সমাধান কি মানব ধর্মেই ??

সমাধান কি মানব ধর্মেই ?? 
লেখাটি ডা.শামসুল আরেফীন এর ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বইটা হতে নেয়া
ভিতরে ভিতরে রিহানের জন্য এক ধরণের মমতা অনুভব করে ফেরদৌস। ফেরদৌস ৬ মাস হল রিহানকে পড়াচ্ছে। কখনো একবারের জন্যও বুঝতে পারেনি রিহানের মাঝে বাসা বেঁধেছে এত বড় রোগ। ওর বাবা না জানালে হয়ত কোনদিন জানতেও পারত না।
রিহান নটরডেম কলেজে ইন্টারমেডিয়েট ফার্ষ্ট ইয়ারে পড়ে। অত্যন্ত ব্রেইনী ছেলে। ফেরদৌসও এক্স-নটরডেমিয়ান, বুয়েট ইলেক্টিক্যাল।
ওস্তাদ-শাগরেদে পড়ার বাইরেও অনেক বিষয়েই এলাচনা হয়। দ্বীনী বিষয়েও অনেক কথাই ওকে বলেছে ফেরদৌস। কিন্ত কখনো একবারের জন্যও রিহান কোন কাউন্টার দেয়নি যাতে ফেরদৌস বুঝতে পারে যে ওর মধ্যে আছে মরণ ব্যাধি, সংশয়বাদিতা। যে সংশয়বাদিতারই চূড়ান্ত পরিণতি নাস্তিকতা।
হয়ত ফেরদৌস আঘাত পাবে বলে কখনো কিছু বলেনি রিহান। অধিকাংশ সংশয়বাদী সংশয়ের স্টেজ পার হয়ে নাস্তিকতায় পৌঁছে দুটো কারণে-
. হয় সংশয়ের উত্তর খুঁজতে যায় না,
. অথবা খুঁজতে গেলে মমতার সাথে উত্তর পায় না। সংশয় নিরসন না করে লালন করে।
আর কিছু আছে একলাফে নাস্তিক। ইসলামকে বা অন্য ধর্মকে স্বীকার করলে নিজের খায়েশ পূরণৈ সমস্যা , তাই নাস্তিক। এধরণের নাস্তিকরা ঘেঁটে ঘেঁটে জোর করে ইলামকে অসাড় প্রমাণ করতে চায়। যে সমকামী ইনসেস্ট-এ লিপ্ত, তার তো নাস্তিক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। মানবধর্মের বুলি তুলে সব ধর্মকে অস্বীকার না করলে তো নিজের বিকৃতির সমর্থন মিলবে না।
- রিহান, একটা কথা বলবে?
- জ্বি ভাইয়া’, অঙ্কের খাতা থেকে মাথা না উঠিয়েই।
- ‘আমার মনে হয় তুমি ধর্মে বিশ্বাসী না। ঠিক বলিনি?’। মাথা উঠাতেই হল এবার।
- কিছুটা ঠিক ভাইয়া। ইসলামের অনেক বিষয়ই আমার ডাউট আছে।
- কেমন?
- আচ্ছা ভাইয়া, এসব জিহাদ, দাস-দাসী, নারীদের গৃহবন্দী রাখা, এত আদেশ নিষেধ, এই একবিংশ শতাব্দীতে কিভাবে যুক্তিযুক্ত? এত ধর্মটর্ম এ যুগে প্রয়োজন নেই আমার মনে হয়। সাম্রদায়িকতা আর হানাহানির মূল এই ধর্ম। এসব ভাড়াও শুধু মানবতা দিয়ে পৃথিবীকে সুন্দর করা যায়। সুন্দরভাবে বাঁচা যায়।
- আচ্ছা, তোমার কথা হল, মানবধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম। মানবতাই সব সমস্যার সমাধান, তাই তো?
- সবাই যদি আমরা সাম্রদায়িকতা আর ধর্মীয় গোঁড়ামি ভুলে মানবতাকে অনুসরণ করি তাহলেই সুন্দর সমাজ নির্মাণ সম্ভব।
- খুব সুন্দর তোমার ভাবনা। তাহলে আমি তোমাকে কিছু প্রশ্ন করি। পৃথিবীতে সব হত্যা-যুদ্ধ কি ধর্মীয় কারণে হয়? পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাস বলছে সারা পৃথিবীতে মোট যুদ্ধের মাত্র ৭% যুদ্ধ হয়েছে ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে। সর্বমোট নিহত মানুষের মাত্র ২% মানুষ নিহত হয়েছে এই ৭% যুদ্ধে। ধরো পৃথিবীতে ধর্ম জিনিসটা নাই। বাকি ৯৩% যুদ্ধ বন্ধ করতে কিভাবে ?(#1)
ওগুলোর সাথে তো ধর্মের কোন সম্পর্কই ছিল না।
১ম, ২য় বিশ্বযুদ্ধের কারণ কি ধর্ম? ১ম বিশ্বযুদ্ধে ১৫ মিলিয়ন; ২য় বিশ্বযুদ্ধে ৬৬ মিলিয়ন, হিরোশিমা, নাগাসাকিতে ২ লক্ষ, হিটলারের হাতে ১৭ মিলিয়ন, আর সোভিয়েত আমলে রাশিয়াতে ২৯ মিলিয়ন, চীনে ৪০ মিলিয়ন জন, ভিয়েতনাম যুদ্ধে ১৭ লক্ষ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ কি ধর্ম না রাজনীতি?(#2)
তাহলে তুমি কিভাবে বছল যে সব হানাহানির মূলে ধর্ম?
