বন্টন নামা ও অছিয়ৎনামা / তানভীর আহমেদ শরীফ


#আল্লহু আকবর
#ইসলামের কাছে পৌত্তলিকতা/হিন্দুত্ববাদ এর পরাজয় ১৯
#বন্টন নামা ও অছিয়ৎনামা
🚩🚩
কিয়ামতের দিন পৌত্তলিক দের হত্যা করা কন্যাদের আল্লাহ জিজ্ঞাসা করবেন।
At-Takwir 81:8
وَإِذَا ٱلْمَوْءُۥدَةُ سُئِلَتْ
যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে,
At-Takwir 81:9
بِأَىِّ ذَنۢبٍ قُتِلَتْ
কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল?
🚩🚩
Sourov Kumer
🛄
ইসলামের উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর
http://xn--d5by7bap7cc3ici3m.xn--54b7fta0চ্চ
🛄
ইসলামের উত্তরাধিকার আইন বিস্তারিত
🌍পৃথবীতে প্রথম ও একমাত্র ইসলাম ই নারীকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার করেছে।
🌍ডকুমেন্টারি দেখুন ,ভারতে গ্রামেও পেশাজীবি রয়েছে নারী ভ্রুন হত্যা করা(Angel of Death) তাদের পেশা
🌍ভারতে ছেলের আশায় প্রতিদিন ২০০০ নারী ভ্রুন হত্যা করা হয়। এবং ভারত নারী ভ্রুন হত্যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!!
https://www.google.com/…/2000-girls-killed-every-day-india-…
🌍হিন্দু ধর্মে নারী তার পিতার সম্মত্তির উত্তরাধিকার নাই কেনো ?
🌍হিন্দু ধর্মে নিজ সন্তানকে বঞ্চিত করে পরের ছেলের পিতৃ পরিচয় গোপন( পালক পূত্র ও নিয়োগ প্রথা-দেবর/ভাসুর/পরপুরুষ এর দ্বারা সহবাস করে ছেলে উৎপাদন )করে তাকে নিজ সম্পতির উত্তরাধিকার করা কি ন্যায় সংগত ?
🌎অছিয়তনামা এর নীতিমালা কি ?
🌎অছিয়তনামা সম্পদের কতটুকু করা যাবে ?
An-Nisa' 4:174
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدْ جَآءَكُم بُرْهَٰنٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَأَنزَلْنَآ إِلَيْكُمْ نُورًا مُّبِينًا
হে মানবকুল! তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সনদ পৌঁছে গেছে। আর আমি তোমাদের প্রতি প্রকৃষ্ট আলো অবতীর্ণ করেছি।
#ইসলাম এ নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা
#পৌত্তলিক / হিন্দুদের অবস্থা
সুরা নাহল 16:58
وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِٱلْأُنثَىٰ ظَلَّ وَجْهُهُۥ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ
যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তারা মুখ কাল হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে।
An-Nahl 16:59
يَتَوَٰرَىٰ مِنَ ٱلْقَوْمِ مِن سُوٓءِ مَا بُشِّرَ بِهِۦٓۚ أَيُمْسِكُهُۥ عَلَىٰ هُونٍ أَمْ يَدُسُّهُۥ فِى ٱلتُّرَابِۗ أَلَا سَآءَ مَا يَحْكُمُونَ
তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে, না তাকে মাটির নীচে পুতে ফেলবে। শুনে রাখ, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট।
আন আমঃ১৩৭
وَ کَذٰلِکَ زَیَّنَ لِکَثِیۡرٍ مِّنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ قَتۡلَ اَوۡلَادِہِمۡ شُرَکَآؤُہُمۡ لِیُرۡدُوۡہُمۡ وَ لِیَلۡبِسُوۡا عَلَیۡہِمۡ دِیۡنَہُمۡ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ مَا فَعَلُوۡہُ فَذَرۡہُمۡ وَ مَا یَفۡتَرُوۡنَ ﴿۱۳۷﴾
এরূপে তাদের দেবতাগণ বহু অংশীবাদীর দৃষ্টিতে সন্তান হত্যাকে শোভন করেছে[১] যাতে সে তাদের ধ্বংস সাধন করে এবং তাদের ধর্ম সম্বন্ধে তাদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।[২] আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা এ করত না।[৩] সুতরাং তাদের মিথ্যা নিয়ে তাদেরকে থাকতে দাও।
[১] এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে সন্তানদেরকে তাদের জীবন্ত কবরস্থ করা অথবা মূর্তিদের নামে নজরানা পেশ করার প্রতি।
[২] অর্থাৎ, তাদের দ্বীনে শিরকের মিশ্রণ ঘটিয়ে।
[৩] অর্থাৎ, মহান আল্লাহ স্বীয় এখতিয়ার ও কুদরতে তাদের ইচ্ছা ও এখতিয়ারের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নিতেন। তখন অবশ্যই তারা ঐ কাজ করতে পারত না, যার উল্লেখ হয়েছে। কিন্তু এ রকম করলে জোর-জবরদস্তি করা হত, আর তাতে মানুষকে পরীক্ষা করা যেত না। অথচ আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইচ্ছা ও এখতিয়ারের স্বাধীনতা দিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। তাই তিনি জোর-জবরদস্তি করেননি।
#আল্লাহ এদের সম্পর্কে বলছেন।
সুরা আন আম ৬ঃ১৪০
قَدۡ خَسِرَ الَّذِیۡنَ قَتَلُوۡۤا اَوۡلَادَہُمۡ سَفَہًۢا بِغَیۡرِ عِلۡمٍ وَّ حَرَّمُوۡا مَا رَزَقَہُمُ اللّٰہُ افۡتِرَآءً عَلَی اللّٰہِ ؕ قَدۡ ضَلُّوۡا وَ مَا کَانُوۡا مُہۡتَدِیۡنَ ﴿۱۴۰﴾
