স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমান নাই ? এম ডি আলী

স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমান নাই ?
লিখেছেনঃ এম ডি আলী
স্রষ্টার অস্তিত্ব এই বিষয়ে আমরা তিনটি পয়েন্টই বিশ্লেষণ করব ।
১/ মহাবিশ্ব ‘শূন্য’ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে
বিশ্লেষণঃ এটা যুক্তিতে টিকেনা। কারণ,মূলত নাস্তিকেরা এই দাবিই করে থাকে যে "শূন্য" থেকে সব কিছুই সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু বাস্তব যৌক্তিক হিসাব হলঃ NOTHING CAN NOT CREATE ANYTHING । আমরা যদি বাস্তবতা দেখি সহজেই বুঝতে পারি যে “শুন্য”(কিছুই নাই) থেকে মহাবিশ্ব এসেছে এটা অবাস্তব কারন:আপনাকে আমি একটি খালি মগ দিয়ে বললাম এটা থেকে একটি হাতি আসতে পারে নিজেই নিজেই আপনি কি মেনে নিবেন ? যদি সুস্থ যৌক্তিক বিবেক বোধ থেকে থাকে আপনি বলবেন, না, এটা কখনো সম্ভব না কারন যেখানে কিছুই নাই সেখান থেকে কিছু কিভাবে আসবে তাও আবার হাতি । তাহলে এইবার ভাবুন তো শুন্য থেকে কিভাবে এতবিশাল মহাবিশ্ব এল ? আরও ভাবুন মগ থেকে কিছু অবশ্যই আসতে পারে যদি সেটা কেউ মগের মধ্যে রেখে দেয় অথবা হাতিও আসতে পারে যদি কোন যাদুকর সেটা করে কিন্তু নিজে নিজে কখনো সম্ভব না । আরও মজার কথা হল এই মহাবিশ্ব হয়েছেও কিন্তু বিগব্যাঙের কারনে যেখানে বিগব্যাঙ ছাড়া এই মহাবিশ্ব হতে পারলো না, নিজে নিজেই, সেখানে বিগব্যাঙ কিভাবে নিজে নিজেই হল ? সুতরাং যৌক্তিক সমাধান হল স্রষ্টাই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন ।
২/ মহাবিশ্ব নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষণঃ এটাও যুক্তিতে টিকে না । কারণ, কেউ নিজেকে সৃষ্টি করতে হলে,আগেই নিজেকে অস্তিত্বে আনতে হবে। তাই এটা যুক্তি বিহীন। শুধুমাত্র অন্যকেউ অলরেডি অথবা স্বয়ংসম্পূর্ণ (আগে থেকেই) অস্তিত্বে থাকলে সে দ্বিতীয়জনকে সৃষ্টির যৌক্তিকতায় আসবে। এছাড়া মহাবিশ্ব কিভাবে নিজেকে সৃষ্টি করবে যেখানে মহাবিশ্ব এসেছে বিগব্যাঙের উসিলায় ।
৩/ আচ্ছা মহাবিশ্বকে যদি কেউ সৃষ্টি করে তাহলে তাকে কে সৃষ্টি করেছে অথবা স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছে ?
বিশ্লেষণঃ স্রষ্টার ক্ষেত্রে "সৃষ্টি" শব্দটি প্রযোজ্য না । কারন স্রষ্টাই যখন "সব কিছু" সৃষ্টি করেছেন তখন তাঁকে আবার কে সৃষ্টি করবে যেহেতু স্রষ্টা হলেন তিনি যিনি "সৃষ্ট নন" ।
পয়েন্ট ১/ আপনি একটি লিখা লিখেছেন । যদি প্রশ্ন করি আপনাকে কে লিখেছে ? তখন এর জবাব কি হবে । ! আসলে এ প্রশ্নটি করা ব্যাকরণগত ভুল এবং ফাউল । কারন আপনি হলেন মানুষ । আপনাকে যদি কেউ লিখত তাইলে আপনি আর মানুষ হতেন না , আপনি "লিখা" হয়ে যেতেন । আপনি মানুষ আপনি লিখার উরধে । মানুষ আপনি, আপনার ক্ষেত্রে লিখা শব্দটি প্রযোজ্য না তেমনি স্রষ্টার ক্ষেত্রে সৃষ্টি শব্দটিও গ্রহনযোগ্য না । মানুষ ও লিখার মধ্যে যেমন তফাৎ স্রষ্টা আর সৃষ্টির মধ্যেও আরও বেশি পার্থক্য ।
পয়েন্ট ২/ ধরেন আপনার নাম রহিম । এখন সাইকেল চালায় । প্রশ্ন করা হলঃ রহিমকে কে চালায় ? এ প্রশ্নটিও একই । রহিমকে যদি কেউ চালাত তবে রহিম আর রহিম থাকতো না রহিম চাইকেল হয়ে যেত । ঠিক তেমনি স্রষ্টাকে যদি কেউ সৃষ্টি করতো তাহলে স্রষ্টা আর স্রষ্টা থাকতেন না, তিনিও সৃষ্টি হয়ে যেতেন । স্রষ্টা, সৃষ্টি নন বলেই, তিনি স্রষ্টা ।
