আল্লাহ সব জানেন তাহলে দুনিয়াতে আবার কেন পাঠালেন ?
লিখেছেনঃ নয়ন চৌধুরী
স্রষ্টা যখন রুহ বানালেন তখনো তো তিনি জানতেন সে, তার স্বাধীন ইচ্ছা ব্যবহার করে জান্নাতে যাবে নাকি জাহান্নামে যাবে তাহলে তো এই দাঁড়ালো ; আল্লাহ জাহান্নামী করেই রুহ সৃষ্টি করল। তাহলে অপরাধ করলে আমাদের দোষ কী??? "
এটা সৃষ্টিকর্তারই দোষ।
স্রষ্টা যখন রুহ বানালেন তখনো তো তিনি জানতেন সে, তার স্বাধীন ইচ্ছা ব্যবহার করে জান্নাতে যাবে নাকি জাহান্নামে যাবে তাহলে তো এই দাঁড়ালো ; আল্লাহ জাহান্নামী করেই রুহ সৃষ্টি করল। তাহলে অপরাধ করলে আমাদের দোষ কী??? "
এটা সৃষ্টিকর্তারই দোষ।
উত্তরঃ
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
পবিত্র কুরআন আমাদেরকে জানাচ্ছে যে মহান আল্লাহ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত সব কিছুর ব্যাপারে জানেন।
এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ---
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
পবিত্র কুরআন আমাদেরকে জানাচ্ছে যে মহান আল্লাহ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত সব কিছুর ব্যাপারে জানেন।
এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ---
তিনি অদৃশ্য বিষয়ে এবং প্রত্যক্ষ বিষয়ে জ্ঞাত। তিনিই প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।”
(কুরআন, আন’আম ৬:৭৩)
“তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।”
(কুরআন, তাগাবুন ৬৪:১৮)
(কুরআন, আন’আম ৬:৭৩)
“তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।”
(কুরআন, তাগাবুন ৬৪:১৮)
অর্থাৎ কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে এটাও আল্লাহ তাআলা স্বাভাবিকভাবেই আগে থেকে জানেন।তবে এর মানে এই নয় যে আল্লাহ্ জোর করে কাউকে জাহান্নামের পাঠান।আল্লাহ তা’আলা কখনো চান না যে তাঁর কোন বান্দা জাহান্নামে যাক।
প্রশ্ন হচ্ছে তারা জাহান্নামে যাবে জেনেও আল্লাহ্ পৃথিবীতে পাঠালেন কেন?
আল্লাহ্ বলেন-
“…আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুনাময়।”
(কুরআন, বাকারাহ ২:১৪৩)
“…আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুনাময়।”
(কুরআন, বাকারাহ ২:১৪৩)
হাদিসে বলা হয়েছে----
উমার ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী (ﷺ)-এর নিকট কিছু সংখ্যক বন্দী আসে। বন্দীদের মধ্যে একজন মহিলা ছিল। তার স্তন দুধে পূর্ণ ছিল। সে বন্দীদের মধ্যে কোন শিশু পেলে তাকে ধরে কোলে নিত এবং দুধ পান করাতো। নবী (ﷺ) আমাদের বললেনঃ তোমরা কি মনে কর এ মহিলা তার সন্তানকে আগুনে ফেলে দিতে পারে? আমরা বললামঃ না। ফেলার ক্ষমতা রাখলেও সে কখনো ফেলবে না। তারপর তিনি বললেনঃ এ মহিলাটি তার সন্তানের উপর যতটুকু দয়ালু, আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি এর চেয়েও বেশি দয়ালু।
[সহীহ বুখারী,হাদিস: ৫৯৯৯;সহীহ মুসলিম, হাদিস : ২৭৫৪]
উমার ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী (ﷺ)-এর নিকট কিছু সংখ্যক বন্দী আসে। বন্দীদের মধ্যে একজন মহিলা ছিল। তার স্তন দুধে পূর্ণ ছিল। সে বন্দীদের মধ্যে কোন শিশু পেলে তাকে ধরে কোলে নিত এবং দুধ পান করাতো। নবী (ﷺ) আমাদের বললেনঃ তোমরা কি মনে কর এ মহিলা তার সন্তানকে আগুনে ফেলে দিতে পারে? আমরা বললামঃ না। ফেলার ক্ষমতা রাখলেও সে কখনো ফেলবে না। তারপর তিনি বললেনঃ এ মহিলাটি তার সন্তানের উপর যতটুকু দয়ালু, আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি এর চেয়েও বেশি দয়ালু।
[সহীহ বুখারী,হাদিস: ৫৯৯৯;সহীহ মুসলিম, হাদিস : ২৭৫৪]
আচ্ছা,
,একজন মা যদি জানেন তার সন্তান শীর্ষ সন্ত্রাসী হবে তবে কি তিনি তাকে আঁতুড় ঘরে গলা টিপে মেরে ফেলতে পারবেন?
