“ইসলামে অমুসলিমদের অধিকার”/ আরিফ আজাদ
ভ্যাকেশনের সময়টাতে আমরা সাধারণত ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। ঘুরাঘুরির প্রতি আমার আগ্রহ বা কৌতূহল- কোনটাই কোনকালে ছিলো না। ক্লাশ, ল্যাব, এক্সাম – এসবের ভিঁড়ে চাতক পাখির মতোন তাকিয়ে থাকতাম কবে একদিন ছুটি পাবো আর পুরোদিন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেবো। করতামও তাই। ছুটির দিন মানেই আরামসে ঘুম।
কিন্তু এই অভ্যাসের পতন ঘটে সাজিদের হাতে। যখন থেকে তাঁর সাথে পরিচয়, তখন থেকেই তাঁর মধ্যে দুটি নেশা প্রবলভাবে দেখে আসছি। একটা হচ্ছে বই পড়া আর অন্যটা ঘুরাঘুরি।
“ট্রাভেলিং” এর উপরে বাংলা এবং ইংরেজিতে যতোগুলো বই আছে সবগুলোই তাঁর পড়া।
সে শিডিউল করে রেখেছে, ফাইনাল সেমিস্টারের পরে সে আমাকে নিয়ে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডাম যাবে। আমস্টারডামের কোথায় কোথায় ঘুরবো তারও একটা শর্ট লিস্ট রেডি করে রেখেছে সে।
কিন্তু এই অভ্যাসের পতন ঘটে সাজিদের হাতে। যখন থেকে তাঁর সাথে পরিচয়, তখন থেকেই তাঁর মধ্যে দুটি নেশা প্রবলভাবে দেখে আসছি। একটা হচ্ছে বই পড়া আর অন্যটা ঘুরাঘুরি।
“ট্রাভেলিং” এর উপরে বাংলা এবং ইংরেজিতে যতোগুলো বই আছে সবগুলোই তাঁর পড়া।
সে শিডিউল করে রেখেছে, ফাইনাল সেমিস্টারের পরে সে আমাকে নিয়ে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডাম যাবে। আমস্টারডামের কোথায় কোথায় ঘুরবো তারও একটা শর্ট লিস্ট রেডি করে রেখেছে সে।
সেই শিডিউলে আছে Anne Frank house,যে গৃহটির উপর নির্মিত হয়েছে বিখ্যাত মুভি “The Diary Of a young Girl” , পৃথিবীর একমাত্র ভাসন্ত ফুলের মার্কেট Bloemenmarkt , Tuschinski theater , Dam Square সহ আরো বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গা।
সাজিদের ভাষ্যমতে, আল্লাহ তা’লা এই পৃথিবীকে এতো সুন্দর করে সাজিয়েছেন যাতে মানুষ তাঁর অবসর সময়ে এইসব সৌন্দর্য অবলোকন করে নৈসর্গিক আনন্দ লাভ করতে পারে। অন্যথায়, একটি ছোট্ট ফুলের পাঁপড়ির মধ্যে এরকম অঢেল লাবণ্য, কারুকার্যতা দেওয়ার দরকার ছিলোনা।
আমাদের কাছে সৌন্দর্যের সর্বোচ্চ মাপকাঠি হচ্ছে জান্নাত। সাজিদ বলে, সৌন্দর্যের এই পরম মাত্রা বুঝাতে আল্লাহ খুবই কমন কিছু জিনিসকে উপমা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। যেমন- ঝর্ণা/ নহর, বাগান ইত্যাদি যা আমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই। আমরা হরহামেশাই চাইলে দুনিয়ায় এসব দেখতে পারি। এসবকে উপমা দেওয়ার কারণ হতে পারে এই- আল্লাহ চাইছেন আমরা এসব দেখে , এসবের সৌন্দর্য দেখে বিমুগ্ধ হই এবং মনে মনে ভাবি, - আহা! এগুলোই এতো মনোহর! জান্নাতের নহর আর বাগান না জানি কতো সুন্দর!
আল্লাহ চান মানুষ ভ্রমণ করুক। দেখুক। বুঝুক। অনুধাবন করুক।
এই সমস্ত আলাপ সামনে এলে সাজিদ “ট্রাভেলিং” ইস্যুতে বিখ্যাত মনীষিদের উক্তি কপচানোর সাথে সাথে “ভ্রমণ” বিষয়ক কোরআনের আয়াতগুলোও শুনিয়ে দেয়।
আমরা যারা ভ্রমণকে নেহায়েত টাইম আর টাকা লস ভেবে ছুটি দিনে রুমের দরজা-জানালা বন্ধ করে অঘোর ঘুমে নিমজ্জিত থাকি, তারা তখন চেহারাকে মলিন করে দ্বীর্ঘশ্বাস ছাড়ি।
সাজিদের ভাষ্যমতে, আল্লাহ তা’লা এই পৃথিবীকে এতো সুন্দর করে সাজিয়েছেন যাতে মানুষ তাঁর অবসর সময়ে এইসব সৌন্দর্য অবলোকন করে নৈসর্গিক আনন্দ লাভ করতে পারে। অন্যথায়, একটি ছোট্ট ফুলের পাঁপড়ির মধ্যে এরকম অঢেল লাবণ্য, কারুকার্যতা দেওয়ার দরকার ছিলোনা।
আমাদের কাছে সৌন্দর্যের সর্বোচ্চ মাপকাঠি হচ্ছে জান্নাত। সাজিদ বলে, সৌন্দর্যের এই পরম মাত্রা বুঝাতে আল্লাহ খুবই কমন কিছু জিনিসকে উপমা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। যেমন- ঝর্ণা/ নহর, বাগান ইত্যাদি যা আমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই। আমরা হরহামেশাই চাইলে দুনিয়ায় এসব দেখতে পারি। এসবকে উপমা দেওয়ার কারণ হতে পারে এই- আল্লাহ চাইছেন আমরা এসব দেখে , এসবের সৌন্দর্য দেখে বিমুগ্ধ হই এবং মনে মনে ভাবি, - আহা! এগুলোই এতো মনোহর! জান্নাতের নহর আর বাগান না জানি কতো সুন্দর!
আল্লাহ চান মানুষ ভ্রমণ করুক। দেখুক। বুঝুক। অনুধাবন করুক।
এই সমস্ত আলাপ সামনে এলে সাজিদ “ট্রাভেলিং” ইস্যুতে বিখ্যাত মনীষিদের উক্তি কপচানোর সাথে সাথে “ভ্রমণ” বিষয়ক কোরআনের আয়াতগুলোও শুনিয়ে দেয়।
আমরা যারা ভ্রমণকে নেহায়েত টাইম আর টাকা লস ভেবে ছুটি দিনে রুমের দরজা-জানালা বন্ধ করে অঘোর ঘুমে নিমজ্জিত থাকি, তারা তখন চেহারাকে মলিন করে দ্বীর্ঘশ্বাস ছাড়ি।
ফিরছিলাম রাজশাহী থেকে।
গিয়েছিলাম বগুড়ায়। সেখান থেকে রাজশাহী। দাওয়াতে। সাজিদের ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। একইসাথে দুটি কাজ সেরে ফেলা হলো। দাওয়াত খাওয়া আর মহাস্থানগড় ভ্রমণ করা। সাহিত্যের ভাষায় যাকে “রথ দেখা আর কলা বেচা” বলে আর কী...
