সূর্য ডুবে আবার উঠে কোরানের ভুল !!!
বিষয়ঃ সূর্য ডুবে আবার উঠে কোরানের ভুল !!!
লিখেছেনঃ মোঃ নিয়ামত আলী
লিখেছেনঃ মোঃ নিয়ামত আলী
প্রশ্নঃ কোরআনে আল্লাহ বলেছেন পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্য অস্ত যায়-অতএব কুরআন অবৈজ্ঞানিক ।
উত্তরঃ “আল্লাহ বলেছেনঃ পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্য অস্ত যায়” এই শব্দে কোরানের একটি আয়াত দেখাতে পারবে না কেউই । আচ্ছা, এখন আশা যাক কোরানের কোন আয়াত এর ব্যাপারে তারা মিথ্যা প্রশ্ন করে ।
* কোরানে আছেঃ চলিতে চলিতে সে যখন সূর্যের অস্তগমন স্থানে পৌঁছিল তখন সে সূর্যের এক পঙ্কিল জলাশয়ের অস্তগমন করিতে দেখিল এবং সে তথায় এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেল। ( সুরা কাহফ আয়াত ৮৬ )
* কোরানে আছেঃ চলিতে চলিতে যখন সে সূর্যদয় স্থলে পৌঁছিল তখন সে দেখল উহা এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হচ্ছে যাদের জন্য সূর্যতাপ হতে কোন অন্তরাল আমি সৃষ্টি করে নাই । (সুরা কাহফ আয়াত ৯০) ।
উপরের দুটি আয়াত দেখিয়ে যে দাবি ইসলাম বিদ্বেষীরা করেঃ
১/ সূর্য নাকি পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায়
২/ সূর্য নাকি অস্ত আবার উদয় হয়
এইগুলা নাকি বৈজ্ঞানিক ভুল
মজার ব্যাপার হল সাহিত্যিক বিষয়ে অথবা আমি যদি এইভাবে বলি সামান্য দৈনন্দিন আমরা যেভাবে কথা বলি এমন কথা যদি বিজ্ঞান দিয়ে মাপি তাহলে আপাতত দৃষ্টিতে ভুল মনে হলেও আসলে সেটা ভুল না বরং সঠিক যেমন ধরেন "নাস্তে না জানলে উঠান বাকা " আসলে কি উঠান বাকা ? না । আবার যেমনঃ
মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়
আড়ালে তার সূর্য হাসে
হারা শশীরা হারা হাঁসি
অন্ধকারে ফিরে আসে (১)
আড়ালে তার সূর্য হাসে
হারা শশীরা হারা হাঁসি
অন্ধকারে ফিরে আসে (১)
এরকম হাজার হাজার কবিতা আছে যা খুবই অসাধারন । উপরের কবিতা যদি আপনি বিজ্ঞানের সাথে মাপ দেন তাইলে এটি ভুল কিন্তু যদি আপনি সাহিত্যিক এর কাছে যান সে আপনাকে বলবে আপনার মাথায় গেস্তিক আছে কেননা আপনি সাহিত্যিক বিষয়কে বিজ্ঞান দিয়ে মাপছেন সেটা ভুল । কারন আপনাদের (নাস্তিকদের) জ্ঞানের স্বল্পতা থাকতেই পারে , আপনি দাবি করছেন কবিতায় “সূর্য হাসে” দাবি করা হয়েছে এছাড়া এটাও দাবি করা হয়েছে “মেঘ এর আড়ালে নাকি সূর্য থাকে” কিন্তু আদও এমন কিছুই দাবি করা হয় নি । কারন উপরের কবিতার আসল ভাব অর্থ হলঃ দুঃখ কষ্ট নিয়েই মানুষের জীবন কিন্তু দুঃখের পাশাপাশি সুখ আসবে এটাই ধ্রুব সত্য । (২)
কি আপনি অবাক হচ্ছেন যে নাস্তিক পণ্ডিত যাহা দাবি করিল এর বিন্দু পরিমাণও কোন মিল কবিতার অর্থের সাথে নাই । এর জন্যই আমরা বলি নাস্তিকরা একটু পড়াশোনা করুক ।
