নরবলি ( পুরুষমেধ ), পশুবলি বনাম কোরবানি / তানভীর আহমেদ শরীফ ।


#ইসলামের_কাছে_পৌত্তলিকতার_পরাজয়_পর্ব_২২
#নরবলি ( পুরুষমেধ ), পশুবলি বনাম কোরবানি
🚩🚩
"একসময় যে গরুকে পূজা করতাম আজ গরুই কোরবানি দিলাম!" এক নওমুসলিম বোনের ফেসবুক স্টাটাস
🚩🚩
আলহামদুলিল্লাহ, মানুষ হয়ে পশুর দাসত্ব থেকে আল্লাহ তাকে মুক্তি দিয়েছেন।
#লাইভ_ডিবেট_চ্যালেঞ্জ_২
এক দাদা, নিজেকে নাস্তিক দাবী করেন ও তথাকথিত নাস্তিক গ্রুপের এডমিন, কিন্তু তিনি পৌত্তলিকতার সাফাই গেয়ে ইসলামের নামে গালাগাল মিথ্যাচার করে পোস্ট দেন, ওনাকে ডিবেট চ্যালেঞ্জ দেওয়ায় পালিয়েছিলেন।

🌏🌏
Al-Hajj 22:37
لَن يَنَالَ ٱللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَآؤُهَا وَلَٰكِن يَنَالُهُ ٱلتَّقْوَىٰ مِنكُمْۚ كَذَٰلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا۟ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمْۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُحْسِنِينَ
এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।
বিশ্বের ১ং গোমাংস রপ্তানিকারক দেশের ধর্মীয় বানী
অথর্বেদের একটা মন্ত্রে উল্লেখ আছে--
যদি নো হো হংসি যদ্যশ্বং যদি পুরুষম।
তস্তবা সীসেন বিদ্যোমে যথা নোহসি অবীরহা।।
(অথর্ববেদ ১/১৬/৪)
.
অনুবাদ-- যদি তুমি আমাদের গাভীসকল হত্যা করো, যদি আমাদের ঘোড়া এবং পুরুষসকল হত্যা কর, তাহলে তোমাকে সীসের গুলি দ্বারা হত্যা করা হবে। যাতে তুমি আমাদের আর কোন ক্ষতিসাধন করতে না পারো।
🌏নরবলি ( পুরুষমেধ যজ্ঞ) কি?
🌐বিস্তারিত পড়ুন
https://www.google.com/…/purushamedha-the-human-sacrif…/amp/
🌐
নরবলির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
http://thehitavada.com/Encyc/2016/6/14/‘Purushamedha-Yagya---Evidences-show-sacrifice-of-healthy,-scholarly-human-male-for-political-supremacy.aspx
🌏নরবলি দেওয়া মানুষ কে ক্রয় করার প্রক্রিয়া কি?
🌏 নরবলি কার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়? ( শিব, ব্রহ্মা, দূর্গা, কালী?)
🌏নরবলি মানব সমাজে কি উপকার রাখে?
🌏পৌত্তলিকতা / হিন্দু ধর্মে মানুষ ও পশু এক, তাহলে পশুবলি দেওয়াও কি নরবলির সমান নয়?
🌏পাঠাবলি কি?
🌏পাঠাবলি চামড়া ও মাংস কি মুসলিম দের মত দান করা যায়?
🌏গোঘ্ন কি?
🌏গাধিমাই কি?
🌏মহিষ বলি ৩ লাখ ( ভিডিও দ্রষ্টব্য)
🌏নারীর চেয়ে গরুর মর্যাদা বেশি ( ভিডিও দ্রষ্টব্য)
🌏ধর্ষন এর সাজা ৭ বছর জেল, গোহত্যা যাব্জজীবন!!! তারপর ও গোরপ্তানিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!!
🌏হিন্দু প্রতি ১৩ জনের একজন ১ জন গরু/মহিষ খায়, এদের হত্যা করা হয়না কেনো?
🌏ভারতের মধ্য প্রদেশ এ একটি গরু / মহিষ এর বিনিময় বা দামে নারী / মেয়ে বিক্রি করা হয়! মানবতাবাদ!
🌏দাদা হিন্দু ধর্মে গরু ও বিয়ে করা যায়?(স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)
🌏দাদা, বিয়ের মাসয়ালার সাথে গরুর দুধের সম্পর্ক কি,গরু ও নারী কি?
🌏গোহত্যার জন্য মুসলিম হত্যা করা, কিন্তু কোন মুসলিম দেশে দেখেছেন অমুসলিম রা (হারাম প্রানী কুকুর, বিড়াল, শকুন, শুকর) খাওয়ার জন্য হত্যা করা হয়েছে?
🌏হারাম খাবার খেলে মুসলিম দের জাত যায় না, হিন্দুদের জাত যায় কেনো?
🌏অহিন্দুরা আপনাদের জন্য হারাম প্রানী খেলে হত্যার বিধান মানবতাবাদ?
🌏কোরান ত হারাম প্রানী খাওয়ার জন্য মুসলিম কেও হত্যার বিধান দেয় নি, হিন্দু ধর্মে কেন?

