ইসলামের একাধিক বিয়ে কি অমানবিক ?
ইসলামের একাধিক বিয়ে কি খারাপ ?
লিখেছেনঃ মোঃ রিফাম রহমান
#Counter_post-21
#Qn: বহু বিবাহকে বৈধতা দিতে মুমিনরা যে মিথ্যাচারটি করে ।।। পৃথিবীতে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি।।।।
#Ans: Population Reference Bureau এর ২০১৪ সালের একটি রিপোর্ট বলছে বিশ্বে পুরুষদের গড় আয়ুষ্কাল যেখানে ৬৯ বছর, নারীদের গড় আয়ুষ্কাল সেখানে ৭৩ বছর।
তার মানে নারীরা পুরুষদের থেকে গড়ে চার বছর বেশি বাঁচে?
- এর কারণ কি?
- কারণটা খুবই ইন্টারেসটিং।
চিকিৎসা বিজ্ঞান আমাদের বলে, মানুষের শরীরে দুই ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। একটি প্রাইমারি আরেকটি সেকেন্ডারি। প্রাথমিক পর্যায়ে সে সব মলিকুল দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে অন্যতম হল মনোসাইট, ম্যাক্রোফেজ, গ্রানুলোসাইট, ড্রেনডিটিক সেল ইত্যাদি। এ সব মলিকুল ফ্যাগোসাইটোসিস (Phagocytosis) প্রক্রিয়ায় ইমিউনিটি সেল হিসেবে জীবানুর বিরুদ্ধে কাজ করে। সেকেন্ডারি ডিফেনসিভ ম্যাকানিজমে যে সব মিলকুল অংশ নেয় তাদের মধ্যে আছে টি-লিম্ফোসাইট, বি-লিম্ফোসাইট, বি-লিম্ফোসাইট থেকে নিঃসৃত এন্টিবডি ইত্যাদি। আর নারীদেহে এই সব মলিকুলের এক্সপ্রেশন এবং রেসপন্স বেশি। এর কারণ হল নারীদীহে এক্স ক্রোমজোমের সংখ্যা পুরুষের থেকে বেশি। আর এই এক্স ক্রোমজোমের জেনেটিক কোড হল এরা ইমিউনো রিলেটেড প্রোটিন সংশ্লেষণে সহায়তা করে। অপরদিকে পুরুষদের দেহে টেস্টোস্টেরণ হরমোন বেশি থাকে যা IgM ও IgG উৎপন্ন হওয়াকে বাধা প্রদান করে। তাই নারীরা তারা প্রাকৃতিক ভাবেই পুরুষের থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি রাখে। ফলে তারা রোগাক্রান্তও কম হয়।
.
পুরুষরা তো নারীদের তুলনায় মদ, সিগারেট, ইয়াবা, ড্রাগ ইত্যাদিতেও বেশি আসক্ত। এগুলোও তো মানুষের অকাল মৃত্যুর কারণ।
WHO এর দেয়া তথানুসারে বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হল এলকোহলের প্রতি আসক্তি। যেটা পুরুষদের মধ্যে বেশি। এছাড়াও বিভিন্ন যুদ্ধে, রাজনৈতিক সহিংসতায় পুরুষরা নারীদের থেকে বেশি মারা যায়।
এখন যে সব দেশে নারীদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি সে সব দেশে যদি প্রত্যেকটি পুরুষ একটি করে বিয়ে করে তাহলে কিছু নারী তো অবশ্যই থেকে যাবে যারা জীবনসঙ্গী হিসেবে কোন পুরুষ খুঁজে পাবে না।
তাহলে এই নারীরা তাদের যৌন চাহিদা কীভাবে মেটাবে?
বিয়ের বিপরীতে তো তাহলে দুইটি পথই খোলা আছে। হয় পতিতা হয়ে যাওয়া অথবা ব্যভিচারে অংশ নেয়া।
এই দুই পদ্ধতির মধ্যে কোনটা বেশি ভাল?
