সুখ / আরিফ আজাদ
সুখ কি’ এই প্রশ্নটা মানুষের সুপ্রাচীনকালের। সুখের সংজ্ঞা নির্ণয় করতে কতোশতো রকমের তথ্য আর তত্ত্ব মানুষ যুগে যুগে দাঁড় করিয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। সুখকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য মানুষ কখনো আশ্রয় নিয়েছে দর্শনের, কখনো বিজ্ঞানের। কখনো সে বস্তুবাদের চাকচিক্যময় বিলাসীতাকেই মনে করেছে সুখের অন্তর্নিহিত রহস্য। আবার কেউ কেউ একান্ত স্রষ্টার মাঝে নিজেকে সঁপে দেওয়ার মধ্যেই খুঁজে নিয়েছে নিজের সুখ। তবুও প্রশ্ন থেকে যায়- সুখ আসলে কি?
আধুনিক বিজ্ঞান যখন তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে, যখন রহস্যাবৃত জিনিসগুলো মানুষ জেনে নিচ্ছে, যখন শহরগুলো ভরে উঠছে ইট-পাথরের ইমারতে, যখন বন-জঙ্গল উধাও হয়ে কল-কারখনায় ছেঁয়ে যাচ্ছে বিরান ভূমি, তখন একদল লোক এসে আমাদের জানালো- সুখ আসলে ভোগে। এই দুনিয়াকে উপভোগ করার মধ্যেই সুখ। যার বাড়ি আছে, গাড়ি আছে, ইচ্ছেমতো ভোগের জন্য নারী আছে, যশ আছে, খ্যাতি আছে- জগতে সে-ই হলো সুখী। তারা হ্যামিলনের বংশী বাদকের মতো আমাদের এমন পার্থিব সুখের দিকে আহ্বান করতে লাগলো। তাদের বাঁশির সুর আমাদের হৃদয় গহীনে গিয়ে ঠেকলো। তারা আমাদের বোঝাতে সক্ষম হলো যে, এই জীবনটাই শেষ। মৃত্যুই সবকিছুর সমাপ্তি। এরপর আর কিচ্ছু নেই, কিচ্ছু না... কেবল অন্ধকার আর অন্ধকার... সুতরাং, এই জীবনকে যে যতোবেশি উপভোগ করতে পারবে, সে ততো বেশি সুখী মানুষ।
আমরা শুনলাম। এরপর, সুখী মানুষ হবার জন্য একটা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়লাম। এই প্রতিযোগিতা বড় হবার প্রতিযোগিতা। কাকে ছাড়িয়ে কে বড় হবো। আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য নির্ধারিত হলো। কাড়ি কাড়ি টাকায় আমাদের ব্যাংক ভর্তি থাকতে হবে। আমার নিজস্ব গাড়ি থাকতে হবে, বাড়ি থাকতে হবে। আমাকে জৈবিক সুখ দেওয়ার জন্য একদল সুন্দরী রমণী থাকতে হবে। যশ-খ্যাতি তো অবশ্যই থাকা চাই। মিডিয়াতে আমি হবো ‘টক অব দ্য টাউন’, পত্রিকার ‘টক অব দ্য ডে’। আমাকে নিয়ে ফিচার হবে, প্রদর্শনী হবে। আমাকে এক নজর দেখার জন্য, আমার একটা অটোগ্রাফের জন্য মানুষ ভিড় জমাবে- তবেই না আমি সুখী মানুষ।
এমন সুখ লাভের তীব্র প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়ে যারা খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করে ফেলেছে, যারা হয়ে গেছে মিডিয়ার ‘সুপারস্টার’, মাঝে মাঝে আমরা তাদের কিছু করুণ পরিণতির গল্প শুনতে পাই। কেমন সে গল্প? আমরা খবর পাই- হলিউডের অমুক সুপারস্টার আত্মহত্যা করেছে। এই তো কিছুদিন আগের কথা, লিনকিন পার্কের এক বিখ্যাত গায়ক আত্মহত্যা করেছিলেন। একজীবনে তার কি ছিলোনা? টাকা, পয়সা, বাড়ি-গাড়ি-নারী, যশ-খ্যাতি... তবুও কেনো তিনি আত্মহত্যা করলেন?
কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে খ্যাতিই সবকিছু। যার খ্যাতি নেই সে সুখী নয়। সুখী হতে হলে তাকে খ্যাতি অর্জন করতে হবে। কিছুদিন আগে একটা গুঞ্জন শোনা গিয়েছিলো। হলিউডের এক অভিনেত্রী তার সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলো। অভিনয় জগতে ‘খ্যাতির’ জন্য তাকে পুরুষদের বিছানায় সঙ্গ দিতে হয়েছে। খ্যাতির তাড়না আর মোহে অন্ধ এই নারী অভিনেত্রী হ্যামিলনের সেই বংশীবাদকদের সুরে নিজেকে একাত্ম করে রেখেছিলো। ভেবেছিলো, এতেই বুঝি সুখ। সেই খ্যাতি আর সুখ লাভের আশায় বিলিয়েছে নিজের সর্বস্ব। হয়েছে পুরুষদের বিছানার সামগ্রী। যখন তার হুশ ফিরলো, যখন বুঝতে পারলো যে এটা আসলে সুখ নয়- মরিচীকা, তখন সে সোচ্চার হলো, প্রতিবাদ জানালো। টুইটারে লিখলো, - ‘If You’ve benn sexually harassed or assaulted, write ‘me too’ as a reply to this tweet’. দেখা গেলো এই টুইটের রিপ্লাই হিসেবে হাজার হাজার টুইট আসতে লাগলো। স্বপ্নিল হলিউডের হাজার হাজার অভিনেত্রী সেই টুইটের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ‘Me Too’ লিখে প্রতিবাদ জানালো। অর্থাৎ, তারাও তাদের সেই ‘সুখের দুনিয়ায়’ কোন না কোনভাবে সেক্সুয়ালি হ্যারেসড। যেই খ্যাতি আর সুখের জন্য নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলো পার্থিবতা লাভের মধ্যে, সেই সুখ অর্জন করতে গিয়ে নিজেকে বিকিয়ে বসা সেই অভিনেত্রীরা বুঝেছিলো- চোখ ধাঁধানো এই কর্পোরেট দুনিয়া আসলে নরক।
যা বলছিলাম। লিনকিন পার্কের সেই গায়ক, কিংবা নিজেকে নগ্ন করে উপস্থাপন করে খ্যাতি লাভ করা সেই নায়িকা- কেউ কি আদৌ সুখী? আদতে সুখের মূল হচ্ছে সন্তুষ্টি, পরিতৃপ্তি। আপনি যখন কোনকিছু পেয়ে সন্তুষ্ট হবেন না, তখন আপনার মধ্যে একধরণের অস্থিরতা কাজ করবে। যা পেয়েছেন তারচেয়ে বেশি কিভাবে পাওয়া যায়, বেশি কিভাবে অর্জন করা যায়। এই ‘বেশি’ পাওয়া বা বেশি অর্জন করার তাড়না আপনাকে সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়াবে। আপনি ঘুমের মধ্যেও অস্থির থাকবেন। ঘুম ভাঙলেই দৌঁড়াতে মন চাইবে। সুখ তাহলে কোথায়?
খালি টাকা আর খ্যাতিই যদি সব হতো, জুকারবার্গ হয়তোবা পৃথিবীর সেরা পাঁচজন সুখী মানুষের একজন হতো। সবচেয়ে কম বয়সে বিলিওনিয়ার বনে যাওয়া মার্ক জুকারবার্গ কি আসলে সুখী? মনে হয়না... তার রয়েছে অসম্ভবরকম খ্যাতি আর অর্থ। তবে, তাতেই সে সন্তুষ্ট নয়। তার আরো চাই, আরো...আরো...
খালি টাকা আর খ্যাতিই যদি সব হতো, জুকারবার্গ হয়তোবা পৃথিবীর সেরা পাঁচজন সুখী মানুষের একজন হতো। সবচেয়ে কম বয়সে বিলিওনিয়ার বনে যাওয়া মার্ক জুকারবার্গ কি আসলে সুখী? মনে হয়না... তার রয়েছে অসম্ভবরকম খ্যাতি আর অর্থ। তবে, তাতেই সে সন্তুষ্ট নয়। তার আরো চাই, আরো...আরো...
