জীবনের উদ্দেশ্য / তানভীর আহমেদ শরীফ


#আল্লাহু_আকবর
#ইসলামের কাছে পৌত্তলিকতা / হিন্দুত্ববাদ এর পরাজয় পর্ব ২০
#জীবনের_উদ্দেশ্য
আয-যারিয়াত 51:56
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْاِنْسَ اِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ
আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।
🌍পৌত্তলিকতায় মানুষ কে কেন পশুর পর্যায় মনে করা হয়?
🌍আত্মা কি?আত্মা কি পশু ছিল, আবার মানুষ হইছে?
🌍জন্মান্তরবাদ বাদ যদি বিশ্বাস করেন, পৃথবীতে মানুষ বারছে কিভাবে?পশুপাখি কিভাবে পূন্য করছে যে মানুষ হয়ে জন্মাচ্ছে?
🌍চন্দ্র সূর্য, পশুপাখি, এই ভূমন্ডলের সবাই কি নিজ ইচ্ছাশক্তির অধিকারী?
🌍যদি সৎকাজের পুরস্কার না থাকে ও অসৎকাজের শাস্তি না থাকে, তাইলে একজন সৎব্যাক্তির কর্ম অসৎব্যাক্তির সমান ও একজন অসৎব্যাক্তি সৎ ব্যাক্তির সমান পুরস্কৃত, এটা কি বে ইনসাফ নয়?
🌍জন্মান্তরবাদ এ যদি বিশ্বাস করেন, বিজ্ঞান বলছে, পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হচ্ছে, সূর্য ( সুরিয়া দেবতা) ও এক সময় শেষ হয়ে যাবে গ্যাস, দেবতা নিজেকেই রক্ষা করতে পারছে না!!! ভিডিও দ্রষ্টব্যঃ। কোরান ৭৫ঃ৯
https://www.google.com/…/the-sun-wont-die-for-5-billion-yea…
🌍একজন পশুপাখি হয়ে জন্মালে তার কাজ কি, সে কিভাবে মূর্তিপূজা করবে? সে কিভাবে পরজন্মে মানুষ হয়ে জন্মাবে?
🌎🌎
#রুহ বা আত্মা কি?
১৭ঃ৮৫
وَ یَسۡئَلُوۡنَکَ عَنِ الرُّوۡحِ ؕ قُلِ الرُّوۡحُ مِنۡ اَمۡرِ رَبِّیۡ وَ مَاۤ اُوۡتِیۡتُمۡ مِّنَ الۡعِلۡمِ اِلَّا قَلِیۡلًا ﴿۸۵﴾
তোমাকে তারা আত্মা সম্পর্কে প্রশ্ন করে। তুমি বল, ‘আত্মা আমার প্রতিপালকের আদেশ বিশেষ; আর তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।’ [১]
[১] روح (রূহ বা আত্মা) এমন অশরীরী বস্তু যা কারো দৃষ্টিগোচর হয় না। কিন্তু প্রত্যেক প্রাণীর শক্তি ও সামর্থ্য এই রূহের মধ্যেই লুক্কায়িত। এর প্রকৃত স্বরূপ কি? তা কেউ জানে না। ইয়াহুদীরাও একদা নবী করীম (সাঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (বুখারীঃ বনী ইস্রাঈলের তাফসীর, মুসলিমঃ কিতাবু সিফাতিল কিয়ামাহ--) আয়াতের অর্থ হল, তোমাদের জ্ঞান আল্লাহর জ্ঞানের তুলনায় অনেক কম। আর এই রূহ (আত্মা), যে সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসা করছ, তার জ্ঞান আল্লাহ তাঁর আম্বিয়া সহ অন্য কাউকেও দেননি। কেবল এতটুকু জেনে নাও যে, এটা আমার প্রতিপালকের নির্দেশ মাত্র। অথবা এটা আমার প্রতিপালকেরই খাস ব্যাপার; যার প্রকৃতত্ব কেবল তিনিই জানেন।
#কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ আসবে তাদের আত্মা / রুহ আগেই সৃষ্টি করা হইছে।
৭ঃ১৭২
وَ اِذۡ اَخَذَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَنِیۡۤ اٰدَمَ مِنۡ ظُہُوۡرِہِمۡ ذُرِّیَّتَہُمۡ وَ اَشۡہَدَہُمۡ عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ ۚ اَلَسۡتُ بِرَبِّکُمۡ ؕ قَالُوۡا بَلٰیۚ ۛ شَہِدۡنَا ۚ ۛ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اِنَّا کُنَّا عَنۡ ہٰذَا غٰفِلِیۡنَ ﴿۱۷۲﴾ۙ
স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তাদের সন্তান-সন্ততি বাহির করেন এবং তাদের নিজেদের সম্বন্ধে স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন এবং বলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই?’ তারা বলে, ‘নিশ্চয়ই। আমরা সাক্ষী রইলাম।’[১] (এ স্বীকৃতি গ্রহণ) এ জন্য যে, তোমরা যেন কিয়ামতের দিন না বল, ‘আমরা তো এ বিষয়ে জানতাম না।’

