নাস্তিক সংখ্যার হিসাব / আরিফ আজাদ

একটা হিসাব করতে বসেছিলাম কিছুদিন আগে।
এই দেশে মোট জেনুইন (আসল প্রোফাইল ওয়ালা) নাস্তিকের সংখ্যা কতো?
এই হিসাবটা করতে গিয়ে দেখলাম, এই সংখ্যাটাকে আমি টেনেটুনেও ৫০ পার করাতে পারিনি।
সত্যি বলতে, অনলাইনে আমরা যেসকল নাস্তিক (মূলত ইসলাম বিদ্বেষী) দেখি, যারা দিব্যি লেখালেখি করে, এদের সংখ্যা একেবারে হাতেগোনা।
আমি অনেক খুঁজেও ৫০ টি আসল প্রোফাইলের নাস্তিক বের করতে পারিনি।
আমি এখানে নাস্তিক বলতে যাদের বুঝাচ্ছি, তারা এমন- যারা নাস্তিকতা চর্চা বলতে কেবল ইসলাম বিদ্বেষীতাকেই বুঝে।
এমন কেউ না, যে ধর্ম মানেনা ঠিকই, কিন্তু অন্যের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করার মতোন ছোটলোক নয়।
এখানে তাদেরকেই বুঝাচ্ছি, যাদের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয় এসব ছাঁইপাশ ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। যারা এসব করে পেট চালায়, সংসার চালায়। কেউ কেউ ইউরোপ আমেরিকার স্যাটেল হবার সৌভাগ্য অর্জন করে।
এরকম কিছু প্রোফাইল খুঁজছিলাম। শাহবাগের কিছু আন্ডার গ্রাজুয়েট গাঁজাখোরকে পেয়েছি এই তালিকায়। এদের কয়েকজন জার্মান, কানাডা, ইউ এস এ তে আছে এখন।
আর, ইন্টার পাশ একজন তো এসব করে অনেক আগেই জার্মানিতে স্যাটেল হয়ে গেছে।
যাহোক, যা বলছিলাম, এরা সংখ্যায় একেবারে নগন্য। কিন্তু, এদের একেকজনের রয়েছে ডজন ডজন ফেইক প্রোফাইল।
তাছাড়া, সংখ্যায় অতি নগন্য এই শ্রেণীটাকে সাপোর্ট করার জন্য তো বিশেষ একটা ধর্মের কিছু দাদা-দিদিরা নিবেদিত আছেনই। তাই আমাদের মনে হয় এরা আসলেই সংখ্যায় অনেক। কিন্তু বাস্তবে তা নয়।
তাহলে এরা এতো প্রচার পায় কীভাবে?
জ্বি, প্রচারটা করি আসলে আমরাই।
ওরা আল্লাহ-রাসূলকে গালি দিয়ে কিছু একটা লিখলেই আমাদের ভাইয়েরা সেখানে গিয়ে হামলে পড়েন। ইচ্ছেমতো গালি দেন, হুমকি ধমকি দেন।
আর ওরা কী করে জানেন? ওরা আড়ালে বসে মিটিমিটি হাসে আর মজা নেয়।
কারণ ওরা এটাই চায়। ওরা চায় আপনারা সেখানে যান। ইচ্ছেমতো ওদের গালিগালাজ করুন। কমেন্ট করুন। এতে কিন্তু আখেরে লাভটা ওদের।
আপনি বুঝতেই পারছেন না তার আইডিতে কমেন্ট করে (হোক গালি গালাজ, হুমকি, ধমকি কিংবা নসীহত) আপনি আসলে তাকে পপুলার বানিয়ে দিচ্ছেন। আপনি তার আইডিতে একটা কমেন্ট করা মাত্র সেটা আপনার মিউচুয়ালদের ওয়ালে শো করবে। যদি ২০ জন সেটা দেখে, তাদের মধ্যে এটলিস্ট ১০ জন তার আইডি ভিজিট করবে। তার ছাঁইপাশ লেখাগুলো পড়বে। মাথার টেম্পেরেচার লস হবে। ফলে সেও দু চারটা গালি বা হুমকি ধমকি দিয়ে কমেন্ট করবে। ব্যস, ওইদিকে তরতর করে অই নাস্তিকের প্রোফাইলের রেটিং, ভিউয়ার বেড়ে যাবে। লাভটা কার এসব করে? বুঝেন একটু।
