মহান আল্লাহ কীভাবে এলেন?
মহান আল্লাহ কীভাবে এলেন?
লিখেছেনঃ আহমেদ আল উবায়দুল্লাহ
নাস্তিক ও সংশয়বাদীদের এটি একটি খুবই সাধারণ প্রশ্ন যে, সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা থাকলে সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে?
এই বিষয়টিকে আমরা কয়েকভাবে দেখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
👉 বিশ্লেষণ নং ১:
সৃষ্টিকর্তার কথা চলুন ভুলে যাই। আমরা প্রকৃতিটাকে বোঝার চেষ্টা করি। প্রকৃতি বলতে সময়ের প্রকৃতি।
আমরা মানুষেরা সময় মাপছি কিছু না কিছু দিয়ে। সাধারণভাবে সূর্যটাকেই ধরে নিলাম। এখন পৃথিবী যখন সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, তখন সেটা নিজের অক্ষের ওপরও ঘুরছে বলে আমরা জানি। আর একপাক নিজ অক্ষে ঘোরার পর আমরা এই সময়টুকুকে এক দিন বলে হিসাব করেছি। এখন এই এক দিনকে আমরা ২৪ টা ভাগে ভাগ করেছি। এক এক ভাগকে নাম দিয়েছি ঘণ্টা, তাহলে দাঁড়াল ২৪ ঘণ্টা। আবার এক ঘণ্টাকে ৬০ ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগের নাম মিনিট রেখেছি, এভাবে আরও ভাগ করে সেকেন্ডও পেয়েছি। উন্নত প্রযুক্তিতে সেকেন্ডকেও হয়ত অনেক ভাগে ভাগ করা যাবে!
যাই হোক, মূল বক্তব্য হল আমরা সময় মাপার ক্ষেত্রে কিছু না কিছু যা আমাদের চারপাশে আছে, তার সাথে তুলনা করে সময়কে মাপছি। এখন মূল মাপকাঠি যদি সূর্য ধরি, তাহলে দিন-রাত, সূর্যের সাপেক্ষে মেপে হিসাব করছি। এখন যদি সূর্য না থাকত, হয়ত অন্য কিছুর সাথে তুলনা করে আমরা হিসাব করতাম, হয়ত অন্য কোনো নক্ষত্রের সাপেক্ষে। অনেক রীতিতে বছর মাপা হয় চাঁদের সাপেক্ষে। হিন্দু, মুসলিম প্রভৃতি রীতিতে হয়ত এই হিসাবগুলো পেতে পারি।
যাই হোক আমরা আমাদের সাপেক্ষে দিন হিসাব করলাম, এবার সূর্যের সাপেক্ষে পুরোটা ঘুরে আসার সময়কে এক বছর হিসেবে সংজ্ঞায়িত করলাম। আবার এই বছরের হিসাব আর আলোর গতির হিসাবের তুলনা করেও আলোকবর্ষ এর সাপেক্ষে সময়কে মেপে দূরত্ব নির্ণয় করলাম। এছাড়া আমরা যেভাবে সূর্যের সাপেক্ষে পুরো একপাক ঘোরাকে বছর বললাম, সেটার হিসাব করে মূল যে সময়, অর্থাৎ বিগ ব্যাং এর সময় থেকে বর্তমান অবধি আমরা কত বছর পার করেছি এগুলোও হিসাব করলাম মাশাআল্লাহ!