পয়েন্ট ৩/ ধরেন আপনি ছবি একেছেন । যেমন , গাছের ছবি , সুন্দর নদ-নদী , ফুল, চাঁদ, সূর্য গ্যালাক্সি, তারা, গ্যালাক্সি,গ্রহ ইত্যাদি ইত্যাদি । প্রশ্ন করা হল "আপনাকে কে একেছে ? জবাব - আপনাকে যদি কেউ আঁকত তবে আপনি আর মানুষ হতেন না আপনিও ছবি হয়ে যেতেন । বাস্তব যুক্তি এটাই যে মানুষ ও একটি ছবির যে পার্থক্য তেমনি স্রষ্টা ও তাঁর সৃষ্টির মাঝে অনেক তফাৎ ।
পয়েন্ট ৪/ একটি তাসের সারি টোকা দেয়া হল । প্রত্যেক তাস একে একে পরে গেল । কেউ যদি প্রশ্ন করে প্রথম যে টোকা দিয়েছে সে কি তাস ? না । কারন যে তাসকে প্রথম টোকা দিয়েছে সে মানুষ, যে তাস না । স্রস্টাও প্রথম সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, তাঁকে কে সৃষ্টি করেছেন ? উত্তর হল না, তাঁকে কেউই সৃষ্টি করেননি যদি কেউ তাঁকে সৃষ্টি করত তাহলে তিনি স্রষ্টা হতেন না তিনিও সৃষ্টি হয়ে যেতেন । স্রষ্টা হল তিনি যিনি সৃষ্ট না ।
পয়েন্ট ৫/ আপনি কম্পিউটারে বসে টাইপ করছেন । প্রশ্ন করা হল আপনাকে কে টাইপ করেছে ? যদি আপনাকে কেউ টাইপ করত তাইলে আপনি আর মানুষ হতেন না আপনি হয়ে যেতেন কিবোর্ড একই ভাবে আপনার ক্ষেত্রে যেমন "কে টাইপ করেছে" এই প্রশ্ন হাস্যকর একই ভাবে সবকিছুই সৃষ্টি করেছেন স্রষ্টা, তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে এটাও হাস্যকর কথা ।
পয়েন্ট ৬/ ধরেন আপনি জুতা পড়েন । কেউ যদি প্রশ্ন করে আপনাকে কে পড়ে ? একই ব্যাপার অর্থাৎ আপনাকে যদি কেউ পড়ত তাহলে আপনি মানুষ হতেন না আপনি হয়ে যেতেন জুতা । তাই আপনাকে কে পড়ে এই প্রশ্নই ফাউল এবং অবান্তর । আপনার (মানুষ) আর জুতার মধ্যে যেই পার্থক্য স্রষ্টা আর সৃষ্টির মধ্যে এর থেকেও বেশি তফাৎ ।
পয়েন্ট ৭/ বিগব্যাঙ থেকে জানতে পারি "মহাবিশ্বের একটি শুরু আছে"। এখন আমরা সহজ সমীকরণ পদ্ধতিতে দেখব স্রষ্টাকে সৃষ্টির প্রয়োজন আছে কিনা অথবা স্রষ্টার সৃষ্টিকর্তা থাকতে পারে কিনা ।
*সকল সৃষ্টির একটা নির্দিষ্ট শুরু আছে এবং শেষ আছেঃ ধরি এটা সমীকরণ ১
*মহাবিশ্ব একটি সৃষ্টিঃ এটা সমীকরণ ২।
এখন সমীকরণ ১ আর ২ থেকে পাইঃ সকল সৃষ্টির শুরু এবং শেষ আছে । মহাবিশ্ব একটি সৃষ্টি, তাই এটারও একটা শুরু এবং শেষ আছে ।
এখন আমার ৩ নং সমীকরণ হচ্ছেঃ স্রষ্টা সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন ।
খেয়াল করুন, আমার প্রথম শর্তের সাথে কিন্তু তৃতীয় শর্ত ম্যাচ হচ্ছে না । আমার প্রথম শর্ত ছিলঃ সকল সৃষ্টির শুরু এবং শেষ আছে কিন্তু তৃতীয় শর্তে কথা বলছি স্রষ্টা নিয়ে। তিনি সৃষ্টি নন,তিনি স্রষ্টা । তাই এখানে প্রথম শর্ত খাটে না । তারমানে স্রষ্টার শুরু নাই , শেষও নাই । অর্থাৎ তাঁকে নতুন করে সৃষ্টিরও প্রয়োজন নাই । তার মানে স্রষ্টার আরেকজন স্রষ্টা থাকারও প্রয়োজন নাই । কারন "শুরু" হওয়া সৃষ্টির কাজ আর, স্রষ্টা সেই শুরুটা করেছেন।যেহেতু স্রষ্টার শুরু নাই এবং শেষও তাই তাঁকে সৃষ্টি করার দরকার নাই ।
নাস্তিক ধার্মিকরা যেই ভুল করে সেটা হল স্রষ্টা আর সৃষ্টিকে এক করে গুলিয়ে ফেলে সেটা মর্মান্তিক ভুল ।
এরপরে যেই প্রশ্ন নাস্তিক ধার্মিকরা করে সেটা হলঃ
* স্রষ্টা যদি সর্ব শক্তিমান হয় তাইলে তিনি কি এমন কিছু বানাতে পারবে যা তিনি উঠাতে পারবে না ?(নাস্তিকরা এই প্রশ্নের পরে বলেঃ হ্যাঁ বা না তে জবাব দিতে হবে ) !