সে যাহোক, রাতের ট্রেন। তিনদিনের সফর শেষে বাসায় যাচ্ছি। আমি প্রচুর পরিমাণে টায়ার্ড। মনে হচ্ছে মাথা ফেলা মাত্রই ঘুম চলে আসবে। সাজিদের দিকে তাকালাম। সে বসে আছে আমার পাশেই। তাঁর চেহারায় ক্লান্তির কোন ছাপ নেই। মনে হচ্ছে এক্ষুণি কেউ যদি তাকে ৫০০ মিটার দৌঁড়ে আসতে বলে, সে হাসিমুখেই রাজি হয়ে যাবে।
আমাদের ঠিক উল্টোদিকের সামনের সিটে, সাজিদের মুখ বরাবর মধ্যবয়স্ক একজন ভদ্রলোক বসে আছেন। চুল আর দাঁড়িতে মেহেদীর কলপ করেছেন বলে বয়সটা তেমন বোঝা যাচ্ছেনা। খুবই শৌখিন মানুষ হয়তো। শৌখিন মানুষগুলোই চুল দাঁড়িতে মেহেদীর কলপ করে থাকেন সাধারণত। আমার দাদা ছিলেন ব্রিটিশ আমলের সরকারি চাকুরিজীবী। দাদাও প্রতিমাসে উনার চুল আর দাঁড়িতে মেহেদীর কলপ লাগাতেন। আমাদের বাড়ির উঠোনে ইয়া বড় একটি মেহেদী গাছ ছিলো। দাদীর দাবি, এই গাছের দুই-তৃতীয়াংশ পাতা দাদাই ব্যবহার করতেন। মৃত্যুর মাস দেড়েক আগেও দাদা চুল-দাঁড়িতে মেহেদীর কলপ লাগিয়েছিলেন বলে দাদীর কাছে শুনেছিলাম।
সে যাহোক, আমাদের সামনে যে ভদ্রলোক বসে আছেন, উনার হাতে একটি ইংরেজি পত্রিকার ম্যাগাজিন। নাম- ‘Lifestyle’…
দাঁড়িতে মেহেদী লাগিয়ে সেগুলোকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের মতো টকটকে লাল করে ফেলার পদ্ধতিতা হয়তো এই ম্যাগজিন থেকেই শেখা। কে জানে...
এই মুহুর্তে আমার ঘুম দরকার খুব। কিন্তু ট্রেন চলার শব্দ আর ঝাঁকুনির কবলে চোখ থেকে ঘুম পালিয়ে গেছে ততক্ষণে।
সাজিদ একমনে বই পড়ছে। বইটার নাম সম্ভবত “Shall we tell the President?”..
আমেরিকান একজন রাইটারের লেখা থ্রিলারধর্মী বই।
আমি পাশে বসে বসে হাঁই তুলছি আর ঝিঁমুচ্ছি।
একটুপর আমাদের সামনের ভদ্রলোক কথা বলে উঠলেন। তিনি একটি চিপসের প্যাকেট খুলে আমার দিকে বাড়িয়ে ধরলেন। এরপর বললেন, - ‘Please Take’..
ভদ্রলোকের আবদার দেখে আমার হাঁই আর ঝিমুনি দুইটাই চলে গেলো। আমি মূহুর্তেই বললাম, - ‘No , Thanks…..’
ভদ্রলোক একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, - ‘ভয় পাচ্ছো নাকি? হাহাহা...’
আমি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম। ভদ্রলোক ভাবছেন হয়তো উনাকে কোন হাইজ্যাকার টাইজ্যাকার ভেবে আমি উনার কাছ থেকে চিপস নিতে চাচ্ছিনা।
আমার হয়ে সাজিদ বলে উঠলো, - ‘আসলে আঙ্কেল ওর ফাস্টফুডে এলার্জি আছে’।
- ‘ও আচ্ছা। তাই বলো’- ভদ্রলোক বললেন। এরপর সাজিদের দিকে প্যাকেটখানা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,- ‘তুমি নাও’।
সাজিদ নিলো। দু টুকরো পটেটো চিপস মুখে পুরে দিয়ে সে ভদ্রলোকটাকে বললো,- ‘Thank You’
- ‘তোমার নাম?’- লোকটার প্রশ্ন।
- ‘সাজিদ’
- ‘কোথায় যাওয়া হচ্ছে?’
- ‘রাজশাহীতে বেড়াতে এসেছিলাম। ফিরে যাচ্ছি’।
- ‘বাসা?’
- ‘ঢাকা’।
গিয়েছিলাম বগুড়ায়। সেখান থেকে রাজশাহী। দাওয়াতে। সাজিদের ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। একইসাথে দুটি কাজ সেরে ফেলা হলো। দাওয়াত খাওয়া আর মহাস্থানগড় ভ্রমণ করা। সাহিত্যের ভাষায় যাকে “রথ দেখা আর কলা বেচা” বলে আর কী...
সে যাহোক, রাতের ট্রেন। তিনদিনের সফর শেষে বাসায় যাচ্ছি। আমি প্রচুর পরিমাণে টায়ার্ড। মনে হচ্ছে মাথা ফেলা মাত্রই ঘুম চলে আসবে। সাজিদের দিকে তাকালাম। সে বসে আছে আমার পাশেই। তাঁর চেহারায় ক্লান্তির কোন ছাপ নেই। মনে হচ্ছে এক্ষুণি কেউ যদি তাকে ৫০০ মিটার দৌঁড়ে আসতে বলে, সে হাসিমুখেই রাজি হয়ে যাবে।
আমাদের ঠিক উল্টোদিকের সামনের সিটে, সাজিদের মুখ বরাবর মধ্যবয়স্ক একজন ভদ্রলোক বসে আছেন। চুল আর দাঁড়িতে মেহেদীর কলপ করেছেন বলে বয়সটা তেমন বোঝা যাচ্ছেনা। খুবই শৌখিন মানুষ হয়তো। শৌখিন মানুষগুলোই চুল দাঁড়িতে মেহেদীর কলপ করে থাকেন সাধারণত। আমার দাদা ছিলেন ব্রিটিশ আমলের সরকারি চাকুরিজীবী। দাদাও প্রতিমাসে উনার চুল আর দাঁড়িতে মেহেদীর কলপ লাগাতেন। আমাদের বাড়ির উঠোনে ইয়া বড় একটি মেহেদী গাছ ছিলো। দাদীর দাবি, এই গাছের দুই-তৃতীয়াংশ পাতা দাদাই ব্যবহার করতেন। মৃত্যুর মাস দেড়েক আগেও দাদা চুল-দাঁড়িতে মেহেদীর কলপ লাগিয়েছিলেন বলে দাদীর কাছে শুনেছিলাম।
সে যাহোক, আমাদের সামনে যে ভদ্রলোক বসে আছেন, উনার হাতে একটি ইংরেজি পত্রিকার ম্যাগাজিন। নাম- ‘Lifestyle’…
দাঁড়িতে মেহেদী লাগিয়ে সেগুলোকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের মতো টকটকে লাল করে ফেলার পদ্ধতিতা হয়তো এই ম্যাগজিন থেকেই শেখা। কে জানে...
