'তাহাদের নকলনামা'/ আরিফ আজাদ
তাহাদের নকলনামা.......
'হুমায়ুন আজাদ পর্ব'
আমাদের চেতনা মহলের কাছে দেবতাতুল্য একটি নাম 'হুমায়ুন আজাদ'।
ধর্মকে একহাত নেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই লোক। সমসাময়িক লেখক,কবিদের অনেকের মতে উনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ 'অহঙ্কারী' লোক। এতোই অহমিকা আর ঔদ্ধত্য নিয়ে চলতেন যে, নজরুল-রবীন্দ্রনাথকেও একহাত নিতে ছাড়তেন না তিনি।
তার এই ঔদ্ধত্য, অহঙ্কারের কারণ ছিলো তার লিখতে পারার ক্ষমতা। কিন্তু সেই ক্ষমতা আসলে কতোটুকু নিজের, তা একবার ফাঁস করে দিয়েছিলেন প্রয়াত লেখক আহমদ ছফা।
মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে আহমদ ছফা সম্পর্কে বলে নিই খানিকটা। আহমদ ছফাকে চিনে না বাংলায় এমন সাহিত্যবোদ্ধা বা সাহিত্যপ্রেমী খুঁজে পাওয়া ভার। আহমদ ছফা নিজে ছিলেন একজন নাস্তিক। কিন্তু, অন্যান্যদের মতো ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না মোটেই। লিখেছেন সমাজের কথা, সমাজের মানুষের কথা। শুধু লিখেই ক্ষান্ত হন নি, সমানভাবে বলেওছিলেন। অসামান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। যতোদিন বেঁচে ছিলেন কারো তাবেদারী, দালালী করেন নি। মাথা উঁচু করে বেঁচেছিলেন। লিখেছেন কম, তবে যা লিখেছেন, তার অধিকাংশই বাংলা সাহিত্যে মাস্টারপিস।
যাহোক, আহমদ ছফাকে নিয়ে হুমায়ুন আজাদ তার এক সাক্ষাৎকারে বিরূপ মন্তব্য করলে ছফা 'মানবজমিন' পত্রিকায় নিচের কথাগুলো লিখেন-
ধর্মকে একহাত নেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই লোক। সমসাময়িক লেখক,কবিদের অনেকের মতে উনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ 'অহঙ্কারী' লোক। এতোই অহমিকা আর ঔদ্ধত্য নিয়ে চলতেন যে, নজরুল-রবীন্দ্রনাথকেও একহাত নিতে ছাড়তেন না তিনি।
তার এই ঔদ্ধত্য, অহঙ্কারের কারণ ছিলো তার লিখতে পারার ক্ষমতা। কিন্তু সেই ক্ষমতা আসলে কতোটুকু নিজের, তা একবার ফাঁস করে দিয়েছিলেন প্রয়াত লেখক আহমদ ছফা।
মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে আহমদ ছফা সম্পর্কে বলে নিই খানিকটা। আহমদ ছফাকে চিনে না বাংলায় এমন সাহিত্যবোদ্ধা বা সাহিত্যপ্রেমী খুঁজে পাওয়া ভার। আহমদ ছফা নিজে ছিলেন একজন নাস্তিক। কিন্তু, অন্যান্যদের মতো ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না মোটেই। লিখেছেন সমাজের কথা, সমাজের মানুষের কথা। শুধু লিখেই ক্ষান্ত হন নি, সমানভাবে বলেওছিলেন। অসামান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। যতোদিন বেঁচে ছিলেন কারো তাবেদারী, দালালী করেন নি। মাথা উঁচু করে বেঁচেছিলেন। লিখেছেন কম, তবে যা লিখেছেন, তার অধিকাংশই বাংলা সাহিত্যে মাস্টারপিস।
যাহোক, আহমদ ছফাকে নিয়ে হুমায়ুন আজাদ তার এক সাক্ষাৎকারে বিরূপ মন্তব্য করলে ছফা 'মানবজমিন' পত্রিকায় নিচের কথাগুলো লিখেন-
