যুক্তির সংলাপ পর্ব ২


যুক্তির সংলাপ পর্ব ২
সংগ্রহেঃ মোঃ নিয়ামত আলী

(সংলাপ ৩) স্তিফহেন হকিং VS আলী
আলীঃ দাদা এই মহাবিশ্ব কেমনে সৃষ্টি হয়েছে আপনি আপনার "the grand ডিজায়িন" বইতে লিখেছেন এটা নাকি কুয়ান্তাম ফ্লাকচুয়েসন এর কারনে নিজে নিজেই হয়েছে এটা কি সত্যি ?
হকিংঃ  হ সত্যি
আলীঃ আচ্ছা আপনার ঘার কি এত বড় বই লেখার জন্য তেরা হইসে
হকিংঃ না ঐটা আমার রোগ
আলীঃ বড় ব্যাঙ এর মতবাদটা আমাকে একটু শিক্ষা দিবেন
হকিংঃ এই নামে কোন মতবাদ ত নাই
আলীঃ না মানে বিগ ব্যাঙ
হকিংঃ ও আচ্ছা তোমাদের মুমিনদের এইসব ভাল করে বুঝতে হবে
আলীঃ এর জন্যই ত আপনাকে প্রশ্ন করলাম
হকিংঃ বিগ ব্যাঙ এর আগে কিছু ছিল না বিলিয়ন টিলিয়ন বছর ধরে এক বিস্ফোরণ এর ফলে  এই মহাবিশ্ব এর সৃষ্টি
আলীঃ এক প্রকার শক্তি এর ফলে নাকি বিস্ফোরণ হইসিল
হকিংঃ কার থেকে শুনেছ ?
আলীঃ এম কে হাসান ভাই এর থেকে
হকিংঃ হুম হুম
আলীঃ একটি প্রশ্ন করমু দাদা
হকিংঃ করো
আলিঃ আপনি একটা কাজ করেন আপনি আপনার মাথা হাজার হাজার বছর ফিরিজে ঢুকিয়ে রাখুন
হকিংঃ কেন কেন ?
আলীঃ বাতাস এক প্রকার শক্তি এটা কি ঠিক ?
হকিংঃ হুম
আলীঃ যদি আপনি আপনার ঘার ফিরিজে ঢুকিয়ে রেখে দেন এতে ফিরিজের ঠাণ্ডা বাতাসের  ফলে কাকাতালিও ভাবে আপনার ঘার সোজা হয়ে যাবে আর  এটা না হলেও আমি নিচ্চিত কুয়ান্তাম ফ্লকচুয়েশন এর ফলে নিজে নিজেই ঠাণ্ডা বাতাসে আপনি ঘারতেরা থেকে ঘার সোজা হয়ে যাবে কি বলেন ? দাদা আমি কি ভুল কইলাম !!
(মানে দৈবভাবে যদি হাজার হাজার বছর ধরে তার তেরাঘার সোজা হতে না পারে তাহলে কিভাবে এবং কেন এই মহাবিশ্ব নিজে নিজেই সৃষ্টি হল !!!)
(ঘুমের থেকে উঠে দেখি রাত ৩ টা ১০ বাজে   মজার বেপার হল দাদার চেহারা তখন দেখার মত ছিল বাকিটা ইতিহাস)

(সংলাপ ৪) এক দিনের নাস্তিক একটি শিক্ষনীয় গল্প

গল্পের চরিত্র : ছাত্র, শিক্ষক এবং শিক্ষকের মেয়ে
এক ছাত্র তার এক শিক্ষকের বাসায় প্রতিদিন গণিত শেখার জন্য যেতো বাসায় শিক্ষক তার স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়ে থাকেনএবার বিস্তারিত 👎
শিক্ষক ছিলেন নাস্তিক মুক্তমনা,,,,ছাত্র ছিল আস্তিক ধার্মিক
প্রায় সময়ই শিক্ষক তার ছাত্রকে পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে ধর্মের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করতেন এবং ছাত্রকে বোঝাতে চাইতেন যে, স্রষ্টা বলতে আসলে কেউ নেই আর এসব ধর্ম হচ্ছে একেকটা গোঁড়ামি আর বন্দিশালা অপর দিকে নাস্তিকতা মানেই হচ্ছে মুক্ত জীবন এখানে না আছে পরকালের আগুনে পোড়ার ভয় আর না আছে স্রষ্টার কাছে জবাবদিহিতার আশঙ্কা আছে জীবনকে নিজের মতো চালানোর স্বাধীনতা এখানে সাবাই সবার স্বাধীন ইচ্ছার মূল্যায়ন করে—ইত্যাদি,ইত্যাদি