আরো পাওয়ার জন্য তাকে যা করতে হয়, তার সবটাই সে করবে। তাতে হলো কি? কিছুদিন আগে একটা ভিডিওতে দেখলাম জুকারবার্গ মার্কিন আদালত ফেইস করছে। ঘটনা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সে নাকি আমেরিকার গত নির্বাচনের সময় মার্কিন ইউজারদের তথ্য ফাঁস করেছে থার্ড পার্টির কাছে। এই কাজের জন্য সে নিশ্চয়ই বিশাল অঙ্কের বান্ডেল পেয়েছে। কিন্তু, দিনশেষে পেলো কি, ভৎসর্না আর মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিচারের। এই যে লোভ, এই যে আরো পাওয়া, আরো বড় হওয়ার এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা, এটা মানুষকে নৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়। সে যখন লোভ আর লালসার মধ্যে ডুবে যায়, তখন সে ভালো-মন্দের তফাৎ বুঝেনা।
কর্পোরেট দুনিয়ার কথিত সুখের পেছনে ছুটতে গিয়ে হতোদ্যোম হয়ে যাওয়া এরকম আরো অনেক কাহিনী আছে। এই গল্পগুলো থেকে যা শেখার তা হলো- সুখ আসলে শারীরিক নয়, আত্মিক।
বিখ্যাত ‘Yes! Magazine’ একবার সুখী হবার কিছু বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় নিয়ে ফিচার করেছিলো। তারা যে কয়েকটা কারণ উল্লেখ করেছিলো তার মধ্যে একটা হলো- তুলনা এড়িয়ে চলা। অর্থাৎ, একজন দিন দিন ধনী থেকে ধনী হচ্ছে বলেই যে আমাকেও ধনী হতে হবে, এরকম মানসিকতা এড়িয়ে চলা। বরঞ্চ নিজের অবস্থানের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা।
পবিত্র কোরআনের দিকে তাকান, আমাদের রব আমাদের বলছেন- ‘কখনোই সে সমস্ত বস্তুর দিকে তাকিওনা যা আমি তাদেরকে (দুনিয়া পূজারীদের) উপভোগের জন্য দিয়েছি। এসব দিয়ে আমি তাদেরকে পরীক্ষা করি। বস্তুত, তোমার প্রতিপালকের দেওয়া রিযিকই হলো সবচেয়ে উত্তম ও সবচেয়ে বেশি স্থায়ী’ [ ত্বোহা- ১৩১]
বিখ্যাত ‘Yes! Magazine’ একবার সুখী হবার কিছু বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় নিয়ে ফিচার করেছিলো। তারা যে কয়েকটা কারণ উল্লেখ করেছিলো তার মধ্যে একটা হলো- তুলনা এড়িয়ে চলা। অর্থাৎ, একজন দিন দিন ধনী থেকে ধনী হচ্ছে বলেই যে আমাকেও ধনী হতে হবে, এরকম মানসিকতা এড়িয়ে চলা। বরঞ্চ নিজের অবস্থানের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা।
পবিত্র কোরআনের দিকে তাকান, আমাদের রব আমাদের বলছেন- ‘কখনোই সে সমস্ত বস্তুর দিকে তাকিওনা যা আমি তাদেরকে (দুনিয়া পূজারীদের) উপভোগের জন্য দিয়েছি। এসব দিয়ে আমি তাদেরকে পরীক্ষা করি। বস্তুত, তোমার প্রতিপালকের দেওয়া রিযিকই হলো সবচেয়ে উত্তম ও সবচেয়ে বেশি স্থায়ী’ [ ত্বোহা- ১৩১]
সুখী হতে চান? চোখ ধাঁধানো কর্পোরেট দুনিয়া ব্যর্থ হয়ে মানুষ এখন যে উপায়ের দিকে ঝুঁকছে, সে উপায় তো কতো আগেই আপনার রব আপনার জন্য নাযিল করেছেন। আপনার রব আপনাকে বলছে আপনি যেন অন্যের সম্পদ, অর্থ, বিলাসীতা, ঐশ্বর্যের দিকে মোহিত না হোন। বরং, আপনাকে যা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই আপনি সন্তুষ্ট থাকুন। এতেই তৃপ্তি, এতেই শান্তি, এতেই সুখ।
