বিবিধ যৌক্তিক মনস্ক / সংগ্রহেঃ মোঃ নিয়ামত আলী
বিবিধ যৌক্তিক মনস্ক
নাস্তিকদের গাঁজাখুরি মিথ্যাচার ও তার জবাব
গতকাল একটা গ্রুপে পোস্ট করেছিলাম।সেখানে এক নাস্তিকের সাথে তর্কাতর্কি হয়।তিনি আমার পোস্টে কমেন্ট করেন '' 700 কোটি মানুষের মাঝে মাত্র ১৩ কোটি আরবিতে কথা বলতে পারে। আর এটা নাকি পুরো মানবজাতির জন্য পাঠানো হয়েছে।১৪০০ বছরের বিনোদন।"
যদিওবা তিনি পরে সেটা এডিট করেছিলেন।এরপরে যখন আমি উইকিপিডিয়াতে সার্চ করলাম তখন দেখি ৭০০ কোটি নয় বরং ২৯ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ আরবী ভাষী।(২য় স্ক্রীনশট) এরপরেযখন তিনি এটা নিয়ে পারলেন না তখন উনার চুলকানি শুরু হয়, যে আরবী ভাষা সমগ্র দুনিয়ায় মাত্র ৬% মানুষ ব্যবহার করে।সুতরাং এই ভাষায় আল্লাহ কেন কুরআন নাযিল করলেন??
উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ ۖ فَيُضِلُّ اللَّهُ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
অর্থাৎ,আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্ব-জাতির ভাষায় প্রেরণ করেছি। যেন সে তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাতে পারে।
কুরআন নাযিল হয় মুহাম্মাদ সঃ এর উপর।তাঁর ভাষা ছিল আরবী।সুতরাং কুরআন আরবী ভাষায় নাযিল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
প্রশ্ন হতে পারে,কেন কুরআন আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজীতে নাযিল হলো না?
উত্তরঃকুরআন যখন নাযিল হয় তখন ঐ যুগের আরবী সাহিত্য সবচেয়ে বেশী প্রসিদ্ধ ছিল।দেখুনঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Arabic
এবার আসা যাক ইংরেজী ভাষায়।এটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের জার্মানীয় শাখার পশ্চিম দলের একটি ভাষা।জার্মানীয় গোত্র অ্যাংগল্স, স্যাক্সন ও জুটদের ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি। এই গোত্রগুলি ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলে পা রাখে এবং সেখানকার কেল্টীয় ভাষাভাষী আদিবাসীদের উত্তরে ও পশ্চিমে স্কটল্যান্ড, কর্নওয়াল, ওয়েল্স ও আয়ারল্যান্ডে হটিয়ে দেয়। এই হানাদার জার্মানীয় গোত্রগুলির মুখের ভাষাই প্রাচীন ইংরেজি ভাষার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। ৬০০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ জার্মানিতে প্রচলিত উচ্চ জার্মান উপভাষাগুলিতে দ্বিতীয় বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটে। কিন্তু উত্তর জার্মানিতে প্রচলিত নিম্ন জার্মান উপভাষাগুলিতে ও ওলন্দাজ ভাষায় দ্বিতীয়বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটেনি (এদের সাথেই ইংরেজির সবচেয়ে বেশি মিল দেখা যায়); এদের মত ইংরেজিতেও দ্বিতীয় ধ্বনি সরণ ঘটেনি। পরবর্তীতে ৮ম ও ৯ম শতকে নরওয়েজীয় ভাইকিং হানাদারদের প্রাচীন নর্স ভাষাও প্রাচীন ইংরেজিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। ১৫০০ সালের দিকে বৃহৎ স্বরধ্বনি সরণ সংঘটিত হয় এবং আধুনিক ইংরেজি ভাষার উদ্ভব ঘটে। শেক্সপিয়ারের রচনাসহ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের পুরোটাই এই আধুনিক ইংরেজিতে লেখা। ভাষা-গবেষণার আকরগ্রন্থ এথ্নোলগ অনুসারে ইংরেজি ভাষার মাতৃভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটি। মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুযায়ী ইংরেজির স্থান ম্যান্ডারিন, হিন্দি ও স্পেনীয় ভাষার পরেই। (বিস্তারিত পড়তে দেখুনঃ https://en.wikipedia.org/wiki/English_language
এবার মিলানো যাক।
কুরআন নাযিল হওয়া শুরু হয় আনুমানিক ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে।আর ইংরেজী ভাষার ১৫০০ সালের দিকে আধুনিক ইংরেজি ভাষার উদ্ভব ঘটে।কোথায় ৬১০ আর কোথায়১৫০০।ভেবে দেখেছেন কি???কিভাবে ঐ যুগে আল্লাহ তায়ালা ইংরেজী কুরআন নাযিল করবেন???
আর আরবী ভাষা ইংরেজির চেয়ে সহজ।বিশ্বাস না হলে যারা আরবী ও ইংরেজি দুটোই পড়েছেন তাদের গিয়ে জিজ্ঞেস করেন।
(পার্ট ২)
আমি আপনাদেরকে কুর'আনে বর্ণিত ৬টি ভারসাম্যপূর্ণ বর্ণনার উদাহরণ দিব। আমার ব্যক্তিগত মত হলো কোনো মানুষের পক্ষে এভাবে বর্ণনা করা অসম্ভব। এক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজস্ব মত দাঁড় করাতে পারেন।
প্রথম ভারসাম্যপূর্ণ বর্ণনার উদাহরণ হলো ঈসা (আঃ) সম্পর্কেঃ
ঈসা (আ) পৃথিবী ত্যাগ করার কয়েক শতাব্দী পর এই ধারণা তৈরি করা হয় যে তিনি আল্লাহর পুত্র, যেহেতু তিনি পিতা ছাড়া জন্মগ্রহণ করেছেন (না'উযুবিল্লাহ)। পরবর্তিতে এ ধারণা খ্রিস্টানদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
এ ক্ষেত্রে কুর'আনের জবাব হলো,
"নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে মাটি দিয়ে তৈরি করেছিলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন।" (সূরা আল-ইমরানঃ ৫৯)
সুতরাং এখানে ঈসা (আঃ) কে আদম (আঃ) এর সাথে তুলনা করা হচ্ছে।
<-> কুর'আনে হজরত ঈসা (আঃ) এর উল্লেখ করা হয়েছে ২৫ বার।
<-> কুর'আনে হজরত আদম (আঃ) এর উল্লেখও করা হয়েছে ২৫ বার।
আল্লাহ বলেছেন, ঈসা (আঃ) এর উদাহরণ হলো ঠিক আদম (আঃ) এর উদাহরণের মত। দেখুন, কুর'আনে দুইজন নবীর নাম ২৫ বার করে উল্লেখ করা হয়েছে আর তারা হলেন - ঈসা (আঃ) ও আদম (আঃ)। সুবহানাল্লাহ !
আরো বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এই কথাটি বলা হয়েছে তৃতীয় সূরায় - সূরা আল-ইমরানে। কুর'আনের শুরু থেকে এ আয়াত পর্যন্ত ঈসা (আঃ) এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭ বার, ঠিক আদম (আঃ) এর নামও উল্লেখ করা হয়েছে ৭ বার। আর এ আয়াতের পর থেকে শেষ পর্যন্ত উভয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ১৮ বার করে। সুবহানআল্লাহ।
কুর'আন লিখিত ভাষায় অবতীর্ণ হয়নি, হয়েছে কথ্য ভাষায়, তারপরও এরকম অবিশ্বাস্য সমন্বয় কী করে সম্ভব !! তার জবাব হিসেবে রয়েছে একটিই কারণ - এই মহাগ্রন্থ বিশ্ব পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। (ইন-শা-আল্লাহ চলবে...)