এই মুহুর্তে আমার ঘুম দরকার খুব। কিন্তু ট্রেন চলার শব্দ আর ঝাঁকুনির কবলে চোখ থেকে ঘুম পালিয়ে গেছে ততক্ষণে।
সাজিদ একমনে বই পড়ছে। বইটার নাম সম্ভবত “Shall we tell the President?”..
আমেরিকান একজন রাইটারের লেখা থ্রিলারধর্মী বই।
আমি পাশে বসে বসে হাঁই তুলছি আর ঝিঁমুচ্ছি।
একটুপর আমাদের সামনের ভদ্রলোক কথা বলে উঠলেন। তিনি একটি চিপসের প্যাকেট খুলে আমার দিকে বাড়িয়ে ধরলেন। এরপর বললেন, - ‘Please Take’..
ভদ্রলোকের আবদার দেখে আমার হাঁই আর ঝিমুনি দুইটাই চলে গেলো। আমি মূহুর্তেই বললাম, - ‘No , Thanks…..’
ভদ্রলোক একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, - ‘ভয় পাচ্ছো নাকি? হাহাহা...’
আমি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম। ভদ্রলোক ভাবছেন হয়তো উনাকে কোন হাইজ্যাকার টাইজ্যাকার ভেবে আমি উনার কাছ থেকে চিপস নিতে চাচ্ছিনা।
আমার হয়ে সাজিদ বলে উঠলো, - ‘আসলে আঙ্কেল ওর ফাস্টফুডে এলার্জি আছে’।
- ‘ও আচ্ছা। তাই বলো’- ভদ্রলোক বললেন। এরপর সাজিদের দিকে প্যাকেটখানা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,- ‘তুমি নাও’।
সাজিদ নিলো। দু টুকরো পটেটো চিপস মুখে পুরে দিয়ে সে ভদ্রলোকটাকে বললো,- ‘Thank You’
- ‘তোমার নাম?’- লোকটার প্রশ্ন।
- ‘সাজিদ’
- ‘কোথায় যাওয়া হচ্ছে?’
- ‘রাজশাহীতে বেড়াতে এসেছিলাম। ফিরে যাচ্ছি’।
- ‘বাসা?’
- ‘ঢাকা’।
এতটুকু আলাপের পরে সাজিদ আবার বই পড়ায় মন দিলো। ততোক্ষণে ভদ্রলোক পটেটো চিপসের প্যাকেটটি খালি করে সেটা জানালা দিয়ে উড়িয়ে দিলেন।
একটুপরে ভদ্রলোক সাজিদকে জিজ্ঞেস করলেন, - ‘খুবই পারসোনাল একটি প্রশ্ন করতে পারি?’
সাজিদ সাতপাঁচ না ভেবে বললো, - ‘অবশ্যই’।
- ‘আমার মনে সবসময় একটি প্রশ্ন জাগে। প্রশ্নটা আমাকে খুবই পীঁড়া দেয়। যদি তোমাদের সাথে আলোচনা করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমার ভালো লাগতো’।
সাজিদ তাঁর হাতে থাকা বইটা বন্ধ করে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখতে রাখতে বললো, - ‘জ্বী, নিশ্চই, বলুন...’
ভদ্রলোক বললেন,- ‘আসলে, আমি একজন মুসলিম। আমি জানি ইসলাম একটি সাম্যের ধর্ম। কিন্তু তবু আমার মনে প্রশ্ন জাগে, ইসলাম অমুসলিমদের স্বাধীণতা রক্ষায়, অধিকার রক্ষার ব্যাপারে আদৌ তৎপর কীনা?
প্রশ্ন করতে পারো, আমার মধ্যে এই প্রশ্ন জাগছে কেনো? আসলে, ব্যক্তিগত জীবনে এবং চাকরির সুবাদে দেশে-বিদেশে প্রচুর অমুসলিমদের সাথে আমি ডিল করেছি। তাদের বেশিরভাগকেই আমি সৎ, ভালো মানুষ হিসেবে পেয়েছি। এমতাবস্থায়, যদি ধরে নিই খিলাফাহ’র আন্ডারে আছি আমরা, তাহলে তাদের সাথে ইসলামিক পারস্পেক্টিভ থেকে কীরকম বিহেইভ করা হবে? তাদের অধিকার কতোটুকু নিশ্চিত করা হবে? তাদের ধর্মান্তকরণে জোর-জুলুম, জবরদস্তি করা হবে কীনা?’
একটুপরে ভদ্রলোক সাজিদকে জিজ্ঞেস করলেন, - ‘খুবই পারসোনাল একটি প্রশ্ন করতে পারি?’
সাজিদ সাতপাঁচ না ভেবে বললো, - ‘অবশ্যই’।
- ‘আমার মনে সবসময় একটি প্রশ্ন জাগে। প্রশ্নটা আমাকে খুবই পীঁড়া দেয়। যদি তোমাদের সাথে আলোচনা করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমার ভালো লাগতো’।
সাজিদ তাঁর হাতে থাকা বইটা বন্ধ করে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখতে রাখতে বললো, - ‘জ্বী, নিশ্চই, বলুন...’
ভদ্রলোক বললেন,- ‘আসলে, আমি একজন মুসলিম। আমি জানি ইসলাম একটি সাম্যের ধর্ম। কিন্তু তবু আমার মনে প্রশ্ন জাগে, ইসলাম অমুসলিমদের স্বাধীণতা রক্ষায়, অধিকার রক্ষার ব্যাপারে আদৌ তৎপর কীনা?
প্রশ্ন করতে পারো, আমার মধ্যে এই প্রশ্ন জাগছে কেনো? আসলে, ব্যক্তিগত জীবনে এবং চাকরির সুবাদে দেশে-বিদেশে প্রচুর অমুসলিমদের সাথে আমি ডিল করেছি। তাদের বেশিরভাগকেই আমি সৎ, ভালো মানুষ হিসেবে পেয়েছি। এমতাবস্থায়, যদি ধরে নিই খিলাফাহ’র আন্ডারে আছি আমরা, তাহলে তাদের সাথে ইসলামিক পারস্পেক্টিভ থেকে কীরকম বিহেইভ করা হবে? তাদের অধিকার কতোটুকু নিশ্চিত করা হবে? তাদের ধর্মান্তকরণে জোর-জুলুম, জবরদস্তি করা হবে কীনা?’
ভদ্রলোক এক নিশ্বাঃসে বলে গেলেন কথাগুলো। কোথাও একটুও থামেন নি।
হুট করে সাজিদকে এই ধরণের প্রশ্ন করে বসার কারণ কী? হতে পারে তার মুখে দাঁড়ি দেখে ভদ্রলোক তাকে এই প্রশ্ন করার জন্য ভরসা করতে পেরেছেন।
হুট করে সাজিদকে এই ধরণের প্রশ্ন করে বসার কারণ কী? হতে পারে তার মুখে দাঁড়ি দেখে ভদ্রলোক তাকে এই প্রশ্ন করার জন্য ভরসা করতে পেরেছেন।
সাজিদ বললো,- ‘A very Good question… আমাদের প্রত্যেকেরই এ ব্যাপারে জানা উচিত। এটা শুধু আমাদের মুষ্টিমেয় কারো প্রশ্ন নয়, ইসলামকে আক্রমণ করতে আসা অনেকেও এই প্রশ্নটা করে যে, ইসলাম অমুসলিমদের অধিকার খর্ব করে, জোর জবরদস্তি করে ইত্যাদি’।
আমার চোখেমুখে ঘুমের যে আবাসটুকু অবশিষ্ট ছিলো, এখন তাও লাপাত্তা। এদের দু’জনের আলোচনা শোনার জন্য একটু নড়েচড়ে বসলাম।
ভদ্রলোক সাজিদের দিকে তাকিয়ে বললেন, -‘কী যেন নাম তোমার?’
আমি বললাম,- ‘সাজিদ’।
উনি এবার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,- ‘তোমার নাম?’
আবারো আমিই বললাম,- ‘আরিফ...’
- ‘বেশ! শুরু করা যাক তাহলে?’
দূর্বার গতিতে ছুটে চলেছে ঢাকাগামী ট্রেন। শামসুর রাহমানের কবিতার মতো ঝনঝন শব্দ করে করে এটি পার করছে একটির পর একটি স্টেশান। আশপাশের গাছপালা, মানুষগুলোকে খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির মনে হচ্ছে।
ভদ্রলোক সাজিদের দিকে তাকিয়ে বললেন, -‘কী যেন নাম তোমার?’
আমি বললাম,- ‘সাজিদ’।
উনি এবার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,- ‘তোমার নাম?’
আবারো আমিই বললাম,- ‘আরিফ...’
- ‘বেশ! শুরু করা যাক তাহলে?’
দূর্বার গতিতে ছুটে চলেছে ঢাকাগামী ট্রেন। শামসুর রাহমানের কবিতার মতো ঝনঝন শব্দ করে করে এটি পার করছে একটির পর একটি স্টেশান। আশপাশের গাছপালা, মানুষগুলোকে খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির মনে হচ্ছে।
সাজিদ বললো, - প্রথমে আমাদেরকে পবিত্র আল কোরআন দেখতে হবে। এটি কী বলছে এই ইস্যুতে? কোরআন বলছে, ‘There shall be no compulsion in (acceptance of) the religion’
অর্থাৎ , ধর্মের মধ্যে কোনরকম জোরজবরদস্তি নেই’। (১)
খুবই ক্লিয়ারকাট কথা। আল্লাহ বলে দিচ্ছেন, ধর্মে কোনরকম চাপাচাপি নেই। আপনি হিন্দু ধর্ম পালন করতে চান? অথবা, খ্রিষ্টান বা ইহুদী ধর্ম? ফাইন। ইসলাম বলছে, আপনি সেটা অবশ্যই পারেন। ইসলাম এক্ষেত্রে আপনাকে বাঁধা দিবে না’।
লোকটা বললো, - ‘ তাহলে কেউ অন্য ধর্ম মানতে চাইলে তাকে আমি তাঁর ধর্ম ছেড়ে আমার ধর্মে আসার জন্য বলতে পারবো না?’
সাজিদ বললো, - ‘অবশ্যই পারবেন। এটা তো জোরজবরদস্তি নয়। এটা আপনার বিশ্বাসের প্রচারনা । এবং এই প্রচারণা কীভাবে চালাতে হবে, তারও খুব সুন্দর উপায় আল্লাহ তা’লা আল কোরআনে বাতলিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,- ‘invite (all) to the way of ur Lord with wisdom & beautiful preaching; And argue with them in ways that are best & most gracious’ (২)
অর্থাৎ, “স্বীয় রবের পথে মানুষকে আহ্বান করুন জ্ঞান এবং হিকমার মাধ্যমে। আর, তাদের সাথে কথা বলুন নম্রভাবে”
দেখুন, এখানে খুবই স্পষ্ট করে দেওয়া আছে মানুষদের (হোক মুসলিম বা অমুসলিম) দ্বীনের পথে ডাকার পদ্ধতি। ইসলাম বলছে, আপনি তাদের সাথে অহেতুক, অযৌক্তিকভাবে কথা বলতে পারবেন না। আপনি যদি দাবী করেন যে আপনার বিশ্বাস সত্য, আপনার ধর্ম সত্য, তাহলে উপর্যুপরি যুক্তি, প্রমাণ, দলিল দেখিয়ে (হিকমার সাথে) তাদের সাথে তর্ক করতে বলা হয়েছে, এবং তর্কের সময়ে আপনাকে তাদের সাথে সর্বোত্তম ব্যবহারটাই করতে বলা হয়েছে’।
লোকটা বললো, - ‘হুম। কিন্তু কোরআনের এক জায়গায় বলা হয়েছে মুশরিকদের যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই হত্যা করতে। এটা কেনো?’
সাজিদ বললো,- ‘খুবই সহজ জিনিস। হ্যাঁ , কোরআন বলেছে মুশরিকদের যেখানেও পাও, হত্যা করো। কিন্তু, আপনাকে এই আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট জানতে হবে। এই আয়াত যুদ্ধের উত্তপ্ত সময়ে নাজিল হওয়া। এই আয়াতে যে নির্দেশ এসেছে (তোমরা মুশরিকদের যেখানেই পাও হত্যা করো) সেটা অই অবস্থার জন্য। যেমন, ৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উনার কালজয়ী ভাষণে বলেছিলেন,- ‘আমরা ওদের ভাতে মারবো, পানিতে মারবো’। উনার এই কথাগুলো তখন যুদ্ধশিবিরে অবস্থানরত সৈনিকদের উদ্দীপ্ত করেছিলো। প্রেরণা জুগিয়েছিলো । কিন্তু, আজকে এই সময়ে বসে কী আমরা বলি, - পাকিস্থানীদের আমরা ভাতে মারবো, পানিতে মারবো? বলিনা... ঠিক একইভাবে, কোরআনের সেই আয়াত বিশেষ একটা সময়, একটা প্রেক্ষাপট, একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নাজিল হওয়া। এটা কোনভাবেই প্রমাণ করেনা যে, এই আয়াত দিয়ে ইসলাম সর্বজনীনভাবে অমুসলিমদের হত্যার বিধান দিয়েছে বা এরকম কিছু’।
অর্থাৎ , ধর্মের মধ্যে কোনরকম জোরজবরদস্তি নেই’। (১)
খুবই ক্লিয়ারকাট কথা। আল্লাহ বলে দিচ্ছেন, ধর্মে কোনরকম চাপাচাপি নেই। আপনি হিন্দু ধর্ম পালন করতে চান? অথবা, খ্রিষ্টান বা ইহুদী ধর্ম? ফাইন। ইসলাম বলছে, আপনি সেটা অবশ্যই পারেন। ইসলাম এক্ষেত্রে আপনাকে বাঁধা দিবে না’।
লোকটা বললো, - ‘ তাহলে কেউ অন্য ধর্ম মানতে চাইলে তাকে আমি তাঁর ধর্ম ছেড়ে আমার ধর্মে আসার জন্য বলতে পারবো না?’
