'নাস্তিকদের অসততা- তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ- ০৩/ আরিফ আজাদ
আস্তিকতা-নাস্তিকতা নিয়ে সামান্য পড়াশুনা আছে এমন ব্যক্তির কাছে 'রিচার্ড ডকিন্স' একটি বহুল পরিচিত নাম। অক্সফোর্ডের Zoology'র এই প্রফেসর হলেন বর্তমান বিবর্তনবাদ দুনিয়ার পুরোধা। বিবর্তনবাদকে জনপ্রিয় করে তুলতে এই প্রফেসর দিনরাত প্রচুর পরিশ্রম করেন। নাস্তিকদের কাছে এই লোক একপ্রকার দেবতাতুল্য।
উনি যা বলেন, মুখ থেকে যা-ই বের করেন, সাথে সাথে সেটা নাস্তিককূল আসমানী বার্তার মতো লুপে নেয়। তবে চরম সত্য কথা এই যে, ব্রিটিশ এবং এথেইষ্ট এই বিজ্ঞানীকে ইংল্যান্ডেরই (উনার নিজের দেশ) অনেক এথেইষ্ট বিজ্ঞানীই পছন্দ করেন না। সাধারণ নাস্তিকদের কাছে যিনি একরকম দেবতার মতো, তিনি কেনো তার বিজ্ঞানীমহলে সমালোচিত, অপছন্দনীয় তা এক বিশাল কাহিনী। আমরা সবসময় শুনে থাকি, নাস্তিকরা নির্ভেজাল। তাদের মধ্যে কোন দুই নাম্বারি নেই। যা সত্য তা মেনে নিতে তাদের মধ্যে কোন কার্পণ্য নেই ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু আসলেই কি তাই?
রিচার্ড ডকিন্সকে নিয়ে দু চারকথা বলা যাক প্রথমে।
উনি যা বলেন, মুখ থেকে যা-ই বের করেন, সাথে সাথে সেটা নাস্তিককূল আসমানী বার্তার মতো লুপে নেয়। তবে চরম সত্য কথা এই যে, ব্রিটিশ এবং এথেইষ্ট এই বিজ্ঞানীকে ইংল্যান্ডেরই (উনার নিজের দেশ) অনেক এথেইষ্ট বিজ্ঞানীই পছন্দ করেন না। সাধারণ নাস্তিকদের কাছে যিনি একরকম দেবতার মতো, তিনি কেনো তার বিজ্ঞানীমহলে সমালোচিত, অপছন্দনীয় তা এক বিশাল কাহিনী। আমরা সবসময় শুনে থাকি, নাস্তিকরা নির্ভেজাল। তাদের মধ্যে কোন দুই নাম্বারি নেই। যা সত্য তা মেনে নিতে তাদের মধ্যে কোন কার্পণ্য নেই ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু আসলেই কি তাই?
রিচার্ড ডকিন্সকে নিয়ে দু চারকথা বলা যাক প্রথমে।
ইংল্যান্ডের এবং বিজ্ঞান জগতে একজন পপুলার ফিগার হলেন রিচার্ড মিল্টন। ভদ্রলোক পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। সাইন্স রিলেটেড বিভিন্ন লেখাজোকার জন্য উনি খুব পরিচিত। উনি একজন এগনোষ্টিক অর্থাৎ সংশয়বাদী। প্রচলিত ধর্মকর্মে যারা বিশ্বাস করেনা, সেরকম।
১৯৯৩ সালে এই অজ্ঞেয়বাদী বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধ্যে একটি বই লিখেন।যেহেতু বিভিন্ন নামী দামী পত্রিকায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উনার আর্টিকেল ছাপা হতো, তাই বইটি লেখার আগেই ডারউইনের 'Theory Of Evolution' এর সমালোচনা করে উনি বিভিন্ন পত্রিকাতে কলাম লিখতেন।
পয়েন্ট টু বি নোটেড, উনি কিন্তু কোন ক্রিয়েশনিষ্ট ছিলেন না। একজন নিরেট অজ্ঞেয়বাদী। কিন্তু ডারউইনের তত্ত্বটির বিভন্ন অসারতা, এবং সেগুলোকে বিজ্ঞানের মোড়কে রঙচঙ মেখে সাধারণ মানুষকে 'পিওর সাইন্স' বলে গিলাতে দেখে উনি সেটার সমালোচনা করার প্রয়োজন অনুভব করেন। ডারউইনের দেওয়া 'ন্যাচারাল সিলেকশান' এবং এরপরের নিও-ডারউইনিষ্টদের উত্থাপিত 'জেনেটিক মিউটেশন' যে প্রাণীর নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে অক্ষম, তা নিয়ে তিনি লেখালেখি করেন। এই লেখালেখি করতে গিয়ে নিজের দলের, নিজের মহলের আরেক সুপরিচিত মুখ,বিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্সের আসল রূপ, তার বিজ্ঞান চর্চার পেছনের হীন উদ্দেশ্য আর নোংরা মানসিকতা রিচার্ড মিল্টনের সামনে চলে আসে। রিচার্ড মিল্টন তার 'The facts Of Life: Shattering the myths of Darwinism' এ রিচার্ড ডকিন্সকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। তিনি তার বইয়ের ২৬৮ পৃষ্টায় লিখেন-