----------
উস্তাদের "Quran for Young Adults" (Day 12) থেকে অনুপ্রাণিত
(পার্ট ৩)
বিশাল এক জঙ্গল। সেখানে প্রত্যেক প্রানীদের আলাদা আলাদা এলাকা। যার যার এলাকায় তার তার ক্ষমতা। কেউ কারো এলাকায় গিয়ে ক্ষমতা দেখাতে পারে না। হোক সেটা বাঘ, সিংহ বা অন্য কোনো প্রানী। বলতে গেলে এটা ওই জঙ্গলের আইন হয়ে গিয়েছে।
এরকম করে মাংসাসি প্রানী গুলোও প্রায় তীনভোজিতে পরিনত হয়ে গেছে। যার কারনে খরগশ, হরিন ইত্যাদি এ জাতিয় তিনভোজি প্রানী গুলো সুখেই দিন কাটাচ্ছে।
কিন্তু স্বাভাবিক হতে পারলো না বুনো বা জঙ্লী/জঙ্গী কুকুর গুলো। মাংসের লোভ আর খুধায় দিসে হারা হয়ে উঠলো।
দলের সবাই মিলে যুক্তি পরামর্শ করতে লাগলো। কিভাবে কি করা যায়। অবশেষে ফন্দি আটলো-
তারা যা করলো, তা হল-
হরিনের মত করে কয়েকটা মুখশ তৈরি করলো। সেগুলো পরিধান করে হরিনের দলের সাথে মিশে গেলো।
কয়েক দিন পর ওই মুখশধারী হরিন গুলো বুনো কুকুরের এলাকায় ঠুকে তাদেরকে আক্রমন করে।
পুরো জঙ্গলে ঘটনাটা ছড়িয়ে পড়ে। সবাই হরিন দলের প্রতি ঘৃনা ছোরে এবং বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী হিসেবে অপবাদ দিতে থাকে। সেই সুযোগে বুনো কুকুর গুলো নিরীহ হরিনদের আক্রমন শুরু করে এবং আনন্দের সহিত আহার করতে থাকে। যা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল।
এখন শুধু কুকুর গুলোই নয়, এই সুযোগে বাঘ, হিংস তথা জঙ্গলের সব হিংস্র প্রানী গুলো হরিনদের আক্রমন ও আহার করতে থাকে।
নিরীহ হরিন সম্প্রদায় এভাবেই নির্যাতিত হতে থাকে। জঙ্গলবাসীর চোখেও তারা অপরাধী আর কুকুর সম্প্রদায় সাধু সমাজ।
★বুঝতেই পারছেন মুসলিমরা কেন এতো খারাপ,
কেন এতো অপমান, অপদস্ত, নির্যাতন...
আমেরিকার স্যান ফ্রান্সিস্কোতে অবস্থিত। সুইসাইডের জন্য খুবই বিখ্যাত। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এখানে গড়ে একজন মানুষ আত্নহত্যা করে।
আমেরিকা! কতো মানুষের স্বপ্নের আমেরিকা। সেখানের বাতাস নিতে পারলে নাকি জীবনে আর কোনো দুঃখ – কষ্ট থাকে না। অথচ ‘American Foundation for Suicide Prevention’ এর দেয়া তথ্যমতে, আমেরিকায় প্রতিদিন প্রায় ১২১ জন মানুষ সুইসাইড করে। বর্তমান বিশ্বের সুপার পাওয়ার আমেরিকা। প্রযুক্তি, শিক্ষা, সম্পদ- সবই নাকি তার আছে। তারপরেও কি যেন নেই!
ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলতেন, “প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে অস্থিরতা, যা কেবল আল্লাহ্র কাছে ফিরে গেলেই ঠিক করা সম্ভব।
প্রত্যেক মানুষের অন্তরে এক শূন্যতা রয়েছে, সেটা কেবল আল্লাহ্র কাছে ফিরে গেলেই দূর করা সম্ভব।
প্রত্যেক মানুষের অন্তরে রয়েছে ভয় আর উৎকণ্ঠা, যা কেবল আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় নিলেই দূর করা সম্ভব।
আর প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে হতাশা, যেটা কেবল আল্লাহ্র উপরে সন্তুষ্ট হলেই দূর করা সম্ভব।”
এই বস্তুবাদী দুনিয়া আমাদের শেখায় আমরা যতো বেশী ভোগ করতে পারবো, ততো বেশী সুখী হবো। তাই ভোগের জন্য ছুটতে থাকো। সারা জীবন সম্পদের পাহাড় করেও তাই একদিন মনে হয় কি যেন নেই। এক অপূর্ণতা রয়ে গেছে। এ অপূর্ণতা আল্লাহর কাছ থেকে দূরে থাকার। আল্লাহকে বাদ দিয়ে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার পূজা করার।
এই অপূর্ণতা কোন কিছু দিয়েই পূরণ হবে না। সুন্দরী স্ত্রী দিয়ে না, ডুপ্লেক্স বাড়ী দিয়ে না। আইফোন, রোলেক্স, মার্সিডিজ- সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী আনন্দ দিবে। অনেকটা ড্রাগের মতো। তারপরে হৃদয়ের কোনো এক কোণে জমে থাকা শূন্যতাটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে নিজেকে খুব একা একা লাগবে। এ জীবনটা অর্থহীন মনে হবে।
তাই ফিরতে হবে আল্লাহর কাছে। আচ্ছা! তাঁর কাছে ফিরলেই কি আবার জীবনটা রূপকথার মতো সুখী হয়ে যাবে? মোটেও না। দুঃখ – কষ্ট তো আসবেই। আসবে কঠিন কিছু পরিক্ষা। কিন্তু কোথা থেকে যেন দানবীয় শক্তি আসবে সেই কষ্টগুলোর মুখোমুখি হবার। তপ্ত মরুভূমিতে সূর্যের দিকে তাকিয়ে “আহাদুন আহাদ” বলার। যেমনটা রাসূল (সা.) বলেছেন, “মুমিনের ব্যাপারটা খুবই আজব। যখন তার সাথে ভালো কিছু ঘটে, তখন সে কৃতজ্ঞ হয় আর এটাই তার জন্য উত্তম। আর যখন তার কোনো ক্ষতি হয়, তখন সে সবর করে আর এটাও তার জন্য উত্তম।”(মুসলিম)
বর্তমান পৃথিবীতে প্রতি ৪০ সেকেণ্ডে একজন মানুষ সুইসাইড করে। এদের মধ্যে অনেকেই সমাজের এলিট ক্লাসের লোক। সব থেকেও কি যেন নেই তাদের। আমি আমার অতি ক্ষুদ্র জীবনে কখনো কোনো হুজুরকে সুইসাইড করতে দেখিনি। সুইসাইড করার কথাও শুনিনি। কারণ, কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে এদের অধিকাংশই আল্লাহর উপর ভরসা করে। তাই তখন আর কষ্ট এলে সুইসাইড করতে ইচ্ছা করে না। মনে হয় এই জীবন আর ক’দিনের? একদিন ক্লান্তি শেষে বিশ্রাম নিবো। রাসূল (সা.) বলেন, “একজন মুমিনের জন্যে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করার আগ পর্যন্ত কোনো বিশ্রাম নেই।” [আলবানী (রহ.) এর মতে সহীহ]
আমরা আল্লাহর কাছে চাই যেন উনি সে দিনটা আমাদের দুই জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন বানিয়ে দেন যেদিন আমরা তাঁর সাথে সাক্ষাত করবো। জান্নাতে তাঁর দেখা পাবো। ইমাম আহমেদ ইবনে হাম্বল (রহ.) কে তার ছেলে একবার ক্লান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা আমরা কবে শান্তি পাবো?”
ইমাম আহমেদ ইবনে হাম্বল (রহ.) ছোট্ট করে জবাব দিলেন-
“জান্নাতে।”
“হে প্রশান্ত মন! তুমি তোমার রবের নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।” [সূরা আল ফজরঃ ২৭-৩০]
আমি কেমন মুসলমান!!!???
নাস্তিকতার উত্থান এবং পতন !!!
এক ভাইয়া প্রশ্ন করেছেন কেন নাস্তিক বাড়ছে?
মূলত অল্প বয়সে তরুন - তরুনীরা খুব বেশি স্বাধীনতা চায়। সে যত বড় হতে থাকে তত স্বাধীনতার আকাংখা বাড়তে থাকে ৷ যৌবনে চারপাশের লাল নীল বাত্তি দেখে আকাংখা চরম আকার ধারন করে ৷ বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুর সাথে সময় কাটাতে মন আকুল হয়ে উঠে ৷ কিন্তু তার স্বাধীনতার পথে একটা বাধা এসে দাঁড়ায়"ধর্ম"৷
তখন সে দেখতে পায় যে, ধর্ম বলে: এটা করা নিষেধ, ওটা করা নিষেধ, এটা খাওয়া যাবে না, ওটা দেখা যাবে না, এটা শোনা যাবে না, ওটা বলা যাবে না। তখন তার হাতে দুটি পথ খোলা থাকে—
১) তাকে এই নিয়মগুলো মেনে নিয়ে যৌবনের সুখ বিসর্জন দিতে হবে ৷
২) নিয়মকানুনগুলো অস্বীকার করে যৌবনকাল উপভোগ করবে।
যৌবনকাল উপভোগ করতে গেলে প্রথমে তাকে ধর্মকে অস্বীকার করতে হবে।তখন শয়তান তার কাঁধে ভর করে ৷ সে বলা শুরু করে "There is no God “সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছু নেই। আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি না।” এটা বলে সে যৌবনের সুখের সাগরে ঝাঁপিয়ে পরে ৷ যা ইচ্ছা তাই করতে থাকে ৷নিজের ভেতর এক ধরনের স্বর্গীয় স্বাধীনতা অনুভব করে, কারণ তখন তার মধ্যে কোনো ধর্মীয় দায়বদ্ধতা থাকে না, যা তাকে চরম আনন্দ দেয়। আর এভাবেই জন্ম হয় বেশিরভাগ নাস্তিকদের।
কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে যৌবনের তেজ এবং কমতে থাকে স্বাধীনতার আকাংখা ৷ ফলে শেষ জীবনে অধিকাংশ নাস্তিক ধর্মের কাছে আত্মসমর্পণ করে ৷ অপেক্ষা করুন ৷ আজকের নাস্তিকরাও ধর্মে বিশ্বাসী হবে ৷ যৌবনের তেজটা কমে যাক!!!!!