যেসব নারীরা কোন জীবনসঙ্গী খুঁজে পেল না পুরুষের অপ্রাতুলতার কারণে, এইসব নারীদের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য আপনি কোন পদ্ধতিকে চয়েজ করবেন? পতিতা হওয়া নাকি অন্য পুরুষের সাথে ব্যভিচারে অংশ নেয়া?
- কোনটাই না।
- তাহলে কি ঐসব নারীরা আইবুড়ো হয়ে ঘরে বসে থাকবে?
ইসলাম নারীদেরকে এই ধরনের বিব্রতকর অবস্থা থেকে বাঁচাতেই পুরুষের জন্য বহুবিবাহের বিধান দিয়েছে। যাতে নারীদেরকে যৌন চাহিদা মেটাতে গিয়ে পতিতা কিংবা ব্যাভিচারের পথ বেছে নিতে না হয়।
.নারীরা সর্বোচ্চ ৪৫-৫০ বছর পর্যন্ত গর্ভ ধারণ ও ডিম্বাণু উৎপাদনে সক্ষম থাকে। এরপর তাদের ডিম্বাণু উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে তাদের ঋতুস্রাব দেখা দেয় না। সাধারণত এই অবস্থাকেই মেনোপেজ বা ঋতুজরা বলা হয়। এটাকে আরেক ভাবেও সজ্ঞায়িত করা যায়, যেমনঃ ডিম্বাশয় দ্বারা হরমোন উৎপাদন হ্রাস পাওয়া। মেনোপেজের পূর্বে একজন মহিলার পিরিয়ড সাধারণত অনিয়মিত হয়ে যায়। আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমনঃ জরায়ু শুকিয়ে যাওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা এবং সেই সাথে মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া। এইসব লক্ষণ গুলো বিভিন্ন মহিলাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
- ভেরি গুড। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল একজন নারীর ডিম্বাণু উৎপাদন ক্ষমতা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ হয়ে গেলেও একজন পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা কোন সময়ই বন্ধ হয় না। সে নারীর থেকেও বেশি সময় ধরে যৌনকার্যে সক্ষম থাকে।
.
তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে আমরা জানতে পারি, একজন নারী তার সমবয়স্ক পুরুষের আগেই যৌনক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এখন মনে করুন, কোন পুরুষ তার সমবয়স্ক নারীকে বিয়ে করেছে। তাহলে তার স্ত্রী তার আগেই যৌনাক্ষম হয়ে যাবে।
- সে জন্যেই মনে হয় মুরুব্বীরা বিয়ের ক্ষেত্রে বরের থেকে কণের বয়স কিছুটা কম খোঁজেন?
এখন যিনি সমবয়স্ক নারীকে বিয়ে করেছেন, তার স্ত্রী ৪৫ বছর বয়সে যৌনক্ষমতা বা যৌনাকর্ষণবোধ হারিয়ে ফেলবে। সেই স্বামী জীবনের বাকি সময়টাতে তার যৌনচাহিদা কিভাবে পূর্ন করবে? ব্যভিচারের মাধ্যমে নাকি পরকীয়ার মাধ্যমে?
সে যদি তার প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আরেকটি বিয়ে করে সেটা কেমন হবে?
- সেটাই তো ভাল। কিন্তু কেউ যদি এভাবেই থাকতে চায়।
- আলহামদুলিল্লাহ। সে যদি এইভাবেই থাকতে পারে তো থাকবে। ইসলাম তো তাকে এই অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য করেনি।
- নাস্তিদের সমস্যা হলো, তারা বহুবিবাহের বিরোধিতা করে ঠিক কিন্তু বহুব্যাভিচারের বিরোধিতা করে না। একজন নারী যদি সমান অধিকার, সমান মর্যাদা নিয়ে কোন পুরুষের দ্বিতীয় স্ত্রী হয় তাহলে তাদের সমস্যা। কিন্তু এই নারীই যদি কোন পুরুষের সাথে পতিতার ভূমিকায় অভিনয় করে তাহলে তাদের কাছে কোন সমস্যা নেই। বিয়ে নামক একটি পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে যদি নারী পুরুষ যৌনসম্পর্ক গড়ে তুলে, তাহলে শত আপত্তি তাদের কাছে। কিন্তু বিয়ে বহির্ভুত শত সম্পর্ক তাদের কাছে নিতান্তই তুচ্ছ। এখন আপনিই বলুন সমাজের জন্য কোনটা বেশি কল্যাণকর?