আচ্ছা, তাহলে অনেক কিছুই করা গেল। আমার এতকিছু বলার একটাই উদ্দেশ্য। সেটা হল, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, কোনো কিছুর সাপেক্ষে তুলনা না করলে আমরা সময় মাপতেই পারব না। আমাদের সাপেক্ষে সাধারণ হিসাবে আমরা সূর্যের সাপেক্ষে সময় মাপছি। সূর্য না থাকলে অন্য কিছু দিয়ে হয়ত সময় মাপতাম। এখন তাহলে প্রশ্নটা হল, যদি কিছু না থাকে totally, একেবারে কিছুই না থাকে, তাহলে সময় কী দিয়ে মাপব? অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি যে, যখন সৃষ্টি বা জগতের কিছুই অস্তিত্ব লাভ করে নি, সেই অবস্থায় কী দিয়ে আমরা সময় মাপব? না কোনো মহাবিশ্ব আছে, না কোনো জান্নাত বা জাহান্নাম আছে। কিছুই নেই। এমন অবস্থায় যখন কিছুই নেই, তখন সময় কী দিয়ে মাপব? আর সময় যদি না মাপতে পারি, তাহলে সেখানে শুরু বা শেষ বলে আদৌ কিছু কীভাবে নির্ধারণ করব?
উত্তর হল, এটা সিম্পল লজিক যে, যদি সময় মাপার কিছুই না থাকে, সেক্ষেত্রে সেই অবস্থা "শুরু" বা "শেষ" এমন বিষয় দিয়ে নির্ধারিত নয়। বরং সেই অবস্থায় যখন শুরু বা শেষ আদৌ নেই, তখন সেই অবস্থা সময়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়। এখন যদি সেই অবস্থা সময়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ না হয়, তবে এই অবস্থাকে আমরা বলতে পারি "অনাদি" বা "আদি ও অন্তহীন" হিসেবে যাকে ইংরেজিতে বলতে পারি "without beginning, without end". এখন এই অবস্থায় তাই যদি কোনো কিছু থেকে থাকে, তবে সেটারও শুরু থাকবে না, শেষ থাকবে না। আর ইসলাম ঘোষণা করছে যে, আল্লাহ তাআলা ঠিক এই অবস্থায় বিরাজমান। কোরআন বলছে,
ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّومُ
"আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ (উপাস্য) নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও নিত্য বিরাজমান।"
(আল-কোরআন, ৩:২)
(আল-কোরআন, ৩:২)
অর্থাৎ তাই এটা দাঁড়াচ্ছে যে, আল্লাহ তাআলা হলেন অনাদি, অর্থাৎ আদি বা অন্তহীন; কারণ তাঁকে যদি মাপতেই হয়, তাহলে আমরা তাঁকে কী দিয়ে মাপব? তিনিই তো সকল পরিমাপের বিষয় সৃষ্টি করেছেন, আর সকল পরিমাপের বিষয়ের অস্তিত্বের পূর্বেই তিনি ছিলেন; সেক্ষেত্রে তাঁকে এসকল ক্ষুদ্র পরিমাপ দিয়ে মাপা কীভাবে সম্ভবপর হতে পারে! যেমনভাবে বইয়ের পৃষ্ঠা আর কালি দিয়ে বইয়ের লেখককে মাপা সম্ভব না, কারণ বইয়ের কোনো পাতাতে লেখক নেই, বরং লেখকের অস্তিত্ব এখানে আলাদা; একইভাবে আল্লাহকেও আমরা কোনো কিছু দিয়ে মাপতে পারব না কারণ তাঁকে মাপার মত কিছুই আসলে নেই, কেননা তিনিই এই পরিমাপের বিষয় সৃষ্টি করেছেন আর তাই তিনি এই পরিমাপের চেয়েও বহু উর্ধ্বে। আল্লাহ বলেন,
وَلَمْ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدٌۢ
"তাঁর সমতুল্য কিছুই নেই।"
(আল-কোরআন, ১১২:৪)
.