বিঃদ্রঃ নাস্তিকদের সংখ্যা বাড়েনি বরং ফেইক Facebook আই ডি বেড়েছে ৷
(পার্ট ৭)
কখনো কি প্রশ্ন জাগেনি, পৃথিবীতে কেন এমন এক প্রাণীর সৃষ্টি হলো যারা সকল জীব এবং বস্তুর উপর নিয়ত্রণ স্থাপনা করতে পারছে শুধু মাত্র- স্থান, কাল, সময়, গতি ছাড়া। এটা কি সৃষ্টিকর্তার অস্থিত্ব অস্বীকার করার নাকি অনস্বীকার্য। মানুষই নাস্তিক বা আস্তিক হয়। কেন পশু বা জানোয়ারের ধর্ম নেই? কেনো এত সকল জীবের থেকে মানুষ বুদ্ধি ও কাজে ভিন্ন। কারণটা কি মানুষের জন্ম--- বিজ্ঞান তত্ত্ব দিয়ে ধর্মকে অস্বীকার করার জন্য। যদি তাই হয়, তাহলে এই বিজ্ঞান সত্য এটা প্রমাণ করার জন্য পৃথিবীতে মানুষের মতো প্রাণীর জন্ম কেন? কেন মানুষের মতো অদ্বিতীয় সমাজ বা বিজ্ঞান বিভাগ সৃষ্টি করার মতো আর প্রাণী নেই। বিজ্ঞান অতিপ্রাকৃতে অবিশ্বাসী। থেউরিতে চলে বিজ্ঞান। আচ্ছা, বিজ্ঞানে কি জানা সম্ভব মৃত্যুর অনুভূতি কেমন। অবশ্যই সম্ভব না। তাহলে এখানে বিজ্ঞান কী থিউরি দিবে?
বিজ্ঞান সৃষ্টির পিছনে সৃষ্টিকর্তা হাত নেই প্রমাণ, যুক্তি দেয়। ধর্ম কি এতই দুর্বল যে ধর্মের কাছে যুক্তি নেই। অবশ্যই আছে, আমার ধর্মে আছে। আচ্ছা 'বিগ ব্যাং' - এর আগের অবস্থা বিজ্ঞান কি উদ্ঘাটন করতে পেরেছে? তাহলে বিজ্ঞান কি তাদের দৃশ্যমানকে নিয়েই গবেষণা বা থিউরেটেকেলি প্রমাণ দিতে পারে? আর তাদের অদৃশ্যমান অবস্থার ভিতরের রহস্য বিজ্ঞান কি প্রমাণ করতে পারে না? বিজ্ঞান কি বলতে পারবে, প্রাণের অবস্থা? প্রাণটা দেখতে কেমন? তারা বলবে প্রাণের আকার নেই। আকার না থাকলে তার অবস্থা কেমন? তাদের মতে নিরাকার বস্তুও পরিমাপ করা যায়। যেমন বায়ু। তাহলে প্রাণের পরিমাপ কি তাদের বিজ্ঞানে সম্ভব।
সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন যিনি স্থান, কাল, সময় এবং সৃষ্টিরও শুরুতে রয়েছেন। বিজ্ঞান এবং দর্শনের যেখানে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, সেখান থেকে তার জ্ঞান সেই 'সীমাবদ্ধ' সীমাবদ্ধ করার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তিনি বিজ্ঞানের ধারণার বাহিরে। যদি তিনি বিজ্ঞানের ভাবনা এবং গবেষণার অংশ হতেন তাহলে বিজ্ঞানই সৃষ্টির শাসক হতে চাইতেন। যদি তার 'তুলনা' বিজ্ঞানের সাথে তুলনা হতো তাহলে তার অতুলনীয়তার স্বার্থকতা কোথায়? আল্লাহ আছে।
বিঃদ্রঃ-- এই লেখাগুলো আমার চিন্তাধারার আপনারা কেমন চিন্তা বা ধারণা করবেন জানি না। আমার যুক্তি বা আপনার যুক্তি চাইলে ভিন্নতরও হতে পারে।
লেখা-- Mehedi
(পার্ট ৮)
একটি সন্দেহ ও তার জওয়াব:
"যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করি তখন তার অবস্থাপন্ন লোকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করি অতঃপর তারা পাপাচারে মেতে উঠে। তখন সে জনগোষ্টীর উপর আদেশ অবধারিত হয়ে যায়। অতঃপর আমি তাকে উঠিয়ে আছার দেয়।"
(বনী ইসরাঈল-১৬)।
**সব কিছুতো আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়।এমতাবস্হায় বেচারাদের দোষ কি? তারা তো অপরাগ ও বাধ্য।
এর জওয়াবে, তরজমায় ইঙ্গিত করা হয়েছে যে,আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বিবেক-বুদ্ধি ও ইচ্ছা শক্তি দান করেছেন এবং আযাব ও সওয়াবের পথ সুষ্সপষ্টভাবে বাতলে দিয়েছেন।কেউ যদি স্বেচ্ছায় আযাবের পথে চলারই ইচ্ছা ও সংকল্প গ্রহণ করে,তবে আল্লাহর রীতি এই যে,তিনি তাকে সেই আযাবের উপায়-উপকরণাদি সরবরাহ করে দেন।কাজেই আযাবের আসল কারণ স্বয়ং তাদের কুফরী ও গোনাহের সংকল্প- আল্লাহর ইচ্ছায় একমাএ কারণ নয়।তাই তারা ক্ষমার যোগ্য হতে পারে না।(মা'আরেফুল কোরআন)।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের ভাগ্যের ভাল -মন্দ সব কিছুই লিখে রেখেছেন।কিন্তু কি লিখে রেখেছেন সেটা আমরা জানি না।
আমাদের মনে ভাল-মন্দ উভয় কাজের চিন্তাই আসতে পারে।আর আমাদের উচিত হলো সব সময় মন্দ কাজের চিন্তা না করে,ভাল কাজগুলো করা।
ভাল- মন্দ কাজের মাপকাঠি হলো-
যে কাজ করলে গোনাহ হয়,সেটা হলো খারাপ।
আর যে কাজের জন্য আল্লাহরাব্বুল আলামিনের কাছে পুরষ্কার পাওয়া যাবে,যে কাজ করলে আল্লাহরাব্বুল আলামিন খুশি হবেন,সেটাই হলো ভাল কাজ।
(পার্ট ৯)
নাস্তিকীয় মুজি'যা!!😱😱😱
পর্ব -১
নাস্তিকরা নিজেদের যুক্তিবাদী ও বুদ্ধিমান দাবি করে,কারন তাদের দাবি তারা সব কিছুর ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দ্বারা দিতে পারে।(কিন্তু বিজ্ঞান আল্লাহর অস্তিত্ব এখনও বাতিল করে দিতে না পারলেও,নাস্তিকরা ঠিকই বাতিল করে।এটা কোন যুক্তিতে কে জানে?)
যাই হোক,আজকে কিছু জাদুবিদ্যা নিয়ে কথা হবে,যাকে নাস্তিকরাও যাদু বা অলৌকিক বলে।যার কোন ব্যাখ্যা নেই।
বিগ ব্যাং!! পাঠ্যবইতে পড়ে পড়ে মাথায় বসিয়ে নিয়েছেন,কিন্তু কখনওই ভাবেন নি,এটা কি অদৌ কোন হস্তক্ষেপ ছাড়া ঘটতে পারে কিনা।
নক্ষত্রের কথাই ধরুন।
বিপুল পরিমাণ গ্যাস হঠাৎ করেই, মানে by chance, এই পরিমাণে জড়ো হয়ে গেল যে,তারা যথেষ্ট অভিকর্ষ বলের সৃষ্টি করল যা গ্যাসের গতিশক্তি থেকেও বেশি😱😱
আচ্ছা,বিগ ব্যাং এর সময় প্রচুর শক্তি শূণ্যে ছড়িয়ে পরে, এই শক্তি কি গ্যাস গ্রহণ করে নি?? যদি করে থাকে তাহলে গ্যাস কেন আরও বেশি excited হল না??