যারা নির্বুদ্ধিতার জন্য ও অজ্ঞানতাবশতঃ নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করে এবং আল্লাহ প্রদত্ত জীবিকাকে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ গণ্য করে, তারা তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা অবশ্যই বিপথগামী এবং তারা সৎপথপ্রাপ্ত ছিল না।
🌍
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الْأَسْوَدِ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْنِ حَتَّى تُدْرِكَا، دَخَلْتُ أَنَا وَهُوَ فِي الْجَنَّةِ كَهَاتَيْنِ» ، وَأَشَارَ مُحَمَّدٌ بِالسَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى
আবু বাকর ইবনে উবায়দুল্লাহ ইবনে আনাস (র)
নবী (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি দুইটি কন্যা সন্তানকে বালেগ হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করে, আমি এবং সে এই দুটির মতো পাশাপাশি জান্নাতে প্রবেশ করবো। হাদীস বর্ণনাকালে রাবী মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (র) তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলের প্রতি ইঙ্গিত করেন।
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৯০২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
🌏🌏🌏
উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠার শর্তদুই ভাবে মানুষ সম্পদের উত্তরাধিকার পায় তার একটি হলো- সম্পদের মালিক মৃত্যু বরণ করলে। আর দ্বিতীয়টি হলো- মৃত্যুকালে ওয়ারিশদের জীবিত থাকা। কাজেই সম্পদের মালিকের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তার সম্পত্তিতে ওয়ারিশদের হক প্রতিষ্ঠিত হবে না।প্রশ্ন উঠতে পারে...সম্পদের মালিক ‘মুরিশ’ যদি নিখোঁজ থাকে এবং তার বাঁচা-মরার বিষয়ে কোনো কিছু জানা না যায়। তখন আদালতের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি হবে। যদি বিচারক মৃত্যুর পক্ষে রায় দেয় তবে তার ওয়ারিশগণ সম্পদের হকদার হবেন।কারা ওয়ারিশ হবেউত্তরাধিকার লাভের ভিত্তি হচ্ছে মৃত্যুব্যক্তির সঙ্গে নিকটাত্মীয়তার সম্পর্ক থাকতে হবে। এ হিসাবে যে সব আত্মীয় ওয়ারিশ হয় তারা মোট পঁচিশ শ্রেণির লোক।
🌍যার মধ্যে ১৫ শ্রেণির পুরুষ এবং ১০ শ্রেণির মহিলা রয়েছে
পুরুষদের মধ্যে যারা ওয়ারিশ
১. পুত্র, ২. পৌত্র, ৩. পিতা, ৪. দাদা, ৫. আপন ভাই, ৬. বৈমাত্রেয় ভাই, ৭. বৈপিত্রেয় ভাই, ৮. আপন ভাইয়ের পুত্র, ৯. বৈমাত্রেয় ভাইয়ের পুত্র, ১০. আপন চাচা, ১১. বৈমাত্রেয় চাচা, ১২. আপন চাচাত ভাই, ১৩. বৈমাত্রেয় চাচাত ভাই, ১৪. স্বামী, ১৫. মুক্তিদানকারী মুনিব।
🌎নারীদের মধ্যে যারা ওয়ারিশ
১. কন্যা, ২. মাতা, ৩. পৌত্রী, ৪. দাদী, ৫. নানী, ৬. আপন বোন, ৭. বৈমাত্রেয় বোন, ৮. বৈপিত্রেয় বোন, ৯. স্ত্রী, ১০. মুক্তিদানকারিনী।
🌏যে সব আত্মীয় ওয়ারিশ হবে না১. মৃতের সৎপুত্র ও কন্যা অর্থাৎ স্ত্রীর প্রাক্ত স্বামীর সন্তান, ২. সৎপিতা, ৩. মৃত মহিলার সৎপুত্র ও কন্যা, ৪. সৎমা, ৫. মৃতব্যক্তির শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালিকা, ৬. মৃত মহিলার শ্বশুর শাশুড়ি দেবর ননদ ও অনুরুপ পুত্রবধূ, ভাবী, ৭. পোষ্য পুত্র ও কন্যা ৮. ধর্ম পিতা-মাতা।
আসুন দেখি সন্দেহ মুক্ত কিতাব কি বলে।
Al-Baqarah 2:2
ذَٰلِكَ ٱلْكِتَٰبُ لَا رَيْبَۛ فِيهِۛ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
#বন্টন নামা
আন নিসা 4:11
يُوصِيكُمُ ٱللَّهُ فِىٓ أَوْلَٰدِكُمْۖ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ ٱلْأُنثَيَيْنِۚ فَإِن كُنَّ نِسَآءً فَوْقَ ٱثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَۖ وَإِن كَانَتْ وَٰحِدَةً فَلَهَا ٱلنِّصْفُۚ وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَٰحِدٍ مِّنْهُمَا ٱلسُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ‌و وَلَدٌۚ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ‌و وَلَدٌ وَوَرِثَهُ‌وٓ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ ٱلثُّلُثُۚ فَإِن كَانَ لَهُ‌وٓ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ ٱلسُّدُسُۚ مِنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِى بِهَآ أَوْ دَيْنٍۗ ءَابَآؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ لَا تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًاۚ فَرِيضَةً مِّنَ ٱللَّهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।