১৯৯৩ সালে এই অজ্ঞেয়বাদী বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধ্যে একটি বই লিখেন।যেহেতু বিভিন্ন নামী দামী পত্রিকায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উনার আর্টিকেল ছাপা হতো, তাই বইটি লেখার আগেই ডারউইনের 'Theory Of Evolution' এর সমালোচনা করে উনি বিভিন্ন পত্রিকাতে কলাম লিখতেন।
পয়েন্ট টু বি নোটেড, উনি কিন্তু কোন ক্রিয়েশনিষ্ট ছিলেন না। একজন নিরেট অজ্ঞেয়বাদী। কিন্তু ডারউইনের তত্ত্বটির বিভন্ন অসারতা, এবং সেগুলোকে বিজ্ঞানের মোড়কে রঙচঙ মেখে সাধারণ মানুষকে 'পিওর সাইন্স' বলে গিলাতে দেখে উনি সেটার সমালোচনা করার প্রয়োজন অনুভব করেন। ডারউইনের দেওয়া 'ন্যাচারাল সিলেকশান' এবং এরপরের নিও-ডারউইনিষ্টদের উত্থাপিত 'জেনেটিক মিউটেশন' যে প্রাণীর নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে অক্ষম, তা নিয়ে তিনি লেখালেখি করেন। এই লেখালেখি করতে গিয়ে নিজের দলের, নিজের মহলের আরেক সুপরিচিত মুখ,বিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্সের আসল রূপ, তার বিজ্ঞান চর্চার পেছনের হীন উদ্দেশ্য আর নোংরা মানসিকতা রিচার্ড মিল্টনের সামনে চলে আসে। রিচার্ড মিল্টন তার 'The facts Of Life: Shattering the myths of Darwinism' এ রিচার্ড ডকিন্সকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। তিনি তার বইয়ের ২৬৮ পৃষ্টায় লিখেন-
“I experienced this kind of witch-hunting activity by the Darwinist police when I first published Shattering the Myths of Darwinism and found myself subjected to a campaign of vilification…it was disappointing to find myself being described by a prominent academic, Oxford zoologist Richard Dawkins, as ‘loony,’ ‘stupid,’ and ‘in need of psychiatric help,’ in response to purely scientific reporting.”
রিচার্ড মিল্টন বলেন, 'রিচার্ড ডকিন্সের মতো অক্সফোর্ডের একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী যখন আমাকে আমার সাইন্টিফিক লেখার জবাবে 'উন্মাদ' 'মূর্খ' এবং 'মানসিক চিকিৎসা দরকার' বলে ভৎসর্না করেন, তখন ব্যাপারটা খুবই হতাশার।'
তিনি আরো লিখেন-
“(B)ehind my back, Dawkins was writing letters to newspaper editors alleging that I am a secret creationist and hence not to be believed…Dawkins contacted the editor [of Times Higher Educational Supplement], Auriol Stevens , falsely alleged that I am a secret creationist, and covertly lobbied against publication of my article, although he had not seen it… the editor of the paper gave in to this bullying and suppressed my article .”