= কুযুক্তির প্রশ্নের কোন উত্তর হয় না । নাস্তিকরা বলে হ্যাঁ অথবা না এর মাধ্যমে উপরের প্রশ্নের জবাব দিতে । দেখেন, আপনার নাম কি ? এই প্রশ্নের জবাবে হ্যাঁ অথবা না অথবা না দিয়ে নাস্তিকরা দিতে পারবে না । তাইলে কোন লজ্জায় বলে যে উপরের প্রশ্নের জবাব হ্যাঁ বা না তেই দিতে হবে । আপনাদের প্রশ্ন মর্মান্তিক ভুল আবার উত্তর এর ক্ষেত্রে যেই শর্ত চাচ্ছেন সেটার অবস্থাও ভয়াবহ ।কোন মানুষ একটি কাগজ তৈরি করলো এখন সে কাগজ সে তৈরি করেছে সে এই কাগজ অবশ্যই উঠাতে পারবে । কোন মানুষিক রোগী যদি প্রশ্ন করে তুমি এমন কাগজ বানাতে পারবে যা তুমি উঠাতে পারবে না ? - এই হাস্যকর প্রশ্নের জবাব হল তুমি আগে মানুষিক রোগের চিকিৎসা করাও । সামান্য একটি কাগজের ওপর মানুষের যে ক্ষমতা পুরো মহাবিশ্ব এর স্রষ্টা যিনি , মহাবিশ্বের স্রষ্টার মহাবিশ্বের ওপর আরও বেশি ক্ষমতা এটাই স্বাভাবিক ।
প্রশ্নটিও অযৌক্তিক এবং বাস্তবতা বিরোধী । ওরা আসলে সন্দেহ তৈরি করে তবে প্রশ্নের জবাব জানা ওদের উদ্দেশ্য না । প্রাচিন আলেমরা নাস্তিকদের বাচ্চাসুলভ প্রশ্নের সকল জবাবই চমৎকার ভাবে দিয়ে গেছেন । আর কত !!! এরপরেও এই মানুষিক রোগীরা মানতে চায় না । একটি কথা মনে রাখবেন বেআদব , অহংকারী , মানুষকে সত্য বললে গ্রহন করবে না । আর বেয়াদব অহংকারী সত্য হতে অনেক দূরে কারন তাদের ভিত্তিই মিথ্যাচার ওপর । এবার আসুন রোগীদের প্রশ্নের পোস্টমর্টেম করি ।
* আপনি কি এমন কিছু লিখতে পারবেন যা আপনি মুছতে পারবেন না ?
* আপনি কি এমন কিছু টাইপ করতে পারবেন যা আপনি ডিলেট করতে পারবেন না ?
* আপনি কি এমন ভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে পারবেন যে আপনি সেটা ছাড়তে পারবেন না ?
মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুন । আমার উপরের ৩ টি প্রশ্নের জবাব আপনি যদি হ্যাঁ দেন তাইলে না এর দিকে উত্তর চলে যাবে আবার না জবাব দিলে উত্তর হ্যাঁ এর দিকে চলে আসবে । আসলে এই ধরনের প্রশ্নে শব্দগত ধাঁধা থাকলেও বাস্তবে এর কোন নজীর নাই ।আপনি কোন কিছু লিখতে পারলে তা অবশ্যই আপনি মুছতেও পারবেন বা নষ্ট করতে পারবেন । আপনি টাইপ করতে পারলে সেটা অবশ্যই ডিলেট করতে পারবেন । আপনি নিঃশ্বাস নিলে তা ছাড়তেও পারবেন আর নিঃশ্বাস না ছাড়তে পারলে আপনি হবেন মৃত তখন আপনার ঐ প্রশ্নের অবস্থাও হবে মৃত্যু । আর লিখা মুছতে না পারলে আপনি হবেন দুর্বল তেমনি আপনার প্রশ্নটিও আসলে দুর্বল আর ডিলেট না করতে পারলেও আপনি হবেন অজ্ঞ আর আপনার প্রশ্নটিও অজ্ঞ জাতের হাইব্রিড ।
শব্দ গত ভাষা পেচিয়ে বাস্তবতা বিরোধী প্রশ্ন করে নাস্তিকরা মূলত প্রশ্নেরই অপমান করে । এগুলো প্রশ্নের মধ্যেই পড়ে না । স্রষ্টা যেহেতু সর্ব শক্তিমান টাই তিনি কোন বস্তু বানাতে পারলে সেটা অবশ্যই ধ্বংসও করতে পারবেন , তুলতে পারবেন যেমনি ভাবে আপনি কোন গাড়ি সৃষ্টি করতে পারলে সেটা অবশ্যই চালাতে পারবেন । গাড়ি বানাতে পারলে , চালাতে পারবেন না এটা মানুষিক রোগী ছাড়া কেউ বলতে পারে নাহ। এরপরেও যদি নাস্তিকদের লজ্জা থেকে থাকে তবে বলদ টাইপ প্রশ্ন হতে দূরে থাকবে আর যদি লজ্জা দেখা যায় না বলে মানি না তাইলে তাদের জন্য আমার শোঁক প্রকাশ !
হাজারো লজিকাল ফেলাসি প্রশ্ন বানানো যায় যার কোন জবাব হয় না । হ্যাঁ একটি জবাব হয় তাহল লজিকাল ফেলাসি যুক্ত প্রশ্ন মূলত এর জবাবও হবে ফাউল প্রশ্ন । নিচের প্রশ্ন গুলা নাস্তিকদের কাছে রাখলাম । উত্তর হ্যাঁ বা না তেই দিতে হবে ।
* নাস্তিকরা কি মানুষ হত্যা বন্ধ করেছেন ?