[১] এর যৌক্তিকতা এবং এটা যে সুবিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত সে কথা পূর্বে পরিষ্কারভাবে আলোচনা করা হয়েছে। উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে উভয়ই হলে এই নীতি অনুযায়ী বণ্টন হবে। ছেলে ছোট হোক বা বড়, অনুরূপ মেয়ে ছোট হোক বা বড় সকলেই উত্তরাধিকারী হবে। এমন কি গর্ভস্থ সন্তানও উত্তরাধিকারী হবে। তবে কাফের সন্তানরা ওয়ারিস হবে না।

[২] অর্থাৎ, কোন ছেলে যদি না থাকে, তাহলে মালের দুই তৃতীয়াংশ (মালকে তিনভাগ করে দু'ভাগ) দু'য়ের অধিক মেয়েদেরকে দেওয়া হবে। আর যদি মেয়ে কেবল দু'জনই হয়, তবুও তারা তিনভাগের দু'ভাগই পাবে। কারণ, হাদীসে এসেছে যে, সা'দ ইবনে রাবী' (রাঃ) উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়ে যান। তাঁর ছিল দু'টি মেয়ে। সা'দ (রাঃ)-এর এক ভাই তাঁর সমস্ত মাল জবরদখল করে নেয়। কিন্তু নবী করীম (সাঃ) মালের দুই তৃতীয়াংশ মেয়েদের চাচার কাছ থেকে নিয়ে তাদেরকে দিয়ে দেন। (তিরমিযী ২০৯২, আবূ দাউদ ২৮৯১, ইবনে মাজাহ ২৭২০নং) এ ছাড়া সূরা নিসার শেষে বলা হয়েছে যে, কোন মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী যদি কেবল তার দু'জন বোন হয়, তবে তারাও মালের দুই তৃতীয়াংশ পাবে। কাজেই দু'বোনে যদি মালের দুই তৃতীয়াংশের ওয়ারিস হয়, তাহলে দু'জন মেয়ের মালের দুই তৃতীয়াংশের মালিক হওয়ার অধিকার আরো বেশী। অনুরূপ দু'য়ের অধিক বোনের বিধান হল দু'য়ের অধিক মেয়ের মতনই। (অর্থাৎ, বোন দু'জন হোক বা দু'য়ের অধিক তারা মালের দুই তৃতীয়াংশই পাবে।) (ফাতহুল ক্বাদীর) সার কথা হল, দু'জন বা দু'য়ের অধিক মেয়ে হলে, মৃত ব্যক্তির ত্যক্ত সম্পত্তি থেকে দুই তৃতীয়াংশই পাবে। অবশিষ্ট মাল 'আসাবাহ' (সবচেয়ে নিকটাত্মীয় উত্তরাধিকারী) জাতীয় ওয়ারিসদের মধ্যে বণ্টন হবে।

[৩] পিতা-মাতার অংশের তিনটি অবস্থা বর্ণিত হয়েছে। প্রথম অবস্থা হল, মৃত ব্যক্তির যদি সন্তানাদি থাকে, তাহলে তার (মৃত ব্যক্তির) পিতা ও মাতা উভয়েই মালের এক ষষ্ঠাংশ (ছয় ভাগের এক ভাগ) করে পাবে। অবশিষ্ট মাল সন্তানদের মধ্যে বণ্টন হবে। তবে মৃত ব্যক্তির সন্তান বলতে যদি কেবল একটি মেয়ে হয়, তাহলে মালের অর্ধেক (অর্থাৎ, ছয় ভাগের তিন ভাগ) মেয়ে পাবে, এক ষষ্ঠাংশ মা পাবে এবং আর এক ষষ্ঠাংশ বাপ পাবে। অতঃপর আরো যে এক ষষ্ঠাংশ অবশিষ্ট থাকবে, সেটাও 'আসাবাহ' হিসেবে পিতার ভাগে যাবে। অর্থাৎ, পিতা পাচ্ছে দুই ষষ্ঠাংশ। এক ষষ্ঠাংশ পিতা হিসেবে এবং আর এক ষষ্ঠাংশ 'আসাবাহ' হিসেবে।

[৪] এটা হল, দ্বিতীয় অবস্থা। মৃত ব্যক্তির সন্তানাদি নেই (জ্ঞাতব্য যে, পোতা-পুতীরাও সকলের ঐকমত্যে সন্তানাদির মধ্যেই শামিল) এই অবস্থায় মা পাবে এক তৃতীয়াংশ। অবশিষ্ট দু'ভাগ 'আসাবাহ' হিসেবে বাপ পাবে। আর যদি পিতা-মাতার সাথে মৃত পুরুষের স্ত্রী বা মৃত মহিলার স্বামীও জীবিত থাকে, তবে প্রাধান্য প্রাপ্ত উক্তি অনুযায়ী স্ত্রী বা স্বামীর অংশ (পরে এর বিস্তারিত আলোচনা আসবে) বের করে নেওয়ার পর অবশিষ্ট মাল থেকে মায়ের হবে এক তৃতীয়াংশ এবং বাকী যা থাকে তা হবে বাপের।

[৫] তৃতীয় অবস্থা হল, পিতা-মাতার সাথে মৃত ব্যক্তির ভাই-বোনও জীবিত আছে। তাতে তারা সহোদর অর্থাৎ, এক মাতৃগর্ভজাত হোক অথবা বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই-বোন হোক। যদিও এই ভাই-বোন মৃত ব্যক্তির পিতার উপস্থিতিতে উত্তরাধিকারী হওয়ার অধিকার রাখে না, তবুও তারা মায়ের জন্য 'হাজবু নুকসান' (তার অংশ হ্রাস করণের) কারণ হবে। অর্থাৎ, তারা একাধিক হলে মায়ের এক তৃতীয়াংশকে এক ষষ্ঠাংশে পরিবর্তন করে দেবে। অবশিষ্ট সমস্ত মাল (ছ'ভাগের পাঁচভাগ) পিতার অংশে চলে যাবে। তবে শর্ত হল আর কোন ওয়ারিস যেন না থাকে। হাফেয ইবনে কাসীর লিখেছেন যে, দুইজন ভায়ের বিধানও দু'য়ের অধিক ভায়ের বিধানের মতনই। অর্থাৎ, ভাই বা বোন যদি কেবল একজন হয়, তাহলে মায়ের এক তৃতীয়াংশ সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে, তাতে কোন পরিবর্তন সূচিত হবে না।