মিল্টন লিখেন, 'আমার অজান্তে, রিচার্ড ডকিন্স পত্রিকার এডিটরদের কাছে চিঠি লিখে বলেছিলো, আমি নাকি একজন সিক্রেট ক্রিয়েশনিষ্ট (যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করে) এবং আমাকে যেন বিশ্বাস না করা হয়। ডকিন্স 'Times Higher Educational Supplement' এর এডিটর Auriol Stevens এর সাথে কনট্যাক্ট করে এবং আমার পেপারটি যেন প্রকাশ না করে তার জন্য তাকে বাধ্য করে, যদিও আমার পেপারটি ডকিন্স তখনও দেখেওনি (অর্থাৎ, মিল্টন কি লিখেছেন, তা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে কতোটুকু গ্রহণযোগ্য, তা যাচাই না করেই ডকিন্স উনার বিরুদ্ধ্যে অপপ্রচারে নামেন।)
তিনি লিখেন-
“I found this kind of bullying, bad faith, and intellectual dishonesty in prominent academics both depressing and a little disturbing. It is like lifting a corner of the veil of civilized behavior and finding something like intellectual fascism hiding underneath…(T)here is little sign of it on the surface unless, like me, you begin to ask controversial questions…”
“For anyone, anywhere, to say that I am a creationist, a secret creationist, a ‘creationist ally,’ or any other such weasel-word formulation, is an act of intellectual dishonesty by those who have no other answer to the scientific objections I have raised publicly ”
“I found this kind of bullying, bad faith, and intellectual dishonesty in prominent academics both depressing and a little disturbing. It is like lifting a corner of the veil of civilized behavior and finding something like intellectual fascism hiding underneath…(T)here is little sign of it on the surface unless, like me, you begin to ask controversial questions…”
“For anyone, anywhere, to say that I am a creationist, a secret creationist, a ‘creationist ally,’ or any other such weasel-word formulation, is an act of intellectual dishonesty by those who have no other answer to the scientific objections I have raised publicly ”
মিল্টন বলেছেন, 'আমাকে (খুব কাছ থেকে দেখা আর জানার পরেও, আমার কাজ, বিশ্বাস সম্পর্কে জেনেও) একজন 'সিক্রেট ক্রিয়েশনিষ্ট' বলাটা চরম বুদ্ধিবৃত্তিক অসততার পরিচয়। আমাকে এসব তারাই বলছে যাদের কাছে আমার উত্থাপিত অভিযোগের (বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধ্যে) বিরুদ্ধ্যে কোন জবাব নেই।'
চিন্তা করে দেখুন, ডকিন্সের মতো একজন পাবলিক ফিগার, যিনি কিনা আবার বিবর্তনবাদীদের আইডল, সেই তিনিই কিনা নিজ গোত্রীয় আরেকজন বিজ্ঞানীর কাজকে অসম্মান করে, তার উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তাকে 'উন্মাদ' 'পাগল' 'সিক্রেট ক্রিয়েশনিষ্ট' 'মূর্খ' বলে ভৎসর্না করে। পত্রিকার এডিটরদের জোর জবরদস্তি করে তার লেখা ছাপানো বন্ধ করে দেয়। এগুলো কি 'মুক্ত চিন্তার' ধারক-বাহকদের বেলায় সাজে?
যিনি আরেকজন বিজ্ঞানীর কাজকে এভাবে অসম্মান করে, যথাযথ না জেনে-বুঝে 'বাতিল', এবং লেখককে 'মূর্খ' 'মানসিক চিকিৎসা' দরকার বলে ভৎসর্না করতে পারে, তাকে আমরা কতোটা সৎ ভাবতে পারি? তার নিজের কাজকে আমরা কতোটা শুদ্ধ বলতে পারি?
এই হলো বিবর্তনবাদীদের গুরু রিচার্ড ডকিন্সের চেহারা। ঠিক এই কাজগুলোই হয় বর্তমান বিজ্ঞান জগতে। বস্তুবাদীরা বিজ্ঞান জগতকে এমনভাবে ঝাপ্টে ধরে আছে যে, কোন বিজ্ঞানী যখন ডকিন্সদের বিরুদ্ধ্যে বিজ্ঞানের যুক্তি-প্রমান নিয়ে আসে, তখন ডকিন্সরা তাদেরকে এভাবেই ভৎসর্না করে। মূর্খ, উন্মাদ, ক্রিয়েশনিষ্ট বলে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়। 'নাস্তিকীয়' ধর্মগুরু ডকিন্সদের 'বিবর্তনবাদের উপর এতোই পিওর ঈমান যে, উনি একবার বলেছিলেন- 'It is absolutely safe to say that if you meet someone who claims not to believe in Evolution, that person is ignorant, stupid or insane'
যিনি আরেকজন বিজ্ঞানীর কাজকে এভাবে অসম্মান করে, যথাযথ না জেনে-বুঝে 'বাতিল', এবং লেখককে 'মূর্খ' 'মানসিক চিকিৎসা' দরকার বলে ভৎসর্না করতে পারে, তাকে আমরা কতোটা সৎ ভাবতে পারি? তার নিজের কাজকে আমরা কতোটা শুদ্ধ বলতে পারি?