* নাস্তিকরা কি ধর্ষণ, চুরি ,ডাকাতি করা বন্ধ করেছে ?
* আপনি কি এই রুমে দাড়াতে পারবেন যে অন্য রুমে দাড়াতে পারবেন না ?
* আপনি কি বৃষ্টিতে গসল করতে পারবেন যে আপনি ভিজতে পারবেন না ?
বর্ণিত প্রশ্ন গুলার জবাব হ্যাঁ দিলে না হয়ে যাবে, না দিলে হ্যাঁ হয়ে যাবে । উপরের প্রশ্ন গুলা আত্মবিরোধ । হ্যাঁ বা না যাই জবাব দেন না কেন নাস্তিকরা কচু গাছের সাথে ফেসে যাবে ।
উপরের সব যৌক্তিক বিশ্লেষণ থেকে এটাই প্রমানিত হল যে মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে অবশ্যই অবশ্যই এবং অবশ্যই স্রষ্টার হস্তখেপ আছে ।
****তথ্য ভিত্তিক প্রমানঃDNA*****
* Fundamentals of biochemistry বইটি সৃষ্টি হয়েছে donalt voet , Judith g voet এবং charlotte w pratt এই তিনজন বায়কেমিস্ট মিলে বইটি লিখেছেন আর john and sons company বইটি ছেপেছে । যারা বায়োকেমিস্ট্রি সম্পর্কে জানতে চায় তাদের জন্য খুব গুরুত্ব পূর্ণ এবং খুবই সুন্দর একটি বই এটি । জটিল বিষয়গুলো বুঝানো হয়েছে এই বইতে ।
আমি যদি বলি বইটি কেউ লিখে নাই । কোন কম্পানিও এটাকে ছাপায়নি । আমাদের সেন্ট্রাল লাইব্রেরী যখন বানানো হচ্ছিল তখন হটাত দেওয়ালের একটি ইট খসে পড়ে । সে ইট থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে বইটি সৃষ্টি হয় । আপনি আমার কথায় বিশ্বাস করবেন না কারন বারোশ পৃষ্ঠার বই দেওয়ালের ইট খসে পড়ে সৃষ্টি হতেই পারে না । এত সুন্দর , গুছানো তথ্যপূর্ণ বই নিজে নিজেই শুন্য থেকে সৃষ্টি হতেই পারে না ।
DNA । কোষের কেন্দ্রে থাকে DNA নিউক্লিয়াসের উপাধান । এর আরও একটি পরিচয় আছে সেটা হল ডেটা ব্যাংক যা বংশগতির সমস্ত তথ্যাবলী বহন করে আর শুদু বংশগতিই না বরং একজন মানুষের শরীরের যত পক্রিয়া ঘটবে তার সবটাই DNA – তে কোড করা থাকে । এ DNA –তে যা ইনফরমেশন আছে তা যদি লিখা হয় তাহলে ৯০০ ভলিউমের এনসাইক্লপিডিয়ার দরকার হবে যেখানে প্রতিটি ভলিউমের পৃষ্ঠা হবে ৫০০ । আরও অনেক অনেক ইনফরমেশন আছে এই DNA সম্পর্কে । বিখ্যাত বায়োকেমিস্ট Francis crick – DNA আবিস্কার করেন । পরবর্তীতে নোবেল প্রাইজও পান । Francis crick অরিজিন অফ লাইফ সম্পর্কে তার বই “Life it self” – এ বলেছেনঃ যে মানুষ এখন পর্যন্ত যত জ্ঞান আছে তা আয়ত্ত করেছে,সে কেবল এটাই বলতে পারবে যে জীবনের উৎপত্তি মিরাকল ছাড়া কিছুই নয় । জিনি DNA এর আবিস্কারক তিনিই স্বীকার করেছেন জীবনের উৎপত্তি মিরাকল ।
Prof,phillip Johnson বলেনঃ “In the beginning was the world” – এর মত একটি যোগ্যতাসম্পন্ন বাক্যও কখনো নিজে নিজেই সৃষ্টি হতে পারে না । এর জন্য একজন স্রষ্টা দরকার । আর আমরা DNA বিষয়ে যা বুঝলাম সেটা ১২৪৮ পেজের বই থেকেও হাজার হাজার গুণ জটিল । DNA এর গঠন কতটা জটিল । কত কোটি কোটি ইনফরমেশন একটি DNA তে কোডিং করা থাকে । যদি DNA এর ১ বিলিয়ন ৭১৯ মিলিয়ন ৩৪৮ হাজার ৬৩২ তম বেজ পেয়ারের কোন লেটার মিসকোডেড থাকে, তাহলে তা কোষের জন্য ক্ষতির কারন হবে । যার প্রভাব দেহের ওপর পরবে । অর্থাৎ কোডের মধ্যে বিন্দু মাত্র বিশৃঙ্খলা হলেই কোষের জন্য সেটা ক্ষতিকর ।
এই DNA গঠন এতই ক্ষুদ্র যে তা জটিল অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও দেখা যায় না । ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের দরকার হয় । লক্ষ লক্ষ বছর ধরে, কোটি কোটি জীবের মধ্যে, হাজার হাজার কোটি জটিলতর এসব ইনফরমেশন এনকোডেড হয়ে আছে অতিক্ষুদ্র DNA মলিকুলের মধ্যে । এমন ভাবে এনকোডেড হয়ে আছে যে কোন বিশৃঙ্খলা নাই । একটি বাক্যও যেখানে নিজে নিজেই অর্থপূর্ণ হতে পারে না সেখানে এই জটিল, কমপ্লেক্স, DNA কি নিজে নিজেই সৃষ্টি হওয়া সম্ভব ? কোন জড় বস্তু হতে কি এমন জটিলতম কিছু সৃষ্টি হতে পারে ? অবশ্যই না । তাই DNA অবশ্যই একজন বুদ্ধিমান স্রষ্টার সৃষ্টি প্রমানিত ।
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন আমরা তো দেখি নাই DNA স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন তাইলে কিভাবে মেনে নিব এটা ?
