কুরআন কি বলে আকাশ থেকে সর্বদাই বিশুদ্ধ পানি বর্ষিত হয় ?
কুরআন কি বলে আকাশ থেকে সর্বদাই বিশুদ্ধ পানি বর্ষিত হয় ?
আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে রাখুনঃ https://bit.ly/2VVS44A
আল্লাহ কুরআনে বলেছেনঃ
" আমি সর্বদাই আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি । " এটা নাকি সুরা ফুরকানের ৪৮ নাম্বার আয়াতে আছে । তাই কিছুটা সংশয় হল মনে আসলে আল্লাহ কি এই কথা বলেছেন ? নাকি এটাও মিথ্যাচার ? কেননা বিজ্ঞান তো বলে আকাশ থেকে সর্বদা বিশুদ্ধ পানি বর্ষিত হয়না । অনেক সময় এসিড বৃষ্টিও হয় তা নিশ্চয়ই বিশুদ্ধ নয় । এতটুকু নিশ্চিত ছিলাম যে , যদি এটা লেখা থাকে তাহলে এটা ভুল হবে । কিন্তু কুরআনের উপর আল্লাহর উপর বিশ্বাস ছিল যে , কুরআন কখনো ভুল হয়না কেননা আল্লাহ বলে দিয়েছেন ।
" আমি সর্বদাই আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি । " এটা নাকি সুরা ফুরকানের ৪৮ নাম্বার আয়াতে আছে । তাই কিছুটা সংশয় হল মনে আসলে আল্লাহ কি এই কথা বলেছেন ? নাকি এটাও মিথ্যাচার ? কেননা বিজ্ঞান তো বলে আকাশ থেকে সর্বদা বিশুদ্ধ পানি বর্ষিত হয়না । অনেক সময় এসিড বৃষ্টিও হয় তা নিশ্চয়ই বিশুদ্ধ নয় । এতটুকু নিশ্চিত ছিলাম যে , যদি এটা লেখা থাকে তাহলে এটা ভুল হবে । কিন্তু কুরআনের উপর আল্লাহর উপর বিশ্বাস ছিল যে , কুরআন কখনো ভুল হয়না কেননা আল্লাহ বলে দিয়েছেন ।
⦁ ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ
⦁ এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত। [ 1 ]
এখন প্রশ্ন হল আল্লাহ কেন এই কথা বললেন ? আসুন নিচে দেখে নেয়া যাক ।
⦁ وَهُوَ الَّذِي أَرْسَلَ الرِّيَاحَ بُشْرًا بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهِ ۚ وَأَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً طَهُورًا
⦁ আর তিনিই তাঁর রহমতের প্রাক্কালে সুসংবাদস্বরূপ বায়ু পাঠিয়েছেন এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্র পানি বর্ষণ করেন । [ 2 ]
কুরআনে কি শুধু এতটুকু লেখা আছে যে , " বৃষ্টির পানি সর্বদাই বিশুদ্ধ ? " মোটেও না ।
আরবি ইবারতে বলা আছে আল্লাহ বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন সর্বদা কথা এখানে উল্লেখ নেই । এখানে বলা হয়েছে ( السَّمَاءِ مَاءً طَهُورً ) আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন কিন্তু সর্বদা কথা আসেনি এসেছে " আসসামা ই মা আন তহুরন । " যার অর্থ আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন .
আর , আল্লাহ বলেছেন " ( السَّمَاءِ مَاءً طَهُورً ) আকাশ থেকে পবিত্র বা বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন । " কিন্তু প্রশ্ন হল কখন করেন ? যখন অনুগ্রহ করেন অর্থাৎ অনুগ্রহের পূর্বে বায়ু প্রেরণ করেন এবং বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন আকাশ থেকে ।
আর , আল্লাহ বলেছেন " ( السَّمَاءِ مَاءً طَهُورً ) আকাশ থেকে পবিত্র বা বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন । " কিন্তু প্রশ্ন হল কখন করেন ? যখন অনুগ্রহ করেন অর্থাৎ অনুগ্রহের পূর্বে বায়ু প্রেরণ করেন এবং বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন আকাশ থেকে ।
আল্লাহ তো ( السَّمَاءِ مَاءً طَهُورً ) আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন এর আগের লাইনেই বলেছেন ,
⦁ ( وَهُوَ الَّذِي أَرْسَلَ الرِّيَاحَ بُشْرًا بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهِ ۚ )
⦁ ওয়াহুয়াল্লাযি আরসালার রিয়া হা বুশরন বাইনা ইয়দাই রহমাতিহ ।
⦁ যার অর্থ হচ্ছে , রহমতের প্রক্কালে বা অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদ হিসেবে বায়ু পাঠিয়ে দেন আর আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন ।
এখান থেকে আল্লাহ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে , তিনি অনুগ্রহের পূর্বে আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন । গজবের পূর্বে না বা সর্বদা প্রেরণ করেন না । আল্লাহ যখন অনুগ্রহ করেন তখন আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন ।
হাদিসে অম্ল বৃষ্টির কথাও এসেছে । তাই এখানেই বুঝা যাচ্ছে যে , আল্লাহ এই আয়াত দিয়ে সর্বদা বিশুদ্ধ পানি বর্ষণের কথা বলেননি । যখন তিনি অনুগ্রহ করেন তখন বর্ষণ করেন আর তাই আল্লাহ বলে দিয়েছেন ( وَهُوَ الَّذِي أَرْسَلَ الرِّيَاحَ بُشْرًا بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهِ ۚ ) ওয়াহুয়াল্লাযি আরসালার রিয়া হা বুশরন বাইনা ইয়দাই রহমাতিহ । যার অর্থ হচ্ছে , রহমতের প্রক্কালে বা অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদ হিসেবে বায়ু পাঠিয়ে দেন আর আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন । গজবের পূর্বে নয় । তবে এসিড বৃষ্টি সম্পর্কে হাদিসে স্পষ্ট স্টেটমেন্ট এসেছে ।
কিয়ামতের পূর্বে লোকেদের মধ্যে ফিতনা বৃদ্ধি পাবে অপরাধ বৃদ্ধি পাবে । তখন আল্লাহ তাদের উপর ছোট বড় বিভিন্ন গজব নাজিল করবেন সেটার মধ্যে ছোট একটি আলামত যা , হাদিসে এসেছে অম্ল বৃষ্টি আল মুয়াযযাম আল কিবার আত-তাবারানি হাদিস নং ১০৪১০ তে সেই অম্ল বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে । সেখানে বলা হয়েছে ,
⦁ وَأَنْ يَكُونَ الْمَطَرُ قَيْظًا
⦁ বৃষ্টি হবে আম্লিক, অল্মবৃষ্টি
পুরা হাদিসটা নিচে দেয়া হলঃ
رقم الحديث: 10410
(حديث مرفوع) (حديث موقوف) سَلْ يَا سَعْدِيُّ ، فَقُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، هَلْ لِلسَّاعَةِ مِنْ عِلْمٍ تُعْرَفُ بِهِ السَّاعَةُ ؟ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَاسْتَوَى جَالِسًا ، فَقَالَ : يَا سَعْدِيُّ ، سَأَلْتَنِي عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، سَلْ يَا سَعْدِيُّ ، فَقُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، هَلْ لِلسَّاعَةِ مِنْ عِلْمٍ تُعْرَفُ بِهِ السَّاعَةُ ؟ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَاسْتَوَى جَالِسًا ، فَقَالَ : يَا سَعْدِيُّ ، سَأَلْتَنِي عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، هَلْ لِلسَّاعَةِ مِنْ عِلْمٍ تُعْرَفُ بِهِ السَّاعَةُ ؟ فَقَالَ لِي : " يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ لِلسَّاعَةِ أَعْلامًا ، وَإِنَّ لِلسَّاعَةِ أَشْرَاطًا ، أَلا وَإِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكُونَ الْوَلَدُ غَيْظًا ، وَأَنْ يَكُونَ الْمَطَرُ قَيْظًا ، وَأَنْ تَفِيضَ الأَشْرَارُ فَيْضًا ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يُصَدَّقَ الْكَاذِبُ ، وَأَنْ يُكَذَّبَ الصَّادِقُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يُؤْتَمَنَ الْخَائِنُ ، وَأَنْ يُخَوَّنَ الأَمِينُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تَوَاصَلَ الأَطْبَاقُ ، وَأَنْ تَقَاطَعَ الأَرْحَامُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَسُودَ كُلَّ قَبِيلَةٍ مُنَافِقُوهَا ، وَكُلَّ سُوقٍ فُجَّارُهَا ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تُزَخْرَفَ الْمَسَاجِدُ ، وَأَنْ تُخَرَّبَ الْقُلُوبُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكُونَ الْمُؤْمِنُ فِي الْقَبِيلَةِ أَذَلَّ مِنَ النَّقْدِ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكْتَفِيَ الرِّجَالُ بِالرِّجَالِ وَالنِّسَاءُ بِالنِّسَاءِ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تَكْثُفَ الْمَسَاجِدُ وَأَنْ تَعْلُوَ الْمَنَابِرُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يُعْمَرَ خَرَابُ الدُّنْيَا ، وَيُخْرَبَ عِمْرَانُهَا ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تَظْهَرَ الْمَعَازِفُ ، وَتُشْرَبَ الْخُمُورُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا شُرْبَ الْخُمُورِ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا الشُّرَطُ وَالْغَمَّازُونَ وَاللَّمَّازُونَ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكْثُرَ أَوْلادُ الزِّنَى " ، قُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، وَهُمْ مُسْلِمُونَ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، وَالْقُرْآنُ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قُلْتُ : أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، وَأَنَّى ذَاكَ ؟ قَالَ : يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يُطَلِّقُ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ ، ثُمَّ يَجْحَدُ طَلاقَهَا فَيُقِيمُ عَلَى فَرْجِهَا ، فَهُمَا زَانِيَانِ مَا أَقَامَا .
(حديث مرفوع) (حديث موقوف) سَلْ يَا سَعْدِيُّ ، فَقُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، هَلْ لِلسَّاعَةِ مِنْ عِلْمٍ تُعْرَفُ بِهِ السَّاعَةُ ؟ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَاسْتَوَى جَالِسًا ، فَقَالَ : يَا سَعْدِيُّ ، سَأَلْتَنِي عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، سَلْ يَا سَعْدِيُّ ، فَقُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، هَلْ لِلسَّاعَةِ مِنْ عِلْمٍ تُعْرَفُ بِهِ السَّاعَةُ ؟ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَاسْتَوَى جَالِسًا ، فَقَالَ : يَا سَعْدِيُّ ، سَأَلْتَنِي عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، هَلْ لِلسَّاعَةِ مِنْ عِلْمٍ تُعْرَفُ بِهِ السَّاعَةُ ؟ فَقَالَ لِي : " يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ لِلسَّاعَةِ أَعْلامًا ، وَإِنَّ لِلسَّاعَةِ أَشْرَاطًا ، أَلا وَإِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكُونَ الْوَلَدُ غَيْظًا ، وَأَنْ يَكُونَ الْمَطَرُ قَيْظًا ، وَأَنْ تَفِيضَ الأَشْرَارُ فَيْضًا ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يُصَدَّقَ الْكَاذِبُ ، وَأَنْ يُكَذَّبَ الصَّادِقُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يُؤْتَمَنَ الْخَائِنُ ، وَأَنْ يُخَوَّنَ الأَمِينُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تَوَاصَلَ الأَطْبَاقُ ، وَأَنْ تَقَاطَعَ الأَرْحَامُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَسُودَ كُلَّ قَبِيلَةٍ مُنَافِقُوهَا ، وَكُلَّ سُوقٍ فُجَّارُهَا ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تُزَخْرَفَ الْمَسَاجِدُ ، وَأَنْ تُخَرَّبَ الْقُلُوبُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكُونَ الْمُؤْمِنُ فِي الْقَبِيلَةِ أَذَلَّ مِنَ النَّقْدِ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكْتَفِيَ الرِّجَالُ بِالرِّجَالِ وَالنِّسَاءُ بِالنِّسَاءِ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تَكْثُفَ الْمَسَاجِدُ وَأَنْ تَعْلُوَ الْمَنَابِرُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يُعْمَرَ خَرَابُ الدُّنْيَا ، وَيُخْرَبَ عِمْرَانُهَا ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ تَظْهَرَ الْمَعَازِفُ ، وَتُشْرَبَ الْخُمُورُ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا شُرْبَ الْخُمُورِ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا الشُّرَطُ وَالْغَمَّازُونَ وَاللَّمَّازُونَ ، يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ، إِنَّ مِنْ أَعْلامِ السَّاعَةِ وَأَشْرَاطِهَا أَنْ يَكْثُرَ أَوْلادُ الزِّنَى " ، قُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، وَهُمْ مُسْلِمُونَ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قُلْتُ : أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ ، وَالْقُرْآنُ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قُلْتُ : أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، وَأَنَّى ذَاكَ ؟ قَالَ : يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يُطَلِّقُ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ ، ثُمَّ يَجْحَدُ طَلاقَهَا فَيُقِيمُ عَلَى فَرْجِهَا ، فَهُمَا زَانِيَانِ مَا أَقَامَا .