গ্যাসের ধর্ম প্রসারিত হওয়া,পাত্রের পুরো জায়গা দখল করা,গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে,এটাই গ্যাসের ধর্ম।
সেই গ্যাস ছড়িয়ে না পড়ে,একত্রে জমা হল! আর নক্ষত্র গঠন করল!!😱😱
আস্তিকরা মনে করে,সব আল্লাহর ইচ্ছা।আল্লাহ ধোয়া থেকে heavenly bodies সৃষ্টি করেছেন।
আর নাস্তিকদের দাবি,এটা যাদু।
এবার বলুন,উভয়ের মধ্যে কে যুক্তিবাদী?
(পার্ট ১০)
নাস্তিকদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কোন আক্রশ বা ঘৃনা নেই । সত্যিকথা বলতে কি ২০১৪ ফেইসবুক একাউন্ট খুললেও ২০১২ হইতে ২০১৫ পর্যন্ত আমি কিছু ওয়াপ চ্যাট সাইটে সময় কাটাতাম । সেই সুবাদে বেশ কিছু নাস্তিকের সাথে বন্ধুত্য ও সখ্যতা গড়ে উঠে ছিল। সেই সমস্ত নাস্তিকদের আমার খুবই জ্ঞানী মনে হত । বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ছিল অফুরন্ত । তাদের এই জ্ঞানের জন্য আমি তাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান করতাম । ফোরামের মাঝে বিভিন্ন টপিকে আমার তাদের সজ্ঞে প্রচুর আলোচনা হত । তাদের সজ্ঞে আলোচনায় আমি যে বিষয়টি জানতে পেরেছি তা হল -আল-কোরআন, গীতা ও বাইবেলের মত বিজ্ঞান তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ । তাদের সাথে আলোচনা করে একটা বিষয়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ বিজ্ঞান সম্পর্কে তারা যথেষ্ট জ্ঞান রাখে ।
-এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো প্রকৃত এবং খাঁটি নাস্তকিদের সজ্ঞে যুক্তি তর্ক করতে হলে আপনার নিজ ধর্মীয় গ্রন্থের পাশাপাশি তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ বিজ্ঞানের যুক্তিগুলো সম্পর্কেও জানা থাকতে হবে । তা না হলে তাদের প্রথম যুক্তির কাছে আপনার ধর্ম ফেল হয়ে যাবে ।
সেই সব বিষয়ে অন্য কোনদিন আলোচনা করব । ফিরে আসি আজকের আলোচনায়
"বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নাস্তিকতা"......... বাংলাদেশ কিংবা ভারতে কোন প্রকৃত নাস্তিক আজও আমার চোখে পড়েনি । আমি আগেই বলেছি প্রকৃত নাস্তিকদের আমি সম্মান করি , শ্রদ্ধা করি । প্রকৃত নাস্তিকরা কোন ধর্মকেই যেমন বিশ্বাস করে না ঠিক তেমনি কোন ধর্মের প্রতি কটুক্তিও করে না । অন্য ধর্ম অবলম্বীরা যেমন তাদের ধর্মে বিশ্বাস করে ঠিক তেমনি নাস্তিকরা তাদের ধর্ম বিজ্ঞানে বিশ্বাসী । সেখানে আমি দোষের কিছু দেখি না । আপনার যদি নিজ ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকে আপনি তাদেরকে বুঝান । বাংলাদেশে নাস্তিকতাঃ নিচের দু,টো প্রশ্ন ও তার উত্তর মনোযোগ দিয়ে পড়ুন । ১। বাংলাদেশ কি কোন নাস্তিক আছে ? ...একদম চোখ বন্ধ করে এর উত্তর দেওয়া যায় "না, এই দেশে কোন নাস্তিক নেই"।
২। যদি বাংলাদেশ কোন নাস্তিক না থাকে তবে ওরা কারা, যারা ফেইসবুক বা বিভিন্ন ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে? ওরা কি নাস্তিক নয় ? -----না, ওরা নাস্তিক নয় । নাস্তিক হওয়ার যোগ্যতা ও জ্ঞান তাদের নেই । তারা শুধু কিছু কুশিক্ষিত বেহায়া ও চরিত্রহীন লোক । যারা ধর্মের বাঁধার জন্য লম্পট, দুশ্চরিত্র কুৎসিত মনোভাষনা সরাসরি পূর্ন করতে পারে না । এরা সমাজের কিট । এদের মাঝে যেমন কিছু পুরূষ আছে তেমনি কিছু নারীও আছে । এরা ধর্ম বিদ্বেসী কিনতু নাস্তিক নয় । এরা কেউ ধর্ম বিদ্বেসী হয় বহু নারী-পুরূষের সাথে মিলনর জন্য । কেউ বা ধর্ম বিদ্বেসী হয় বিনা খরচে জার্মান যাওয়ার জন্য । তার জলন্ত প্রমান তসলিমা নাসরিন এবং আসিফ মহিউদ্দীন, আসাদ ও মোফা পাগলা। এই সমস্ত ইসলাম বিদ্বেসীদের একটা ব্যাপার আমার চরম হাসির উদ্রেগ করে । তারা তাদের নিজ ভাষা বাংলাই সঠিকভাবে জানে না অথচ তারা আল-কুরআনের বঙ্গানুবাদ পড়ে তার ব্যাখা করতে যায় ।
মূলকথাঃ বাংলাদেশের লম্পট দুশ্চরিত্রের ইসলাম বিদ্বেসীদের টার্গেট থাকে ইমলামের বিরূদ্ধে লিখে জার্মানীর নজরে আসা । এবং বিনা খরচে জার্মান পাড়ী দেওয়া । জার্মান একটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট । ইসলামের বিরূদ্ধে লিখার জন্য খ্রীষ্টানরা তাদের অর্থ দেয় এবং এক সময়ে জার্মান নিয়ে যায় । তারা যদি নাস্তিক হত তবে খ্রীষ্টানরা কখনও তাদের টাকা দিত না । কারন নাস্তিক হওয়া মানে সব ধর্মকে অস্বীকার করে বিজ্ঞানকে ধর্ম হিসেবে মেনে নেওয়া । প্রতিকারঃ প্রকৃত এবং খাঁটি নাস্তিকদের জন্য কোন প্রতিকারের প্রয়োজন নেই । আপনার যদি নিজ ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকে তবে তাদেরকে বুঝানোর দায়িত্ব আপনার । নাহয় আপনার ধর্ম আপনি পালন করুন আর তাদের ধর্ম তাদরকে পালন করতে দিন । কিন্তু যারা নাস্তিকের মুখোশ পড়ে শুধূ মাত্র বহু নারী এবং টাকার জন্য খ্রীস্টানদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে অঙ্কুরেই প্রতিকার করতে হবে ।
সংগ্রহেঃ মোঃ নিয়ামত আলী
___________________________________________________
গতকাল একটা গ্রুপে পোস্ট করেছিলাম।সেখানে এক নাস্তিকের সাথে তর্কাতর্কি হয়।তিনি আমার পোস্টে কমেন্ট করেন '' 700 কোটি মানুষের মাঝে মাত্র ১৩ কোটি আরবিতে কথা বলতে পারে। আর এটা নাকি পুরো মানবজাতির জন্য পাঠানো হয়েছে।১৪০০ বছরের বিনোদন।"
যদিওবা তিনি পরে সেটা এডিট করেছিলেন।এরপরে যখন আমি উইকিপিডিয়াতে সার্চ করলাম তখন দেখি ৭০০ কোটি নয় বরং ২৯ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ আরবী ভাষী।(২য় স্ক্রীনশট) এরপরেযখন তিনি এটা নিয়ে পারলেন না তখন উনার চুলকানি শুরু হয়, যে আরবী ভাষা সমগ্র দুনিয়ায় মাত্র ৬% মানুষ ব্যবহার করে।সুতরাং এই ভাষায় আল্লাহ কেন কুরআন নাযিল করলেন??
উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ ۖ فَيُضِلُّ اللَّهُ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
অর্থাৎ,আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্ব-জাতির ভাষায় প্রেরণ করেছি। যেন সে তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাতে পারে।
কুরআন নাযিল হয় মুহাম্মাদ সঃ এর উপর।তাঁর ভাষা ছিল আরবী।সুতরাং কুরআন আরবী ভাষায় নাযিল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
প্রশ্ন হতে পারে,কেন কুরআন আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজীতে নাযিল হলো না?