শিক্ষকের কাছ থেকে মুক্তচিন্তার এমন সব আলোচনা শুনে শুনে ছাত্র একদিন শিক্ষককে বললো– স্যার আপনার কথাতে আমি মোটামুটি নাস্তিকতার পথে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছি, তবে ধর্মকে পূরোপূরি ত্যাগ করতে পারিনি তাই আমি চাচ্ছি- ধর্মকে সম্পূর্ণ দূরে রেখে ১ দিনের জন্য নাস্তিক মুক্তচিন্তক হতে

শিক্ষক ছাত্রের কাছ থেকে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত কথা শুনে মহা খুশি! এবং মনে মনে ভাবছেন– এতোদিনে বেটা বাগে এসেছে! আর ১ দিনের নাস্তিক জীবন পার করা মানে হলো বেটা আর কোনো দিনই নাস্তিকতা থেকে ফিরে আসতে পারবেনা শিক্ষক তখন ছাত্রকে কিছুটা কৌশল খাটিয়ে বললেন– ঠিক আছে, ভালো কথা! তবে নাস্তিকতা কোনো জোর-জবরদস্তির বিষয় নয় তুমি যেহেতু ১ দিনের জন্য নাস্তিক মুক্তমনাময় জীবন উপভোগ করতে চাইছো তবে এটাই করো তাওতো জীবনের একটা দিনকে মুক্তভাবে এন্জয় করলে! তবে তুমি ১ দিনের মুক্ত জীবন অতিবাহিত করার অভিজ্ঞতা অবশ্যই আমার কাছে ব্যক্ত করবে

ছাত্র শিক্ষকের কথায় হ্যাঁ-সুচক জবাব দিয়ে বাড়িতে চলে গেলো এবং এক দিনের জন্য নাস্তিক জীবন এন্জয় করলো,,,, অতঃপর শিক্ষকের কাছে ছাত্রের ১দিনের নাস্তিক জীবন অতিবাহিত করার অভিজ্ঞতা ব্যক্তের কথোপকথনঃ »» ::::: »»

শিক্ষক : কেমন কাটলো তোমার এক দিনের মুক্ত জীবন?

ছাত্র : বিগত এই এক দিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ব্যতিক্রম একটি দিন

শিক্ষক : আমি জানতে চাই তোমার এই ব্যতিক্রম দিনের অভিজ্ঞতার কথা

ছাত্র : জ্বী স্যার বলছি,,, প্রথমেই সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের মনকে আগে সেট করে নেই যে, আজ আমি নাস্তিক আমার কোনো স্রষ্টা নেই কোনো ধর্ম নেই আর পরকালে আগুনে পোড়ারও কোনো ভয় নেই আজকে আমিই আমি!

শিক্ষক : Good! তারপর বলতে থাকো.....

ছাত্র : জ্বী স্যার বলছি,,, সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খাওয়ার পর মা প্রতিদিনের মতো আজকেও বলেছে– 'যাও বাবা স্কুলে যাও' যা আমার কাছে শুনতে খুব বিরক্তিকরই লাগতো! কিন্তু কখনোই মাকে আমি আমার বিরক্তিভাব বুঝতে দেইনি কারন ধর্মে মায়ের সাথে উফ্ শব্দটিও করতে বারণ করা আছে কিন্তু আজতো আমি ধর্মিক নই তাই আজকে সুযোগ বুঝে মাকে এক ঝারি দিয়ে বললাম–প্রতিদিন স্কুলে যেতে ভালো লাগেনা আর আজতো যাবইনা আজ আমার অনেক কাজ আছে!
মা অনেকটা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল

শিক্ষক : তারপর😞...

