'কোরআন থেকে নেওয়া-০১'/ আরিফ আজাদ
হঠাৎ করে ঘোষণা চলে আসলো যে,- 'মুশরিকরা পবিত্র মক্কা শরীফে প্রবেশ করতে পারবে না।' (সূরা তাওবা, ২৮)
অর্থাৎ, এতোদিন ধরে মুসলিমদের পাশাপাশি মুশরিকরা যেভাবে পবিত্র হারাম শরীফে প্রবেশ করতে পারতো, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো, পূজা-অর্চনা করতে পারতো, তা হঠাৎ করে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলো।
অর্থাৎ, এতোদিন ধরে মুসলিমদের পাশাপাশি মুশরিকরা যেভাবে পবিত্র হারাম শরীফে প্রবেশ করতে পারতো, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো, পূজা-অর্চনা করতে পারতো, তা হঠাৎ করে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলো।
যারা যারা মনে করে মুহাম্মদ (সাঃ) ক্ষমতালোভী ছিলেন, মুহাম্মদ (সাঃ) একটি বানোয়াট ধর্মের প্রবক্তা ছিলেন, তিনি আরবদের পালস বুঝে কথিত 'নবী' সেজেছিলেন, তাদের জন্য এই ঘটনায় একটি দারুন পাঠ রয়েছে। কীরকম সেটা?
তৎকালীন আরবদের সবকিছুর কেন্দ্রস্থল ছিলো মক্কা শরীফ। সেটা ধর্মচর্চা থেকে শুরু করে ব্যবসা, সবকিছুই। আরবদের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্রই ছিলো এই হারাম শরীফ।
হঠাৎ করে এই আয়াত নাজিল করে মুশরিকদের মক্কা শরীফে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা মানে বিশাল একটা ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম হারিয়ে ফেলা।
এমতাবস্থায়, মুসলিমরা বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবার ভয় ছিলো।
মুহাম্মদ (সাঃ) যদি ক্ষমতালোভী আর মনগড়া ধর্মের প্রবক্তা হতেন, তাহলে অবশ্যই এই নিয়মের বিপরীত করতেন।
কী করতেন? তিনি বলতেন,- 'তোমরা মক্কাশরীফে আসতে পারো। তবে শর্ত হলো, প্রতিবার প্রবেশের জন্য এই পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে।'
মুহাম্মদ (সাঃ) এর এই শর্ত মুশরিকরা মানতে বাধ্য থাকতো। কারণ- এই মক্কা শরীফে তারা দীর্ঘদিন ধরে ধর্মকর্ম করে আসছিলো। এমতাবস্থায়, তাদের এরকম পরম পবিত্র ধর্মচর্চার স্থানে যেকোন কিছুর বিনিময়ে প্রবেশাধিকার রক্ষা করাই কমন সেন্সের ব্যাপার। তারাও তা করতো।
হঠাৎ করে এই আয়াত নাজিল করে মুশরিকদের মক্কা শরীফে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা মানে বিশাল একটা ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম হারিয়ে ফেলা।
এমতাবস্থায়, মুসলিমরা বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবার ভয় ছিলো।
মুহাম্মদ (সাঃ) যদি ক্ষমতালোভী আর মনগড়া ধর্মের প্রবক্তা হতেন, তাহলে অবশ্যই এই নিয়মের বিপরীত করতেন।
কী করতেন? তিনি বলতেন,- 'তোমরা মক্কাশরীফে আসতে পারো। তবে শর্ত হলো, প্রতিবার প্রবেশের জন্য এই পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে।'
মুহাম্মদ (সাঃ) এর এই শর্ত মুশরিকরা মানতে বাধ্য থাকতো। কারণ- এই মক্কা শরীফে তারা দীর্ঘদিন ধরে ধর্মকর্ম করে আসছিলো। এমতাবস্থায়, তাদের এরকম পরম পবিত্র ধর্মচর্চার স্থানে যেকোন কিছুর বিনিময়ে প্রবেশাধিকার রক্ষা করাই কমন সেন্সের ব্যাপার। তারাও তা করতো।
কিন্তু আদেশ আসলো কী?
'মুশরিকরা পবিত্র মক্কা শরীফে প্রবেশ করতে পারবে না।'
মুশরিকদের সাথে এটা একধরণের 'কমার্শিয়াল ওয়ার' এ নেমে পড়ার শামিল। যেটা করলে মুহাম্মদ (সাঃ) বেশিই উপকৃত হতেন তা না করে পুরো মুসলিম জাতিকে তিনি এতোবড় একটা রিস্কে ফেলতে গেলেন কেনো?
এটাতে আসলেই একটা রিস্ক ছিলো। মক্কা কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলে দরিদ্র মুসলিমরা শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে আরো দরিদ্র হয়ে পড়ার ভয় ছিলো প্রবল।
আল্লাহ এই রিস্কের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এরপরেই বলেছেন- 'আর যদি তোমরা দারিদ্রের আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।'
আল্লাহ এই রিস্কের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এরপরেই বলেছেন- 'আর যদি তোমরা দারিদ্রের আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।'
রিস্ক যে আছেন আল্লাহ জানেন। তিনি বলছেন,- 'তোমরা কী মনে করছো মুশরিকদের পবিত্র হারাম শরীফে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়ার ফলে তোমাদের আয় উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে? তোমরা দরিদ্র হয়ে পড়বে? ভয় করো না। আল্লাহ চাইলে নিজ করুণায় তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন...'
মক্কায় মুশরিকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে গেলো। স্তিমিত হয়ে পড়লো বিশাল একটি ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম।
কথা ছিলো আর্থিক ধ্বস নামার। মুসলিমদের একঘরে হয়ে যাবার। অথচ কী হলো? হলো তার উল্টো। মুসলিমরা ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে ফেললো। অর্ধ পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়লো তাদের পদচারণা।
কথা ছিলো আর্থিক ধ্বস নামার। মুসলিমদের একঘরে হয়ে যাবার। অথচ কী হলো? হলো তার উল্টো। মুসলিমরা ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে ফেললো। অর্ধ পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়লো তাদের পদচারণা।
'নিশ্চই আল্লাহর ওয়াদা সত্য'- সূরা আল ফাত্বির ০৫
'কোরআন থেকে নেওয়া-০১'/ আরিফ আজাদ
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.