[৬] অতএব তোমরা তোমাদের জ্ঞানানুযায়ী মীরাস বণ্টন করো না, বরং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তা বণ্টন কর এবং যার যতটা অংশ নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তাকে তা প্রদান কর।

আন নিসা 4:12
وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَٰجُكُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٌۚ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَۚ مِنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَآ أَوْ دَيْنٍۚ وَلَهُنَّ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّكُمْ وَلَدٌۚ فَإِن كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ ٱلثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُمۚ مِّنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَآ أَوْ دَيْنٍۗ وَإِن كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَٰلَةً أَوِ ٱمْرَأَةٌ وَلَهُ‌وٓ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَٰحِدٍ مِّنْهُمَا ٱلسُّدُسُۚ فَإِن كَانُوٓا أَكْثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمْ شُرَكَآءُ فِى ٱلثُّلُثِۚ مِنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَىٰ بِهَآ أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَآرٍّۚ وَصِيَّةً مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ
আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।

[১] সন্তানাদি না থাকা অবস্থায় পুত্রের সন্তানরা অর্থাৎ, পোতারা সন্তানের বিধানভুক্ত হবে। এ ব্যাপারে উলামাগণ ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন। (ফাতহুল ক্বাদীর ও ইবনে কাসীর) মৃত স্বামীর সন্তানাদির বিধানও অনুরূপ, তাতে তারা উত্তরাধিকারিণী এই স্ত্রীর গর্ভজাত হোক অথবা তার অপর কোন স্ত্রীর গর্ভজাত হোক। মৃতা স্ত্রীর সন্তানাদির ব্যাপারটাও অনুরূপ, তাতে তারা এই স্ত্রীর উত্তরাধিকারী স্বামীর হোক অথবা স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর হোক।

[২] স্ত্রী একজন হলে সে এক চতুর্থাংশ অথবা এক অষ্টমাংশ পাবে। অনুরূপ একাধিক স্ত্রী হলেও এই অংশই (এক চতুর্থাংশ বা এক অষ্টমাংশ) তাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। প্রত্যেকে একাকিনী এক চতুর্থাংশ বা এক অষ্টমাংশ পাবে না। এ ব্যাপারেও সকলে একমত। (ফাতহুল ক্বাদীর)

[৩] كَلالَة এর অর্থ হল, এমন মৃত যার না পিতা আছে, না পুত্র। এটা إكلِيل ধাতু থেকে গঠিত। আর তা এমন জিনিস (মুকুট)-কে বলা হয় যা মাথাকে তার চতুর্দিক থেকে ঘিরে রাখে। 'কালালা'কে এই জন্যই 'কালালা' বলা হয় যে, মূল বা শাখা হিসাবে তো তার কেউ ওয়ারিস হয় না, কিন্তু ধার-পাশ দিয়ে ওয়ারিস গণ্য হয়ে যায়। (ফাতহুল ক্বাদীর ও ইবনে কাসীর) বলা হয় যে, 'কালালা' كلل ধাতু থেকে গঠিত। যার অর্থ, ক্লান্ত হয়ে পড়া। অর্থাৎ, বংশ সূত্র মৃত ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছতে পৌঁছতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, সামনে আর অগ্রসর হতে পারেনি।

[৪] এ থেকে বৈপিত্রেয় (এক মাতার গর্ভে ভিন্ন পিতার ঔরসজাত) ভাই-বোনকে বুঝানো হয়েছে। কেননা, সহোদর ও বৈমাত্রেয় ভাই-বোনদের অংশ এই রকম নয়। এদের বর্ণনা সূরার শেষে আসবে। আর এ মতও সর্বসম্মত মত। আসলে জন্মসূত্র সম্পর্কিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে [لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ] (একটি পুরুষের ভাগ দুটি মহিলার সমান) নিয়ম চলে। এই কারণেই বেটা-বেটীদের জন্য এখানে এবং ভাই-বোনদের জন্য সূরা নিসার শেষের আয়াতে (৪:১৭৬) এই নিয়মের কথাই আলোচিত হয়েছে। কিন্তু মায়ের সন্তানদের (বৈপিত্রেয় ভাই-বোনদের) যেহেতু জন্মসূত্রের নিয়মে অংশ ভাগ হয় না, তাই তাদের (নারী-পুরুষ) সকলকে সমান সমান অংশ দেওয়া হয়। কথা হল, কেবল একজন ভাই অথবা একজন বোন হলে, প্রত্যেকে এক ষষ্ঠাংশ পাবে।

[৫] আর একাধিক হলে সকলে এক তৃতীয়াংশে শরীক হবে। অনুরূপ এদের মধ্যে নারী-পুরুষেরও কোন পার্থক্য হবে না। নারী-পুরুষ সকলে সমান সমান অংশ পাবে।