ছাত্র : তারপর বাবার পকেট থেকে কিছু টাকা চুরি করি কারন, আজকের দিনটাকে উপভোগের জন্য টাকার প্রয়োজন আছে তবে চুরি কারার সময় একটু থমকে দাঁড়াই কারন, ধর্মের ভয়ে আগে কখনো চুরি করিনি, ধর্ম বলে চুরি করা মহাপাপ পরে আবার সব ঠিক হয়ে যায় যেহেতু আজকে আমি নাস্তিক, কোনো ধার্মিক নই তাহলে আমার সাথে ধর্মের পাপ-পূন্যের হিসাব কিসের! আর নিচ্ছি তো বাবার পকেট থেকেই!

শিক্ষক : তারপর😞😞...

ছাত্র : জ্বী বলছি,,, তারপর পাড়ার কিছু বন্ধুদের সাথে গিয়ে যুক্ত হলাম যাদের সাথে আগে কখনো তেমন একটা মিশিনি, যেমনটা আজকে মিশেছি কারন সবাই বলতো ওরা নাকি সিগারেট খায় এবং আরো কিছু নেশা করে আর ধর্ম মতে যাবতিয় নেশা জাতীয় দ্রব্য হারাম কিন্তু আমারতো আজকে নেশা করার বেশ ইচ্ছে হচ্ছে দেখতে চাই সিগারেট খাওয়ার মধ্যে কি সুখ আছে?!! তাইতো আজ তাদেরকে বললাম আজকের সব খরচ আমার তারাতো আমার কথায় রীতিমত আবাক! পরিশেষে সিগারেট খেয়েই ফেললাম! তবে বেশি খেতে পারিনি প্রথম তো! আর যাই হোক, আমার আবার হালাল হারাম কী?! আমিতো আজকে নাস্তিক!

শিক্ষক : তারপর,,,😞😞😞

ছাত্র : তারপর মনের সুখে গান ধরলাম "আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে..." গান গাইতে গাইতে আপনার বাড়ির দিকে ছুটলাম ভাবলাম যার জন্য আজকের মতো একটা দিন পেলাম তার সাথে একটু দেখা না করলে কেমন হয়! পথিমধ্যে একজন বুড়ো লোকের সাথে দেখা তার সাথে আপনার বাড়ি আসার পথে প্রায়ই দেখা হতো আর দেখা হলেই তাকে সালাম দিতাম কিন্তু আজ সালাম দিতে গিয়ে থমকে দাঁড়াই এবং সালাম দেয়া থেকে বিরত থাকি কারন সালাম তো হলো মুসলমানের সম্ভাষণ ধর্ম মতে এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে দেখলে সালাম দিবে সালামের মাধ্যমে মুসলিমরা একে অপরের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে শান্তিকামনা করে থাকে

তাছাড়া সালামের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি সম্মান ও মূল্যবোধও সৃষ্টি হয় কিন্তু আমিতো আজকে নাস্তিক! আমি কেন সালামের মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে এই বুড়ো লোকটার জন্য শান্তি চাইবো! আর আল্লাহ্‌আসলো কোত্থেকে?! আজ আমি তো আমিই! তাই সালাম না দিয়েই মনের সুখে গান গাইতে গাইতে আপনার বাড়ির দিকে অগ্রসর হলাম এবং আপনার বাড়িতে পৌঁছলাম

শিক্ষক : তারপর😞😞😞😞...

ছাত্র : স্যার! তারপরের ঘটনা আপনার কাছে বলবো কিনা এটাই ভাবছি!,,,,,,,😎

শিক্ষক : না! কোনো সমস্যা নেই বলো...

ছাত্র : ঠিক আছে স্যার! আপনি যখন বলছেন সমস্যা নেই, তাহলে বলেই ফেলি!
আপনার ঘরে ঢুকেই আমি আপনাকে খুঁজতে থাকি,,, স্যার...ও স্যার....স্যার!
পাশের রুম থেকে আপনার মেয়ে বের হয়ে আমাকে জানায়– 'বাবা বাড়িতে নেই' আমি জানতে চাই– স্যার কোথায় গেছেন? তখন সে আমাকে জনায়– বাবা মাকে নিয়ে নানুর বাড়িতে গেছে, আসতে সন্ধা হবে
তখন আমি আপনার ফিরতে দেরি হবে দেখে আপনার বাড়ি থেকে ফিরে আসতে চাইলাম আর তখনই আপনার মেয়ে আমাকে ঠেকে বলছে– "বাড়িতে বাবা নেই তো কি হয়েছে! বাবার মেয়েতো আছে!"