কখনোই না।তিনি চাইবেন তাকে সুন্দরভাবে লালন,পালন করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে।
যেই আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মায়ের চেয়ে বেশি ভালবাসেন তার বান্দাকে তিনি কিভাবে হত্যা করতেন কোন সুযোগ না দিয়েই অর্থাৎ সৃষ্টির পরে পৃথিবীতে না পাঠিয়ে আগেই মেরে ফেলতেন?
একজন মমতাময়ী মায়ের মতই আল্লাহ্ তার বান্দাদের শিক্ষা দেয়ার জন্য, ভুল পথের যাত্রীদের সঠিক পথে আনার জন্য, যুগে যুগে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন।তিনি তার বান্দাদের শাস্তি দিতে নয় বরং রহমতের দরিয়ায় অবগাহনের জন্য সৃষ্টি করেছেন।সতর্ক না করে তিনি শাস্তি দেননা।
আল্লাহ্ কারো প্রতি সামান্যতম অন্যায় করবেন না।এটি আল্লাহর সিফাত বা গুণ নয় যে তিনি বান্দার প্রতি বিন্দুমাত্রও জুলম করেন।
“নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো প্রতি বিন্দুমাত্রও জুলুম করেন না; আর যদি তা[মানুষের কর্ম] সৎকর্ম হয়, তবে তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকে বিপুল সওয়াব দান করেন।”
আল্লাহ্ বলেন-
“কোন রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি দান করি না।”
(কুরআন, বনী ইস্রাইল(ইসরা) ১৭:১৫)
,একজন মা যদি জানেন তার সন্তান শীর্ষ সন্ত্রাসী হবে তবে কি তিনি তাকে আঁতুড় ঘরে গলা টিপে মেরে ফেলতে পারবেন?
কখনোই না।তিনি চাইবেন তাকে সুন্দরভাবে লালন,পালন করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে।
যেই আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মায়ের চেয়ে বেশি ভালবাসেন তার বান্দাকে তিনি কিভাবে হত্যা করতেন কোন সুযোগ না দিয়েই অর্থাৎ সৃষ্টির পরে পৃথিবীতে না পাঠিয়ে আগেই মেরে ফেলতেন?