ইবনে মাসূদ বলেন, "আমি একদিন নাবী (সাঃ)- কে বললাম"
শেষ সময় চেনার কোনও জ্ঞান আছে কি? তিনি (সাঃ) বললেন "হ্যা ইবনে মাসূদ!" এসম্পর্কিত বহু নিদর্শন রয়েছে তাদের মধ্যে একটি হল বাচ্চারা ভীষণ বদমেজাজি হবে , বৃষ্টি হবে আম্লিক, অল্মবৃষ্টি , তুমি দেখবে, খারাপ লোকেরা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে!"ও ইবনে মাসূদ ঐ লক্ষণগুলোর আরও একটি হলো যে লোকেরা বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস করবে এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের বিশ্বাসঘাতক মনে করবে , সত্যবাদীদের মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হবে এবং মিথ্যাবাদীদের বলা হবে সত্যবাদী , থালাসমুহ ক্রমাগত যোগাযোগ করতে থাকবে যা স্যাটেলাইট যোগাযোগ বোঝাতে ব্যাবহার করা হয়। এবং মানুষেরা তখন পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করবে ।ও ইবনে মাসূদ, তুমি আরো দেখবে মুনাফিকরা শাসন করবে এবং সর্বাপেক্ষা মন্দ লোকেরা বাজার নিয়ন্ত্রন করছে , মসজিদসমুহ অলংকৃত করা হবে, কিন্তু হৃদয়সমূহ হবে কুৎসিত , বিশ্বাসীদের কুৎসিত ছাগলের চেয়েও বেশি অপদস্থ করা হবে! যেন তাঁরা কিছুই না , তুমি দেখবে পুরুষ ও স্ত্রী সমকামীতা প্রসার হবে এবং অল্পবয়স্ক লোকেরা প্রচুর সম্পদশালী হবে , নারীদের নীতিভ্রষ্ট করতে আন্দোলন করা হবে । তুমি দেখবে সভ্যতার ধ্বংস এবং পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক সভ্যতা , তখন বাদ্যযন্ত্র ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পরবে , বাদ্যযন্ত্রগুলো তাদের মাথায় চড়ানো থাকবে তিনি (সাঃ) বলেছিলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অনেক দেখতে পাবে এবং লোকেরা ঠাট্টা-তামাশা ও বিদ্রুপ করবে । তোমরা দেখবে বহু শিশু বিবাহ বন্ধন ছাড়াই জন্ম নিবে । নাবী সাঃ বলেছিলেন, সেসময় ফিতনাগুলো মাদুরের আকৃতিতে প্রদর্শিত করা হবে এর দুটি সীমারেখা থাকবে (টেলিভিশন সেটের কথা বলা হয়েছে ) ফিতনাগুলো তাদের সামনে মাদুর আকৃতিতে দেখানো হবে । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, জাহান্নামে দুই ধরনের লোক আছে যাদের আমি এখনও দেখিনি , তুমি গরুর লেজের মত চাবুক হাতে কিছু লোকদের দেখবে তাঁরা এর দ্বারা অন্যদের প্রহার করবে , সে সময় নারীরা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকবে, তাঁরা কোমর দুলিয়ে হাঁটবে এবং অন্যদেরকে তাদের দিকে আকর্ষণ করবে তিনি (সাঃ) বলেছিলেন, ঐ মেয়েদের চুল হবে "বখতের" লোমশ উটের মত। এই লোকগুলো জান্নাতে প্রবেশ করবে না , আমার উম্মাহর কিছু অংশ মদপান করবে এবং মদকে অন্য নামে ডাকবে। আউজুবিল্লাহি মিনাশশাইতনির রাযীম। হে আল্লাহ্, আমি বার্তা পৌছে দিয়েছি। [ 3 ]