আমি পিছন ফিরে তাকালাম এবং দেখলাম তার মুখে কেমন যেনো একটা মুচকি হাসি!🌞এছাড়া তার শরীরের অঙ্গ-ভঙ্গিটাও যেন কেমন-কেমন! মনে হচ্ছে সে যেন আমাকে কিছু একটা বলতে চাইছে....

তখন আমি তাকে বললাম—তুমি কি আমাকে কিছু বলতে চাইছো...?

সে বললো— "একটা মেয়ে বারবার একটা ছেলের কাছে কি বলতে চায় এটা কি আপনি বোঝেননা?!"😊

আমি বললাম— দেখো! ভনিতা রেখে যদি একটু স্পষ্ট করে বলতে তাহলে ভালো হতো! তখন সে কিছুটা লাজুকতা নিয়ে বললো–"আমি আপনাকে ভালোবাসি!" 💘😍

ওর এই কথাটা শুনে আমার সারা শরীরে একটা শিহরণ সৃষ্টি হলো যা বলে বোঝানো যাবেনা আমি তখন সাথে সাথে তার কথার জবাবে বলে দিলাম "আমিও তোমাকে ভালোবাসি "💝😍
(এখানে বারবার বলার কারন হলো আমি যখন আপনার বাসায় পড়তে আসতাম তখন আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার মেয়ে আমার সাথে টুকিটাকি কথা বলতে চাইতো! তবে আপনার উপস্থিতি টের পেলে সে কেটে পরতো আমাকে বলা তার কথাগুলা ছিলো এমন— "আজ আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে! আপনার চুলের কাটিংটা অনেক সুন্দর!এই শার্টটা পরাতে আপনাকে আরো সুন্দর লাগছে!..." এমনকি সে দুই একবার এই কথাও বলেছে যে, "আমি না...আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি!" কিন্তু আমি তার এসব কথাকে কখনোই সায় দেইনি যদিও তাকেও আমার বেশ ভালো লাগতো! আমি তার কথায় সায় দেইনি এই ভেবে যে,,, সে আমার শিক্ষকের মেয়ে আর আমার শিক্ষক কখনো যদি জানতে পারেন যে, তার ছাত্র তারই মেয়ের সাথে ভালোবাসা করছে তখন তিনি অনেক কষ্ট পাবেন তাছাড়া আমার ধর্ম এসব ভালেবাসাকে নোংড়াভাবে দেখে কিন্তু জানেন স্যার আজ আমার কোনো বাধা নেই–আপনার মেয়েকে ভালোবাসতে! কারন আপনি নিজেই একজন মুক্ত চিন্তার মানুষ আর মুক্তচিন্তার মানুষ হয়ে আপনি নিশ্চয়ই আপনার মেয়ের আর আমার ভালোবাসার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেননা এটা আমি ভালো করেই জানি আর ধর্মিও নিষেধ আমি মানতে যাাবো কেনো?! আমিতো আজকে নাস্তিক মুক্তমনা যাই হোক আমাদের মধ্যে ভালোবাসাটা হয়েই গেলো তারপর স্যার আপনার মেয়ের সাথে আমার আরো অনেক কিছুই হয়েছে যা আপনার কাছে বলা যাবেনা😷)

শিক্ষক : না! বলে যাও! আমি জানতে চাই তুমি আর কি কি করেছ আমার মেয়ের সাথে?...😰😰

ছাত্র: ঠিক আছে স্যার আপনি যেহেতু জানতেই চাইছেন তাই আমারও বলতে তেমন অসুবিধা নেই কারন মুক্তচিন্তায় সব কিছু মুক্ত ভাবে বলতে কানো বাধা নেই