একজন মমতাময়ী মায়ের মতই আল্লাহ্ তার বান্দাদের শিক্ষা দেয়ার জন্য, ভুল পথের যাত্রীদের সঠিক পথে আনার জন্য, যুগে যুগে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন।তিনি তার বান্দাদের শাস্তি দিতে নয় বরং রহমতের দরিয়ায় অবগাহনের জন্য সৃষ্টি করেছেন।সতর্ক না করে তিনি শাস্তি দেননা।
আল্লাহ্ কারো প্রতি সামান্যতম অন্যায় করবেন না।এটি আল্লাহর সিফাত বা গুণ নয় যে তিনি বান্দার প্রতি বিন্দুমাত্রও জুলম করেন।
“নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো প্রতি বিন্দুমাত্রও জুলুম করেন না; আর যদি তা[মানুষের কর্ম] সৎকর্ম হয়, তবে তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকে বিপুল সওয়াব দান করেন।”
আল্লাহ্ বলেন-
“কোন রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি দান করি না।”
(কুরআন, বনী ইস্রাইল(ইসরা) ১৭:১৫)
অন্য হাদিসে বলা হয়েছে-
►আলী (রঃ) হতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন- বাকীউল গারকাদ নামক স্থানে এক জানাজায় আমরা অংশ নিয়েছিলাম। এরপর রসূল (ﷺ) আমাদের কাছে এসে বসলেন। আমরাও তাঁর চারপাশে গিয়ে বসলাম। এসময় তাঁর হাতে একটি কাঠি ছিল। তিনি তাঁর মাথা নিচু করে সেটি দিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করলেন। এরপর বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তি নেই যার স্থান জান্নাত বা জাহান্নামে নির্ধারিত হয়নি, কিংবা তাকে ভাগ্যবান বা হতভাগ্য লিখা হয়নি। একথা শুনে জনৈক সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রসূল (ﷺ)! তাহলে কি আমরা আমল করা বাদ দিয়ে নিয়তির উপর নির্ভর করে বসে থাকব? আমাদের মধ্যে যে সৌভাগ্যবান সে তো সৌভাগ্যবান লোকদের মাঝেই শামিল হয়ে যাবে, আর আমাদের মধ্যে যে হতভাগা, সে তো হতভাগা লোকদের আমলের দিকেই এগিয়ে যাবে। তখন আল্লাহর রসূল (ﷺ) বললেন, সৌভাগ্যের অধিকারী লোকদের জন্য সৌভাগ্য লাভ করার মত আমল সহজ করে দেয়া হবে। এবং দুর্ভাগ্যের অধিকারী লোকদের জন্য দুর্ভাগ্য লাভ করার মত আমল সহজ করে দেয়া হবে। এরপর তিনি পাঠ করলেন, “সুতরাং কেউ দান করলে, মুত্তাকী হলে এবং যা উত্তম তা গ্রহণ করলে, আমি তার জন্য সুগম করে দেব সহজ পথ এবং কেউ কার্পণ্য করলে ও নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে, এবং যা উত্তম তা বর্জন করলে, তার জন্য আমি সুগম করে দেব কঠোর পরিণামের পথ” (সূরা লাইল ৯২:৫-১০)
[সহীহ বুখারী, হাদিস : ৪৯৪৯]
►আলী (রঃ) হতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন- বাকীউল গারকাদ নামক স্থানে এক জানাজায় আমরা অংশ নিয়েছিলাম। এরপর রসূল (ﷺ) আমাদের কাছে এসে বসলেন। আমরাও তাঁর চারপাশে গিয়ে বসলাম। এসময় তাঁর হাতে একটি কাঠি ছিল। তিনি তাঁর মাথা নিচু করে সেটি দিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করলেন। এরপর বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তি নেই যার স্থান জান্নাত বা জাহান্নামে নির্ধারিত হয়নি, কিংবা তাকে ভাগ্যবান বা হতভাগ্য লিখা হয়নি। একথা শুনে জনৈক সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রসূল (ﷺ)! তাহলে কি আমরা আমল করা বাদ দিয়ে নিয়তির উপর নির্ভর করে বসে থাকব? আমাদের