"২১ ফেব্রুয়ারি এগিয়ে আসছে বোঝা গেল। হুমায়ুন আজাদ 'মানবজমিন' এ একটা উত্তেজক সাক্ষাৎকার দিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারির বাংলা একাডেমীর বইমেলায় যে আসল কনসার্ট শুরু হবে, এ সাক্ষাৎকারে তার শিক্রিনিধ্বনি শোনা গেল মাত্র। এটাও একরকম অবধারিত, মেলায় আজাদ সাহেবের একটা কিংবা একাধিক বই প্রকাশিত হবে। এ সাক্ষাৎকারটি সে অনাগত গ্রন্থ বা গ্রন্থাদির শুভ জন্মবার্তা যদি ঘোষণা করে, তাতে অবাক বা বিস্মিত হওয়ার খুব বেশি কিছু থাকবে না। মোটামুটি বিগত ৮/১০ বছর ধরে তিনি দিগ্বিজয়ের যে কলাকৌশলগুলো ব্যবহার করে আসছেন, সেগুলো সকলের কাছে সুপরিচিত।
প্রাচীনকালে রাজারা অশ্বমেধযজ্ঞের মাধ্যমে নিজেদের একচ্ছত্র প্রতাপ ঘোষণা করতেন। আমাদের কাছে যাঁরা রাজা হয়ে থাকেন, তাঁদের ভূখা-নাঙ্গা মানুষের ভোটের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের যুগে রাজা নেই, কিন্তু হুমায়ুন আজাদ রয়েছেন। বাক্যের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব হত্যার যে অভিনব কৌশলটি তিনি বেশ কিছুদিন ধরে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করে আসছেন, যা তাকে এমন একটা ঔদ্ধত্যের অধিকারী তুলেছে, তাঁর সামনে সাহিত্য ব্যবসায়ী সমস্ত মানুষকে থরহরি বলির পাঁঠার মতো কম্পমান থাকতে হয়। এ সাক্ষাৎকারটিতেও হুমায়ুন আজাদ অনেক নামিদামী মানুষকে উষ্ণীষ বাক্যের খড়-খড়গাঘাতে ধুলোয় লুটিয়ে দিয়েছেন। যাঁরা হুমায়ুন আজাদের আক্রমনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন, এক সময়ে তাঁদের অনেককে তিনি ওপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। উপকার করলে অপকারটি পেতে হয়- এই আপ্তবাক্যটি হুমায়ুন আজাদের ক্ষেত্রে পুরোপুরি সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল। শুয়োরের বাচ্চার যখন নতুন দাঁত গজায়, সে তখন বাপের পাছায় কামড় দিযে শক্তি পরীক্ষা করে। হুমায়ুন আজাদের কোন উপকার আমি কোনদিন করিনি, তথাপি কেন তিনি অনুগ্রহটা করলেন, সেটা ভেবে ঠিক করতে পারছিনে। সত্য বটে, একবার তাঁকে আমি সজারুর সঙ্গে তুলনা করেছিলাম। সেটা একটুও নিন্দার্থে নয়। আসলেই হুমায়ুন আজাদ একটা সজারু। বাঘ, সিংহ কিংবা অন্যকোন হিংস্র প্রাণী নয়। লেখক হিসেবে আমি যে কত সামান্য সেটা অনেকের চাইতেই আমি অনেক বেশি ভাল জানি। অনেকে আমার নাম উল্লেখই করেন না। অন্তত হুমায়ুন আজাদ গাল দেয়ার জন্য হলেও আমার অস্তিত্বটা অস্বীকার করেননি, সেজন্য হুমায়ুন আজাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। আর এটা একটুও মিথ্যে নয় যে, আমি জন্তু-জানোয়ার নিয়ে কাটাই। আমার জন্তু-জানোয়ারের সংগ্রহশালাটি যদি আরো বড় হত, সেখানে আজাদের জন্যও একটা স্থান সংরক্ষণ করতাম।
হুমায়ুন আজাদ এ সাক্ষাৎকারে নিজের অনেক পরিচয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন- তিনি একজন কবি, ভাষাবিজ্ঞানী, অধ্যাপক, উপন্যাস লেখক, প্রবন্ধকার, সমালোচক ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি তাঁর অনেকগুলো পরিচয় ঢেকেও রেখেছেন। সেগুলো হল- হুমায়ুন আজাদ হলেন একজন স্ট্যান্ডবাজ, পরশ্রীকাতর এবং অত্যন্ত রুচিহীন নির্লজ্জ একজন মানুষ। হুমায়ুন আজাদ কী পরিমাণ নির্লজ্জ সে সম্পর্কে তাঁর নিজের কোন ধারণা নেই। আমি কয়েকটা দৃষ্টান্ত দেব।