সুখী হবার জন্য Yes Magazine এর পরের উপায় হলো- ‘Smile, even when you don’t feel like it’. অর্থাৎ, হাসুন। এমনকি, যখন দুঃখ ভর করে মনে, তবুও। যারা হাসতে পারে, তাদেরকে আশাবাদী মানুষ হিসেবে দেখা হয়। তাদের মধ্যে সবসময় একটা পজিটিভনেস কাজ করে।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘কোন ভালো কাজকেই ছোট মনে করো না, এমনকি যদি সেটা তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলাও হয়’। একজন প্রখ্যাত সাহাবী (রাঃ) বলেছেন, ‘যেদিন থেকে আমি ইসলামে দাখিল হই, সেদিন থেকে এমন কোনদিন রাসূল (সাঃ) এর সাথে আমার সাক্ষাত হয়নি যখন তাঁর মুখে হাসি ছিলো না’।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘কোন ভালো কাজকেই ছোট মনে করো না, এমনকি যদি সেটা তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলাও হয়’। একজন প্রখ্যাত সাহাবী (রাঃ) বলেছেন, ‘যেদিন থেকে আমি ইসলামে দাখিল হই, সেদিন থেকে এমন কোনদিন রাসূল (সাঃ) এর সাথে আমার সাক্ষাত হয়নি যখন তাঁর মুখে হাসি ছিলো না’।
Yes Magazine এর সেই ফিচারে সুখী হবার উপায় হিসেবে আরো ছিলো কৃতজ্ঞ হওয়া, দান করা, এমনকি টাকার পেছনে না ছুটার জন্যও বলা ছিলো। তারা বলেছিলো- ‘Put money low on your list of properties’। আমরা জানি কৃতজ্ঞ হওয়া আমাদের জন্য অন্যতম বিশাল একটা শর্ত। যেকোন মূহুর্তে, যেকোন পরিস্থিতিতে, হোক সুখের কিংবা দুঃখের- আমাদের রবের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে হয়। বলতে হয়- আলহামদুলিল্লাহ। বান্দা যখন তার কষ্টকে হাসিমুখে বরণ করে নেয়, সে তখন সুখে পড়লেও কৃতজ্ঞ হতে ভুলেনা।
এজন্যই রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন, ‘মুমিনের ব্যাপারটা খুব অত্যাশ্চর্যজনক। সে যখন সুখে থাকে, তখন সে তার রবের প্রতি কৃতজ্ঞ হয় এবং এটা তার জন্য উত্তম। আবার, সে যখন কঠিন দুঃখ-কষ্টের ভিতর দিয়ে যায়, তখন সে সবর করে এবং রবের কৃতজ্ঞতা জানায়। এটাও তার জন্য উত্তম’।
এজন্যই রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন, ‘মুমিনের ব্যাপারটা খুব অত্যাশ্চর্যজনক। সে যখন সুখে থাকে, তখন সে তার রবের প্রতি কৃতজ্ঞ হয় এবং এটা তার জন্য উত্তম। আবার, সে যখন কঠিন দুঃখ-কষ্টের ভিতর দিয়ে যায়, তখন সে সবর করে এবং রবের কৃতজ্ঞতা জানায়। এটাও তার জন্য উত্তম’।
মোদ্দাকথা, হ্যামিলনের বংশীবাদকেরা আমাদের যে অদ্ভুত সুরে সুখের পথে ডাকে, সেই পথে আছে কেবল ধোঁকা আর প্রতারণা। কর্পোরেট দুনিয়ার রঙীন চশমা পরে চোখের সামনে দিয়ে তরতর করে আকাশ ছুঁতে থাকা ইমারতের ইট-পাথরের কোঠরে সুখ নেই। সুখ নেই বস্তুবাদী মহলের সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত ‘বড় হওয়া’ ‘নাম কুড়ানোর’ মাঝে। এগুলো সব ফাঁদ। খাদের কিনারায় পা ফসকালে যেমন তলিয়ে যেতে হয় অতল গহ্বরে, এই দুনিয়া ঠিক তেমনই। পা ফসকালেই বিপদ। কোরআনের ভাষায়- ‘এই দুনিয়ার জীবন নিছক খেল তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়’। [ আল আন-আমঃ ৩২]
আপনার রব আপনাকে বলছে এই দুনিয়া নিছক খেল তামাশা। একটা ধোঁয়াসা। একটা কূপ। একটা ফাঁদ। এখানে যা সুখ বলে ধরা হয় তা আসলে মরিচীকা। সুখ তো স্রষ্টার আনুগত্যে। তাকে পাওয়ার মাধ্যমে। এই কঠিন এবং অপ্রিয় সত্য যারা বুঝেছে, তারাই পেয়েছে সত্যিকার সুখের সন্ধান। সুখ তো কৃতজ্ঞতার অশ্রুতে। সুখ আছে আনুগত্যে মাথা নোয়ানোতে। সুখ আছে নিরীহ আকুল ফরিয়াদে।
আপনার রব আপনাকে বলছে এই দুনিয়া নিছক খেল তামাশা। একটা ধোঁয়াসা। একটা কূপ। একটা ফাঁদ। এখানে যা সুখ বলে ধরা হয় তা আসলে মরিচীকা। সুখ তো স্রষ্টার আনুগত্যে। তাকে পাওয়ার মাধ্যমে। এই কঠিন এবং অপ্রিয় সত্য যারা বুঝেছে, তারাই পেয়েছে সত্যিকার সুখের সন্ধান। সুখ তো কৃতজ্ঞতার অশ্রুতে। সুখ আছে আনুগত্যে মাথা নোয়ানোতে। সুখ আছে নিরীহ আকুল ফরিয়াদে।
‘সুখ’/ আরিফ আজাদ
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.