শুনুন তাহলে,,, তারপর আমি আর আপনার মেয়ের মধ্যে মন দেয়া নেয়া নিয়ে অনেক আবেগজনিত মুহুর্ত পার হলো অতঃপর আমাদের ভালোবাসা আরো গভীর থেকে গভীর হলো পরিবেশটাও ছিলো আমাদের জন্য অনুকুলে,,,ঘরে ছিলনা কেউ! বিছানাটাও ছিলো একেবারেই ফাঁকা,,,আমি বিছানায় বসলাম,,, সেও বিছানায় বসলো,,, তারপর আমাদের মধ্যে হয়ে গেলো,,, থাক আর বলবনা! লজ্জা লাগে,,, 😜

শিক্ষক : তারপর আমার মেয়ের সাথে তোমার কি হয়ে গেলো!?😰😰

ছাত্র: বাহ স্যার! আপনার দেখছি জানার আগ্রহ অনেক ভালো!😱 যাক তাহলে বলেই ফেলি,,, এক কথায় আপনার মেয়ের সাথে আমার হয়ে গেল– 'দেহের মিলনমেলা'!! যাকে আধুনিক পরিভাষায় বলতে গেলে ''সেক্স''!!!😋 আর আমি জানি আপনি এতে রাগ করবেন না বরং ব্যাপারটা সহজ ভাবেই নিবেন কারন আপনার মেয়ের সাথে আমার মিলনটা আপনার মেয়ের অনুমতিতেই হয়েছিলো এছাড়া মুক্ত চিন্তায় এমন সম্পর্ককে নীতির চোখেই দেখা হয় তবে আপনার মেয়ের সাথে আমার এহেন কাজে সব চাইতে বেশি যে জিনিসটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাহলো আমার ধার্মিকতা আমার ধর্মমতে একটা ছেলে এবং একটা মেয়ের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে জিনা বলা হয় আর এই জিনা একটা মহাপাপ! এই পাপের জন্য পরকালে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হতে পারে,,, কিন্তু জানেন স্যার! ধর্মিও এসব বাধাকে আমি এক নিমেষেই দূর করে দিয়েছিলাম কারন আজকে আমি নাস্তিক! আমার আবার কিসের পাপের হিসাব-নিকাশ! আর মরার পরে তো আর কোনো জীবন নেই তাহলে পরকালে জিনার জন্য আগুনে পোড়ার ভয় কিসের?! তখন আপনার সেই অমিয় বানী স্মরন হলো–"জীবনটাকে এন্জয় করো"
স্যার! আমি আপনার এই অমিয় বাণীটার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়েছি মাত্র

(ছাত্রের কাছ থেকে মুক্ত চিন্তার এমন সব অভিজ্ঞতা শুনে শিক্ষক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ওঠেন "হায়রে! আমি এমন এক মুক্ত চিন্তার চর্চাকারী যে, আমাকে আমার ছাত্র নিজেই আমার মেয়ের সাথে সেক্সের কথা শোনাচ্ছে আর বাবা হয়ে নিরবে তা আমায় সহ্য করতে হচ্ছে"😫)
শিক্ষকের এমন হতাশাগ্রস্থতা ও চরম অসহায়ত্ব অবস্থা দেখে ছাত্র তার শিক্ষকের কাছে এসে বলল,,, স্যার সেদিন আমি আপনার বাড়িতে গিয়েছিলাম একথা সত্য তবে আপনাকে বাড়িতে না পেয়ে আবার ফিরে এসেছিলাম, আর সেদিন না আমি নাস্তিক হয়েছিলাম, না করেছিলাম আপনার মেয়ের সাথে কোনো শারীরিক সম্পর্ক! আমি আসলে আপনাকে শুধু এটা বোঝাতে চেয়েছি যে- ধর্মিও নৈতিকতার কাছে নাস্তিকিও নৈতিকতা কতোটা অসহায় আমি আমার ধার্মিকতা নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে চাই আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য আমি অনুতপ্ত আমাকে ক্ষমা করবেন স্যার!

...শিক্ষক ছাত্রের একথা শোনামাত্রই তাকে বুকে জরিয়ে ধরলেন দুচোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল অশ্রুফোঁটা আবেগের সূরে বলে উঠলেন—"আজ তুমি আমার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছ–আমি কত বড় ভ্রান্তিতে ডুবে আছি! তুমি আজ আমার সামনে সত্যকে উন্মোচন করে দিয়েছ! You are great my son!😭
.......
Copy by Sakil Khan
Edit Md Raqibuzzaman

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.