একবার হুমায়ুন আজাদ ভাষাবিজ্ঞানের ওপর থান ইটের মত প্রকান্ড একখানা কেতাব লিখে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশ করলেন এবং যত্রতত্র বুক ফুলিয়ে বলে বেড়াতে লাগলেন যে, আমার সমান ভাষাবিজ্ঞানী বাংলাভাষায় কস্মিনকালেও আর একজন জন্মাননি। তার অনতিকাল পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. মিলন কান্তি নাথ নামে আর একজন অধ্যাপক প্রবন্ধের পর প্রবন্ধ লিখে অকাট্য প্রমাণ হাজির করে দেখালেন যে, হুমায়ুন আজাদের এ ঢাউস বইটা আগাগোড়াই চৌর্যবৃত্তির (নকল করে লেখা) ফসল। ওই রচনা যাঁরা পড়েছেন, বাংলা একাডেমীর কাছে কৈফিয়ৎ চেয়ে বসলেন, আপনারা এমন একটা বই কেন প্রকাশ করলেন, যার আগাগোড়া চৌর্যবৃত্তিতে ঠাসা? বাংলা একাডেমী হুমায়ুন আজাদের বই বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিলেন এবং বিক্রয় বন্ধ করলেন আর হুমায়ুন আজাদের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করলেন,- "আপনি দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়েও কেন আগাগোড়া একটি নকল গ্রন্থ একাডেমীকে দিয়ে প্রকাশ করিয়ে একাডেমীকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেললেন?"
হুমায়ুন আজাদের 'নারী' বহুল আলোচিত গ্রন্থ। আমি নিজেও এক কপি কিনেছিলাম। কিন্তু কিনে মুশকিলে পড়ে গেলাম। বইটি এতই জীবন্ত যে, মাসে মাসে রক্তশ্রাব হয়। অগত্যা আমাকে বইটি শেলফ থেকে সরিয়ে রাখতে হল। হুমায়ুন আজাদ দাবি করেছেন, এটা তাঁর মৌলিকগ্রন্থ। আমার একটুখানি সংশয় জন্ম নিয়েছিল। তাহলে সিমোন দ্যা বোভেয়ার (একজন ব্রিটিশ মহিলা দার্শনিক) কী করছিলেন? পরবর্তী গ্রন্থ 'দ্বিতীয় লিঙ্গ' প্রকাশিত হওয়ার পরে আমার সব সংশয় ঘুচে গেল। হুমায়ুন আজাদ অত্যন্ত বিশ্বস্ততারসহকারে সিমোন দ্যা বোভেয়ারের বই বাংলাভাষায় নিজে লিখেন। সমস্ত মাল-মসলা সিমোন দ্যা বোভেয়ারের। হুমায়ুন আজাদ এই বিদূষী দার্শনিক মহিলার পরিচ্ছন্ন রুচি এবং দার্শনিক নির্লিপ্ততা কোথায় পাবেন? কুরুচি এবং অশ্লীলতাটুকুই এই গ্রন্থে হুমায়ুন আজাদের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ। এ বিষয়ে আরো একটা কথা উল্লেখ করতে চাই। 'নারী' গ্রন্থটি যখন বাজেয়াপ্ত করা হল আমরা লেখকরা মিলে প্রস্তাব করলাম এ ধরণের গ্রন্থ নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে মিছিল করে প্রতিবাদ জানাব। আদালতে মামলা করব। কিন্তু হুমায়ুন আজাদ পিছিয়ে গেলেন। তখন ধরে নিয়েছিলাম হুমায়ুন আজাদের সৎসাহসের অভাব আছে। 'দ্বিতীয় লিঙ্গ' প্রকাশিত হওয়ার পর আসল রহস্য বুঝতে পারলাম। মামলায় লড়ে 'নারী' গ্রন্থটি বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করা গেলেও আর্থিকভাবে হুমায়ুন আজাদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অল্প। কারণ এই লেখার যতটুকু চমক প্রথম বছরেই তা নিঃশেষ হয়েছিল। নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হলেও পাঠকের বিশেষ চাহিদা থাকবে না। 'নারী' গ্রন্থটি নিষিদ্ধ হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করে হুমায়ুন আজাদ নতুন একটা জালিয়াতি করলেন। সে একই বই ভিন্ন নামে ভিন্ন মোড়কে প্রকাশ করলেন। বাংলাদেশে মহাজ্ঞানী-মনীষী হতে হলে এই ধরনের কত রকম ফন্দি-ফিকির করতে হয়! কত রকম ফন্দি-ফিকির শিখতে হয়!