সাজিদ বললো, - ‘অবশ্যই পারবেন। এটা তো জোরজবরদস্তি নয়। এটা আপনার বিশ্বাসের প্রচারনা । এবং এই প্রচারণা কীভাবে চালাতে হবে, তারও খুব সুন্দর উপায় আল্লাহ তা’লা আল কোরআনে বাতলিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,- ‘invite (all) to the way of ur Lord with wisdom & beautiful preaching; And argue with them in ways that are best & most gracious’ (২)
অর্থাৎ, “স্বীয় রবের পথে মানুষকে আহ্বান করুন জ্ঞান এবং হিকমার মাধ্যমে। আর, তাদের সাথে কথা বলুন নম্রভাবে”
দেখুন, এখানে খুবই স্পষ্ট করে দেওয়া আছে মানুষদের (হোক মুসলিম বা অমুসলিম) দ্বীনের পথে ডাকার পদ্ধতি। ইসলাম বলছে, আপনি তাদের সাথে অহেতুক, অযৌক্তিকভাবে কথা বলতে পারবেন না। আপনি যদি দাবী করেন যে আপনার বিশ্বাস সত্য, আপনার ধর্ম সত্য, তাহলে উপর্যুপরি যুক্তি, প্রমাণ, দলিল দেখিয়ে (হিকমার সাথে) তাদের সাথে তর্ক করতে বলা হয়েছে, এবং তর্কের সময়ে আপনাকে তাদের সাথে সর্বোত্তম ব্যবহারটাই করতে বলা হয়েছে’।
লোকটা বললো, - ‘হুম। কিন্তু কোরআনের এক জায়গায় বলা হয়েছে মুশরিকদের যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই হত্যা করতে। এটা কেনো?’
সাজিদ বললো,- ‘খুবই সহজ জিনিস। হ্যাঁ , কোরআন বলেছে মুশরিকদের যেখানেও পাও, হত্যা করো। কিন্তু, আপনাকে এই আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট জানতে হবে। এই আয়াত যুদ্ধের উত্তপ্ত সময়ে নাজিল হওয়া। এই আয়াতে যে নির্দেশ এসেছে (তোমরা মুশরিকদের যেখানেই পাও হত্যা করো) সেটা অই অবস্থার জন্য। যেমন, ৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উনার কালজয়ী ভাষণে বলেছিলেন,- ‘আমরা ওদের ভাতে মারবো, পানিতে মারবো’। উনার এই কথাগুলো তখন যুদ্ধশিবিরে অবস্থানরত সৈনিকদের উদ্দীপ্ত করেছিলো। প্রেরণা জুগিয়েছিলো । কিন্তু, আজকে এই সময়ে বসে কী আমরা বলি, - পাকিস্থানীদের আমরা ভাতে মারবো, পানিতে মারবো? বলিনা... ঠিক একইভাবে, কোরআনের সেই আয়াত বিশেষ একটা সময়, একটা প্রেক্ষাপট, একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নাজিল হওয়া। এটা কোনভাবেই প্রমাণ করেনা যে, এই আয়াত দিয়ে ইসলাম সর্বজনীনভাবে অমুসলিমদের হত্যার বিধান দিয়েছে বা এরকম কিছু’।
সাজিদ থামলো। লোকটা বললো, - ‘কোরআন কী এমন কারো সাথে রক্তারক্তিতে জড়িয়ে পড়ার নির্দেশ দিচ্ছেনা যারা আদতে সংখ্যালঘু এবং নিরপরাধ?’
আমি সাজিদের মুখ থেকে কথা কেড়ে নেওয়ার মতো করে বললাম,- ‘একদমই না। প্রথমত, এই আয়াত যখন নাজিল হয়, তখন কাফির-মুশরিকরা সংখ্যালঘু ছিলোনা, বরং মুসলিমরা ছিলো সংখ্যালঘু’।
সাজিদ বললো,- ‘আপনার পয়েন্টটা দারুন। কোরআন কী নিজ থেকেই অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে বলেছে? দেখুন, আল্লাহ কোরআনে বলছেন,- “Fight in the way of Allah (with) those who fight you”(৩)
অর্থাৎ, আল্লাহ বলছেন, “তাদের সাথেই কেবল যুদ্ধ করো, যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়”।
পৃথিবীর কোন জাতি কী এই থিওরিতে বিশ্বাস করে যে, অন্য একটা জাতি এসে তাদের মেরে সাফ করে যাবে, আর তারা তাদের জামাই আদর দিয়ে বরণ করে নেবে?’
লোকটা বললো,- ‘না’।
সাজিদ আবার বললো,- এরপরেই কোরআন বলছে, “But do not transgress” , অর্থাৎ - “ কিন্তু সীমা অতিক্রম করোনা”...
আল্লাহ বলছেন, তোমাদের সাথে যারা যুদ্ধ করবে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। কিন্তু সীমা ছাড়িয়ো না। এটা কিরকম সীমা? মানে, যারা যুদ্ধ করতে চায়না বা করেনা, যারা মুশরিক-কাফির, কিন্তু অত্যাচারী সম্প্রদায়ভুক্ত নয়, যারা নিরপরাধ, তাদের যেন জান এবং মালের কোন ক্ষতি না হয়। এরকম বাড়াবাড়ি করলে কী হবে? আল্লাহ একই আয়াতে স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন,- “নিশ্চই আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীদের ভালোবাসেন না’।
এটাই হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলিমদের জন্য যুদ্ধের শর্ত এবং বাউন্ডারি। বলুন তো, এরমধ্যে আপনি এমন কিছু কী দেখছেন যেটা আপনার দৃষ্টিতে খারাপ বা বাড়াবাড়ি?’