মধ্যে যে সৌভাগ্যবান সে তো সৌভাগ্যবান লোকদের মাঝেই শামিল হয়ে যাবে, আর আমাদের মধ্যে যে হতভাগা, সে তো হতভাগা লোকদের আমলের দিকেই এগিয়ে যাবে। তখন আল্লাহর রসূল (ﷺ) বললেন, সৌভাগ্যের অধিকারী লোকদের জন্য সৌভাগ্য লাভ করার মত আমল সহজ করে দেয়া হবে। এবং দুর্ভাগ্যের অধিকারী লোকদের জন্য দুর্ভাগ্য লাভ করার মত আমল সহজ করে দেয়া হবে। এরপর তিনি পাঠ করলেন, “সুতরাং কেউ দান করলে, মুত্তাকী হলে এবং যা উত্তম তা গ্রহণ করলে, আমি তার জন্য সুগম করে দেব সহজ পথ এবং কেউ কার্পণ্য করলে ও নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে, এবং যা উত্তম তা বর্জন করলে, তার জন্য আমি সুগম করে দেব কঠোর পরিণামের পথ” (সূরা লাইল ৯২:৫-১০)
[সহীহ বুখারী, হাদিস : ৪৯৪৯]
এবিষয়ে আল্লাহ্ বলেন-
“...অতঃপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে কোন হেদায়েত পৌঁছে, তবে যে ব্যক্তি আমার সে হেদায়েত অনুসারে চলবে, তার উপর না কোন ভয় আসবে, না (কোন কারণে) তারা চিন্তাগ্রস্ত ও সন্তপ্ত হবে।আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে।”
(কুরআন, বাকারাহ ২:৩৮-৩৯)
অর্থাৎ আল্লাহ্ জানেন কে জান্নাতে যাবেন এবং কে জাহান্নামে। কিন্তু কেউ যদি আল্লাহ্ প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে সৎ পথে চলতে চায় তবে তিনি তাকে সেই পথে চলতে সাহায্য করবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
“...অতঃপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে কোন হেদায়েত পৌঁছে, তবে যে ব্যক্তি আমার সে হেদায়েত অনুসারে চলবে, তার উপর না কোন ভয় আসবে, না (কোন কারণে) তারা চিন্তাগ্রস্ত ও সন্তপ্ত হবে।আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে।”
(কুরআন, বাকারাহ ২:৩৮-৩৯)
অর্থাৎ আল্লাহ্ জানেন কে জান্নাতে যাবেন এবং কে জাহান্নামে। কিন্তু কেউ যদি আল্লাহ্ প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে সৎ পথে চলতে চায় তবে তিনি তাকে সেই পথে চলতে সাহায্য করবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
শেষকথা,
আল্লাহ্ চাইলে সকলকে দ্বীনের পথে চলতে বাধ্য করতে পারতেন।কিন্তু এটা তাঁর সিফাতের অন্তর্ভুক্ত না।
আল্লাহ্ বলেন--
আল্লাহ্ চাইলে সকলকে দ্বীনের পথে চলতে বাধ্য করতে পারতেন।কিন্তু এটা তাঁর সিফাতের অন্তর্ভুক্ত না।
আল্লাহ্ বলেন--
وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ لَآمَنَ مَنْ فِي الْأَرْضِ كُلُّهُمْ جَمِيْعًا أَفَأَنْتَ تُكْرِهُ النَّاسَ حَتَّى يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ.
অর্থ: তোমার রব যদি ইচ্ছা করতেন তবে পৃথিবীর সকলেই ঈমান আনত। তুমি কি লোকদের মু‘মিন হওয়ার জন্যে জবরদস্তি করবে? (ইউনুস:৯৯)
অর্থাৎ তিনি কাউকে দ্বীনের পথে চলতে বাধ্য করেননা।যেই স্রষ্টা ঈমান আনার ব্যাপারে জবরদস্তি করেননা,যেই স্রষ্টা মায়ের চেয়ে বেশি ভালবাসেন তিনি আত্মাগুলোকে হত্যা করবেন সংশোধনের সুযোগ না দিয়ে এটা কি আদৌ যৌক্তিক?
একজন ভালো শিক্ষক অনেক সময় পরীক্ষা নেবার আগেই বুঝতে পারেন যে কোন ছাত্র প্রথম হবে আর কোন কোন ছাত্র ফেল করবে।এ কারণে যদি তিনি পরীক্ষা না নেন, তাহলে কি তাকে ন্যায়বান শিক্ষক বলা যাবে?