- না মানে, ধর্ম হানাহানির একটা বড় কারণ?
- কিভাবে বড় কারণ? বড় বড় সব গণহত্যা কি ধর্মের কারণে হল? যুদ্ধে নিহত ৯৮% মানুষ যে সব যুদ্ধে মারা গেছে সেগুলোর সাথে তো ধর্মের সম্পর্কই নেই। ২% নিহত হবার কারণটাই বড় লাগছে তোমার?
- না । আসলে......কিন্তুু আইএস তো ইয়াজিদি নারীদের ধর্ষন করছে ধর্মের নামেই।
- তার মানে তোমার পয়েন্ট হচ্ছে যেহেতু আইএস ধর্মের নামে ধর্ষণ করছে তাই ধর্মই সব সমস্যার মূল। ধর্ম উঠিয়ে দিতে পারলে সব সমস্যা থাকত না বা থাকবে না। তাই তো? তাহলে আসো দেখি পরিসংখ্যান কী বলে।
২০১৪ সালে আইএসের উত্থান। ২০১৪ সালে তাদের হাতে ধর্ষিত হল ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ৫২৭০ জন নারী নিউইয়র্ক টাইমসের মতে । (#3)
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সূত্রে ২০১৬ তে তাদের অধীনে বাকি ছিল ৩২০০ জন। (#4)
বছর পুলিশ ধর্ষণের মামলা রেকর্ড করে ২,৫০,০০০ এর বেশি (#5)। ব্রিটেনের ৪টি প্রদেশের মধ্যে শুধু ইংল্যান্ড আর ওয়েলসে প্রতি বছর ৮৫০০০ নারী আর ১২০০০ পুরুষ ধর্ষিত হয়। (#6)
আমেরিকাতে প্রতিবছর ধর্ষণ মামলা হয় ৮৯০০০টি। (#7)।
ধর্মর্কে উঠিয়ে দিয়ে এই লক্ষ লক্ষ নারী ধর্ষণ ঠেকাবে তোমরা কীভাবে দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে। এতো কয়েকটা দেশের তথ্য। তাহলে সারা বিশ্বে প্রতি বছর যে পরিমাণ নারী ধর্ষণের শিকার হয় তার কত পার্সেন্ট আইএসের হাতে হয় বলো? এসব প্রশ্ন যারা তোলে তারা কতটুকু প্রতিবন্ধী বুঝতে পারছ তুমি? আমি অবশ্যই আইএস-এর পক্ষে নই। তবে আইএস এর শিকার ঐ ৫০০০ নারী বাদে যে লক্ষ লক্ষ নারী ধর্ষিত হয় তার কারণ কি ধর্ম?
- না ভাই।
- আচ্ছা, তোমার দ্বিতীয় পয়েন্ট হল মানবতা দিয়েই পৃথিবী সুন্দর হবে। আমার প্রশ্ন হল এই পৃথিবীর হোমো স্যাপিয়েন্স সবাই কি মানুষ?
. গত কিছুদিন আগে যে দুজন ৬ বছরের পূজা মেয়েটাকে ব্লেড দিয়ে গোপনাঙ্গ কেটে ধর্ষণ করল তারা কি মানুষ?
. নারায়ণগঞ্জ ৭ খুনের খুনীরা কি মানুষ?
. সিরিয়াল কিলার রসু খাঁ কতটুকু মানুষ?
. একটা মোবাইল বা ৫০০০ টাকার জন্য যারা একটা মানুষ খুন করে দেয় তারা কতটুকু মানুষ?
. এক কোঠা জমির জন্য বা মাদকের টাকার জন্য বড়ভাই, বাবা, মাকে যারা খুন করে তারা তোমার কাছে মানুষ?
. কিছু টাকা লাভের জন্য যারা ফরমালিন বিষ খাওয়ায় মানুষকে দিনের পর দিন তারা তোমার কাছে কতটুকু মানুষ?
. ফুটপাতর গরীব ঝালমুড়িওয়ালার কাছ থেকে দিনে ১০০ করে তোলাকে যারা নিজের পোশাকের বা দলীয় অধিকার মনে করে তারাও মানুষ?