হুমায়ুন আজাদ একটা দাবি অত্যন্ত জোরের সঙ্গে করে আসছেন, (তা হলো) তিনি পশ্চিমা ঘরানার পন্ডিত। এতদঞ্চলের নকলবাজ, অনুকরণসর্বস্ব পল্লবগ্রাহী বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। তাঁর 'আমার অবিশ্বাস' গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর এই দাবির যথার্থতা প্রমাণিত হল। প্রয়াত বৃটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল ঊনত্রিশ বছর বয়সে যে গ্রন্থটি 'Why I am not a christian' লিখেছিলেন, তার বঙ্গীয় সংস্করণ প্রকাশ করে সর্বত্র আস্ফালন করে বেড়াতে লাগলেন এটা তার মৌলিক কীর্তি। কী করে পশ্চিমা ঘরানার পন্ডিত হতে হয়, এ সময়ের মধ্যে হুমায়ুন আজাদ তার এক সহজ ফর্মুলা উদ্ভাবন করে ফেলেছেন। স্বর্গত পশ্চিমা লেখকদের লেখা আপনার মাতৃজবানে অনুবাদ করবেন এবং তার সঙ্গে খিস্তি-খেউর মিশিয়ে দেবেন। তাহলেই আপনি পশ্চিমা ঘরানার পন্ডিত বনে যাবেন।"
আহমদ ছফা
মানবজমিন, ১ ডিসেম্বর, ১৯৯৮
মানবজমিন, ১ ডিসেম্বর, ১৯৯৮
'জাফর ইকবাল পর্ব'
জাফর ইকবাল বিরোধী যারা আছে, তারা উনার নামে নানান সময়ে নানান কিছু রটিয়ে থাকে।
উনার সাথে আদর্শিক এবং মতপার্থক্যগত দ্বন্ধ হেতু এরা এসব করে থাকতে পারে। এসবের কতোটুকু সত্য, কতোটুকু মিথ্যা তা নির্ণয়ে যাবো না। তবে, জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে লেখাচুরি বা আইডিয়া চুরির একটি পুরোনো অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিপক্ষের কাছ থেকে নয়, উনার স্বপক্ষের কারো কাছ থেকে যদি এই অভিযোগ শুনি, কেমন দেখাবে?
জার্মান প্রবাসী নাস্তিক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে অনেকেই চিনেন। সেই আসিফ বেশকিছু বছর আগে সামু ব্লগে জাফর ইকবালের লেখাচুরির ঘটনা নিয়ে বিরাট এক আর্টিকেল লিখেছিলেন।
মুশকিল হলো, খুব সম্প্রতি আসিফ অথবা ব্লগ কর্তৃপক্ষ সেই লেখাটি মুছে দিয়েছে। কিন্তু ভাগ্যগুণে, লেখাটি আমি অনেক আগেই সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম। আজকে কাজে লেগে গেলো।
যাহোক, নিচে আসিফের লেখাটি হুবহু তুলে ধরছি।
ব্লগে অই লেখাটি আর নেই। তবে, 'প্রজন্ম চত্বর' নামের একটি পেইজ এই লেখাটি শেয়ার করেছিলো তখন। সেটা রয়েছে। আগ্রহীদের সেই লিঙ্ক দেওয়া যাবে।
উনার সাথে আদর্শিক এবং মতপার্থক্যগত দ্বন্ধ হেতু এরা এসব করে থাকতে পারে। এসবের কতোটুকু সত্য, কতোটুকু মিথ্যা তা নির্ণয়ে যাবো না। তবে, জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে লেখাচুরি বা আইডিয়া চুরির একটি পুরোনো অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিপক্ষের কাছ থেকে নয়, উনার স্বপক্ষের কারো কাছ থেকে যদি এই অভিযোগ শুনি, কেমন দেখাবে?