বিঃ দ্রষ্টব্যঃ বৈপিত্রেয় ভাই-বোন কোন কোন বিধানে অন্যান্য ওয়ারিসদের থেকে ভিন্ন। যেমনঃ (ক) এরা কেবল তাদের মায়ের কারণে ওয়ারিস হবে। (খ) এদের নারী-পুরুষের অংশ সমান সমান হবে। (গ) এরা তখনই ওয়ারিস হবে, যখন মৃত 'কালালা' (মূল ও শাখাবিহীন) হবে। অতএব পিতা, পিতামহ, পুত্র এবং পৌত্রের উপস্থিতিতে এরা ওয়ারিস হবে না। (ঘ) তারা নারী-পুরুষ যত জনই হোক না কেন, তাদের অংশ এক তৃতীয়াংশের বেশী হবে না এবং যেমন পূর্বে বলা হয়েছে যে, তারা তাদের মৃত বৈপিত্রেয় ভাই থেকে যে মাল পাবে তাতে নারী ও পুরুষের অংশ সমান সমান হবে; পুরুষরা নারীদের দ্বিগুণ পাবে না। উমার (রাঃ) তাঁর রাজত্বকালে এই ফায়সালাই করেছিলেন। ইমাম যুহরী বলেন, উমার (রাঃ) যখন এ ফায়সালা করেছেন, তখন অবশ্যই তাঁর কাছে এ ব্যাপারে নবী করীম (সাঃ) এর কোন হাদীস ছিল। (ইবনে কাসীর)

[৬] মীরাসের বিধান বর্ণনা করার সাথে সাথে এখানে তৃতীয়বার বলা হচ্ছে যে, মৃত ব্যক্তির ত্যক্ত সম্পত্তির ভাগাভাগি তার অসিয়ত পালন এবং ঋণ পরিশোধ করার পর হবে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এই দু'টি বিষয়ের উপর আমল করা অতীব জরুরী। অতঃপর এ ব্যাপারেও সকলে একমত যে, প্রথমে ঋণ পরিশোধ করতে হবে, তারপর অসিয়ত কার্যকরী হবে। কিন্তু মহান আল্লাহ তিন স্থানেই অসিয়তের উল্লেখ ঋণের পূর্বে করেছেন। অথচ ক্রমানুযায়ী ঋণের উল্লেখ প্রথমে হওয়া উচিত ছিল। এর কারণ হল, ঋণ পরিশোধের গুরুত্ব তো মানুষ দেয়, না দিলেও প্রাপক জোর করে তা আদায় করে নেয়। কিন্তু অসিয়তের উপর আমল করা জরুরী মনে করা হয় না। অধিকাংশ লোক এ ব্যাপারে ঢিলামি ও গড়িমসি করে। এই কারণেই অসিয়তের কথা আগে উল্লেখ করে তার গুরুত্বের কথা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। (রূহুল মাআ'নী)

বিঃ দ্রষ্টব্যঃ যদি স্ত্রীর দেনমোহর আদায় করা না হয়, তাহলে সেটাও ঋণ বলে গণ্য এবং ত্যক্ত সম্পত্তির ভাগাভাগির পূর্বে তা আদায় করা জরুরী হবে। আর তার (স্ত্রীর) নির্দিষ্ট অংশ হবে এ থেকে পৃথক।

[৭] এটা এইভাবে যে, অসিয়তের মাধ্যমে কোন ওয়ারিসকে বঞ্চিত করা হবে অথবা কারো অংশে কমবেশী করা হবে কিংবা কেবল ওয়ারিসদের ক্ষতি করার জন্য বলে দেবে যে, অমুকের কাছ থেকে এতটা ঋণ নিয়েছি, অথচ সে কিছুই নেয়নি। অর্থাৎ, ক্ষতির সম্পর্ক অসিয়ত ও ঋণ উভয়েরই সাথে এবং এই উভয় পন্থায় ক্ষতিগ্রস্ত করা নিষেধ ও তা মহাপাপ। পরন্তু এ রকম অসিয়তও বাতিল গণ্য হবে।

সুরা নিসা ৪ঃ ১৭৬
یَسۡتَفۡتُوۡنَکَ ؕ قُلِ اللّٰہُ یُفۡتِیۡکُمۡ فِی الۡکَلٰلَۃِ ؕ اِنِ امۡرُؤٌا ہَلَکَ لَیۡسَ لَہٗ وَلَدٌ وَّ لَہٗۤ اُخۡتٌ فَلَہَا نِصۡفُ مَا تَرَکَ ۚ وَ ہُوَ یَرِثُہَاۤ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہَا وَلَدٌ ؕ فَاِنۡ کَانَتَا اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُمَا الثُّلُثٰنِ مِمَّا تَرَکَ ؕ وَ اِنۡ کَانُوۡۤا اِخۡوَۃً رِّجَالًا وَّ نِسَآءً فَلِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ؕ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اَنۡ تَضِلُّوۡا ؕ وَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۱۷۶﴾
লোকেরা তোমার নিকট বিধান জানতে চায়। বল, আল্লাহ তোমাদেরকে পিতামাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি সম্বন্ধে বিধান জানাচ্ছেন; কোন পুরুষ মারা গেলে সে যদি সন্তানহীন হয় এবং তার এক ভগিনী থাকে, তবে তার জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ[১] এবং সে (ভগিনী) যদি সন্তানহীনা হয়, তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে।[২] আর দুই ভগিনী থাকলে তাদের জন্য তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ,[৩] আর যদি ভাই-বোন উভয়ই থাকে, তবে এক পুরুষের অংশ দুই নারীর অংশের সমান।[৪] তোমরা পথভ্রষ্ট হবে এ আশংকায় আল্লাহ তোমাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছেন এবং আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।