তোমার তো বোন আছে, বড় আদরের। তোমার বুঝা উচিৎ সহজে। ধরো, তোমার একমাত্র আদরের বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করল কোন শুয়োরের বাচ্চা। তোমার কাছে ঐ ধর্ষকের জন্য কতটুকু মানবতা আছে? বল। পারবে ঐ ধর্ষকটাকে বুকে জড়িয়ে বলতে, ‘ যা ভাই ভুল করে ফেলেছিস, ভুল তো মানুষেরই হয়। মানবতার খাতিরে তোকে মাফ করে দিলাম’?
- না ভাই, তা কিভাবে হয়?
- ঠিক তাই। তা হয় না। যেটা প্রতিষ্ঠা করলে সমাজ সুন্দর হবে, সেটা হল ‘ন্যায়বিচার’। সমাজে মানবতা প্রতিষ্ঠা কোন সমাধঅন নয়। মানবতা নিজে কোন সমাধান না। কারণ এর কোন সংজ্ঞা নেই। নির্দিষ্ট কোন মাপকাঠি নেই যে, এতটুকু হল মানবতা। এটা সমাজে সমাজে, জাতিতে জাতিতে, ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে, যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন। প্রজন্মে মানবতার সংজ্ঞা বদলায়। কিন্তু ধর্ম মানবতাকে ডিফাইন করে, নির্দিষ্ট করে বলে দেয় যে এতটুকু পর্যন্ত মানবতা, আর এর পর থেকে পাশবিকতা শুরু। ধর্ম ছাড়া মানবতার কোন সংজ্ঞা নেই।
- স্যরি ভাই। একমত হতে পারলাম না। মানুষের কিছু সহজাত বোধ আছে যাকে বিবেক বলে। সবাই বোঝে কতটুকু করা ঠিক আর কতটুকু ঠিক নয়। সেই সহজাত বোধটাই মানবতার সংজ্ঞা। সবাই জানে মিত্যা বলা খারাপ, সবাই বোঝে হত্যা একটা অপরাধ। এর জন্য ধর্মের প্রয়োজন নেই। সীমানাটা সবাই জানে।
- আমি এটাই বলতে চাচ্ছি, যে বিবেক মানবতাকে ডিফাইন করবে সইে বিবেকটা সবার সমান নয়। তাই মানবতার ডেফিনেশনও সবার কাছে সমান নয়।
. যে গোয়ালা দুধে পানি মেশায় বা যে লোক মাছে ফরমালিন মেশায় এটা তার কাছে “বিজনেস স্ট্রাটেজি”। এটা তার বিবেকে আটকায় না।
. যে মাদকব্যবসা করে বা নারীপাচার করে, যদিও সে জানে এটা অপরাধ, কিন্তু এটা তার বিবেকে আটকায় না, এটা তার কাছে নিছক, ‘একটা ২ নম্বর ব্যবসা’, একটু রিস্কি এই যা।
. যে পহেলা বৈশাখে বোনদের শরীর ছুঁয়ে দেখে এটা তার কাছে ‘জাস্ট ফান’, তার মানবতার সংজ্ঞার ভিতরেই পড়ে এটা।
. যে দিন-খাওয়া মানুষগুলোর থেকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা উঠায় তার কাছে মানবতার বাইরে না, পার্টি ক্ষমতায়, এটা তার কাছে ‘অধিকার’। আমি কি বুঝাতে পেরেছি?
- জ্বি ভাইয়া, বুঝতে পারছি।
- আমি বলতে চাচ্ছি এই বিবেক ব্যাপারটা ধ্রুবক না। এটা ভ্যারিয়েবল। অনেক বিষয় বিবেকের গঠন নিয়ন্ত্রণ করে। দারিদ্র, শিক্ষা, পারিবারিক পরিবেশ। ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তানের মানসিক গঠন ভিন্ন হবে। শিক্ষিত বাবা-মা, পরিবারে বাবা-মায়ের সময় দেখা এসব সন্তানের মানস গঠন করে।
আবার পরিবেশের কারণে মানুষ একটা অপরাধকেও বা পাশবিক বিষয়কেও স্বাভাবিক মনে করে। যার বাবা মদ খেয়ে মাকে পিটায় সেই সন্তানের মনোজগতে এটা তেমন কিছু নয়, নর্মাল। সেও বড় হয়ে বউ পেটাবে। বস্তিতে বাচ্চার সামনেই মাদক ব্যবসা চলছে, বাচ্চাও এচাকে ব্যবসা হিসেবে নেবে, একটু সাবধানে করতে হয় এমন ব্যবসা। তাই তোমার কাছে সেটা মানবতাবিরোধী, আরেকজনের কাছে সেটা ‘তেমন কিছু নয়’ নয় বা ‘ঠিকই তো আছে’ জাতীয় বিষয়। বুঝলে? অযৌক্তিক মনে হচ্ছে?