লোকটা ‘না’ সূচক মাথা নাড়লো।
আমি বললাম, ধর্মপালনে ইসলাম কখনোই জোরজবরদস্তি করেনা। কোরআন স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে- ‘তোমার ধর্ম তোমার জন্য, আমার ধর্ম আমার জন্য’ (৪)
আমি সাজিদের মুখ থেকে কথা কেড়ে নেওয়ার মতো করে বললাম,- ‘একদমই না। প্রথমত, এই আয়াত যখন নাজিল হয়, তখন কাফির-মুশরিকরা সংখ্যালঘু ছিলোনা, বরং মুসলিমরা ছিলো সংখ্যালঘু’।
সাজিদ বললো,- ‘আপনার পয়েন্টটা দারুন। কোরআন কী নিজ থেকেই অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে বলেছে? দেখুন, আল্লাহ কোরআনে বলছেন,- “Fight in the way of Allah (with) those who fight you”(৩)
অর্থাৎ, আল্লাহ বলছেন, “তাদের সাথেই কেবল যুদ্ধ করো, যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়”।
পৃথিবীর কোন জাতি কী এই থিওরিতে বিশ্বাস করে যে, অন্য একটা জাতি এসে তাদের মেরে সাফ করে যাবে, আর তারা তাদের জামাই আদর দিয়ে বরণ করে নেবে?’
লোকটা বললো,- ‘না’।
সাজিদ আবার বললো,- এরপরেই কোরআন বলছে, “But do not transgress” , অর্থাৎ - “ কিন্তু সীমা অতিক্রম করোনা”...
আল্লাহ বলছেন, তোমাদের সাথে যারা যুদ্ধ করবে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। কিন্তু সীমা ছাড়িয়ো না। এটা কিরকম সীমা? মানে, যারা যুদ্ধ করতে চায়না বা করেনা, যারা মুশরিক-কাফির, কিন্তু অত্যাচারী সম্প্রদায়ভুক্ত নয়, যারা নিরপরাধ, তাদের যেন জান এবং মালের কোন ক্ষতি না হয়। এরকম বাড়াবাড়ি করলে কী হবে? আল্লাহ একই আয়াতে স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন,- “নিশ্চই আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীদের ভালোবাসেন না’।
এটাই হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলিমদের জন্য যুদ্ধের শর্ত এবং বাউন্ডারি। বলুন তো, এরমধ্যে আপনি এমন কিছু কী দেখছেন যেটা আপনার দৃষ্টিতে খারাপ বা বাড়াবাড়ি?’
লোকটা ‘না’ সূচক মাথা নাড়লো।
আমি বললাম, ধর্মপালনে ইসলাম কখনোই জোরজবরদস্তি করেনা। কোরআন স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে- ‘তোমার ধর্ম তোমার জন্য, আমার ধর্ম আমার জন্য’ (৪)
সাজিদ আবার বলতে শুরু করলো-
গেলো কোরআনের কথা। রাসূল (সাঃ) এর জীবনী দেখলেই বোঝা যায় উনি অমুসলিমদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে কতোটা তৎপর ছিলেন।
লোকটা বললো,- ‘যেমন?’
- ‘রাসূল (সাঃ) বলেছেন, - ‘সাবধান! তোমাদের যে ব্যক্তি কোন নিরপরাধ অমুসলিম ব্যক্তির উপর নির্যাতন চালাবে, তাঁর অধিকার খর্ব করবে,তাকে দুঃখ দিবে, অথবা তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছ থেকে কোনকিছু ছিনিয়ে নিবে, (জেনে রাখো) তাঁর (যে মুসলিম এহেন কাজ করবে) সাথে কিয়ামতের মাঠে আমি যুদ্ধ করবো’। (৫)
দেখুন, এরচেয়ে বেশিকিছু আর কী হতে পারে? রাসূল (সাঃ) স্বয়ং সেই মুসলিমের সাথে যুদ্ধে নামার ঘোষণা দিচ্ছেন যে একজন নিরপরাধ অমুসলিমকে কষ্ট দেয়, আঘাত করে, অধিকার বঞ্চিত করে।
তিনি আরো বলেছেন, - ‘যদি কোন মুসলিম কোন নিরপরাধ অমুসলিমকে (বিনা কারণে) হত্যা করে, তাহলে সে জান্নাতের খুঁশবু (মিষ্টি বাতাস) পর্যন্ত পাবেনা, যদিও জান্নাতের এই খুঁশবু ৪০ হাজার বছরের দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়’। (৬)
রাসূল (সাঃ) এবং উনার সঙ্গী সাথীরা যখন নিজেদের উপর অকথ্য, অবর্ণনীয় অত্যাচার, নির্যাতনের পর প্রিয় স্বদেশ ত্যাগ করে মদিনায় চলে যান, তখন কিছু বছর পরে তারা মক্কা বিজয় করে আবার মক্কায় ফিরে আসে। মক্কায় ফেরার পরে, মুসলিমদের এক সেনাপতি বিকট শব্দে ঘোষণা করে বসেন,- “আজ হচ্ছে আমাদের প্রতিশোধ নেবার দিন”
তাঁর মুখে এই কথা শুনে রাসূল (সাঃ) তাঁর দিকে তাকালেন এবং বললেন,- “নাহ! আজ হচ্ছে উন্মুক্ত ক্ষমার দিন”।
এরপরে, রাসূল (সাঃ) মক্কার মুশরিকদের (যারা অত্যাচার-নির্যাতন করে রাসূল (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবীদের নিজের স্বদেশ ছাড়া করেছিলো। হত্যা করেছিলো অসংখ্য সাহাবীকে) দিকে ফিরে বলতে লাগলেন,- “আজ তোমরা আমার কাছ থেকে কেমন আচরণ আশা করো?
মুশরিকরা বললো,- “আমরা আপনার কাছ থেকে তেমন আচরণই আশা করি, যেমন আচরণ হজরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর পাপিষ্ঠ ভাইদের সাথে করেছিলেন”।
তখন রাসূল (সাঃ) ঠিক সেই কথাটাই বললেন যা হজরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর ভাইদের সাথে বলেছিলেন- “আজ তোমাদের আর কোন প্রশ্ন (তোমাদের অন্যায়ের জন্য) করা হবেনা। আজ তোমরা সকলেই মুক্ত”। (৭)
গেলো কোরআনের কথা। রাসূল (সাঃ) এর জীবনী দেখলেই বোঝা যায় উনি অমুসলিমদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে কতোটা তৎপর ছিলেন।
লোকটা বললো,- ‘যেমন?’