পয়েন্ট ১/ আপনি জন্মেছেন ধরেন ১৯৫০ সালে । এখন আমি আপনাকে প্রশ্ন করলাম যে আপনি যে ঐ সালেই জন্মেছেন এটা কি আপনি নিজের চোখে দেখেছেন ? না আপনি নিজ চোখে দেখেন নি । কিন্তু অন্য সন্তানরা জন্ম গ্রহন করে এটা আপনি দেখেছেন এর থেকে আপনি বুঝে গেছেন আপনিও একই ভাবে জন্মগ্রহন করেছেন । অর্থাৎ অন্য জনের জন্মের দেখা দেখে আপনি জেভাবে বুঝেছেন যে আপনিও জন্মেছেন সুতরাং “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি” এই তথ্যবহুল লেখা আপনি দেখেছেন কেউ একজন লিখেছে কিন্তু এর থেকেও বেশি জটিল বিষয় যেটা নিজে নিজে হওয়া সম্ভব না DNA এটার মধ্যে যে বিশাল তথ্য আছে সেটা অবশ্যই বুদ্ধিমান স্রষ্টাই সৃষ্টি করেছেন ।
পয়েন্ট ২/ “১৬৭৭” সালের অস্তিত্ব অথবা এই সালের কোন প্রমান আপনার কাছে নাই কারন আপনি নিজ চোখে ঐ সাল দেখেননি । কিন্তু আপনি মেনে নিয়েছেন এই সাল আছে । সেটা কিভাবে ? সেটা হল আপনি দেখেছেন ২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সাল । এখন এই দেখা থেকেই আপনি বুঝে গেছেন যে হুম এইভাবে পিছনে গেলে ১৬৭৭ সাল এর প্রমান আছে যদিও আপনি “সেটা নিজ চোখে দেখেনি” । আপনি যদি ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল দেখে ১৬৭৭ সাল নিজ চোখে না দেখে মানতে পারেন সে এর প্রমান বাস্তব সত্য । আমি দেখেছি “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি” এই লেখা একজন বুদ্দিমান মানুষ লিখেছেন । আমি এটাও জানি এই তথ্যবহুল লেখ নিজে নিজে হতেই পারে না সুতরাং এর থেকে বেশি তথ্য আছে DNA এর ভিতরে সুতরাং এটা কেউ বানাই নাই এটা অবাস্তব । সুতরাং এর থেকে বাস্তব বুঝা যায় যে DNA অবশ্যই স্রষ্টার সৃষ্টি ।
*****নিয়ম শৃঙ্খলা*****
পয়েন্ট ১: => পৃথিবী তার নিজ অক্ষে প্রতিনিয়ত ঘুরছে। এই ঘূর্ণনের গতি প্রতি ঘন্টায় ১০০০ মাইল। অর্থাৎ পৃথিবীর সাথে সাথে আমরাও প্রতি ঘন্টায় এক হাজার মাইল বেগে ঘুরছি। এই ঘূর্ণনের গতি যদি প্রতি ঘন্টায় ২০০ বা ৩০০ মাইল হতো তাহলে রাত আর দিনের ব্যবধান অনেক বেশি বেড়ে যেত। ১২ ঘন্টার পরিবর্তে তখন দিন হতো ১২০ ঘন্টা দীর্ঘ। যার ফলে দিনেরবেলা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে একসময় সবকিছু পুড়ে যেত। একইরকমভাবে অনেক দীর্ঘ রাত হতো, ফলে রাতেরবেলা তাপমাত্রা কমতে কমতে সবকিছু বরফ শীতল তাপমাত্রায় জমাট বেঁধে যেত। অনেক দীর্ঘ রাত এবং দিনের কারণে মানুষ তখন ঘুম, খাওয়া এবং কাজের নিয়ম রীতিতে হিমশিম খেয়েযেতো। সৃষ্টিকর্তা বলতে যদি কেউ না থাকে তাহলে কিভাবে রাত এবং দিন সুন্দর একটা নিয়ম-রীতির মধ্যে দিয়ে চলছে ? (ধরুন একটি সুই এর ওপর দশ তালা বাড়ি কাকতালীয় ভাবে দাড়িয়ে আছে,এটা কিন্তু কাকাতালিও ভাবে সম্ভব না তাইলে কেন আপনারা দিন রাতের এই নিয়মকে কাকতালীয় বা নিজে নিজে হয়েছে বলে মনে করেন?)