- না ভাইয়া, বলেন।
- ধর্মও বিবেক গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর এবং তাই মানবতার সীমা নিরূপণেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। যদিও তোমার বিবেকের কাছে মজুতদারি করে বাজারে কৃত্রিম সংকট বানিয়ে প্রচুর লাভ করা একটা বিজনেস পলিসি, কিন্তু এটা বাজারের স্বাভাবিক চাহিদা-যোগান সম্পর্ক ও দর পরিবর্তন ব্যাহত করে, ক্রেতার ভোগান্তি বাড়ায় এবং সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয় মদ্যসত্ত্বভোগীর হাতে। তাই ইসলামে নিষেধ। অতএব, ধর্মহীন একজন একে নর্ম্যাল ভাবছে, আর ধার্মিক পরকালে বিশ্বাসী কেউ একে অমানবিক ভাবছে। একটা বিশাল সম্প্রদায় মদ-জুয়াকে অমানবিক ভাবছে এবং এর সামাজিক-আর্থিক-স্বাস্থ্যগত ক্ষতি থেকে বেঁচে যাচ্ছে।
১০০ জনের কাছে মানবতার ১০০ টা বুঝ। যেহেতু ধর্ম অনেক মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাই মানবতার আলাদা আলাদা বুঝ সত্ত্বেও ঐ বিষয়ে অনেক মানুষের কাছে মানবতার একটা কমন সংজ্ঞা দিয়ে দেয়। মোটকথা বিবেকের বৈচিত্র কমে, কমে অপরাধপ্রবণতা। (#8)
- আচ্ছা। একটু বুঝলাম। ধর্ম মানবতাকে নির্দেশ করে দেবে অনেক মানুষের জন্য যে, এটাই মানবতা। তোমার নিজস্ব সংজ্ঞায় ধরুক বা না ধরুক। এটাই তো বলতে চাচ্ছেন?
- হ্যাঁ। প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ সংজ্ঞায় মানবতা খাটায় তাহলে কি হবে?
- তাহলে অবরাধ বাড়বে বটে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, জঙ্গিবাদ, গুপ্তহত্যা এসবের কি কারণ দেখাবেন ভাইয়া। এগুলো তো ধার্মিক মানুষই করছে। নিজ ধর্মের সম্মান রক্ষা করতেই তো এসব হচ্ছে। তাহলে ধর্ম যে বিবেকটা গঠন করল সেটা কোথায়?
- ভালো প্রশ্ন, রিহান। আমি চাই তুমি প্রতিটা সংশয়ের প্রশ্ন কর। প্রশ্নের উত্তর খোঁজ। বড় আলোচনা। আমি ছোট করে বলছি। দাঙ্গার কারণ আমরা কেউই আমাদের নিজেদের ধর্মকে চিনি না। হিন্দুদের কথা বলবো না। আত্মসমালোচনাই করব। দাঙ্গার পিছনে রাজনৈতিক কারণটাই বেশি।
নামাজের মাসয়ালা না মেনে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না, তেমনি জিহাদের মাসয়ালা আছে। মাসয়ালা না মেনে জিহাদ শুরু করলে তা হল জঙ্গিবাদ। জিহাদ একটা পবিত্র আমল।(# 9) ওটা দরকার হলে আলেমরাইতো আগে যেত।
আমার মতে জঙ্গিবাদ দূর করার একমাত্র উপায় হল জিহাদকে রাখঢাক না করে পাঠ্যক্রমে পরিপূর্ণভাবে শেখানো, মাসয়ালাসহ-খুঁটিনাটিসহ। যাতে অপব্যাখ্যা করে কেউ ব্রেইনওয়াশ না করতে পারে।
এসব দূর করতে হলে ধর্মশিক্ষাকে দূরে রেখে হবে না। বরং ধর্মশিক্ষাকে পরিপূর্ণ করতে হবে। প্রত্যেকে তার নিজ ধর্ম সম্পর্কে পুরোপুরি জানবে। ধর্মে উল্লেখিত মূল্যবোধ, সামাজিকতা, চরিত্র গঠন, নীতিকথা সব পুরো জানবে। অসম্পূর্ণ ধর্মশিক্ষা তো বিবেককেও গঠন করবে অসম্পূর্ণভাবে। এর কাছ থেকে তুমি কী আশা করতে পারো?
- এভাবে অবশ্য ভাবি নাই। তার মানে আপনার মতে, মানবধর্ম বলে আলা কিছু নেই। প্রতিটি ধর্মের, বিশেষ করে মুসলিমপ্রধান দেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামের শিক্ষাকে পরিপূর্ণ করতে হবে। তাহলেই মানবতা বা মাবনধর্ম প্রাণ লাভ করবে।(#10) ধর্মকে ছাড়া মানবতা ডাজ নট মেক এনি সেন্স, রাইট?