ওদের কিন্তু মাথায় আপনারাই তুলেন। এইজন্য ওরা আপনার মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খায়।
জার্মান নিবাসী ইন্টার পাশ নাস্তিকটার ওয়ালে গিয়ে দেখলাম, ওর প্রতিটা লেখায় সব মুসলিমদের গালাগালি, হুমকি, ধমকি ইত্যাদি।
এতে করে ও কী থেমে যাচ্ছে? নাহ। ও আরো উৎসাহ পাচ্ছে। ও কিন্তু আপনার এই রিএ্যাকশানটাই চায়। শুধু ও না, লন্ডন প্রবাসী পল্টিবাজ মুফা থেকে শুরু করে এই শ্রেণীর সব- সবাই এটাই চায়।
ওদের লেখা পড়ুন। রিএ্যাকশান দেখান। Angry ইমো দিন। গালাগাল করে কমেন্ট করুন আর ওদের ভিডিও দেখে তাতে 'ভিউ' বাড়ান। আর কিছুনা।
সম্প্রতি আরেক গাঁজাখোর গজে উঠলো দেখলাম।খুব সচেতনভাবেই গাঁজাখোর বলছি।
পেইজ খুলে প্রথমে কিছু বিতর্কিত কার্টুন এঁকে সেগুলো টাকা দিয়ে ফেইসবুককে দিয়ে স্পন্সর করিয়েছে।
এরপর তার আর কিছুই করা লাগে নি। আমাদের ভাইয়েরা গিয়ে তার বাকি কার্টুনগুলোতে গালিগালাজ, হুমকি,ধামকি দিয়ে, তার কার্টুন গালি দিয়ে শেয়ার করে তাকে আরো ফেমাস বানিয়ে দিলো। সে এখন এসব আরো বাড়িয়ে দিলো। নবী রাসূল নিয়ে ইচ্ছেমতো সে কার্টুন বানাচ্ছে। তাহলে তাকে পপুলার করে দিলো কে?
কিছু মুসলিমরাই। যারা নেকীর জন্য গালি দিয়ে ধর্মরক্ষা করতে গিয়ে আরো বারোটা বাজাচ্ছেন।
ভাই আমার, একটু বুঝুন। এসব ফেইম সীকার ব্লাডি কীটগুলোকে আজকেই আনফলো, আনলাইক করুন। ইগনোর করুন। দেখবেন, আগামীকালকেই এরা চুপসে গেছে।
এই সেই পেইজ ( https://goo.gl/Tcztto ) যেখানে জঘন্য সব কার্টুন আঁকা হচ্ছে ইসলাম ধর্ম নিয়ে।
আমার লিস্টে কোন আইনের লোক, কোন সাংবাদিক, মিডিয়া কর্মী থাকলে এর বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা করার জন্য অনুরোধ করছি।
আর, যারা যারা ইতোমধ্যে এই পেইজে লাইক দিয়েছেন, দয়া করে আনলাইক করুন।
যারা কমেন্ট, শেয়ার করছেন, সেগুলো বন্ধ করুন।
আর, যারা লাইক দেন নি, তারা একটি কাজ করুন।এই পেইজে গিয়ে একটি রিপোর্ট করুন এবং সাথে করে এই পেইজে 'ওয়ান স্টার' রেটিং দিয়ে আসুন। ব্যস!!
বিঃদ্রঃ ব্যক্তিগতভাবে কোন আইডি বা পেইজে রিপোর্ট করার পক্ষে আমি নই। কিন্তু এই শয়তান এমন জঘন্য সব কার্টুন আঁকছে, যা দেখে নিজেকেই স্থির রাখা দায়। তাই দয়া করে কাজগুলো করুন আর এই ব্লাডি গাইটাকে খুঁজে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দিন। এরা সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.