[১] 'كلالة' শব্দের তাৎপর্য (১২নং আয়াতে) পার হয়ে গেছে যে, ঐ মৃতব্যক্তি যার না পিতা আছে, না পুত্র। এখানে পুনরায় তার মীরাসের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। কোন কোন উলামাগণ 'কালালাহ' এর তাৎপর্যে বলেন, 'কালালাহ' ঐ ব্যক্তি যে একমাত্র পুত্রহীন, অর্থাৎ পিতা বর্তমান। কিন্তু এই তাৎপর্য সঠিক নয়; বরং প্রথম তাৎপর্যটিই সঠিক। কেননা পিতার উপস্থিতিতে বোন পরিত্যক্ত সম্পদের উত্তরাধিকারিণী (ওয়ারিস) হয় না। পিতা (মৃতের বোনের) জন্য (মীরাসের ব্যাপারে) অন্তরায় বা প্রতিবন্ধক হয়ে যায়। কিন্তু এখানে আল্লাহ বলেন, যদি তার বোন থাকে তাহলে সে অর্ধেক সম্পদের উত্তরাধিকারিণী হবে। সুতরাং পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা গেল যে, 'কালালাহ' ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যার পিতা ও পুত্র উভয়ই থাকবে না। কেননা পুত্র না থাকার কথা স্পষ্ট উক্তি দ্বারা প্রমাণিত। আর পিতা না থাকার প্রমাণ উক্তির ইঙ্গিত দ্বারা প্রমাণিত।

বিঃদ্রঃ- পুত্র বলতে, পুত্র ও পৌত্র উভয়কেই বলা হয়। অনুরূপ বোন, সহোদরা ও বৈমাত্রেয় উভয় বোনকেই বলা হয়। (আইসারুত তাফাসীর) বহু হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, 'কালালাহ'র কন্যার সঙ্গে তার বোন উভয়কেই অর্ধেক অর্ধেক সম্পদে শরীক করা হয়েছে। কিন্তু কন্যা ও পুতীনের বর্তমানে, কন্যা অর্ধেক, পুতীন একের ছয় অংশ ও বাকী একের তিন অংশ বোনকে দেওয়া হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর, ইবনে কাসীর) অতএব পরিষ্কারভাবে বুঝা গেল যে, মৃতব্যক্তির সন্তানের বর্তমানে বোন 'যাবীল ফুরুয' (নির্ধারিত অংশের অধিকারী) হিসাবে কিছু পাবে না। আবার ঐ সন্তান যদি পুত্র-সন্তান হয়, তাহলে বোন কোন অবস্থাতেই কিছুই পাবে না। তবে কন্যা-সন্তান হলে সে তার সাথে 'আস্বাবাহ' (অবশিষ্টাংশের অধিকারী) হওয়ার কারণে অবশিষ্ট সম্পদের উত্তরাধিকারিণী হবে। একটি কন্যা থাকা অবস্থায় অর্ধেক ও একের অধিক কন্যা থাকা অবস্থায় একের তিন অংশের অধিকারিণী হবে।

[২] যদি বাপ না থাকে তবে। যেহেতু ভাইয়ের চেয়ে বাপ সম্পর্কের দিক দিয়ে নিকটতর। সুতরাং বাপের বর্তমানে ভাই উত্তরাধিকারী হবে না। যদি ঐ 'কালালাহ' স্ত্রীর স্বামী অথবা বৈপিত্রেয় ভাই হয়, তাহলে তাদের অংশ দেওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পদের অধিকারী ভাই হবে। (ইবনে কাসীর)

[৩] এই বিধানই দুই-এর অধিক বোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থ এই দাঁড়াল যে, যদি 'কালালাহ' ব্যক্তির দুই অথবা দুই-এর অধিক বোন থাকে, তাহলে তারা সমস্ত মালের দুই তৃতীয়াংশের উত্তরাধিকারিণী হবে।
[৪] অর্থাৎ, 'কালালাহ' ব্যক্তির ওয়ারিসগণ যদি পুরুষ ও মহিলা উভয়ই হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে 'এক পুরুষের অংশ দুই নারীর অংশের সমান' নিয়ম অনুযায়ী সম্পদ বণ্টন হবে। (যেমন ছেলে-মেয়ের ক্ষেত্রে হয়।)

#অসিয়তনামা_উইল
অসিয়ত কতটুকু করা যেতে পারে ?
🌏🌏🌏
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: مَرِضْتُ مَرَضًا أَشْفَيْتُ مِنْهُ، فَأَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لِي مَالًا كَثِيرًا، وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَتِي، أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: «لَا»، قُلْتُ: فَالشَّطْرَ؟ قَالَ: «لَا»، قُلْتُ: فَالثُّلُثَ؟ قَالَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَتْرُكَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ لَهُمْ مِنْ أَنْ تَتْرُكَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ»
আমর ইব্‌ন সা'দ (রহঃ)
তিনি বলেন: আমি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর নিকটবর্তী হলাম। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখতে আসলে আমি বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার অনেক সম্পদ রয়েছে। আমার কন্যা ছাড়া আর কোন ওয়ারিছ নেই। আমি কি আমার মালের দুই-তৃতীয়াংশ সাদাকা করে দেব? তিনি বললেন: না। আমি বললাম: তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেন: না। আমি বললাম, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন: হ্যাঁ, এক-তৃতীয়াংশ, আর এক-তৃতীয়াংশও অধিক। কেননা তুমি যদি তোমার ওয়ারিসদেরকে ধনী রেখে যাও, তবে তা তাদেরকে এরুপ অভাবগ্রস্হ অবস্হায় রেখে যাওয়া অপেক্ষা উত্তম যে, আর তারা মানুষের কাছে হাত পেতে (দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করে) বেড়াবে।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৬২৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
🌏🌏🌏
2:180
کُتِبَ عَلَیۡکُمۡ اِذَا حَضَرَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ اِنۡ تَرَکَ خَیۡرَا ۚ ۖنِ الۡوَصِیَّۃُ لِلۡوَالِدَیۡنِ وَ الۡاَقۡرَبِیۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ حَقًّا عَلَی الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۱۸۰﴾ؕ
কুতিবা ‘আলাইকুম ইযা-হাদারা আহাদাকুমুল মাওতু ইন তারাকা খাইরানিল ওয়াসিইইয়াতু লিলওয়া-লিদাইনি ওয়াল আকরাবীনা বিলমা‘রূফি হাক্কান ‘আলাল মুত্তাকীন।
তোমাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে যে, তোমাদের মধ্যে যখন কারো মৃত্যু উপস্থিত হয় এবং সে যদি ধন-সম্পত্তি রেখে যায়, তবে পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য বৈধভাবে ‘অসিয়ত’ করার বিধান দেওয়া হল। [১] ধর্মভীরুদের জন্য এটা অবশ্য পালনীয়।