[১] এটিকে 'আলাসতু' অঙ্গীকার বলা হয় যা ألست بربكم হতে তৈরী। এই অঙ্গীকার আদম (আঃ)-এর সৃষ্টির পর তাঁর সৃষ্টজাত সকল সন্তানের নিকট হতে নেওয়া হয়েছিল। একটি সহীহ হাদীসে এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, আরাফার দিনে নু'মান নামক জায়গায় মহান আল্লাহ আদম-সন্তান হতে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন। আদম (আঃ)-এর সকল সন্তানকে তার পৃষ্ঠদেশ হতে বের করলেন এবং তাদেরকে নিজের সামনে (পিঁপড়ের আকারে) ছড়িয়ে দিলেন ও তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'আমি কি তোমাদের রব (প্রভু) নই।' সকলে বলেছিল, بَلَى شَهِدنَا অবশ্যই, আমরা সকলেই আপনার রব হওয়ার সাক্ষ্য দিচ্ছি। (মুসনাদে আহমাদ, হাকেম ২/৫৪৪, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৬২৩নং) ইমাম শাওকানী এ হাদীসটি সম্পর্কে বলেন, এর সূত্রে কোন প্রকার ত্রুটি নেই। ইমাম শাওকানী আরো বলেন, তখনকার জগৎকে 'আলামুয যার্র' (পিপীলিকা জগৎ) বলা হয়। এটিই এর সঠিক ও যথার্থ ব্যাখ্যা। এর থেকে সরে যাওয়া ও অন্য অর্থ নেওয়া সঠিক নয়। কারণ, এটি আল্লাহর রসূলের হাদীস ও সাহাবাদের উক্তি দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং এটিকে 'মাজায' (রূপক বা ভাবগত) অর্থে ব্যবহার করাও উচিত নয়। মোটকথা, আল্লাহর রব হওয়ার সাক্ষ্য প্রত্যেক মানুষের প্রকৃতিতে সন্নিবিষ্ট আছে। এই ভাবার্থকেই আল্লাহর রসূল (সাঃ) এইভাবে বর্ণনা করেছেন, "প্রতিটি শিশু (ইসলামী ধর্মবোধের) প্রকৃতি নিয়ে জন্ম নেয়। পরে তার মাতা-পিতা তাকে ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান বা অগ্নিপূজক বানিয়ে নেয়। যেমন জন্তুর বাচ্চা সম্পূর্ণ জন্ম হয়, তার নাক ও কান কাটা থাকে না।" (বুখারীঃ জানাযা অধ্যায়, মুসলিমঃ তকদীর অধ্যায়) সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন, 'আমি আমার বান্দাদেরকে একনিষ্ঠ (একমাত্র ইসলামের প্রতি অনুগত) রূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর শয়তান তাদেরকে ইসলামী প্রকৃতি হতে পথভ্রষ্ট করে দেয়।' (মুসলিমঃ জানাযা অধ্যায়) এই প্রকৃতিই আল্লাহর একত্ব ও তাঁর অবতীর্ণকৃত শরীয়ত। যা এখন ইসলাম নামে সংরক্ষিত।

🌏🌏
#চন্দ্র সূর্য এবং ভূমন্ডল ও আকাশে যা আছে তারমধ্যে কেবলই মানুষ ই ইচ্ছাশক্তির অধিকারী, অবাধ্য হতে পারে।
আল-হ়াজ্জ 22:18
اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ يَسْجُدُ لَهٗ مَنْ فِى السَّمٰوٰتِ وَمَنْ فِى الْاَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُوْمُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَآبُّ وَكَثِيْرٌ مِّنَ النَّاسِ‌ؕ وَكَثِيْرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ‌ؕ وَمَنْ يُّهِنِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ مُّكْرِمٍ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ يَفْعَلُ مَا يَشَآءُ۩ؕ
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন
আন-নাহ্‌ল 16:48
اَوَلَمْ يَرَوْا اِلٰى مَا خَلَقَ اللّٰهُ مِنْ شَىْءٍ يَّتَفَيَّؤُا ظِلٰلُهٗ عَنِ الْيَمِيْنِ وَالشَّمَآٮِٕلِ سُجَّدًا لِّلَّهِ وَهُمْ دٰخِرُوْنَ