পয়েন্ট ২: => পৃথিবী যখন নিজ অক্ষে ঘুরে তখন ২৩.৫ ডিগ্রি এঙ্গেল বাঁকা হয়ে ঘুরে, যার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ঋতুর পরিবর্তন বযায় থাকে। যেমন শীত গ্রীষ্ম বসন্ত হেমন্ত ইত্যাদি। সেই সাথে নর্থ পোল এবং সাউথ পোল সবসময় অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকতো। সমুদ্রের বাষ্প সবসময় নর্থ পোল এবং সাউথ পোলে প্রবাহিত হতে থাকতো। বরফাচ্ছন্ন দেশের বরফ বাড়তেই থাকতো এবং মরু অঞ্চলের উষ্ণতাও বাড়তে থাকতো। এই ধরণের আবহাওয়া থেকে পরিত্রানের জন্যে পৃথিবী ২৩.৫ ডিগ্রি এঞ্জেল বাঁকা হয়ে ঘুরতে থাকে। সৃষ্টিকর্তা যদি না থাকে তাহলে কার হুকুমে পৃথিবী সবসময় ২৩.৫ ডিগ্রি বাঁকা হয়ে ঘুরছে ? সজা হয়ে ঘুরে না কেন ?
পয়েন্ট ৩: => সূর্যের তাপমাত্রা ১২ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ৯ কোটি ২৯ লক্ষ্য মাইল ( ৯২৯০০০০০ ) । এই দূরত্বের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা জীবের বসবাস উপযোগী হয়ে থাকে। সূর্য এবং পৃথিবীর এই দুরুত্ব যদি অর্ধেক হতো তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই পৃথিবীর সমস্ত গাছ পালা জীব জন্তু পুড়ে ছাই হয়ে যেত। আর এই দুরুত্ব যদি দ্বিগুন হতো তাহলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে গিয়ে সবকিছু বফরে জমাট বেঁধে যেত।কোনো জীবের অস্তিত্ব থাকতোনা। সৃষ্ট্রিকর্তা বলতে যদি কেও না থাকে তাহলে কার ইশারায় সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে এই দুরুত্ব বজায় রয়েছে ? (যদি বলেন কাকতালীয় ভাবে হয়েছে,তবে ভাবুন তো একটি সুই এর মাঝে উট প্রবেশ করেছে,এটা যদি কাকতালীয় সম্ভব না তাহলে কেন এরচেয়েও বড় বিষয়কে কাকতালীয় মনে হয় ?)
পয়েন্ট ৪: => বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন ধরণের গ্যাসের মিশ্রণ রয়েছে। যেমন : নাইট্রোজেন (৭৮%) , অক্সিজেন (২১%), আর্গন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, নিয়ন, হীলিয়াম্ এবং মিথেন। আমাদের বেচে থাকার জন্য গ্যাসের এই বন্টন খুবই গুরুত্বপূর্ত। যদি সৃষ্টিকর্তা না থাকে তাহলে কেন এই গ্যাসের বন্টন এরকমভাবে করা হয়েছে যা প্রাণী জগৎকে বাঁচিয়ে রেখেছে ?
পয়েন্ট ৫: : নাস্তিক ধর্মের দাবি অনুযায়ী যদি মহাবিশ্ব সহ সমস্ত কিছু নিজে নিজে হয়েছে তবে আমরা দুনিয়াতে দেখি যে,পিতা মাতা ছাড়া নিজে নিজেই সন্তান হয় না কেন?গাছ ছাড়া নিজে নিজেই ফল হয় না? অক্সিজেন ছাড়া মানুষ নিজে নিজেই বেছে থাকতে পারেনা কেন? প্রকিতি কেন নিয়ম মানবে ? চাঁদ,সুরজ,তারা,ইত্যাদি মহাবিশ্ব সহ এত বড় বড় বিষয় গুলা যদি নিজে নিজেই হতে পারে তবে কেন ওই ছোট বিষয় গুলা নিজে নিজেই হতে পারে না? এর একটাই জবাব স্রষ্টাই সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন।
@স্রস্টা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের গবেষণা@
* যুক্তিবিদ ও দার্শনিক অ্যালভিন প্ল্যানটিংগার গবেষণায়, স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস পুরোপুরি মৌলিক বা সহজাত একটি বিশ্বাস। তিনি দৃঢ় মত প্রকাশ করেন, স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস অন্যান্য মৌলিক সত্যের প্রতি বিশ্বাস যেমন: চেতনা, অনুভব, স্মৃতি (যেমন অতীতে বিশ্বাস) ইত্যাদির অনুরূপ। এই সকল ক্ষেত্রেই মানুষ তার যৌক্তিক চিন্তার ক্ষমতাকে বিশ্বাস করে, যদিও পূর্বোক্ত বিশ্বাসের সত্যতা প্রমাণ করা তার পক্ষে সম্ভব হয় না। অনুরুপভাবে, মানুষ নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে বিশ্বাস (যেমন: বিশ্বজগতের অস্তিত্ব, ১+১=২ ইত্যাদি) মৌলিক হিসেবে গ্রহণ করে যা অন্যান্য বিষয়ের (যেমন: বিজ্ঞান) ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। বিশ্বাসীরা স্রষ্টার অস্তিত্বকে এমনই মৌলিক বিশ্বাস হিসেবে গ্রহণ করে। বিস্তারিত দেখুন: Alvin Plantinga, Is Belief in God Properly Basic?; p. 41-51 (Noûs, Vol. 15, No. 1, 1981 A.P.A Western Division Meetings-Mar., 1981)
* দার্শনিক রেলফ ম্যাক্ইনারন -এর গবেষণায়, মানুষের স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস সহজাত বা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর শৃঙ্খলা, বিন্যাস এবং সূত্রবদ্ধ প্রকৃতির কারণে। (Antony Flew, There is a god, p. 55)