[১] 'অসিয়ত' (উইল) করার এ নির্দেশ উত্তরাধিকার বিষয়ক আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তা রহিত হয়েছে। নবী করীম (সাঃ)-এর উক্তি হল-
(إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلِّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلَا وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ) অর্থাৎ, "অবশ্যই আল্লাহ প্রত্যেক অধিকারীকে তার প্রাপ্য অধিকার দিয়ে দিয়েছেন (অর্থাৎ, ওয়ারেসীনদের অংশ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন)। অতএব কোন উত্তরাধিকারের জন্য অসিয়ত করা জায়েয নয়।" (আবূ দাউদ ২৮৭০, তিরমিযী ২১২১, নাসায়ী ৩৫৮১, ইবনে মাজা ২৭১৩, আহমদ ১৭২১২নং) তবে এমন আত্মীয়ের জন্য অসিয়ত করা যাবে, যে ওয়ারিস নয়। অনুরূপ সৎপথে ব্যয় করার জন্য অসিয়ত করা যাবে আর তার সর্বাধিক পরিমাণ হল (মোট সম্পত্তির) এক তৃতীয়াংশ। এর বেশী অসিয়ত করা যাবে না। (সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ ফারায়েয, পরিচ্ছেদঃ মীরাসুল বানাত)
সুরা বাকারা ২ঃ১৮২
فَمَنۡ خَافَ مِنۡ مُّوۡصٍ جَنَفًا اَوۡ اِثۡمًا فَاَصۡلَحَ بَیۡنَہُمۡ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۸۲﴾
তবে যদি কেউ অসিয়তকারীর (সম্পত্তি বণ্টনের নির্দেশদাতার) পক্ষপাতিত্ব অথবা অন্যায়ের আশংকা করে,[১] অতঃপর সে তাদের পরস্পরের মধ্যে (কিছু রদ-বদল করে) সন্ধি করে দেয়, তবে তার কোন দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।

[১] পক্ষপাতিত্ব করা বা ঝুঁকে পড়া-এর অর্থ হল, ভুলে গিয়ে কোন এক আত্মীয়র প্রতি বেশী ঝুঁকে পড়ে অন্যের অধিকার হরণ করে। আর 'অন্যায়'-এর অর্থ হল, জেনে-শুনে এ রকম করা। (আইসারুত্ তাফাসীর) অথবা 'অন্যায়'এর অর্থ হল, অন্যায় অসিয়ত, যা পরিবর্তন করা এবং তা কার্যকরী না করা অত্যাবশ্যক। এ থেকে জানা গেল যে, অসিয়তে ন্যায় ও সুবিচারের খেয়াল রাখা খুবই জরুরী। তা না হলে দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার সময় অবিচার করার অপরাধে তার পারলৌকিক মুক্তি অতীব কঠিন হয়ে যাবে।
5:106
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا شَہَادَۃُ بَیۡنِکُمۡ اِذَا حَضَرَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ حِیۡنَ الۡوَصِیَّۃِ اثۡنٰنِ ذَوَا عَدۡلٍ مِّنۡکُمۡ اَوۡ اٰخَرٰنِ مِنۡ غَیۡرِکُمۡ اِنۡ اَنۡتُمۡ ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَاَصَابَتۡکُمۡ مُّصِیۡبَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ تَحۡبِسُوۡنَہُمَا مِنۡۢ بَعۡدِ الصَّلٰوۃِ فَیُقۡسِمٰنِ بِاللّٰہِ اِنِ ارۡتَبۡتُمۡ لَا نَشۡتَرِیۡ بِہٖ ثَمَنًا وَّ لَوۡ کَانَ ذَا قُرۡبٰی ۙ وَ لَا نَکۡتُمُ شَہَادَۃَ ۙ اللّٰہِ اِنَّاۤ اِذًا لَّمِنَ الۡاٰثِمِیۡنَ ﴿۱۰۶﴾
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূশাহা-দাতুবাইনিকুম ইযা-হাদারা আহাদাকুমুল মাওতু হীনাল ওয়াসিইইয়াতিছনা-নি যাওয়া-‘আদলিম মিনকুম আও আ-খারা-নি মিন গাইরিকুম ইন আনতুম দারাবতুম ফিল আরদিফাআসা-বাতকুম মুসীবাতুল মাওতি তাহবিছূনাহুমামিম বা‘দিস সালা-তি ফাইউকছিমা-নি বিল্লা-হি ইনিরতাবতুম লা-নাশতারী বিহী ছামানওঁ ওয়া লাও কা-না যা- কুরবা- ওয়ালা-নাকতুমুশাহা-দাতাল্লা-হি ইন্নাইযাল্লা মিনাল আ-ছিমীন।
হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের কারও যখন মৃত্যুসময় উপস্থিত হয়, তখন অসিয়ত করার সময় তোমাদের মধ্য হতে[১] দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে, তোমরা সফরে থাকলে এবং তোমাদের মৃত্যুরূপ বিপদ উপস্থিত হলে[২] তোমাদের ছাড়া অন্য লোকদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী মনোনীত করবে। তোমাদের সন্দেহ হলে নামাযের পর তাদেরকে অপেক্ষমাণ রাখবে। অতঃপর তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, ‘আমরা ওর বিনিময়ে কোন মূল্য গ্রহণ করব না;[৩] যদি সে আত্মীয়ও হয় এবং আমরা আল্লাহর সাক্ষ্য গোপন করব না, করলে আমরা নিশ্চয় পাপীদের অন্তর্ভুক্ত হব।’