জার্মান প্রবাসী নাস্তিক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে অনেকেই চিনেন। সেই আসিফ বেশকিছু বছর আগে সামু ব্লগে জাফর ইকবালের লেখাচুরির ঘটনা নিয়ে বিরাট এক আর্টিকেল লিখেছিলেন।
মুশকিল হলো, খুব সম্প্রতি আসিফ অথবা ব্লগ কর্তৃপক্ষ সেই লেখাটি মুছে দিয়েছে। কিন্তু ভাগ্যগুণে, লেখাটি আমি অনেক আগেই সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম। আজকে কাজে লেগে গেলো।
যাহোক, নিচে আসিফের লেখাটি হুবহু তুলে ধরছি।
ব্লগে অই লেখাটি আর নেই। তবে, 'প্রজন্ম চত্বর' নামের একটি পেইজ এই লেখাটি শেয়ার করেছিলো তখন। সেটা রয়েছে। আগ্রহীদের সেই লিঙ্ক দেওয়া যাবে।
আসিফ লিখেছে-
"মুহাম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন সম্পর্কে লিখেছিলাম, যা সম্পর্কে কয়েকজন বন্ধু আপত্তি তুলেছেন এবং রেফারেন্স দেখতে চেয়েছেন। প্রসঙ্গ হচ্ছে, মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কোন লেখা নাম উল্লেখ না করেই বিদেশি কোন বইয়ের বা গল্পের হুবহু বা আংশিক অনুবাদ, বা কপি, বা কয়েকটি গল্প থেকে টুকে নেয়া কিনা। সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করছি।
সমস্যা হচ্ছে, এই সম্পর্কে কিছু লিখতে যাওয়াটাই বিপত্তিকর। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সম্পর্কে এমনিতেই এক শ্রেণির মানুষ সদাসর্বদা মুখিয়ে থাকেন, কখন তারা উনাকে এক হাত নিতে পারবে। এরকম পরিস্থিতিতে জাফর ইকবাল সম্পর্কে কোন অভিযোগ তোলা আসলে সেই সব জামাত শিবির ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের পক্ষেই চলে যায়। কিন্তু তারপরেও কিছু বিষয় প্রকাশ জরুরী হয়ে পরে, এবং এই সমালোচনাটা মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে খাটো করার উদ্দেশ্যে নয়। বরঞ্চ মনে করি বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা তার গুরুত্ব বৃদ্ধিই করবে। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল শুধুমাত্র একজন সায়েন্স ফিকশন লেখক নন, তিনি এর চাইতে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। বর্তমান সময়ে তিনি ধর্মান্ধ জামাত শিবির ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর মূর্তিমান আতংক। সদাহাস্যমুখ একজন নিপাট ভদ্রলোক কীভাবে অস্ত্রধারী মৌলবাদীদের ত্রাস হয়ে উঠতে পারে, তা খুবই অনন্য ঘটনা। হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কেও একই ধরণের অভিযোগ এসেছিল, শ্রদ্ধেয় আহমদ ছফা নিজেই হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কে অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। এবং হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কেও কিছু বিষয়ের সত্যতা পাওয়া যায়, উনার কয়েকটি প্রবচন হুবহু ইউরোপীয় কয়েকজন নারীবাদী কিংবা দার্শনিকের বাণী থেকে অনুদিত। আচ্ছা, সে নিয়ে আরেকদিন লেখা যাবে। আপাতত মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখার সাথে হুবহু সাদৃশ্যপূর্ণ একটি লেখার বিবরণ দিচ্ছি। উল্লেখ্য, এরকম আরো অনেকগুলো উদাহরণ হাতের কাছে একসময় জড়ো করেছিলাম, কিন্তু দিনশেষে তা জামাত শিবিরের কাজে আসবে মনে করে আর লেখা হয়ে ওঠে নি। আজকে একটিমাত্র উদাহরণ দিচ্ছি।
২০০৪ সালে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল একটি সায়েন্স ফিকশন লেখেন, বইটার নাম অবনীল। কাহিনীটা অনেকটা এরকমঃ