#গরু/মহিষ এর বিনিময় দামে নারী বিক্রি
হয়।
https://www.google.com/…/Bride…/amp_articleshow/18759464.cms

#প্রতি ১৩ জনে ১ জন হিন্দু গরু/ মহিষ খায়।
https://www.google.com/…/Who-are-the-beef-eaters-in-India.h…

#গরু রপ্তানিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত।
http://money.cnn.com/…/india-beef-exports-buffalo/index.html

#বিজেপির গোশালায় ১২০০ গরুর মৃত্য, গোপ্রেমীরা কোথায়?
https://www.anandabazar.com/…/in-bjp-ruled-mp-controversy-o…

#গরু সহিংসতায় মুসলিম নিধন
https://m.hindustantimes.com/…/story-w9CYOksvgk9joGSSaXgpLO…

এবার দেখি, ভারতের কোন কোন
কোম্পানি সবচেয়ে বেশি গরুর মাংশ
রফতানি করে এবং তাদের মালিকের
নাম কি ?
১. আল-কাবীর এক্সপোর্ট প্রাইভেট
লিমিটেড, মালিক : শতীস ও অতুল
সাবহারওয়াল
২. এরাবিয়ান এক্সপোর্ট প্রাইভেট
লিমিটেড, মালিক : সুনীল কাপুর
৩. এমকে আর ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্ট
প্রাইভেট লিমিটেড, মালিক : মদন এবোট
৪. পিএমএল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট
লিমিটেড, মালিক : এ এস বৃন্দা