একইভাবে পরিনতি জানা সত্ত্বেও আল্লাহ মানুষকে দুনিয়ার পরীক্ষাক্ষেত্রে পাঠান, তার ভালোমন্দ পরীক্ষা করার জন্য।মানুষের কর্ম অনুযায়ী আল্লাহ এর প্রতিদান দেন।আল্লাহ সব থেকে বড় ন্যায়বিচারক।মানুষকে স্বাধীন চেতনা, বিচারবুদ্ধি দেওয়া হয়েছে।আল্লাহ মানুষকে বিবেক-বুদ্ধি এইজন্য দিয়েছেন যেন মানুষ তা ব্যবহার করে।সুনির্দিষ্টভাবে সাহাবীদের-- “তাহলে কি আমরা আমল করা বাদ দিয়ে নিয়তির উপর নির্ভর করে বসে থাকব?”--প্রশ্নের উত্তরে রাসুল(ﷺ) এটি করতে নিষেধ করেছেন এবং সাধ্যানুযায়ী সৎকর্মের উপদেশ দিয়েছেন।মানুষ যদি এরপরেও তাকদিরের উপর দোষ দিয়ে বসে থাকে ও সৎকর্ম না করে, তবে এজন্য আল্লাহ মোটেও দায়ী নন।কারণ তাকে তো তার তাকদির জানিয়ে দেওয়া হয়নি।কে তাকে বলে দিয়েছে যে সে জাহান্নামেই যাবে? বরং এই বসে থাকাটাই তার জন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
তবে এই কথার শেষে আর একটা কথা যোগ করতে হয়। সেটা হল, আল্লাহর ক্ষমতা, শক্তি , সন্মান যে কত বড় সেটা বোঝা বা বর্ননা করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। শেষ বিচারের সময় শাস্তি থেকে বাচতে অনেকেই আল্লাহর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নিজের দোষ লুকানোর চেষ্টা করবে।কিন্তু আল্লাহ্ সেই সব অপরাধীর জন্য এমন কোন সুযোগ রাখবেননা যেন কেউ তার নীতির উপর প্রশ্ন তুলতে পারে।
কেননা তিনি ন্যায় বিচারক।তিনি কারো প্রতি জুলুম করবেননা। সুতরাং উল্লেখিত প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিকই নয় বরং অযৌক্তিক ও বটে।
একইভাবে পরিনতি জানা সত্ত্বেও আল্লাহ মানুষকে দুনিয়ার পরীক্ষাক্ষেত্রে পাঠান, তার ভালোমন্দ পরীক্ষা করার জন্য।মানুষের কর্ম অনুযায়ী আল্লাহ এর প্রতিদান দেন।আল্লাহ সব থেকে বড় ন্যায়বিচারক।মানুষকে স্বাধীন চেতনা, বিচারবুদ্ধি দেওয়া হয়েছে।আল্লাহ মানুষকে বিবেক-বুদ্ধি এইজন্য দিয়েছেন যেন মানুষ তা ব্যবহার করে।সুনির্দিষ্টভাবে সাহাবীদের-- “তাহলে কি আমরা আমল করা বাদ দিয়ে নিয়তির উপর নির্ভর করে বসে থাকব?”--প্রশ্নের উত্তরে রাসুল(ﷺ) এটি করতে নিষেধ করেছেন এবং সাধ্যানুযায়ী সৎকর্মের উপদেশ দিয়েছেন।মানুষ যদি এরপরেও তাকদিরের উপর দোষ দিয়ে বসে থাকে ও সৎকর্ম না করে, তবে এজন্য আল্লাহ মোটেও দায়ী নন।কারণ তাকে তো তার তাকদির জানিয়ে দেওয়া হয়নি।কে তাকে বলে দিয়েছে যে সে জাহান্নামেই যাবে? বরং এই বসে থাকাটাই তার জন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
তবে এই কথার শেষে আর একটা কথা যোগ করতে হয়। সেটা হল, আল্লাহর ক্ষমতা, শক্তি , সন্মান যে কত বড় সেটা বোঝা বা বর্ননা করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। শেষ বিচারের সময় শাস্তি থেকে বাচতে অনেকেই আল্লাহর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নিজের দোষ লুকানোর চেষ্টা করবে।কিন্তু আল্লাহ্ সেই সব অপরাধীর জন্য এমন কোন সুযোগ রাখবেননা যেন কেউ তার নীতির উপর প্রশ্ন তুলতে পারে।
কেননা তিনি ন্যায় বিচারক।তিনি কারো প্রতি জুলুম করবেননা। সুতরাং উল্লেখিত প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিকই নয় বরং অযৌক্তিক ও বটে।
আল্লাহ্ আমাদের সত্যকে বুঝার তৌফিক দান করুন,আমিন।
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.