তারা কি আল্লাহর সৃজিত বস্তু দেখে না, যার ছায়া আল্লাহর প্রতি বিনীতভাবে সেজদাবনত থেকে ডান ও বাম দিকে ঝুঁকে পড়ে।
আন-নাহ্‌ল 16:49
وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْاَرْضِ مِنْ دَآبَّةٍ وَّالْمَلٰۤٮِٕكَةُ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ
আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু নভোমন্ডলে আছে এবং যা কিছু ভুমন্ডলে আছে এবং ফেরেশতাগণ; তারা অহংকার করে না।
বানু ইসরাঈল 17:44
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمٰوٰتُ السَّبْعُ وَالْاَرْضُ وَمَنْ فِيْهِنَّ‌ؕ وَاِنْ مِّنْ شَىْءٍ اِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهٖ وَلٰـكِنْ لَّا تَفْقَهُوْنَ تَسْبِيْحَهُمْ‌ؕ اِنَّهٗ كَانَ حَلِيْمًا غَفُوْرًا
সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যে যাকিছু আছে সমস্ত কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। নিশ্চয় তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।
🌎🌎
#মানুষ_সৃষ্টির_সেরা
১৭ঃ৭০
وَ لَقَدۡ کَرَّمۡنَا بَنِیۡۤ اٰدَمَ وَ حَمَلۡنٰہُمۡ فِی الۡبَرِّ وَ الۡبَحۡرِ وَ رَزَقۡنٰہُمۡ مِّنَ الطَّیِّبٰتِ وَ فَضَّلۡنٰہُمۡ عَلٰی کَثِیۡرٍ مِّمَّنۡ خَلَقۡنَا تَفۡضِیۡلًا ﴿۷۰﴾
আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি,[১] স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি;[২] তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দান করেছি[৩] এবং যাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি, তাদের অনেকের উপর তাদেরকে যথেষ্ট শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। [৪]
[১] এই মর্যাদা ও অনুগ্রহ মানুষ হিসাবে প্রত্যেক মানুষ পেয়েছে; তাতে সে মুমিন হোক অথবা কাফের। কেননা, এ মর্যাদা অন্য সৃষ্টিকুল, জীবজন্তু, জড়পদার্থ ও উদ্ভিদ ইত্যাদির তুলনায়। আর এ মর্যাদা বিভিন্ন দিক দিয়ে। যে আকার-আকৃতি, এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ শারীরিক গঠন ও ধরন মহান আল্লাহ মানুষকে দান করেছেন, তা অন্য কোন সৃষ্টি পায়নি। যে জ্ঞান মানুষকে দেওয়া হয়েছে, যার দ্বারা তারা নিজেদের আরাম ও আয়েশের জন্য অসংখ্য জিনিস আবিষ্কার করেছে, জীবজন্তু ইত্যাদি তা থেকে বঞ্চিত। এ ছাড়া এই জ্ঞান দ্বারা তারা ঠিক-বেঠিক, উপকারী-অপকারী এবং ভাল-মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম। এই জ্ঞান দ্বারা তারা আল্লাহর অন্যান্য সৃষ্টিকুল থেকে উপকৃত হয় এবং তাদেরকে নিজেদের বশে রাখে। এই জ্ঞান ও মেধারই মাধ্যমে তারা এমন অট্টালিকা নির্মাণ করে, এমন পোশাক আবিষ্কার করে এবং এমন সব জিনিস বানায় যা তাদেরকে গ্রীষ্মের তাপ, শীতের ঠান্ডা এবং মৌসুমের অন্যান্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অনুরূপ বিশ্বজাহানের সমস্ত জিনিসকে মহান আল্লাহ মানুষের সেবায় লাগিয়ে রেখেছেন। চাঁদ, সূর্য, হাওয়া, পানি এবং অন্যান্য অসংখ্য জিনিস রয়েছে যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হচ্ছে।

[২] স্থলে ঘোড়া, খচ্চর, গাধা, উট এবং নিজেদের তৈরী করা (ট্রেন, মোটরগাড়ী, উড়োজাহাজ, সাইকেল এবং মোটর সাইকেল ইত্যাদি) বাহনে আরোহণ করে এবং সমুদ্রে রয়েছে নৌকা ও জলজাহাজ যাতে তারা আরোহণ করে এবং পণ্যসামগ্রী আমদানি-রফতানি করে।