সুতরাং যদি আল্লাহ তাআলা অনাদি হন, তাহলে তাঁর কোনো শুরু বা শেষ নেই। এখন যুক্তি অনুযায়ী, যদি কোনো কিছু সৃষ্টি হয়, তবে তার একটা শুরু থাকবে। কিন্তু যদি তার শুরু না থাকে, তার মানে হল, সেটা সৃষ্টি হয়নি, বরং সেটা অনাদি বা আদি-অন্তহীন। এর মানে হল, যা অনাদি বা যা সৃষ্টি হয়নি, তার সৃষ্টিকর্তা থাকাও অযৌক্তিক। অর্থাৎ যদি বলা হয়, আল্লাহ তাআলাকে কে সৃষ্টি করেছে, এটাও তখন আসলে একটা অযৌক্তিক প্রশ্ন! কারণ তিনি আসলে অনাদি বা আদি-অন্তহীন।
(আল-কোরআন, ১১২:৪)
.
সুতরাং যদি আল্লাহ তাআলা অনাদি হন, তাহলে তাঁর কোনো শুরু বা শেষ নেই। এখন যুক্তি অনুযায়ী, যদি কোনো কিছু সৃষ্টি হয়, তবে তার একটা শুরু থাকবে। কিন্তু যদি তার শুরু না থাকে, তার মানে হল, সেটা সৃষ্টি হয়নি, বরং সেটা অনাদি বা আদি-অন্তহীন। এর মানে হল, যা অনাদি বা যা সৃষ্টি হয়নি, তার সৃষ্টিকর্তা থাকাও অযৌক্তিক। অর্থাৎ যদি বলা হয়, আল্লাহ তাআলাকে কে সৃষ্টি করেছে, এটাও তখন আসলে একটা অযৌক্তিক প্রশ্ন! কারণ তিনি আসলে অনাদি বা আদি-অন্তহীন।
👉 বিশ্লেষণ নং ২:
ধরুন বলা হল, আপনি কোথায় থাকেন? বললেন বাংলাদেশে। এখন আমি কীভাবে বুঝছি আপনার অবস্থান? এইজন্য যে, বাংলাদেশের অবস্থানকে আমি চারপাশের দেশের সাপেক্ষে, অক্ষাংশ, দ্রাঘিমার সাপেক্ষে বিচার করে তারপর তুলনা করে অবস্থান নির্ণয় করছি। যদি আমি চারপাশের কোনো কিছুর সাথেই তুলনা করতে না পারতাম, তবে বাংলাদেশ যে কোথায়, এটা বোঝা কখনই সম্ভব হত না। একইভাবে পৃথিবী কোথায় এটা বুঝছি সূর্য বা অন্য কোনো মহাজাগতিক বিষয়ের সাথে তুলনা করে বা তার সাপেক্ষে। এই তুলনা ছাড়া কিছুই আমরা বুঝতে পারি না। এখানে কোরআন বলছে যে, "তাঁর সমতুল্য কিছুই নেই" (আল-কোরআন, ১১২:৪), অর্থাৎ তুলনা করে আমরা আল্লাহকে বুঝতে পারব না।
আমরা আসলে সৃষ্টিকে বুঝতে তুলনা করছি, কিন্তু আল্লাহ তাআলা এমন সকল আপেক্ষিকতা এবং তুলনার উর্ধ্বে। যেমনভাবে একজন বই লেখককে বইয়ের মধ্যে থাকা লেখা, পৃষ্ঠা দিয়ে তুলনা করে বোঝা যায় না, তেমনিভাবে সৃষ্টির মধ্যে থাকা আপেক্ষিকতা আর পারস্পরিক তুলনা দিয়েও আল্লাহকে বোঝা যায় না। একারণে আমাদের প্রথম দৃষ্টিভঙ্গি হবে এটাই যে, আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বকে মেনে নেওয়া তা যেমনই হোক না কেন এবং নিজের চিন্তাতে যে তুলনামূলক প্রশ্ন আসছে, এটা দিয়ে আল্লাহকে বুঝতে না যাওয়া। কেননা আমাদের চিন্তা তুলনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আর আল্লাহ তাআলার সমতুল্য কিছুই নেই।
এখন যখন আপনি মেনে নিয়েছেন যে, আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বকে আপনার মস্তিষ্কের তুলনামূলক প্রশ্ন দিয়ে সংজ্ঞায়িত করতে পারবেন না; তখন আপনি এখানে আপনার প্রশ্নের উত্তরকে নিয়ে যুক্তি দিয়ে কেবল কিছুটা উপলব্ধিতে যেতে পারেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, এই যুক্তিও যেন আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বের থেকে উর্ধ্বে, সেটা আপনি না ভাবেন, আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে, আমরা সীমিত ক্ষমতার সৃষ্টি যাদের চিন্তার ক্ষমতার একটি সীমা রয়েছে। আর যে ব্যক্তি নিজের সীমিত ক্ষমতায় অহংকার পোষণ করে এই চিন্তা করে যে, সে তার তুচ্ছ ক্ষমতা দিয়ে তার ক্ষমতার বাইরের বিষয়বস্তুও বুঝে ফেলবে, তার পক্ষে আল্লাহ তাআলার অসীম অস্তিত্বকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়!