Al-Baqarah 2:2
ذَٰلِكَ ٱلْكِتَٰبُ لَا رَيْبَۛ فِيهِۛ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
কারন বশত হারাম খাবার খেয়ে ফেললে মুসলিম দের জাত যায়না।
🌏🌏
#ইসলাম এ মানুষ, মানুষ হিসেবেই সৃস্টি হয়েছে, পশুরকাছে মাথানত করার জন্য নয়।
সুরা আরাফ ৭ঃ১৭২
وَ اِذۡ اَخَذَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَنِیۡۤ اٰدَمَ مِنۡ ظُہُوۡرِہِمۡ ذُرِّیَّتَہُمۡ وَ اَشۡہَدَہُمۡ عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ ۚ اَلَسۡتُ بِرَبِّکُمۡ ؕ قَالُوۡا بَلٰیۚ ۛ شَہِدۡنَا ۚ ۛ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اِنَّا کُنَّا عَنۡ ہٰذَا غٰفِلِیۡنَ ﴿۱۷۲﴾ۙ
স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তাদের সন্তান-সন্ততি বাহির করেন এবং তাদের নিজেদের সম্বন্ধে স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন এবং বলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই?’ তারা বলে, ‘নিশ্চয়ই। আমরা সাক্ষী রইলাম।’[১] (এ স্বীকৃতি গ্রহণ) এ জন্য যে, তোমরা যেন কিয়ামতের দিন না বল, ‘আমরা তো এ বিষয়ে জানতাম না।’
[১] এটিকে 'আলাসতু' অঙ্গীকার বলা হয় যা ألست بربكم হতে তৈরী। এই অঙ্গীকার আদম (আঃ)-এর সৃষ্টির পর তাঁর সৃষ্টজাত সকল সন্তানের নিকট হতে নেওয়া হয়েছিল। একটি সহীহ হাদীসে এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, আরাফার দিনে নু'মান নামক জায়গায় মহান আল্লাহ আদম-সন্তান হতে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন। আদম (আঃ)-এর সকল সন্তানকে তার পৃষ্ঠদেশ হতে বের করলেন এবং তাদেরকে নিজের সামনে (পিঁপড়ের আকারে) ছড়িয়ে দিলেন ও তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'আমি কি তোমাদের রব (প্রভু) নই।' সকলে বলেছিল, بَلَى شَهِدنَا অবশ্যই, আমরা সকলেই আপনার রব হওয়ার সাক্ষ্য দিচ্ছি। (মুসনাদে আহমাদ, হাকেম ২/৫৪৪, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৬২৩নং) ইমাম শাওকানী এ হাদীসটি সম্পর্কে বলেন, এর সূত্রে কোন প্রকার ত্রুটি নেই। ইমাম শাওকানী আরো বলেন, তখনকার জগৎকে 'আলামুয যার্র' (পিপীলিকা জগৎ) বলা হয়। এটিই এর সঠিক ও যথার্থ ব্যাখ্যা। এর থেকে সরে যাওয়া ও অন্য অর্থ নেওয়া সঠিক নয়। কারণ, এটি আল্লাহর রসূলের হাদীস ও সাহাবাদের উক্তি দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং এটিকে 'মাজায' (রূপক বা ভাবগত) অর্থে ব্যবহার করাও উচিত নয়। মোটকথা, আল্লাহর রব হওয়ার সাক্ষ্য প্রত্যেক মানুষের প্রকৃতিতে সন্নিবিষ্ট আছে। এই ভাবার্থকেই আল্লাহর রসূল (সাঃ) এইভাবে বর্ণনা করেছেন, "প্রতিটি শিশু (ইসলামী ধর্মবোধের) প্রকৃতি নিয়ে জন্ম নেয়। পরে তার মাতা-পিতা তাকে ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান বা অগ্নিপূজক বানিয়ে নেয়। যেমন জন্তুর বাচ্চা সম্পূর্ণ জন্ম হয়, তার নাক ও কান কাটা থাকে না।" (বুখারীঃ জানাযা অধ্যায়, মুসলিমঃ তকদীর অধ্যায়) সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন, 'আমি আমার বান্দাদেরকে একনিষ্ঠ (একমাত্র ইসলামের প্রতি অনুগত) রূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর শয়তান তাদেরকে ইসলামী প্রকৃতি হতে পথভ্রষ্ট করে দেয়।' (মুসলিমঃ জানাযা অধ্যায়) এই প্রকৃতিই আল্লাহর একত্ব ও তাঁর অবতীর্ণকৃত শরীয়ত। যা এখন ইসলাম নামে সংরক্ষিত।
🌏🌏
#মানুষ ই সৃষ্টির সেরা, আর সবকিছুই মানুষ এর উপকারে আসার জন্য ই সৃষ্টি করা হইছে।
Al-Isra' 17:70
وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِىٓ ءَادَمَ وَحَمَلْنَٰهُمْ فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِ وَرَزَقْنَٰهُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَفَضَّلْنَٰهُمْ عَلَىٰ كَثِيرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلًا
নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।
Al-Ma'idah 5:3
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةُ وَٱلدَّمُ وَلَحْمُ ٱلْخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ لِغَيْرِ ٱللَّهِ بِهِۦ وَٱلْمُنْخَنِقَةُ وَٱلْمَوْقُوذَةُ وَٱلْمُتَرَدِّيَةُ وَٱلنَّطِيحَةُ وَمَآ أَكَلَ ٱلسَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى ٱلنُّصُبِ وَأَن تَسْتَقْسِمُوا۟ بِٱلْأَزْلَٰمِۚ ذَٰلِكُمْ فِسْقٌۗ ٱلْيَوْمَ يَئِسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِن دِينِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَٱخْشَوْنِۚ ٱلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلْإِسْلَٰمَ دِينًاۚ فَمَنِ ٱضْطُرَّ فِى مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍۙ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।
গরু খাওয়া ইসলাম এ রেফারেন্স কোরান ও হাদিস থেকে।