উত্তরঃকুরআন যখন নাযিল হয় তখন ঐ যুগের আরবী সাহিত্য সবচেয়ে বেশী প্রসিদ্ধ ছিল।দেখুনঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Arabic
এবার আসা যাক ইংরেজী ভাষায়।এটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের জার্মানীয় শাখার পশ্চিম দলের একটি ভাষা।জার্মানীয় গোত্র অ্যাংগল্স, স্যাক্সন ও জুটদের ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি। এই গোত্রগুলি ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলে পা রাখে এবং সেখানকার কেল্টীয় ভাষাভাষী আদিবাসীদের উত্তরে ও পশ্চিমে স্কটল্যান্ড, কর্নওয়াল, ওয়েল্স ও আয়ারল্যান্ডে হটিয়ে দেয়। এই হানাদার জার্মানীয় গোত্রগুলির মুখের ভাষাই প্রাচীন ইংরেজি ভাষার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। ৬০০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ জার্মানিতে প্রচলিত উচ্চ জার্মান উপভাষাগুলিতে দ্বিতীয় বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটে। কিন্তু উত্তর জার্মানিতে প্রচলিত নিম্ন জার্মান উপভাষাগুলিতে ও ওলন্দাজ ভাষায় দ্বিতীয়বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটেনি (এদের সাথেই ইংরেজির সবচেয়ে বেশি মিল দেখা যায়); এদের মত ইংরেজিতেও দ্বিতীয় ধ্বনি সরণ ঘটেনি। পরবর্তীতে ৮ম ও ৯ম শতকে নরওয়েজীয় ভাইকিং হানাদারদের প্রাচীন নর্স ভাষাও প্রাচীন ইংরেজিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। ১৫০০ সালের দিকে বৃহৎ স্বরধ্বনি সরণ সংঘটিত হয় এবং আধুনিক ইংরেজি ভাষার উদ্ভব ঘটে। শেক্সপিয়ারের রচনাসহ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের পুরোটাই এই আধুনিক ইংরেজিতে লেখা। ভাষা-গবেষণার আকরগ্রন্থ এথ্নোলগ অনুসারে ইংরেজি ভাষার মাতৃভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটি। মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুযায়ী ইংরেজির স্থান ম্যান্ডারিন, হিন্দি ও স্পেনীয় ভাষার পরেই। (বিস্তারিত পড়তে দেখুনঃ https://en.wikipedia.org/wiki/English_language
এবার মিলানো যাক।
কুরআন নাযিল হওয়া শুরু হয় আনুমানিক ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে।আর ইংরেজী ভাষার ১৫০০ সালের দিকে আধুনিক ইংরেজি ভাষার উদ্ভব ঘটে।কোথায় ৬১০ আর কোথায়১৫০০।ভেবে দেখেছেন কি???কিভাবে ঐ যুগে আল্লাহ তায়ালা ইংরেজী কুরআন নাযিল করবেন???
আর আরবী ভাষা ইংরেজির চেয়ে সহজ।বিশ্বাস না হলে যারা আরবী ও ইংরেজি দুটোই পড়েছেন তাদের গিয়ে জিজ্ঞেস করেন।
(পার্ট ২)
আমি আপনাদেরকে কুর'আনে বর্ণিত ৬টি ভারসাম্যপূর্ণ বর্ণনার উদাহরণ দিব। আমার ব্যক্তিগত মত হলো কোনো মানুষের পক্ষে এভাবে বর্ণনা করা অসম্ভব। এক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজস্ব মত দাঁড় করাতে পারেন।
প্রথম ভারসাম্যপূর্ণ বর্ণনার উদাহরণ হলো ঈসা (আঃ) সম্পর্কেঃ
ঈসা (আ) পৃথিবী ত্যাগ করার কয়েক শতাব্দী পর এই ধারণা তৈরি করা হয় যে তিনি আল্লাহর পুত্র, যেহেতু তিনি পিতা ছাড়া জন্মগ্রহণ করেছেন (না'উযুবিল্লাহ)। পরবর্তিতে এ ধারণা খ্রিস্টানদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
এ ক্ষেত্রে কুর'আনের জবাব হলো,
"নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে মাটি দিয়ে তৈরি করেছিলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন।" (সূরা আল-ইমরানঃ ৫৯)
সুতরাং এখানে ঈসা (আঃ) কে আদম (আঃ) এর সাথে তুলনা করা হচ্ছে।
<-> কুর'আনে হজরত ঈসা (আঃ) এর উল্লেখ করা হয়েছে ২৫ বার।
<-> কুর'আনে হজরত আদম (আঃ) এর উল্লেখও করা হয়েছে ২৫ বার।
আল্লাহ বলেছেন, ঈসা (আঃ) এর উদাহরণ হলো ঠিক আদম (আঃ) এর উদাহরণের মত। দেখুন, কুর'আনে দুইজন নবীর নাম ২৫ বার করে উল্লেখ করা হয়েছে আর তারা হলেন - ঈসা (আঃ) ও আদম (আঃ)। সুবহানাল্লাহ !
আরো বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এই কথাটি বলা হয়েছে তৃতীয় সূরায় - সূরা আল-ইমরানে। কুর'আনের শুরু থেকে এ আয়াত পর্যন্ত ঈসা (আঃ) এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭ বার, ঠিক আদম (আঃ) এর নামও উল্লেখ করা হয়েছে ৭ বার। আর এ আয়াতের পর থেকে শেষ পর্যন্ত উভয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ১৮ বার করে। সুবহানআল্লাহ।
কুর'আন লিখিত ভাষায় অবতীর্ণ হয়নি, হয়েছে কথ্য ভাষায়, তারপরও এরকম অবিশ্বাস্য সমন্বয় কী করে সম্ভব !! তার জবাব হিসেবে রয়েছে একটিই কারণ - এই মহাগ্রন্থ বিশ্ব পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। (ইন-শা-আল্লাহ চলবে...)
----------
উস্তাদের "Quran for Young Adults" (Day 12) থেকে অনুপ্রাণিত
(পার্ট ৩)
বিশাল এক জঙ্গল। সেখানে প্রত্যেক প্রানীদের আলাদা আলাদা এলাকা। যার যার এলাকায় তার তার ক্ষমতা। কেউ কারো এলাকায় গিয়ে ক্ষমতা দেখাতে পারে না। হোক সেটা বাঘ, সিংহ বা অন্য কোনো প্রানী। বলতে গেলে এটা ওই জঙ্গলের আইন হয়ে গিয়েছে।
এরকম করে মাংসাসি প্রানী গুলোও প্রায় তীনভোজিতে পরিনত হয়ে গেছে। যার কারনে খরগশ, হরিন ইত্যাদি এ জাতিয় তিনভোজি প্রানী গুলো সুখেই দিন কাটাচ্ছে।
কিন্তু স্বাভাবিক হতে পারলো না বুনো বা জঙ্লী/জঙ্গী কুকুর গুলো। মাংসের লোভ আর খুধায় দিসে হারা হয়ে উঠলো।
দলের সবাই মিলে যুক্তি পরামর্শ করতে লাগলো। কিভাবে কি করা যায়। অবশেষে ফন্দি আটলো-
তারা যা করলো, তা হল-
হরিনের মত করে কয়েকটা মুখশ তৈরি করলো। সেগুলো পরিধান করে হরিনের দলের সাথে মিশে গেলো।
কয়েক দিন পর ওই মুখশধারী হরিন গুলো বুনো কুকুরের এলাকায় ঠুকে তাদেরকে আক্রমন করে।
পুরো জঙ্গলে ঘটনাটা ছড়িয়ে পড়ে। সবাই হরিন দলের প্রতি ঘৃনা ছোরে এবং বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী হিসেবে অপবাদ দিতে থাকে। সেই সুযোগে বুনো কুকুর গুলো নিরীহ হরিনদের আক্রমন শুরু করে এবং আনন্দের সহিত আহার করতে থাকে। যা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল।
এখন শুধু কুকুর গুলোই নয়, এই সুযোগে বাঘ, হিংস তথা জঙ্গলের সব হিংস্র প্রানী গুলো হরিনদের আক্রমন ও আহার করতে থাকে।
নিরীহ হরিন সম্প্রদায় এভাবেই নির্যাতিত হতে থাকে। জঙ্গলবাসীর চোখেও তারা অপরাধী আর কুকুর সম্প্রদায় সাধু সমাজ।
★বুঝতেই পারছেন মুসলিমরা কেন এতো খারাপ,
কেন এতো অপমান, অপদস্ত, নির্যাতন...
(পার্ট ৪)
The Golden Gate Bridge!
আমেরিকার স্যান ফ্রান্সিস্কোতে অবস্থিত। সুইসাইডের জন্য খুবই বিখ্যাত। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এখানে গড়ে একজন মানুষ আত্নহত্যা করে।
আমেরিকা! কতো মানুষের স্বপ্নের আমেরিকা। সেখানের বাতাস নিতে পারলে নাকি জীবনে আর কোনো দুঃখ – কষ্ট থাকে না। অথচ ‘American Foundation for Suicide Prevention’ এর দেয়া তথ্যমতে, আমেরিকায় প্রতিদিন প্রায় ১২১ জন মানুষ সুইসাইড করে। বর্তমান বিশ্বের সুপার পাওয়ার আমেরিকা। প্রযুক্তি, শিক্ষা, সম্পদ- সবই নাকি তার আছে। তারপরেও কি যেন নেই!
ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলতেন, “প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে অস্থিরতা, যা কেবল আল্লাহ্র কাছে ফিরে গেলেই ঠিক করা সম্ভব।
প্রত্যেক মানুষের অন্তরে এক শূন্যতা রয়েছে, সেটা কেবল আল্লাহ্র কাছে ফিরে গেলেই দূর করা সম্ভব।
প্রত্যেক মানুষের অন্তরে রয়েছে ভয় আর উৎকণ্ঠা, যা কেবল আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় নিলেই দূর করা সম্ভব।
আর প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে হতাশা, যেটা কেবল আল্লাহ্র উপরে সন্তুষ্ট হলেই দূর করা সম্ভব।”
এই বস্তুবাদী দুনিয়া আমাদের শেখায় আমরা যতো বেশী ভোগ করতে পারবো, ততো বেশী সুখী হবো। তাই ভোগের জন্য ছুটতে থাকো। সারা জীবন সম্পদের পাহাড় করেও তাই একদিন মনে হয় কি যেন নেই। এক অপূর্ণতা রয়ে গেছে। এ অপূর্ণতা আল্লাহর কাছ থেকে দূরে থাকার। আল্লাহকে বাদ দিয়ে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার পূজা করার।
এই অপূর্ণতা কোন কিছু দিয়েই পূরণ হবে না। সুন্দরী স্ত্রী দিয়ে না, ডুপ্লেক্স বাড়ী দিয়ে না। আইফোন, রোলেক্স, মার্সিডিজ- সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী আনন্দ দিবে। অনেকটা ড্রাগের মতো। তারপরে হৃদয়ের কোনো এক কোণে জমে থাকা শূন্যতাটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে নিজেকে খুব একা একা লাগবে। এ জীবনটা অর্থহীন মনে হবে।
তাই ফিরতে হবে আল্লাহর কাছে। আচ্ছা! তাঁর কাছে ফিরলেই কি আবার জীবনটা রূপকথার মতো সুখী হয়ে যাবে? মোটেও না। দুঃখ – কষ্ট তো আসবেই। আসবে কঠিন কিছু পরিক্ষা। কিন্তু কোথা থেকে যেন দানবীয় শক্তি আসবে সেই কষ্টগুলোর মুখোমুখি হবার। তপ্ত মরুভূমিতে সূর্যের দিকে তাকিয়ে “আহাদুন আহাদ” বলার। যেমনটা রাসূল (সা.) বলেছেন, “মুমিনের ব্যাপারটা খুবই আজব। যখন তার সাথে ভালো কিছু ঘটে, তখন সে কৃতজ্ঞ হয় আর এটাই তার জন্য উত্তম। আর যখন তার কোনো ক্ষতি হয়, তখন সে সবর করে আর এটাও তার জন্য উত্তম।”(মুসলিম)
বর্তমান পৃথিবীতে প্রতি ৪০ সেকেণ্ডে একজন মানুষ সুইসাইড করে। এদের মধ্যে অনেকেই সমাজের এলিট ক্লাসের লোক। সব থেকেও কি যেন নেই তাদের। আমি আমার অতি ক্ষুদ্র জীবনে কখনো কোনো হুজুরকে সুইসাইড করতে দেখিনি। সুইসাইড করার কথাও শুনিনি। কারণ, কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে এদের অধিকাংশই আল্লাহর উপর ভরসা করে। তাই তখন আর কষ্ট এলে সুইসাইড করতে ইচ্ছা করে না। মনে হয় এই জীবন আর ক’দিনের? একদিন ক্লান্তি শেষে বিশ্রাম নিবো। রাসূল (সা.) বলেন, “একজন মুমিনের জন্যে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করার আগ পর্যন্ত কোনো বিশ্রাম নেই।” [আলবানী (রহ.) এর মতে সহীহ]
আমরা আল্লাহর কাছে চাই যেন উনি সে দিনটা আমাদের দুই জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন বানিয়ে দেন যেদিন আমরা তাঁর সাথে সাক্ষাত করবো। জান্নাতে তাঁর দেখা পাবো। ইমাম আহমেদ ইবনে হাম্বল (রহ.) কে তার ছেলে একবার ক্লান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা আমরা কবে শান্তি পাবো?”
ইমাম আহমেদ ইবনে হাম্বল (রহ.) ছোট্ট করে জবাব দিলেন-
“জান্নাতে।”
“হে প্রশান্ত মন! তুমি তোমার রবের নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।” [সূরা আল ফজরঃ ২৭-৩০]
(পার্ট ৫)
আমি মানুষ
সৃষ্টির সেরা জিব।এই চিন্তা কেন আসে না যে
আমি এক সময় দুনিয়াতে ছিলাম না,এখন আছি আবার কিছু দিন পরে থাকব না।কেন আমি দুনিয়াতে আসলাম?
একটা কুকুর খায়,গুমায়,যা মনে চায় তাই করে,আমিও খাই,গুমাই,মনে যা ইচ্ছা তাই করি।আমার আর কুকুরের মাঝে পার্থক্য কথায়?পার্থক্য
হলঃআল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেছেন তার গোলামি করার জন্য কুকুরকে নয়।
আল্লাহ পাক
বলেনঃ
আমি আমার বান্দা(মহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইওসাল্লাম)এর ওপর যে(কোরআন)নাজিল করেছি,তার(সত্যতার) ব্যাপারে যদি তোমাদের(বিন্দু পরিমাণও)কোন সন্দেহ থাকে তাহলে যাও_তার মতো (করে)একটি সুরা তোমরাও(রচনা করে)নিয়ে এসো,এক
আল্লাহ পাক ছাড়া তোমাদের আর যেসব বন্দুবান্ধব রয়েছে তাদেরও(প্রয়োজনে সহযোগিতার জন্নে)ডাক,যদি তোমরা তোমাদের দাবিতে সত্যবাদি হও! কিন্তু
তোমরা যদি তা না করতে পার(এবং আমি জানি),তোমরা তা কখনই করতে পারবে না,তাহলে তোমরা(দোযখের)সেই কঠিন আগুনকে ভয় করো,যার ইন্দন হবে মানুষ ও পাথর।(আল্লাহ পাককে) যারা অস্বীকার করে তাদের জন্যই(এটা) প্রস্তত করে রাখা হয়েছে।(সুরা বাকারা২৩-২৪)
আল্লাহ পাকের ঐ চ্যালেঞ্জ
আজও বিদ্যমান কিন্তু ইসলামের দুশমনরা পারে নাই,ঐ চ্যালেঞ্জ এর মুকাবেলা করতে।কেয়ামত পর্যন্ত পারবেও না।আপনিও
চেষ্টা করে দেকতে পারেন।যদি না পারেন তাইলে সেই
আগুনকে ভয় করেন যার ইন্দন হবে মানুষ ও পাথর।প্রস্ন হতে পারে
আমার কি ঠেকা পড়ছে যে আমি কোরানের মতো সুরা বানাবো?ভাইজান আপনে কি মরবেন না?দুনিয়ার সব চিন্তা করলাম কিন্তু আসল চিন্তাই করলাম না!
আমি কেমন মুসলিম!যে আমার
মধ্যে ইসলাম নাই।আমি প্রতেহ ৫ওয়াক্ত নামাজ
পরিনা,দাড়ি রাখি না,সুন্নাত মতো চলি না,আমার স্ত্রি খাস পর্দা করে না,আমার সন্তান
নবীজির আদর্শ মানে না,আমি হালাল হারাম তমিজ করে চলি না।আফসস আমি ও আমার পরিবার গুনার মঝে দুবে আছি।আমার মৃত্যুর পর কি হবে?মরার পর সবাই পর আপন একমাত্র আল্লাহ।কোরান সত্য।তাহলে আমি
কিভাবে দোযখের আগুন থেকে বাচব!ভাইজান চিন্তা না করে এক্ষনি খাটি তওবা করে
ইসলামে প্রবেশ করুন।আপনি ও আপনের পরিবার কে
নবীজির আদর্শে বাস্তবায়ন করুন।দুনিয়াতেও
শান্তি-আখিরাতেও শান্তি।কিন্তু যদি
প্রত্তেহ ৫ওয়াক্ত নামাজ না পড়ি,নবীজির সুন্নত এক মুষ্টি দাড়ি না রাখি,আমার স্ত্রী কে খাস পর্দায় না রাখি,আমার
সন্তানদের যদি ইসলামের আদর্শ না শেখাই,আমি যদি হালাল
হারাম না মানি তাহলে মরার পরে আমাকে দোযখে যেতে হবে সাথে আমার পরিবারও দোযখে জাবে।আমি সব বুজি কিন্তু এইতাই বুজলাম না চিন্তাও করলাম না।অথচ আমি মানুষ!!!!!!