- অবশ্যই বিয়ে। কেননা ব্যাভিচার আরও অনেক যৌন অপরাধকে উস্কে দেবে।
- হ্যা, অবশ্যই। আপনি ঠিক ধরেছেন। কেননা বিয়ের ফলে একজন নারী সমাজে মর্যাদা নিয়ে, অধিকার নিয়ে, মানসিক প্রশান্তি নিয়ে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে যদি সে তার যৌনচাহিদা পূর্ণ করতে যায় তাহলে সে কোন অধিকারই পাবে না। আর যে সমাজে বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক বেড়ে যাবে সে সমাজের অবস্থা কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়।
ইসলামে বহুবিবাহ কেবল পুরুষের যৌনচাহিদা পূরণের মাধ্যম নয়। যদি তাই হত তাহলে বহুবিবাহের ক্ষেত্রে কোন শর্তারোপ করা হত না। ইচ্ছেমত পুরুষকে বিয়ে করার স্বাধীনতা দিয়ে দেয়া হত জাহেলী যুগের মত। যত খুশি তত। কিন্তু তা দেয়া হয় নি। বরং বহুবিবাহের জন্য বহুবিধ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। স্ত্রীর সম-অধিকারের দিকটা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইমাম ইবনু কাসীর (র.) তার তফসীর গ্রন্থের ৪ নাম্বার খণ্ডের ৫৮৯ নাম্বার পৃষ্ঠায় একটি হাদীস এনেছেন। যেখানে রাসুল (ﷺ ) অত্যন্ত সতর্ক করে বলেছেন,
“যার দুটি স্ত্রী রয়েছে, কিন্তু একজনের দিকেই সম্পূর্ণ ঝুঁকে পড়েছে, সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার শরীরের অর্ধাংশ গোশত খসে পড়বে”।
ইসলামিক বহুবিবাহের বিধান কেবল পুরুষের যৌনচাহিদা নয় বরং নারীদের যৌনচাহিদাকে সামনে রেখেই দেয়া হয়েছে। যেহেতু তাদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। আর এটা কিয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে। তাই যৌনচাহিদা মেটাতে গিয়ে যাতে নারীদেরকে পতিতাবৃত্তি কিংবা ব্যাভিচারের দিকে ঝুকে পড়তে না হয় সেজন্যেই ইসলামে পুরুষের বহিবিবাহের সুযোগ রাখা হয়েছে। আবশ্যিক বিধান হিসেবে নয় বরং অনৈচ্ছিক হিসেবে।
6) James G. Cunningham, A Text Book of Veterinary Physiology, (Harcourt brace & company, Singapore, 2nd ed.)
7) Frederick R. Bailey, A Text Book of Histology, (William Wood and Company, New York, 3rd ed.)
8) “What are the symptoms of menopause?". Eunice Kennedy Shriver National Institute of Child Health and Human Development. 6 May 2013. Retrieved 8 March 2015.
9) Butterworth M, McClellan B, Allansmith M. Influence of sex in immunoglobulin levels. Nature 1967;214(5094):1224-5. DOI: 10.1038/2141224a0
10) The World’s Women 2015,Tends & Statistics, United Nations, Dept. of Economic & Socilal Affairs, New York,2015, p.5.
11) The World’s Women 2015,Tends & Statistics, United Nations, Dept. of Economic & Socilal Affairs, New York,2015, p.27-58,
12) Population Reference Bureau,World Population Data Sheet,2014, p.13-18, www.prb.org,
13) World Health Organization, Global Status Report on Alcohol and Health, ( WHO Press, Geneva, Switzerland)
14) Women and Men in OECD Countries, Organization for Economic Co-operation and Development, p.27-30, www.oecd.org .