ভবিষ্যৎ সময়কাল। একটি মহাকাশযানে করে কিছু মহাকাশযাত্রী যাচ্ছে। সেই মহাকাশযানটিতে তাদের সাথে রয়েছে একদল বন্দী, যাদেরকে বলা হয় নীল মানব। এই নীল মানব হচ্ছে মানুষের বিচ্ছিন্ন একটি হিংস্র প্রজাতি, যারা নিজেরাই নিজেদের এক ধরণের বিবর্তন ঘটয়ে নিয়েছে। মানুষের সাথে এই নীল মানবের ভয়ংকর সংঘর্ষ এবং শত্রুতা। এরা একে অন্যকে পেলেই হত্যা করে। এরকম কিছু নীল মানবকে বন্দী করে মহাকাশযানটি যাচ্ছে। নীল মানবরা পালাবার চেষ্টা করার সময় মহাকাশযানটির সবাই মারা যায়, বেঁচে থাকে একটি নীল মানব এবং একজন মহাকাশযাত্রী। মহাকাশযানের নিরাপত্তা প্রসেসর বারবার নীল মানবটিকে হত্যা করতে বলার পরেও যেই মেয়ে মহাকাশযাত্রীটি বেঁচে ছিল সে তা করে না। তারা একটি গ্রহে নামে, যেই গ্রহটিতে বুদ্ধিহীন কিছু নৃশংস প্রাণী বসবাস করে।
নিজেদের বিবর্তিত করে ফেলার কারণে নীল মানবগুলো মানুষের চাইতে বেশি শক্তিশালী, তাদের সারভাইভিং ক্ষমতা বেশি, তারা অন্ধকারেও চোখে দেখে, এবং তাদের ফুসফুস সাধারণ মানুষের চাইতে অপেক্ষাকৃত বড় হবার কারণে বেশিক্ষণ নিঃশ্বাস ধরে রাখতে পারে। অন্ধকারে দেখতে পাবার কারণে তাদের চোখে এক ধরণের চশমা পরতে হয়। গ্রহটিতে নামার পরে হঠাৎ করেই গ্রহটি অন্ধকার হয়ে যায়, এবং এক ধরণের ধারালো মুখের প্রাণী তাদের আক্রমণ করে। প্রাণীগুলো একই সাথে সরীসৃপ কিংবা কীটের মত মনে হয়। অন্ধকারেও নীল মানবটি দেখতে পাবার কারণে সে দেখতে পায় সেই বড় বড় প্রাণীগুলোকে। পালাবার সময় তারা আবিষ্কার করে, সেই প্রাণীটি আসলে অন্ধকারের জীব এবং আলো ভয় পায়। আলোতে তাদের চামড়া পুড়ে যেতে থাকে। তারা মহাকাশযানটির এনার্জি ব্যবহার করে আলো জ্বালতে শুরু করে। টর্চ লাইট দিয়ে রাস্তায় আলো ফেলতেই প্রাণীগুলো রাস্তা থেকে চিৎকার করে সরে যেতে থাকে।
পরে জানা গেল, এই গ্রহে মানুষ থাকতো, কিন্তু জ্বালানী শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা মারা পরে আলো না জ্বালাতে পারার কারণে। ষাট কিলোমিটার দূরে তাদের একটি স্টেশন রয়েছে। সেখানে তারা যায় একটি যোগাযোগ মডিউল ঠিক করতে, কিন্তু ফেরার সময় দেখে গ্রহটি অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। আর ধেয়ে আসছে লক্ষ লক্ষ হিংস্র প্রাণী।
সেই হিংস্র প্রাণীগুলোর বিরুদ্ধে এই দুইজন মানুষ যুদ্ধ করতে করতে হিংস্র নীল মানবের মধ্যেও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। মেয়েটাও বুঝতে পারে নীল মানবদের হিংস্রতা আসলে নিজেদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই। হিংস্র নীল মানবটি যে হিংস্র হলেও এত খারাপ কিছু না তা মেয়েটি বুঝতে পারে। তাদের মধ্যে এক ধরণের মানবিক সম্পর্ক তৈরি হয়, প্রেম হয় এবং মেয়েটিকে জীবন বাজি রেখে রক্ষা করার পরে শেষ পর্যন্ত নীল মানবটি মারা যায়।
এবারে আসুন আরেকটি গল্প শুনি। ২০০০ সালে একটি সিনেমা মুক্তি পায়, সিনেমাটার নাম পিচ ব্লাক। বিখ্যাত অভিনেতা ভিন ডিজেল সিনেমাটার নায়ক(বন্দী নীল মানব); সিনেমাটি ডাউনলোড করে দেখুন এবং এরপরে মিলিয়ে নিন। অথবা Pitch Black: Fight Evil With Evil, by Frank Lauria বইটাও পড়ে দেখতে পারেন।
যাইহোক, প্রয়োজনে এরকম আরো আট দশটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। সমস্যা হচ্ছে, মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বইটি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও গল্পটি যে আসলে বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে, এরকম কোন কথাবার্তা খুঁজে পেলাম না।"