- ঠিক তাই, রিহান। ধর্ম ছাড়া মানবতা যে একটা ফাঁকা বুলি, তার একটা ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে আমরা আমাদের পড়ায় ফেরত যাই।
ইসলাম আমাদের মানবতাবোধে এটা এ্যাড করেছে যে অন্য ধর্মের মহাপুরুষ বা পূজ্য চরিত্রদের গালি দিও না, হতে পারে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকেও তারা গালি দিবে ।(#11)
যার কারণে এটা আমাদের বিবেকে বাধে যে আমরা হিন্দু ধর্মের কোন চরিত্রের চরিত্র হনন করব। কিন্ত ুনাস্তিক ব্লগারদের লেখা যদি তুমি পড়ে থাক তবে দেখবে কিভাবে তারা অশ্লীল গল্প রচনা করছে ইসলামের নবীকে নিয়ে, যাকে ১২০ কোটি মানুষ নিজের পিতামাতার চেয়ে বেশি ভালোবাসে। ধর্ম না থাকায় ওদের মানবতায় জায়গাই পায়নি এটা যে, আকেজনের অনুভূতিতে আঘাত দেয়া যাবে না।
এখানেই প্রমাণ হয় যে- ধর্ম নয়, বরং ‘পূর্ণাঙ্গ ধর্মশিক্ষা না থাকা এবং ধর্মহীনতা’ই জন্ম দেয়া উস্কানির যে কালক্রমে সহিংসতায় রূপ নেয়। কেন, সবাই সমবার মতকে শ্রদ্ধা করা তোমাদের মানবতার সংজ্ঞায় পড়ে না? বাক স্বাধীনতার নামে আকেজনের মনে আঘাত দেয়া- এটা কেমন মানবধর্ম ওদের?
রিহানের নিরবতার মাঝে চোরাবলি থেকে উঠে আসার আকুতি গুমরে ওঠে। না জানি এমন কত রিহান দিন শেষে বালিশে মাথা রেখে রশি খোঁজে উঠে আসার।
- আর রিহান, জাস্ট আউট অফ ইন্টারেস্ট। তোমার প্রশ্নগুলো কি শুধু ইসলামের ব্যাপারেই? অন্য কোন ধর্মের ব্যাপারে নেই?
- যেহেতু আমি মুসলিম ফ্যামিলির তাই এই ধর্মটা সম্পর্কে আমি কিছুটা জানি। অন্য ধর্ম তো আমি জানিই না। তাই ডাউটও নেই।
- না রিহান। ব্যাপারটা এটা না। আসল ব্যাপারটা হল, তুমি ইসলামের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ লেখা পড়েছ, অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে সেই পরিমাণ লেখা পড়নি। ইসলামের যে দিকগুলোর প্রতি আঙ্গুল তোলা হয় তার কোনটাই তুমি আগে থেকে জানতে না বা তোমার মনে আগে থেকেই প্রশ্নগুলো ছিল না। ঐ লেখাগুলো পড়ার পর তোমার মনে প্রশ্ন জেগেছে। ঠিক কিনা?
- জ্বি ভাইয়া, তা ঠিক।
- তোমার কি কখনো মনে হয়েছে, শুধু ইসলামের বিরুদ্ধেই কেন এত কথা, এত গবেষণা, এত প্রকাশনা। মনে হয়েছে কখনো?
- না।
- আচ্ছা আমি তোমাকে বলি। সব ধর্মগুলো মূল্যবোধ আর সামাজিক জীবন, প্রথা, উৎসব নিয়ে ডিল করে। এগুলো ছাড়াও ইসলাম এমন কিছু বিষয় নিয়ে ডিল করে যেটা অন্য ধর্মগুলো ডিল করে না। যেমন অর্থব্যবস্থা, রাষ্ট্র পরিচালনা, যুদ্ধনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি।
. ইসলাম যখন সুদমুক্ত, যাকাতভিত্তিক অর্থনীতির কথা বলে তখন ঐ শ্রেণিটার সহ্য হয়না যে ১% এর হাতে পুঞ্জীভূত পৃথিবীর ৫০% সম্পদ যা আরও বাড়ছে সুদের দ্বারা। (#12)
. ইসলাম যখন জবাবদিহিতার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলে তখন দুর্নীতিবাজ শাসকেরা মসনদ টেকানোর জন্য ইসলামের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলে।
. ইসলাম যখন প্রকৃত বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলে যেখানে কারো সুযোগ নেই ন্যায়কে পাশ কাটানোর তখন জ্বালা ধরে লুটপাট আর অপরাধপ্রবণ প্রশাসক ও নীতিনির্ধারকদের, যারা অপরাধ করে পার পেতে চায়।
. ইসলাম যখন সংস্কৃতির নামে বেলেল্লাপনা নিষেধ করে তখন ঐ বিকৃতমনাদের টনক নড়ে যারা এসব আর্ট-মিডিয়া-সিনেমা-সংস্কৃতির সুযোগ নিতে চায় নারীদেহের রহস্যের আস্বাদ। তুমিই বল যদি কোনভাবে মেয়েদের অংশগ্রহণ নিষেধ করা হয়, কতজন পহেলা বৈশাখে যাবে ওখানে বাঙালিত্ব ফলাতে?