এখন যদি বলা হয়, আল্লাহ তাআলা কীভাবে এলেন, এর অর্থ আপনি বুঝাতে চাইছেন যে, আল্লাহ তাআলাও সৃষ্টি হয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)। এখন যদি আল্লাহ তাআলাও সৃষ্টি হন, তাহলে ধরলাম প্রথম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলাকে সৃষ্টি করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। তাহলে একই যুক্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তা প্রথম সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করবেন। এভাবে তৃতীয় সৃষ্টিকর্তা, চতুর্থ সৃষ্টিকর্তা, পঞ্চম সৃষ্টিকর্তা.... চলতেই থাকবে এবং এটা শেষই হবে না। অর্থাৎ যদি সৃষ্টিকর্তার সংখ্যা শেষ না হয়, এর অর্থ হল প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা যে কে, সেটা আসলে নির্ধারণ করাও সম্ভব না, কারণ প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা কে, এটা বলার পরই আবার সেই সৃষ্টিকর্তার আরও একজন সৃষ্টিকর্তা চলে আসবে। ফলে সৃষ্টিকর্তাই আসলে error হয়ে যাবে, ফলে এই জগতটাই error হয়ে যাবে। এটা যদি বলা হয় যে, যদি ধরে নিই যে, সৃষ্টিকর্তাই নেই, তাহলে আর error হবে না, সেক্ষেত্রে অন্য একটি error চলে আসবে। খেয়াল করুন, প্রত্যেকটি কাজেরই একটি যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে। আমি গ্লাস হাতে নিলাম, পানি ঢেলে মুখের কাছে নিয়ে এলাম, কেন? কারণ আমি পানি খাব তাই। আমি কাগজ নিয়ে হাতে কলম ধরলাম, কেন? কারণ আমি কিছু লিখব তাই। একইভাবে পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে, কেন? কারণ মহাকর্ষ বল, কেন্দ্রমুখী বল ইত্যাদি। একইভাবে মহাবিশ্বের উৎপত্তি ঘটেছে, কারণ কী? বিগ ব্যাং। বিগ ব্যাং এর কারণ কী? সুপার এ্যাটম। এই সুপার এ্যাটম বা যাবতীয় সকল সৃষ্টির কারণ কী? নাস্তিকরা বলে এর কোনো কারণ নেই, এটা by chance চলে এসেছে, কিন্তু এটা যুক্তির বিরুদ্ধে যায়। তাই আস্তিকীয় যুক্তিতে এর উত্তর হল এই সৃষ্টির কারণ হলেন সৃষ্টিকর্তা। এখন যখন আমরা সৃষ্টিকর্তার উৎপত্তি নির্ণয় করতে যাচ্ছিলাম, তখন দেখছিলাম যে, সৃষ্টিকর্তার উৎপত্তি বললে, প্রথম সৃষ্টিকর্তা, দ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তা এবং এভাবে চলতেই থাকবে, আর শেষ হবে না, ফলে এই জগতটাই অর্থহীন হয়ে পড়বে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, এই জগতটা সত্য। তাই অবশ্যই একজন সৃষ্টিকর্তাকে নির্দিষ্ট করতে হবে। আর এটা তখনই সম্ভব হবে, যখন আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ইত্যাদি সব সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিয়ে কেবল "সৃষ্টিকর্তা" তেই থেমে যাব, কেননা যদি আমরা শুধু সৃষ্টিকর্তাতেই থামি, তবেই একমাত্র জগতটাকে সত্য হিসেবে বাস্তবায়ন করতে পারব। আর যদি প্রথম, দ্বিতীয় ইত্যাদি সৃষ্টিকর্তার সংখ্যা বাড়াতেই থাকি, তাহলে আর চূড়ান্ত সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে পাব না।