সমস্যা হচ্ছে, এই সম্পর্কে কিছু লিখতে যাওয়াটাই বিপত্তিকর। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সম্পর্কে এমনিতেই এক শ্রেণির মানুষ সদাসর্বদা মুখিয়ে থাকেন, কখন তারা উনাকে এক হাত নিতে পারবে। এরকম পরিস্থিতিতে জাফর ইকবাল সম্পর্কে কোন অভিযোগ তোলা আসলে সেই সব জামাত শিবির ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের পক্ষেই চলে যায়। কিন্তু তারপরেও কিছু বিষয় প্রকাশ জরুরী হয়ে পরে, এবং এই সমালোচনাটা মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে খাটো করার উদ্দেশ্যে নয়। বরঞ্চ মনে করি বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা তার গুরুত্ব বৃদ্ধিই করবে। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল শুধুমাত্র একজন সায়েন্স ফিকশন লেখক নন, তিনি এর চাইতে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। বর্তমান সময়ে তিনি ধর্মান্ধ জামাত শিবির ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর মূর্তিমান আতংক। সদাহাস্যমুখ একজন নিপাট ভদ্রলোক কীভাবে অস্ত্রধারী মৌলবাদীদের ত্রাস হয়ে উঠতে পারে, তা খুবই অনন্য ঘটনা। হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কেও একই ধরণের অভিযোগ এসেছিল, শ্রদ্ধেয় আহমদ ছফা নিজেই হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কে অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। এবং হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কেও কিছু বিষয়ের সত্যতা পাওয়া যায়, উনার কয়েকটি প্রবচন হুবহু ইউরোপীয় কয়েকজন নারীবাদী কিংবা দার্শনিকের বাণী থেকে অনুদিত। আচ্ছা, সে নিয়ে আরেকদিন লেখা যাবে। আপাতত মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখার সাথে হুবহু সাদৃশ্যপূর্ণ একটি লেখার বিবরণ দিচ্ছি। উল্লেখ্য, এরকম আরো অনেকগুলো উদাহরণ হাতের কাছে একসময় জড়ো করেছিলাম, কিন্তু দিনশেষে তা জামাত শিবিরের কাজে আসবে মনে করে আর লেখা হয়ে ওঠে নি। আজকে একটিমাত্র উদাহরণ দিচ্ছি।
২০০৪ সালে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল একটি সায়েন্স ফিকশন লেখেন, বইটার নাম অবনীল। কাহিনীটা অনেকটা এরকমঃ
ভবিষ্যৎ সময়কাল। একটি মহাকাশযানে করে কিছু মহাকাশযাত্রী যাচ্ছে। সেই মহাকাশযানটিতে তাদের সাথে রয়েছে একদল বন্দী, যাদেরকে বলা হয় নীল মানব। এই নীল মানব হচ্ছে মানুষের বিচ্ছিন্ন একটি হিংস্র প্রজাতি, যারা নিজেরাই নিজেদের এক ধরণের বিবর্তন ঘটয়ে নিয়েছে। মানুষের সাথে এই নীল মানবের ভয়ংকর সংঘর্ষ এবং শত্রুতা। এরা একে অন্যকে পেলেই হত্যা করে। এরকম কিছু নীল মানবকে বন্দী করে মহাকাশযানটি যাচ্ছে। নীল মানবরা পালাবার চেষ্টা করার সময় মহাকাশযানটির সবাই মারা যায়, বেঁচে থাকে একটি নীল মানব এবং একজন মহাকাশযাত্রী। মহাকাশযানের নিরাপত্তা প্রসেসর বারবার নীল মানবটিকে হত্যা করতে বলার পরেও যেই মেয়ে মহাকাশযাত্রীটি বেঁচে ছিল সে তা করে না। তারা একটি গ্রহে নামে, যেই গ্রহটিতে বুদ্ধিহীন কিছু নৃশংস প্রাণী বসবাস করে।