[৩] মানুষের পানাহারের জন্য যেসব খাদ্য জাতীয় দ্রব্য শস্য ও ফল-মূলাদি তিনি উৎপন্ন করেছেন এবং তাতে যে স্বাদ, তৃপ্তি এবং শক্তি নিহিত রেখেছেন, রকমারি এই খাদ্য, সুস্বাদু ও মজাদার ফলমূল, শক্তিবর্ধক ও পরিতৃপ্তিকর উপাদেয় নানা যৌগিক খাদ্য ও পানীয়, চূর্ণিত, পিষ্ট ও খামির জাতীয় কত শত রকমের খাবার মানুষ ব্যতীত অন্য আর কোন্ সৃষ্টি পেয়েছে?

[৪] উল্লিখিত আলোচনা থেকে বহু সৃষ্টির উপর মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কথা পরিষ্কার হয়ে যায়।

🌍🌍
#সবকিছুই_মানুষ_এর_জন্য_সৃস্টি_করা_হয়েছে
২ঃ২৯
ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ لَکُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ٭ ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ فَسَوّٰىہُنَّ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ ؕ وَ ہُوَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۲۹﴾
তিনি পৃথিবীর সব কিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, (১) তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোসংযোগ করেন (২) এবং তাকে (আকাশকে) সপ্তাকাশে (৩) বিন্যস্ত করেন, তিনি সকল বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।
(১) এ থেকে সাব্যস্ত করা হয়েছে যে, যমীনে সৃষ্ট প্রত্যেক জিনিস মূলতঃ হালাল, যতক্ষণ না কোন জিনিসের হারাম হওয়ার কথা দলীল দ্বারা প্রমাণিত হবে। (ফাতহুল ক্বাদীর)
(২) সালাফদের কেউ কেউ এর তর্জমা করেছেন, "অতঃপর আসমানের দিকে আরোহণ করেন।" (সহীহ বুখারী) মহান আল্লাহর আসমানের উপর আরশে আরোহণ করা এবং বিশেষ বিশেষ সময়ে নিকটের আসমানে অবতরণ করা তাঁর গুণবিশেষ। কোন অপব্যাখ্যা ছাড়াই এর উপর ঐভাবেই ঈমান আনা আমাদের উপর ওয়াজিব, যেভাবে তা ক্বুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
(৩) এ থেকে প্রথমতঃ জানা গেল যে, আসমান (আকাশ) এক অনুভূত বস্তু এবং বাস্তব জিনিস। কেবল উচ্চতা (মহাশূন্য)-কে আসমান বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। দ্বিতীয়তঃ জানা গেল যে, আসমানের সংখ্যা হল সাত। আর হাদীস অনুযায়ী দুই আসমানের মধ্যেকার দূরত্ব হল পাঁচ শত বছরের পথ। আর যমীন সম্পর্কে ক্বুরআনে কারীমে এসেছে, {وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ} "এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে।" (ত্বালাক্ব ৬৫:১২ আয়াত) এ থেকে যমীনের সংখ্যাও সাত বলে জানা যায়। নবী (সাঃ)-এর হাদীস দ্বারা এ কথা আরো বলিষ্ঠ হয়। বলা হয়েছে, "যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে এক বিঘত যমীনও আত্মসাৎ করবে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনকে তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।" (সহীহ বুখারী ২৯৫৯নং) উক্ত আয়াত থেকে এ কথাও জানা যায় যে, আসমানের পূর্বে যমীন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সূরা নাযিআত ৭৯:৩০ আয়াতে) আসমানের উল্লেখ ক'রে বলা হয়েছে, {وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهاَ} "যমীনকে এর পর বিস্তৃত করেছেন।" এর ব্যাখ্যা এই করা হয়েছে যে, প্রথমে যমীনই সৃষ্টি হয়েছে, তবে পরিষ্কার ও সমতল করে বিছানো হল সৃষ্টি থেকে ভিন্ন ব্যাপার, যেটা আসমান সৃষ্টির পর সম্পাদিত হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর)
🌏🌎
Al-Qiyamah 75:9
وَجُمِعَ ٱلشَّمْسُ وَٱلْقَمَرُ
এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে-
🌏
ফুসসিলাত (হা-মীম সিজদাহ) 41:37
وَمِنْ ءَايَٰتِهِ ٱلَّيْلُ وَٱلنَّهَارُ وَٱلشَّمْسُ وَٱلْقَمَرُۚ لَا تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَٱسْجُدُوا لِلَّهِ ٱلَّذِى خَلَقَهُنَّ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে দিবস, রজনী, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও না; আল্লাহকে সেজদা কর, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা নিষ্ঠার সাথে শুধুমাত্র তাঁরই এবাদত কর।
🌏🌏
🌍যদি সৎকাজের পুরস্কার না থাকে ও অসৎকাজের শাস্তি না থাকে, তাইলে একজন সৎব্যাক্তির কর্ম অসৎব্যাক্তির সমান ও একজন অসৎব্যাক্তি সৎ ব্যাক্তির সমান পুরস্কৃত, এটা কি বে ইনসাফ নয়?
উত্তর ঃ
স়াদ 38:27
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَآءَ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَاطِلًاؕ ذٰلِكَ ظَنُّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۚ فَوَيْلٌ لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنَ النَّارِؕ
আমি আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী কোন কিছু অযথা সৃষ্টি করিনি। এটা কাফেরদের ধারণা। অতএব, কাফেরদের জন্যে রয়েছে দূর্ভোগ অর্থাৎ জাহান্নাম।
স়াদ 38:28
اَمْ نَجْعَلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ كَالْمُفْسِدِيْنَ فِى الْاَرْضِ اَمْ نَجْعَلُ الْمُتَّقِيْنَ كَالْفُجَّارِ
আমি কি বিশ্বাসী ও সৎকর্মীদেরকে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কাফেরদের সমতুল্য করে দেব? না খোদাভীরুদেরকে পাপাচারীদের সম্মান করে দেব।
আল-মু’মিনূন 23:115
اَفَحَسِبْتُمْ اَنَّمَا خَلَقْنٰكُمْ عَبَثًا وَّاَنَّكُمْ اِلَيْنَا لَا تُرْجَعُوْنَ
তোমরা কি ধারণা কর যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না?
আয-যারিয়াত 51:56
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْاِنْسَ اِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ
আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।
আল-মুল্‌ক 67:2
اۨلَّذِىْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيٰوةَ لِيَبْلُوَكُمْ اَيُّكُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْغَفُوْرُۙ
যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।
আল-মা’ইদাহ 5:15
يٰۤـاَهْلَ الْكِتٰبِ قَدْ جَآءَكُمْ رَسُوْلُـنَا يُبَيِّنُ لَـكُمْ كَثِيْرًا مِّمَّا كُنْتُمْ تُخْفُوْنَ مِنَ الْكِتٰبِ وَيَعْفُوْا عَنْ كَثِيْرٍ‌ؕ قَدْ جَآءَكُمْ مِّنَ اللّٰهِ نُوْرٌ وَّكِتٰبٌ مُّبِيْنٌۙ
হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন! কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্জল জ্যোতি এসেছে এবং একটি সমুজ্জল গ্রন্থ।
আল-মা’ইদাহ 5:16
يَّهْدِىْ بِهِ اللّٰهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهٗ سُبُلَ السَّلٰمِ وَيُخْرِجُهُمْ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَى النُّوْرِ بِاِذْنِهٖ وَيَهْدِيْهِمْ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ
এর দ্বারা আল্লাহ যারা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন।

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.