[১] 'তোমাদের মধ্য হতে' এর ব্যাখ্যায় কেউ কেউ বলেন, 'মুসলমানদের মধ্য হতে', আবার কেউ বলেন, অসিয়তকারীর গোত্রের মধ্য হতে। অনুরূপ 'তোমাদের ছাড়া অন্য লোকদের মধ্য হতে' এরও দুটি ভাবার্থ হতে পারে, অর্থাৎ অমুসলিম (আহলে কিতাব) হতে পারে অথবা অসিয়তকারীর গোত্র ব্যতীত অন্য গোত্রের লোক উদ্দেশ্য হতে পারে।
[২] কেউ যদি সফরকালে কঠিন রোগ বা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়, যাতে তার বাঁচার আশা না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় সফরে দু'জন ব্যক্তিকে ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী রেখে যা অসিয়ত করতে চায় করবে।
[৩] অর্থাৎ, (মৃত ব্যক্তি) অসিয়তকারীর ওয়ারেসগণের মধ্যে যদি সন্দেহের সৃষ্টি হয় যে, যাদেরকে অসিয়ত করা হয়েছে তারা খেয়ানত অথবা পরিবর্তন করতে পারে, তাহলে এমতাবস্থায় নামাযের পর সমস্ত মানুষের সামনে তাদেরকে (আল্লাহর নামে) শপথ করানো হবে; তারা বলবে, 'আমরা শপথের বিনিময়ে এই নশ্বর জগতের সামান্য স্বার্থ উদ্ধার করছি না; অর্থাৎ মিথ্যা শপথ করছি না।'
5:107
فَاِنۡ عُثِرَ عَلٰۤی اَنَّہُمَا اسۡتَحَقَّاۤ اِثۡمًا فَاٰخَرٰنِ یَقُوۡمٰنِ مَقَامَہُمَا مِنَ الَّذِیۡنَ اسۡتَحَقَّ عَلَیۡہِمُ الۡاَوۡلَیٰنِ فَیُقۡسِمٰنِ بِاللّٰہِ لَشَہَادَتُنَاۤ اَحَقُّ مِنۡ شَہَادَتِہِمَا وَ مَا اعۡتَدَیۡنَاۤ ۫ ۖ اِنَّاۤ اِذًا لَّمِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۱۰۷﴾
ফাইন ‘উছিরা ‘আলাআন্নাহুমাছ তাহাক্কা ইছমান ফাআ-খারা-নি ইয়াকূমা-নি মাকামাহুমা-মিনাল্লাযীনাছতাহাক্কা ‘আলাইহিমুল আওলাইয়া-নি ফাইউকছিমা-নি বিল্লা-হি লাশাহা-দাতুনাআহাককুমিন শাহা-দাতিহিমা-ওয়া মা‘তাদাইনা ইন্নাইযাল্লা মিনাজ্জা-লিমীন।
তবে যদি এ প্রকাশ পায় যে, তারা দুজন অপরাধে লিপ্ত হয়েছে[১] তবে যাদের স্বার্থহানি ঘটেছে তাদের মধ্য হতে (মৃতের) নিকটতম দু’জন তাদের স্থলবর্তী হবে[২] এবং আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, ‘আমাদের সাক্ষ্য অবশ্যই তাদের হতে অধিকতর সত্য এবং আমরা সীমালংঘন করিনি, করলে আমরা অবশ্যই যালেম (অনাচারী)দের দলভুক্ত হব।’
[১] অর্থাৎ, মিথ্যা শপথ করেছে।
[২] أوليان এটা أولى এর দ্বিবচন। যার অর্থ; অসিয়তকারীর দুই নিকটাত্মীয়। (مِنَ الَّذِيْنَ اسْتَحَقَّ عَلَيْهِم) এর অর্থঃ যাদের স্বার্থহানি ঘটেছে তাদের মধ্য হতে। 'أوليان 'এটা 'هما' ঊহ্য সর্বনাম (উদ্দেশ্য)র খবর (বিধেয়) অথবা يقومان/آخران এর সর্বনামের বদল (পরিবর্ত)। যার ভাবার্থ, এই দুই নিকটাত্মীয় তাদের মিথ্যা কসমের বিরুদ্ধে শপথ করবে।
5:108
ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَنۡ یَّاۡتُوۡا بِالشَّہَادَۃِ عَلٰی وَجۡہِہَاۤ اَوۡ یَخَافُوۡۤا اَنۡ تُرَدَّ اَیۡمَانٌۢ بَعۡدَ اَیۡمَانِہِمۡ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اسۡمَعُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿۱۰۸﴾
যা-লিকা আদনা-আইঁ ইয়া’তূবিশশাহা-দাতি ‘আলা-ওয়াজহিহাআও ইয়াখা-ফূআন তুরাদ্দা আইমা-নুম বা‘দা আইমা-নিহিম ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়াছমা‘ঊ ওয়াল্লা-হু লাইয়াহদিল কাওমাল ফা-ছিকীন।
এ পদ্ধতিতেই লোকের যথাযথ সাক্ষ্যদানের অধিকতর সম্ভাবনা আছে অথবা তারা ভয় করবে যে, শপথের পর আবার তাদেরকে শপথ করানো হব

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.