নিজেদের বিবর্তিত করে ফেলার কারণে নীল মানবগুলো মানুষের চাইতে বেশি শক্তিশালী, তাদের সারভাইভিং ক্ষমতা বেশি, তারা অন্ধকারেও চোখে দেখে, এবং তাদের ফুসফুস সাধারণ মানুষের চাইতে অপেক্ষাকৃত বড় হবার কারণে বেশিক্ষণ নিঃশ্বাস ধরে রাখতে পারে। অন্ধকারে দেখতে পাবার কারণে তাদের চোখে এক ধরণের চশমা পরতে হয়। গ্রহটিতে নামার পরে হঠাৎ করেই গ্রহটি অন্ধকার হয়ে যায়, এবং এক ধরণের ধারালো মুখের প্রাণী তাদের আক্রমণ করে। প্রাণীগুলো একই সাথে সরীসৃপ কিংবা কীটের মত মনে হয়। অন্ধকারেও নীল মানবটি দেখতে পাবার কারণে সে দেখতে পায় সেই বড় বড় প্রাণীগুলোকে। পালাবার সময় তারা আবিষ্কার করে, সেই প্রাণীটি আসলে অন্ধকারের জীব এবং আলো ভয় পায়। আলোতে তাদের চামড়া পুড়ে যেতে থাকে। তারা মহাকাশযানটির এনার্জি ব্যবহার করে আলো জ্বালতে শুরু করে। টর্চ লাইট দিয়ে রাস্তায় আলো ফেলতেই প্রাণীগুলো রাস্তা থেকে চিৎকার করে সরে যেতে থাকে।
পরে জানা গেল, এই গ্রহে মানুষ থাকতো, কিন্তু জ্বালানী শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা মারা পরে আলো না জ্বালাতে পারার কারণে। ষাট কিলোমিটার দূরে তাদের একটি স্টেশন রয়েছে। সেখানে তারা যায় একটি যোগাযোগ মডিউল ঠিক করতে, কিন্তু ফেরার সময় দেখে গ্রহটি অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। আর ধেয়ে আসছে লক্ষ লক্ষ হিংস্র প্রাণী।
সেই হিংস্র প্রাণীগুলোর বিরুদ্ধে এই দুইজন মানুষ যুদ্ধ করতে করতে হিংস্র নীল মানবের মধ্যেও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয়। মেয়েটাও বুঝতে পারে নীল মানবদের হিংস্রতা আসলে নিজেদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই। হিংস্র নীল মানবটি যে হিংস্র হলেও এত খারাপ কিছু না তা মেয়েটি বুঝতে পারে। তাদের মধ্যে এক ধরণের মানবিক সম্পর্ক তৈরি হয়, প্রেম হয় এবং মেয়েটিকে জীবন বাজি রেখে রক্ষা করার পরে শেষ পর্যন্ত নীল মানবটি মারা যায়।
এবারে আসুন আরেকটি গল্প শুনি। ২০০০ সালে একটি সিনেমা মুক্তি পায়, সিনেমাটার নাম পিচ ব্লাক। বিখ্যাত অভিনেতা ভিন ডিজেল সিনেমাটার নায়ক(বন্দী নীল মানব); সিনেমাটি ডাউনলোড করে দেখুন এবং এরপরে মিলিয়ে নিন। অথবা Pitch Black: Fight Evil With Evil, by Frank Lauria বইটাও পড়ে দেখতে পারেন।
যাইহোক, প্রয়োজনে এরকম আরো আট দশটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। সমস্যা হচ্ছে, মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বইটি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও গল্পটি যে আসলে বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে, এরকম কোন কথাবার্তা খুঁজে পেলাম না।"
উপরে দু'জন গুরুর প্লাজারিজম (নকলবাজি) সম্পর্কে তাদের দুই গোত্রীয় লোকের লেখাই তুলে ধরা হলো।
সম্প্রতি, আরো দুই শাহাবাগী, সামিয়া রহমান আর মারজান সাহেবের নকলবাজি ধরা পড়েছে।
মিশেল ফু'কোর লেখাকে হুবহু নকল করে চালিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে শিকাগো ইউনিভারসিটি প্রেস।
ঘটনা শুনে পুরোনো গল্পও মনে পড়ে গেলো।
সম্প্রতি, আরো দুই শাহাবাগী, সামিয়া রহমান আর মারজান সাহেবের নকলবাজি ধরা পড়েছে।
মিশেল ফু'কোর লেখাকে হুবহু নকল করে চালিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে শিকাগো ইউনিভারসিটি প্রেস।
ঘটনা শুনে পুরোনো গল্পও মনে পড়ে গেলো।
সুকান্তের ঢঙে বলি-
'শাহবাগ যেন নকলবাজদের আঁতুড়ঘর'
'তাহাদের নকলনামা'/ আরিফ আজাদ
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.