- ‘রাসূল (সাঃ) বলেছেন, - ‘সাবধান! তোমাদের যে ব্যক্তি কোন নিরপরাধ অমুসলিম ব্যক্তির উপর নির্যাতন চালাবে, তাঁর অধিকার খর্ব করবে,তাকে দুঃখ দিবে, অথবা তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছ থেকে কোনকিছু ছিনিয়ে নিবে, (জেনে রাখো) তাঁর (যে মুসলিম এহেন কাজ করবে) সাথে কিয়ামতের মাঠে আমি যুদ্ধ করবো’। (৫)
দেখুন, এরচেয়ে বেশিকিছু আর কী হতে পারে? রাসূল (সাঃ) স্বয়ং সেই মুসলিমের সাথে যুদ্ধে নামার ঘোষণা দিচ্ছেন যে একজন নিরপরাধ অমুসলিমকে কষ্ট দেয়, আঘাত করে, অধিকার বঞ্চিত করে।
তিনি আরো বলেছেন, - ‘যদি কোন মুসলিম কোন নিরপরাধ অমুসলিমকে (বিনা কারণে) হত্যা করে, তাহলে সে জান্নাতের খুঁশবু (মিষ্টি বাতাস) পর্যন্ত পাবেনা, যদিও জান্নাতের এই খুঁশবু ৪০ হাজার বছরের দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়’। (৬)
রাসূল (সাঃ) এবং উনার সঙ্গী সাথীরা যখন নিজেদের উপর অকথ্য, অবর্ণনীয় অত্যাচার, নির্যাতনের পর প্রিয় স্বদেশ ত্যাগ করে মদিনায় চলে যান, তখন কিছু বছর পরে তারা মক্কা বিজয় করে আবার মক্কায় ফিরে আসে। মক্কায় ফেরার পরে, মুসলিমদের এক সেনাপতি বিকট শব্দে ঘোষণা করে বসেন,- “আজ হচ্ছে আমাদের প্রতিশোধ নেবার দিন”
তাঁর মুখে এই কথা শুনে রাসূল (সাঃ) তাঁর দিকে তাকালেন এবং বললেন,- “নাহ! আজ হচ্ছে উন্মুক্ত ক্ষমার দিন”।
এরপরে, রাসূল (সাঃ) মক্কার মুশরিকদের (যারা অত্যাচার-নির্যাতন করে রাসূল (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবীদের নিজের স্বদেশ ছাড়া করেছিলো। হত্যা করেছিলো অসংখ্য সাহাবীকে) দিকে ফিরে বলতে লাগলেন,- “আজ তোমরা আমার কাছ থেকে কেমন আচরণ আশা করো?
মুশরিকরা বললো,- “আমরা আপনার কাছ থেকে তেমন আচরণই আশা করি, যেমন আচরণ হজরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর পাপিষ্ঠ ভাইদের সাথে করেছিলেন”।
তখন রাসূল (সাঃ) ঠিক সেই কথাটাই বললেন যা হজরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর ভাইদের সাথে বলেছিলেন- “আজ তোমাদের আর কোন প্রশ্ন (তোমাদের অন্যায়ের জন্য) করা হবেনা। আজ তোমরা সকলেই মুক্ত”। (৭)
সাজিদ বললো, কতোটুকু নরম, কোমল প্রকৃতির অধিকারী হলে একজন নেতা তাঁর পরম শত্রুদের এতো সহজে ,এতো স্বাভাবিকভাবে ক্ষমা করে দিতে পারে?
রাসূল (সাঃ) বলেছেন,- “অমুসলিমদের অধিকার রক্ষা করা আমার (উপর আরোপিত) বিশেষ কর্তব্যগুলোর একটি”- (৮)
রাসূল (সাঃ) বলেছেন,- “অমুসলিমদের অধিকার রক্ষা করা আমার (উপর আরোপিত) বিশেষ কর্তব্যগুলোর একটি”- (৮)
আমরা শুনছি। সাজিদ বলে যাচ্ছে-
একবার, মিশরের এক মুসলিম শাসক একজন অমুসলিমকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দিয়েছিলেন। এই খবর যখন খলিফা ওমর (রাঃ) এর কানে এলো, তখন তিনি সেই অমুসলিমকে নির্দেশ দিলেন মুসলিম শাসকটাকে ঠিক সেভাবেই শাস্তি দেওয়ার জন্য যেভাবে তাকে (অমুসলিমটাকে) শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি (খলিফা) তখন ক্ষুব্ধস্বরে মুসলিম শাসকটাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন,- “কখন থেকে মানুষকে তুমি তোমার দাস ভাবা শুরু করেছো?” (৯)
দেখুন, এই ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে অমুসলিমদের অধিকার, মর্যাদা রক্ষায় ইসলাম কতোটা উদার, কতোটা তৎপর।
একবার, মিশরের এক মুসলিম শাসক একজন অমুসলিমকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দিয়েছিলেন। এই খবর যখন খলিফা ওমর (রাঃ) এর কানে এলো, তখন তিনি সেই অমুসলিমকে নির্দেশ দিলেন মুসলিম শাসকটাকে ঠিক সেভাবেই শাস্তি দেওয়ার জন্য যেভাবে তাকে (অমুসলিমটাকে) শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি (খলিফা) তখন ক্ষুব্ধস্বরে মুসলিম শাসকটাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন,- “কখন থেকে মানুষকে তুমি তোমার দাস ভাবা শুরু করেছো?” (৯)
দেখুন, এই ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে অমুসলিমদের অধিকার, মর্যাদা রক্ষায় ইসলাম কতোটা উদার, কতোটা তৎপর।
সাজিদ থামলো। লোকটা বললো, - “ইসলামী শাসন চালু হলে ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসরত অমুসলিমদের সাথে কী করা হবে?”
সাজিদ পানির বোতল থেকে পানি ঢেলে মুখে ছিটিয়ে নিলো হালকা। এরপরে বললো,- “গুড কোয়েশ্চান! রাসূল (সাঃ) বলেছেন,- “ আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজরান (খ্রিষ্টানদের ভূমি) এবং তাঁর শাসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের জীবন, তাদের ভূমি, তাদের সম্পদ, তাদের উপসনালয়- সবকিছুরই নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কোন যাজককে (ধর্মগুরু) তাঁর কাজ হতে, কোন অফিসারকে তাঁর চাকরি থেকে চাকরিচ্যুত করা হবে না”। (১০)
শুধু তাই নয়, মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসরত কোন অমুসলিম বহিঃশত্রুদের সাথে কোন প্রকার যুদ্ধে অংশ নিতেও বাধ্য নয়। বাইরের কোন শত্রু যদি মুসলিম রাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তাহলে মুসলিমরাই তাদের প্রতিহত করবে। সেই মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসরত অমুসলিমরা কোন ধরণের যুদ্ধে যেতে বাধ্য নয়।
সাজিদ পানির বোতল থেকে পানি ঢেলে মুখে ছিটিয়ে নিলো হালকা। এরপরে বললো,- “গুড কোয়েশ্চান! রাসূল (সাঃ) বলেছেন,- “ আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজরান (খ্রিষ্টানদের ভূমি) এবং তাঁর শাসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের জীবন, তাদের ভূমি, তাদের সম্পদ, তাদের উপসনালয়- সবকিছুরই নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কোন যাজককে (ধর্মগুরু) তাঁর কাজ হতে, কোন অফিসারকে তাঁর চাকরি থেকে চাকরিচ্যুত করা হবে না”। (১০)
শুধু তাই নয়, মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসরত কোন অমুসলিম বহিঃশত্রুদের সাথে কোন প্রকার যুদ্ধে অংশ নিতেও বাধ্য নয়। বাইরের কোন শত্রু যদি মুসলিম রাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তাহলে মুসলিমরাই তাদের প্রতিহত করবে। সেই মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসরত অমুসলিমরা কোন ধরণের যুদ্ধে যেতে বাধ্য নয়।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, - ‘অমুসলিমরা কী এমনিতেই সুফল ভোগ করবে কোনরকম ত্যাগ ছাড়াই?’