* ড. ডেবোরাহ কেলেমেন এর গবেষণায় জানা যায়, শিশুরা প্রাকৃতিক বস্তুসমূহকে পরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে দেখে, যে দৃষ্টিভঙ্গি তাদের পিতামাতা কর্তৃক দেয়া শিক্ষাকেও অতিক্রম করে। বিস্তারিত: 1. Science and the World’s Religions; vol. 02 (Persons and Groups), p. 217-219 (Publisher ABC-CLIO , July 2012)
* সাম্প্রতিক কালে অনেক গবেষকদের গবেষণায় প্রতীয়মান হচ্ছে, ধর্মবিশ্বাস প্রাথমিকভাবে ব্যক্তির ভেতর থেকেই উৎপত্তি হয় … যা মৌলিকভাবে মানব মনের এক অংশ …. Science and the World’s Religions; vol. 02 (Persons and Groups), page: 206, 209 ।
* আধুনিক বিজ্ঞান বর্তমান বলে স্রষ্টার অস্তিত্ব সহজাত অথবা স্বাভাবিক । অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলোপম্যানটাল সাইন্টিস্ট ডঃ জাস্টইন এল বারেট শিশুদের উপর গবেষণা করেন । এ ব্যাপারে বেশ কিছু বইও লিখেছেন তিনি । বই গুলোর মাঝে একটি হল “বর্ণ বিলিভারস” যেখানে তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছেনঃ শিশুরা জন্মগত ভাবেই স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসী, যাকে আমরা বলি সহজাত ধর্ম । (Dr.justine L. barrett, Born Belivers: The Science of Childrens Religious Belief: page 136 (Simon and Schuster,mar 20,2012)
* এছাড়াও অনেক গবেষকদের গবেষণায় প্রতীয়মান হচ্ছে, ধর্মবিশ্বাস প্রথমিকভাবে বেক্তির ভেতর থেকেই উৎপত্তি হয় যা মৌলিক মানব মনের এক অংশ । তাদের সংগৃহীত তথ্য থেকে নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে । যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি তত্ত হল “Strong Naturalness Theory” যা পূর্বের প্রভাবশালী “Anthropomorphism Theory” কে ছুঁড়ে ফেলেছে । Strong Naturalness Theory এর বক্তব্য হল, ধর্ম বিশ্বাসের উদ্ভব স্বয়ংক্রিয় ও অভ্যন্তরীণ এবং তা প্রকৃতপক্ষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিশুদের মাঝে উদ্ভূত হয় । (Patrick McNamara Phd, Wesley j. Wildman, Science and the Worlds Religions, vol, 2 (Person and Groups), page: 206,209,210 . Publisher ABC-CLIO,july 19,2012 ) এই বিষয়ে একটি প্রামাণ্য ভিডিও দেখুনঃ http://callingtotheone.com/is-believe-in-god-natural
* সাম্প্রতিক সময়ের আরও গবেষণায় জানা যায়, স্রষ্টার পাশাপাশি মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাসও মানুষের সহজাত প্রবণতার অন্তর্গত। The Cognition, Religion & Theology Project নামে ৩ বছর ব্যাপী আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন গবেষক ড. জাস্টিন ব্যারেট ও প্রফেসর রজার ট্রিগ-এর নেতৃত্বে। এতে অংশ নেন ৫৭জন গবেষক, যারা প্রায় ২০টি দেশের প্রথাগতভাবে ধর্মবিশ্বাসী ও নাস্তিক সম্প্রদায়ে ৪০টি ভিন্ন ভিন্ন গবেষনা পরিচালনা করেন। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল স্রষ্টা ও মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস কি পুরোটাই পিতামাতার শিখানো (যেমনটা নাস্তিকেরা বলতে চান) না মানুষের সজাত প্রবণতা তা খুঁজে বের করা। বিশ্লেষণমূলক এবং প্রমাণ ভিত্তিক গবেষণার পর তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, স্রষ্টা ও মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস মানুষের সহজাত প্রবণতা। এ গবেষণার ভিত্তিতে ড. জাস্টিন ব্যারেট দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। প্রজেক্ট এর সহ-পরিচালক প্রফেসর রজার ট্রিগ এর মতে, “ (এই গবেষণা) ইঙ্গিত বহন করে যে, ধর্মকে দমীয়ে রাখার প্রচেষ্টা ক্ষণস্থায়ী কারণ ধর্মবিশ্বাস মানব মনে গ্রথিত বলেই প্রতিয়মান হয়। অর্থাৎ স্রষ্টার অস্তিত্বকে মানা পুরাই ন্যাচারাল এবং যৌক্তিক এবং মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে বিশ্বাসও যৌক্তিক । (University of Oxford. Humans “predisposed” to believe in god and afterlife. “Science Daily” 14 july 2011.)