আমার বলার আমি
বলছি।মানবেন কি মানবেন না,তা আপনার ব্যাপার।আমি দুনিয়ার সব কিছু বুজলাম চিন্তা করলাম কিন্তু আসল তাই
বুজলাম না চিন্তাও করলাম না।অথচ আমি মানুষ!!!!!!!
শেষে একটা কথা
বলিঃচিন্তা ভাবনা কইরা কবরে যাইয়েন?????????
(পার্ট ৬)
এক ভাইয়া প্রশ্ন করেছেন কেন নাস্তিক বাড়ছে?
মূলত অল্প বয়সে তরুন - তরুনীরা খুব বেশি স্বাধীনতা চায়। সে যত বড় হতে থাকে তত স্বাধীনতার আকাংখা বাড়তে থাকে ৷ যৌবনে চারপাশের লাল নীল বাত্তি দেখে আকাংখা চরম আকার ধারন করে ৷ বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুর সাথে সময় কাটাতে মন আকুল হয়ে উঠে ৷ কিন্তু তার স্বাধীনতার পথে একটা বাধা এসে দাঁড়ায়"ধর্ম"৷
তখন সে দেখতে পায় যে, ধর্ম বলে: এটা করা নিষেধ, ওটা করা নিষেধ, এটা খাওয়া যাবে না, ওটা দেখা যাবে না, এটা শোনা যাবে না, ওটা বলা যাবে না। তখন তার হাতে দুটি পথ খোলা থাকে—
১) তাকে এই নিয়মগুলো মেনে নিয়ে যৌবনের সুখ বিসর্জন দিতে হবে ৷
২) নিয়মকানুনগুলো অস্বীকার করে যৌবনকাল উপভোগ করবে।
যৌবনকাল উপভোগ করতে গেলে প্রথমে তাকে ধর্মকে অস্বীকার করতে হবে।তখন শয়তান তার কাঁধে ভর করে ৷ সে বলা শুরু করে "There is no God “সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছু নেই। আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি না।” এটা বলে সে যৌবনের সুখের সাগরে ঝাঁপিয়ে পরে ৷ যা ইচ্ছা তাই করতে থাকে ৷নিজের ভেতর এক ধরনের স্বর্গীয় স্বাধীনতা অনুভব করে, কারণ তখন তার মধ্যে কোনো ধর্মীয় দায়বদ্ধতা থাকে না, যা তাকে চরম আনন্দ দেয়। আর এভাবেই জন্ম হয় বেশিরভাগ নাস্তিকদের।
কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে যৌবনের তেজ এবং কমতে থাকে স্বাধীনতার আকাংখা ৷ ফলে শেষ জীবনে অধিকাংশ নাস্তিক ধর্মের কাছে আত্মসমর্পণ করে ৷ অপেক্ষা করুন ৷ আজকের নাস্তিকরাও ধর্মে বিশ্বাসী হবে ৷ যৌবনের তেজটা কমে যাক!!!!!
বিঃদ্রঃ নাস্তিকদের সংখ্যা বাড়েনি বরং ফেইক Facebook আই ডি বেড়েছে ৷
(পার্ট ৭)
কখনো কি প্রশ্ন জাগেনি, পৃথিবীতে কেন এমন এক প্রাণীর সৃষ্টি হলো যারা সকল জীব এবং বস্তুর উপর নিয়ত্রণ স্থাপনা করতে পারছে শুধু মাত্র- স্থান, কাল, সময়, গতি ছাড়া। এটা কি সৃষ্টিকর্তার অস্থিত্ব অস্বীকার করার নাকি অনস্বীকার্য। মানুষই নাস্তিক বা আস্তিক হয়। কেন পশু বা জানোয়ারের ধর্ম নেই? কেনো এত সকল জীবের থেকে মানুষ বুদ্ধি ও কাজে ভিন্ন। কারণটা কি মানুষের জন্ম--- বিজ্ঞান তত্ত্ব দিয়ে ধর্মকে অস্বীকার করার জন্য। যদি তাই হয়, তাহলে এই বিজ্ঞান সত্য এটা প্রমাণ করার জন্য পৃথিবীতে মানুষের মতো প্রাণীর জন্ম কেন? কেন মানুষের মতো অদ্বিতীয় সমাজ বা বিজ্ঞান বিভাগ সৃষ্টি করার মতো আর প্রাণী নেই। বিজ্ঞান অতিপ্রাকৃতে অবিশ্বাসী। থেউরিতে চলে বিজ্ঞান। আচ্ছা, বিজ্ঞানে কি জানা সম্ভব মৃত্যুর অনুভূতি কেমন। অবশ্যই সম্ভব না। তাহলে এখানে বিজ্ঞান কী থিউরি দিবে?
বিজ্ঞান সৃষ্টির পিছনে সৃষ্টিকর্তা হাত নেই প্রমাণ, যুক্তি দেয়। ধর্ম কি এতই দুর্বল যে ধর্মের কাছে যুক্তি নেই। অবশ্যই আছে, আমার ধর্মে আছে। আচ্ছা 'বিগ ব্যাং' - এর আগের অবস্থা বিজ্ঞান কি উদ্ঘাটন করতে পেরেছে? তাহলে বিজ্ঞান কি তাদের দৃশ্যমানকে নিয়েই গবেষণা বা থিউরেটেকেলি প্রমাণ দিতে পারে? আর তাদের অদৃশ্যমান অবস্থার ভিতরের রহস্য বিজ্ঞান কি প্রমাণ করতে পারে না? বিজ্ঞান কি বলতে পারবে, প্রাণের অবস্থা? প্রাণটা দেখতে কেমন? তারা বলবে প্রাণের আকার নেই। আকার না থাকলে তার অবস্থা কেমন? তাদের মতে নিরাকার বস্তুও পরিমাপ করা যায়। যেমন বায়ু। তাহলে প্রাণের পরিমাপ কি তাদের বিজ্ঞানে সম্ভব।
সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন যিনি স্থান, কাল, সময় এবং সৃষ্টিরও শুরুতে রয়েছেন। বিজ্ঞান এবং দর্শনের যেখানে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, সেখান থেকে তার জ্ঞান সেই 'সীমাবদ্ধ' সীমাবদ্ধ করার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তিনি বিজ্ঞানের ধারণার বাহিরে। যদি তিনি বিজ্ঞানের ভাবনা এবং গবেষণার অংশ হতেন তাহলে বিজ্ঞানই সৃষ্টির শাসক হতে চাইতেন। যদি তার 'তুলনা' বিজ্ঞানের সাথে তুলনা হতো তাহলে তার অতুলনীয়তার স্বার্থকতা কোথায়? আল্লাহ আছে।
বিঃদ্রঃ-- এই লেখাগুলো আমার চিন্তাধারার আপনারা কেমন চিন্তা বা ধারণা করবেন জানি না। আমার যুক্তি বা আপনার যুক্তি চাইলে ভিন্নতরও হতে পারে।
লেখা-- Mehedi
(পার্ট ৮)
একটি সন্দেহ ও তার জওয়াব:
"যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করি তখন তার অবস্থাপন্ন লোকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করি অতঃপর তারা পাপাচারে মেতে উঠে। তখন সে জনগোষ্টীর উপর আদেশ অবধারিত হয়ে যায়। অতঃপর আমি তাকে উঠিয়ে আছার দেয়।"
(বনী ইসরাঈল-১৬)।
**সব কিছুতো আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়।এমতাবস্হায় বেচারাদের দোষ কি? তারা তো অপরাগ ও বাধ্য।
এর জওয়াবে, তরজমায় ইঙ্গিত করা হয়েছে যে,আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বিবেক-বুদ্ধি ও ইচ্ছা শক্তি দান করেছেন এবং আযাব ও সওয়াবের পথ সুষ্সপষ্টভাবে বাতলে দিয়েছেন।কেউ যদি স্বেচ্ছায় আযাবের পথে চলারই ইচ্ছা ও সংকল্প গ্রহণ করে,তবে আল্লাহর রীতি এই যে,তিনি তাকে সেই আযাবের উপায়-উপকরণাদি সরবরাহ করে দেন।কাজেই আযাবের আসল কারণ স্বয়ং তাদের কুফরী ও গোনাহের সংকল্প- আল্লাহর ইচ্ছায় একমাএ কারণ নয়।তাই তারা ক্ষমার যোগ্য হতে পারে না।(মা'আরেফুল কোরআন)।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের ভাগ্যের ভাল -মন্দ সব কিছুই লিখে রেখেছেন।কিন্তু কি লিখে রেখেছেন সেটা আমরা জানি না।
আমাদের মনে ভাল-মন্দ উভয় কাজের চিন্তাই আসতে পারে।আর আমাদের উচিত হলো সব সময় মন্দ কাজের চিন্তা না করে,ভাল কাজগুলো করা।
ভাল- মন্দ কাজের মাপকাঠি হলো-
যে কাজ করলে গোনাহ হয়,সেটা হলো খারাপ।
আর যে কাজের জন্য আল্লাহরাব্বুল আলামিনের কাছে পুরষ্কার পাওয়া যাবে,যে কাজ করলে আল্লাহরাব্বুল আলামিন খুশি হবেন,সেটাই হলো ভাল কাজ।
(পার্ট ৯)
নাস্তিকীয় মুজি'যা!!😱😱😱
পর্ব -১
নাস্তিকরা নিজেদের যুক্তিবাদী ও বুদ্ধিমান দাবি করে,কারন তাদের দাবি তারা সব কিছুর ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দ্বারা দিতে পারে।(কিন্তু বিজ্ঞান আল্লাহর অস্তিত্ব এখনও বাতিল করে দিতে না পারলেও,নাস্তিকরা ঠিকই বাতিল করে।এটা কোন যুক্তিতে কে জানে?)