ধরেন আপনি আপনার ছেলেকে বলছেন যে বাবা তুমি কি জানো যখন আমি কক্সবাজারে গিয়েছিলাম তখন দেখেছি সূর্য কত সুন্দর করে সমুদ্রে ডুবে যায় সন্ধায় আবার ভর এ আমি দেখেছি যে সূর্য খুবই চমৎকার ভাবে উঠে উফ খুবই অসাধারন একটি দৃশ ।
কোন মানুষিক আবাল যদি দাবি করে সূর্য ডুবে কিভাবে আবার উঠে কিভাবে ? এই প্রশ্ন এর মানে আপনি মানুষিক সমস্যায় ভুগছেন ।
আমরা সবাই জানি যে সূর্য আসলে ডুবিও না আবার উথেও না কিন্তু আপনি যখন কক্সবাজারে যাবেন তখন সন্ধায় আকাশের দিকে “তাকালে” আপনি দেখবেন সূর্য সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে আবার সকালের দিকে “তাকিয়ে” দেখতে পারবেন সূর্য উদয় হচ্ছে । আপনার দেখা কি ভুল ? উত্তর হবে না । কেউ যদি আপনার “দেখাকে” বিজ্ঞান দিয়ে মাপতে যায় সেটা তার ভুল হবে আপনার না ।
একই ব্যাপারে কোরানের ক্ষেত্রে কেননা কোরানের উক্ত আয়াতে আল্লাহ জুলকার নায়িন এর দেখার কথা বলেছেন সুতরাং জুল্কার নায়িন এর দেখাতে আপনি বিজ্ঞান দিয়ে মাপলে সেটা আপনারই ভুল কোরানের না মশাই ।
আমরা সবাই জানি যে সূর্য আসলে ডুবিও না আবার উথেও না কিন্তু আপনি যখন কক্সবাজারে যাবেন তখন সন্ধায় আকাশের দিকে “তাকালে” আপনি দেখবেন সূর্য সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে আবার সকালের দিকে “তাকিয়ে” দেখতে পারবেন সূর্য উদয় হচ্ছে । আপনার দেখা কি ভুল ? উত্তর হবে না । কেউ যদি আপনার “দেখাকে” বিজ্ঞান দিয়ে মাপতে যায় সেটা তার ভুল হবে আপনার না ।
একই ব্যাপারে কোরানের ক্ষেত্রে কেননা কোরানের উক্ত আয়াতে আল্লাহ জুলকার নায়িন এর দেখার কথা বলেছেন সুতরাং জুল্কার নায়িন এর দেখাতে আপনি বিজ্ঞান দিয়ে মাপলে সেটা আপনারই ভুল কোরানের না মশাই ।
পরিশেষে একটি আয়াত দিয়ে জবাব এর ইতি টানতে চাই
আল্লাহ বলেছেনঃ তুমি দেখতে পেতে তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত, সূর্য উদয়কালে তাদের গুহার দক্ষিন পার্শে হেলিয়ে যায় এবং অস্তকালে তাদেরকে অতিক্রম করে বাম পাশ দিয়ে । (সুরা কাহফ আয়াত ১৭ )
আল্লাহ বলেছেনঃ তুমি দেখতে পেতে তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত, সূর্য উদয়কালে তাদের গুহার দক্ষিন পার্শে হেলিয়ে যায় এবং অস্তকালে তাদেরকে অতিক্রম করে বাম পাশ দিয়ে । (সুরা কাহফ আয়াত ১৭ )
এই আয়াতেও আল্লাহ দেখার কথা বলছেন ।
রেফারেন্সঃ
১ এবং ২ এটি একটি কবিতা যার ভাব সম্প্রসারন বিস্তারিত পাবেন “প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি” লেখকঃ অধ্যাপক ডঃ হায়াত মাহমুদ এবং ড মোহাম্মদ আমিন ।
১ এবং ২ এটি একটি কবিতা যার ভাব সম্প্রসারন বিস্তারিত পাবেন “প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি” লেখকঃ অধ্যাপক ডঃ হায়াত মাহমুদ এবং ড মোহাম্মদ আমিন ।
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.