একারণে যুক্তি দিয়ে এটাই সঠিক বলে বোঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলাই হলেন চূড়ান্ত সৃষ্টিকর্তা যার কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই এবং তিনি সৃষ্টিহীন এবং তাঁর আদি ও অন্ত নেই।
লক্ষ্যণীয় যে, সৃষ্টির কারণ হিসেবে যখনই একজন চূড়ান্ত সৃষ্টিকর্তার কথা বলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার প্রকৃতি সৃষ্টির থেকে ভিন্ন হবে। কেননা যদি সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টির মত হন, তাহলে আসলে সৃষ্টির মধ্যে আরেকটু বেশি অংশ আমরা পাব কারণ সৃষ্টিকর্তা তখন সৃষ্টিরই অংশ হবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে একই প্রশ্ন থেকে যাবে যে, সৃষ্টির অস্তিত্ব লাভের কারণ কী? সেক্ষেত্রে যখনই সৃষ্টিকর্তার কথা বলা হচ্ছে, তখন সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি থেকে ভিন্ন হওয়া যুক্তিযুক্ত। অর্থাৎ সৃষ্টি যদি সসীম হয়, সৃষ্টিকর্তা হবেন অসীম; সৃষ্টির যদি শেষ থাকে, সৃষ্টিকর্তার কোনো শেষ থাকবে না; সৃষ্টির যদি শুরু থাকে, সৃষ্টিকর্তার সেক্ষেত্রে কোনো শুরুও থাকবে না!
তাই বলা যায়, যেহেতু সৃষ্টির শুরু ও শেষ রয়েছে, একারণে এই প্রকৃতি থেকে ভিন্ন সৃষ্টিকর্তাকে আদি-অন্তহীন হতে হবে! আর যিনি আদি-অন্তহীন অর্থাৎ যাঁর শুরু ও শেষ নেই, তাঁকে অবশ্যই সৃষ্টিহীন হতে হবে। আর যিনি সৃষ্টিহীন, সেই সৃষ্টিকর্তাই চূড়ান্ত কারণ এবং সকল পার্থিব কারণেরও কারণাতীত!
اَمۡ خُلِقُوۡا مِنۡ غَیۡرِ شَیۡءٍ اَمۡ ہُمُ الۡخٰلِقُوۡنَ ﴿ؕ۳۵﴾
اَمۡ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ بَلۡ لَّا یُوۡقِنُوۡنَ ﴿ؕ۳۶﴾
اَمۡ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ بَلۡ لَّا یُوۡقِنُوۡنَ ﴿ؕ۳۶﴾
"তারা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? না কি তারা আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? বরং তারা তো অবিশ্বাসী।"
(আল-কোরআন, ৫২:৩৫-৩৬)
.
.
.
===============================
আমাদের পেজটিতে লাইক দিয়ে ও ফলো করে রাখতে পারেন।
(আল-কোরআন, ৫২:৩৫-৩৬)
.
.
.
===============================
আমাদের পেজটিতে লাইক দিয়ে ও ফলো করে রাখতে পারেন।
Like and follow our page here:
https://www.facebook.com/ahmadalubaydullah/
https://www.facebook.com/ahmadalubaydullah/
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.