যাই হোক,আজকে কিছু জাদুবিদ্যা নিয়ে কথা হবে,যাকে নাস্তিকরাও যাদু বা অলৌকিক বলে।যার কোন ব্যাখ্যা নেই।
বিগ ব্যাং!! পাঠ্যবইতে পড়ে পড়ে মাথায় বসিয়ে নিয়েছেন,কিন্তু কখনওই ভাবেন নি,এটা কি অদৌ কোন হস্তক্ষেপ ছাড়া ঘটতে পারে কিনা।
নক্ষত্রের কথাই ধরুন।
বিপুল পরিমাণ গ্যাস হঠাৎ করেই, মানে by chance, এই পরিমাণে জড়ো হয়ে গেল যে,তারা যথেষ্ট অভিকর্ষ বলের সৃষ্টি করল যা গ্যাসের গতিশক্তি থেকেও বেশি😱😱
আচ্ছা,বিগ ব্যাং এর সময় প্রচুর শক্তি শূণ্যে ছড়িয়ে পরে, এই শক্তি কি গ্যাস গ্রহণ করে নি?? যদি করে থাকে তাহলে গ্যাস কেন আরও বেশি excited হল না??
গ্যাসের ধর্ম প্রসারিত হওয়া,পাত্রের পুরো জায়গা দখল করা,গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে,এটাই গ্যাসের ধর্ম।
সেই গ্যাস ছড়িয়ে না পড়ে,একত্রে জমা হল! আর নক্ষত্র গঠন করল!!😱😱
আস্তিকরা মনে করে,সব আল্লাহর ইচ্ছা।আল্লাহ ধোয়া থেকে heavenly bodies সৃষ্টি করেছেন।
আর নাস্তিকদের দাবি,এটা যাদু।
এবার বলুন,উভয়ের মধ্যে কে যুক্তিবাদী?
(পার্ট ১০)
নাস্তিকদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কোন আক্রশ বা ঘৃনা নেই । সত্যিকথা বলতে কি ২০১৪ ফেইসবুক একাউন্ট খুললেও ২০১২ হইতে ২০১৫ পর্যন্ত আমি কিছু ওয়াপ চ্যাট সাইটে সময় কাটাতাম । সেই সুবাদে বেশ কিছু নাস্তিকের সাথে বন্ধুত্য ও সখ্যতা গড়ে উঠে ছিল। সেই সমস্ত নাস্তিকদের আমার খুবই জ্ঞানী মনে হত । বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ছিল অফুরন্ত । তাদের এই জ্ঞানের জন্য আমি তাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান করতাম । ফোরামের মাঝে বিভিন্ন টপিকে আমার তাদের সজ্ঞে প্রচুর আলোচনা হত । তাদের সজ্ঞে আলোচনায় আমি যে বিষয়টি জানতে পেরেছি তা হল -আল-কোরআন, গীতা ও বাইবেলের মত বিজ্ঞান তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ । তাদের সাথে আলোচনা করে একটা বিষয়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ বিজ্ঞান সম্পর্কে তারা যথেষ্ট জ্ঞান রাখে ।
-এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো প্রকৃত এবং খাঁটি নাস্তকিদের সজ্ঞে যুক্তি তর্ক করতে হলে আপনার নিজ ধর্মীয় গ্রন্থের পাশাপাশি তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ বিজ্ঞানের যুক্তিগুলো সম্পর্কেও জানা থাকতে হবে । তা না হলে তাদের প্রথম যুক্তির কাছে আপনার ধর্ম ফেল হয়ে যাবে ।
সেই সব বিষয়ে অন্য কোনদিন আলোচনা করব । ফিরে আসি আজকের আলোচনায়
"বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নাস্তিকতা"......... বাংলাদেশ কিংবা ভারতে কোন প্রকৃত নাস্তিক আজও আমার চোখে পড়েনি । আমি আগেই বলেছি প্রকৃত নাস্তিকদের আমি সম্মান করি , শ্রদ্ধা করি । প্রকৃত নাস্তিকরা কোন ধর্মকেই যেমন বিশ্বাস করে না ঠিক তেমনি কোন ধর্মের প্রতি কটুক্তিও করে না । অন্য ধর্ম অবলম্বীরা যেমন তাদের ধর্মে বিশ্বাস করে ঠিক তেমনি নাস্তিকরা তাদের ধর্ম বিজ্ঞানে বিশ্বাসী । সেখানে আমি দোষের কিছু দেখি না । আপনার যদি নিজ ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকে আপনি তাদেরকে বুঝান । বাংলাদেশে নাস্তিকতাঃ নিচের দু,টো প্রশ্ন ও তার উত্তর মনোযোগ দিয়ে পড়ুন । ১। বাংলাদেশ কি কোন নাস্তিক আছে ? ...একদম চোখ বন্ধ করে এর উত্তর দেওয়া যায় "না, এই দেশে কোন নাস্তিক নেই"।
২। যদি বাংলাদেশ কোন নাস্তিক না থাকে তবে ওরা কারা, যারা ফেইসবুক বা বিভিন্ন ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে? ওরা কি নাস্তিক নয় ? -----না, ওরা নাস্তিক নয় । নাস্তিক হওয়ার যোগ্যতা ও জ্ঞান তাদের নেই । তারা শুধু কিছু কুশিক্ষিত বেহায়া ও চরিত্রহীন লোক । যারা ধর্মের বাঁধার জন্য লম্পট, দুশ্চরিত্র কুৎসিত মনোভাষনা সরাসরি পূর্ন করতে পারে না । এরা সমাজের কিট । এদের মাঝে যেমন কিছু পুরূষ আছে তেমনি কিছু নারীও আছে । এরা ধর্ম বিদ্বেসী কিনতু নাস্তিক নয় । এরা কেউ ধর্ম বিদ্বেসী হয় বহু নারী-পুরূষের সাথে মিলনর জন্য । কেউ বা ধর্ম বিদ্বেসী হয় বিনা খরচে জার্মান যাওয়ার জন্য । তার জলন্ত প্রমান তসলিমা নাসরিন এবং আসিফ মহিউদ্দীন, আসাদ ও মোফা পাগলা। এই সমস্ত ইসলাম বিদ্বেসীদের একটা ব্যাপার আমার চরম হাসির উদ্রেগ করে । তারা তাদের নিজ ভাষা বাংলাই সঠিকভাবে জানে না অথচ তারা আল-কুরআনের বঙ্গানুবাদ পড়ে তার ব্যাখা করতে যায় ।
মূলকথাঃ বাংলাদেশের লম্পট দুশ্চরিত্রের ইসলাম বিদ্বেসীদের টার্গেট থাকে ইমলামের বিরূদ্ধে লিখে জার্মানীর নজরে আসা । এবং বিনা খরচে জার্মান পাড়ী দেওয়া । জার্মান একটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট । ইসলামের বিরূদ্ধে লিখার জন্য খ্রীষ্টানরা তাদের অর্থ দেয় এবং এক সময়ে জার্মান নিয়ে যায় । তারা যদি নাস্তিক হত তবে খ্রীষ্টানরা কখনও তাদের টাকা দিত না । কারন নাস্তিক হওয়া মানে সব ধর্মকে অস্বীকার করে বিজ্ঞানকে ধর্ম হিসেবে মেনে নেওয়া । প্রতিকারঃ প্রকৃত এবং খাঁটি নাস্তিকদের জন্য কোন প্রতিকারের প্রয়োজন নেই । আপনার যদি নিজ ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকে তবে তাদেরকে বুঝানোর দায়িত্ব আপনার । নাহয় আপনার ধর্ম আপনি পালন করুন আর তাদের ধর্ম তাদরকে পালন করতে দিন । কিন্তু যারা নাস্তিকের মুখোশ পড়ে শুধূ মাত্র বহু নারী এবং টাকার জন্য খ্রীস্টানদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে তাদেরকে অঙ্কুরেই প্রতিকার করতে হবে ।
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.