15) http://blogs.discovermagazine.com/…/why-womens-immune-sys…/…
16) http://www.nature.com/…/journal/v16/n10/abs/nri.2016.90.html
লিখেছেনঃ মোঃ রিফাম রহমান
#Counter_post-21
#Qn: বহু বিবাহকে বৈধতা দিতে মুমিনরা যে মিথ্যাচারটি করে ।।। পৃথিবীতে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি।।।।
#Ans: Population Reference Bureau এর ২০১৪ সালের একটি রিপোর্ট বলছে বিশ্বে পুরুষদের গড় আয়ুষ্কাল যেখানে ৬৯ বছর, নারীদের গড় আয়ুষ্কাল সেখানে ৭৩ বছর।
তার মানে নারীরা পুরুষদের থেকে গড়ে চার বছর বেশি বাঁচে?
- এর কারণ কি?
- কারণটা খুবই ইন্টারেসটিং।
চিকিৎসা বিজ্ঞান আমাদের বলে, মানুষের শরীরে দুই ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। একটি প্রাইমারি আরেকটি সেকেন্ডারি। প্রাথমিক পর্যায়ে সে সব মলিকুল দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে অন্যতম হল মনোসাইট, ম্যাক্রোফেজ, গ্রানুলোসাইট, ড্রেনডিটিক সেল ইত্যাদি। এ সব মলিকুল ফ্যাগোসাইটোসিস (Phagocytosis) প্রক্রিয়ায় ইমিউনিটি সেল হিসেবে জীবানুর বিরুদ্ধে কাজ করে। সেকেন্ডারি ডিফেনসিভ ম্যাকানিজমে যে সব মিলকুল অংশ নেয় তাদের মধ্যে আছে টি-লিম্ফোসাইট, বি-লিম্ফোসাইট, বি-লিম্ফোসাইট থেকে নিঃসৃত এন্টিবডি ইত্যাদি। আর নারীদেহে এই সব মলিকুলের এক্সপ্রেশন এবং রেসপন্স বেশি। এর কারণ হল নারীদীহে এক্স ক্রোমজোমের সংখ্যা পুরুষের থেকে বেশি। আর এই এক্স ক্রোমজোমের জেনেটিক কোড হল এরা ইমিউনো রিলেটেড প্রোটিন সংশ্লেষণে সহায়তা করে। অপরদিকে পুরুষদের দেহে টেস্টোস্টেরণ হরমোন বেশি থাকে যা IgM ও IgG উৎপন্ন হওয়াকে বাধা প্রদান করে। তাই নারীরা তারা প্রাকৃতিক ভাবেই পুরুষের থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি রাখে। ফলে তারা রোগাক্রান্তও কম হয়।
.
পুরুষরা তো নারীদের তুলনায় মদ, সিগারেট, ইয়াবা, ড্রাগ ইত্যাদিতেও বেশি আসক্ত। এগুলোও তো মানুষের অকাল মৃত্যুর কারণ।
WHO এর দেয়া তথানুসারে বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হল এলকোহলের প্রতি আসক্তি। যেটা পুরুষদের মধ্যে বেশি। এছাড়াও বিভিন্ন যুদ্ধে, রাজনৈতিক সহিংসতায় পুরুষরা নারীদের থেকে বেশি মারা যায়।
এখন যে সব দেশে নারীদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি সে সব দেশে যদি প্রত্যেকটি পুরুষ একটি করে বিয়ে করে তাহলে কিছু নারী তো অবশ্যই থেকে যাবে যারা জীবনসঙ্গী হিসেবে কোন পুরুষ খুঁজে পাবে না।
তাহলে এই নারীরা তাদের যৌন চাহিদা কীভাবে মেটাবে?
বিয়ের বিপরীতে তো তাহলে দুইটি পথই খোলা আছে। হয় পতিতা হয়ে যাওয়া অথবা ব্যভিচারে অংশ নেয়া।
এই দুই পদ্ধতির মধ্যে কোনটা বেশি ভাল?
যেসব নারীরা কোন জীবনসঙ্গী খুঁজে পেল না পুরুষের অপ্রাতুলতার কারণে, এইসব নারীদের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য আপনি কোন পদ্ধতিকে চয়েজ করবেন? পতিতা হওয়া নাকি অন্য পুরুষের সাথে ব্যভিচারে অংশ নেয়া?