- তা ঠিক, আসলেই অনেক কম যাবে।
- ইসলাম যখন নারীপুরুষ আলাদা শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র আর পর্দার সাথে চলাফেরার কথা বলে তখন-
. ঐ প্রৌঢ়ের ভালো লাগে না যে মাথা ঘুরিয়ে দেখে মেয়ের বয়সী নারীদেহের অবয়বঃ
. ঐ বসের ভালো লাগে না যে প্রমোশনের নামে মেয়ে কলিগদের থেকে আদায় করে খুচরা মজা;
. ঐ ছেলেটার সহ্য হবে না ইসলামকে যে সহপাঠী মেয়েদের সম্পর্কে বন্ধুদের আড্ডায় রসিয়ে বলে- “দোস্ত, ও একটা মাল”;
. আর ঐ প্রতিষ্ঠান লিখবে ইসলামের বিরুদ্ধে যেটা হলিউড-বলিউড থেকে আমদানি করে সামাজিক নষ্টামী ফ্যাশন বা ট্রেন্ড-এর নামে।
বুঝাতে পারলাম কি?
- জ্বি ভাই।
- অন্য ধর্মগুলো তো আর এসব স্বার্থে আঘাত দেয় না। ইসলাম এমন এক সমাজের কথা বলে, শুধু কথা বলে না বরং ঐ সমাজ প্রতষ্টিার পথও দেখায়-
. যেখানে সম্রাটের নিযুক্ত বিচারক রায় দেবে সম্রাটেরই বিরুদ্ধে, (#13)
. সম্রাট আইনভঙ্গের জন্য নিজের হাতে জনসমক্ষে নিজ সন্তানকে দেবে ৮০ চাবুক,( #14)
. ১৩০০ কিলোমিটার যুবতী নারী একা সফর করবে কেউ তার দিকে চোখ উঠিয়ে তাকাবে না,(#15)
যেখানে দারিদ্রসীমার অবস্থা এমন যে যাকাত নেয়ার জন্য খুঁজেও লোক পাওয়া যাবে না।(#16)
এজন্যই যারা এগুলো চায় না, সমাজে ন্যায়বিচার চায় না, চায় অপরাধ করে পার পেতে, লক্ষ মানুষের দরিদ্র রেখে সস্তায় শ্রম কিনে টাকার পাহাড় গড়তে তারাই ইসলামের বিরুদ্ধে লাগে, লেখে, লেখায়। যে লেখে তাকে স্টার বানায়, নিরাপত্তা দেয়, অ্যাসাইলাম দেয়। অনেক কথা বলে ফেললাম। চলো অঙ্কগুলো শেষ কর।
তিনদিন হল ফেরদৌস পড়াতে যাচ্ছে না। ওর বাবা আসতে নিষেধ করেছেন এই ৩ তিন দিন। রিহান একখানে গেছে বাবার সাথে। ওর বাবা অনেকদিন ধরেই বলছিলেন যেতে, অবশেষে রাজি হয়েছে।
বুক ভরে শ্বাস নেয় ফেরদৌস। কে বলেছে ঢাকা শহর খারাপ। ঢাকার সকাল সারা পৃথিবীর কোত্থাও নেই। চ্যালেঞ্জ।
(আল-হামদুলিল্লাহ)
তথ্য সূত্রঃ
১. দুটো রেফারেন্স খেয়াল করুনঃ
• The Encyclopaedia of War বা ‘যুদ্ধের বিশ্বকোষ’ নামে একটা বই
লেখেন Charles Philips Ges এবং Alan Axelrod. সেখানে তাঁরা মানবেতিহাসের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ১৭৬৩ টি যুদ্ধ গণনা করেছেন।
. তার মধ্যে মাত্র ১২৩টি যুদ্ধ ছিল ধর্মীয় কারণে। মানে মাত্র ৭% যুদ্ধ হয়েছে ধর্মীয় কারণে।
. এবং যুুদ্ধে নিহত মোট সংখ্যার মাত্র ২% নিহত হয়েছে এই ৭% ধর্মযুদ্ধে। যেটা নিয়ে এতো মাতামাতি। উদাহরণ স্বরূপ. ১১টা ক্রুসেডে ১-৩ মিলিয়ন লোক নিহত হয়। আর শুধু ১ম বিশ^যুদ্ধেই নিহত হয় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ!