শেষ সময় চেনার কোনও জ্ঞান আছে কি? তিনি (সাঃ) বললেন "হ্যা ইবনে মাসূদ!" এসম্পর্কিত বহু নিদর্শন রয়েছে তাদের মধ্যে একটি হল বাচ্চারা ভীষণ বদমেজাজি হবে , বৃষ্টি হবে আম্লিক, অল্মবৃষ্টি , তুমি দেখবে, খারাপ লোকেরা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে!"ও ইবনে মাসূদ ঐ লক্ষণগুলোর আরও একটি হলো যে লোকেরা বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস করবে এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের বিশ্বাসঘাতক মনে করবে , সত্যবাদীদের মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হবে এবং মিথ্যাবাদীদের বলা হবে সত্যবাদী , থালাসমুহ ক্রমাগত যোগাযোগ করতে থাকবে যা স্যাটেলাইট যোগাযোগ বোঝাতে ব্যাবহার করা হয়। এবং মানুষেরা তখন পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করবে ।ও ইবনে মাসূদ, তুমি আরো দেখবে মুনাফিকরা শাসন করবে এবং সর্বাপেক্ষা মন্দ লোকেরা বাজার নিয়ন্ত্রন করছে , মসজিদসমুহ অলংকৃত করা হবে, কিন্তু হৃদয়সমূহ হবে কুৎসিত , বিশ্বাসীদের কুৎসিত ছাগলের চেয়েও বেশি অপদস্থ করা হবে! যেন তাঁরা কিছুই না , তুমি দেখবে পুরুষ ও স্ত্রী সমকামীতা প্রসার হবে এবং অল্পবয়স্ক লোকেরা প্রচুর সম্পদশালী হবে , নারীদের নীতিভ্রষ্ট করতে আন্দোলন করা হবে । তুমি দেখবে সভ্যতার ধ্বংস এবং পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক সভ্যতা , তখন বাদ্যযন্ত্র ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পরবে , বাদ্যযন্ত্রগুলো তাদের মাথায় চড়ানো থাকবে তিনি (সাঃ) বলেছিলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অনেক দেখতে পাবে এবং লোকেরা ঠাট্টা-তামাশা ও বিদ্রুপ করবে । তোমরা দেখবে বহু শিশু বিবাহ বন্ধন ছাড়াই জন্ম নিবে । নাবী সাঃ বলেছিলেন, সেসময় ফিতনাগুলো মাদুরের আকৃতিতে প্রদর্শিত করা হবে এর দুটি সীমারেখা থাকবে (টেলিভিশন সেটের কথা বলা হয়েছে ) ফিতনাগুলো তাদের সামনে মাদুর আকৃতিতে দেখানো হবে । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, জাহান্নামে দুই ধরনের লোক আছে যাদের আমি এখনও দেখিনি , তুমি গরুর লেজের মত চাবুক হাতে কিছু লোকদের দেখবে তাঁরা এর দ্বারা অন্যদের প্রহার করবে , সে সময় নারীরা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকবে, তাঁরা কোমর দুলিয়ে হাঁটবে এবং অন্যদেরকে তাদের দিকে আকর্ষণ করবে তিনি (সাঃ) বলেছিলেন, ঐ মেয়েদের চুল হবে "বখতের" লোমশ উটের মত। এই লোকগুলো জান্নাতে প্রবেশ করবে না , আমার উম্মাহর কিছু অংশ মদপান করবে এবং মদকে অন্য নামে ডাকবে। আউজুবিল্লাহি মিনাশশাইতনির রাযীম। হে আল্লাহ্, আমি বার্তা পৌছে দিয়েছি। [ 3 ]
তথ্যসূত্রঃ
1. সুরা বাকারা আয়াত ২
2 . সুরা ফুরকান আয়াত ৪৮
3. আল মুয়াযযাম আল কিবার আত-তাবারানি হাদিস নং ১০৪১০
1. সুরা বাকারা আয়াত ২
2 . সুরা ফুরকান আয়াত ৪৮
3. আল মুয়াযযাম আল কিবার আত-তাবারানি হাদিস নং ১০৪১০
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.