এই হলো বিবর্তনবাদীদের গুরু রিচার্ড ডকিন্সের চেহারা। ঠিক এই কাজগুলোই হয় বর্তমান বিজ্ঞান জগতে। বস্তুবাদীরা বিজ্ঞান জগতকে এমনভাবে ঝাপ্টে ধরে আছে যে, কোন বিজ্ঞানী যখন ডকিন্সদের বিরুদ্ধ্যে বিজ্ঞানের যুক্তি-প্রমান নিয়ে আসে, তখন ডকিন্সরা তাদেরকে এভাবেই ভৎসর্না করে। মূর্খ, উন্মাদ, ক্রিয়েশনিষ্ট বলে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়। 'নাস্তিকীয়' ধর্মগুরু ডকিন্সদের 'বিবর্তনবাদের উপর এতোই পিওর ঈমান যে, উনি একবার বলেছিলেন- 'It is absolutely safe to say that if you meet someone who claims not to believe in Evolution, that person is ignorant, stupid or insane'
দেখুন কেমন কথা! আর এদের ভাষায় খালি ধার্মিকরাই নাকি মৌলবাদী, কট্টর! এদেরকেও কী আমরা নাস্তিক মৌলবাদী দাবি করতে পারিনা?
এবার আসি বাংলার কথিত 'সক্রেটিস' অভিজিৎ রায়ের ব্যাপারে। অভিজিৎ রায়কেও সবাই চিনেন। মুক্তমনা ব্লগের ফাউন্ডার এই অভিজিৎ। বুয়েট থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি অর্জন এবং সিঙ্গাপুর থেকে বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডি করে ইঞ্জিনিয়ার হলেও, জীবনের বেশিরভাগ সময় এই লোক ইসলামের বিরোধিতা করেই কাটিয়ে দেন।ব্লগ দুনিয়ায় সারাদিন উনার সরব উপস্থিতি থাকতো। নামে-বেনামে নানান নিক থেকে উনি উনার ইসলাম এবং ধর্মবিরোধী মিশন চালিয়েছেন। রিচার্ড ডকিন্সের মতো উনিও যে কতোটা অসৎ আর নির্লজ্জ, তার একটি নমুনা দেখুন।
'Elsevier' নামক একটি প্রতিষ্ঠান থেকে 'The International Journal Of Cardiology' নামে একটি বিশ্ববিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল প্রকাশিত হয়।মেডিকেল সাইন্সের বিভিন্ন বিষয়ে এই জার্নাল বিভিন্ন বিজ্ঞান ভিত্তিক পেপার প্রকাশ করে থাকে।
২০০৯ সালে এই জার্নালে একটি আর্টিকেল প্রকাশিত হবার জন্য একসেপ্টেড হয়। মজার ব্যাপার, এই খবর মুক্তমনা ব্লগের অভিজিৎ রায়ের কানে যাওয়ার পরে তার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। কী ছিলো সেই আর্টিকেল? আর্টিকেলটির শিরোনাম ছিলো - “The heart and cardiovascular system in the Qur'an and Hadeeth”...
অর্থাৎ, কোরআন আর অথেনটিক হাদীসে মানুষের শরীরের হার্ট এবং কার্ডিওভাসকুলার সিষ্টেম নিয়ে যা বলা আছে, তার সাথে যে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও একমত, তা নিয়েই ছিলো এই আর্টিকেল।
অভিজিৎ রায় এবং মুক্তমনা পরিবারের ঘুম হারাম হবার কারণ হলো এই- এরকম আন্তর্জাতিক মানের একটি জার্নালে মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থের ব্যাপার স্যাপার নিয়ে ফোকাস করার কোন মানে হয়না।
এমনিতেই ইসলাম,মুসলিম,কোরআন-হাদীস নিয়ে তারা উঠতে বসতে বিদ্বেষ চড়াতে থাকে। কিন্তু এরকম কোন বিশ্বমানের জার্নালে যদি মুসলিমদের কিতাবকে এভাবে হাইলাইট করা হয়- তাহলে তাতে ইসলাম বিদ্বেষী তথা মুক্তমনাদেরই নাক কাটা পড়ে। কী করা যায় তাহলে?