Charles Philips. Alan Axelrod (2005). The Encyclopaedia of war.
Sheiman, Bruce (2009) An Atheist Defends Religion : Why Humanity is Better off with Religion than without it. Alpha Books, pp. 117 118. ISBN 1592578543.
http://www.huffingtonpost.com/…/is-religion-the-cause-of-_b…
• FBI এর উপাত্ত অনুসারে, ১৯৮০-২০০৫ পর্যন্ত মোট সন্ত্রাসী হামলার মাত্র ৬% হয়েছে মুসলিম সন্ত্রাসীদের দ্বারা। এদিক থেকে বেশ এগিয়ে আছে ল্যাটিনো গ্রুপগুলো, অতি বামপন্থী গ্রুপ আর ইহুদী চরমপন্থী।
University of North Carolina- র সমাজবিজ্ঞানের প্রফেসর Charles Kurzman সাহেব মুসলিম আমেরিকানদেরকে অভিহিত করেছেন a minuscule threat to public safety’ বলে। তাঁর সাম্রতিক এক রিপোর্টে উঠে এসেছে, ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪,০০০ খুন হয়েছে। নাইন-ইলেভেনের পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এখানে মোট খুন হয়েছে ১,৯০,০০০ জন। যার মধ্যে মাত্র ৩৭ জন নিহত হয়েছে মুসলিম আমেরিকানদের হাতে।
https://thinkprogress.org/less-than-2-pereent-of-terrorist-…
২. http://necrometrics.com/20elm.htm
বিভিন্ন গবেষকের প্রাপ্ত ফলাফল দেয়া আছে, যারটা ভালো লাগে বেছে নিন।
৩. https://www.nytimes.com/…/isis-enshrines-a-theology-of-rape…
৪. https://www.hrw.org/world-report/2017/country-chapters/iraq
৫. জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে ৬৫টি দেশের সরকারি উপাত্ত সংকলন করা হয়। সেখানে দেখা যায় প্রতি বছর ২৫০,০০০ এর বেশি ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টার মামলা পুলিশের রেকর্ডে আসে।
[“Eighth united Nations Survey on Crime Trends and the Operations of Criminal Justice Systerms”, Unode.org.2005-03-31.Retrieved 2013-12-04.]
দক্ষিণ আফ্রিকাতে প্রতি বছর ৫০০,০০০ জন, চীনে ৩১,৮৩৩ জন, মিশনে ২০০,০০০ এর অধিক আর ব্রিটেনে ৮৫০০০ জন ধর্ষণের শিকার হয়।
https://rapecrisis.org/wiki/Rape_statstics#cite_note-13
৬. প্রায় ৮৫০০০ নারী আর ১২০০০ পুরুষ শুধুমাত্র ইংল্যান্ড আর ওয়েলসে প্রতি বছর ধর্ষিত হয়।
https://rapecrisis.org.uk/statistics.php
৭. যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ধর্ষণ মামলার গড় সংখ্যা ৮৯০০০
https://statisticbrain.com/rape-statistices/
৮. https://www.huffingtonpost.com/…/no-time-for-crime-study-f_…
টেক্সাসের ইধুষড়ৎ টহরাবৎংরঃু ১৮-২৮ বছর বয়েসী ১৫০০০ মানুষের গবেষণা করে ফলাফলে আসে, তরুণদের মাঝে যারা ধার্মিক তারা অপরাধে কম জড়িত। গবেষক Sung Joon Jang এবং Aaron Franzen সাহেব National Longitudinal Study of Adoleseent Health থেকে উপাত্ত নিয়ে বিশ্লেষণ করে ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন।
- ধার্মিক ও আধ্যাত্মিক
- আধ্যাত্মিক কিন্ত ধার্মিক নয়
- ধার্মিক কিন্তু আধ্যাত্মিক নয়
- ধার্মিকও না, আধ্যাত্মিকও না
দেখা গেল, যারা ‘ধার্মিক’ হিসেবে নিজেদের গণ্য করেন তাদের অপরাধ প্রবণতা কম।
৯. সামনে নতুন গল্প আসছে এ বিষয়গুলো নিয়ে ইনশাল্লাহ।
১০. ইসলামকে বলা হয়েছে স্বভাবধর্ম বা ফিতরাত। মানুষের স্বভাব যা চায়, যা পেলে মানবসত্তা সুখে থাকবে ইহজীবনে তা-ই ইসলাম দেখিয়েছে। তাই ইসলামই মানবধর্ম।
১১. সূরা আল-আন’আম, আয়াত- ১০৮
১২. https://www.theguardian.com/…/half-world-wealth-in-hands-po…
(অক্সফামের মতে http://www. bbc.com/news/business-35339475)
তুলনা করুন কুরআনের আয়াতা ঃ “সম্পদ যেন কেবল তোমাদের ধনীদের মধ্যেই আবর্তিত না হয়” (সূরা হাশর ঃ ৭)
১৩. তিনি প্রসিদ্ধ কাযী শুরাইহ নামে। খলীফা উমার (রাঃ) এর বিরুদ্ধে প্রথম ফায়সালা দেন কেনা ঘোড়া ফেরত দেবার ব্যাপারে এক বেদুঈনের দায়ে করা মামলায়। বিমুগ্ধ খলীফা বড় বড় সাহাবী বর্তমান থাকতেও তাঁকে নিয়োগ দিলেন কুফা শহরের ‘চীফ জাস্টিস’ পদে। প্রায় ৬০ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন উমার (রাঃ), উসমান (রাঃ), আলী (রাঃ), মুয়াবিয়া (রাঃ) এই ৪ জন খলিফার যুগে।