* বিশ্বের অন্যতম প্রধান পদার্থ বিজ্ঞানবিধ “লর্ড কেলভিল” বলেছেনঃ আপনি যদি খুব গভিরভাবে চিন্তা করেন,তাহলে বিজ্ঞান আপনাকে স্রস্টাতে বিশ্বাস করতে বাধ্য করবে । “জন ক্লিভল্যান্ড কথরেন” (রসায়ন শাস্রের অধ্যাপক) বলেনঃ আমাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হচ্ছে যে আমিও তার এই উক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত । (The Evidence Of God In Expanding Universe,লিখেছেনঃ Jon Clover Monsma বাংলায়ঃ ৪০জন সেরা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে আল্লাহর অস্তিত্ব , অনুবাদঃ সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান, পৃষ্ঠাঃ ৩৪ )
* এডওয়ার্ড লুথার কেসেল (প্রাণীতত্তবিদ ও কিটতত্তবিদ) তিনি বলেনঃ অনেকেই আছেন যারা “এই মহাবিশ্ব নিজে থেকেই সৃষ্টি হয়েছে” এমনি একটি ভ্রান্ত ধারনা পোষণ করে আসছেন । আবার অন্যান্যরা বলেন,আবহমানকাল থেকে এই মহাবিশ্ব বিরাজমান , এই কথাটি তাদের কাছে মনে করা যেমন সোজা,তেমনি সর্বকালে বিরাজমান স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করাও তাদের পক্ষে সহজ । (The Evidence Of God In Expanding Universe,লিখেছেনঃ Jon Clover Monsma বাংলায়ঃ ৪০জন সেরা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে আল্লাহর অস্তিত্ব , অনুবাদঃ সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান, পৃষ্ঠাঃ ৪৪)
* মারলিন বুকস ক্রিডার (অ্যামেরিকান সোসাইটি অফ প্রফেশনাল বায়োলজিস্ট, ন্যাশনাল স্পেলিওলজিকাল সোসাইটি সদস্য) তিনি বলেনঃ সাধারণ মানুষ হিসেবে এবং বিজ্ঞানের অধ্যায়ন ও গবেষণায় জীবন উৎসর্গকারী বেক্তি হিসেবে স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে আমার মনে আদৌ সন্দেহের কোন অবকাশ নেই । স্রষ্টা অবশ্যই আছেন । প্রকৃতিতে তাঁর অস্তিত্বের যে অগণিত প্রমান ছড়িয়ে আছে তা নিয়ে গবেষণা করতে পারি ।আমার মনে হয় এসব প্রমাণ যেমন সুস্পষ্ট তেমনি বিশ্বাসজনক । (The Evidence Of God In Expanding Universe,লিখেছেনঃ Jon Clover Monsma বাংলায়ঃ ৪০জন সেরা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে আল্লাহর অস্তিত্ব , অনুবাদঃ সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান, পৃষ্ঠাঃ ৫৪)
* হুইটেকার চেম্বারস তাঁর “উইটনেস” নামক বইয়ে একটি মামুলী ঘটনার উল্লেখ করেছেন । সম্ভবতঃ এই ঘটনা তাঁর জীবনের (এবং সম্ভবত মানবজাতির ঘটনাবলির) মড় ঘুরিয়ে দেয় । তিনি তাঁর মেয়েকে নিবিষ্ট মনে দেখছিলেন এবং নিজের অজান্তেই তিনি মেয়েটির কানের আকারের প্রতি হটাত সচেতন হয়ে উঠেছিলেন । তিনি আপন মনে ভেবেছিলেন , কানে এমনি নাজুক কুন্দুলি দৈবক্রমে সৃষ্টি হওয়া কতই না অসম্ভব । একমাত্র পূর্ব কল্পিত নমুনা থেকেই এমনি অপরূপ জিনিস সৃষ্টি করা হতে পারে । কিন্তু এই চিন্তা তার মনে উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার অজ্ঞেয়বাদী মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন । কারন তিনি সেই সঙ্গে উপলব্ধি করেছিলেন যে, পর্যায়ক্রমে যুক্তিসিদ্ধ পরবর্তী ধাপই হবেঃ এই পরিকল্পনায় আগে থেকেই স্রষ্টার অস্তিত্ব মেনে নেওয়া – এমন একটি গবেষণামূলক বিষয় ,যা মেনে নেওয়ার জন্য তিনি তখনও তৈরি হননি। (The Evidence Of God In Expanding Universe,লিখেছেনঃ Jon Clover Monsma বাংলায়ঃ ৪০জন সেরা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে আল্লাহর অস্তিত্ব , অনুবাদঃ সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান, পৃষ্ঠাঃ ৬২)
* ইরভিং উইলিয়াম নবলচ (প্রকৃতি বিজ্ঞানী, উদ্ভিদের সাইটলজি মরফলজি ও অ্যাগরটলজি বিশেষজ্ঞ) তিনি বলেনঃ আমি স্রস্টাতে বিশ্বাস করি । এর কারন হল আমি মনে করি না সর্বপ্রথম ইলেকট্রন বা প্রোটন অথবা পরমাণু বা প্রথম অ্যামিনো এসিড অথবা প্রথম প্রটোপ্লাজম অথবা প্রথম বীজ অথবা সর্বপ্রথম মস্তিষ্কটির জন্মের জন্য কেবলমাত্র দৈব দায়ী । আমি স্রস্টাতে বিশ্বাস করি তার কারন হল আমার কাছে এইসব কিছুর মুলে স্রষ্টার পবিত্র অস্তিত্বই একমাত্র যুক্তিসিদ্ধ ব্যাখ্যা হতে পারে । (The Evidence Of God In Expanding Universe,লিখেছেনঃ Jon Clover Monsma বাংলায়ঃ ৪০জন সেরা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে আল্লাহর অস্তিত্ব , অনুবাদঃ সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান, পৃষ্ঠাঃ ৭৪)


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.