আল-বাক়ারাহ 2:67
وَإِذْ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِۧٓ إِنَّ ٱللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تَذْبَحُوا بَقَرَةًۖ قَالُوٓا أَتَتَّخِذُنَا هُزُوًاۖ قَالَ أَعُوذُ بِٱللَّهِ أَنْ أَكُونَ مِنَ ٱلْجَٰهِلِينَ
যখন মূসা (আঃ) স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ আল্লাহ তোমাদের একটি গরু জবাই করতে বলেছেন। তারা বলল, তুমি কি আমাদের সাথে উপহাস করছ? মূসা (আঃ) বললেন, মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ خَرَجَ ثَلاَثَةٌ يَمْشُونَ فَأَصَابَهُمُ الْمَطَرُ، فَدَخَلُوا فِي غَارٍ فِي جَبَلٍ، فَانْحَطَّتْ عَلَيْهِمْ صَخْرَةٌ‏.‏ قَالَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ادْعُوا اللَّهَ بِأَفْضَلِ عَمَلٍ عَمِلْتُمُوهُ‏.‏ فَقَالَ أَحَدُهُمُ اللَّهُمَّ، إِنِّي كَانَ لِي أَبَوَانِ شَيْخَانِحَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى قَالَ حَدَّثَتْنِي عَمْرَةُ قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ وَلاَ نُرَى إِلاَّ الْحَجَّ حَتَّى إِذَا دَنَوْنَا مِنْ مَكَّةَ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ إِذَا طَافَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ يَحِلُّ قَالَتْ عَائِشَةُ فَدُخِلَ عَلَيْنَا يَوْمَ النَّحْرِ بِلَحْمِ بَقَرٍ فَقُلْتُ مَا هَذَا فَقِيلَ ذَبَحَ النَّبِيُّ عَنْ أَزْوَاجِهِ قَالَ يَحْيَى فَذَكَرْتُ هَذَا الْحَدِيثَ لِلْقَاسِمِ فَقَالَ أَتَتْكَ بِالْحَدِيثِ عَلَى وَجْهِهِ
‘আয়েশা (রাঃ)
তিনি বলেন, যুল-কা’দার পাঁচ দিন অবশিষ্ট থাকতে আমরা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। হজ্জ ব্যাতীত আমরা অন্য কিছু উদ্দেশ্য করিনি, অবশেষে আমরা যখন মক্কার নিকটে পৌঁছলাম, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করলেনঃ যার সাথে কুবানীর জানোয়ার নেই সে যেন বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করে হালাল হয়ে যায়। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, এরপর কুরবানীর দিন আমাদের কাছে গরুর গোশত পাঠানো হল। আমি বললাম, এ কী? বলা হল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের তরফ হতে কুরবানী করেছেন। ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ) বলেন, আমি কাসিম (রহঃ)-এর নিকট হাদীসটি উল্লেখ করলে তিনি বললেন, ‘আমরাহ্‌ (রহঃ) হাদীসটি ঠিক ভাবেই তোমার নিকট বর্ণনা করেছেন। (২৯৪) (আঃপ্রঃ ১৬০২, ইঃফাঃ ১৬০৯)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৭২০
হাদিসের মান: সহিহ হাহিহ।
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ انْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ـ أَوْ وَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ، أَوْ كَمَا حَلَفَ ـ مَا مِنْ رَجُلٍ تَكُونُ لَهُ إِبِلٌ أَوْ بَقَرٌ أَوْ غَنَمٌ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا إِلاَّ أُتِيَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْظَمَ مَا تَكُونُ وَأَسْمَنَهُ، تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا، وَتَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا، كُلَّمَا جَازَتْ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُولاَهَا، حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ ‏"‏‏.‏ رَوَاهُ بُكَيْرٌ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏
আবূ যার (রাঃ)
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গমন করলাম। তিনি বললেনঃ শপথ সেই সত্তার যাঁর হাতে আমার প্রাণ (বা তিনি বললেন) শপথ সেই সত্তার, যিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই, অথবা অন্য কোন শব্দে শপথ করলেন, উট, গরু বা বকরী থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এদের হক আদায় করেনি সেগুলো যেমন ছিল তার চেয়ে বৃহদাকার ও মোটা তাজা করে কিয়ামাতের দিন হাযির করা হবে এবং তাকে পদপিষ্ট করবে এবং শিং দিয়ে গুঁতো দিবে। যখনই দলের শেষটি চলে যাবে তখন পালাক্রমে আমার প্রথমটি ফিরিয়ে আনা হবে। মানুষের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার সাথে এরূপ চলতে থাকবে। হাদীসটি বুকায়র (রহঃ) আবূ সারিহ (রহঃ)-এর মাধ্যমে হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৪৬০
হাদিসের : সহিহ।

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.