. খলীফা আলী (রাঃ) এর বিরুদ্ধে রায় দেন এক ইহুদীর দায়ে করা মামলায়। বর্মের মালিকানা নিয়ে খলিফা আর ইহুদীর মাঝে বিরোধের ঘটনা সুপ্রসিদ্ধ।
. নিজের ছেলের জামিনের আসামী পালিয়ে গেলে ছেলেকেই জেলে ঢুকিয়ে দেন তিনি। (দীর্ঘশ^াস) (তাবেঈদের ঈমানদীপ্ত; ডঃ আবুদর রহমান রাফাত পাশা, রাহনুমা প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ১০৮) এবং (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া ই.ফা., ৯ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৫)
১৪. হিজরী ১৪ সালে খলীফা উমার (রাঃ) নিজ পুত্র উবায়দুল্লাহকে মদপানের অপরাধে বেত্রাঘাত করেন (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া ই.ফা., ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৪)
আরেক সন্তান আব্দুর রহমান ওরফে আবু শাহমাকে মদপানের অপরাধে বেত্রাঘাত করেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১ মাস পর মৃত্যুবরণ করেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, ১৭০৪৭)
১৫. আদী ইবন হাতিম থেকে বুখারীর বর্ণনা, এ হাদীস এসেছে যে, আদী ইবন হাতিম পারস্য বিজয়ে শরীক ছিলেন এবং হীরা থেকে জনৈকা মহিলাকে উটে আরোহন করে একাকী নির্বিঘেœ মক্কায় আসতে দেখেছেন। আল্লাহ ব্যতীত তার আর কারও ভয় ছিল না। (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া ই.ফা., ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯৫)
. আদী ইবন হাতিম থেকে তিরমিযীর বর্ণনা, নবীজি (সাঃ) ইরশাদ করেন, যার অধিকারে আমার জীবন তাঁর কসম, আল্লাহ অবশ্যই এ দ্বীনকে এমন পূর্ণতা দিবেন একাকিনী নারী হাওদার উপর চড়ে সুদূর হীরা শহর থেকে এসে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে। তাতে কোন লোকের আশ্রয় দানের প্রয়োজন তার হবে না। ......আদী ইবন হাতিম (রাঃ) বলেন, এই তো আমি দেখছি হাওয়াদানশীনা নারী কারো নিরাপত্তা সঙ্গ ছাড়াই হীরা থেকে এসে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে যাচ্ছে। (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়া ই.ফা., ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১২৯-১৩০)
১৬.
• ফিকহুল যাকাত, শায়খ ডঃ ইউসুফ আল-কাওযাভী, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৬ এবং ১৪৬
Aneedotal reports from the first 100 years of Islam indieate that Zakat had a huge impact on poverty alleviation. While no figures on Zakat collection during this period exist, narrations from the time of Caliph Umar bin Al-Khattab (634-643ad) and Omar bin Abdul Aziz (718-720AD) suggest poverty was eradicated, with rulers in some regioons struggling to disperse Zakat proceeds due to tha lack of poor and eligible recipients.
http://www.newstatesman.com/…/muslim-zakat-vision-big-socie…
• A number of scholars claimed that during the period of Umar bin Al-Khattab (13-2211) and Umar bin Abdul Aziz (99-10111) proverty is competely climinated.
(Ahmed, 2004; hidayati & Tohirin, 2010; Md. Isa. 2011; Qaradwi. 1999)
লেখাটি ডা.শামসুল আরেফীন এর ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বইটা হতে নেয়া।মানবধর্ম জিনিসটা নিয়ে নাস্তিকরা খুব ঝামেলা করতে চায়।বুজে ও না বুজার ভান ধরে।এখানে তাদের ভন্ডামির উত্তর দেয়া হয়েছে।
(আলহামদুলিল্লাহ)
পোস্ট টি আবার পড়ার জন্য অনুরোধ করা হল।
এ সম্পর্কে আরো জানতে নিচের লিংক এর পোস্ট টি পড়া যেতে পারে।
জাযাকাল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.