাব দিলে হবে না । সঠিক সহিহ হাদিস অথবা বিশুদ্ধ ইতিহাস থেকে শব্দ বাই শব্দ দেখাতে হবে ।
শেষ কথা
নিঃসন্দেহে হযরত নবী করীম (সা) একজন শিক্ষিত ছিলেন এবং একজন আদর্শ মানব ছিলেন আর তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ্‌ । তাই নবী মুহাম্মদ (সা) এর শিক্ষক হলেন আল্লাহ্‌ ।


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.