অভিজিৎ রায় 'The International Journal Of Cardiology' তে এই আর্টিকেল প্রকাশ না করার জন্য রাতারাতি আরো কিছু ইসলাম বিদ্বেষীদের জোগাড় করে ক্যাম্পেইন শুরু করে। এই জার্নালের এডিটরের বরাবরে সে একটি এপ্লিকেশনও লিখে আর্টিকেলটি যেন প্রকাশ না করা হয়।
সে এই বলে প্রচার চালায় যে, এই জার্নালের এডিটর আরবদের কাছ থেকে 'পেট্রোডলার' খেয়ে এরকম একটি আর্টিকেল প্রকাশ করছে।
অর্থাৎ, কোরআন আর অথেনটিক হাদীসে মানুষের শরীরের হার্ট এবং কার্ডিওভাসকুলার সিষ্টেম নিয়ে যা বলা আছে, তার সাথে যে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও একমত, তা নিয়েই ছিলো এই আর্টিকেল।
অভিজিৎ রায় এবং মুক্তমনা পরিবারের ঘুম হারাম হবার কারণ হলো এই- এরকম আন্তর্জাতিক মানের একটি জার্নালে মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থের ব্যাপার স্যাপার নিয়ে ফোকাস করার কোন মানে হয়না।
এমনিতেই ইসলাম,মুসলিম,কোরআন-হাদীস নিয়ে তারা উঠতে বসতে বিদ্বেষ চড়াতে থাকে। কিন্তু এরকম কোন বিশ্বমানের জার্নালে যদি মুসলিমদের কিতাবকে এভাবে হাইলাইট করা হয়- তাহলে তাতে ইসলাম বিদ্বেষী তথা মুক্তমনাদেরই নাক কাটা পড়ে। কী করা যায় তাহলে?
অভিজিৎ রায় 'The International Journal Of Cardiology' তে এই আর্টিকেল প্রকাশ না করার জন্য রাতারাতি আরো কিছু ইসলাম বিদ্বেষীদের জোগাড় করে ক্যাম্পেইন শুরু করে। এই জার্নালের এডিটরের বরাবরে সে একটি এপ্লিকেশনও লিখে আর্টিকেলটি যেন প্রকাশ না করা হয়।
সে এই বলে প্রচার চালায় যে, এই জার্নালের এডিটর আরবদের কাছ থেকে 'পেট্রোডলার' খেয়ে এরকম একটি আর্টিকেল প্রকাশ করছে।
মজার ব্যাপার হলো, অভিজিৎ রায় এন্ড গংদের এতো ক্যাম্পেইন, এতো অপপ্রচার আর বিদ্বেষীতার পরেও, তাদের নাকের পানি আর চোখের পানিতে ভাসিয়ে 'The International Journal Of Cardiology' ২০১০ সালে ঠিকই আর্টিকেলটি পাবলিশ করে।
রিচার্ড ডকিন্স আর অভিজিৎ রায়- গুরু আর শিষ্য। কমন ব্যাপার হলো- এরা মুখে যতোটা সৎ, যতোটা নির্ভেজাল, নিষ্পাপ, মুক্তমনা, বিজ্ঞান আর মুক্ত বুদ্ধির বুলিই আওড়াক, এট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে, এরা সবাই একেকজন চরম ভন্ড, দ্বিমুখী আর অসৎ। এরা বিরুদ্ধমত থামিয়ে দিতে ক্যাম্পেইন করে, প্রপাগান্ডা চালায়, পত্রিকার সম্পাদককে জোর জবরদস্তী করে, প্রভাব খাটিয়ে অন্যের মত প্রকাশে বাঁধা দেয়। আবার, এরাই নাকি 'ফ্রি থিংকার'.......।
'নাস্তিকদের অসততা- তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ- ০৩/ আরিফ আজাদ
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.