- কোনটাই না।
- তাহলে কি ঐসব নারীরা আইবুড়ো হয়ে ঘরে বসে থাকবে?
ইসলাম নারীদেরকে এই ধরনের বিব্রতকর অবস্থা থেকে বাঁচাতেই পুরুষের জন্য বহুবিবাহের বিধান দিয়েছে। যাতে নারীদেরকে যৌন চাহিদা মেটাতে গিয়ে পতিতা কিংবা ব্যাভিচারের পথ বেছে নিতে না হয়।
.নারীরা সর্বোচ্চ ৪৫-৫০ বছর পর্যন্ত গর্ভ ধারণ ও ডিম্বাণু উৎপাদনে সক্ষম থাকে। এরপর তাদের ডিম্বাণু উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে তাদের ঋতুস্রাব দেখা দেয় না। সাধারণত এই অবস্থাকেই মেনোপেজ বা ঋতুজরা বলা হয়। এটাকে আরেক ভাবেও সজ্ঞায়িত করা যায়, যেমনঃ ডিম্বাশয় দ্বারা হরমোন উৎপাদন হ্রাস পাওয়া। মেনোপেজের পূর্বে একজন মহিলার পিরিয়ড সাধারণত অনিয়মিত হয়ে যায়। আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমনঃ জরায়ু শুকিয়ে যাওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা এবং সেই সাথে মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া। এইসব লক্ষণ গুলো বিভিন্ন মহিলাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
- ভেরি গুড। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল একজন নারীর ডিম্বাণু উৎপাদন ক্ষমতা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ হয়ে গেলেও একজন পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা কোন সময়ই বন্ধ হয় না। সে নারীর থেকেও বেশি সময় ধরে যৌনকার্যে সক্ষম থাকে।
.
তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে আমরা জানতে পারি, একজন নারী তার সমবয়স্ক পুরুষের আগেই যৌনক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এখন মনে করুন, কোন পুরুষ তার সমবয়স্ক নারীকে বিয়ে করেছে। তাহলে তার স্ত্রী তার আগেই যৌনাক্ষম হয়ে যাবে।
- সে জন্যেই মনে হয় মুরুব্বীরা বিয়ের ক্ষেত্রে বরের থেকে কণের বয়স কিছুটা কম খোঁজেন?
এখন যিনি সমবয়স্ক নারীকে বিয়ে করেছেন, তার স্ত্রী ৪৫ বছর বয়সে যৌনক্ষমতা বা যৌনাকর্ষণবোধ হারিয়ে ফেলবে। সেই স্বামী জীবনের বাকি সময়টাতে তার যৌনচাহিদা কিভাবে পূর্ন করবে? ব্যভিচারের মাধ্যমে নাকি পরকীয়ার মাধ্যমে?
সে যদি তার প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আরেকটি বিয়ে করে সেটা কেমন হবে?
- সেটাই তো ভাল। কিন্তু কেউ যদি এভাবেই থাকতে চায়।
- আলহামদুলিল্লাহ। সে যদি এইভাবেই থাকতে পারে তো থাকবে। ইসলাম তো তাকে এই অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য করেনি।
- নাস্তিদের সমস্যা হলো, তারা বহুবিবাহের বিরোধিতা করে ঠিক কিন্তু বহুব্যাভিচারের বিরোধিতা করে না। একজন নারী যদি সমান অধিকার, সমান মর্যাদা নিয়ে কোন পুরুষের দ্বিতীয় স্ত্রী হয় তাহলে তাদের সমস্যা। কিন্তু এই নারীই যদি কোন পুরুষের সাথে পতিতার ভূমিকায় অভিনয় করে তাহলে তাদের কাছে কোন সমস্যা নেই। বিয়ে নামক একটি পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে যদি নারী পুরুষ যৌনসম্পর্ক গড়ে তুলে, তাহলে শত আপত্তি তাদের কাছে। কিন্তু বিয়ে বহির্ভুত শত সম্পর্ক তাদের কাছে নিতান্তই তুচ্ছ। এখন আপনিই বলুন সমাজের জন্য কোনটা বেশি কল্যাণকর?