সাজিদ বললো,- ‘না। অমুসলিমদের হয়ে মুসলিমরা সকল যুদ্ধ-বিগ্রহ সামলাবে ঠিক, তবে অমুসলিমদেরও কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সেটা হলো অমুসলিমরা এর পরিবর্তে সামান্য ট্যাক্স দিবে কেবল’।
আমি বললাম,- ‘ও আচ্ছা, যেটাকে জিজিয়া কর বলা হয়, তাই না?’
- ‘একদম ঠিক ধরেছিস। এটার নাম জিজিয়া কর। তবে , ইসলামী আইনশাস্ত্রে বলা আছে, কোন গরীব, বৃদ্ধ এবং (কর প্রদানে) অসমর্থ লোক এই জিজিয়া কর প্রদানের বিধান থেকে মুক্ত। শুধু তাই নয়, ইসলামী রাষ্ট্রের রাজকোষ ‘বায়তুল মাল’ থেকে রাষ্ট্রের গরীব, দুঃস্থ, অসহায় অমুসলিমদের অর্থ প্রদান করে সহায়তার বিধানও রয়েছে ইসলামী আইনে’। (১১)
সাজিদ বললো,- ‘না। অমুসলিমদের হয়ে মুসলিমরা সকল যুদ্ধ-বিগ্রহ সামলাবে ঠিক, তবে অমুসলিমদেরও কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সেটা হলো অমুসলিমরা এর পরিবর্তে সামান্য ট্যাক্স দিবে কেবল’।
আমি বললাম,- ‘ও আচ্ছা, যেটাকে জিজিয়া কর বলা হয়, তাই না?’
- ‘একদম ঠিক ধরেছিস। এটার নাম জিজিয়া কর। তবে , ইসলামী আইনশাস্ত্রে বলা আছে, কোন গরীব, বৃদ্ধ এবং (কর প্রদানে) অসমর্থ লোক এই জিজিয়া কর প্রদানের বিধান থেকে মুক্ত। শুধু তাই নয়, ইসলামী রাষ্ট্রের রাজকোষ ‘বায়তুল মাল’ থেকে রাষ্ট্রের গরীব, দুঃস্থ, অসহায় অমুসলিমদের অর্থ প্রদান করে সহায়তার বিধানও রয়েছে ইসলামী আইনে’। (১১)
আমাদের সামনে বসে থাকা ভদ্রলোকের চেহারায় একটি হাসির আমেজ দেখতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে উনি উনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। ইসলাম যে অমুসলিমদের সাথে কোন অন্যায় করেনা, তাদের অধিকার দানে যে কোন কারচুপি করেনা, সেটা হয়তো উনি এখন বুঝতে পারছেন।
ভদ্রলোকটার সাথে আমাদের আরো আলাপ হলো। জানতে পারলাম উনার নাম মোহাম্মদ আজহার উদ্দীন।বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা শাখার ব্রাঞ্চ প্রধান। রাজশাহীতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরছিলেন।
ট্রেন থেকে নামার আগে ভদ্রলোক আমাদের হাতে উনার অফিসের কার্ড দিয়ে বললেন,- ‘বয়েজ, খুলনা আসলে আমার অফিস থেকে কফি খেয়ে যেয়ো’।
আমি তৎক্ষণাৎ মাথা নেড়ে বললাম, - ‘জ্বি আচ্ছা...’
আমার উত্তর শুনে উনি বললেন,- ‘তোমার আবার কফিতে এলার্জি নেই তো?’
এটা বলে ভদ্রলোক হাহাহা করে হাসা শুরু করলেন। আমি খুবই লজ্জা পেলাম। সাজিদের দিকে তাকালাম। সেও মুচকি মুচকি হাসছে...
ভদ্রলোকটার সাথে আমাদের আরো আলাপ হলো। জানতে পারলাম উনার নাম মোহাম্মদ আজহার উদ্দীন।বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা শাখার ব্রাঞ্চ প্রধান। রাজশাহীতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরছিলেন।
ট্রেন থেকে নামার আগে ভদ্রলোক আমাদের হাতে উনার অফিসের কার্ড দিয়ে বললেন,- ‘বয়েজ, খুলনা আসলে আমার অফিস থেকে কফি খেয়ে যেয়ো’।
আমি তৎক্ষণাৎ মাথা নেড়ে বললাম, - ‘জ্বি আচ্ছা...’
আমার উত্তর শুনে উনি বললেন,- ‘তোমার আবার কফিতে এলার্জি নেই তো?’
এটা বলে ভদ্রলোক হাহাহা করে হাসা শুরু করলেন। আমি খুবই লজ্জা পেলাম। সাজিদের দিকে তাকালাম। সেও মুচকি মুচকি হাসছে...
“ইসলামে অমুসলিমদের অধিকার”/ আরিফ আজাদ
সাজিদ সিরিজ-০২, পর্ব-০৩
সাজিদ সিরিজ-০২, পর্ব-০৩
তথ্যসূত্র-
১) সূরা আল বাকারা- ২৫৬
২) সূরা আন নাহল- ১২৫
৩) সূরা আল বাকারা- ১৯০
৪) সূরা আল কাফিরুন- ০৬
৫) আবু দাঊদ, ভলিউম নাম্বার ০৩, হাদীস নাম্বার- ১৭০
৬) সহীহ আল বুখারী, ভলিউম নম্বর ০৩, হাদীস নাম্বার- ২২৯৫
৭) Fath Ul Bari, Imam Ibn Hajar Al-Asqalani, volume no-08, page no- 18
৮) সুনানে বায়হাক্বী, ভলিউম ৮, পৃষ্টা ৩০
৯) Kanaaz Ul Amaal, Volume 04, page- 455
১০) Tabaqat Ibn Saad, volume 01, page- 228
১১) Imam Abu Yousuf, Kitab Al Khiraaj, page no-155
১) সূরা আল বাকারা- ২৫৬
২) সূরা আন নাহল- ১২৫
৩) সূরা আল বাকারা- ১৯০
৪) সূরা আল কাফিরুন- ০৬
৫) আবু দাঊদ, ভলিউম নাম্বার ০৩, হাদীস নাম্বার- ১৭০
৬) সহীহ আল বুখারী, ভলিউম নম্বর ০৩, হাদীস নাম্বার- ২২৯৫
৭) Fath Ul Bari, Imam Ibn Hajar Al-Asqalani, volume no-08, page no- 18
৮) সুনানে বায়হাক্বী, ভলিউম ৮, পৃষ্টা ৩০
৯) Kanaaz Ul Amaal, Volume 04, page- 455
১০) Tabaqat Ibn Saad, volume 01, page- 228
১১) Imam Abu Yousuf, Kitab Al Khiraaj, page no-155
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.