- অবশ্যই বিয়ে। কেননা ব্যাভিচার আরও অনেক যৌন অপরাধকে উস্কে দেবে।
- হ্যা, অবশ্যই। আপনি ঠিক ধরেছেন। কেননা বিয়ের ফলে একজন নারী সমাজে মর্যাদা নিয়ে, অধিকার নিয়ে, মানসিক প্রশান্তি নিয়ে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে যদি সে তার যৌনচাহিদা পূর্ণ করতে যায় তাহলে সে কোন অধিকারই পাবে না। আর যে সমাজে বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক বেড়ে যাবে সে সমাজের অবস্থা কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়।
ইসলামে বহুবিবাহ কেবল পুরুষের যৌনচাহিদা পূরণের মাধ্যম নয়। যদি তাই হত তাহলে বহুবিবাহের ক্ষেত্রে কোন শর্তারোপ করা হত না। ইচ্ছেমত পুরুষকে বিয়ে করার স্বাধীনতা দিয়ে দেয়া হত জাহেলী যুগের মত। যত খুশি তত। কিন্তু তা দেয়া হয় নি। বরং বহুবিবাহের জন্য বহুবিধ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। স্ত্রীর সম-অধিকারের দিকটা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইমাম ইবনু কাসীর (র.) তার তফসীর গ্রন্থের ৪ নাম্বার খণ্ডের ৫৮৯ নাম্বার পৃষ্ঠায় একটি হাদীস এনেছেন। যেখানে রাসুল (ﷺ ) অত্যন্ত সতর্ক করে বলেছেন,
“যার দুটি স্ত্রী রয়েছে, কিন্তু একজনের দিকেই সম্পূর্ণ ঝুঁকে পড়েছে, সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার শরীরের অর্ধাংশ গোশত খসে পড়বে”।
ইসলামিক বহুবিবাহের বিধান কেবল পুরুষের যৌনচাহিদা নয় বরং নারীদের যৌনচাহিদাকে সামনে রেখেই দেয়া হয়েছে। যেহেতু তাদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। আর এটা কিয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে। তাই যৌনচাহিদা মেটাতে গিয়ে যাতে নারীদেরকে পতিতাবৃত্তি কিংবা ব্যাভিচারের দিকে ঝুকে পড়তে না হয় সেজন্যেই ইসলামে পুরুষের বহিবিবাহের সুযোগ রাখা হয়েছে। আবশ্যিক বিধান হিসেবে নয় বরং অনৈচ্ছিক হিসেবে।
6) James G. Cunningham, A Text Book of Veterinary Physiology, (Harcourt brace & company, Singapore, 2nd ed.)
7) Frederick R. Bailey, A Text Book of Histology, (William Wood and Company, New York, 3rd ed.)
8) “What are the symptoms of menopause?". Eunice Kennedy Shriver National Institute of Child Health and Human Development. 6 May 2013. Retrieved 8 March 2015.
9) Butterworth M, McClellan B, Allansmith M. Influence of sex in immunoglobulin levels. Nature 1967;214(5094):1224-5. DOI: 10.1038/2141224a0
10) The World’s Women 2015,Tends & Statistics, United Nations, Dept. of Economic & Socilal Affairs, New York,2015, p.5.
11) The World’s Women 2015,Tends & Statistics, United Nations, Dept. of Economic & Socilal Affairs, New York,2015, p.27-58,
12) Population Reference Bureau,World Population Data Sheet,2014, p.13-18, www.prb.org,
13) World Health Organization, Global Status Report on Alcohol and Health, ( WHO Press, Geneva, Switzerland)
14) Women and Men in OECD Countries, Organization for Economic Co-operation and Development, p.27-30, www.oecd.org .
15) http://blogs.discovermagazine.com/…/why-womens-immune-sys…/…
16) http://www.nature.com/…/journal/v16/n10/abs/nri.2016.90.html
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.